ট্রেনের (Train) কামরায় আগুন (Fire)। কামরা থেকে বেরিয়ে আসছে কালো ধোঁয়া। কালো ধোঁয়াতে ঢেকে গিয়েছে গোটা স্টেশন চত্বর। শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই-বেঙ্গালুরু উদয়ন এক্সপ্রেসের (Udayan Express) কামরায়। ট্রেনের কামরা থেকে যাত্রীরা নেমে যাওয়ার ২ ঘণ্টা পর ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্য়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে দমকল বাহিনী। ঘটনাকে ঘিরে বেশ উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এক সংবাদ সংস্থা থেকে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর সাঙ্গোলি রায়ান্না স্টেশনে ট্রেনটি পৌঁছনোর পর আগুন লাগে। আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটার প্রায় ২ ঘণ্টা আগে যাত্রীরা নেমে ট্রেন থেকে নেম গিয়েছিলেন। ফলে খালি ট্রেন থাকায় কোনও হতাহত হয়নি। দমকল বাহিনীর তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই আইনি বিয়ে সেরেছেন টলিউডের জনপ্রিয় জুটি উদয় প্রতাপ সিং (Uday Pratap Singh) ও অনামিকা চক্রবর্তী (Anamika Chakraborty)। কোনও ঘোষণা ছাড়াই একেবারে ছিমছাম বিয়ে সারলেন তাঁরা। ২৮ জুন আইনি বিয়ে করেন 'মিঠাই' সিরিয়ালের রাতুল ও 'এখানে আকাশের নীল' সিরিয়ালের হিয়া। প্রায় আড়াই বছরের প্রেম ছিল তাঁদের। তাঁদের এই প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পেল। এবারে বিয়ের পরই তাঁদের দেখা গেল হানিমুনে (Honeymoon) ঘুরতে যেতে। তবে এখানেও রয়েছে বিশেষ চমক।
বর্তমানে হানিমুন মানেই তো বিদেশ ভ্রমণ। তবে এক্ষেত্রেও উদয়-অনামিকা এর উল্টো স্রোতে গেলেন। দেখা গিয়েছে, তাঁরা হানিমুনের জন্য কোনও বিদেশ যাননি, তাঁরা গিয়েছেন তাকদহ ঘুরতে। তাও আবার একা নয়, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে। সাধারণত হানিমুনে নবদম্পতিই ঘুরতে যান। কিন্তু এক্ষেত্রে উদয় ও অনামিকা একা ঘুরতে না গিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন তাঁরা। আর সেই ছবিই পাওয়া গিয়েছে অনামিকার ইনস্টাগ্রাম ছবিতে। দেখা গিয়েছে, হানিমুনে গিয়ে একগুচ্ছ ছবি স্টোরিতেই পোস্ট করেছেন অনামিকা। সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা গিয়েছে নবদম্পতিকে।
টলিপাড়ায় (Tollywood) ফের বাজল বিয়ের সানাই। একেবারে বলিউড তারকাদের কায়দায় ছিমছাম বিয়ে (Wedding) সেরে সবাইকে চমকে দিলেন উদয় প্রতাপ সিং (Uday Pratap Singh) ও অনামিক চক্রবর্তী (Anamika Chakraborty)। ২৮ জুন আইনি বিয়ে সারলেন 'মিঠাই' সিরিয়ালের রাতুল ও 'এখানে আকাশের নীল' সিরিয়ালের হিয়া। প্রায় আড়াই বছরের প্রেম ছিল তাঁদের। এবারে তাঁদের এই প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পেল।
চলতি মাসের প্রথমেই জানা গিয়েছিল যে, তাঁরা খুব শীঘ্রই বিয়ে করতে চলেছেন। তাঁদেরকে একসঙ্গেই আইবুড়ো ভাত খেতে দেখা গিয়েছিল। ফলে অনুমান করা হয়েছিল যে, চলতি মাসেই চারহাত এক হবে। তবে এভাবে কোনও ঘোষণা ছাড়াই চুপিসারে বিয়ে করবেন, তা কেউ ভাবতে পারেননি। তবে তাঁরা যে আইনি ভাবেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তা আগে থেকেই স্থির ছিল। পরিবার, কাছের বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়েই বিয়ে সেরেছেন তাঁরা। তাঁদের বিয়েতে বেজায় খুশি তাঁর অনুরাগীরা।
