ফের জোড়া বাঘের দর্শন মিলল সুন্দরবনে। শীত (winter) শুরু হতে না হতেই সুন্দরবনে (Sundarbans) ঢল নেমেছে পর্যটকদের। এরই মধ্যে সোমবার সাতসকালে জোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger) দর্শনে খুশী পর্যটকরাও। জানা যায়, কলকাতা থেকে সুন্দরবন এসেছেন একদল পর্যটক। সোমবার সকালে জঙ্গল ভ্রমণে বের হন তাঁরা। আর এরপরই পিরখালির জঙ্গলে জোড়া দক্ষিণরায়ের দর্শন পান তাঁরা। দর্শন পাওয়া মাত্রই যেন ভ্রমণ সফল বলে মনে করছেন পর্যটকরা।
প্রসঙ্গত, গত বেশ কিছুদিন ধরে মাঝে মধ্যেই সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘ দর্শন চলছে পর্যটকদের। কখনও একটি বাঘ, কখনও দুটি বা তিনটি বাঘের দর্শনও পেয়েছেন তাঁরা। এবার আবার জোড়া বাঘের দর্শন পেলেন এই পর্যটক দলটি। আর সেই বাঘের ছবি নিজেদের মোবাইল ক্যামেরাবন্দি করলেন উৎসাহী পর্যটকরা।
স্থানীয়রা জানান, আগে বাঘের সংখ্যা কমে গিয়েছিল। তবে বর্তমানে যেভাবে বাঘের দেখা মিলছে তাতে করে ফের সেই সংখ্যা পূরণ হচ্ছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। তাঁরা আশাবাদী আগামীদিনে আরও পর্যটকদের ঢল নামবে সুন্দরবনে।
শীত (winter) শুরু হতে না হতেই সুন্দরবনের (Sundarbans) জঙ্গলে দেখা মিলল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger)। শুক্রবার কলকাতা থেকে এক দল পর্যটক সুন্দরবন বেড়াতে আসেন। সেখানে যাদবপুর (Jadavpur) থেকে বেড়াতে আসেন ১৭ জনের দল। ভ্রমনে বেড়িয়েই দেখা মেলে জলজ্যান্ত দুটি রয়েল বেঙ্গলের। যেই দেখা সেই তার ছবি ক্যামেরাবন্দি করেন পর্যটকরা। গত বছর শীতের মরশুমে একাধিকবার জঙ্গলে দক্ষিণরায়ের দেখা মিলেছিল। শীতের আমেজ আসতে না আসতেই আবারও রয়েল বেঙ্গল দর্শনে পর্যটকরা খুশি। তবে এবার বাড়তি পাওনা জোড়া বাঘের। নদীর চড়ে দুই বাঘের লড়াই। প্রায় ২ মিনিটের সেই ছবিই ক্যামেরাবন্দি হয়।
অন্যদিকে, কুমিরাতঙ্ক গ্রাস করেছে নদিয়াবাসীদের। নদিয়ার নাকাশিপাড়া কাশিয়াডাঙায় রাস্তার উপর একটি প্রকাণ্ড কুমির দেখে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, বলা যায় বেশ কয়েক মাস ধরেই একটি কুমিরকে দেখা যাচ্ছে এই এলাকায়। এর আগে ধুবুলিয়ায় তারপরে চরকুর্মীর ঘাটে। দিন ৫-৬ আগে একটি কুমির দেখা যায় আবার ভাগীরথীর তীরে। কিন্তু এরপর শনিবার ফের স্থানীয়রা কাশিয়াডাঙ্গা জল প্রকল্পের কাছে রাস্তার উপরে কুমিরটিকে দেখতে পেয়ে আত্মরক্ষার জন্য সকলে মিলে বেঁধে ফেলে। খবর যায় বন দফতরের কাছে। এরপর বনদফতরের কর্মীরা গিয়ে কুমিরটিকে উদ্ধার করে।
জোর জুলুম করে চাঁদার অভিযোগ তুললেন টুরিস্ট ভেহিকেলের (Tourist vehicle) চালকরা। তাঁদের অভিযোগের তীর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহর সংলগ্ন ডেঙ্গুয়াঝাড় এলাকার একটি মহিলা সমিতি পরিচালিত দুর্গাপুজো (DurgaPuja) কমিটির বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ থানায় মৌখিকভাবে জানালেও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা চালকদের বিরুদ্ধে অভব্যতার অভিযোগ তুলেছেন পুজো কমিটির সদস্যরা।
ওই মহিলা সমিতি এই প্রথমবার পুজোর আয়োজন করেছে। জানা গিয়েছে, বুধবার লাটাগুড়ির সাতটি টুরিস্ট ভেহিকল পর্যটকদের নামিয়ে দিতে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে যাচ্ছিল। সেই সময় ওই পুজো কমিটির সদস্যরা রাস্তায় গাড়িগুলি থামিয়ে চাঁদা চায়। গাড়ির চালকরা জানান, তাঁরা ফিরে যাওয়ার সময় চাঁদা দেবেন। এরপর ফেরার সময় ফের ছয়টি গাড়ি আটকানো হয়।
পুজো কমিটির তরফে প্রতিটি গাড়ির চালকের কাছে ১০০টাকা করে চাঁদা চাওয়া হয়। অর্থাৎ ছয়টির গাড়ির জন্য ছয়শো টাকা দাবি করা হয়। চালকরা জানান তাঁরা ২০-৩০টাকা গাড়ি পিছু দিতে পারে। এই নিয়ে বচসা শুরু হয়।
অভিযোগ সেই সময়, কমিটির কিছু সদস্য তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করে এবং চাঁদা না দিলে গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপর চালকরা দাবি মত ছয়শো টাকা দিয়ে রেহাই পান বলে দাবি করেছেন। চালকরা সেখান থেকে বেরিয়ে সোজা কোতোয়ালি থানায় চলে যান। থানায় কর্তব্যরত অফিসারকে সব ঘটনা মৌখিকভাবে জানান তাঁরা। পুলিশের তরফে তাদের বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেওয়া হলে তাঁরা চলে যান।
