
ফের উপত্যকায় জঙ্গি-নিধন অভিযানে সেনাবাহিনী। এবার গুলির লড়াইয়ে কাঁপল কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান অঞ্চল। নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে (Encounter) মৃত্যু হয় ২ জঙ্গির। সেনা সূত্রে খবর, নিহত জঙ্গিরা পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে যুক্ত ছিল।
কাশ্মীর পুলিস সূত্রে খবর, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর গোপন সূত্রে পেয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানের জেলার আলশিপোরা অঞ্চলে অভিযান চালায় সেনা ও পুলিসের যৌথ বাহিনী। জঙ্গিদের নিকেশ করতে শুরু হয় এনকাউন্টার। তাতেই মিলল সাফল্য। মঙ্গলবার যৌথবাহিনীর গুলিতে খতম দুই লস্কর জঙ্গি। নিহতদের নাম মরিফাত মকবুল, জাজিম ফারুক ওরফে আব্রার।
কাশ্মীরের এক শীর্ষ পুলিস কর্তা বিজয় কুমার জানিয়েছেন, মৃত আব্রার কাশ্মীরি পণ্ডিত সঞ্জয় শর্মা খুনের ঘটনায় জড়িত ছিল। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামায় নিজের বাড়ির সামনে খুন হন সঞ্জয়। গত মাস থেকে দক্ষিণ কাশ্মীরের ৩ জেলার ৭টি অঞ্চলে এই খুনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি।
জঙ্গি (Terrorists) দমনে বড় সাফল্য পেল দিল্লির পুলিস (Delhi Police)। গত মাসেই এনআইএ-এর তরফে জানানো হয়েছিল, দিল্লির বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন আইএস (ISIS) জঙ্গি। তাদের মধ্যেই এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। সোমবার সকালে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল এনআইএ-এর তালিকাভুক্ত 'মোস্ট ওয়ান্টেড' সন্ত্রাসবাদী শাহনওয়াজ ওরফে শৈফি উজ্জমাকে গ্রেফতার করল। এই শাহনওয়াজের মাথার দাম তিন লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল এনআইএ। এছাড়াও আরও তিন জন সন্দেহভাজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে স্পেশাল সেল।
এনআইএ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরেই এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের খোঁজার জন্য দিল্লি জুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। অবশেষে তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। জানা গিয়েছে, উত্তর ভারতে এক বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছিল তারা। কিন্তু সেই ছক বানচাল করেই তাকে গ্রেফতার করতে সফল হয়েছে দিল্লি পুলিস। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গি শাহনওয়াজ পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পরে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএস-এর সঙ্গে যুক্ত হয়।। জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ 'পুনে আইসিস মডিউল' কেসের সঙ্গেও জড়িত ছিল। সেসময় তাকে পুনে পুলিস গ্রেফতার করলেও পরে পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে আশ্রয় নেয়। এর পর আজ দিল্লির গোপন ডেরা থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। যা বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজধানী দিল্লির (Delhi) বুকে নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে তিন আইএস বা 'ইসলামিক স্টেট'-এর তিন জঙ্গি (ISIS Terrorists)। ফলে তাঁদের খুঁজে বের করতে দিল্লিতে চিরুনি তল্লাশি করছে সন্ত্রাসদমন শাখা। জঙ্গিদের খুঁজে বের করে দিতে পারলেই দেওয়া হবে পুরষ্কার, এমনটাই ঘোষণা করা হয়েছে সন্ত্রাসদমন শাখার পক্ষ থেকে। আবার এনআইএ অর্থাৎ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাও তাদের তল্লাশি শুরু করেছে বলে খবর। সূত্রের খবর, আইএস জঙ্গিদের খোঁজ দিলেই মাথাপিছু দেওয়া হবে তিন লক্ষ টাকা। অর্থাৎ যে তাদের খোঁজ দেবেন, তিনি পুরষ্কার হিসাবে পেয়ে যাবেন ৯ লক্ষ টাকা।
এনআইএ সূত্রে খবর, ওই তিন জঙ্গির নাম মহম্মদ শেহনওয়াজ সুফিউজ্জামা আলম ওরফে আবদুল্লা, রিজওয়ান আব্দুল হাজি আলি এবং আবদুল্লা ফৈয়াজ শেখ। জানা গিয়েছে, এই তিন জঙ্গি 'পুনে আইসিস মডিউল' কেসের 'মোস্ট ওয়ান্টেড'। এই জঙ্গিদের দিল্লি কানেকশন প্রকাশ্যে আসার পর দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেলও তল্লাশি শুরু করেছে। পুনে পুলিস এবং জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ মিলে নানা জায়গায় ইতিমধ্যেই তল্লাশি চালিয়েছে, কিন্তু কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি।
খলিস্তানিপন্থি শিখ নেতা তথা জঙ্গি (Terrorists) হিসাবে পরিচিত নিজ্জর সিং-এর হত্যার পিছনে ভারত রয়েছে, এমনটাই দাবি করেছে ট্রুডোর দেশ। এর পরই কানাডা-ভারত সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়ে ওঠে। আর এই দুই দেশের মধ্যে সংঘাত বৃদ্ধি পেয়ে চরমে পৌঁছেছে। এতদিন এই অভিযোগের সরাসরি উত্তর না দিলেও এবারে উপযুক্ত জবাব দিয়েছে ভারত। আজ অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, কানাডা ধীরে ধীরে জঙ্গিদের আশ্রয়স্থ হয়ে উঠছে। ফলে এই বক্তব্যের পরই বোঝা যাচ্ছে, ভারত এবারে কানাডাকেও পাকিস্তানের আসনে বসিয়েছে।
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বৃহস্পতিবার তার নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, 'জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থান হয়ে উঠছে কানাডা।' ট্রুডোর এই অভিযোগকে 'পলিটিক্যালি ড্রিভেন' বলে মনে করছেন তিনি। এছাড়াও অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, আশ্রয় পাওয়া ২০-২৫ জন জঙ্গিদের ভারতের কাছে তুলে দেওয়ার কথাও বলা হয়। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ করেনি কানাডা। আবার নিজ্জর খুনের অভিযোগ আনার পিছনে তেমন কোনও প্রমাণও দেয়নি কানাডা, এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ফলে কানাডাকে উপযুক্ত জবাব দিতে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র পাকিস্তানের জায়গায় কানাডাকে বসালেন।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু'বার সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। কুপওয়ারার পর এবারে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) পুঞ্চে ফের এক জঙ্গিকে (Terrorist) নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চের (Poonch) কাছে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ রুখে দেয় সেনা। এরপরই শুরু হয় সংঘর্ষ। অবশেষে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় এক জঙ্গি ও আহত হয়েছে অন্য এক জঙ্গি। নিহত জঙ্গির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রাইফেল, ম্যাগাজিন, পিস্তল ইত্যাদি।
সেনা সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে জম্মু কাশ্মীরের পুঞ্চের দেগওয়ার সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল জঙ্গিদের একটি দল। যার ইঙ্গিত পেতেই সেনা জওয়ানরা তল্লাশি শুরু করে গোটা এলাকা ঘিরে। এরপরই পাক জঙ্গিদের দেখতে পেয়ে তাদের বাধা দেয়। কিন্তু জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে এরপর সেনা জওয়ানরাও তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর গুলির লড়াইতে নিহত হয় এক জঙ্গি। অন্য একজন আহত হয়। সূত্রের খবর, নিরাপত্তা বাহিনী ও জম্মু-কাশ্মীরের যৌথ অভিযানে জঙ্গি নিকেশ করা হয়েছে। ওই এলাকায় আর কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না, সে বিষয়ে জোর খোঁজ শুরু করেছে সেনা বাহিনী।
সূত্রের খবর, নিহত জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হলেও অন্য এক জঙ্গিকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে গুলি করার পরেই সে নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে পালাতে থাকে। আরও জান গিয়েছে, নিহত জঙ্গির কাছ একে ৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড একে ৪৭ গুলি, ৫টি ৯ এমএম পিস্তল, ১টি ১৫ এমএমের পিস্তল ও প্রচুর বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। উল্লেখ্য,স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতে এক বড়সড় হামলার পরিকল্পনা করছে পাক সংগঠনের জঙ্গিরা, এমনটাই সূত্রের খবর। ফলে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ফের জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu-Kashmir) গুলির (Shot) লড়াই। সেনার এনকাউন্টারে নিহত (Death) পাঁচ জঙ্গি (Terrorist)। শুক্রবার ভোর রাতে কুপওয়াড়া জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই শুরু হয়। সেই সময় নিরপত্তাবাহিনী এবং পুলিসের যৌথ গোলাগুলিতে পাঁচ বিদেশি জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কাশ্মীর জোন পুলিস। এলাকায় চলছে তল্লাশি অভিযান।
