
প্রসূন গুপ্ত: আজকাল বাঙালিদের মধ্যে একটা রীতিই হয়ে গিয়েছে সরকারি চাকরির জন্য জান লড়িয়ে দেওয়া। কারণ, নিশ্চিত চাকরি, সঙ্গে একাধিক সুযোগ-সুবিধা। অবসর নিলে পেনশন, মারা গেলে নিকটতম স্বজন পাবেন অর্ধেক পেনশন। এ রকম সুখের মধ্যেই ডিএ নিয়ে আন্দোলন, উপলক্ষ্য বেতন একটু বাড়িয়ে নেওয়া। বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার ধীরে ধীরে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে। অলাভজনক সংস্থা হাতে রাখছে চাইছে না কেন্দ্র। হয়তো এমন দিন আসবে, সরাসরি প্রশাসনিক অফিস ছাড়া সরকারি চাকরি আর থাকবেই না। বার্তা পরিষ্কার, দক্ষতা দেখাও, শ্রম দাও, বেতন নাও। বার্তা এটাই যে, ব্যবসা করাটা সরকারের কাজ নয়। এই পদ্ধতিই নাকি চলে প্রথম বিশ্বের দেশগুলিতে। সেখানে পুলিস প্রশাসন চালায় কিছু বেসরকারি সংস্থা।
বাংলায় এ সব কিছু হবে না। বামেরা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্কৃতির দিকে জোর দিয়েছিল। ব্যতিক্রম নয় মমতা সরকার। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ছাত্রছাত্রীর এমন কিছু কোর্স করা বা পড়া উচিত যেখানে চাকরি প্রায় নিশ্চিত। এই মুহূর্তে বাংলায় অজস্র বেসরকারি কারিগরি ও ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট হয়েছে। যেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের সমস্ত দফতর রয়েছে। ডিগ্রি কোর্স না পড়তে পারলে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতেই পারে।
ম্যানেজমেন্ট কোর্স যে কত-শত হয়েছে তা নিয়ে ভাবতেই পারেন পড়ুয়ারা। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কলা বিভাগের যে কেউই এই কোর্স পড়তে পারে। হোটেল ম্যানেজমেন্ট, হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট থেকে মিডিয়া সায়েন্স। জানেন কি ডাক্তারির সমতুল্য একটি কোর্স এসেছে, বিপিটি। অর্থাৎ ব্যাচেলার অফ ফিজিও থেরাপি। এই কোর্স অবশ্যই বিজ্ঞানের পড়ুয়াদের জন্য। পাশ করলে নামের আগে ডাক্তার লিখতেই পারেন। এরকম বহু অজানা কোর্স এসেছে। এই কোর্সের ধারক মৌলনা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা ম্যাকাউ। সেখানেই বিশদ জানা যাবে। পরীক্ষার্থীদের উচিত ২৭ মার্চ পরীক্ষা শেষের পর গিয়ে খোঁজ নেওয়া।