ইউক্রেনের (Ukraine) ক্ষেপণাস্ত্র হানা (War)। রুশ (Russia) বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করতে আমেরিকার দেওয়া ক্লাস্টার বোমা (Cluster Bomb) ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। আর সেই বোমা ফেটে তার থেকে আরও অনেক ছোটো ছোটো বোমা বেরিয়ে আসছে। পরে আবার সেই ছোটো ছোটো বোমাগুলিই বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির শঙ্কা বেড়েই চলেছে। এই বোমা ব্যবহার একরকম প্রায় নিষিদ্ধ। একটি রিপোর্টে ইউক্রেনীয় কর্তাদের দাবি, শুধুমাত্র শত্রুদের হামলার জবাব দিতেই ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করা হবে।
অন্যথায় এই অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ জেনেও ইউক্রেনে এই অস্ত্রটি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। যার ফলে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সবাই। এমনকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলিও। ইউরোপের কিছু মিত্র দেশও বাদ পড়েনি বাইডেনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে।
রবিবার ইউক্রেনে (Ukraine) রুশ আগ্রাসনের ৫০০ দিন ছাড়াল। এই যুদ্ধে সকলকে চমকে দিয়েছিল কৃষ্ণসাগরের তীরে অবস্থিত স্নেক আইল্যান্ড (Snake Island)। এদিন যুদ্ধের ৫০০তম দিনে আইল্যান্ড দ্বীপের সফরে (tour) গেলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘এই দ্বীপ কোনও দিন কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত ৯ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ছিল পাঁচশোটি শিশু। তবে এ সবই খাতায়কলমে থাকা হিসেব থেকেই অনুমান করা। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী অভিযান’-এর তরফে জানানো হয়েছে, আসল নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
তবে এ বছর কিন্তু গত বছরের তুলনায় হতাহতের সংখ্য়া কিছুটা কম। চলতি বছরে ২৭ জুন ক্ষেপণাস্ত্রের হানায় ১৩ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি শিশুও ছিল। উল্লেখ্য়, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বেশ অনেকটা দূরে লিভিভ শহরে রুশ হামলার পরেও ১০টি দেহ উদ্ধার হয়ছে। বৃহস্পতিবার, ওই হামলায় আরও ৩৭ জন জখম হয়েছিলেন। এই যুদ্ধের ফলে ৫০টিরও বেশি বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। লিভিভ পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটির ডর্মিটরির একাংশ ভেঙে পড়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine war) প্রায় দেড় বছর পার, তবুও এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার নাম নিচ্ছে না। বরং এই যুদ্ধ এক নতুন মোড় নিল বুধবার। রুশ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে পুতিনকে (Vladimir Putin) উদ্দেশ্য করে প্রাণঘাতী হামলার পরেই নড়চড়ে বসেছে প্রশাসন। রাশিয়ার অভিযোগ, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ইউক্রেন। কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করলেও তা মেনে নেয়নি রাশিয়া। বরং উল্টে এসেছে প্রাণনাশের হুঁশিয়ারি। এরপরেই খবরে এসেছে যে, বুুধবার রাতেই ইউক্রেনের খেরসনে (Kherson) ভয়ানক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
সূত্রের খবর, খেরসনের সুপার মার্কেট থেকে শুরু করে রেলওয়ে স্টেশনেও একাধিক জায়গায় লাগাতার গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়া। মিসাইল হামলায় এখনও অবধি কমপক্ষে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। আবার কিয়েভেও দুটি বড় বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে এসেছে। এই জোরালো বিস্ফোরণের পরই ইউক্রেন বায়ুসেনার তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেখানকার মানুষদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। আবার রাশিয়ার মিসাইল হামলার পর থেকে ইউক্রেনের যে জায়গাগুলোতে রেড অ্য়ালার্ট জারি করা হয়েছে, সেগুলো হল- কিয়েভ, সুমি, চেরনিহিভ, পোলটাভা, খারকিভ, ওডেসা ইত্যাদি।
🕯️Today, Russia launched one of its deadliest attacks on #Kherson, hitting a supermarket, a railway station other civilian targets.
— KyivPost (@KyivPost) May 3, 2023
At least 21 people were killed and 48 injured.
📷: Telegram / Zelensky pic.twitter.com/HE0XNVhzca
বুধবার প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের উপর। রাশিয়ার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, রুশ প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে দু’টি ড্রোন। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকেই ওই ড্রোন ওড়ানো হয়েছিল বলেই দাবি রাশিয়ার। যদিও হামলার জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন পুতিন, এমনটাই জানানো হয়েছে রাশিয়ার বিবৃতিতে। হামলাকারী ড্রোনদুটি ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে এই ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের কোনও হাত নেই জানালেও থেমে থাকেনি রাশিয়া। প্রতিশোধ নিতে হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী।
ফের ইউক্রেনে (Ukraine) রুশ (Russia) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। শনিবার ভোর রাতে এই বিস্ফোরণটি (missile attack) ঘটেছে। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী কিয়েভ (Kyiv)। কমপক্ষে পাঁচ ৫ জন নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।
সম্প্রতি পশ্চিমের দেশগুলি থেকে বেশ কিছু অস্ত্রসাহায্য এসে পৌঁছেছে ইউক্রেনে। তার পর থেকেই শুরু হয়েছে হামলার গতিবৃদ্ধি মস্কো। মধ্য ইউক্রেনের উমান শহরে একটি আবাসনে এসে পড়ে ক্ষেপণাস্ত্র। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় বাড়িটিতে। তিন জন হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। জখম হয়েছেন অন্তত ৮ জন। এমনকি নিপ্রো শহরেও একটি বাড়িতে এসে পড়েছে ক্ষেপণাস্ত্র। যার ফলে একটি শিশু ও এক তরুণী মারা গিয়েছেন।
শহরের মেয়র বরিস ফিলাটোভ জানিয়েছেন, তিন জন গুরুতর জখম। বিস্ফোরণে রাজধানীর একাধিক অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ‘শত্রুরা’। কিভ অঞ্চলেই ইউক্রেইনকা শহরে দু’জন জখম হয়েছেন। ১৪ মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। স্বাভাবিক ভাবে ইউক্রেনীয় বাহিনীও জান লড়িয়ে দিচ্ছে, কোনওভাবে বাখমুট তারা হাতছাড়া হতে দেবে না। তবে এদিন অন্ততপক্ষে ২১টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
২০২২ সালের রাশিয়া ও ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ এখনও চলছে। তারপর থেকে একাধিক বার গোলাবর্ষণে কেঁপেছে রাশিয়ার (Russia) সীমান্তবর্তী শহর বেলগোরোদ। যতবার গোলাবর্ষণ হয়েছে, ততবার আঙুল উঠেছে ইউক্রেনের দিকে। তবে এবার বেলগোরোদ কাঁপল রুশ বোমার আঘাতে।
পূর্বের ইউক্রেন সীমান্ত থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে এই বেলগোরোদ। জানা গিয়েছে, এর আগে বেশ কয়েকবার বোমাবর্ষণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বৃহস্পতিবার যে বোমাবর্ষণ হয়েছে, তা আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এই নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হতেই রুশ সেনা জানিয়ে দেয়, তাদের এসইউ-৩৪ যুদ্ধবিমানটি বেলগোরোদ শহরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বোমা তখন কোনোভাবে ভুলবশত পড়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।
এই বোমা বিস্ফোরণের প্রেক্ষিতে শহরের গভর্নর ভিয়াচ্যালেসলভ গ্যাডকভ জানান, 'যে এলাকায় বোমাটি পড়েছে, তার আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনও বাড়িরও বিশেষ ক্ষতি হয়নি।'
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) প্রায় দেড় বছরের দিকে এগোচ্ছে। তবে এখনও শেষ হওয়ার নাম নেই। ইতিমধ্যেই ভারত ঘুরিয়ে এই যুদ্ধের সমালোচনা করেছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ অবস্থান নয়াদিল্লির। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্বের তাবড় দেশগুলো। এর মধ্যেই ফের প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সাহায্যের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি। যুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine)। এই পরিস্থিতিতে খাদ্য-শস্য, ওষুধ ও চিকিৎসার যাবতীয় সরঞ্জাম-সহ মানবিক ত্রাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লেখেন জেলেনস্কি (Zelenskyy)।
সূত্রের খবর, এই চিঠি ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী এমিনি জাপারোভা-র (Emine Dzhaparova) হাত দিয়ে পাঠানো হয়েছে ভারতে। সোমবার ভারত সফরে এসেছেন ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী। চারদিনের সফরে এদেশে এসেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারতের সাহায্যের আশায় তাঁর এই সফর। ফলে এখানে পৌঁছেই এই চিঠিটি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির হাতে তুলে দিয়েছেন জেলেনস্কির মন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ থামানোর জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে একাধিকবার পুতিনকে বলা হয়েছে। এছাড়াও একাধিকবার ইউক্রেনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ফলে ইউক্রেনবাসীরা আশা করতে পারছে যে, এবারেও ভারত সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। তবে জেলেনস্কির চিঠির উত্তরে কী আসতে চলেছে তারই অপেক্ষায় জেলেনস্কি-সহ পুরো ইউক্রেনবাসী।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukriane)। রুশ হামলায় (Russian Attack) একেবারে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের একাধিক শহর। বছর গড়িয়ে গিয়েছে। তবুও যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। এই আবহে প্রথম ভারত সফরে এলেন ইউক্রেনের প্রশাসনের কোনও প্রতিনিধি। সোমবার ভারতের মাটিতে পা রাখলেন ইউক্রেনের প্রথম ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী এমিনি জাপারোভা (Emine Dzhaparova)। জানা গিয়েছে, চারদিনের সফরে এদেশে এসেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ভারতের সাহায্যের আশায় তাঁর এই সফর।
Happy to visit 🇮🇳-the land that gave birth to many sages,saints&gurus. Today, #India wants to be the Vishwaguru,the global teacher and arbiter. In our case, we’ve got a very clear picture:aggressor against innocent victim.Supporting🇺🇦 is the only right choice for true Vishwaguru.
— Emine Dzheppar (@EmineDzheppar) April 10, 2023
সূত্রের খবর, এই চারদিনের সফরে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে এমিনির। এই বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিশ্বের বিভিন্ন ইস্য়ুতে পারস্পরিক স্বার্থ ও ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী এই সফরকালে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি এবং উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিক্রম মিসরির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, ভারতের মাটিতে পা রেখেই একটি টুইট করেন ইউক্রেনের ডেপুটি বিদেশমন্ত্রী। তিনি লেখেন, 'ভারতে এসে আনন্দিত। এই মাটিতে বহু মহাপুরুষ, সাধু ও গুরু জন্মেছেন। আজ ভারত বিশ্বগুরু হতে চায়। আমাদের ক্ষেত্রে ছবিটা স্পষ্ট। ইউক্রেনকে সমর্থনই সত্যিকারের বিশ্বগুরু হওয়ার জন্য একমাত্র সঠিক উপায়।' তাঁর টুইট থেকে স্পষ্ট বার্তা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উপসংহার লিখতে ভারতে পাশে চাইছে ইউক্রেন।
সদ্য ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) বর্ষপূর্তি হয়েছে। গত সপ্তাহে কিভে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে করা বিশেষ পরমাণু চুক্তি খারিজ করেছেন পুতিন। এবার পরমাণু হামলার আশঙ্কা প্রকাশ আমেরিকার।
মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বললেন, ‘ভারত এবং চিন বাধা না দিলে এত দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন।’
মার্চেই জি-২০ এবং এসওসি বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি আসছেন ব্লিঙ্কেন। তার আগে এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া তার এই সাক্ষাৎকার। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মত, মস্কোর উপর নয়াদিল্লি এবং বেজিংয়ের ‘প্রভাবের’ রয়েছে। পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফেরাতে এই দুই দেশের উপর আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার নির্ভর করছে। ঘুরিয়ে সে কথা স্বীকার করে নিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
কোভিড পরবর্তী কঠিন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ। দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। আর এই যুদ্ধের এক বছরের মাথায় রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) সাধারণ সভায় একটি প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine) থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। একাধিক দেশ রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। তবে এবারেও ভোটদানে বিরত থাকল ভারত এবং চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ উল্লেখ করেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব বলে মনে করে ভারত।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে মোট ১৯৩টি সদস্য দেশ রয়েছে। যার মধ্যে ১৪১ টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে ভারত-চিন সহ ৩২ টি দেশ যদিও এই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। যদিও আগেও ভারত এই প্রস্তাবে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে ভারত সবসময়েই শান্তিপূর্ণভাবে কূটনৈতিক মাধ্যমে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে।
এদিন রুচিরা কাম্বোজ রাষ্ট্রপুঞ্জে বলেন, ভারত সবসময়ই কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলে এসেছেন মানুষের প্রাণের বিনিময়ে কোনও সমাধানে পৌঁছনো সম্ভব নয়। এটা যুদ্ধের সময় নয়। হিংসার পথ থেকে সরে এসে অবিলম্বে কথোপকথন আর কূটনীতিতে সমাধানের পথ বেছে নেওয়া উচিত।
ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের অবস্থান সবসময়েই মানুষের পক্ষে। ভারত ইউক্রেনকে সবরকমের সাহায্য করতেও রাজি।
শিয়রে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) বর্ষপূর্তি, তার আগে কিভ সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Biden at Kyiv)। পূর্ব ইউরোপে মার্কিনীদের অন্যতম কূটনৈতিক শরিক ইউক্রেন। তাই রাশিয়ার আগ্রাসনের বর্ষপূর্তির আগে বন্ধুকে পাশে থাকার বার্তা দিতেই ইউএস প্রেসিডেন্টের এই ইউক্রেন সফর। এমনটাই দাবি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। হোয়াইট হাউসের তরফে খবর, বাইডেনের এই সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Voladimir Zelenskye) সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি রুশ হামলা ঠেকাতে সামরিক সহায়তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।
এযাবৎকাল ঘুরপথে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দিয়ে এসেছে আমেরিকা এবং ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। যদিও যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে বাখমুট-সহ ইউক্রেনের একাধিক শহর ঘিরে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে পুতিন বাহিনী। মূলত পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম করতেই পুতিন সেনার এই সক্রিয়তা বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কির আবেদনের সাড়া দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য পশ্চিমী দেশগুলো নিজেদের জোট সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। রুশ হামলা ব্যর্থ করার জন্য ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সহায়তার বিষয়ে তাঁরা ঐকমত্য হয়েছেন।
সূত্রের খবর, ইউক্রেনের মাটি থেকে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারেন। বাইডেনের সফরকে স্বাগত জানিয়ে জ়েলেনস্কি জানান, রুশ হামলা থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
বছর ঘুরেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War)। একদিকে প্রবল পরাক্রমী রুশ সেনা, অন্যদিকে পশ্চিমী দুনিয়ার সমর্থনে চলা ইউক্রেনীয় সেনা। এই দুয়ের মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু আম ইউক্রেনীয়। কিন্তু কবে এই যুদ্ধের ইতি জানে না কেউ। এই আবহে এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) জীবিত থাকা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করলেন ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সুইৎজ়ারল্যান্ডের দাভোসে চলছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম (Davos Conclave)। বার্ষিক এই সম্মেলনের প্রাতরাশ বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য।
যদিও পড়শি দেশের রাষ্ট্রপতির এহেন জল্পনা উসকে দেওয়ার পাল্টা হিসেবে রাশিয়া কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, 'জ়েলেনস্কির কাছে যে রাশিয়া এবং পুতিন বড় সমস্যা তা আবার স্পষ্ট। উনি চান রাশিয়া এবং পুতিনের অস্তিত্ব মুছে যাক। যত তাড়াতাড়ি উনি বুঝতে পারবেন যে, রাশিয়ার অস্তিত্ব আছে এবং থাকবে, ইউক্রেনের পক্ষে ততই মঙ্গল।'
এদিকে দাভোসের সম্মেলনে যুদ্ধ থামানোর পক্ষেই সওয়াল করেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। জ়েলেনস্কি বলেন, 'কার সঙ্গে আলোচনা হবে সেটাই আমার কাছে স্পষ্ট নয়। পুতিন আদৌ আর বেঁচে আছেন কিনা, তা নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে।' প্রসঙ্গত গত মাসে মার্কিন একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল পুতিন গুরুতর অসুস্থ।
ইউক্রেনের রাজধানী কিভের (Kyv Accident) কাছে ভয়াবহ হেলিকপ্টার (Helicopter Crash) দুর্ঘটনা। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু ইউক্রেনের ২ মন্ত্রী-সহ ১৮ জনের। তাঁদের মধ্যে তিন শিশুও ছিল। ইউক্রেন সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কিভের অদূরে ব্রোভারি এলাকায় বুধবার ভোরে ওই হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে। ওই কপ্টারে ইউক্রেনের (Ukraine Accident) অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী ডেনিস মোনাস্ত্রাস্কি, উপ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তামন্ত্রী এভেগনি এনিন ছিলেন। এছাড়াও কপ্টারে ছিলেন ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দফতরের কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কপ্টার ভেঙেই তাঁদের সকলের মৃত্যু হয়েছে। কপ্টারটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে কী কারণে কপ্টার ভেঙে পড়ল সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে কিছু জানা যায়নি। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির জেলেনস্কি মৃতদের পরিবারকে শোকবার্তা জানান।
নতুন বছরের শুরুতে ৮৯ জন রুশ সেনাকে হত্যা করার 'প্রতিশোধ' নিল রাশিয়া। রবিবার রাশিয়ার (Russia) প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে যে, এক সপ্তাহ আগে রকেট হামলায় (missile strikes) ডজন ডজন রুশ সৈন্যের মৃত্যু হয়েছিল। আর তার প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনীয় (Ukraine) সেনাদের ব্যারাকে ভয়াবহ রকেট হামলা চালিয়েছে। এরফলে দেশটির ৬০০-র বেশি সেনা হত্যা হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন যে, ক্রামাতোরস্ক শহরের যে দু’টি হোস্টেলে অস্থায়ী ঘাঁটি গেড়েছিলেন ইউক্রেনের সেনারা, সেখানে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। সেখানকার দু’টি হোস্টেলের একটিতে ৭০০ এবং অন্যটিতে ৬০০-র বেশি ইউক্রেনীয় সেনা ছিলেন। যাঁরা রকেট হানায় নিহত হয়েছেন।
তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা হতাহতের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। পূর্ব ইউক্রেন বাহিনীর মুখপাত্র সের্হি চেরেভাতি বলেছেন যে, ক্রামাতোরস্কে রাশিয়ার হামলায় শুধুমাত্র বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ইউক্রেনের সেনারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
দোনেৎস্কের আঞ্চলিক প্রশাসন বলেছে, সাতটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ক্রামাতোরস্কে হামলা চালিয়েছে। আরও দুটি আঘাত করেছে কোস্ত্যন্তিনিভকা, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বলা হয়েছে, ক্রামাতোরস্কে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি শিল্প স্থাপনা এবং গ্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কোস্ত্যন্তিনিভকায় একটি শিল্পাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। রাশিয়ার আক্রমণে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেন (Ukraine)। যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। উল্টে শীতে (winter) ইউক্রেনের পারদ হু-হু করে নামছে। রাশিয়া ইউক্রেনের শক্তিকেন্দ্রগুলিতে লাগাতার হামলা চালানোর পরে ইউক্রেনে বিদ্যুতের সরবরাহ ও জল সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। শীতে বিদ্যুতের অভাবে ও ঘরে ঘরে জলাভাবের কারণে সাধারণ নাগরিকরা পড়েছেন বেজায় বিপদে। এবার ইউক্রেনের অভিযোগ, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একটি প্রসূতি হাসপাতালে (maternity hospital) রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র (Russian missile) আঘাত হানে। এতে একটি শিশুর মৃত্যুও হয়। যদিও রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
একটি টেলিগ্রাম পোস্টে, জাপোরিঝিয়া ওব্লাস্টের গভর্নর অলেক্সান্ডার স্টারুখ লিখেছেন, মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জাপোরিঝজিয়ার কাছে ভিলনিয়ানস্কা হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে আঘাত হানে। এই হামলায় এক নবজাতক শিশু নিহত হয়েছে বলে স্টারুক বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন,'স্থানীয় হাসপাতালের ভূখণ্ডে রকেট হামলার ফলে, প্রসূতি ওয়ার্ডের দ্বিতল ভবনটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।'
নিরলস রুশ হামলার কারণে ইউক্রেনের শক্তি কাঠামো ভেঙে পড়েছে। সরকার বিদ্যুৎ, তাপ, জল, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন সংযোগ এবং একটি ফার্মেসি, বিনামূল্যে এবং চব্বিশ ঘণ্টা পরিষেবা প্রদানের জন্য বিশেষ 'অজেয়তা কেন্দ্র' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ভিডিও বার্তায় একথা বলেছেন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। মার্চের শেষ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। রাশিয়ার নয় মাসের আক্রমণের সর্বশেষ প্রভাব যা ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন, তা সত্যি মর্মান্তিক।
এখন যুদ্ধের সময় নয়। উজবেকিস্তানের এসসিও (SCO) বৈঠকের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russia President) ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) পেয়ে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi)। এসসিও বা সাংহাই কো অপারেশন সম্মেলন এ বছর আয়োজিত হচ্ছে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। রাশিয়া, ভারত ছাড়া এই সম্মেলনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী দেশ চিন। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার প্রকৃত মিত্র ভারত কিংবা চিন কেউই ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে পুতিনের পাশে দাঁড়ায়নি। বরং দুই পড়শি দেশ আকার-ইঙ্গিতে রাশিয়াকে বুঝিয়ে দিয়েছে এখন যুদ্ধ বন্ধের সময়।
সমরখণ্ডে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে হওয়া পার্শ্ববৈঠকে মোদী জানান, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এই আপৎকালীন সময়ে খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তা অগ্রাধিকার। এদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার পর তেমন বড় কোনও সাফল্য গত ৭ মাসে পায়নি পুতিন বাহিনী। উলটে একসময় রাশিয়ার হাতে থাকা একের পর এক প্রদেশ হাতছাড়া হচ্ছে মস্কোর। তাও চলতি সপ্তাহের গোড়াতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা খারিজ করেছিলেন পুতিন। বরং আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানোর ‘বার্তা’ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এই পরিস্থিতিতে মোদীর মন্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়াকে আরও নিঃসঙ্গ করে দিল। এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, শুধু নরেন্দ্র মোদী নয়, পুতিন বৈঠক করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গেও।
সেই বৈঠকে বেজিংয়ের তরফে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়নি মস্কো। ইতিমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতে পুতিনের সঙ্গে চার বার ফোনে কথা বলেন মোদী। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতে সফরে এসেছিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ। শুক্রবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলে পুতিনকে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, গণতন্ত্র, কূটনীতি এবং আলোচনাই বর্তমান বিশ্বে সমস্যা সমাধানের পথ হওয়া উচিত। মোদীকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন সঙ্ঘাতে ইতি টানার কথা বলেছেন পুতিন।