এদিকে ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করছেন পুজো কমিটির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, চালকরা যা দিতে চেয়েছিলেন, সেই মত ছয়টি গাড়ি থেকে মাত্র দুশো টাকা নেওয়া হয়েছে। কোনো জলুম করা হয়নি। বরং ওই চালকরা মহিলাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন পুজো কমিটির এক মহিলা সদস্যা। এদিকে, ওই পুজো কমিটির পুজো করার আদৌ প্রশাসনিক অনুমতি রয়েছে কি না তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
হিমাচলের (Himachal) কুলুতে (kullu) ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Accident)। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর্যটক বোঝাই একটি গাড়ি খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ৭ জন পর্যটকের মৃত্যু (Death) হয়েছে। একই সঙ্গে এই ঘটনায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। কুলুর বাঞ্জার উপত্যকা এলাকায় রবিবার রাত সাটে আটটা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় আহত ১০ জনের মধ্যে ৫ জনকে কুলুর জোনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকি ৫ জনকে বাঞ্জাররে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, রাতে খারাপ আবহাওয়ার কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে উদ্ধার অভিযান। আহতদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ শেষ হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৫ জন পুরুষ এবং ২ জন মহিলা। যাত্রীদের মধ্যে তিনজন আইআইটি বারানসীর ছাত্র বলে প্রাথমিক তদন্তে জানিয়েছে পুলিস।
কুলুর পুলিস সুপার গুরদেব সিং জানিয়েছেন, রবিবার রাতে কুলু জেলার বাঞ্জার উপত্যকার ঘিয়াগি এলাকায় একটি টেম্পো ট্রাভেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় নিহত পর্যটকদের বাড়ি রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি ও হরিয়ানাতে। তবে, কারও নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। অন্ধকারের মধ্যেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে ১০ জনকে প্রাণে বাঁচানোর জন্য পুলিস ও প্রশাসন ও স্থানীয় মানুষজনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক সুরেন্দর সৌরি।
কোভিড (covid19) অতিমারী প্রতিবেশী বন্ধু দুই রাষ্ট্রের টুইন টাউনকে (Twin Town) একে অপরের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল দীর্ঘ আড়াই বছর। কোভিড থেকে নিজের দেশকে সুরক্ষিত রাখতে এই পন্থাই অবলম্বন করেছিল ভুটান (Bhutan)। আড়াই বছর বন্ধ থাকার পর শুক্রবার থেকে অবশেষে খুলে গেল জয়ঁগার ভুটান গেট। শুক্রবার সকালে ভুটান গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে জয়ঁগা ভুটান গেটের সামনে অজস্র মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘদিন পর আগের মতোই ভুটানে প্রবেশের জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় জমান।
এদিন ভুটান গেট খোলার সময় উপস্থিত ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে সিরিং। তিনি জানান, "দীর্ঘ করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে ভুটান গেট খুলতে পেরে আমরা খুশি। আমাদের দেশে ৯৪ শতাংশ মানুষের কোভিড ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে।"
প্রসঙ্গত, আড়াই বছর ভুটান গেট বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে ভারতীয় শহর জয়ঁগাকে। একসময় যে শহরে যানজট লেগে থাকত, ভুটান গেট বন্ধ থাকার সময় জয়ঁগা-এর শূন্য রাস্তায় নিশ্চিন্তে গরু চড়তেও দেখা গেছে। বহু ব্যবসায়ী এই শহর ছেড়ে ব্যবসা গুটিয়ে পাড়ি দিয়েছেন অন্য কোনও শহরে। তবে এবার সকলের আশা আজ থেকে ভুটান গেট খুলে যাবার পর আবার আগের রূপেই ফিরবে আলিপুরদুয়ারের সীমান্ত শহর জয়ঁগা।
মর্মান্তিক! ভারতের চিকিৎসা করাতে এসে এক বাংলাদেশী নাগরিকের (Bangladeshi citizen) মৃত্যু। মৃতদেহ (deadbody) বাংলাদেশের নিয়ে যেতে গিয়ে চরম সমস্যায় ওই নাগরিকের পরিবার। ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। মৃতদেহ বর্তমানে মালদহ (Maldah) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। বাধ্য হয়ে মালদহের জেলাশাসকের মারফত এবার হাইকমিশনের দ্বারস্থ হয় ওই বাংলাদেশী নাগরিকের পরিবার।
জানা যায়, গত শুক্রবার বাংলাদেশের (Bangladesh) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তা পুর বেনীচক গ্রামের দুই বাসিন্দা মালদহের মঙ্গলবাড়ী খইহাটটা গ্রামে ঘুরতে আসেন আত্মীয়ের বাড়িতে। এরপরে বুধবার সেখান থেকে মালদহ শহরের বুড়াবিতলা আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে আসেন। সেখানেই অসুস্থ হয়ে যান এবং মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়।
তবে সেখানেই মারা যান তিনি। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত করা হয়। বাংলাদেশ দেহ নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে লিখিত আবেদন আনা হয়। দেহ নিয়ে হিলি বর্ডার গেলে, সেখানে আটকে দেওয়া হয় বিএসএফের পক্ষ থেকে। এরপর পুনরায় দেহ ঘুরিয়ে আনা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে।
তবে ইতিমধ্যে দেহ দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে ওই চত্বরে। নিরুপায় হয়ে দেহ নিয়ে পরিবার মেডিক্যাল কলেজে বসে রয়েছেন। তাঁদের দাবি, দেহ কীভাবে তাঁরা বাংলাদেশে নিয়ে যাবেন, সেই অপেক্ষায় বসে রয়েছেন। সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন তাঁদের দেহ পুনরায় বাংলাদেশে যাতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থা করতে।
বেড না পেয়ে সন্তানসম্ভবা ভারতীয় পর্যটকের (Indian Tourist) মৃত্যুতে তোলপাড় লিসবন (Lisbon)। আর এই ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই পদত্যাগ করলেন পর্তুগালের স্বাস্থ্যমন্ত্রী (Portugal Health Minister) মার্তা টেমিদো। দেশব্যাপী প্রবল সমালোচনা সামাল দিতে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। এমনটাই এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, ভারত থেকে পর্তুগাল ঘুরতে গিয়েছিলেন এক তরুণী। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে হয়। সেই ধকল সহ্য হয়নি, মাঝপথেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এই খবর জানাজানি হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে চিকিৎসকের অভাবে পর্তুগালে প্রসূতি বিভাগের এমারজেন্সি পরিষেবা সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা। এমনটাই বলছে বিরোধী দলগুলো।
সূত্রের খবর, লিসবনের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই ভারতীয় তরুণী। সেখানে উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে তাঁকে আরও একটি হাসপাতালে ভর্তির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মাঝপথে অ্যাম্বুল্যান্সেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর জরুরি ভিত্তিতে তাঁর সন্তান প্রসব হয় এবং প্রসূতি মৃত্যুর এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পর্তুগালের কোভিড পরিস্থিতি দক্ষ হাতে সামলেছেন মার্তা। কোভিডের সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কাজ প্রশংসিত। কিন্তু কিছুদিন আগে প্রসূতি বিভাগে জরুরিকালীন পরিষেবা সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত সদ্যপ্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বিতর্কের মুখে ঠেলে দেয়।
পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনিয়ো কোস্তা জানান, তিনি মার্তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরলেন ৮ জন। শিলিগুড়ির (Siliguri) রেস্ট্রিকটেড এরিয়া, কমলা ফলসে (Kamala falls) পিকনিক করতে গিয়ে বিপত্তি। ঘটনাটি শিলিগুড়ি সেবকের কালিখোলার অন্তর্ভুক্ত কমলা ফলসে। আচমকা জলস্তর বৃদ্ধি পেতেই আটকে পড়লেন শিলিগুড়ির মিলনপল্লী এলাকার ৮ বাসিন্দা। রাতভর সেখানেই আটকে থাকেন তাঁরা। খবর পেতেই ভোর ৪ টে নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় সেবক ফাঁড়ির পুলিস (police) সকলকে উদ্ধার করে, নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়।
জানা যায়, এই কমলা ফলসে আমজনতার প্রবেশে জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। যদিও সব নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে গতকাল পাঁচ যুবক এবং তিন যুবতী পৌঁছে যান কমলা ফলসে। শুরু থেকে সবই ঠিকঠাক ছিল। তবে বেলার দিকে আচমকাই জল বাড়তে থাকায় সেখানেই আটকে পড়েন সকলে। সন্ধ্যা নাগাদ খবর যায় সেবক ফাঁড়িতে৷ খবর দেওয়া হয় এনডিআরএফ এবং দমকলেও। তবে দূর্গম পথ হওয়ায় এনডিআরএফ এবং দমকলের কর্মীরা মাঝপথেই থমকে যান। পরবর্তীতে কয়েকজন স্থানীয়দের নিয়ে উদ্ধার কাজের জন্য রওনা হয় সেবক ফাঁড়ির পুলিস। দীর্ঘ পথ হেঁটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর নাগাদ তাঁদের সকলকে উদ্ধার করে পুলিস।
তবে এই ঘটনায় স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও কীভাবে ওই যুবক-যুবতীরা সেখানে পৌঁছলেন? সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিস।