উৎসবের মরশুমে ফের দুর্ঘটনা। ১৭ অক্টোবর, মঙ্গলবার দুটি আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Explosion) ঘটে। দুটি ঘটনা মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জন-এ। একইসঙ্গে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) বিরুধুনগর জেলায়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিরুধুনগর জেলার কাম্মাপট্টি এবং শিবকাশী গ্রামে এই বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথম বিস্ফোরণটি হয় কাম্মাপট্টি গ্রামে। আতশবাজি তৈরি হওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ এত বেশি ছিল যে, ভয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন বাজি কারখানা সংলগ্ন আশপাশের মানুষজন। পুরো কারখানাটি আগুন ধরে গিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস এবং দমকল বিভাগ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও, বিস্ফোরণে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কাম্মাপট্টি থানার পুলিস। এই ঘটনার পরই দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে শিবকাশীর কাছে। সেখানে আগুনে পুড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
দু'টি ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিস্ফোরণের কারণ। তামিলনাড়ুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যলিন। মৃতদের পরিবার পিছু ৩ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
সাতসকালে ঘটে গেল মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) সালেমে। হাইওয়ের উপর দাঁড়িয়ে ছিল একটি পণ্যবাহী লরি। আচমকা দ্রুতগতিতে ছুটে এসে লরির পিছনে ঢুকে গেল একটি সওয়ারিবোঝাই গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু (Death) হয় গাড়ির মধ্যে থাকা একই পরিবারের ছয় জনের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গাড়ির চালক সহ আ্ররও এক সওয়ারি।
জানা গিয়েছে, ভোর ৪টের দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস সূত্রে খবর, তামিলনা়ড়ুর ইয়েনগুর থেকে একই পরিবারের আট জন একটি গাড়িতে পেরুনথুরাই যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। সালেম-ইরোড হাইওয়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটি। গাড়িটির গতি এতই বেশি ছিল যে লরির পিছনে ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের, যার মধ্যে একটি এক বছরের শিশুও রয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধারকাজে নামেন। আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিস এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনাটি রেকর্ড হয়েছে রাস্তায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও জানা যায়নি। গাড়ির ব্রেক ফেল হয়েছিল নাকি অন্য কোনও কারণে এই দুর্ঘটনা, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিস। গাড়ির চালক সুস্থ হলেই ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিস।
ফের অগ্নিকাণ্ড ট্রেনে (Train Fire)। আর এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অনন্ত ১০ জনের। সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) মাদুরাই স্টেশনে পুনালুর-মাদুরাই এক্সপ্রেসে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রথমে কোনও এক নির্দিষ্ট জায়গায় আগুন লাগে ও পরে তা ধীরে ধীরে গোটা কামরায় ছড়িয়ে পড়ে। আর এই ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৯ জনের। আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ রেলের তরফে মৃত পরিবারদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, শনিবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে পুনালুর-মাদুরাই এক্সপ্রেসে আচমকা আগুন লেগে যায়। জানা গিয়েছে, এই এক্সপ্রেস ট্রেনের কামরাটি ব্যক্তিগতভাবে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেখানে মোট ৬৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই লখনউ থেকে এসেছিলেন। রেলসূত্রে খবর, ওই কামরার কেউ একজন ছোট স্টোভ নিয়ে গিয়েছিলেন। আর সেই থেকেই আগুন লেগে যায়। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকল বাহিনী। সকাল ৭ টা ১৫ মিনিট নাগাদ আগুন নেভানো হয় বলে সূত্রের খবর।
মাদুরাইয়ের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর এমএস সঙ্গীতা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, যাত্রীদের মধ্যে কেউ এদিন ভোরবেলা কফি তৈরির চেষ্টা করছিলেন এবং ট্রেনের মধ্যেই গ্যাসের স্টোভ জ্বালানোর চেষ্টা করছিলেন। সেই সময়েই একটি সিলিন্ডার ফেটে যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৫৫ জনকে ক্ষতিগ্রস্ত কামরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ও তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর।
ইউটিউব (Youtube) দেখে প্রসব করানোর কৌশল শিখেছিলেন এক যুবক। আর সেই কৌশল প্রয়োগ করলেন নিজেরই স্ত্রীর উপর। আর এই কাণ্ড ঘটানোর পরই মর্মান্তিক পরিণতি। ঠিক মত প্রসব করাতে না পেরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় স্ত্রীর। এমনটাই অভিযোগ সেই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কৃষ্ণগিরির।
সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরির পুলিয়ামপাত্তির বাসিন্দা মাধেশ। তিনি তাঁর স্ত্রী লোগানায়াকির সঙ্গে বসবাস করতেন। এর পর তাঁর স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হতেই তাঁর প্রসব তিনিই করাবেন, এমনটাই ভেবে রেখেছিলেন। এর পর তিনি তেমনটাই করলেনও। কিন্তু এতেই ঘটল বিপত্তি। জানা গিয়েছে, স্ত্রীর প্রসব করানোর জন্য বাড়িতেই ইউটিউব দেখে তার কৌশল শিখছিলেন। এর পর তাঁর স্ত্রীর যখন প্রসব ব্যথা ওঠে, সেসময় তিনি চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে বাড়িতেই তাঁর স্ত্রীর প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এতেই মৃত্যু হল তাঁর স্ত্রী লোগানায়াকির।
পুলিস সূত্রে খবর, মাধেশ তাঁর স্ত্রীর প্রসব করাতে গেলে তিনি ভুল করে নাড়ি কাটতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে যায়। এর পরই মাধেশ ঘাবড়ে গেলে প্রাইমারি হেলথ সেন্টারে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পর প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের মেডিক্যাল অফিসার রাথিকা মাধেশের বিরুদ্ধে পুলিস স্টেশনে মামলা দায়ের করেন। ভারতীয় দন্ডবিধির ১৭৪ নম্বর ধারার অধীনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
মন্দিরে (Temple) আগেই ফাটল ধরেছিল। এমনকি মন্দিরের ফাটলের কথা মন্দির কর্তৃপক্ষকে জানানোও হয়েছিল। তবে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। আর এবারে অবশেষে ভেঙে পড়ল মন্দিরের একাংশ। সূত্রের খবর, শুক্রবার মধ্যরাতে তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) শ্রীরঙ্গম মন্দিরের (Srirangam Temple) একাংশ ভেঙে পড়েছে। জানা গিয়েছে, মন্দিরের পূর্বদিকের স্তম্ভের প্রবেশদ্বারের কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। উল্লেখ্য, মন্দিরে মোট ২১টি 'গোপুরম' বা স্তম্ভ রয়েছে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা মন্দির কর্তৃপক্ষকে এই ফাটলের বিষয়ে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও হেলদোল হয়নি কর্তৃপক্ষের। মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেনি বলে অভিযোগ তাঁদের। ফলে তাঁদের দাবি, সেই ফাটল থেকেই ভেঙে পড়েছে মন্দিরের কিছু অংশ। ধ্বংসাবশেষের নীচে কেউ চাপা পড়েনি ও কোনও হতাহতের খবর আসেনি বলে সূত্রের খবর। কিন্তু মন্দির ভেঙে পড়ার ফলে অনেকেরই ক্ষতি হতে পারত বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
মন্দির কর্তৃপক্ষের এক সদস্য জানিয়েছেন, মন্দির ভেঙে যাওয়ার পরই এর মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আগেই ৯৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মন্দিরে আর কোনও ফাটল রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাজি কারখানায় (Cracker Factory) ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Blast)। এই ঘটনায় আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল ৮ জনের। শনিবারের ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) কৃষ্ণগিরি জেলার। জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ৩ জন মহিলা ছিলেন। কৃষ্ণগিরির পাজায়াপেট্টাইতে ওই বাজি কারখানায় আচমকাই এদিন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। এমনকি বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার কাছে থাকা একটি হোটেলও ভেঙে পড়ে। ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন তিনি।