উল্টো রথের দিন বিয়ে সেরেই একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেছেন নবদম্পতি। ছবি শেয়ার করতেই ধেয়ে এসেছে শুভেচ্ছা। ছবিতে দেখা গিয়েছে, অনামিকার পরনে রয়েছে প্যাস্টেল রংয়ের শাড়ি, সঙ্গে মানানসই গয়না ও সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর। অন্যদিকে উদয়কে এক আকাশি রংয়ের পাঞ্জাবিতে দেখা গিয়েছে। তাঁদের পোস্টে শুভেচ্ছার বন্য়া ভেসে গিয়েছে।
টলি (Tollywood) পাড়ায় আবারও বিয়ের সানাই বাজতে চলেছে। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন পাত্রী অনামিকা চক্রবর্তী (Anamika Chakraborty) এবং পাত্র উদয় প্রতাপ সিং (Uday Pratap Singh)। ইতিমধ্যেই নাকি আইবুড়ো ভাতের পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। টলিউডের এই জুটি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়। উদয়কে সম্প্রতি দেখা গিয়েছিল 'মিঠাই' ধারাবাহিকে। অন্যদিকে অনামিকাও একাধিক ধারাবাহিক, ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসা কুড়িয়েছেন। নিজেদের প্রেমের কথা গোপন রাখেননি তাঁরা। আড়াই বছর ধরে চলেছে তাঁদের প্রেম পর্ব। এবার কাজ থেকে ফুরসত পেতেই শুভ পরিণয় সেরে ফেলতে চাইছেন।
জানা গিয়েছে, তাঁরা বিয়ে করতে চলেছেন ২৮ জুন। তবে জাঁকজমক, এলাহী আয়োজন থাকবে না তাঁদের বিয়েতে। সাদামাটাভাবে নিজস্ব পরিসরে বিয়ে করতে চাইছেন তাঁরা। আমন্ত্রিতদের মধ্যে থাকবেন কাছের আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। যুগলের প্রেম নিয়ে একসময় বহু চৰ্চা হয়েছে। ফিরে এসেছে তাঁদের অতীত সম্পর্কের জের। এর আগে উদয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ছোটবেলার বান্ধবীর সঙ্গে। বাগদানের পর ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের বিয়ে। অন্যদিকে অনামিকা জড়িয়েছিলেন একাধিক সম্পর্কে। তবে তাঁদের সব পথ এসে মিলেছে একে অপরের কাছে। এবার বিয়ে করে একত্রযাপনের অঙ্গীকারে আবদ্ধ হতে চলেছেন অনামিকা-উদয়।
ফের মৃত্যু বিদেশ থেকে আনা চিতার (Cheetah)। রবিবার মধ্যপ্রদেশের (MadhyaPradesh) কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু হল উদয় (Uday) নামক চিতার। রোগে ভুগে রবিবার বিকালে মারা যায় চিতাটি। চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার চিতা মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো এই জাতীয় উদ্যানে।
নামিবিয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে ফেব্রুয়ারি মাসে আফ্রিকা থেকেও মোট ১২টি চিতা আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যেই ছিল এই উদয় নামের মৃত চিতাটি। রবিবার এই খবর দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের চিফ কনজার্ভেটার অফ ফরেস্ট জেএস চৌহান। রবিবার সকালের দিকে বন দফতরের কর্মীরা লক্ষ্য করেন যে, উদয়কে অসুস্থ দেখাচ্ছিল, কেমন যেন ঝিমিয়ে পড়েছিল এটি। এরপর তাকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে বেলা ১১টার দিকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তবে চিকিৎসায় সাড়া দেয়নি উদয়। চিকিৎসা চলাকালীন বিকেল ৪টে নাগাদ মৃত্যু হয় তার। যদিও ঠিক কোন রোগে তার মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পোস্টমর্টাম করার পরই তা জানা যাবে। এই পোস্টমর্টামের পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিও করা হবে জানা গিয়েছে।
এক মাসের মধ্যেই দুটি চিতার মৃত্যুতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বন দফতরের কর্মীদের। প্রসঙ্গত, আগে থেকেই মোট ৮টি চিতা ছিল মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে। চিতার সংখ্যা বাড়াতে আরও ১২টি চিতা আনা হয়। তবে মোট ২০টি চিতার মধ্যে থেকে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে দুটি চিতার। ফলে, এখন মোট ১৮টি চিতা রয়েছে এই জাতীয় উদ্যানে। উল্লেখ্য, গত মাসে অর্থাৎ মার্চ মাসে সাশা নামে একটি চিতা কিডনির অসুখে মারা যায়।
নিয়োগ দুর্নীতিতে বামেদের (Cpim) বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan guha)। বাম আমলের কৃষিমন্ত্রী (Minister), নিজের বাবা কমল গুহকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। শনিবার মন্ত্রী বলেন, ' বাবা একটা লিস্ট করে পাঠাত, সেই লিস্ট অনুযায়ী চাকরি হত।' এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন, রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে, এই বিষয়ে মন্ত্রী ফিরহাদকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, 'ও পাগলের মত কি বলেছে জানা নেই। '
দুজনেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী, একজন পুর দফতরের এবং একজন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী দাবি করলেন, ' আমার বাবাও বাম আমলে চিরকুটে চাকরি দিয়েছেন, আমার সুপারিশেও হয়েছে চাকরি। ' এরপরেই অপর মন্ত্রী অর্থাৎ পুর ও নগর উন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম উদয়নকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'ও একটা পাগল লোক।' পাশাপাশি ফিরহাদ শনিবার বলেন, 'চিরকুটে চাকরি হয় নাকি? অন্তত একটা অ্যাপ্লিকেশন প্রয়োজন।' নিজের দলের মন্ত্রীর বেলাগাম মন্তব্য ঢাকতে, মন্ত্রীকেই পাগল বললেন ফিরহাদ।
এ বিষয়ে বামদের কটাক্ষ, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে গিয়ে ফিরহাদ, কুনাল বাবু-সহ দলের অন্যদের বিপাকে ফেলছেন না তো? শিক্ষায় অবৈধ নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের নাম জড়ানোর পর তৃণমূলেরই সিংহভাগের দাবি ছিল, বাম আমলে চিরকুটে চাকরি হত। তাহলে এত দিন ধরে নিশ্চই দাবি করে এসেছেন তৃণমূল নেতারা।
মনি ভট্টাচার্য: 'বাম আমলে চাকরি ভাগ হত, অনেককে চাকরি (Job) দিয়েছেন আমার বাবা, আমিও অনেকের জন্য সুপারিশ করেছি,' এই মন্তব্য খোদ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী (Minister) উদয়ন গুহের। তাঁর অভিযোগের তীর বাম আমলের নিয়োগের দিকে, উদয়ন গুহ (Udayan guha) সিএন-ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বলেন, 'নিজের দলের ছেলেদের চাকরি দেওয়া দুর্নীতি হলে, আমিও সেই দুর্নীতিতে যুক্ত, বাম আমলে আমিও অনেককে চাকরি দিয়েছি।' যদিও এর পাল্টা উত্তরে সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, 'বাম আমলে যদি ওর বাবা আর উনি চাকরির সুপারিশ করে থাকেন, ভালো তো, তাঁর বাবাকে তো আর পাওয়া যাবে না, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে বলুক, জেলে ঢুকিয়ে বাটাম দিলেই, বলে দেবে কাকে চাকরি দিয়েছে, কে অযোগ্য ছিল।'
উদয়ন গুহ বামেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নিজের বাবাকেও দোষী বলতে ছাড়েননি। শনিবার উদয়নবাবু বলেন, 'বাম আমলে চাকরির জন্য আমিও সুপারিশ করেছি, আমি যখন সুযোগ পেয়েছি, আমিও চাকরি দিয়েছি, এবং সেক্ষেত্রে আমি যাকে চাকরি দিয়েছি, তার থেকে কী যোগ্য প্রার্থী ছিল না!' শনিবার তিনি আরও বলেন, 'যে আমার দল করত, তাকে চাকরি দিয়েছি।' এখন মন্ত্রী হিসেবে আপনি কাউকে সরকারি চাকরি দিয়েছেন? বা সুপারিশ করেছেন? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমি তো মন্ত্রী হিসেবে তিনজনকে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে নিয়েছি, আমি কি অন্য দলের কাউকে অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে নেব? আমার অধিকার আছে ৩ জনকে নেওয়ার তাই নিয়েছি।'
শনিবার, মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, 'বাম আমলে দুজন করে অ্যাটেনডেন্ট নিয়েছে প্রতিটা মন্ত্রী। প্রতি বছর নিয়োগ করেছে, প্রতি বছর ওই দুজন করে পার্মানেন্ট হয়ে গিয়েছে। আবার দুজনকে নিয়েছে, জ্যোতি বাবু করেননি? বুদ্ধবাবু করেন নি? হয়ত বুদ্ধবাবু নাম সাজেস্ট করেননি। কিন্তু বামদের কেউ নাম সাজেস্ট করেছে আর প্রতি বছর অ্যাটেনডেন্ট নিয়োগ করেছে, আর পুরোনো দুজনকে পার্মানেন্ট করেছে।' এবিষয়ে শনিবার সিএন ডিজিটালকে সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষ বলেন, 'অ্যাটেনডেন্ট কোনও সরকারি পদ নয়, বুদ্ধবাবুর অ্যাটেনডেন্ট বামেদের দলের, কেউ হবে না তো কি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভাইপো হবে? উনি ফালতু বকছেন, বুদ্ধবাবুর অ্যাটেনডেন্ট ছিলেন জয়দীপ মুখার্জী, সে এখন গণশক্তির হোলটাইমার।'
শনিবার উদয়ন গুহ আরও বলেন, 'কেউ সাধু নয়, আবারও আমি বলছি, দুর্নীতি মানে ৫ টাকা নিলেও দুর্নীতি, ৫০০০ টাকা নিলেও দুর্নীতি, ৫ লক্ষ টাকা নিলেও দুর্নীতি। আমার হোলটাইমারকে আমি টাকা দিতে পারছি না, দল টাকা দিতে পারছে না, তার বদলে তাঁর বৌকে একটা সরকারি চাকরি পাইয়ে দিলাম সেটাও দুর্নীতি। এসব কংগ্রেস আমলে হয়েছে, বাম আমলে হয়েছে, এখনও হচ্ছে, যদি এটাকে দুর্নীতি বলেন, আপনারা সবাই ভাবের ঘরে চুরি করছেন।' তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূল দীর্ঘদিন ঘরে ক্ষমতায় আসার পরেও বাম আমলে নিয়োগ নিয়ে কেন আদালতে যাচ্ছেন না, কেন তদন্ত করছেন না? এ প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রীমশাই বলেন, 'এটা তো নিয়ম আছে, প্রত্যেক মন্ত্রী, বছরে দুজন-তিনজন করে অ্যাটেনডেন্ট নিয়ে তাদের চাকরি পাকা করে দিয়েছে। তাহলে সেটা যদি অন্যায় না হয় এখন কেন অন্যায় বলা হচ্ছে?'
তিনি আরও বলেন, 'প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ হত কোচবিহার জেলা-সহ গোটা রাজ্যে, সিপিআইএম পেত ৬০ শতাংশ, ফরওয়ার্ড ব্লকের ভাগে যেত ৫ শতাংশ , আর আরএসপি-সিপিআই পেত ৫ শতাংশ, সেখানে মাধ্যমিক পাশ হলেই চাকরি হয়ে যেত। সেখানে কোনও কোয়ালিফিকেশনের ব্যাপার ছিল না!' পরবর্তীকালে পরীক্ষা চালু করল, ৯০ দশকে বামেরা যত পারলো লোক ঢুকিয়ে নিলো, শেষবেলায় এসে সতীত্ব দেখানোর জন্য তারা পরীক্ষা চালু করলো। এভাবেই পূর্বতন বাম জমনাকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি।
চাকরি দেওয়ার নামে, ঘর দেওয়ার নামে যারা টাকা দিয়েছিলেন, আমি তাঁদের বকাবকি করি, প্রশ্ন করি কেন দিয়েছিলেন? যাদের টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের কী ক্ষমতা আছে চাকরি দেওয়ার? এভাবেই রাজ্যের সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Uadayan Guha)। তাঁর (Bengal Minister) মন্তব্য, 'আপনি যদি টাকা ফেরত চান, ওই লোকটার বাড়ির সামনে ধর্নায় বসুন। আমরা আপনাকে সাহায্য করবো। কেউ যদি চাকরির নাম করে অথবা সরকারি কোনও সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা চায় তাহলে ফোন করে আমায় জানাবেন, তার জেল খাটানোর ব্যবস্থা আমরা করব।'
দিনহাটার খেরবাড়ি হাটে একটি পথসভায় এভাবেই বার্তা পাঠান উদয়ন গুহ। উদয়ন গুহ বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, 'উদয়ন গুহ কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত অথবা চাকরি দেওয়ার নাম করে কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। গোটা দিনহাটা জুড়ে কোনও একটা লোক এই ধরনের কথা বলছে খুঁজে পাবেন না।'
স্বাভাবিকভাবে মন্ত্রীর এই বক্তব্যে শোরগোল পড়েছে কোচবিহারে। গত কয়েকদিন ধরেই তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে এই ধরনের কিছু মন্তব্য করছেন। দিন কয়েক আগে এদিন তিনি স্পষ্ট করেছেন, উত্তরবঙ্গ কিছুতেই ভাগ হবে না। বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে। যদিও বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়ের অভিযোগ, 'এটা টাকা তোলার নতুন পদ্ধতি। এই টাকা তোলার সঙ্গে উদয়ন গুহ নিজেই জড়িত। টাকা না দিলে তৃণমূলে টিকিট পাওয়া যায় না, এটা প্রতিষ্ঠিত।'
ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) এসে তিনি বিজেপির (bjp) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তবে তাঁর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষীতে পালটা তোপ দেগেছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি জেলা সভাপতিও।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির দুটি সরকারি কলেজের নতুন ভবন উদ্বোনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন উদয়ন গুহ। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এদের (বিজেপি নেতাদের) W দিয়ে শেষ হয়, আর W দিয়েই শুরু হয়। কোনও কিছুই বাদ রাখেনা। এরা সব পাচারের সঙ্গেই যুক্ত।" উদয়ন আরও বলেন, "নিজেরা এক একজন সাধু পুরুষ সেজে থাকেন। কিন্তু এরা আসলে জয়বাবা ফেলুনাথের মছলি বাবার মতো ভন্ড সাধু। এদের সঙ্গীরা কেউ ইয়াবা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। কারও গাড়ি থেকে আবার অস্ত্র পাওয়া যায়।"
তবে W বলতে ঠিক কি বোঝাতে চেয়েছেন তা এদিন খোলসা করেননি উদয়নবাবু। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে তিনি W অর্থাত্ উইমেন বা মহিলা বোঝাতে চেয়েছেন।
এদিকে এই মন্ত্যবের জবাব দিতে দেরি করেনি জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি নেতৃত্বও। বিজেপি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী এই নিয়ে বলেন, "উদয়নবাবু সরাসরি বলুক না বিজেপি নেতারা কী পাচার করে।" তাঁর আরও কটাক্ষ, "ফরওয়ার্ড ব্লকে থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে "ম" দিয়ে যতরকম গালি আছে সব দিয়েছেন উদয়নবাবু। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় "মা" হয়ে গিয়েছেন।"