পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, 'পিটিটিআই চাকরিপ্রার্থীরা বঞ্চিত। ১১ বছর ধরে শুধুই প্রতিশ্রুতি কিন্তু কোনও নিয়োগ নেই। ইতিমধ্যে একাধিক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী আত্মহত্যা করেছে, আর কত? টাকার বিনিময়ে অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন। আর কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, নিয়োগ চাই। শুধু খেলা, মেলা, উৎসব চলছে।'
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১০% সংরক্ষণ দেখিয়ে আমাদের নিয়োগ করতে হবে। নয়তো আমরা এখানে বিক্ষোভ দেখাব। পিটিটিআই সার্টিফিকেট জ্বালিয়ে দিয়ে প্রতিবাদ দেখাব। প্রায় ৫ হাজার যোগ্য চাকরিপ্রার্থী থাকলেও নিয়োগ নেই।
এদিকে, বিকাশ ভবন চত্বর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকায় বিক্ষোভকারীদের অনেককে আটক করতে দেখা যায় পুলিসকে। রীতিমতো চ্যাংদোলা করে তাঁদের গাড়িতে তোলে পুলিস। জানা গিয়েছে পিটিটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা বঞ্চিত। ১০% সংরক্ষণ থাকলেও নিয়োগ নেই। বয়স বেড়ে গিয়েছে, এই মুহূর্তে নিয়োগ না হলে আত্মহত্যা ছাড়া গতি নেই। তাই একাধিক জেলা থেকে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা এসে এই বিক্ষোভ দেখান।
তাঁদের দাবি, 'নিয়োগের জন্য সরকারি তরফে যা যা দিগ্রির দরকার সব আমাদের আছে।'
:
কলকাতা হাইকোর্টে আপাত স্বস্তি পেলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এদিন সুকন্যা সহ ৬ জনের হাজিরার নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
গতকালের অতিরিক্ত হলফনামা গ্রহণ করছেন না বিচারপতি। কারণ মূল মামলার সঙ্গে এটা যুক্ত নয়। তাই কালকের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। টেট পাশ করা সহ অন্য নথিও জমা নিলেন না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
মামলকারীর অভিযোগে আলাদা করে মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মোতাবেক হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন অনুব্রত-কন্যা ও ভাইপো। আজ অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সহ অন্যদের জমা দিতে বলা হয়েছিল নিয়োগপত্র, টেট পাশ সার্টিফিকেট, অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টার নথি ইত্যাদি।
এদিন নথি জমা দিয়েছিলেন সকলেই। কিন্তু মামলার কোনও শুনানি হল না। আজ নয়, মালার শুনানি পয়লা সেপ্টেম্বর।
মেয়ের চাকরি নিয়ে মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল। কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের চাকরি-বিতর্কে এই প্রথমবার মুখ খুললেন তিনি। টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন সুকন্যা। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কমান্ড হাসপাতালে যাওয়ার পথে এমনই দাবি করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। তিনি বলেন, "আমার মেয়ে সব পাশ করেছে। সার্টিফিকেট আছে।" পাশাপাশি নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এদিন মেজাজ হারান অনুব্রত। তিনি বলেন "মেয়ে কীভাবে চাকরি পেয়েছে কোর্ট বুঝবে।""আপনাকে কেন বলবো?" "আপনি কে হরিদাস পাল"
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। অন্যদিকে, টেট না দিয়েই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। কলকাতা হাইকোর্টে বুধবার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়ে সুকন্যার চাকরির বিষয়টি আদালতকে জানান। সেটা শুনেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে সুকন্যাকে কলকাতা হাইকোর্টে ডেকে পাঠান।
টেট (Primary TET) ফেল করেও প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি। এবার অবৈধ নিয়োগে নাম জড়াল অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Daughter) সুকন্যা অধিকারীর। পরেশ অধিকারীর মেয়ের পর এবার কাঠগড়ায় সুকন্যা মণ্ডল। সৌমেন নন্দী নামে এক ব্যক্তি বুধবার এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, 'সুকন্যা মণ্ডল-সহ অনুব্রতর (Anubrata Mondal) পরিচিত ৬ জন টেট পাশ না করেই প্রাথমিক স্কুলে চাকরি পেয়েছেন।'
এই আবেদনের উপর শুনানির পরেই বৃহস্পতিবার বেলা ৩টের মধ্যে অনুব্রতর মেয়ে-সহ ৬ জনকে টেটের নথি-সহ কোর্টে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই নির্দেশ অমান্য হলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি। এমনকি, কোর্ট অর্ডার বীরভূমের পুলিস সুপারের কাছে পৌঁছে দিতে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিস সুপারই ওই ৬ জনকে আদালত অবধি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এমনটাই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। এদিন সন্ধ্যার পর বোলপুরের বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে সুকন্যা মণ্ডলকে। সম্ভবত কলকাতার উদ্দেশেই রওয়ানা দিয়েছেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মামলাকারী আদালতে দাবি করেছেন, 'কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হলেও, সুকন্যা মণ্ডল স্কুলে যান না। উলটে স্কুলের হাজিরার রেজিস্টার অনুব্রত-কন্যার বাড়িতে পাঠানো হতো। এদিকে, সুকন্যা মণ্ডল ছাড়াও বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর পিএ অর্ক দত্ত-সহ'আরও কয়েকজন আত্মীয়। সকলেই চাকরি পেয়েছেন বোলপুর সার্কেলে। এই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে অনুব্রতর মেয়ের স্কুলের রেজিস্টার এবং জেলা স্কুল পরিদর্শককে আদালতে তলব।
অপরদিকে, সিবিআইয়ের ওপর রুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ১৯শে জুলাই তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিস থেকে যে নথিপত্র উদ্ধার করেছিল, সিবিআই সেগুলো সিএসএফএল দিল্লিতে(ফরেনসিক ল্যাবরেটরি) পাঠাবে। সেই নির্দেশ এখনও কার্যকর না করায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিককে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কেন এখন পর্যন্ত ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে নথি পাঠানো হলো না, এদিন জানতে চান তিনি। আগামি ১০ দিনের মধ্যে সেই নথি পাঠানো হবে। এমনটাই আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষীর হাত ধরে যাঁদের যাঁদের চাকুরী হয়েছে তাঁদের সকলকেই সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
টেট (TET) নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) ফের তলব করল ইডি। আজ দুপুর দুটো পর্যন্ত তাঁকে হাজিরা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাত্ ১৫ আগস্ট তাঁকে তলব করে ইডি(ED)। কিন্তু স্বাধীনতা দিবস থাকায় তিনি হাজিরা দেননি। এবার নির্দিষ্ট সময় পর হাজিরা না দিলে সেক্ষেত্রে আইনি পদক্ষেপের(legal step) সম্ভাবনা তীব্র হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আজ পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে বিকেলে মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সম্ভাবনা ইডির, এমনটাই সূত্র মারফত জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই টেট মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন মানিক ভট্টাচার্য। সেদিন তিনি নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান। তারপর চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। ইডি সূত্রে জানা গেছে, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে তল্লাশিতে মেলে একটি সিডি, যাতে ছিল সংশোধিত তালিকার ২৬৯ জনের নাম ও তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। মানিক ভট্টাচার্যকে ওই সংশোধিত তালিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর।
আজ পরিবর্তিত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন তদন্তকারী ইডি আধিকারিকরা। তারপরই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।