হাওড়া (Howrah) ডিভিশনের রসুলপুর ও শক্তিগড় (Saktigarh) স্টেশনে কাজের ফলে ট্রেন (train) বাতিল। একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করেছে পূর্ব রেল (Eastern Railway)। শিয়ালদহ, হাওড়া ও কলকাতা স্টেশন থেকে বেশ কিছু ট্রেন সোমবার থেকে আগামী ১৩-ই সেপ্টম্বর পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। পুজোর মুখে এভাবে ট্রেন বাতিল হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বীরভূমের ব্যবসায়ীদের একাংশ।
পুজোর আগে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বা ব্যবসার কাজে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু মানুষ রিজার্ভেশন করে রেখেছিলেন। কিন্তু এবার সেসব যাত্রীরা সমস্যায় পড়তে পারেন এমনটাই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে বীরভূম লাইনের ময়ূরাক্ষী ট্রেন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সিউরি, দুবরাজপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।
ট্রেন যাত্রীরা জানান, ময়ূরাক্ষী, হূল এই সমস্ত ট্রেন সরাসরি হাওড়ায় পৌঁছয়। কিন্তু এই সমস্ত ট্রেনগুলি বাতিল হওয়া সমস্যা দেখা দিয়েছে। এরপর যা আরও বাড়বে। তবে রবিবার এমন খবর আচমকাই পেয়ে দীর্ঘক্ষণ স্টেশন চত্বরেই কাটাতে হয় বহু যাত্রীদের।
রেল ট্র্যাক মেনটেনেন্সের জন্য শিয়ালদহ-নৈহাটি লাইনে রেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত পূর্ব রেলের। শনিবার রাত ১০টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কাজ চলবে। অর্থাৎ ৩ তারিখ রাত-৪তারিখ সকাল পর্যন্ত ৮ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লক থাকবে। কাকিনারা স্টেশনে ডাউন লাইনে এই ট্রাফিক ব্লক।
ফলে একজোড়া শিয়ালদহ–কল্যাণী সীমান্ত ইএমইউ লোকাল এবং একজোড়া শিয়ালদহ– নৈহাটি ইএমইউ লোকাল রবিবার বাতিল থাকবে। পাশাপাশি নৈহাটি–কল্যাণী সিমান্ত ইএমইউ লোকাল নৈহাটি থেকে ছাড়বে ভোর ৫টা বেজে ১২ মিনিটে। এই ট্রেনের সূচি ভোর ৪টে বেজে ১০ মিনিট।
পাশাপাশি ব্যারাকপুর–নৈহাটি বিভাগের মোট ১৯২টি ইএমইউ-র মধ্যে শুধুমাত্র ৪টি ইএমইউ বাতিল থাকবে৷
বঙ্গবিজেপির (BJP) তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবির বসছে বিলাসবহুল রিসর্ট বৈদিক ভিলেজ (Vedic Village)। প্রশিক্ষণ দিতে আসছেন দিল্লির তাবড় তাবড় বিজেপি নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর গরিব কল্যাণ প্রকল্পের প্রচারের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বিলাসবহুল সেভেন স্টার রিসর্টে। আর সেটা নিয়েই বেদিক ভিলেজের প্রবেশ পথ হাতিশালাতে ঝাড়ু, জুতো-সহ পোস্টার তৃণমূল (TMC) কর্মীদের।
একদিকে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, অপরদিকে লক্ষ্য ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যের ভোট ক্যালেন্ডার মেনে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল। তাই এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন জোরদার করতে তৎপর গেরুয়া শিবির। এ জন্য সোমবার থেকে তিনদিনের প্রশিক্ষণ শিবির হবে রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজে। নিউ টাউন সাপুরজি মোড় হয়ে ভাঙড়ের হাতিশালা, পাকাপোল হয়ে বৈদিক ভিলেজ যাওয়ার মূল রাস্তা। সেই রাস্তার মোড়ে মোড়েই পোষ্টার তৃণমূলের। ২৯ থেকে ৩১ অগাস্ট টানা তিনদিনের এই প্রশিক্ষণ শিবির।
বিজেপির এই প্রশিক্ষণ শিবিরে থাকবেন রাজ্যের দলীয় সব সাংসদ এবং বিধায়করাও। রাজ্যস্তরের নেতারাও থাকবেন। কর্মসূচিতে ক্লাস নেবেন সংগঠনের দায়িত্বে থাকা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ, অমিত মালব্যরা। ক্লাস নেবেন অমিত শাহ ঘনিষ্ঠ রাজ্যের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলও।
জানা গিয়েছে এ জন্য ওই রিসর্টে দেড়শোর বেশি রুম বুক করা হয়েছে। একইসঙ্গে সুইমিং পুল, ক্যাফে, রেস্তোরাঁ বুক করা হয়েছে। তাই বিলাস-বৈভবের এই প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিতে আসা বিজেপি নেতাদের ঝাড়ু হাতে 'স্বাগত' জানাতে তৈরি ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব। এ জন্য বৈদিক ভিলেজের প্রবেশদ্বার নিউটাউন সংলগ্ন ভাঙড়ের হাতিশালায় রীতিমতো মঞ্চ তৈরি হয়েছে। হাতিশালা থেকে গাবতলা রাস্তার দু'পাশে বিজেপির বিরুদ্ধে পোষ্টারে ছয়লাপ।
