
উত্তরবঙ্গে ফের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হাতির। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভিতর ওয়েস্ট রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে একই সঙ্গে মৃত্যু হল তিনটি হাতির। সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী একটি পার্সেল ট্রেনের সামনে আচমকা চলে আসে হাতির দলটি। রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি রেলস্টেশনের মাঝে প্রাণ গেল তাদের।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ির একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় শাবককে সঙ্গে নিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক ও একটি মাঝবয়সী হাতি রেললাইন পারাপার করছিল। মালগাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তিনটি হাতি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল এবং বনদফতর ও রেলের উচ্চ আধিকারিকরা। তিনটি হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ রেল চলাচল ব্যাহত হয়।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এভাবে ট্রেনের ধাক্কায় বারংবার হাতি মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তিত বনদফতর। রেলের তরফে নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগ করে হাতি মৃত্যু আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রেললাইনের পাশে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এটি মূলত এক ধরনের থার্মাল ডিভাইস। রেললাইনের কাছাকাছি কোনও হাতি এলে তার শরীরের তাপমাত্রা সেন্স করবে এই ডিভাইস। তখনই গাড়ির চালক সতর্ক হয়ে যাবেন। হাতি কাছাকাছি থাকলে ৩০ ফুটের মধ্যে এই ডিভাইস কাজ করে। এই ডিভাইসের জন্য নিকটবর্তী স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এক্ষেত্রে কেন মালগাড়ির চালক আগে থেকে বুঝতে পারলেন না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মালগাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কানে হেডফোন লাগিয়ে রেল লাইন পারাপার করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার সকালে ৮:৩০ নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ শিয়ালদাহ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম শর্মিলা প্রামানিক (২৭)৷ চাঁদপাড়ার ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় একটি প্যাথলজি ল্যাবে রক্ত সংগ্রহের কাজ করতেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রক্ত সংগ্রহের কাজে বেরিয়েছিলেন শর্মিলা প্রামানিক। ঠাকুরনগর স্টেশনের ডাউন লাইন ধরে কানে হেডফোন লাগিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। সেই সময় ডাউন লাইনে ট্রেন চলে আসায় আপ লাইনের উপর উঠে পড়ে শর্মিলা প্রামানিক৷ আর তখনই আপ লাইনে আসা কলকাতা খুলনা গামী বন্ধন এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়েন তিনি। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি হেডফোন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, কানে হেডফোন থাকার কারণে অনেক মানুষ চিৎকার করে সচেতন করার চেষ্টা করলেও ওই মহিলা শুনতে পাননি। যার ফলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে বারংবার রেলপাড়ের বাসিন্দা এবং রেল যাত্রীদের সতর্কভাবে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অসচেতনার কারণে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে।
বালিগঞ্জ স্টেশনে ওভারহেডের তার ছিড়ে বিপত্তি। আধঘণ্টার বেশি বন্ধ থাকে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল। যার ফলে সপ্তাহের শেষ দিনে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার অফিসযাত্রীরা।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বজবজ, সোনারপুর, ক্যানিং সহ একাধিক লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। জানা যায়, মালগাড়ির লাইনে ওভারহেডের তার ছিড়েই বিপত্তি। বালিগঞ্জ জংশন দিয়ে সব লাইনের ট্রেন চলাচল করে। তাই আপ ও ডাউনে অনেক ট্রেন আটকে পড়ে। সকাল ৯টা ২৫ মিনিট নাগাদ ফের লাইন চালু হয়।
সাত সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ অফিসযাত্রীরা।
অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরামে দু'টি ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত কমপক্ষে ৫০ জন। এদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে এদিন একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে। ওই লাইনে রেল পরিষেবা কার্যত ব্যহত হয়েছে। কোন ট্রেনগুলি বাতিল হয়েছে, আর কোনগুলির যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে, দেখে নেওয়া যাক...
সোমবার বাতিল ট্রেনগুলি হল
০৮৫২৭ রায়পুর-বিশাখাপত্তনম প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ও ০৮৫২৮ বিশাখাপত্তনম-রায়পুর প্যাসেঞ্জার স্পেশাল।
যাত্রাপথ পরিবর্তন করা হয়েছে যে ট্রেনগুলির
১১০২০ ভুবনেশ্বর-মুম্বই কোনারক এক্সপ্রেস, ১২৭০৩ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনামা এক্সপ্রেস, ১২২৪৫ হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস, ০৩৩৫৭ বারউনি-কোয়েম্বাটুর স্পেশাল
এছাড়া, বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথও সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০৮০৯ সম্বলপুর-হুজুর সাহিব নান্দেদ সুপারফাস্ট ট্রেন। এই ট্রেনটি বিজয়নগরম পর্যন্ত গিয়ে ফের সম্বলপুর ফিরবে। আর ১৭৪৭৯ পুরী-তিরুপতি এক্সপ্রেস বালুগাঁও স্টেশন পর্যন্ত যাবে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে ভিজিয়ানগরামে বিশাখাপত্তনম-পলাশা প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও বিশাখাপত্তনম রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ফলে লাইনচ্যূত হয়ে যায় ৩টি বগি। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল কর্মীদের ‘ভুল’-এই দুর্ঘটনা। লোকো পাইলট সিগন্যাল দেখেননি। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রেলমন্ত্রী। শোকপ্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও।
অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরাম জেলায় দুটি ট্রেনের সংঘর্ষ। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যূত হয়েছে। ঘটনায় মৃত্যু কমপক্ষে ৬ জনের। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে রাত ১০টা নাগাদ জানা গিয়েছিল, ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৮ জন যাত্রী। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১৩। তাঁদের মধ্যে ৭ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। বাকিদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি।
বিশাখাপত্তনম-পলাশা প্যাসেঞ্জার ট্রেন ও বিশাখাপত্তনম রায়গড় প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মধ্যে এই সংঘর্ষটি হয়। ঘটনায় ৩টি বগি লাইনচ্যূত হয়েছে। সাউথ কোস্টের রেলওয়ে জ়োন এমনই জানিয়েছে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রেলের উদ্ধারকারী দল। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডিও রাজ্যের আধিকারিকদের উদ্ধারকাজের নির্দেশ দিয়েছেন।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অন্ধকার থাকায় উদ্ধারকাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সকালে আলো ফুটলে, দ্রুত উদ্ধারকাজ করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রেলমন্ত্রকের তরফে মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা, গুরুতর আহতদের ২ লাখ টাকা ও যাঁদের চোট সামান্য, তাঁদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীও ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। দুর্ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ১২টি ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি, এরই মধ্যে ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident)। বুধবার রাতে বিহারের (Bihar) বক্সারে লাইনচ্যুত হয়ে যায় আনন্দ বিহার-কামাক্ষ্যা নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস ট্রেন। দুর্ঘটনায় অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ও ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার মৃতদের পরিবারের জন্য ৪ লক্ষ টাকা ও আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।
সূত্রের খবর, ১১ অক্টোবর, বুধবার রাত ৯টা ৩৫মিনিট নাগাদ বিহারের বক্সারের রঘুনাথপুর রেল স্টেশনের কাছেই লাইনচ্যুত হয়ে যায় আনন্দ বিহার-কামাক্ষ্যা নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটি। একটির উপর আরেকটি কামরা উঠে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, ট্রেনটির চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে, কিন্তু পরে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির প্রায় প্রতিটি কামরাই ট্র্যাকের উপরে নেই। কিছু কামরা গড়িয়ে পড়েছে রেললাইনের পাশের ট্র্যাকে। আবার কয়েকটি কামরা বেঁকে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ট্রেনের বগির নীচ থেকে চাকা ভেঙে পাশে পড়ে থাকতেও দেখা যায়। উপড়ে গিয়েছে রেললাইনও।
গতকাল রাতে এই ঘটনা হওয়ার পরই দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। গতকাল রাত থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এ দিন সকালে শুরু হয় রেললাইন মেরামতির কাজ। এদিকে, রেল দুর্ঘটনার জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। রুটও বদলে ফেলা হয়েছে। তবে কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটল, তার তদন্ত চলছে। যেভাবে ট্রেনের কামরাগুলো লাইনচ্যুত হয়েছে তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কার করা হচ্ছে।
রেললাইনের উপরে রাখা বড় পাথর। আর কয়েক মুহূর্ত দেরি হলেই ঘটে যেত বড়সড় দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগেই এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। শুক্রবারও এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পিম্পরি-চিনচওয়াদের রেললাইনের উপরেই পড়ে ছিল বড় বড় পাথর ও বোল্ডার। পরে রেল কর্মীর তৎপরতায় এড়ানো যায় দুর্ঘটনা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের আকুরদি এবং চিঞ্চওয়াড় স্টেশনের মাঝে। পুণেগামী একটি ট্রেন আপ লাইনে আসছিল। সেই সময়ই হঠাৎ রেলের গার্ড দেখতে পান যে রেললাইনের উপরে বেশ কিছু বোল্ডার পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চিনচওয়াদের স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন ও নাগেরকোলি-মুম্বই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিনচওয়াদের কাছে থামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেখানে রেলকর্মীরা পৌঁছে যান ও পাথরগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
যদি রেল গার্ড সঠিক সময়ে সতর্ক না করতেন, তাহলে লাইনচ্য়ুত হতে পারত ট্রেনটি। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন ট্রেনযাত্রীরা। রেলসূত্রে খবর, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক ছিল কিনা সে নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই রাজস্থানে জয়পুরগামী বন্দে ভারতের যাওয়ার পথে রেললাইনের উপর পাথর, লোহার রড রেখে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি চালকের নজরে আসতেই আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামানো হয়।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মথুরা রেলওয়ে স্টেশনে (Mathura Rail Station) আচমকা ট্রেন প্ল্যাটফর্মের উপরে উঠে যায়। সেই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এবারে সেই ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিলেন ও কেন এমন ঘটল, তারই ভিডিও প্রকাশ্যে এল। ট্রেনে (Train) থাকা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর ট্রেনের চালককে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ট্রেন চালকের আসনে বসে তাঁকে মোবাইল চালাতেও দেখা গিয়েছে। আর এর পরই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
Mathura Train accident caught on camera pic.twitter.com/gLyvZMlRyT
— Harsh Tyagii (@tyagiih5) September 28, 2023
ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, মথুরার লোকাল ট্রেনটি থামিয়ে বেরিয়ে যান ট্রেন চালক। এর পরই অন্য এক ট্রেন চালক ইঞ্জিন-কেবিনে প্রবেশ করেন। জানা গিয়েছে, তাঁর নাম সচিন। তিনি ইঞ্জিন-কেবিনে ঢুকেই বেপরোয়াভাবে নিজের ব্যাগ ছুড়ে রাখেন। তারপর তিনি চালকের আসনে বসেন এবং মোবাইল ফোন দেখতে থাকেন। এর পর ট্রেনটি হঠাৎ এগোতে শুরু করে। কিন্তু তখনও ফোনে ব্যস্ত ছিলেন চালক। আর এর পরেই প্ল্যাটফর্মের উপর উঠে যায় ট্রেনটি।
রেলওয়ে সূত্রে খবর, লোকো পাইলট-সহ ৫ রেলকর্মী এবং চার টেকনিক্যাল কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মথুরা স্টেশনের ডিরেক্টর সঞ্জীব শ্রীবাস্তব বলেন, ৫ রেলকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং ডিউটির সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ডিভিশনাল রেল ম্যানেজার।
রাতের স্টেশন, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন অনেকে। ট্রেন আসছে, যাচ্ছে। হঠাৎ, দেখা গেল একটা ট্রেন স্টেশনে যাত্রীদের নামিয়ে লাইন ধরে চলতে চলতে সোজা উঠে গেল প্ল্যাটফর্মে। আচমকা এরকম ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। হুলস্থূল পড়ে যায় স্টেশনে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মথুরা রেল স্টেশনে।
জানা গিয়েছে, শকুরবস্তি রেল স্টেশন থেকে মথুরার দিকে আসছিল ট্রেনটি। রেল সূত্রে খবর, ট্রেন স্টেশনে পৌঁছয় ১০.৪৯ মিনিটে। ততক্ষণে ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন সমস্ত যাত্রীরা। তারপরেই হঠাৎ করে ট্রেন প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ে। ট্রেন থেকে সব যাত্রী নেমে যাওয়ায়, হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় স্টেশনে।
মঙ্গলবার দুর্ঘটনার জেরে রেল চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আপ লাইনের ট্রেন চলাচল ব্যহত হয় কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু, কীভাবে, লাইন থেকে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ল, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
কখনও সবজি মান্ডিতে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কখনও মোটর মেকানিকের দোকানে গিয়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে গাড়ি সারাতে বসেছেন, আবার কখনও বাইক নিয়ে লাদাখে গিয়ে সেখানকার জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। হ্যাঁ, কথা বলা হচ্ছে, কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিয়ে। 'ভারত জোড়ো যাত্রা' দিয়ে শুরু, এর পর থেকে তাঁকে একাধিক জায়গায় গিয়ে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে। আর এবারে সরাসরি উঠে পড়লেন ট্রেনের (Train) জেনারেল কামরায়। শুধু ট্রেনে চাপেননি, ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে পাশাপাশি বসে কথাও বলেছেন রাহুল। তাঁর ছবি কংগ্রেসের তরফে শেয়ার করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সূত্রের খবর,দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাহুল গান্ধী বর্তমানে ছত্তিশগড়ে। কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে 'আওয়াস ন্যায় সম্মেলন' উদ্বোধনের পর সোমবার ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর থেকেই বিলাসপুর-ইটওয়ারি ইন্টারসিটি ট্রেনে সওয়ার হয়ে রাজধানী রায়পুর যান রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল-সহ রাজ্য কংগ্রেসের ইন-চার্জ কুমারী সেলজা ও রাজ্য ইউনিট চিফ দীপক বৈজ।
কংগ্রেসের তরফে যে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের জেনারেল কামরায় উঠে পড়েছেন রাহুল। এর পর তাঁকে যাত্রীদের সঙ্গে একই আসনে বসে যেতে দেখা যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে, এমনকি তাঁদের অটোগ্রাফ দিতেও দেখা যায়। আবার ট্রেনের যে কামরায় রাহুল ছিলেন, সেখানে রাজনন্দগাঁওয়ের কয়েকজন মহিলা হকি খেলোয়াড়ও ছিলেন। ফলে তাঁরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন। এককথায় রাহুল গান্ধীকে ফের জনগণের সঙ্গে সাধারণ মানুষের মতো মিশে যেতে দেখা যায়।
হাওড়া থেকে পটনা পর্যন্ত চালু হচ্ছে বন্দেভারত এক্সপ্রেস। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওই ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই ট্রেনে চড়ে পটনা পৌঁছতে সময় লাগবে সাড়ে ৬ ঘণ্টা। চেয়ার কারে হাওড়া থেকে পটনা যেতে ভাড়া পড়বে ১৪৫০ টাকা এবং এগজিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬৭৫ টাকা। অন্যদিকে পটনা থেকে হাওড়া পৌঁছতে চেয়ারকারে খরচ পড়বে ১৫০৫টাকা। এবং এগজিকিউটিভ ক্লাসে ভাড়া ২৭২৫টাকা।
হাওড়া ও পটনা স্টেশনের মাঝে মোট ছটি স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। তার মধ্যে রয়েছে দুর্গাপুর, আসানসোল, জামতাড়া, জসিডি, লাকিসরাই এবং মোকামা। সকাল ৮টায় পটনা থেকে ছেড়ে হাওড়া পৌঁছবে দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে। এবং ফের দুপুর ৩টে ৫০ মিনিটে ছেড়ে বন্দেভারত পটনা পৌঁছবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।
আদিবাসী সম্প্রদায় কুড়মিদের আন্দোলনের জেরে ভোগান্তি হতে পারে নিত্যযাত্রীদের। এই আন্দোলনের জেরে একাধিক রেল বাতিলের ঘোষণা করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অবধি বাতিল থাকবে একাধিক ট্রেন, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল। মঙ্গলবার বাতিল রয়েছে ভাগলপুর–রাঁচি বনাঞ্চল এক্সপ্রেস, এবং গোড্ডা–টাটানগর এক্সপ্রেস। এছাড়াও আরও ৭টি ট্রেন বাতিলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সেগুলি হল - সেকেন্দ্রাবাদ-দ্বারভাঙা এক্সপ্রেস,কাটিহার-টাটানগর এক্সপ্রেস, লোকমান্য তিলক টার্মিনাল-কামাখ্যা এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-রাঁচি এক্সপ্রেস, গোরক্ষপুর-হাতিয়া মৌর্য এক্সপ্রেস, রাজেন্দ্রনগর টার্মিনাল-দুর্গ সাউথ বিহার এক্সপ্রেস, রাক্সৌল-সেকেন্দ্রাবাদ স্পেশাল।
তফশিলি উপজাতি মর্যাদার দাবিতে এর আগেও আন্দোলনে নেমে রেল অবরোধের ডাক দেয় কুড়মি সম্প্রদায়।
ছুটির দিনে ফের ভোগান্তি। সিগন্যাল এবং লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য আজ অর্থাৎ একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল করল রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখা, হাওড়া-ব্যান্ডেল-নৈহাটি শাখা, বর্ধমান-হাওড়া মেন শাখা এবং খানা-গুমনি শাখায় আজ রবিবার বাতিল অনেক ট্রেন। ইতিমধ্যেই সে কথা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে রেল। নিরাপদ ট্রেন চলাচল এবং যাত্রী সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই রক্ষণাবেক্ষণ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে। তাই ট্রেন চলাচল বন্ধ। ছুটির দিন হলেও বহু ট্রেন বাতিলের জেরে ভোগান্তি নিত্যযাত্রীদের।
হাওড়া থেকে: 36825, 36827, 37315, 37915, বর্ধমান থেকে: 36842,36844, ব্যান্ডেল থেকে: 37536, 37538, নৈহাটি থেকে: 37535, 37537, তারকেশ্বর থেকে: 37326, কাটোয়া থেকে: 37924, ডানকুনি থেকে: 32232, 32234, শিয়ালদহ থেকে: 32231, 32233
একইসঙ্গে ঘুরপথে চলছে বেশ কিছু ট্রেন। গতিপথ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের। 12348 ট্রেনটি রামপুরহাট থেকে বিকাল ৪টে ৪০ মিনিটের পরিবর্তে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে ছাড়বে। 13015 হাওড়া – জামালপুর কবিগুরু এক্সপ্রেসের গতিপথ পরিবর্তনের জন্য ১ ঘণ্টা দেরিতে চলতে পারে। 12347 হাওড়া-রামপুরহাট শহিদ এক্সপ্রেসটিও ৪৫ মিনিট দেরিতে চলতে পারে। 13031 হাওড়া-জয়নগর এক্সপ্রেস পথে ৩০ মিনিটের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হবে। 03096 আজিমগঞ্জ-কাটোয়া মেমু স্পেশাল পথে ৩০ মিনিটের জন্য নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাত্রীদের অসুবিধার জন্য ইতিমধ্যেই দুঃখপ্রকাশ করা হয়েছে রেলের তরফে।
বড়সড় বিপদের থেকে রক্ষা পেল শিয়ালদহ শাখার লোকাল ট্রেন। সূত্রের খবর, শনিবার সকালে ডাউন কল্যাণী সীমান্ত-মাঝেরহাট লোকালের একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। যদিও এই দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই রেল সূত্রে খবর।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, সকালে ৩০১২৮ নম্বরের ডাউন কল্যাণী সীমান্ত-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ঢোকার মুখেই একটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এরপর আতঙ্কে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি লেগে যায়। যদিও কারোর কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলে নি। এ বিষয়ে পূর্বরেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, 'একটা ছোট্ট দুর্ঘটনা ঘটেছে। কারোর কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।' যদিও শনিবার ব্যস্ততম সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটায় লোকাল ট্রেন চলাচল কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছে। এই মুহূর্তে ট্রেনটি ৫ নম্বর স্টেশনে দাঁড়িয়ে।
পাওয়ার ব্লকিংয়ের কাজ। রবিবার হাওড়া মেন ও কর্ড লাইনে বাতিল বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন। সেপ্টেম্বরের প্রথম রবিবার, পুজোর মার্কেটিংয়ে বেরিয়ে নাকাল যাত্রীরা।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকেই হাওড়া-বর্ধমান, হাওড়া-ব্যান্ডেল ও হাওড়া নৈহাটি শাখার একাধিক ট্রেন দেরি করে ছেড়েছে। অফিসের চাপ না থাকলেও, ছুটির দিন কলকাতায় মার্কেটিং করতে আসেন অনেকেই। ব্যবসায়ীরাও নিজেদের প্রয়োজনে শহরে আসেন। তাই সংস্কারের জেরে বিপদে পড়েন একাধিক নিত্যযাত্রী।
পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রেললাইন, সিগন্যাল ও ওভারহেড ইলেকট্রিফিকেশনের পর্যায়ক্রমিক কাজ হচ্ছে। ভবিষ্যতে সুষ্ঠু পরিষেবার জন্য এই সংস্কার করা হচ্ছে।