Deeply saddened by the tragic mishap at a cracker factory in Krishnagiri, Tamil Nadu, resulting in the loss of precious lives. My thoughts and prayers are with the families of the victims during this extremely difficult time. May the injured recover soon. An ex-gratia of Rs. 2…
— PMO India (@PMOIndia) July 29, 2023
সূত্রের খবর, শনিবার ভোরে ওই বিস্ফোরণ ঘটে কৃষ্ণগিরি এলাকার একটি বাজি কারখানায়। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। আশপাশের বাড়ির বিভিন্ন অংশে আগুন লেগেছে বলে জানা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আশপাশের একাধিক হোটেল এবং বাড়ি ভেঙে পড়ে। সেগুলোর নীচে অনেকেই আটকে পড়েন। তাঁদেরকে ভেতর থেকে কোনওক্রমে বের করেন উদ্ধারকারী বাহিনীর সদস্যরা। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যদিও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন ১২ জন।
কী কারণে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। বিস্ফোরণের খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস এবং দমকল। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানায় বিস্ফোরণের পর দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। স্থানীয়রাই প্রথমে মৃতদের উদ্ধারের কাজে হাত লাগান। তারপর আসে পুলিস ও দমকল।
মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং দুর্ঘটনায় আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর পাশাপাশি এই বিস্ফোরণে আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম.কে স্ট্যালিনও।
সরাসরি বোতল থেকে সাপকে (Snake) খাওয়ানো হল জল, আর সেই ভিডিও দেখেই হইহই পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamilnadu)। জানা গিয়েছে, প্রচন্ড গরমে মানুষের মতই তৃষ্ণার্ত হয়ে প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল একটি কোবরা সাপ (Cobra Snake)। নটরাজন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনেই পড়েছিল সেটি। এরপর তিনি তাঁর বন্ধুকে দেখালে তিনি এক পরিবেশকর্মীকে খবর দেন। তারপর তিনি সেখানে পৌঁছতেই সাপটিকে সেভাবে পড়ে থাকতে দেখে সেটাকে জল খেতে দেন। আর সাপটিকেও দেখা গেল সেই বোতল থেকেই জল খেতে।
তামিলনাড়ুর কুড্ডালোরের থিরুচোপারুর বাসিন্দা নটরাজন। তিনি তাঁর বাড়ির সামনেই কোবরা সাপটিকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি তাঁর বন্ধু এঝুমালাইকে ডাকেন। তারপর তিনি পরিবেশকর্মী চেল্লাকে খবর দেন। খবর পৌঁছে যাওয়ার পরপরই চেল্লা সেখানে হাজির হন। সাপটিকে দেখে তিনিই জলভর্তি বোতল এটার মুখের সামনে ধরেন। এরপর দেখা যায়, সত্যি সত্যি সাপটি জল খাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখতেই হইহই পড়ে যায় এলাকা জুড়ে।
যদিও সাপটিকে জল খাওয়ানোর সময় চেল্লা সেটার লেজটি ধরে রেখেছিল নিজের নিরাপত্তার জন্য। এরপর দেখা যায়, সাপটি জল খেতেই কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে। তারপর এটাকে একটি প্লাস্টিকের জারে ভরে একটি জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে আসেন চেল্লা। চেল্লা জানান, কোবরা সাপটি ইঁদুর মারার বিষ জাতীয় কিছু খেয়ে নিয়েছিল। যার ফলে ডিহাইড্রেটেড হয়ে অজ্ঞন হয়ে পড়েছিল। এই সাপটির সহায়তা করায় নেটপাড়ায় নটরাজন, এঝুমালাই ও চেল্লার প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।
ফের এক বড়সড় দুর্ঘটনার (Accident) হাত থেকে রক্ষা পেল এক যাত্রীবাহী ট্রেন (Train)। এবারে দুর্ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর (Tamilnadu) তিরুনিন্নাভুর। রেল ট্র্যাকের উপর গাছের গুঁড়ি দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি ব্রেক কষলেন লোকো পাইলট (Loco Pilot)। আর এর ফলেই ফের এক দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফিরলেন শতাধিক যাত্রী।
রেলসূত্রে খবর, রেললাইনের উপরে নারকেল গাছের গুঁড়ি ফেলা ছিল। আর সেটিই দূর থেকে দেখতে পান লোকো পাইলট। এতে ট্রেন বেলাইন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্রেক কষে ট্রেন থামান। এই ঘটনার পরই রেলের আধিকারিক এবং রেলপুলিসকে খবর দেন তিনি। তাঁরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। এরপর রেললাইনের উপর থেকে গুঁড়িটি সরিয়ে দেওয়ার পর যাত্রা শুরু করে ট্রেনটি। তবে কোথা থেকে গাছের গুঁড়ি এল তা নিয়ে তদন্ত চলছে।
প্রাথমিকভাবে তদন্ত করার পর এক স্থানীয়ের নাম সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠছে, তিরুনিন্নাভুরের সেন্থিল নামে এক ব্যক্তি নারকেল গাছ কেটে তার একটা গুঁড়ি রেললাইনের উপর রেখে চলে যায়। তবে এর পিছনে কী উদ্দেশ্য, কেন এমনটা তিনি করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখনও করমণ্ডল এক্সপ্রেস কাণ্ডের রেশ কাটেনি। আতঙ্কে রয়েছেন দেশবাসী। কিন্তু এর মধ্যেই আরও একটি দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে এল। তবে এই প্রথম নয়, করমণ্ডলের পর একাধিক মালগাড়ির লাইনচ্য়ুত হওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এই যাত্রীবাহী ট্রেন একমাত্র লোকো পাইলটের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচেছে বলে দাবি পুলিসের।
'টাকা, খাবার যা প্রয়োজন সব দেব। কিন্তু সন্তানদের শ্রমিকের কাজ না করিয়ে স্কুলে পাঠান’— এই মূলমন্ত্র নিয়েই গ্রামে ঘুরে ঘুরে অভিভাবকদের বোঝাচ্ছেন এক সাব-ইনস্পেক্টর (SI)। পুলিসকর্মীর এই ভূমিকায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও স্বয়ং তাঁর প্রশংসা করে তাঁকে আরও উৎসাহ দিয়েছেন এই কাজের জন্য। ঠিক এমনই একটি ভিডিও (Viral Video) ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। এই ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মাদুরাইয়ের পেন্নালুরপেত্তাই এলাকায়। জানা গিয়েছে, ওই পুলিসকর্মীর নাম পরমশিবম।
তিনি তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের পেন্নালুরপেত্তাই এলাকার সাব ইন্সপেক্টর। ওই এলাকার বহু শিশু স্কুলে (Education) যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তাই ওই শিশুদের স্কুলে ফেরাতে তিনি নিজেই উদ্যোগ নিয়ে যোগাযোগ করেন জেলার শিক্ষা আধিকারিকদের সঙ্গে।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকার বেশিরভাগই উপজাতি সম্প্রদায়ের দরিদ্র এক একটি পরিবার। তাই টাকা উপার্জন করতে ও সংসার টানতে অধিকাংশই মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের স্কুল যাওয়া বন্ধ করিয়ে শ্রমিকের কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন। গ্রামে ঘুরে এ দৃশ্য দেখেন পরমশিবম। তারপরই তিনি গ্রাম ঘুরে ঘুরে অভিভাবকদের বোঝানোর কাজ শুরু করেন। কেন বাচ্চাদের স্কুল পাঠানো উচিত তাও অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলেন তিনি।
অভিভাবকদের তিনি আরও বলেন, 'টাকা, খাবার, বইখাতা, স্কুলের বেতন— যা-ই দরকার হোক না কেন, নির্দ্বিধায় আমার কাছে চলে আসুন। আমি সব ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু দয়া করে সন্তানদের স্কুলে পাঠান।' তাই সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর জন্য অভিাবকদের পরামর্শ দিয়েছেন এসআই পরমশিবম।
পাশাপাশি কড়া বার্তা দিয়ে পরমশিবম জানিয়েছেন, এরপরেও বাচ্চাদের যদি স্কুলে না পাঠানো হয়, তাহলে মা-বাবাদের অভিযুক্ত হিসাবে ধরা হবে এবং প্রয়োজনে গ্রেফতারও করা হতে পারে।
স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঝামেলার জেরে হাইভোল্টেজ তারে কামড় দিলেন স্বামী। বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত ওই ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর জেলায়। পুলিস সূত্রে খবর, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে জখম ওই ব্যক্তির নাম ধর্মদুরাই। বয়স ৩৩ বছর, রেড্ডিপালায়মের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, ধর্মদুরাই স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা-অশান্তি করেন। সে কারণে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন ধর্মদুরাইয়ের স্ত্রী। এই জন্য বেশ হতাশার মধ্যে ছিলেন তিনি। এমনকি স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনতেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর স্ত্রীয়ের সঙ্গে আবারও তর্কবিতর্ক হয়। তারপরই মদ্যপান করে তিনি উন্মাদের মতো বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে পড়েছিলেন। তাঁকে অনেকবার বুঝিয়ে নামানোর চেষ্টা করতেই তিনি হাইভোল্টেজ তারে কামড় বসিয়ে দেন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে খুঁটিতেই ঝুলে থাকেন তিনি। তারপর আরও একবার তাঁর দেহে তারের ছোঁয়া লাগতেই আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে আছড়ে পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, শ্যালকের বিরুদ্ধে থনায় একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন ধর্মদুরাই। কিন্তু তাতে কিছুই সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ। এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, বুধবার ধর্মদুরাই মত্ত অবস্থায় থানায় আসেন। তাঁকে অপেক্ষা করতে বলা হয়ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তিনি বেপাত্তা হয়ে যান।
ভয়ঙ্কর দৃশ্য! এতদিন আপনারা শুনেছেন বা দেখেছেন সাপে (Snake) মানুষকে কামড়াতে। কিন্তু এবারের ঘটনাটি একেবারে উল্টো। এবারে দেখা গিয়েছে, সাপকে কামড়েছে মানুষ। শুধু কামড় নয়, কামড় দিয়ে সাপের মাথাই কেটে ফেলেছে। আবার এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দিও করেছেন দু'জন ব্যক্তি। শুনতে অবাক লাগলেও এটিই ঘটেছে। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (TamilNadu)। এই ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মোহন, সূর্য, সন্তোষ নামের তিন ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। দেখা গিয়েছে, সাপকে ধরে কামড় দিয়ে তার মাথাই কেটে ফেলেছে। আবার এই দৃশ্যর ভিডিও করেছে বাকি দু'জন। ভিডিওতে শোনা গিয়েছে, সূর্য ও সন্তোষ সাপটিকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললেও মোহন তাকে না ছেড়ে কামড়ে দেয়। মোহনের দাবি, সাপটি তার হাতে কামড়েছে তাই সে তার প্রতিশোধ নিতে এমন কাণ্ড করেছেন। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, এরপর যখন সাপটি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল, তা দেখে হাসাহাসিও করছিল তারা।
এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে। পরিবেশবিদ এবং ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল অথরিটিকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। এরপর এই তিন ব্যক্তিকে প্রাণীদের উপর হিংস্রতা ও প্রাণী খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপরাধ প্রেমের প্রস্তাব (Love Affair) প্রত্যাখান করেছিল দ্বাদশ শ্রেণির মেয়েটি। সেকারণে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্রীর মুখে আঘাত (Attack) করা হয়েছে বলে অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে। বর্তমানে ওই ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) থুটুকুড়ি জেলায়।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই ছাত্রীটি সোমবার স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার সময় পথ আটকান অভিযুক্ত যুবক। সঙ্গে সঙ্গে ধারালো অস্ত্র বের করে ছাত্রীর মুখে আঘাত করেন অভিযুক্ত যুবক। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ছাত্রী। রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
ঘটনায় রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয়রা অভিযুক্ত যুবককে হাতেনাতে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে যে, ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ওই যুবক। সেই প্রস্তাব ফেরাতেই ছাত্রীর উপর হামলা চালান তিনি।
মৃত্যুর আগে বাবার শেষ ইচ্ছে ছিল ছেলের বিয়ে (Marriage) দেখে যাবেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই ইচ্ছাপূরণ হয়নি। ছেলের বিয়ে নিজের চোখে দেখার আগেই মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ের। তবে বাবার শেষ ইচ্ছে বলে কথা। তাই বেঁচে থাকা অবস্থায় না হলেও মৃত্যুর পর সেই ইচ্ছাপূরণ করলেন ছেলে। বাবার শেষকৃত্যের আগে মৃতদেহের (DeadBody) সামনে প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন ছেলে। এরপর বাবার সমস্ত ক্রিয়াকর্ম সম্পন্ন করলেন ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কাল্লাকুড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই প্রৌঢ়ের নাম ভি রাজেন্দ্রন (৬৫)। যিনি একজন সমাজকর্মী এবং ডিএমকে-র একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুর কিছুদিন আগে বাথরুমে পড়ে গিয়ে আরও বিপত্তি ঘটায়। এরপর থেকেই ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ভর্তি করানো হয়েছিল স্থানীয় একটি হাসপাতালে।
পরিবার সূ্ত্রে খবর, ওই সমাজকর্মীর ছেলে আর প্রবীণ (২৯) তামিলনাড়ুতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত। বাবার কথা রাখতে চেন্নাইয়ের মেদাভাক্কাম এলাকার বাসিন্দা তথা সহকর্মী এস সৌরনামালিয়া (২৩)-র সঙ্গে ২৭ শে মার্চ বিয়ে দিন ফাইনাল করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই এই পরিণতির জেরে বাবার নিথর দেহের সামনেই সারলেন বিয়ে। দুই পরিবারের সম্মতিতেই ছোট করে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাঁদের। কেউ কেউ বলেন, বাবার মৃতদেহের সামনে কীভাবে কেউ বিয়ে করেন? যদিও এসব আলোচনাকে পাত্তা না দিয়ে বাবার ইচ্ছেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন ছেলে ও পরিবার।
পড়ুয়ার গায়ে হাত তোলায় স্কুলশিক্ষককে মারধরের (Teacher beaten) অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে ছাত্রীর অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তুতিকোরিন জেলায়। ছাত্রীর বাবা-মাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিস (Police)।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিত শিক্ষকের নাম আর ভারত। তিনি সরকারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। স্কুলে ক্লাস চলাকালীন মন দিয়ে পড়া শুনছিল না ওই ছাত্রীটি। এমনকি সহপাঠীদের সঙ্গে ঝগড়াও করছিল সে। তাই শিক্ষক তাঁকে নিজের আসন ছেড়ে অন্য বেঞ্চে বসতে বলেছিলেন। তখনই বেঞ্চে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যায় পড়ুয়া। তারপরে বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের কাছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর গায়ে হাত তোলার মিথ্যা অভিযোগও করে ওই পড়ুয়া। এই কথা শুনেই শিক্ষকের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে যান ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা।
স্কুল সূত্রে খবর, পড়ুয়ার বাবা-মা কোনও নিয়মকানুন না মেনে সোজা ক্লাসের ভিতর ঢুকে যান। অনেক বচসার পর ছাত্রীর বাবা হঠাৎই শিক্ষককে মারতে শুরু করেন। গোটা স্কুল চত্বরে শিক্ষককে তাড়া করে বেড়ান তিনি। এমনকি, স্কুলের মাঠে সাবার সামনে পড়ুয়ার বাবা-মা দু’জনেই মারধর করেন শিক্ষককে। ছাত্রীর বাবা শিক্ষকের দিকে পাথরের টুকরো ছুড়েও মারেন। এমনকি ছাত্রীর মা শিক্ষককে জুতো দিয়ে মারার হুমকিও দেন, দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
এই ঘটনার তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রামাণ পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, আশ্বাস পুলিস আধিকারিকদের।
বাজি তৈরির কারখানাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ (Explotion)। আগুন লেগে এই দুর্ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে মৃত (Death) ৭ জন এবং জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
বুধবার তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে বাজি তৈরির কারখানাতে ভয়াবহ আগুন লাগে। পুলিস সূত্রে খবর, বাজি তৈরি করার পর বাজিগুলোকে রোদে শুকোতে দিয়েছিলেন ওই কারখানার কর্মীরা। রোদে শুকোতে দেওয়া ওই বাজিগুলোতেই প্রথমে আগুন লাগে। তারপর সেই আগুন গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে পুরো কারখানার ভিতর। সঙ্গে সঙ্গেই ভয়ানক বিস্ফোরণ ঘটে যায়। সেই বিস্ফোরণের কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। হাসপাতালে যাওয়ার পথে আরো দু'জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, হঠাৎই বিস্ফোরণের আওয়াজ পেয়ে ছুটে এসে দেখেন বাজির কারখানার চারপাশে কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। চারিদিকে ছিটকে পড়ে রয়েছে কারখানার কর্মীরা। স্থানীয়রা সকলে মিলে প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও, সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। খবর দেওয়া হয় দমকল এবং অ্যাম্বুল্যান্সে। স্থানয়ীরাই আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিস জানিয়েছে, এই কারখানার লাইসেন্স বৈধ কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন।