উলুবেড়িয়া পুরসভার ডাম্পিং ল্যান্ড থেকে উদ্ধার প্রায় ১৮-২০ টি শিশুর দেহ। মঙ্গলবার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার সাফাইকর্মীরা জঞ্জাল ফেলতে গিয়ে ওই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে গিয়েছিলেন। তাঁরাই প্রথম ওই ভ্রূণগুলি দেখতে পান। জানা গিয়েছে, তার মধ্যে ১০টি মেয়ে, ৬ টি ছেলের। বাকিগুলির ভ্রূণ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
উলুবেড়িয়া পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাণীতলা খাঁ পাড়ার ভাগাড় থেকে এই ভ্রূণগুলি উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, জনবসতি এলাকায় এই ভাগাড় থাকায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। উলুবেড়িয়া শহর এলাকায় দেড় কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় ৩০টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। সেখানে গর্ভপাত করানোর পর ভ্রুণগুলিকে ওই ভাগাড়ে নিয়ে এসে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়দের। ভ্রুণগুলি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
গোটা ঘটনায় তদন্তে পুলিস।
অবশেষে বাড়ি ফিরলেন হাওড়া দেউলপুরের সোনার ছেলে অচিন্ত্য শিউলি (Achinta Sheuli)। কমনওয়েলথ গেমসে এবার সোনা (gold) পেয়েছেন বাংলার অচিন্ত্য। ভারোত্তোলনের ৭৩ কেজি বিভাগে গেমস রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন তিনি। একাদশতম বাঙালি হিসাবে কমনওয়েলথে (Commonwealth) সোনা জেতাই শুধু নয়, অচিন্ত্য গেমস রেকর্ড গড়েছেন মোট ৩১৩ কিলো তুলে। একেবারে বাজিমাত করে এবার ঘরে ফিরলেন সোনার ছেলে। তাঁকে স্বাগত জানাতে ও বরণ করতে সকাল সকালই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর মা পূর্ণিমা শিউলি ও স্থানীয়রা। বিকেল থেকেই ছেলেকে খাওয়ানোর জন্য নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন কড়াইশুঁটির কচুরি ও চানা মশলা। সঙ্গে দই, মিষ্টি তো রয়েছেই।
এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas), ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari), বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে অচিন্ত্য শিউলিকে ফুলের স্তবক ও মুকুট পরিয়ে সংবর্ধনা জানান ক্রীড়ামন্ত্রী ও অন্যান্যরা।
এছাড়াও বাড়ি ফেরার পর তাঁকে বরণ করতে প্রস্তুত ছিল পাড়ার মাসি, বৌদি,দিদি থেকে গোটা দেউলপুর গ্রামবাসী। অচিন্ত্য আসতেই আনন্দ উচ্ছাসে মেতে উঠল গোটা গ্রাম। এদিন এতটাই ভিড় ছিল যে তাঁকে কোনওমতে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। তারপর সে ছাদে উঠে হাত তুলে অভিবাদন গ্রহণ করেন। তাঁর মাও বাড়িতে ছেলেকে বরণ করে নেন।