পোষ্টারে লেখা 'বিজেপির তিন জামাই ইডি, আইটি, সিবিআই।' ১০০ দিনের টাকা-সহ জিএসটির পাওনা টাকা নিয়ে পোষ্টার তৈরি করে রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগিয়ে প্রতিবাদে মুখর ভাঙড়ের তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার সকাল থেকেই হাতিশালা মোড়ে এজন্য সভা করবেন ভাঙড় বিধানসভার তৃণমূল চেয়ারম্যান রেজাউল করিম ও তার অনুগামীরা। এই সভা থেকে যাতে কোন অপ্রতীকর পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য হাতিশালাতে পুলিশ মোতায়েন করবে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা।
এক দশকের পরেও বাকি জ্ঞানেশ্বরী(Gyansehwari rail accident)) রেল দুর্ঘটনার সাক্ষ্য গ্রহণ। মামলাকারীর আইনজীবী জানান, চলতি বছরে মার্চ মাস থেকে নিম্ন আদালতে(lower court) নেই বিচারক। বাকি রয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণও। বন্ধ শুনানি পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। কি অবস্থায় তদন্ত? কি অবস্থায় রয়েছে মামলা? এর প্রেক্ষিতে সিবিআইকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Kolkata Highcourt)।
সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার ১৪৮ জনের মৃত্যু হয় ১৭০ জন আহত হয়। রেল কর্তৃপক্ষ ২৫ কোটি টাকার সম্মুখীন হয়েছে। ইতিমধ্যে ২৪৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। জ্ঞানেশ্বরী মামলায় জামিনের আবেদনে দ্বারস্থ হয় মোট ৫ জন। এরা হলেন মন্টু মাহাত, লক্ষ্মণ মাহাত, সঞ্জয় মাহাত,তপন মাহাত এবং বাবলু রানা। সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। রিপোর্টের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ দিন। উল্লেখ্য এই মামলার বিচার চলছে মেদিনীপুরের অতিরিক্ত দায়রা বিচারকের (আরডি কোর্ট অর্থাৎ রি-ডেজিগনেটেড কোর্ট) আদালতে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৭ মে গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের সরডিহার রাজাবাঁধ এলাকায় লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া থেকে মুম্বইগামী আপ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময়ে ডাউন লাইনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এক্সপ্রেস ট্রেনটির। মৃত্যু হয় জ্ঞানেশ্বরীর ১৪৮ জন যাত্রীর। ১৭০ জন যাত্রী আহত হন। উল্টো দিকের মালগাড়ির চালকও নিহত হন। অভিযোগ, মাওবাদী-মদতপুষ্ট জনসাধারণের কমিটির লোকজন আপ লাইনের প্যানড্রোল ক্লিপ ও ফিসপ্লেট খুলে দেওয়ায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছিল জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস।
প্ল্যাটফর্মে জনাকয়েক মানুষ। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি (Viral Video)দেখে আঁতকে উঠেছেন সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহারকারীরা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের একটি স্টেশনে (Mumbai Station) ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন এক যুবক। নিজের জীবন বাজি রেখে কুকুরকে বাঁচাতে (save a dog) প্ল্যাটফর্মে নেমে পড়েন সেই যুবক। সে সময় ওই লাইনে ঢুকছিল ট্রেন। বাকি যাত্রীদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। সকলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেন। কুকুরটি লাইনের মধ্যে চলে আসে। আর সেসময় প্ল্যাটফর্মে ট্রেন আসার কথা ঘোষণা হয়। তখনই যুবকের চোখে পড়ে কুকুরটিকে। সাত-পাঁচ না ভেবেই লাইনে নেমে পড়েন ওই পশুপ্রেমী। আর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা সকলে তাঁর কাণ্ড দেখে হইচই জুড়ে দেন।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, দূর থেকে ওই যুবকে প্ল্যাটফর্মে নামতে দেখে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন চালক। কুকুরটিকে উদ্ধার করে প্ল্যাটফর্মে তুলে দেন। তারপর নিজে ওঠেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। ওই পশুপ্রেমী যুবকের এমন কাণ্ড দেখে সকলে অবাক হলেও প্রশংসা করছেন নেটাগরিকরা। এবং তাঁর সাহসকে কুর্নিশও জানাচ্ছেন।
স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে রেলমন্ত্রকের (Rail ministry) কাছ থেকে উপহার পেতে চলেছে জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়ি। আগামী ১৫ই আগস্ট থেকে হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে ছেড়ে, জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে শিয়ালদহ পর্যন্ত চলবে দার্জিলিং মেল। সোমবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই খবর জানিয়েছে ভারতীয় রেলমন্ত্রক(Indian Rail Board)। খুশির হাওয়া জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার হলদিবাড়িতে।
এবার থেকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন, নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) হয়ে শিয়ালদহ যাবে দার্জিলিং মেল। এত দিন শিয়ালদহ থেকে দার্জিলিং মেল ছেড়ে এনজেপি পর্যন্ত আসত। এ বার থেকে দার্জিলিং মেল এনজেপির বদলে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে হলদিবাড়ি পর্যন্ত যাবে। এবং দার্জিলিং মেল হলদিবাড়ি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যাবে।
এর আগে দার্জিলিং মেলের দুটি কামরা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে জলপাইগুড়ি হয়ে হলদিবাড়ি স্টেশন পর্যন্ত আসত। বিকেলে ফের সেই দুটি কামরা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে হলদিবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে এনজেপি পর্যন্ত যেত। এরপর সেই দুটি কামরা মূল দার্জিলিং মেলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হত শিয়ালদহ পর্যন্ত যাওয়ার জন্য।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই এই ব্যবস্থা চলছিল। এই দুই এলাকার মানুষের আবেগের সঙ্গে জূড়ে গিয়েছিল দার্জিলিং মেল। অতিমারির সময় সমস্ত ট্রেনের সঙ্গে এই ট্রেনও বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হয়। কিন্তু দার্জিলিং মেলের কোচ দুটি আর চালু হয়নি। ২০১৯ সালের ১২ই ডিসেম্বর উত্তরপূর্ব রেলওয়ের তরফের নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০২০ সালের ১০ই এপ্রিলের পর থেকে স্থায়ীভাবে ওই দুটি কোচ তুলে নেওয়া হবে। তারপর থেকেই জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়িতে বন্ধ হয়ে যায় দার্জিলিং মেলের পরিষেবা। ক্ষোভ দানা বাঁধে মানুষের মধ্যে। ফের দার্জিলিং মেল চালু করার দাবি নিয়ে একাধিকবার আন্দোলন করে বাম, তৃমমূল এবং বিভিন্ন গণ সংগঠন, নাগরিক মঞ্চগুলি। সাধারণ মানুষের দাবি মেনে বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ও একাধিকবার রেল মন্ত্রক এবং রেল দফতরের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেন। তার চেস্টা এতদিনে সফল হল।
৮ই আগস্ট রাতে দিল্লি থেকে সাংসদ জানান, ১৫ই আগস্ট থেকে ফের চালু হতে চলেছে দার্জিলিং মেল। এর থেকেও বড় বিষয় দুটি কোচ নয়, পুরো দার্জিলিং মেলটাই এবার শিয়ালদহ -হলদিবাড়ি আপ-ডাউন করবে। সবগুলি কোচই হবে অত্যাধুনিক এলএইচবি কোচ। স্বাভাবিক ভাবেই এই খবরে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ি এবং হলদিবাড়িতে। সাধারণ মানুষ থেকে নাগরিক মঞ্চ সকলেই স্বাগত জানিয়েছেন রেলের এই উপহারকে।
তবে ট্রেন চালানোর কৃতিত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, সাংসদের ক্রমাগত তদবিরেই ফের দার্জিলিং মেল চালু হয়েছে । অন্যদিকে, তৃণমুলের দাবি, তাদের আন্দোলনের জেরেই এটা সম্ভব হয়েছে। তবে রাজনৈতিক তরজা চলতে থাকুক । সাধারণ মানুষ শুধু পরিষেবা পেয়েই খুশি। তাদের কাছে এটা স্বাধীনতা দিবসের উপহার।
দার্জিলিং মেল চালু হওয়ার খবরে খুশির হাওয়া জলপাইগুড়িতে। এদিন জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে, স্টেশন মাস্টার, রেলকর্মী,টিকিট কাটতে আসা যাত্রীদের মিষ্টিমুখ করান বিজেপি নেতৃত্ব।