টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ভিনরাজ্যে নাবালিকা পাচারের অভিযোগ এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় গ্রেফতার ছয় অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ড ঘোলা মুসলমানপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, টাকার লোভ দেখিয়ে দুই নাবালিকাকে ভিনরাজ্য়ে পাচার করা হচ্ছিল। এলাকাবাসীরা জানতে পেরে ঘোলা থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু পাচার হওয়া ওই দুজন নাবালিকা লুকিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে বাড়ির লোকেদের ফোন করে। এরপর স্থানীয়রা পাটনা থেকে ওই দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
এরপর নাবালিকারা জানায় যে, তাঁদের এলাকারই কিছু মানুষ পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সন্দেহবশত ছয়জন পাচারকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। খবর দেওয়া হয় ঘোলা থানার বিশাল পুলিসকে। পাচারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
কুয়াশার দাপট বাড়তেই মালদহে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচারকারীরা। রবিবার বামনগোলার পাকুয়ার গাঙ্গুরিয়া গ্রামে দুই বাংলাদেশীকে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হলেন মহম্মদ আব্বাস আলি এবং মহম্মদ সাহেব। সোমবার ওই ধৃত দুই বাংলাদেশিকে মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা বাংলাদেশের দুয়ারপুর ও কমলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তারা বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ধৃতেরা গরু পাচারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তাই এদিন গ্রামবাসীরা সন্দেহজনকভাবে তাদের দেখতে পেয়ে আটক করে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। তারপর পুলিস তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়।
পাচারের আগেই ২০৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার ২ যুবক। ২০৪ গ্রাম ব্রাউন সুগারের বাজার মূল্য় পাঁচ লক্ষ টাকা। পুলিস সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল মহম্মদ আসলাম ও মহম্মদ আজাহার। নকশালবাড়ির তোতারাম জোতের বাসিন্দা। সোমবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
জানা গিয়েছে, নকশালবাড়ির লালপুল সংলগ্ন এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নকশালবাড়ি থানার পুলিস একটি স্কুটি আটক করে। এরপর ওই দুই যুবককে তল্লাশি চালিয়ে ২০৪ গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধার করেছে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাদের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছেন, গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এই সাফল্য। আদালতে তোলার পর ধৃতদের পুলিসি হেফাজতে এনে গোটা ঘটনার তদন্তে নামবে পুলিস। তবে এই মাদকদ্রব্য় কোথা থেকে এল এবং কাকে এই মাদক দিতে যাচ্ছিল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
এ যেন ঠিক মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। একদিকে নদী ভাঙনে জেরবার এলাকার মানুষ। অন্যদিকে দিনের আলোতেই দেদারে চলছে নদীর পাড়ের বালি লুঠ। নিজেদের সর্বনাশ চোখের সামনে দেখেও যেন কিছু করতে পারছেন না জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ডুডুয়া নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
অভিযোগ, ভাঙনের জেরে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি গ্রাস করেছে ডুডুয়া নদী। পাশাপাশি প্রকাশ্য দিবালোকে বালি মাফিয়ারা একের পর এক ট্রাক্টরে করে বালি পাচার করে চলেছে। কিন্তু প্রতিবাদ করবে কে? বালি মাফিয়াদের ভয়ে মুখে একপ্রকার কুলুপ এঁটেছেন এলাকাবাসী। সবকিছু দেখেও নীরব প্রশাসন। ক্ষোভ এলাকাবাসীর।
এইভাবে বালি পাচারের ফলে ধ্বংস হচ্ছে প্রকৃতি। ক্ষতি হচ্ছে চাষের জমির। কিন্তু প্রশাসনের হুঁশ ফিরছে কই? নদী ভাঙন রোধের জন্য স্থানীয়রা দাবি করেছিলেন বাঁধের। সেই বাঁধই বা হল কই? বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস শাসক শিবিরের। পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপি।
কখনও ভুটান সীমান্ত লাগোয়া চামুর্চি নদী তো কখনও ধূপগুড়ির নেপালি বস্তির একাধিক নদী থেকে চলছে অবাধে বালি পাচার। কিছুই কি দেখেছে না প্রশাসন? নাকি প্রশাসনের মদতেই চলছে বেআইনি কাজ?
বেআইনিভাবে কচ্ছপ পাচার করার সময় বনদফতরের হাতে ধরা পড়ল কচ্ছপ সহ দুই পাচারকারী। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ২৫০ টি কচ্ছপ। জানা গিয়েছে, চার ক্যারেট কচ্ছপ বনগাঁ থেকে নিয়ে আসার সময় স্বরূপনগর থানার দুর্গাপুর এলাকায় হাতেনাতে ধরে ফেলন বনদফতরের আধিকারিকরা।
বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান শুরু করে বনদফতরের আধিকারিকরা। এরপর বনদফতর স্বরূপনগর থানার দুর্গাপুর এলাকা থেকে চার ক্যারেট কচ্ছপ সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপগুলোকে বনদফতরে পাঠানো হয়।
তবে এতগুলো কচ্ছপ একসঙ্গে কোথা থেকে আনা হচ্ছিল এবং কোথায় পাচারের উদ্দেশ্য়ে যাচ্ছিল তা জানতে তদন্তে নেমেছে পুলিস।
কলকাতা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে অন্যতম ইএম বাইপাস। সেই ইএম বাইপাসে দীর্ঘক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, বাইপাসের দক্ষিণ অংশে শনিবার ছ'ঘণ্টা যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
উল্লেখ্য, একাধিক রুট ডাইভারশনের কথা জানিয়ে অ্যাডভাইজারি প্রকাশ করল কলকাতা ট্রাফিক পুলিস। আজ শনিবার রাত ১০ টা থেকে রবিবার ভোর ৪ টে পর্যন্ত ইএম বাইপাসের দক্ষিণ অংশে উভয় দিকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পাটুলির কাছে ঘোষপাড়ায় ৪৫ মিটার লম্বা ফুটওভার ব্রিজ বসানোর জন্যই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই কাজের দায়িত্বে রয়েছে সিএমডিএ।
সিএমডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুট ওভারব্রিজ বসানোর জন্য ঘোষপাড়ার কাছে ক্রেন ও অন্যান্য মেশিন আনা হবে। সেই কারণে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বদল আনা হবে। যান চলাচলের জন্য একাধিক রুট ডাইভারশনও করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কোন পথে চলবে যানবাহন:-
•দক্ষিণ থেকে রুবি হাসপাতালের দিকে যাওয়া ভারী যানবাহন গুলিকে পাটুলি মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ভারী যানবাহন গুলিকে বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি কানেক্টর, রাজা এসসি মল্লিক রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর হয়ে সুলেখা মোড় দিয়ে পুনরায় বাইপাসে পৌঁছতে হবে।
•দক্ষিণ থেকে রুবিমোড়গামী ছোট গাড়িগুলোকে বা যানবাহন গুলোকে বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলি কানেক্টর হয়ে পাটুলি আই ব্লক রোডে যেতে হবে। সেখান থেকে মোল্লা রোড ধরে তারা পুনরায় বাইপাসের দিকে যেতে পারবে।
•উত্তর থেকে গড়িয়াগামী ভারী যানবাহন গুলিকে অভিষিক্তা মোড় থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ভারী যানবাহনগুলি অভিষিক্তা মোড় থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ কানেক্টর হয়ে রাজা এসসি মল্লিক রোড ও বৈষ্ণবঘাটা-পাটুলি কানেক্টর হয়ে ফের বাইপাসে উঠতে পারবে।
উত্তর থেকে গড়িয়াগামী ছোট গাড়িগুলিকে পিয়ারলেস হাসপাতালের সামনের কাটআউট দিয়ে ঘুরে পঞ্চসায়র রোড, ঢালাই ব্রিজ ও গড়িয়া স্টেশন রোড হয়ে ফের বাইপাসে উঠতে পারবে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা ট্রাফিক পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কয়েক বছর ধরে ঘোষপাড়া অঞ্চলে যাতায়াত করার সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং সেই দুর্ঘটনা রেকর্ড দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা ঘটার প্রতিরোধ করার জন্য ফুটওভার ব্রিজ বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। তবুও এখনও বীরভূমে গরু পাচার চক্র সক্রিয়। যদিও পাচারের আগেই ২০১ টি গরু বাজেয়াপ্ত করল বীরভূম নলহাটি থানার পুলিস। এখনও পর্যন্ত কোনও গরু পাচারকারীকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। রবিবার রাতে বীরভূমের নলহাটি থানার শালবুনী গ্রামের রাস্তা থেকে গরু গুলিকে আটক করা হয়। পুলিস সূত্রে খবর, ঝাড়খন্ড থেকে ২০১ টি গরু এরাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছিল। সেই সময় পুলিস গরুগুলি আটক করে। আটক করা গরুগুলির কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় সেগুলিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
শুধু নলহাটি নয়। রামপুরহাটে প্রায় একশো ও মারগ্রাম কুড়িটি গরু আটক করা হয়েছে। নলহাটি, রামপুরহাট ও মোড়গ্রাম মিলিয়ে মোট চারশোর বেশি গরু আটক করেছে পুলিস। যদিও এই গরুগুলি শুধুমাত্র পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হত না। এই গরুগুলোকে ব্যবসার জন্য এক হাট থেকে আর এক হাটে নিয়ে বিক্রি করা হত বলে জানায় এই সব গরুর মালিকদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ধার দেনা করে এই গরুর ব্যবসা করে দুটো আয় হয়।কিন্তু বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও কেন পুলিস এই গরুগুলো আটক করল তা জানে না এই সব ব্যবসায়ীরা। যদিও নলহাটি থানার পুলিস গরু পাচার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে দাবি।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় নিষিদ্ধ ফেনসিডাইল পাচার করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে জখম এক বাংলাদেশি। আহত ওই বাংলাদেশি পাচারকারীর নাম জহিরুল ইসলাম। বাড়ি বাংলাদেশর ঠাকুরগাঁও জেলার গেরওয়াডাঙ্গী এলাকায়।
বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোরে গোয়ালপোখরের নরগাঁও বিওপির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় কিছু বাংলাদেশি ফেনসিডিল পাচারের চেষ্টা করছিল। তখন বিএসএফ জওয়ানরা ওই বাংলাদেশি পাচারকারীদের আটকানোর চেষ্টা করলে পাচারকারীরা উল্টে বিএসএফ জওয়ানদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়। সেই সময় আত্মরক্ষা করতে গিয়ে বিএসএফ জওয়ানরা পাল্টা গুলি চালালে পাচারকারীদের মধ্যে এক বাংলাদেশি গুলিতে জখম হয়।
পাশাপাশি পাচারকারীদের হামলায় এক বিএসএফ জওয়ানও আহত হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে। জখম অবস্থায় ওই বাংলাদেশি পাচারকারীকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করে। তবে কোথা থেকে নিষিদ্ধ ফেনসিডাইলগুলি আনা হয়েছিল এবং কোথায় পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিএসএফ।
পাচারের আগে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কয়লা উদ্ধার হল দুবরাজপুরে। দুবরাজপুর থানার পুলিস শনিবার দু'জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪টে গরুর গাড়ি ও ১৪ টা মোটরবাইক আটক করে। আর সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৮ টন ২৮ কুইন্টাল অবৈধ কয়লা।
জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়নপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর এলাকা থেকে অবৈধ কয়লা বোঝাই ৪ টে গরুর গাড়ি ও ৫ টে মোটরবাইক আটক করে পুলিস। ৪টে গরু গাড়িতে মোট ৮ টন অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছিল। অন্যদিকে ৫ টা মোটরবাইকে ১০ কুইন্টাল অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছিল। পাশাপাশি, দুবরাজপুরের যশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্তোর মোড় থেকে ৯ টা মোটরবাইক আটক করে। এই মোটর বাইক গুলিতে প্রায় ১৮ কুইন্টাল অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছিল। পুলিসকে দেখেই গরুর গাড়ি ও মোটরবাইক ফেলে পালিয়ে যায় অবৈধ কয়লা পাচারকারীরা। খয়রাসোলের দিক থেকে এই অবৈধ কয়লা নিয়ে পাচার করছিল বলে পুলিসের প্রাথমিক অনুমান।
আবারও পাচারের আগে অবৈধ কয়লাবোঝাই গাড়ি আটক করল বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পুলিস। ঘটনায় গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। শনিবার ধৃতকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়।
পুলিস জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে পুলিস। এরপর দুবরাজপুর থানার পুলিস লক্ষ্মীনারায়ণপুর-রামপুর রাস্তায় একটা ছোট হাতি গাড়ি ও তিনটে মোষের গাড়ি আটক করে। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ছোট হাতি গাড়ি ও তিনটে মোষের গাড়ি থেকে প্রায় ১০ টন অবৈধ কয়লা উদ্ধার করে পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে পাচারকারী সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিস। আর বাকি যারা ছিল তারা পুলিস দেখামাত্রই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
রাতের অন্ধকারে গাড়িতে করে অবৈধ কয়লা পাচার হচ্ছিল বলে অনুমান পুলিসের। যদিও পাচারের আগেই সমস্ত ছক বানচাল করে দেয় পুলিস। তবে এই পাচারের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিদের এখনও পর্যন্ত কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজের পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে মৃতদেহ পাচারের অভিযোগ ওঠে। বৃহস্পতিবার সেই দেহ পাচারের অভিযোগে হাসপাতালের তিন কর্মচারী সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, বর্ধমান মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগ থেকে দেহ পাচারের ঘটনায় যুক্ত আরামবাগ মেডিকেল কলেজের কর্মী প্রদীপ মল্লিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, পাচারের ঘটনায় ধৃত অবিনাশ মল্লিক, গৌতম ডোম ও নন্দলাল ডোমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই চক্রের মূল মাথার খোঁজে বিভিন্ন জেলায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছিল, শবগাড়ির গোপন ড্রয়ারে করা মৃতদেহ পাচার কার হত। আর এই দেহ পাচারের জন্য ভুয়ো কাগজপত্র সব বানানোর পিছনে হাসপাতালের কর্মীরা যুক্ত রয়েছে।
ইতিমধ্যে মেডিকেল কলেজের এনাটমি ও ফরেনসিক ডিপার্টমেন্টের একাধিক সিনিয়র প্রফেসরদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর। মেডিকেল কলেজ সূত্রে আরও জানা গিছে, এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা দেখার জন্য এনাটমি বিভাগের রেজিস্টার ও সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের প্রবেশ ও বাহির পথে সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে মৃতদেহ পাচারের অভিযোগ। বুধবার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে মেডিকেল কলেজের ৩ কর্মী সহ মোট ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে বর্ধমান থানার পুলিস। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্য়পক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেডিকেল কলেজ চত্বরে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে শববাহি গাড়িতে করে একাধিক দেহ পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়। সেই সঙ্গে নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতায় মৃতদেহ সহ গাড়িটিকেও হাতেনাতে ধরা হয়। এরপর খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিস যায় মেডিকেল কলেজে।
মেডিকেল কলেজ সূত্রে খবর, মৃতদেহ পাচার করা হচ্ছে এমন খবর জানতে পেরে তৎপর হন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এমনকি মৃতদেহ পাচারের উদ্দেশ্য়ে যাওয়া শববাহি গাড়িটিকে আটক করে পুলিসকে বিষয়টি জানানো হয়। অনুমতি ছাড়ায় মেডিকেল কলেজের পুলিস মর্গ থেকে মৃতদেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক।
যদিও এই মৃতদেহ পাচারের ঘটনায় যথাযথ প্রমাণ না পাওয়ায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে কে বা কারা এই মৃতদেহ পাচারের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কিংবা এর পিছনে বড় কোন পাচারচক্র রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
সিবিআই, ইডি, আয়কর দফতরের পর এবার সক্রিয় এনআইএ। মানব পাচার চক্রের সন্ধানে বুধবার ভোররাত থেকে একযোগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালাচ্ছে এনআইএ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বারাসত থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রায় ১২ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বারাসতের ব্যবসায়ী সঞ্জীব দে-কে। আবার ঠাকুরনগর থেকেও ১ ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নবপল্লী রমেশ পল্লীর বাসিন্দা সঞ্জীব দে। অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন এবং হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগে মঙ্গলবার মধ্যে রাতেই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় এনআই-এর দুটি টিম। গতকাল রাত থেকে সকাল অবধি তল্লাশি চলে ব্যবসায়ীর বাড়িতে। এনআইএ সূত্রে খবর, তাঁর বাড়ি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বাড়ি থেকে অদূরেই ওই ব্যক্তির অফিস ছিল। অপরদিকে, পাচার চক্রের আড়ালে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী কার্যকলাপের সন্ধানে ঠাকুরনগর আনন্দপাড়া এলাকাতে হানা দেয় গোয়েন্দাদের একটি বিশেষ টিম। ভোর রাত থেকে বুধবার সকাল প্রায় ১১ টা পর্যন্ত অভিযুক্তের বাড়িতে থাকে দলটি৷ একজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তের নাম বিকাশ সরকার৷ জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত বাংলাদেশ থেকে এসে প্রথমে মধ্যমগ্রামে একটি মোবাইলের দোকান দিয়ে রিপেয়ারিং-এর কাজ করতেন। পরিচিত একজনের মারফত বনগাঁর ঠাকুরনগরে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
সূত্রের খবর, সীমান্ত পার করে পাচার চক্রের কাজ চালাতেন। এই চক্রের মাধ্যমে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর সীমান্ত পার করে নিয়ে আসা হতো বলে এমনটাই অনুমান গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকদের। বিকাশ সরকারের স্ত্রী ঝর্ণা সরকার জানিয়েছেন। ৪-৫ মাস আগে তিনি চিকিৎসা করতে ভারতে এসেছেন৷ বর্তমানে তিনি এই বাড়িতেই রয়েছেন স্বামীর সঙ্গে৷ বাংলাদেশের যশোরের বাসিন্দা তাঁরা।
মানব পাচার তদন্তে নেমে এদিন ঠাকুরনগর, বারাসতের পাশাপাশি হাবরা বানিপুর হীরাপোল এলাকায় এক যুবকের বাড়িতে যায় এনআইএ- এর একটি বিশেষ টিম।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর তিনটে নাগাদ চারটে গাড়ি করে এনআইএর একটি দল আসে। সেসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ফিরে যায় আধিকারিকরা। যুবকের নাম কিঙ্কর দাস। যুবক স্থানীয় একটি গেঞ্জির কারখানায় কাজ করতেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশে রয়েছে পারিবারিক কাজে। এনআইএ সূত্রে খবর, আগামী মঙ্গলবার কলকাতা এনআইএ অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে কিঙ্করকে।
আবারও বড়সড় সাফল্য পেল বিধাননগর থানার পুলিস। অসম ও বাংলাদেশে পাচারের আগে উদ্ধার গবাদি পশু।পাচারের আগেই দুটি ট্রাক আটক করে ৮৪ টি গরু সহ দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা হল আব্দুল মাসুম (২৩)। ও অশোক ঠাকুর(৪৩)। মঙ্গলবার ধৃত দুই ট্রাক চালককে শিলিগুড়ি মহাকুমা আদালতে পাঠানো হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে। এরপর শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগর থানার পুলিস মুরালিগঞ্জ চেকপোস্টের সামনে নাকা চেকিং করার সময় সন্দেহজনক দুটি ট্রাকে আটক করে। ট্রাক দুটিকে তল্লাশি করার পর ট্রাকের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে গরু। একটি ট্রাকে ৩৯ টি এবং অপর গাড়ি থেকে ৪৫ টি গরু উদ্ধার হয়। মোট ৮৪ টি উদ্ধার করা হয়েছে ট্রাক থেকে।
এরপর চালকের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দুটি ট্রাক চালককেই গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে একটি গাড়ি অসম এবং অপর গাড়িটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পাচারের আগেই সমস্ত ছক বানচাল করে দিল পুলিস। এই ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা তদন্ত শুরু করেছে বিধান নগর থানার পুলিস।
অবৈধভাবে নদীপাড়ের মাটি কেটে চলছে রমরমে ইটভাটা। পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার কৃষ্ণদেবপুর পঞ্চায়েতের ভাগীরথীর তীরবর্তী এলাকায় মাটি পাচারের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে নৌকা করে দিনে দুপুরে চলছে মাটি কাটার কাজ। ভাগীরথীর জল একটু কমতেই নদীর পাড়ের মাটি অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এক একটি ট্রলারে করে এই মাটি বিক্রি করে প্রায় ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা লাভ হয় বলে অনুমান। আর এই মাটি কাটার ফলে নদী ভাঙ্গন বাড়ছে এবং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকাবাসীদের জমি। কিন্তু মাটি মাফিয়ারা এতটাই সক্রিয় যে ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতেও ভয় স্থানীয়রা।
পাশাপাশি ভাগীরথী তীরবর্তী এলাকায় গড়ে উঠেছে সাত-আটটি ইটভাটা। প্রশ্ন উঠছে নদীপাড়ে ইটভাটার লাইসেন্স পেল কিভাবে এই ইটভাটার মালিকেরা। তাছাড়াও ইটভাটা মালিকদের কি বৈধ লাইসেন্স আছে? যদিও লাইসেন্স পেয়েও থাকে তা কিভাবে পেল?
এই ইটভাটা গুলো মূলত ভাগীরথীর মাটি দিয়ে ইট তৈরি করে বলে অভিযোগ। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে আগামী দিনে নদী ভাঙ্গন ক্রমশ বাড়তে থাকবে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাটি বিক্রির টাকা দুটো থানায় টাকা দিতে হয়, মাসোয়ারা আছে কালনা থানা ও শান্তিপুর থানায়। তাই পুলিস অভিযুক্তদের ধরপাকড় করে না।