ভোটের আগে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের ট্রেনিং সন্দেশখালি থানায়। জুনিয়ার কনস্টেবল, হোমগার্ড বা সিভিক ভলেন্টিয়ার পোস্টে হবে চাকরি, তাই তার আগে নিতে হবে প্রশিক্ষণ। সন্দেশখালি থানার পক্ষ থেকে এমনই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে।
সেই বার্তা পাওয়ার পরই সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েকশো বেকার যুবক-যুবতী যোগ দেন এই প্রশিক্ষণ শিবিরে। সন্দেশখালি থানার পাশে মিশন মাঠে বিগত ১০ দিন ধরে চলছিল বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ। বসিরহাট জেলা পুলিস থেকে দুজন প্রশিক্ষক এসে এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। ভোটের আগে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সন্দেশখালির বেকার যুবক-যুবতীরা। প্রশিক্ষণ নিলেও সন্দেহ তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালির তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তার কারণ কোথাও কোনও ফর্ম ফিলাপ করা হয়নি। থানা থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও, তাদের কাছ থেকে কোনও নথি সংগ্রহ করা হয়নি। শুধুমাত্র নাম এন্ট্রি করেই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েই চলছিল এই প্রশিক্ষণ।
অভিযোগ, সিএন-এর ক্যামেরা দেখার পরই মুহূর্তের মধ্যেই উধাও প্রশিক্ষক। বাইকে চেপে মাঠ থেকে পালিয়ে গেলেন তিনি। কেন সিএন-এর ক্যামেরা দেখার পরেই পালিয়ে গেলেন ওই প্রশিক্ষক? প্রশ্ন তুললেন প্রশিক্ষণ নিতে আশা যুবক-যুবতীরা। তাদের কথায়, এভাবে উনাকে কোনওদিন পালিয়ে যেতে দেখিনি। এখন আপনাদের দেখে পালিয়ে যাচ্ছে মানেই, আমাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাহলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েই কি আমাদেরকে এভাবে মাঠে ডেকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল?
যদিও চাকরি দেওয়ার নাম করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার বক্তব্যকে খন্ডন করলেন বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার মেহেদী হোসেন রহমান। তিনি বলেন, এরা চাকরির কোন প্রশিক্ষণ নয়। বসিরহাট পুলিস জেলা থেকে কোনও রিকুরমেন্টও হচ্ছে না। ভোটের আগে সন্দেশখালি থানার সিভিক ও কনস্টেবলদের ফিটনেস ঠিক করার জন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে কিছু গ্রামের মানুষ যোগ দিয়েছেন। এটা একটা ভুল প্রচার হচ্ছে।
কিন্তু আজকে যখন, সিএন-এর প্রতিনিধি মিশন মাঠে পৌঁছয়, তখন কোনও থানার সিভিক বা কনস্টেবলকে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়নি। প্রশিক্ষণ নিতে আসা যুবক-যুবতীরা কেউ সন্দেশখালি থানার সিভিক বা কনস্টেবল পদে চাকরিও করেন না। বিগত দশদিন তাদের কি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে? তাহলে পুলিস সুপারের কাছেও কি তথ্য সঠিক নেই? ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে বলেই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার।
দমদম জংশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর ৫-এর ব্যালাস্টলেস ট্র্যাকের মজবুতীকরণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দরুণ আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে ৭ মে পর্যন্ত ট্রাফিক ব্লক করা হয়েছে। রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যার জন্য মোট ৪৮০ ঘণ্টা ট্রাফিক ব্লকের প্রয়োজন হবে। তার জন্য আগামী ২০ দিন বেশ কয়েকটি ট্রেনের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দেখে নিন কোন কোন ট্রেন রয়েছে বাতিলের তালকায়-
৩০৩৫১ ও ৩০৩১৩ মাঝেরহাট-বারাসত
৩৩১১ বারাসত-হাসনাবাদ
৩০৩২২ হাসনাবাদ-বিবাদী বাগ
৩০১৪৫ বিবাদী বাগ-কৃষ্ণনগর সিটি জংশন
৩০৩৫৭ মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম
৩০৩৫৮ মধ্যমগ্রাম-মাঝেরহাট
৩০৩৬১ মাঝেরহাট-হাসনাবাদ
৩৩২৮২ হাসনাবাদ-দমদম জংশন
৩৩২৩১ দমদম জংশন-ব্যারাকপুর
৩৩২৩২ ব্যারাকপুর-দমদম জংশন
৩৩২৭১ দমদম জংশন-গোবরডাঙ্গা
৩৩৬৮৬ গোবরডাঙ্গা-শিয়ালদহ
৩০৩৩৩ মাঝেরহাট-হাবরা
৩০৩৩২ হাবরা-মাঝেরহাট
৩০৩৫৩ মাঝেরহাট-দত্তপুকুর
৩০৩১৪ দত্তপুকুর- মাঝেরহাট
৩৩৪৩৫ শিয়ালদহ-বারাসত
৩১২২৩ শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর
৩০১১৬ ব্যারাকপুর-বিবাদী বাগ
৩০১১৩ বিবাদী বাগ-ব্যারাকপুর
৩১২৪২ ব্যারাকপুর- শিয়ালদহ
৩০৩১২ বারাসত-মাঝেরহাট
আর যে যে ট্রেনগুলির যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি হল-
৩০৩৪৬ বনগাঁ জংশন-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্টেই যাত্রা শেষ করবে। ৩০৩৪৪ বনগাঁ জংশন-মাঝেরহাট এবং ৩০৩২৪ হাসনাবাদ-মাঝেরহাট লোকাল বারাসতে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শেষ করবে। ৩০১৪২ গেদে-মাঝেরহাট লোকাল যাবে রানাঘাট পর্যন্তই। ৩০৭১১ লক্ষ্মীকান্তপুর-মাঝেরহাট লোকাল বালিগঞ্জ অবধিই চলবে।
অন্যদিকে ৩০৩৩১ মাঝেরহাট-হাবরা লোকাল বারাসত থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু করবে। ৩০৩১১ মাঝেরহাট-বারাসত লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু করবে। কর্ড লাইন হয়ে চলবে এই ট্রেনগুলি ৩০৩১৭ মাঝেরহাট-দত্তপুকুর লোকাল বালিগঞ্জ থেকে সংক্ষিপ্ত যাত্রা শুরু করবে ও পথ পরিবর্তন করে আপ কর্ড লাইন হয়ে চলবে।
দমদম জংশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ব্যালাস্টিন ট্র্যাকে রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ১৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত ট্রাফিক ব্লকের ঘোষণা পূর্ব রেলের। মাঝেরহাট-বারাসত, হাসনাবাদ-বিবাদি বাগ, বারাসাত-হাসনাবাদ, মাঝেরহাট-মধ্যমগ্রাম, দমদম-ব্যারাকপুর, গোবরডাঙ্গা-শিয়ালদহ, ব্যারাকপুর-বিবাদি বাগ সেকশনের কিছু ট্রেন বাতিল থাকবে। মূলত, পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে যে ট্রেন চলে, সেগুলো বাতিল ঘোষণা পূর্ব রেলের। এছাড়া একটি বনগা-মাঝেরহাট লোকাল দমদম ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত যাত্রা করবে, জানালেন পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র।
তিন সপ্তাহের এই ট্রাফিক ব্লকে অসুবিধার মুখে পড়বেন নিত্যযাত্রীরা। স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা সিপিআরও-র। তবে, বৈশাখের দাবদাহে দীর্ঘ ২১ দিনের এই পাওয়ার ব্লকে অফিস যাত্রীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
আগামী ২৫ মার্চ, সোমবার দেশজুড়ে হোলি বা দোলযাত্রা। গোটা ভারতের মানুষ মেতে উঠবেন রঙের উৎসবে। আর পূর্ব রেল সূত্রে খবর এই দোলযাত্রা উপলক্ষ্যেই বাতিল একাধিক ট্রেন। সোমবার মেন লাইন, হাওড়া শাখা, সার্কুলার রেল, সিসিআর লাইন, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বাতিল থাকছে ট্রেন।
এর মধ্যে শিয়ালদহ মেন লাইনে যে সমস্ত ট্রেন বাতিল হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে শিয়ালদহ - বর্ধমান, শিয়ালদহ-রানাঘাট, রানাঘাট-গেদে, শিয়ালদহ-গেদে, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, নৈহাটি-রানাঘাট, শিয়ালদহ-শান্তিপুর, রানাঘাট-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-ব্যারাকপুর এবং শিয়ালদহ- নৈহাটি রুটের ট্রেন।
এছাড়াও দোলের দিন সোমবার, বনগাঁ শাখার যে সব ট্রেন বাতিল, তার মধ্যে রয়েছে বারাসাত-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-বারাসাত, শিয়ালদহ-হাবড়া, শিয়ালদহ-বনগাঁ জংশন , শিয়ালদহ-দমদম ক্যান্ট, শিয়ালদহ-মধ্যমগ্রাম, শিয়ালদহ-দত্তপুকুর, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ, বারাসাত-হাসনাবাদ। এমনকি সোমবার বাতিল থাকছে ব্যারাকপুর-মাঝেরহাট, হাসনাবাদ-মাঝেরহাট, শিয়ালদহ- বারুইপুর, শিয়ালদহ-বজবজ ছাড়াও একাধিক শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেন।
দোলের দিন অর্থাৎ সোমবার বাতিল থাকছে হাওড়া ডিভিশনেও একাধিক ট্রেন। তার মধ্যে রয়েছে হাওড়া-বর্ধমান, হাওড়া- তারকেশ্বর, হাওড়া - শ্রীরামপুর ছাড়াও একাধিক ট্রেন। দোল উৎসবের কথা মাথায় রেখেই রেল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত, এমনটাই পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
শনিবারের মতো রবিবারেও একইভাবে রেল বিভ্রাট শিয়ালদহ উত্তর শাখায়। দমদমে নন ইন্টারলকিং-এর কাজের জেরে শনিবার থেকে বাতিল করা হয়েছে ১৪৩ টি লোকাল ট্রেন। এদিন সকাল থেকে বিপর্যস্ত শিয়ালদহ-বনগাঁ, শিয়ালদহ-হাসনাবাদ ও শিয়ালদহ ডানকুনি শাখার ট্রেন চলাচল। এরফলে গন্তব্য পৌছঁতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নিত্য় যাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের। রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে আসা যাত্রীরা তো বটেই ভোগান্তির শিকার বাংলাদেশ থেকেও কাজের সূত্রে কলকাতায় আসা বহু যাত্রী।
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, ট্রেনের লাইনে প্রযুক্তিগত কাজের জন্য থমকে গিয়েছে ট্রেন পরিষেবা, বাতিল একাধিক ট্রেন। এই পরিস্থিতি তৈরির আগেই কেন যাত্রীদের বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হল না? রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন যাত্রীরা। পরপর সব ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। শিয়ালদহ মেন লাইন মোটের উপর স্বাভাবিক। বনগাঁ, ডানকুনি, হাসনাবাদ, এসব শাখার ট্রেনগুলি দমদম ক্যান্ট অবধি যাচ্ছে। শিয়ালদহ যেতে পারছে না।
হাতে গোনা কয়েকটি ট্রেন রয়েছে যাত্রীদের জন্য। যে ট্রেন গুলিরও নেই নির্দিষ্ট সময়ের বালাই। বাধ্য হয়ে অনেকেই ঘুরপথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন।ফলে ট্রেনে যেমন ভীড় বাড়ছে। তেমনই নিত্যযাত্রীদের ভীড় বেড়েছে অন্যান্য গাড়িতেও। তবে পূর্ব রেল সূত্রে খবর, আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার জন্য দমদম জংশনে ৫২ ঘণ্টার নন ইন্টারলকিং-র কাজ। ১৬ মার্চ শনিবার রাত ১২টা থেকে ১৮ মার্চ সোমবার ভোর ৪ টে পর্যন্ত এই কাজ চলবে। সোমবারের পর থেকেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে শিয়ালদহ উত্তর শাখার ট্রেন পরিষেবা , সেই আশাতেই রয়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
সপ্তাহের শেষ দিনে চরম রেল বিভ্রাট। শনিবার সকাল থেকেই ব্য়হত শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল ট্রেন। এছাড়াও বাতিল হয়েছে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় একাধিক ট্রেন। এর ফলে স্টেশন গুলোতে পর পর দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেন। রেল বিভ্রাটে চরম হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে নিত্য় যাত্রীদের।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থার জন্য দমদম জংশনে ৫২ ঘণ্টার নন ইন্টারলকিং কাজের প্রয়োজন। সেই কারণে আজ, শনিবার রাত বারোটা থেকে এই কাজ শুরু হবে। এরফলে এদিন ও রবিবার প্রায় ১৪৩ টি লোকাল ট্রেল বাতিল করা হয়েছে। সোমবার ভোর ৪ টের পর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে। বেশকিছু ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তন ও বেশ কিছু ট্রেনকে ঘুর পথে চালানো হবে এমনটাই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য়, যে ট্রেনগুলি বাতিল হয়নি সেগুলিও দেড়িতে চলায় এবং যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ায় চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রী সহ সাধারণ মানুষকে। এরই মধ্যে শনিবার রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের চাকরির পরীক্ষা ছিল। ফলে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন পরীক্ষার্থীরাও।
সাতসকালে আসানসোল-হাওড়াগামী ট্রেনের ব্রেক সু থেকে হঠাৎ আগুন। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখায় বেলমুড়ি স্টেশনের অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় নিত্য়যাত্রীদের।
জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আসানসোল থেকে হাওড়া যাওয়ার সময় হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখায় বেলমুড়ি স্টেশনে আচমকাই ১২৩৪২ অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে ব্রেক সু থেকে আগুন বের হয়। আগুনের ফুলকি দেখা মাত্রই ট্রেন চালক ট্রেনটিকে দাঁড় করিয়ে দেয়। তারপর কুড়ি মিনিট মতন বেলমুড়ি রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস। এরপর তড়িঘড়ি শুরু হয় রেললাইন মেরামতির কাজ। কিছুক্ষণের মধ্য়ে ব্রেক সু ঠিক করার পর ফের হাওড়ার অভিমুখে রওনা দেয় বলেই স্টেশন সুপারেন্টেন্ড জানান।
রবিবার ছুটির দিনেও ট্রেনের সমস্য়। নরেন্দ্রপুরে রেল স্টেশনের কাছে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে বিপত্তি। ব্যাহত হয় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েন নিত্য়যাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি শুরু হয় ট্রেন মেরামতির কাজ।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে ৮:৪৫ মিনিট নাগাদ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার নরেন্দ্রপুর স্টেশনে ওভারহেডের তার ছিঁড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ট্রেন চলাচল। তারপর টাওয়ার ভ্য়ান এসে প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে মেরামতির কাজ। তারপর আবার ১০ টা ৪৫ নাগাদ শুরু হয়ে ট্রেন চলাচল।
খামারগাছি রেলের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ ব্যান্ডেল কাটোয়া শাখায় ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল। আপ লাইনেও অনিয়মিত ট্রেন। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে ডাউন কাটোয়া-হাওড়া ও কাটোয়া-ব্যান্ডেল লোকাল। ৩৭৯১২ ডাউন হাওড়া লোকাল ৫.১৪ মিনিটে জিরাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা হলেও ৮.০০ টার পরেও জিরাট স্টেশন ছাড়েনি।
এরপর থেকে তিন জোড়া ট্রেন পরপর দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্টেশনে। জিরাটের স্টেশন মাস্টার জানান, ডাউন লাইন বন্ধ থাকার জন্য সকালের দিকে কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন আপ লাইন দিয়ে চালানো হয়েছে।ভোররাতে প্যান্টো ভাঙার জেরে এই বিপত্তি। পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। ডাউন ট্রেন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পরেন নিত্য যাত্রীরা। তারা অপেক্ষা করছেন কখন ট্রেন চলবে। সকালের ট্রেনে কাটোয়া থেকে শেওড়াফুলি হাটে সবজি নিয়ে যান চাষীরা সেই সবজি পরে রয়েছে ট্রেনে। পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন কুন্তিঘাটে প্যান্টো ভেঙে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।সারানোর কাজ চলছে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ফের বিপত্তি। এবার ট্রেনের একাধিক কামরার পাদানি ভাঙা অবস্থায় দেখা গেল। তার জেরেই প্রায় এক ঘণ্টা পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের ভেদিয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে রইল আপ হাওড়া-নিউজলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। যাত্রীদের পোহাতে হল দুর্ভোগ। পরে রেলের তৎপরতায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তা মেরামত করা হয় এবং তারপর ট্রেনটি ছাড়ে।
কীভাবে এই পাদানি ভাঙল, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, কোনওভাবে প্লাটফর্মের সঙ্গে ধাক্কা লাগার কারণেই একাধিক কামরার এই পাদানি ভেঙে যায়। আর এর জেরেই সকাল ৭.৩৫ মিনিটে ভেদিয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় সুপারফাস্ট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ঘটনার পরই রেলকর্মীদের মধ্যে তৎপরতা শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে মেরামতির কাজ। সকাল ৮.৩৭ মিনিট নাগাদ আবার ট্রেন ছাড়ে।
তবে এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এখনও পর্যন্ত রেলের উচ্চ পদস্থ কর্তাদের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ রামভূমি থেকে মোদী উদ্বোধন করলেন মালদহ- বেঙ্গালুরু অমৃত ভারত এক্সপ্রেস। এই ট্রেনের অপেক্ষায় ছিল উত্তরবঙ্গবাসী। ৩০ নভেম্বর বেলা ১২টা নাগাদ উদ্বোধন করলেন নমো। এদিন অযোধ্যা ধাম স্টেশনের ফেজ ১ উদ্বোধনের পাশাপাশি, মোট ৮টি নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৮টি ট্রেনের মধ্যে ২ টি হল বহুল প্রতীক্ষিত অমৃত ভারত এক্সপ্রেস ও ৬ টি হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
#WATCH | Ayodhya, Uttar Pradesh: PM Narendra Modi flags off two new Amrit Bharat trains and six new Vande Bharat Trains. pic.twitter.com/Q1aDQc8wG7
— ANI (@ANI) December 30, 2023
আজ অর্থাৎ শনিবার রামরাজ্য অযোধ্যায় পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই সবুজ পতাকা উড়িয়ে একইসঙ্গে একাধিক ট্রেনের শুভ সূচনা করলেন তিনি। ২ টি অমৃত ভারত ট্রেনের মধ্যে একটি ট্রেন ছুটবে দ্বারভাঙা- অযোধ্যা- দিল্লি (আনন্দ বিহার টার্মিনাল)-এর মধ্যে। অন্যদিকে দ্বিতীয় অমৃত ভারত ট্রেনটি ছুটবে মালদা টাউন- বেঙ্গালুরু (স্যার এম. বিশ্বেশ্বরাইয়া টার্মিনাল)-এর মধ্যে। অর্থাৎ দেশের প্রথম দুটি অমৃত ভারত এক্সপ্রেসের মধ্যে একটি পাচ্ছে বাংলা। এই অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে রয়েছে একাধিক সুবিধা। নিরাপত্তার জন্য প্রথমত পুরো ট্রেনের কামরা মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। তবে এই ট্রেনের ভাড়া বন্দে ভারতের থেকে তুলনামূলকভাবে কম ও যেতেও কম সময় লাগে। বর্তমানে এই ট্রেনরে এসি কামরা না থাকলেও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে জানিয়েছেন, এই ট্রেন দুটি জেনারেল ও স্লিপার কোচ সম্বন্বিত হলেও, শীঘ্রই আসন্ন অমৃত ভারত এক্সপ্রেসে থাকবে এসি কোচও।
এদিন অমৃত ভারত ছাড়াও ৬টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৬ টি ট্রেনের রুট হিসেবে রয়েছে, শ্রীমাতা বৈষ্ণো দেবী কাটরা- নয়াদিল্লি, কোয়েম্বাটুর-বেঙ্গালুরু, জালনা-মুম্বই, অযোধ্যাধাম জংশন-দিল্লি (আনন্দ বিহার টার্মিনাল), ম্যাঙ্গালুরু-মাদগাঁও, অমৃতসর-দিল্লি। এতদিন দেশজুড়ে মোট ৩৪টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পরিষেবায় যুক্ত ছিল, শনিবার থেকে সেই সংখ্যা বেড়ে হল ৪০।
সাতসকালে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল বিকানের-হাওড়া এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার সকালে আসানসোলের কাছে চলন্ত ট্রেনের উপর হেলে পড়ে বিদ্যুতের একটি খুঁটি। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি ব্রেক কষেন ট্রেনের চালক। ট্রেনের এক যাত্রী জানান, আসানসোল স্টেশন ছাড়িয়ে ট্রেনটি একটু এগোতেই বিকট শব্দ করে সেটি দাঁড়িয়ে পড়ে।
আসানসোলের ডিপো পাড়া এলাকায় রেল সাইডিং-এর কাছে ঘটে এই ঘটনা। জানা গিয়েছে, ২১১ বাই ২ নম্বর ইলেকট্রিক পোলটি আচমকাই হেলে পড়ে। খবর পেয়ে রেলের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ট্রেনটি আবার হাওড়ার দিকে রওনা হয়।
গত জুন মাসের ২ তারিখে ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে বাহানাগা বাজার স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িকে সজোরে ধাক্কা মেরেছিল করমন্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরে করমন্ডল এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ট্র্যাকের ওপর গিয়ে পড়েছিল। এরপর উল্টো দিক থেকে আসা যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস সেই বগিগুলোতেই ধাক্কা মারে। এর জেরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। সেই ঘটনায় তিন শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। জখম হয়েছিলেন বহু মানুষ।
সেই ঘটনার স্মৃতি মানুষের মনে এখনও টাটকা। মঙ্গলবারের ঘটনায় সেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি আবার ফিরে এল ট্রেন যাত্রীদের মনে।
উত্তরবঙ্গে ফের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হাতির। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভিতর ওয়েস্ট রাজাভাতখাওয়া রেঞ্জে একই সঙ্গে মৃত্যু হল তিনটি হাতির। সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়িগামী একটি পার্সেল ট্রেনের সামনে আচমকা চলে আসে হাতির দলটি। রাজাভাতখাওয়া ও কালচিনি রেলস্টেশনের মাঝে প্রাণ গেল তাদের।
সোমবার সকালে আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ির একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। সেই সময় শাবককে সঙ্গে নিয়ে একটি পূর্ণবয়স্ক ও একটি মাঝবয়সী হাতি রেললাইন পারাপার করছিল। মালগাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তিনটি হাতি। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন রেল এবং বনদফতর ও রেলের উচ্চ আধিকারিকরা। তিনটি হাতির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ রেল চলাচল ব্যাহত হয়।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস। এভাবে ট্রেনের ধাক্কায় বারংবার হাতি মৃত্যুর ঘটনায় চিন্তিত বনদফতর। রেলের তরফে নয়া প্রযুক্তি প্রয়োগ করে হাতি মৃত্যু আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রেললাইনের পাশে ইনট্রুশন ডিটেকশন সিস্টেম লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। এটি মূলত এক ধরনের থার্মাল ডিভাইস। রেললাইনের কাছাকাছি কোনও হাতি এলে তার শরীরের তাপমাত্রা সেন্স করবে এই ডিভাইস। তখনই গাড়ির চালক সতর্ক হয়ে যাবেন। হাতি কাছাকাছি থাকলে ৩০ ফুটের মধ্যে এই ডিভাইস কাজ করে। এই ডিভাইসের জন্য নিকটবর্তী স্টেশনে অ্যালার্ম বেজে উঠবে। এক্ষেত্রে কেন মালগাড়ির চালক আগে থেকে বুঝতে পারলেন না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মালগাড়ির চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কানে হেডফোন লাগিয়ে রেল লাইন পারাপার করতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক মহিলার। বৃহস্পতিবার সকালে ৮:৩০ নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বনগাঁ শিয়ালদাহ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম শর্মিলা প্রামানিক (২৭)৷ চাঁদপাড়ার ঢাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় একটি প্যাথলজি ল্যাবে রক্ত সংগ্রহের কাজ করতেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে রক্ত সংগ্রহের কাজে বেরিয়েছিলেন শর্মিলা প্রামানিক। ঠাকুরনগর স্টেশনের ডাউন লাইন ধরে কানে হেডফোন লাগিয়ে হাঁটছিলেন তিনি। সেই সময় ডাউন লাইনে ট্রেন চলে আসায় আপ লাইনের উপর উঠে পড়ে শর্মিলা প্রামানিক৷ আর তখনই আপ লাইনে আসা কলকাতা খুলনা গামী বন্ধন এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে পড়েন তিনি। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় একটি হেডফোন।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, কানে হেডফোন থাকার কারণে অনেক মানুষ চিৎকার করে সচেতন করার চেষ্টা করলেও ওই মহিলা শুনতে পাননি। যার ফলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে বারংবার রেলপাড়ের বাসিন্দা এবং রেল যাত্রীদের সতর্কভাবে যাতায়াত করতে বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অসচেতনার কারণে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে।
বালিগঞ্জ স্টেশনে ওভারহেডের তার ছিড়ে বিপত্তি। আধঘণ্টার বেশি বন্ধ থাকে শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল। যার ফলে সপ্তাহের শেষ দিনে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার অফিসযাত্রীরা।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ বজবজ, সোনারপুর, ক্যানিং সহ একাধিক লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। জানা যায়, মালগাড়ির লাইনে ওভারহেডের তার ছিড়েই বিপত্তি। বালিগঞ্জ জংশন দিয়ে সব লাইনের ট্রেন চলাচল করে। তাই আপ ও ডাউনে অনেক ট্রেন আটকে পড়ে। সকাল ৯টা ২৫ মিনিট নাগাদ ফের লাইন চালু হয়।
সাত সকালে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ক্ষুব্ধ অফিসযাত্রীরা।