
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতেও, ধাক্কা খেল ভারত। কারণ, এই ম্যাচ ড্র হতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পয়েন্ট তালিকায় পিছিয়ে থাকল টিম ইন্ডিয়া। বৃষ্টির কারণে ত্রিনিদাদে ভেস্তে গিয়েছে দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিন। তার জেরে পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হল রোহিত শর্মাদের। ফলে শীর্ষে এখন পাকিস্তান। দ্বিতীয় স্থানে ভারত। এদিকে সিরিজ জিতে বিরাট, সিরাজদের কাছে তিনটি দাবি রেখেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। যার মোদ্দা কথা হল, আগামী সিরিজে নিজেদের আরও উজার করতে হবে।
এই সিরিজের আগে থেকেই সব প্রাক্তনদের দাবি ছিল, ক্যারিবিয়ান সিরিজে তেমন কোনও বেগ পেতে হবে না ভারতীয় দলকে। হলও না। কিন্তু ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা মনে করেন, এমন হাল্কা সিরিজ অনেক কিছু শিখিয়ে দেয়। তাই এই সফর থেকে তিনটি বিষয় সবাইকে মাথায় রাখতে বলেছেন অধিনায়ক।
মূলত একদিনের বিশ্বকাপের আগে ফিল্ডিংয়ের উপর জোর দিচ্ছেন রোহিত। জোর দিচ্ছেন বোলারদের রিদিমের উপরেও। তাই ক্যারিবিয়ান সফরে আগামী একদিনের সিরিজে এই ধারাবাহিকতা বজার রাখার কথাই বলছেন তিনি।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ICC World Test Championship) ফাইনালে প্রথম দিনের খেলা শেষ। শুরুতে উইকেট হারালেও ভারসাম্য সামলে নিল অস্ট্রেলিয়া। ট্রেভিস হেড ও স্টিভ স্মিথের অনবদ্য পার্টনারশিপ। ৮৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২৭ রান করল অস্ট্রেলিয়া। হেড করে ১৪৬ রান। স্টিভ স্মিথ করে ৯৫ রান। অপরাজিত হয়ে দু'জনই ক্রিজে রয়েছেন।
বুধবার টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। টিম থেকে বাদ পড়েন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও ইশান কিষাণ। চার পেসার নিয়ে খেলতে নামেন রোহিত। শুরুতে উসমান খোয়াজাকে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। শার্দুল ঠাকুরের ডেলিভারিতে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নারও। শামির ডেলিভারিতে ফেরেন লাবুশান। কিন্তু এরপরই মারকাটারি ব্যাটিং ট্রেভিস হেডের। আর তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন স্মিথ। প্রথম দিন আর এই পার্টনারশিপ ভাঙতে পারেনি ভারত।
ওভালের পিচে প্রথম দিনই ব্যাটিং সাফল্য অস্ট্রেলিয়ার। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের এক নম্বর বোলার অশ্বিনকে বাইরে রেখে মাঠে নামা কতটা ভুল, তা যেন প্রথম দিনের শেষে টের পেলেন রোহিতরা। অধিনায়কের প্রথমে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা।
আইপিএলের ক্লান্তি যে ভারতীয় ক্রিকেটারদের কাটেনি, তা যেন সাফ দেখা গেল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রথম ম্যাচেই। ওভালের এই পিচে যেভাবে ব্যাট করল অস্ট্রেলিয়া, তা কোনও ভাবেই বোলিং সহায়ক উইকেট নয়। টিমে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে বাদ দিয়ে জাদেজাকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এদিকে টিমে শার্দুল বাদে ছিলেন উমেশ যাদব, মহম্মদ সিরাজ ও মহম্মদ শামি। এই পিচে অশ্বিন থাকলে, অস্ট্রেলিয়াকে আরও চাপে ফেলা যেত। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওভালে (Oval) বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) ফাইনালে (Final) টস জিতে বল করছে ভারত। বুধবার লন্ডনে শুরু আইসিসি-র টেস্টের বিশ্ব সেরার লড়াই। প্রতিপক্ষ ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। এদিন টস জিতে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অশ্বিনকে বাইরে রেখেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দল সাজালো ভারত। রোহিত জানিয়েছেন, চার পেসার নিয়েই মাঠে নামছেন। তিনি জানান, অশ্বিনকে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত কঠিন ছিল। ফলে, শামি-সিরাজ-উমেশের সঙ্গী শার্দুল ঠাকুর।