পুলিস সূত্রে খবর, উত্তর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জুমাগুন্ড এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় নিরাপত্তা বাহিনী। তার পরেই ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালায় সেনা এবং পুলিসের যৌথ দল। সেই সময়ই শুরু হয় গুলির লড়াই।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে, কুপওয়াড়ার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় জঙ্গি অনুপ্রবেশ রোখা হয়েছে। এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চলতি মাসের ১৩ জুন, কুপওয়াড়া জেলার ডোবানর মাচাল এলাকায় সেনাবাহিনী এবং কুপওয়াড়া পুলিসের যৌথ অভিযানে অন্তত দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে।
মণিপুরে (Manipur) আতঙ্কবাদীদের (Terrorists) গুলিতে মৃত্যু (Death) হল এক বিএসএফ (BSF) কমান্ডো বাহিনীর জওয়ানের। মঙ্গলবার ভোরে মণিপুরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ফোন করে এই খবরটি বিএসএফ কমান্ডোর মৃত্যুর খবরটি তাঁর পরিবারকে জানানো হয়।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই জওয়ানের নাম রঞ্জিত যাদব (৩৬)। তিনি ভাটপাড়া পুরসভা ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুুকিয়া পাড়া এলাকার ২২ নম্বর গলির বাসিন্দা। মঙ্গলবার ভোরে দেশের জন্য গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন তিনি। বিএসএফ কমান্ডো রঞ্জিত যাদবের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং এলাকা সহ শোকে ভেঙে পড়েছে।
মৃত জওয়ানের পরিবারের লোকজনদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কমান্ডো রঞ্জিত যাদব ২০০৯ সালে বিএসএফ-এ যোগদান করেন। তিনিই বাড়ির একমাত্র ছেলে। সরকারের কাছে তার পরিবারের একটাই আবেদন, তাঁদের বাড়িতে আয় এবং উপার্জন একমাত্র রঞ্জিত যাদব করতেন। তাই পরিবারের কাউকে যদি একটা চাকরি দেওয়া হয় তাহলে তাঁদের পরিবারটা রক্ষা পাবে।
রাজ্যজুড়ে ৩ জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে, জাতীয় তদন্ত সংস্থার (NIA) হাতে গ্রেফতার নিষিদ্ধ জঙ্গি (Terrorist) সংগঠনের দুই ব্যক্তি। প্রচুর বিস্ফোরক (Explosive)-সহ তাঁদের গ্রেফতার করে এনআইএ। জাতীয় এই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, একজনের নাম মহম্মদ নুরুজ্জামান, অপর একজন মিরাজুদ্দিন আলী। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দা যোগের সূত্র পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। যারপর প্রশ্ন উঠছে সব মহলে, প্রশ্ন উঠছে কীভাবে ফের বাংলাজুড়ে স্লিপার সেলের এজেন্টরা ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে? যদিও তার তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ।
সূত্রের খবর, শনিবার রানীগঞ্জ, রাজারহাট ও মঙ্গলপুরে তল্লাশি চালায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্য পুলিসের এসটিএফ, শুক্রবার সন্ধ্যায় খোদ বিকাশ ভবন থেকে মহম্মদ নুরুজ্জামান নামে, এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে গ্রেফতার করে। জাতীয় তদন্ত সংস্থা জেরা করে জানতে পারে, গ্রেফতারি এড়াতে, রাজ্য শিক্ষা দফতরের কার্যালয়, বিকাশ ভবনে সফ্টওয়ার ডেভেলপার হিসেবে মির মহাম্মদ নুরুজ্জুমান কাজে যোগ দেয়। জানা গিয়েছে, এনআইসি প্রজেক্টে কাজ করছিল সে। নুরুজ্জামানের গ্রেফতারির পর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, শনিবার মিরাজুদ্দিন আলীকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, প্রভাবশালীদের সাহায্যেই দিনের পর দিন, প্রচুর পরিমানে বিস্ফোরক সরবরাহ করে গিয়েছে মীর মহাম্মদ নুরুজ্জুমান ও মিরাজুদ্দিন। কে এই প্রভাবশালী! যার নির্দেশে এই বিস্ফোরক পাচার হত! তার তদন্ত করে দেখছে এনআইএ।
এনআইএ সূত্রের খবর, ৮১ হাজার ডিটনেটর আর ২৭ হাজার কেজি আমোনিয়াম নাইট্রেট এই দুজনই সাপ্লাই করেছিল। সব সমেত এনআইএ আধিকারিকরা তাদের গ্রেফতার করে বলে সূত্রের খবর।
জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu-Kashmir Encounter) বদগাম জেলায় মঙ্গলবার ভোরে সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারে নিহত দুই জঙ্গি। মঙ্গলবার ভোরে নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর পৌঁছয় ওই দুই জঙ্গির লুকিয়ে থাকার বিষয়ে। দ্রুত একটি বাহিনী গঠন করে তাদের পাকড়াও করার কাজ শুরু হয়। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই। এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন দুই জঙ্গি (Terrorist)। এরপর সঙ্গে সঙ্গে জায়গাটি ঘিরে তল্লাশি শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, উপত্যকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য সীমান্ত পার করে ঢোকে জঙ্গিরা। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বদগাম জেলার কোর্ট কমপ্লেক্সের কাছে এনকাউন্টার হয়েছে। এর আগেও জম্মু-কাশ্মীরের বালাকোটে একইভাবে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছিল দুই জঙ্গি। সেই থেকে উপত্যকার নিরাপত্তা অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এবারও প্রশাসন থেকে সন্দেহজনক এলাকায় তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও কোনও জঙ্গি ওই অঞ্চলে আছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে যৌথ বাহিনী।
দেশব্যাপী প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে মেট্রো শহরগুলোকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার কাজ চলছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর।
মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খাণ্ডোয়া থেকে ধৃত জঙ্গি আব্দুল রাকিব কুরেশির সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ (STF)। সূত্রের খবর, আব্দুল রাকিব কুরেশি ২০০৯ সালে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। প্রায় ১০ বছর জেল খেটে ২০১৯ সালে জেল থেকে মুক্তি পান আব্দুল। তারপরেই সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাদ্দামের সঙ্গে পরিচয় হয় আব্দুল রাকিবের। এই দুই সন্দেহভাজনের পরিকল্পনা ছিল বাংলা-সহ ভিন রাজ্য এবং মধ্যপ্রদেশে তাঁদের জঙ্গি সংগঠনকে (Terrorist Organisation) আরও মজবুত করা।
তাঁদের নজরে ছিল উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং ঝাড়খণ্ডে সংগঠন মজবুত করা। জানা গিয়েছে, সাদ্দাম- আব্দুলের দায়িত্ব ছিল যুব সমাজকে আইএস মতাদর্শে অনুপ্রাণিত করা। এবং তহবিল সংগ্রহের বিশেষ দায়িত্বে ছিলেন আব্দুল রাকিব কুরেশি। এই মুহূর্তে সাদ্দাম এবং আব্দুল রাকিবকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করছে এসটিএফ।
সম্প্রতি হাওড়া থেকে দুই সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। তাদের জেরা করে আব্দুল রাকিবের খোঁজ পায় এসটিএফ। তাকে খাণ্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। রিমান্ডে আনা হয়েছে কলকাতায়।
আইএস জঙ্গি (IS Terrorist) কাণ্ডে ফের কলকাতা পুলিসের এসটিএফ-এর (Kolkata Police STF) জলে আরও এক সন্দেহভাজন গ্রেফতার। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল রাকিব কুরেশি। সোমবার সন্ধ্যায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) খান্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় আনার কাজ শুরু হয়েছে। ধৃতর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল ফোন, একটি পেনড্রাইভ এবং অন্যান্য অপরাধমূলক প্রবন্ধ। সম্প্রতি হাওড়া থেকে ধৃত দুই সন্দেহভাজন জঙ্গিকে জেরা করেই আব্দুলের খোঁজ পেয়েছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে সৈয়দ এবং সাদ্দাম নামে দুই আইএস জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। সোমবার ফের এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়া থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ।
পুলিস সূত্রে খবর, সৈয়দ এবং সাদ্দামের সঙ্গে এই আব্দুল রাকিব কুরেশির একটা প্রত্য়ক্ষ যোগাযোগ ছিল। এমনকি তদন্তে সৈয়দ এবং সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ধৃতর খোঁজে ভিনরাজ্য়ে গিয়েছিল এসটিএফ। যার ফলে মধ্যপ্রদেশ থেকে ধৃতকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
এমনকি তদন্তে পুলিস আধিকারিকরা জানতে পারেন, এই সৈয়দ এবং সাদ্দামের কাজ ছিল মডিউল তৈরি করা। তারা বেশকিছু ভুয়ো কোম্পানি তৈরি করেছিল এবং যথারীতিভাবে তাতে লোকজন নিয়োগ করত। এমনকি পুলিসের সন্দেহ এড়াতে কাজের নাম করে তাদের বাইরে পাঠানো হত, যাতে তদন্তকারী পুলিস আধিকারিকরা বুঝতে না পারে যে বাইরে পাঠনোর নাম করে তাদের আইএস জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার আব্দুল রাকিব কুরেশিকে কোর্টে পেশ করা হবে। এমনকি পরে এই সৈয়দ এবং সাদ্দামের সঙ্গে এই আব্দুল রাকিব কুরেশীকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কী ধরনের নাশকতার ছক কষছিলেন এই তিন সন্দেহভাজন জঙ্গি, সেটা জানতেই মুখোমুখি জেরা করবে এসটিএফ।
পুঞ্চের বালাকোট (Balakot) সেক্টরে রাতব্যাপী অভিযানে নিহত (Death) হয়েছেন দুই জঙ্গি (Terrorist)। শনিবার সন্ধ্যায় একজন প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, সৈন্যরা বালাকোট সেক্টরে এলওসি বরাবর একটি সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন এবং সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বুধতে পেরে গুলি চালান। বেগতিক বুঝে পাল্টা সেনা কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। সেনাদের গুলিতে দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সীমান্তের ওপার থেকে এপারের জেহাদি কার্যকলাপে মদত দেওয়ার উদ্দেশ্যে সীমান্ত পার করার চেষ্টা করছিল তারা। কিন্তু সেনার নজরে পড়ে যাওয়ায় সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। সেনা সূত্রের খবর, ওই গোটা এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। এক সেনাকর্তা জানিয়েছেন, আরও কোনো জঙ্গির উপস্থিতি রয়েছে কিনা তা জানার জন্য তল্লাশি চলছে।
উল্লেখ্য, বছরের প্রথম দিন যখন সকলে আনন্দে মেতে ঠিক সেই সময়েই জঙ্গিদের গুলিতে এবং বিস্ফোরণে কাশ্মীরে হিন্দুদের মৃত্যু হয়। প্রথম হামলাটি হয় শ্রীনগরে। সেখানে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিবাহিনী। এর পরপরই রাজৌরির ডাঙরি গ্রামে ভয়াবহ হামলা চলে। জোড়া হামলায় মোট ৭ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে ২ জন শিশুও ছিল। সেই হামলার পর কেন্দ্র জম্মু-কাশ্মীর জুড়ে প্রায় ২ হাজার আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদ অভিযান চলছে জোর কদমে। প্রতিটি সন্দেহজনক এলাকায় চলছে তল্লাশি।
বছরের শুরুতে রবিবার সন্ধ্যায় জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) শ্রীনগর ও রাজৌরিতে রবিবার জোড়া হামলা চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। হামলায় নিহত হয়েছেন ৪ জন আর গুরুতর আহত অবস্থায় ৯ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে জম্মুর হাসপাতালে।
ঘটনার পরও থেকেই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে এলাকা। তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিস। জানা গিয়েছে,নিহতরা সতীশ কুমার (৪৫), দীপক কুমার (২৩), এবং প্রীতম লাল (৫৭) এবং শিব পাল। স্থানীয় সূত্রের খবর, হাসপাতালে মারা যান শিব পাল।
আহতদের মধ্যে শিশু পাল (৩২), পবন কুমার (৩৮), রোহিত পণ্ডিত (২৭), সরোজ বালা (৩৫), রিধাম শর্মা (১৭) এবং পবন কুমার (৩২) রয়েছেন। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জম্মু শহরে বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আহত এবং নিহত সকলেই ধর্মীয় সংখ্যাগুরু। পুলিস সূত্রের খবর, জঙ্গিরা যে এলাকায় আক্রমণ করে, সেই এলাকা সংখ্যাগুরু অধ্যুষিত। ওই এলাকার তিনটি বাড়িতে হামলা চালায় দুই জঙ্গি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার একটি এসইউভি গাড়ি করে জঙ্গিরা ডাংরি গ্রামে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা গাড়ি থেকে নেমে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তারপর স্থানীয়রা আহতদের রাজৌরির সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। এদিন রবিবার প্রথম হামলাটি হয় শ্রীনগরে। সেখানে গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিবাহিনী। তাতে ৬ জনের জখম হওয়ার খবর মেলে। এরপরই ডাংরি গ্রামে হামলা চলে।
প্রসঙ্গত, সকাল থেকে রাজৌরি মেডিক্যাল কলেজের সামনে গ্রামবাসীরা জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। জঙ্গিবিরোধী স্লোগান তোলেন তাঁরা। এমনকি তাঁদের প্রাণ সংশয় নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার, আরও কঠোর নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানান। তবে জোড়া হামলার পর দুই এলাকাতেই নিরাপত্তাবলয় আরও আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।
ফের জঙ্গি দমনে সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) সিধরা এলাকায় শুরু হয় গুলির (Encounter) লড়াই। জঙ্গিরা ওই এলাকায় গা-ঢাকা দিয়েছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর ওই এলাকায় অভিযান চালাতেই সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেনার গুলিতে নিহত হয় ৩ জঙ্গি (Terrorist)।
একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিদের উপস্থিতি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সিধরা এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু করেছিল। সন্দেহজনক স্থানে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বাহিনীর উপর গুলি চালায়। এরপর পাল্টা গুলি চালায় সেনারা। এনকাউন্টারে তিন জঙ্গি খতম হয়।
জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। তারা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য ছিল তা এখনও জানা যায়নি। এদিকে গত ২৪ ডিসেম্বর উরি থেকেও প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কাশ্মীরের শোপিয়ান এলাকায় তিন লস্কর জঙ্গিকে খতম করেছিল কাশ্মীর পুলিস। জানা যায়, এলাকায় নজরদারি চালানোর সময়ে আচমকাই পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে জঙ্গিরা। পালটা আক্রমণেই মৃত্যু হয় তিন জঙ্গির।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কাশ্মীরের (Kashmir) শোপিয়ান (Shopian)জেলার জৈনপোরার মুঞ্জ মার্গ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের বন্দুকযুদ্ধ (Encounter) হয়। পুলিস সূত্রে খবর, এই সংঘর্ষে তিন লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) (LeT terrorists) সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিস।
জিএনএস-এ পৌছানো রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ১আরআর এবং ১৭৮ সিআরপিএফ-এর একটি যৌথ দল মুঞ্জ মার্গে অভিযান শুরু করে। বাহিনীর যৌথ দল সন্দেহভাজন স্থানের দিকে গেলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে দুই সন্ত্রাসীকে শোপিয়ানের লতিফ লোন এবং অনন্তনাগের উমর নাজির হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, লতিফ লোন একজন কাশ্মীরি পন্ডিত পুরাণ কৃষ্ণ ভাটের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। আর উমর নাজির নেপালের তিল বাহাদুর থাপা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।
পুলিস সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ৪৭ রাইফেল ও দুটি পিস্তল উদ্ধার করেছে। কাশ্মীর জোন পুলিস একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছ, "নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন এলইটি-এর সঙ্গে জড়িত ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।"