অপরাধীদের ধরতে এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কলকাতা পুলিশের। শহরজুড়ে প্রায় ৬০টি এমন সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছে পুলিশ যেগুলির মধ্যে থাকছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ভিড়ের মধ্যে থেকেও অপরাধীদের সহজেই চিহ্নিত করতে পারবে সেগুলি।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্যামেরাগুলি ফেস রেকগনাইজেশন প্রযুক্তিতে তৈরি। যার মাধ্যমে, কোনও ব্যক্তির ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশের ক্রাইম রেকর্ডে থাকা ছবির সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবে। এবং অপরাধীরা ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবে পুলিশ।
এবিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার সংবাদ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যে ক্যামেরাগুলি বসানো হয়েছে সেগুলির নাম ফেস রেকগনাইজেশন ক্যামেরা। ওই ক্যামেরা অপরাধ কমাতে আরও সাহায্য করবে বলে ধারণা তাঁর। এমনকী, কেউ নিখোঁজ থাকলেও এই ক্যামেরার মাধ্যমে তাঁর সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি। নির্ভয়া প্রকল্পের মাধ্যমে সেগুলি কেনা হয়েছে। আপাতত ৬০টি ওই ধরনের ক্যামেরা বসানো হচ্ছে
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোথায়, কী প্রযুক্তি বসবে, তা খতিয়ে দেখল ইসরোর প্রতিনিধি দল। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার যাদপুরে গিয়েছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। তাঁরা শুধু মাত্র ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন। এদিন ইসরো প্রতিনিধিরা ঘুরে দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল হস্টেল। গত ৯ অগস্ট এই হস্টেলেই মৃত্যু হয়েছিল প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার। তারপর থেকেই উত্তপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস-সহ রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার পরেই অস্থায়ী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন বুদ্ধদেব সাউ।
ইতিমধ্যেই ক্যাম্পাসে প্রযুক্তি ব্যবহারের পক্ষেই তিনি সওয়াল করেছেন। কোন কোন প্রযুক্তি যাদবপুরের কোথায় বসবে, সে বিষয়ে ইসরো কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ইসরোর প্রযুক্তিকে ব্যবহারের কথা প্রথমবার বলেছিলেন আচার্য এবং রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
তিনি জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে ইসরোর সহায়তা প্রয়োজন। পরে রাজভবনের তরফ থেকে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল।
প্রসূন গুপ্ত: আজকাল বাঙালিদের মধ্যে একটা রীতিই হয়ে গিয়েছে সরকারি চাকরির জন্য জান লড়িয়ে দেওয়া। কারণ, নিশ্চিত চাকরি, সঙ্গে একাধিক সুযোগ-সুবিধা। অবসর নিলে পেনশন, মারা গেলে নিকটতম স্বজন পাবেন অর্ধেক পেনশন। এ রকম সুখের মধ্যেই ডিএ নিয়ে আন্দোলন, উপলক্ষ্য বেতন একটু বাড়িয়ে নেওয়া। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ধীরে ধীরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে। অলাভজনক সংস্থা হাতে রাখছে চাইছে না কেন্দ্র। হয়তো এমন দিন আসবে, সরাসরি প্রশাসনিক অফিস ছাড়া সরকারি চাকরি আর থাকবেই না। বার্তা পরিষ্কার, দক্ষতা দেখাও, শ্রম দাও, বেতন নাও। বার্তা এটাই যে, ব্যবসা করাটা সরকারের কাজ নয়। এই পদ্ধতিই নাকি চলে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে। সেখানে পুলিস প্রশাসন চালায় কিছু বেসরকারি সংস্থা।
বাংলায় এ সব কিছু হবে না। বামেরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্কৃতির দিকে জোর দিয়েছিল। ব্যতিক্রম নয় মমতা সরকার। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ছাত্রছাত্রীর এমন কিছু কোর্স করা বা পড়া উচিত যেখানে চাকরি প্রায় নিশ্চিত। এই মুহূর্তে বাংলায় অজস্র বেসরকারি কারিগরি ও ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট হয়েছে। যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের সমস্ত দফতর রয়েছে। ডিগ্রি কোর্স না পড়তে পারলে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতেই পারে।
ম্যানেজমেন্ট কোর্স যে কত-শত হয়েছে তা নিয়ে ভাবতেই পারেন পড়ুয়ারা। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কলা বিভাগের যে কেউই এই কোর্স পড়তে পারে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট থেকে মিডিয়া সায়েন্স। জানেন কি ডাক্তারির সমতুল্য একটি কোর্স এসেছে, বিপিটি। অর্থাৎ ব্যাচেলার অফ ফিজিও থেরাপি। এই কোর্স অবশ্যই বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের জন্য। পাশ করলে নামের আগে ডাক্তার লিখতেই পারেন। এরকম বহু অজানা কোর্স এসেছে। এই কোর্সের ধারক মৌলনা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ম্যাকাউ। সেখানেই বিশদ জানা যাবে। পরীক্ষার্থীদের উচিত ২৭ মার্চ পরীক্ষা শেষের পর গিয়ে খোঁজ নেওয়া।
কলকাতায় চালু হল চিনা রেক তথা ডালিয়ান রেকের মেট্রো। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখেই চালু হল এই মেট্রো। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দমদম মেট্রো স্টেশন থেকে বাণিজ্যিকভাবে পথচলা শুরু করল এই চিনা রেক। এদিন এই শুভ উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা-সহ মেট্রো রেলকর্তারা।
জানা গিয়েছে, চার বছর আগে ২০১৯ সালে চিন থেকে কলকাতা বন্দরে এসে পৌঁছেছিল এই ডালিয়ান রেক। তারপর থেকে করোনা মহমারী ও আরও নানা কারণে সেই রেক বাণিজ্যিকভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই দীর্ঘ চার বছরের প্রতীক্ষার পর শুক্রবারই বাণিজ্যিকভাবে পথচলা শুরু হল চিনের বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি ডালিয়ান রেক। দমদম মেট্রো স্টেশন থেকেই এই রেকের যাত্রা শুরু।
কলকাতা মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরার দাবি, 'এই রেক যাত্রীদের আরও স্বাচ্ছন্দ্য দেবে। বর্তমানে যে মেট্রোগুলি চলে তার থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ বেশি যাত্রী এই রেকে উঠতে পারবে। পাশাপাশি রেকের দরজা চওড়ায় বড় করা হয়েছে। এমনকি বয়স্কদের জন্য থাকছে আরও বেশি সংখ্যক সংরক্ষিত আসন। বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য থাকছে আলাদা ব্যবস্থা। এই রেকে ঝাকুনির অনুভূতি কম হবে।'
তিনি বলেন, 'ডালিয়ান রেকে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও ভাল। ভিতরের সজ্জাতেও রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই রেকে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যার ফলে বাইরের আওয়াজ ভিতরে আসবে অল্প। ফলে মেট্রোতে যাতাযাত করা হবে আরও শান্তিপূর্ণ। এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী দিনে কলকাতা মেট্রো মোট ১৩টি ডালিয়ান রেক কিনবে।'
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, 'খুবই মসৃণ এই মেট্রোর সফর। আপাতত একটি রেক এসেছে। আরও তিনটি খুব শীঘ্রই চলে আসবে।'
সৌমেন সুর: তথাকথিত শিক্ষা মনের অন্ধত্ব ঘোচাতে পারে না। বিজ্ঞানমনস্কতাই মানুষের মোহান্ধ দূর করতে পারে। ধর্মান্ধতা কুসংস্কারের অন্য নাম। যথার্থ ধর্মবোধ চিরন্তন সত্যকে উদ্ভাসিত করে। বিজ্ঞান ও প্রকাশ করে সেই শাশ্বত সত্যকেই। কিন্তু বিজ্ঞানের নিছক পঠন পাঠনেই বিজ্ঞানমনস্কতা গড়ে ওঠে না। অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে ধর্মের নামে অধর্মের আস্ফালন, জাতপাতের লড়াই বর্ণভেদের অহংকার।
আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যার যুগেও বিজ্ঞানমনস্কতা বৃহত্তর জনমনের কাছে একবিংশ শতাব্দীতেও গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়নি। একশ্রেণীর সাধারণ মানুষ তো বটেই এমনকি বিজ্ঞানে বিদ্বান হয়েও জীবনচর্চায় বৈজ্ঞানিক চিন্তা বিমুখ। অনেকে বিজ্ঞানমনস্ক হয়েও কুসংস্কার আচ্ছন্ন সমাজ বিমুখ। আজ নতুন করে বিজ্ঞান মানসিকতা গড়ে তোলার জন্য চলেছে নানা পরিকল্পনা। বিজ্ঞান বোধের উন্মেষ ঘটলেই মানুষ কুসংস্কার মুক্ত হয়ে উঠবে। প্রকৃত বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার মাধ্যমে সমাজে উন্মেষ ঘটানো সম্ভব বলে আমি মনে করি।
আমাদের জীবন আজ একান্তই বিজ্ঞান নির্ভর। আমাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, মৃত্যুতেও বিজ্ঞান। শ্বাস প্রশ্বাসের মতো প্রতি মুহূর্তেই আমাদের জীবনে বিজ্ঞানের অস্তিত্ব। আজ আমাদের জীবনে বিজ্ঞান হয়ে উঠেছে প্রগতির বাহন। বিজ্ঞানই আজ নানাভাবে আমাদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
স্বনির্ভর ভারত! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) বরাবর আত্মনির্ভরতার কথা বলে থাকেন। আর এবার টেলিকম পরিষেবার ক্ষেত্রে একধাপ এগোল ভারত (India)। আজ, মহাষষ্ঠীর দিনই দেশে চালু হল 5G পরিষেবা (5G services)। আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার নয়াদিল্লির (New Delhi) প্রগতি ময়দানে ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস (IMC) ইভেন্টে 5G পরিষেবা চালু করার কথা ঘোষণা করেন।
Reliance Jio ইতিমধ্যে Jio 5G পরিষেবা রোলআউটের জন্য একটি টাইমলাইন ভাগ করেছে। টেলিকম অপারেটর, এই বছরের শুরুর দিকে তার বার্ষিক সাধারণ সভা (AGM 2022) ইভেন্টে ঘোষণা করেছে যে, পর্যায়ক্রমে 5G পরিষেবা চালু করবে। শুরুতে, Jio 5G পরিষেবাগুলি দীপাবলির মধ্যে ৪ টি শহরে চালু হবে। শহরগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লি, কলকাতা, চেন্নাই এবং মুম্বই।
5G পরিষেবায় কী কী সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা? প্রথমত, ১০ গুণ স্পিডে মিলবে পরিষেবা। 5G নেটওয়ার্কের লো ব্যান্ড ফ্রিকোয়েন্সিগুলিতে 50-250 Mbps স্পিড মিলবে।৩ ঘণ্টার সিনেমা ৩ সেকেন্ডে ডাউনলোড করতে পারবেন। দূষণহীন নেটওয়ার্ক হবে এই ফাইভ জি। ফোর জি-র তুলনায় এই নেটওয়ার্ক কম পাওয়ার কনজিউম করে। ফলে ফোনের ব্যাটারির আয়ু বাড়বে। যদিও 5G পরিকাঠামো তৈরি করা খুবই ব্যয়বহুল।