পিচের চরিত্রের উপরেই নির্ভর করছিল ওভালে অশ্বিনের প্রথম একাদশে থাকা। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুবজ ওভালে চার পেসারের লোভ আর সামলাতে পারলেন না ভারত অধিনায়ক।
তবে অশ্বিনকে বাইরে রেখে দল সাজালেও, উইকেটে পিছনে ইশান কিশান নন, ভরতের উপরেই ভরসা করেছেন রোহিত শর্মা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শার্দুল দলে থাকায় লোয়ার অর্ডারে একজন ব্যাটার পেয়ে গেলেন রোহিত। এখনও অবধি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের লাঞ্চ ব্রেকের আগে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান করেছে। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ওয়ার্নার ৬০ বলে ৪৩ রান করে আউট হয়েছেন। উসমান ১০ বলে রান না করেই ঘরে ফেরেন। ব্যাট করছেন স্টিভ স্মিথ ও লাবুশনে। ওদিকে ভারতের পক্ষে ১টি করে উইকেট পেয়েছে সিরাজ ও শার্দুল ঠাকুর।
অতীতে ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ শুরুর আগে তৈরি হতো অশান্তির বাতাবরণ। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া নিয়ে মুখ খুলে একথায় বললেন বিরাট কোহলি।
একটি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কোহলি বলেছেন, আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিরিজের আগে অশান্তির আবহ থাকলেও এখন তা ধীরে ধীরে সমীহে পরিণত হয়েছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রতিপক্ষ যে সমীহ করে সেটা আমরা দেখেই বুঝতে পারি।"
একইসঙ্গে কোহলির বক্তব্য়, আগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের ম্য়াচ থাকলেই তা চিন্তার বিষয় হয়ে উঠত। কিন্তু সেই পরিস্থিতি থেকে বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (Test Championship) ফাইনালে খেলতে নামবে টিম ইন্ডিয়া। তার আগে অ্যাডিডাসের (Adidas) নতুন জার্সিতে দেখা গেল টিম ইন্ডিয়াকে (India)। অ্যাডিডাসের সাইটে টিম ইন্ডিয়ার নতুন জার্সি দেখা গিয়েছে। সেই প্রমোশনাল ভিডিয়ো পোস্ট করেছে বিসিসিআইও।
ভিডিয়োতে আছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি, অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়ারা। বিরাট ও রোহিতকে ওয়ানডে ও টেস্ট জার্সি, দুটি পরেই দেখা গিয়েছে। আছেন শুভমান গিল, মেয়েদের টিমের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কাউর ও স্মৃতি মান্ধানা। আগামী ৭ জুন থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামছে ভারত।
আইপিএল চলাকালীন টিম ইন্ডিয়ার জার্সি পরে দেখা যায় কিছু ক্রিকেটারকে। এখনও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি এই জার্সির।
সদ্য শেষ হল আইপিএল (IPL)। এবার বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (Test Championship) ফাইনাল। টানা খেলা চলছে, বিশ্রামই পাচ্ছেন না ভারতীয় দলের (Indian Team) ক্রিকেটাররা। তবে, কোহলি, রোহিত শর্মাদের জন্য একটাই স্বস্তির খবর যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পর ছুটি কাটানোর সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। ১১ জুনের পর থেকে টানা একমাস ছুটি ভারতীয় দলের। তারপর আগামী কয়েকমাস আবার টানা খেলতে হবে।
বিসিসিআই-এর তরফে ভারতীয় দলের যে সূচি, তাতে জানা গিয়েছে, টেস্ট বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষ হচ্ছে ১১ জুন। তারপর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোনও খেলা নেই। একমাসের অবসর পাবে ভারতীয় দল। ১২ জুলাই আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। সেখানে দু’টি টেস্ট, তিনটি এক দিনের ম্যাচ এবং পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত।
অগস্টে আবার রয়েছে এশিয়া কাপ। তারপর ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এক দিনের বিশ্বকাপ। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর। অর্থাৎ জানুয়ারি পর্যন্ত পর পর ম্যাচ রয়েছে ভারতীয় দলের।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (Test Championship) আগে ভারতীয় (India) দলে ফের পরিবর্তন। এবার রোহিত শর্মাদের দলে যোগ দিচ্ছেন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে উদীয়নমান প্রতিভা যশস্বী জয়সওয়াল (Jaisawal)। তাঁকে রুতুরাজ গাইকোয়াডের বদলে ইংল্যান্ড পাঠানো হচ্ছে। মূলত স্ট্যান্ডবাই দলে থাকবে যশস্বী। রবিবার ফাইনাল খেলে রুতুর লন্ডন যেতে পাঁচ তারিখ হয়ে যাবে। বোর্ড সেই কারণে চেন্নাইয়ের এই ব্যাটারের বদলি হিসাবে যশস্বীকে ভারতীয় দলে সঙ্গে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
এই আইপিএলে যশস্বী ব্যাট দেখার পর অনেক প্রাক্তনই দাবি করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশের এই ছেলেটার অবিলম্বে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া উচিত। সুনীল গাভাসকরের দাবি ছিল, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই টেকনিক নিয়ে যিনি ব্যাট করেন, তাঁর টেস্ট দলে সুযোগ পাওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। হয়তো বিলেতের মাটিতে এখনও সরকারি ভাবে তাঁর গায়ে জাতীয় দলের জার্সি উঠছে না। তবুও স্ট্যান্ডবাই ব্যাটার হিসাবে ডাক পাওয়াকে বেশ বড় ঘটনা বলেই দাবি করেছেন যশস্বীর কোচ জওয়ালা সিং।
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ একুশ বছরের যশস্বীর কাছে অনেক বড় হোমওয়ার্ক হতে পারে। উল্লেখযোগ্য, বিলেতে মাটিতে আরও একজন নিজের ছাত্রকে পেলেন রাহুল, দ্রাবিড়। আগেই শুভমন গিল ছিলেন, এবার তাতে যোগ দিলেন যশস্বী জয়সওয়াল।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে (World Test Championship) চান্স পেলেন না, ফলে আক্ষেপ রয়েছেই। রবিবারের ম্যাচে ঋদ্ধিমান সাহার সেই আক্ষেপেরই চরম বহিঃপ্রকাশ করলেন ব্যাটে। দেখিয়ে দিলেন মুখে নয় কাজে করে দেখাতেই ভালোবাসেন। না হলে ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) রুদ্রমূর্তি এমন আকার ধারণ করবে কেন! তিনি ২০ বলে ৫২ রান করে বোঝালেন তিনি কারও চেয়ে কম নন। মোতেরা স্টেডিয়ামে যেভাবে ঝড় বইল, তাতে তিনি প্রমাণ করলেন ভারতীয় দলে স্থান পাওয়ার যোগ্য তিনি। দ্রাবিড় মাঠে থাকলে বুঝতে পারতেন বাংলার উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে এখনও দলে দরকার।
হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে রয়েছে ছয়টি চার ও চারটি ওভার বাউন্ডারি। ঋদ্ধি যেভাবে ইনিংস এগিয়েছেন, তাতে গুজরাতের ইনিংসও এগিয়েছে দুর্বার গতিতে। ঋদ্ধি নির্দয় ছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের প্রতিটি বোলারের বিরুদ্ধে। সবচেয়ে বেশি মেরেছেন মহসিন খানকে। ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমান গিলের ওপেনিং জুটির দাপটে গুজরাত ১০ ওভারে তুলেছে ১২০ রান। ঋদ্ধি আউট হলেন ৪৩ বলে ৮১ রান করে। ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার ও চারটি ওভার বাউন্ডারি।