যার উপর দোকান চালানোর দায়িত্ব সেই ম্যানেজারের বিরুদ্ধে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মোবাইল (Mobile Theft) আত্মসাৎ করার অভিযোগ। যদিও সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিসের জালে সেই ম্যানেজার। সুরজিৎ সাহু নামে ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে নাগেরবাজার থানার পুলিস (Nagerbazar PS)। শুক্রবার সাত দিনের জন্য পুলিসি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে তাকে ব্যারাকপুর আদালতে (Court) পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার নাগেরবাজার থানায় বহুজাতিক বৈদ্যুতিন বাণিজ্যিক সংস্থার তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ওই থানা এলাকায় তাদের একটি স্টোর থেকে প্রায় ২২টি মোবাইল খোয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ১৪টি আইফোন। সব মিলিয়ে খোয়া যাওয়া মোবাইলের মোট অর্থের পরিমাণ ১৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
সেই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে স্টোর ম্যানেজারই ওই মোবাইলগুলি আত্মসাৎ করেছে। এরপরে তাঁকে আটক করা হয়, পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, গত মাসের ২৭ তারিখ দোকানের স্টক মেলাতে গিয়ে দেখা যায় প্রায় ২২টি মোবাইল স্টোর থেকে খোয়া গিয়েছে। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে পুলিস জানার চেষ্টা করবে মোবাইলগুলি তিনি কোথায় বিক্রি করেছেন।
বসিরহাটের (Basirhat Theft) স্বরূপনগর থানার হঠাৎগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পঞ্চানন তলায় মন্দিরের তালা ভেঙে চুরি (Theft in Temple)। শতাব্দী প্রাচীন শ্রীশ্রী বাবা পঞ্চানন মন্দিরের দরজা ভেঙে ঠাকুরের সোনার পৈতে ও রুপোর (Ornaments) মুকুট-সহ বিগ্রহের একাধিক গয়না লুট। পাশাপাশি প্রণামি বাক্সের নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সকালে মন্দিরে নামকীর্তন করতে আসা ভক্তরা দেখতে পান মন্দিরের মূল গেট ভাঙা।
ঠাকুরের গায়ের গয়না এবং প্রণামি বাক্সে থাকা নগদ অর্থ-সহ সোনা ও রুপো সব উধাও। জানা গিয়েছে, সবমিলিয়ে প্রায় ১২ লক্ষ টাকার সামগ্রি নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছে। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, পাশেই বাংলাদেশ সেখান থেকেই দুষ্কৃতীরা আসতে পারে।
ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিস গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মন্দিরের সেবায়েতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব তাঁরা।
মাত্র দিন কয়েকের ব্যবধান, অভিনব কায়দাতে দুষ্কৃতী হানা শহর দুর্গাপুরের (Durgapur) দুটি বাড়িতে। সোনার অলংকার (Gold ornaments)-সহ আরও বেশ প্রায় লক্ষাধিক টাকার জিনিস নিয়ে চম্পট দুষ্কৃতী দল। দুষ্কৃতী তাণ্ডবে এখন আতঙ্কিত শহরবাসী। তদন্তের আশ্বাস দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের। রাতের ঘুম উড়েছে শহরবাসীর।
প্রসঙ্গত, অভিনব কায়দাতে চুরির (theft) কৌশলের ছক শহর দুর্গাপুরে। আর এরই মধ্যে দুষ্কৃতীদল শহরের পরপর দুটি বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় লাখ চারেক টাকার সোনার অলংকার নিয়ে চম্পট দেয়। দুষ্কৃতীদের প্রথম টার্গেট ইস্পাত নগরীর এজোনের সেকেন্ডারী এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ইস্পাত কর্মীর বাড়ি। সেখানে দুষ্কৃতীরা প্রথমে সোনার অলংকার, বাসনপত্র পালিশের নাম করে গৃহকর্তাকে বলেন। দুষ্কৃতীদের কৌশলগত এই পাতা ফাঁদে পা দেন পরিবারের মহিলারা। প্রথমে বাসনপত্র পরিষ্কারের কথা বলা হয়, পড়ে বলা হয় বিশেষ এই পাউডার সোনা রুপোর অলংকারও সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দেয়। পরীক্ষা করার নাম করে গৃহস্থকে বলা হয় সোনা বা রুপোর অলংকার নিয়ে আসতে। এরপরই পুরনো নকল সোনাকে চোখের নিমেষে সামনে নিয়ে এসে গৃহস্থ্যের আসল সোনা রুপোর অলংকার নিয়ে নেয় নিজেদের হেফাজতে। পুরনো নকল সোনা গৃহস্থ্যের হাতে ধরিয়ে দিয়েই নিমেষে এই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। আর যতক্ষণে প্রতারিতরা আসল ব্যাপারটা বুঝতে পারেন, ততক্ষণে পগার পার এই দুষ্কৃতীরা।
দিন দুয়েক আগে ইস্পাত নগরীর সেকেন্ডারী এলাকার বাসিন্দা অরূপ চৌধুরীর বাড়িতে যায় এই দুষ্কৃতীদের দল। অভিযোগ, দুটি সোনার চেন ও দুটি সোনার আংটি নিয়ে চম্পট দেয় তারা। যার আনুমানিক মূল্য লক্ষাধিকের ওপর। ঘটনার তদন্তে যখন দুর্গাপুর থানার পুলিস, ঠিক তখনই ফের নেক্সট টার্গেট হয় দুষ্কৃতীদের দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত বেনাচিতি সংলগ্ন গোয়েল গলির একটি বাড়িতে। এখানেও একই ছকে গণেশ চৌধুরী নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়িতে একই কৌশল অবলম্বন করে তারা। সোনার অলংকার সহ প্রায় আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। একটি পাউডারের প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরপর দুটি দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় এখন দিশেহারা শহরের মানুষ। দুষ্কৃতীদের পরবর্তী টার্গেট কোথায়? এই আতঙ্কে এখন দিন কাটছে শহরের মানুষের। পুলিস এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করলেও এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি যে প্রশাসনকে ভাবাচ্ছে সেটা স্বীকার করে নিয়ে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, পুলিসকে বলা হয়েছে, তদন্তে যাতে আরও গতি আসে। গোটা ঘটনায় এখন টানটান উত্তেজনা শহর দুর্গাপুরে।
কিছুদিন আগে ট্রেনের ইঞ্জিন চুরির (Theft) ঘটনায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশাল মিডিয়ায় (Social Media)। তার ঠিক কয়েকমাস আগে গোটা একটা সেতু চুরি। কখনও মোবাইল টাওয়ার, আবার কখনও গোটা স্কুল চুরির ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা এবং অবশ্যই নেটপাড়ার বাসিন্দারা। এবার সেই তালিকায় যোগ হল চলন্ত ট্রেন থেকে তেল চুরির (Oil Stealing) ঘটনা। ঘটনাস্থল সেই বিহার (Bihar)। বিহারের বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন আশ্চৰ্যজনক চুরির খবর প্রকাশ্যে আসছে।
সম্প্রতি সেই চুরির ভিডিও ভাইরাল সোশাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তেল ভর্তি ট্যাঙ্কার নিয়ে ছুটছে একটি ট্রেন। যদিও ট্রেনের গতি খুব একটা বেশি ছিল না। আর সেই ট্রেনের সঙ্গে বড় বড় পাত্র নিয়ে ছুটে চলেছে বেশ কয়েকজন লোক। পাত্রগুলি ট্যাঙ্কারের নিচে ধরে রেখেছেন। একটি পাত্রে তেল ভর্তি হলে আবার একটি পাত্র নিয়ে ট্রেনের সঙ্গে সঙ্গেই রেললাইন ধরে ছুটছেন। প্রাণের বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই তাঁদের মধ্যে।
Bihar: Thieves steal oil from moving train in Bihta to close out 2022 on a high. pic.twitter.com/eKBPSp5HPR
— KK (@krishnakakani08) December 4, 2022
সামান্য এদিক-ওদিক হলেই ট্রেনের নিচে পড়তে পারেন। একেবারে ভয়ের লেশমাত্র নেই তাঁদের মধ্যে। চুরি করে চলেছেন তেল। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল। উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে সেতু চুরির ঘটনাও ঘটেছিল বিহারের রোহতাস জেলার আমিয়াওয়ার গ্রামে। তারপর ট্রেনের ইঞ্জিন চুরির ঘটনা ঘটল মুজফফরপুরে। শুধু কি ট্রেনের ইঞ্জিন? একেবারেই নয়, একটি সেতুর নাট-বোল্ট খোলাও শুরু করেছিল চোরেরা। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যায় কয়েকজন। এবার চলন্ত ট্রেন থেকে তেল চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এল।
এমনও হতে পারে! প্রাইমারি স্কুলের অফিস (Primary School Office) থেকেই উধাও লক্ষ লক্ষ টাকার পাঠ্যপুস্তক। ঘটনাটি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর (Islampur) মহকুমার প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের। এই দফতরের গোডাউন থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকার পাঠ্য বই (book) উধাও। খবর জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে জেলা জুড়ে। এদিকে ঘটনার পর ইসলামপুর অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের পক্ষ থেকে অস্থায়ী ষ্টোর কিপারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিস (police) সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ষ্টোর কিপার ভীম মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার বিকেল থেকেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
প্রসঙ্গত, সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনুসারে নতুন বই দেওয়া হয়। এর জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতর নির্দিষ্ট ছাপাখানায় বই ছাপিয়ে বিভিন্ন অবর পরিদর্শকদের বিদ্যালয় অফিসে বই পাঠায়। অবর বিদ্যালয় থেকে বইগুলি বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ হাতে দেওয়া হয়। স্কুল থেকেই পড়ুয়াদের বই বিলি করা হয় গোটা ডিসেম্বর মাস এই প্রক্রিয়া চলে। স্কুলগুলিতে বই দেওয়ার দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছিল শুক্রবার ইসলামপুর প্রাইমারি স্কুল দফতরের। কিন্তু শুক্রবার আধিকারিকরা গোডাউন ঢুকে দেখেন সেখানে বই নেই অথচ কাগজ-কলমে বই গোডাউনে মজুদ আছে।
তাহলে এই বই গেল কোথায়? এই প্রশ্ন উঠতেই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভঙ্কর নন্দী ইসলামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে ইসলামপুর থানার পুলিস। তবে অভিযুক্ত ভীম মণ্ডল এসআই শুভঙ্কর নন্দীর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন এবং তাঁকে ফাঁসানোর অভিযোগ করেন। এই ঘটনা সাধারণ চুরি নয়, এর পেছনে কোনও বড় চক্র কাজ করছে বলে অনুমান পুলিসের।
বাঁদরের (Monkey) বাঁদরামি! একের পর এক সিসিটিভি (CCTV) চুরি (Theft)। এক,দুটো নয়, ১৩টি সিসিটিভি চুরির ঘটনায় বেহাল অবস্থা দোকান মালিকের। কে বা কারা চুরি করছিলেন তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে সিসিটিভি সংযোগহীন হওয়ার আগেই ধরা পড়ল চোরের ছবি। আর তাতেই চক্ষুচড়কগাছ মালিকের। কার কাছে অভিযোগ দায়ের করবেন বনদফতর না পুলিস, সেটাই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এবার নিশ্চয়ই স্পষ্ট চোরটা কে? হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন ঘটনার মূল 'খলনায়ক' বাঁদর।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর ওই ব্যবসায়ীর দোকানে চুরি হচ্ছিল। কী করবে বুঝতে না পেরে চোর ধরতে দোকানে সিসিটিভি বসিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও শান্তি নেই। সেই সিসিটিভিও চুরি হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে চোর ধরার ফাঁদে ধরা পড়ল।
প্লাইউডের ব্যবসা করতেন তিনি। একে একে ১৩টি সিসিটিভি চুরি যায় তাঁর। একটি সিসিটিভির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে দেখা যায় একটি বাঁদর তা চুরি করছে। এর আগেও বাঁদরের চুরির খবর প্রায়শই শোনা গিয়েছে। কিন্তু সিসিটিভি চুরির ঘটনা একেবারে নতুন। আর এই সিসিটিভি চুরির ফলে বাঁদরকুলের কেবল খাবারদাবার চুরির বদনাম ঘুচবে।
চোরেদের কামাল! এককথায় অবিশ্বাস্য। কখনও আস্ত সেতু চুরি (Theft) করছে চোরের দল। আবার কখনও এক একটি ইট চুরি করতে করতে গোটা স্কুলই উধাও করে দিল চোরেরা। এবার সেই অসাধ্য চুরির তালিকায় জুড়েছে ট্রেনের ইঞ্জিন (Train engine)। ট্রেনের গোটা একটি ইঞ্জিনকে হাপিস করতে সময় লেগেছে মাত্র কয়েকদিন। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারে (Bihar)।
চলতি বছরের মে মাসে সেতু চুরির ঘটনাটিও ঘটেছিল বিহারের রোহতাস জেলার আমিয়াওয়ার গ্রামে। এবার ট্রেনের ইঞ্জিন চুরির ঘটনা ঘটল মুজফফরপুরে। শুধু কি ট্রেনের ইঞ্জিন? একেবারেই নয়, একটি সেতুর নাট-বোল্ট খোলাও শুরু করেছিল চোরেরা। কিন্তু তার আগেই ধরা পড়ে যায় কয়েক জন।
পুলিস সূত্রে খবর, বারাউনির গরহরা রেলইয়ার্ডে একটি ভিনটেজ এবং ডিজেল ইঞ্জিন সারাইয়ের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। সেই ইয়ার্ড থেকেই প্রতি দিন রাতে একটু একটু করে ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে যাচ্ছিল চোরেরা। কয়েক দিনের মধ্যেই গোটা ডিজ়েল ইঞ্জিনটির যন্ত্রাংশ খুলে হাপিস করে দেয় তারা।
আর একটি আস্ত ইঞ্জিন উধাও হয়ে গেল, আর কারোর নজরে পড়ল না? কিছুদিন পর নজরে আসতেই খোঁজ পড়ে। তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ পুলিসের। রেল ইয়ার্ডের খুব কাছেই দেখতে পায় একটি সুড়ঙ্গ। অনুমান, এই সুড়ঙ্গ দিয়েই চোরেরা আসত, আর এর মধ্য দিয়েই ট্রেনের যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে পালাত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিস তিন জনকে আটক করে। তাদের জেরা করে মুজফফরপুরের একটি গুদামের খোঁজ পায় পুলিস। সেখান থেকে ১৩ বস্তা ট্রেনের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে।
চোরের উপর বাটপারি। তবে এই বাটপারি আর কেউ নয়, যে দরজা দিয়ে পালানোর কথা ভেবেছিল চোর, সেই দরজা করেছে। শুনে একটি হাসি পেলেও, এমনটাই হয়েছে এক চোরের সঙ্গে। একটি ব্যাগের শোরুমে ঢুকেছিল এক কিশোর। সেখানে গিয়ে অনেক্ষণ ধরে ঘাঁটাঘাঁটি করতে থাকে। এরপর সবচেয়ে দামি ব্যাগটি খুঁজে বের করে সেটা নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা করে। সেই মতো পালানোর রাস্তায় দেখে রাখে। কিন্তু সেটাই যে তার জন্য ফাঁদ ছিল, তা হয়তো ভ্রূণাক্ষরেও টের পায়নি। ব্যাগ নিয়ে ছুটে পালতে গিয়ে কাচের দরজায় ধাক্কা খায় কিশোর চোরটি। ছিটকে পড়ে দূরে। তখনই শোরুমের নিরাপত্তারক্ষীরা এসে ধরে ফেলেন। ঘটনাটি ঘটেছে ওয়াশিংটনের বেলভিউয়ের একটি শোরুমে।
একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, কিশোর ১৫ লাখের একটি ব্যাগ চুরি করে নিয়ে পালাতে গিয়েছিল। কিন্তু দরজা ভেবে যে দিক দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করেছিল, সে দিকটা পুরোটাই কাচে ঘেরা ছিল। দরজা ছিল তার ঠিক পাশেই। কিন্তু চোখের ভুলে দেওয়ালকে দরজা ভেবে দৌড়ে গিয়ে সজোরে ধাক্কা খেয়ে মেঝেতে আছড়ে পড়ে। তারপরই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। এই ঘটনায় রীতিমত হৈচৈ পড়ে গিয়েছে।
একই সময়ের মধ্যে ঘটে গেল দুটি অস্বাভাবিক চুরি (theft)। নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কদমপুর পূর্ব পাড়া এবং নিমতলা পাড়ায় মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। কদমপুর পূর্ব পাড়া হুংকার কালীমাতা এ বছর ২২ বছরে পদার্পণ করেছিল। মঙ্গলবার পাহারায় পুজো কমিটির ২ সদস্য থাকলেও তাঁরা ভোর তিনটে নাগাদ ঘুমিয়ে পড়ে। আর তখনই মায়ের গা থেকে সমস্ত রুপোর গয়না আনুমানিক ৩৫ ভরির কাছাকাছি ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা।
একই এলাকায় পার্শ্ববর্তী পাড়ায় কদমপুর নিমতলা আদি ভয়ংকরী মাতা এবছর ৩৪ বছরে পদার্পণ করেছিল। সেখানে নির্দিষ্ট কোনও পাহারাদারের ব্যবস্থা না থাকলেও রাত প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত সদস্যরা লক্ষ্য রেখেছিলেন। এরপর উচ্চ মায়ের মুকুট এবং দু-একটি গহনা হাতে না পাওয়ার কারণেই হয়তো চুরি করতে পারেনি। বাকি, ঝোলানো লম্বা হার এবং অন্য গয়না ছিনিয়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। উদ্যোক্তাদের অনুমান আনুমানিক ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের বিভিন্ন গয়না চুরি যায়।
দুটি পুজোর ক্ষেত্রেই আজ, বুধবার শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। সেই কারণেই মঙ্গলবার বিসর্জন হয়নি। ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে শান্তিপুর থানার পুলিস পৌঁছয় দুটি পুজো মন্ডপেই। তবে আশেপাশে বেশি সিসি ক্যামেরা না থাকার কারণে রহস্য উদঘাটন খুব একটা সহজসাধ্য নয়। তবুও পুলিস প্রশাসন খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকার দুটি দুঃসাহসের চুরির কারণে আলোর পুজোয় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
রাতের অন্ধকারে শহরের তিনটি কালী মন্দিরে (Kali Temple) দুঃসাহসিক চুরি (theft)। খোয়া গেল আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার গয়না। ঘটনাটি ঘটেছে কালী-কার্তিকের শহর হিসেবে পরিচিত বাঁকুড়া (Bankura) জেলার প্রাচীন পুরশহর সোনামুখীতে।
কালী পুজোকে কেন্দ্র করে গোটা সোনামুখী পুরশহর মেতে উঠেছে। তারই মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাতে সোনামুখী পুরশহরের তিনটি জায়গায় তিনটি কালীমন্দিরে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহর জুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তিনটি মন্দির মিলিয়ে খোয়া গিয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার গয়না।
জানা গিয়েছে, সোনামুখী পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের চামুণ্ডা কালীতলা এলাকায় চ্যাটার্জি পরিবারের চামুন্ডা কালী মন্দিরে চুরির ঘটনায় আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে। অন্যদিকে, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ায় চৌধুরী পরিবারের ৫০০ বছরের কালী মন্দিরে আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার গয়না চুরি হয়ে গিয়েছে। এছাড়া নয় নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণবাজার এলাকায় বারোয়ারি কালী মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। সেখানেও আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার গয়না খোয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাতের অন্ধকারে শহরের তিন জায়গায় পরপর চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ মুখার্জি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সন্তোষ মুখার্জী জানান, চুরিটা দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসন অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে এবং তারা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন। তবে এর পিছনে একটি রেকেট কাজ করছে বলেও তিনি মনে করেন।
ফাঁকা বাড়ি পেয়ে ভর সন্ধ্যায় একের পর এক ঘরের তলা এবং আলমারি ভেঙে দুঃসাহসিক চুরি (theft) স্কুল শিক্ষকের (teacher) বাড়িতে। নগদ ৬০ হাজার টাকা সহ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পুজোর মুখে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত শিক্ষকের পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে তদন্তে হাবড়া থানার পুলিস (police)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভর সন্ধ্যায় ঘটনাটি হাবড়া (Habra) থানার আটুলিয়া এলাকায় ঘটে। আটুলিয়া হাই স্কুলের গণিত বিভাগের শিক্ষক রবিউল ইসলাম, রোজকারের মতই বৃহস্পতিবারও তিনি স্কুলে যান। পরিবার সূত্রে খবর, গত তিন মাস ধরে শিক্ষকের স্ত্রী বাড়িতে নেই। তিনি রয়েছেন তাঁর বাপের বাড়িতে। শিক্ষক স্কুলে গেলে বাড়ি তালা বন্ধ অবস্থাতেই থাকে।
রবিউল বাবু জানিয়েছেন, এদিন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে সহ-শিক্ষকরা সবাই মিলে প্রধান শিক্ষককে দমদমে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসতে যান। রাতে বাড়ি ফিরতেই প্রথমে দেখেন বাড়ির গ্রীলের তালা ভাঙা, তবে ঘরের ভেতর ঢুকতেই চক্ষু চড়ক গাছ। দেখা যায় ঘরের দরজাও ভাঙা। ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখেন একে একে সব আলমারির তালা ভাঙা এবং ঘরের মধ্যে লণ্ডভণ্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে জামাকাপড়। আলমারির লকার ভেঙে নগদ ৬০ হাজার টাকা এবং প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার সোনার গহনা নিয়ে পিছনের দরজা খুলে চম্পট দিয়েছে চোরের দল।
ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। ভর সন্ধ্যায় এই এলাকায় দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষকের পরিবার থেকে প্রতিবেশীরা সকলেই। এক প্রতিবেশী তো বলেই ফেললেন, এতগুলো তালা ভেঙে, ঘরের দরজা ভেঙে, আলমারি ভেঙে প্রায় চার লক্ষ টাকার জিনিস খোয়া গিয়েছে এটা চুরি নয় এটা ডাকাতি। তিনি আরও বলেন, "এর আগে এমন ঘটনা এই এলাকায় ঘটেনি। আমরা স্থানীয়রা সবাই আতঙ্কে আছি। প্রশাসন যাতে সঠিক তদন্ত করে তার দাবি রাখছি।"
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিস প্রশাসন। শিক্ষকের পক্ষ থেকে রাতেই হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনার তদন্তে হাবরা থানার পুলিস।
গত দু'দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) একটি ভিডিও ঝড়ের গতিতে ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে। যা দেখে নেটিজেনদের চক্ষু কার্যত চড়কগাছ। সকলেরই একটাই প্রশ্ন এ কেমন ধরনের অমানবিক শাস্তি? যে কোনও মুহূর্তে বড় বিপদ (Accident) ঘটে যেতে পারত এক অভিযুক্তর। অভিযুক্ত যে দোষ করেছেন, তা যেমন অন্যায়। তেমনই যাত্রীরা যে শাস্তি দিয়েছেন তা গ্রহণযোগ্য নয়। এমনটাই আলোচনা নেটদুনিয়ায়। কী এমন ঘটেছে?
বুধবার রাতে বিহারের (Bihar) বেগুসরাইয়ের ঘটনা। বেগুসরাই থেকে খাগারিয়া যাচ্ছিল ট্রেন। পথে সাহেবপুর কামাল স্টেশনে জানলা দিয়ে হাত ঢুকিয়ে মোবাইল চুরির (Robbery)চেষ্টা করেন এক যুবক। তখনই যাত্রীরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন তাঁকে। আর সে মুহূর্তে ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে চলতে শুরু করে। তখনই অভিযুক্তর দু'হাত, দু'জন যাত্রী চেপে ধরে রাখেন। প্রায় ১০ কিলোমিটার ট্রেনের জানলার বাইরে ভিতরে হাত গলিয়ে ঝুলতে ঝুলতে (hanging) গেলেন সেই যুবক।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক কাকুতি মিনতি করছেন, তাঁর হাত যেন ছেড়ে না দেওয়া হয়। কারণ হাত ছাড়লেই মৃত্যু অনিবার্য। আর যদি কোনও কারণে হাত ফস্কে যায়, তাহলেও ঘটে যেতে পারে বড় কোনও ধরনের বিপদ।
#WATCH | Khagaria, Bihar: Passengers caught hold of a man, kept him hanging outside from a window of a moving train as he allegedly tried to snatch mobile phones from them (15.09) pic.twitter.com/PY71wN2BmD
— ANI (@ANI) September 15, 2022
যদিও জানা গিয়েছে, যাত্রীরা ছাড়েননি হাত। সাহেবপুর কামাল স্টেশন থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে খাগারিয়া পর্যন্ত এভাবেই ঝুলতে ঝুলতে নিয়ে যাওয়া হয় যুবককে। এরপর সে পালিয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিস কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। যদিও ভিডিওটি দেখার পর নেটাগরিকরা প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। রেল পুলিসের নজর এড়িয়ে এমনটা কিভাবে হল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।
রবিবার ভোর রাতে যোধপুরের (Jodhpur Park) এক ক্যাফেতে দুঃসাহসিক চুরি (Theft in Cafe)। সিসিটিভি ক্যামেরায় (CCTV Camera) গোটা পড়েছে গোটা কীর্তি। লেক থানায় অভিযোগ দায়ের ক্যাফে মালিকে। জানা গিয়েছে, ওয়াশরুম হয়ে কিচেন দিয়ে ঢুকে ক্যাশ কাউন্টারে প্রবেশ করে সেই চোর (Thief)। এমনকি, সেই সময় ক্যাফেতেই ঘুমোচ্ছিলেন চার কর্মী। সেই তোয়াক্কা না করে ক্যাশ কাউন্টার ভেঙে নগদ প্রায় ২ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত।
ক্যাফে মালিকের দাবি, যেহেতু অভিযুক্ত মাস্ক পরে ছিল, তাই তাকে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে ক্যাফে সম্বন্ধে পড়াশোনা করেই সে চুরি করতে ঢুকেছিল। পরিচিত কেউ না হলে এভাবে ঢোকা-বেরনোর রাস্তা সম্বন্ধে অবগত থাকা সম্ভব নয়।
তিনি জানান, পুলিস এসে সিসিটিভি চেক করে ফুটেজ নিয়ে গিয়েছে। অভিযোগও লিখে নিয়েছে। চুরির সময়ে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে অভিযুক্তর বেশভূষা সম্পন্ন। তবে পরিকল্পনা করেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।