সাংসদদের সই নকল করার অভিযোগ উঠেছে আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডার (Raghav Chadha) বিরুদ্ধে। এককথায় স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগেই তাঁকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আর এরপরেই তিনি পরিবর্তন করলেন তাঁর সমাজমাধ্য়মের বায়ো। এর আগে এমনটা দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর Rahul Gandhi) ক্ষেত্রেও। অনির্দিষ্টকালের জন্য সাংসদ পদ খুঁইয়ে বদলে ফেলেছিলেন টুইটার (Twitter Bio) অর্থাৎ 'এক্স'-এর বায়ো। এবারে রাহুলের দেখানো পথেই হাঁটলেন রাঘব চাড্ডাও।
অনির্দিষ্টকালের জন্য রাঘব চাড্ডাকে শুক্রবার সাসপেন্ড করেছেন রাজ্যসভায় চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। এরপরেই রাঘবকে দেখা গিয়েছে, তাঁর সাসপেনশন নিয়ে নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে। একটি ভিডিও বানিয়ে সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন তিনি। সেখানে তিনি প্রথমেই জিজ্ঞাসা করেন, 'কেন আমাকে সাসপেন্ড করা হল? কী অপরাধ আমার?' এছাড়াও তিনি যুক্তি দেন যে, তাঁকে সাসপেন্ড করার কোনও কারণই নেই। আর সাসপেনশনের 'প্রতিবাদ' হিসাবে তিনি তাঁর টুইটারের বায়ো পরিবর্তন করে লিখলেন, 'সাসপেন্ডেড মেম্বার অফ পার্লামেন্ট'। অর্থাৎ 'সাসপেন্ডেড সাংসদ'। উল্লেখ্য, সাংসদ পদ হারানোর পর রাহুল গান্ধী বায়োতে লিখেছিলেন, 'অযোগ্য সাংসদ।' তবে এখন এটাই দেখার, কবে ফের সাংসদ পদ ফিরে পাচ্ছেন রাঘব চাড্ডা।
নাম ও লোগো পরিবর্তন হতে চলেছে টুইটারের (Twitter)। এমনটাই জানিয়েছেন টুইটার কর্ণধার ইলন মাস্ক (Elon Musk)। রবিবার হঠাৎ টুইটারের নাম ও লোগো পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন তিনি। তিনি টুইট করে লিখেছেন, 'আমরা খুব শীঘ্রই টুইটারের ব্র্য়ান্ড ও সমস্ত নীল পাখিকে ধীরে ধীরে বিদায় জানাব।'
গতকাল অর্থাৎ রবিবার থেকেই ইলন মাস্ক তাঁর টুইটারের ডিপিতে একটি এক্স-এর ছবি দিয়ে রেখেছেন। ফলে মনে করা হচ্ছে টুইটারের নাম সম্ভবত হতে চলেছে 'এক্স'। আর লোগোতেও নীল সাদার ছোঁয়া উঠে গিয়ে আসবে কালো সাদা। অর্থাৎ, টুইটার বলতেই যে নীল রংয়ের যে পাখিটির কথা ভাবা হয়, সেটা আর দেখা যাবে না। এছাড়াও ইলন মাস্ক জানিয়েছে, X.com-এ ক্লিক করলেই তা এখন টুইটারের ওয়েবসাইটে নিয়ে চলে যাচ্ছে।
টুইটারের কর্ণধার হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বড় বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইলন মাস্ক। প্রথমে টুইটার থেকে কর্মী ছাঁটাই করেছেন। এরপর ব্লু টিকের সাবস্ক্রিপশন নিয়েও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এরপরে টুইটারের নাম ও লোগো পরিবর্তনের কথাও ঘোষণা করলেন। ফলে এখন এটাই দেখার, সত্যিই কি টুইটারের নাম 'এক্স' হতে চলেছে কিনা।
মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানোর ঘটনার তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে। ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল। এবার ওই ভিডিও সরাতে কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে টুইটার সহ সব সোশ্যাল মিডিয়াকে একটি নোটিস পাঠিয়ে এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ওই ভিডিওটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। সেকারণে টুইটার সহ সব সোশাল মিডিয়া থেকে সরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের ওই সূত্র জানিয়েছে, এই ভিডিওটি আগেই সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল টুইটারের। এবং তা না করে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি আইনও টুইটার ভেঙেছে বলে মনে করছে সরকার। সেকারণে ওই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে পারে কেন্দ্র।
বিনোদন জগতে এখন চর্চার মূল কেন্দ্রে রয়েছে অরিজিৎ সিং-এর (Arijit Singh) গাওয়া গান 'পাসুরি' (Pasoori)। 'পাসুরি' গানটি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানি গান। গানটি গেয়েছিলেন আলি শেট্টি (Ali Sethi) এবং শায় গিল। আর এই গানটিই নাকি ভারত ও পাকিস্তানকে এক করেছে বলে মনে করা হয়। কিন্তু এবারে এই গানের রিমেক করা হয়েছে। আর সেটি গেয়েছেন সবার প্রিয় অরিজিৎ সিং। কিন্তু গান গাওয়ার পরই শুরু হয়েছে সমালোচনা-বিতর্ক। কটূক্তি ছাড়া কিছুই শুনতে পাননি তিনি। ফলে এবারে এই সমালোচনায় অবশেষে মুখ খুললেন অরিজিৎ।
কার্তিক আরিয়ান ও কিয়ারা আদবানীর ছবি 'সত্য প্রেম কি কথা' ছবির গান হিসাবেই পাসুরি গানটির রিমেক করা হয়েছে। আর সেটি গেয়েছেন অরিজিৎ সিং। অরিজিৎ-এর গান সবার পছন্দ হলেও এবারে এই রিমেকটিকে ভারতীয় ও পাকিস্তানি অর্থাৎ দু'দেশের লোকেরাই অপছন্দ করছে ন। একপ্রকার ক্ষিপ্তই হয়ে রয়েছেন দুই দেশের জনতা। এই পরিস্থিতিতে এক টুইটার ব্যবহারকারী অরিজিৎ-কে প্রশ্ন করেন, 'কেন এই গানটি গেয়েছেন?' তখন অরিজিতের থেকে টুইটারেই উত্তর আসে, এই গানের মেকাররা তাঁকে অনাথ শিশুদের স্কুল তৈরির জন্য টাকা দিয়েছে। ফলে তিনি এই গানটি করতে রাজি হয়েছেন।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, অরিজিতের এই উত্তর কোনও ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে আসেনি। একটা আনভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছে। ফলে সত্যিই এমনটা কিছু হয়েছে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।
ডেস্টিনেশন ওয়েডিং (Destination Wedding) শুধুমাত্র শো অফ-এর জন্য, এমনটাই মন্তব্য করতে দেখা গেল বলিউড পরিচালক বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রীকে (Vivek Ranjan Agnihotri)। শনিবার থেকে বলিউড ও রাজনৈতিক মহলে শুধুমাত্র রাঘব চাড্ডা ও পরিণীতি চোপড়ার বাগদান নিয়েই চর্চা। শনিবারই তাঁরা তাঁদের আংটি বদল সেরেছেন। তারই মাঝে এক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, এখনকার বিয়ে শুধুমাত্র ছবি ও ভিডিও তোলার জন্যই করে থাকেন সবাই। ট্যুইটে কারোর নাম উল্লেখ না করলেও নেটিজেনরা মনে করছেন, বিবেক এমন কথা পরিণীতি ও রাঘবের উদ্দেশেই বলেছেন।
“People are getting married just to get wedding photos, videos and to get ‘destination wedding’ tag for show off”.
— Vivek Ranjan Agnihotri (@vivekagnihotri) May 13, 2023
- a wedding planner told me.
It’s true I was in a destination wedding and someone said that the wedding photographer is going to be late and the bride fainted.
শনিবার রাত ৯ টার পর পরিণীতি ও রাঘব তাঁদের ছবি সমাজমাধ্য়মে শেয়ার করার পরেই বিবেক রঞ্জন এক ট্যুইট করে লিখেছেন, 'আমাকে এক ওয়েডিং প্ল্যানার বলেছেন, 'শুধুমাত্র ছবি ও ভিডিও তোলার জন্যই মানুষ এখন বিয়ে করেন ও শো অফ বা দেখনদারির জন্য ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করেন। এটাই সত্যি, কারণ আমিও একবার ডেস্টিনেশন ওয়েডিং-এ গিয়েছিলাম, যেখানে কনেকে বলা হয়েছিল ফটোগ্রাফারের আসতে দেরি হবে। আর তখন সেই কনে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।' নাম না করে কাকে কটাক্ষ করে এমন কথা বলতে চেয়েছেন পরিচালক, তা বিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
যদিও বিবেকের এই ট্যুইটে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। অনেক নেটিজেন পরিচালকের কথায় সমর্থন করেছেন আবার অনেকেই তাঁর কথা 'একেবারেই ভুল' বলে উল্লেখ করেছেন।
এবারে টুইটারে (Twitter) খবর পড়তে গেলেও দিতে হবে টাকা। এমনটাই জানানো হয়েছে টুইটারের তরফে। মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে লেখা ছাড়াও অনেকেই খবর পড়েন। সংবাদমাধ্যমরাও (Media) টুইটারে খবরের লিংক দেওয়ায় সেখান থেকেই টুইটার ব্যবহারকারীরা খবর পড়েন। কিন্তু এবারে এই সুবিধা বিনামূল্যে আর পাবেন না তাঁরা। কারণ এবারে টুইটারে নতুন ফিচার আসতে চলেছে, যেখানে সংবাদমাধ্যমদের তাদের পাঠকদের থেকে খবর পড়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ মূল্য নির্ধারণ করতে পারবে। পরের মাস থেকেই এই ফিচার শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। শনিবার একথা টুইটারের কর্ণধার ইলন মাস্ক (Elon Musk) জানিয়েছেন।
এতদিন টুইটারের এক বিশেষ ফিচার ছিল ব্লু টিক। এখন এই ব্লু টিকের জন্যও প্রতি মাসে দিতে হচ্ছে টাকা। টুইটারের কর্ণধার ইলন মাস্ক হওয়ার পর থেকেই একের পর এক নতুন নিয়ম শুরু করেছে। ব্লু টিকের পর এবারে আনলেন এই নতুন নিয়ম। ইলনের মতে, সংবাদমাধ্যম পাঠকদের থেকে প্রতি খবরে টাকা ধার্য করলে তাতে পাঠক ও সংবাদমাধ্যম দুইয়েরই সুবিধা হবে।
প্রায় কয়েকদিন ধরেই খবরের শিরোনামে অভিনেত্রী ঊর্বশী রাউতেলা (Urvashi Rautela)। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষভ পন্থকে (Rishav Pant) নিয়ে জোর চর্চার কেন্দ্রে ছিলেন ঊর্বশী। এবারে ফের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি। তবে এবার তাঁর নেপথ্যে ঋষভ নয়। জানা গিয়েছে, ঊর্বশী এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন তাঁর নামে 'ভুয়ো' খবর ছড়ানোর জন্য। ঊর্বশীর অভিযোগ, আসন্ন ছবি এজেন্ট-এর অভিনেতা অখিল অক্কিনেনিকে (Akhil Akkineni) নিয়ে মিথ্যা খবর টুইটারে ছড়িয়েছেন সাংবাদিক উমর সান্ধু।
ঊর্বশীর দাবি, উমর সান্ধু টুইটারে খবর ছড়িয়েছেন, ইউরোপে শ্যুটিং চলাকালীন অখিল অক্কিনেনি ঊর্বশীর উপর নির্যাতন করেছেন। শুধু তাই নয়, সাংবাদিক উমর টুইটে আরও জানিয়েছেন, ঊর্বশী অখিলকে ইমম্যাচুয়র বলেছেন ও তাঁর সঙ্গে কাজ করতে নাকি ঊর্বশী অস্বস্তি বোধ করেন। অভিনেত্রীর কথায়, টুইটে লেখা খবরগুলো সবই মিথ্যা, ভুয়ো। সাংবাদিকের এমন কাণ্ডে অস্বস্তিতে পড়েছেন তাঁর পরিবার এমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সাংবাদিকের খবরে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। তাই তিনি বাধ্য হয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর বিরুদ্ধে সাংবাদিককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এই নোটিস সম্পর্কে তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জানিয়েছেন ঊর্বশী। তিনি লিখেছেন, 'মানহানির মামলায় সাংবাদিককে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আপনি আমার মুখপাত্র নন। আর আপনি ইমম্যাচুয়র সাংবাদিক। আপনি আমার পরিবার ও বন্ধুকে এর জন্য বিপাকে ফেলেছেন।'
ট্যুইটার (Twitter) থেকে সরতে শুরু করেছে ব্লু টিক (Blue Tick)। এবারে আর বিনামূল্যে পাওয়া যাবে না এই পরিষেবা। ব্লু টিকের জন্য এবার দিতে হবে মাসে মাসে টাকা, তবেই পাওয়া যাবে একাধিক সুবিধা। এরই মধ্যে দেশের তাবড় তাবড় সেলেব্রিটি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সরে গিয়েছে ব্লু টিক। যা সত্যিই অবাক করার মতো ঘটনা। ২০ এপ্রিল পেরোতেই রাতারাতি দেশের একাধিক নেতা-নেত্রী, অভিনেতারদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লু টিক উধাও যাওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, বি-টাউনের কিং খান ও শেহনশাহের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সরেছে ব্লু টিক। এছাড়াও আলিয়া ভাট, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, অনুষ্কা শর্মা ইত্যাদি অভিনেত্রীদেরও ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট আর ভেরিফাইড নেই। আবার কিছু রাজনীতিবিদদের অ্যাকাউন্ট থেকেও ব্লু টিক সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এইসব নেতাদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অরবিন্দ কেজরীওয়াল,প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রাহুল গান্ধী। অন্যদিকে একই ঘটনা ঘটেছে ক্রিকেটারদের সঙ্গেও। বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার অ্যাকাউন্ট থেতে ব্লুু টিক মুছে ফেলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ট্যুইটারের কর্ণধার ইলন মাস্ক হওয়ার পরেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, ২০ এপ্রিলের পর থেকে ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে ব্লু টিক পেতে হলে টাকা দিতে হবে। অ্যাপ থেকে ট্যুইটার করলে সেক্ষেত্রে ব্লু টিকের জন্য টাকা দিতে হবে প্রতি মাসে ১১ ইউএসডি ও ওয়েবের মাধ্যমে ট্যুইটার ব্যবহার করলে সেক্ষেত্রে ৮ ইউএসডি।
বর্তমান যুগে মানুষের মধ্যে মানবিকতা খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়াও ব্যস্ত কর্মজীবনে চলার পথে আশেপাশের কোনও মানুষের কোনও সমস্যা হলে তা দেখারও সময় নেই কারোর। আবার কেউ কাউকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেও বিভিন্ন চিন্তা-ভাবনা করে থাকেন। তবে এরই এক বিপরীত ঘটনা দেখা গেল সমাজমাধ্যমে।
সম্প্রতি ভাইরাল হচ্ছে একটি ছবি, যেখানে দেখা গিয়েছে, রাস্তায় বসে থাকা এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে ছবি তুলছেন এক ব্যক্তি। তিনি নিজেই এই ছবি ট্যুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, 'একদিন আমি রাস্তার ধারে আম্মাজিকে দেখি। তিনি মটরশুটি বিক্রি করছিলেন। তখন আমি তাঁর কাছ থেকে পুরো মটরশুটিই কিনে নেই কোনও দাম-দর না করেই। কাউকে সাহায্য করে সত্যিই খুব ভালো লাগছে।' এই ব্যক্তির নাম পবন কৌশিক। তবে এই সাহায্য করে ছবি সমাজমাধ্যমে দেওয়া ব্যাপারটিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে নেটিজেনদের থেকে।
One day I met Amma Ji. Sitting on the side of road and selling peas. I decided to purchase all peas without bargaining and asked her to take rest. It’s an amazing feeling to help others. Some acknowledge it and some still question it. @hvgoenka #Motivation #helpinghand pic.twitter.com/iLlgC9WXpc
— Pavan Kaushik (@PavanKaushik3) April 19, 2023
কেউ তাঁকে এই নিয়ে যেমন ট্রোল করেছেন, তেমনি অনেকে আবার তাঁর প্রশংসা করেছেন। কেউ লিখেছেন, 'যদি আপনি ভালো কাজ করেন, তবে তা ক্যামেরাবন্দি করা উচিত নয়।' অন্য একজন তাঁকে কুর্নিশ জানিয়ে লিখেছেন, 'আপনার মতো দয়ালু মানুষ আমাদের আরও দরকার।' অনেকে আবার সেই মহিলাকে সাহায্য় করার জন্য পবনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এবারে টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্কের (Elon Musk) কণ্ঠে আক্ষেপের সুর। তবে কেন? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, ট্যুইটারের (Twitter) কর্ণধার হওয়া 'বেশ কষ্টকর'। যদি ভবিষ্যতে তিনি ট্যুইটারের মালিকানা নেওয়ার জন্য কোনও উপযুক্ত মানুষ খুঁজে পান, তবে তিনি হয়তো এটা বিক্রি করে দেবেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিশ্বজুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি, বিবিসি-তে ইলনের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। আর সেখানেই তিনি এমন মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে ৪৪ ডলার বিলিয়ন দিয়ে ট্যুইটার কিনে নতুন কর্ণধার হয়েছেন ইলন মাস্ক। এরপরেই ট্যুইটারে বদল আনার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এছাড়াও তিনি আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে গণছাঁটাই। হাজার হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এরপর এক ইন্টারভিউতে তিনি বলেছেন, 'ট্যুইটারের মালিক হওয়া একঘেয়ে নয়, এটা একটা রোলারকোস্টারের মতো। তবে বেশ কষ্টকর। গত কয়েকমাসে অত্যধিক চাপে থাকতে হয়েছে।' তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি যদি ট্যুইটারের জন্য কোনও উপযুক্ত ব্যক্তি পান, তবে তিনি ট্যুইটার বিক্রি করতে রাজি। ফলে ভবিষ্যতে ট্যুইটার নিয়ে তিনি কী কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা জানতে বেশ উৎসুক বিশ্ববাসী। উল্লেখ্যে, তাঁর এই সাক্ষাৎকার বুধবার সকাল 'ট্যুইটার স্পেস'-এ লাইভ দেখানো হয়েছিল।
চলন্ত একটি পিকআপ ভ্যানের চাকা খুলে ঢুকে গেল অন্য একটি গাড়ির নিচে। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় (California)। অনুপ খাতরা নামের এক নেটিজেন (Twiter) এই গাড়ি দুর্ঘটনার ভিডিওটি শেয়ার করেন। এক হাইওয়ে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি, যার কারণে তাঁর ড্যাশক্যামে সেই দুর্ঘটনার দৃশ্যটি ধরা পড়েছে।
Witnessed and recorded the most INSANE car crash yesterday, you can see Autopilot also swerve and avoid the rouge tire for me $TSLA pic.twitter.com/csMh2nbRNX
— Anoop (@Anoop_Khatra) March 25, 2023
হাইওয়ে দিয়ে খুব স্পিডে চলছিল একটি পিকআপ ভ্যান। তার পাশের লেন দিয়েই যাচ্ছিল অন্য একটি গাড়ি। পিকআপ ভ্যানটি অনেকটাই সামনে ছিল। অন্য গাড়িটি পিকআপ ভ্যানের পাশে চলে আসতেই হঠাত্ করে পিকআপ ভ্যানটির সামনের বাঁ-দিকের চাকা খুলে ছিটকে বেরিয়ে এসে পাশের গাড়ির নীচে ঢুকে যায়। গাড়ির গতিবেগ খুব বেশি থাকায়, পিকআপ ভ্যানের চাকা নীচে ঢুকে যেতেই, গাড়িটি প্রায় ১০ ফুট উঁচুতে উঠে রাস্তায় উপর আছড়ে পড়ে কয়েকবার পাল্টি খেয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
অনুপ খাতরা বলেন, 'যেভাবে গাড়িটি রাস্তার উপর আছড়ে পড়ল, সেক্ষেত্রে গাড়ি চালকের বেঁচে থাকাটাই অস্বাভাবিক ছিল, কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার গাড়ির চালকের গায়ে কোনো আঁচড় পর্যন্ত লাগেনি।'
'ওয়ার্ক হার্ড, পার্টি হার্ডার' (Work Hard Party Harder), এই কথাটা সচরাচরই শুনতে পাওয়া যায়। তবে এবারে পার্টি করার মধ্যেই এক ভয়ানক কাণ্ড ঘটে গেল বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)। দেখা গিয়েছে, একটি পানশালায় নাচ-গানে মত্ত বেঙ্গালুরুর এক স্টার্টআপ অফিস কর্মীরা, অন্যদিকে নেশা করে মদ্যপ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এক সহকর্মী। তবে তাঁকে দেখার কেউ নেই। সবাই পার্টিতেই মজে। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন এক জনপ্রিয় ইউটিউবার (Youtuber) ক্যালেব ফ্রিসেন (Caleb Friesen)। এই ছবি ট্যুইটারে (Twitter) পোস্ট হতেই নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রশ্ন উঠছে, এতটাই কি পার্টি করতে ব্যস্ত যার জন্য অসুস্থ সহকর্মীকে দেখার সময় বা হুঁশ নেই?
ইউটিউবার ক্যালেব জানিয়েছেন, তিনি দেখেন একটি পানশালায় বেঙ্গালুরুর এক স্টার্টআপ কোম্পানির কিছু কর্মী পার্টি করছেন। অন্যদিকে তাঁদের এক সহকর্মী মদ্যপ অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এমনকী তাঁকে অনেকটাই অসুস্থ দেখাচ্ছিল বলে জানান ক্যালেব। তিনি দেখেন, তিনি একাই পাশে এক জায়গায় শুয়ে আছেন, নিজের বমি নিজে গিলছেন। ফলে তাঁকে গুরুতর অসুস্থই দেখাচ্ছিল। তবুও পাশে নেই কেউ।
এই পরিস্থিতিতে ক্যালেব একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করে ট্যুইট (Tweet) করেছেন। লিখেছেন, 'মনে করিয়ে দেওয়া উচিত সেই সব স্টার্টআপ সংস্থার মালিকদের, যে ওয়ার্ক হার্ড পার্টি হার্ডার মানে এই নয় যে, কারোর জীবনের থেকে পার্টি করাটাই বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়বে।' আবার অন্য একটি ট্যুইটে তিনি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতাদের পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, 'যাঁরা মদ পান করতে পারেন না, তাঁদের জন্য একজন সুপারভাইজার রাখা উচিত, যাতে সবাই নিরাপদে থাকতে পারেন।' তিনি জানিয়েছেন, তিনি এসব ঘটনা পানশালার উপরের ফ্লোর থেকে দেখেছেন ও পরে তাঁকে দেখে নীচে নেমে সাহায্য করতে এসেছিলেন। কিন্তু পরে সেই যুবক নিজেই পাশের একটি শোফায় শুয়ে পড়েন। ক্যালেব জানিয়েছেন, তিনি তাঁর সহকর্মীদের তাঁকে সাহায্য করতে বললেও সহকর্মীরা কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে ব্যঙ্গ করে একজন বলেন, 'সবসময় তাঁকে দেখার জন্য অন্য কাউকে দরকার।'
এই ট্যুইটগুলো ভাইরাল হতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নেটিজেনদের থেকে। কেউ সেই যুবকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তাপ্রকাশ করেছেন, আবার অন্য একজন এই ঘটনায় স্টার্টআপ সংস্থাটির মালিককে দোষারোপ করার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে জানিয়েছেন।
পাঠানের সাফল্য বলিউডের বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী। এরই মধ্যে ট্যুইটারে নির্বাসন উঠেছে কঙ্গনার। তারপর থেকেই ফের চেনা ছন্দে তিনি। একের পর এক বোমা ফাটাচ্ছেন বলিউডের ক্যুইন। যদিও ‘পাঠান’কে গত দশ বছরে সেরা ছবি বলে মতপ্রকাশ করেছেন বলিউডের ‘ক্যুইন’। কিন্তু সেই সঙ্গে বলিউডকে ছেড়ে কথাও বলছেন না তিনি।
‘পাঠান’-এর সাফল্যে খুশি গোটা বলিউড। করণ জোহর থেকে আলিয়া ভাট— সকলের একটাই মত, 'পাঠানের বক্স অফিস সাফল্য ঘৃণার ঊর্ধ্বে উঠে ভালবাসার জয়।' তাঁদের বিরুদ্ধে নাম না নিয়েই সরব হয়েছেন কঙ্গনা। অভিনেত্রী প্রশ্ন তোলেন, কার ঘৃণা আর কার ভালবাসা? যাঁরা দাবি করছেন ‘পাঠান’ ঘৃণাকে হারিয়ে দিয়ে ভালবাসা পেয়েছে, তাঁরা যদি আরও এক বার এই কথা বলেন, তাঁদের রীতিমতো শিক্ষা দেবেন বলেই হঙ্কার কঙ্গনার।
প্রায় দেড় বছরের পর কঙ্গনা রানাউতের ট্যুইটার নির্বাসন (Twitter) উঠলো। এই সোশাল সাইটে ফিরে পেলেন অ্যাকাউন্ট। আর ট্যুইটারে ফিরেই স্বমহিমায় বলিউডের ক্যুইন। এবার পাঠান ক্রেজ নিয়ে সরব কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। ‘পাঠান’ ছবির (Pathan Movie) মুক্তির দিনেই বোমা ফাটালেন তিনি। তাঁর কথায়, 'ইন্ডাস্ট্রি মূর্খদের জায়গা। নোংরামি ছাড়া কিছু হয় না এখানে। যখনই কোনও সৃষ্টি বা রক্ত জল করা প্রয়াস সামনে আসে, আপনার মুখে ছুড়ে দেওয়া হবে অর্থের ঝঙ্কার। সিনেমা কতটা ভাল হল, তা মাপা হবে টাকার অঙ্কে। তা হলে শিল্পের আর দরকার কী? করুণা হয়।'
‘পাঠান’ ভাল, না খারাপ, তা নিয়ে অবশ্য ব্যক্তিগত মতামত জানায়নি কঙ্গনা। ট্যুইটারে ফিরে এসে কঙ্গনা জানান, 'এখানে ফিরে এসে ভাল লাগছে।' ‘ইমার্জেন্সি’-র ছবি প্রসঙ্গে জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী জানান, 'ছবির শুটিং ভাল ভাবে শেষ হয়েছে'।
একাধিকবার বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের জন্য বলিউডে বিতর্কের মুখে পড়েন কঙ্গনা। বারবার টুইটারের কম্যুনিটি নিয়মভঙ্গের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে ২০২১-র মে মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয় অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্ট।
টেসলা (Tesla) কর্ণধার এবং টুইটারের নতুন মালিক এলন মাস্ক (Elon Musk) একের পর এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। সম্প্রতি টুইটার (Twitter) শুরু করেছিল কর্মী ছাঁটাই। গণছাঁটায়ের খবরে বেশ কিছুদিন শিরোনামে ছিলেন মাস্ক। এরপর 'ব্লু টিক' নিয়ে চার্জ প্রদানের সিদ্ধান্ত, যা নিয়ে হৈচৈ পড়েছে নেটদুনিয়ায়। এর মধ্যেই টেসলা নিয়ে প্রকাশ্যে এল বড় খবর। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, টেসলার ১৯.৫ মিলিয়ন শেয়ার বিক্রি করেছেন এলন মাস্ক (Elon Musk)। এই শেয়ার বিক্রি করে এলন মাস্ক পেয়েছেন প্রায় ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা ভারতীয় মুদ্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা।
এর আগে এপ্রিল এবং অগাস্টে টেসলার মোট ১৫.৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি করার পরে, এলন মাস্ক বলেছিলেন যে, আর কোনও বিক্রির পরিকল্পনা নেই। ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অধিগ্রহণ শুরু হয়েছিল ৪ এপ্রিল। যখন মাস্ক ঘোষণা করেছিলেন যে, কোম্পানিতে তার ৯.২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, যা তাঁকে বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার করে তুলেছে। তিনি বলেছিলেন, স্প্যাম অ্যাকাউন্টগুলি পরিষ্কার করার পরিকল্পনা করেছিলেন। টেসলার এই শেয়ার বিক্রির পরেই মাস্কের মোট সম্পত্তির পরিমাণও অনেকটা কমে গিয়েছে। বহু মাস পরে এলন মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ ২০০ বিলিয়ন ডলারের নীচে নেমে গিয়েছে।