প্রসূন গুপ্ত: স্বাধীনতা উত্তর যুগে সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে সৌজন্যতা ভীষন ভাবেই ছিল। পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু মনে করতেন স্বাধীনতা সংগ্রামে সবারই দান আছে। অন্যদিকে এ রাজ্যে দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী ড. বিধানচন্দ্র রায়ও ঐ একই ভাবনায় বিশ্বাস করতেন। এ কারণে দুটি জায়গা থেকে দুই ভবিষ্যতের নেতার পরিচিতি হয়েছিল। একজন অটল বিহারী বাজপেয়ী অন্যজন জ্যোতি বসু।
আইনসভায় বা ভোটের সময় যতই এক দল অন্য দলকে আক্রমন করুক না কেন ব্যক্তিগত কুৎসা কখনও হতো না। এটির জন্ম ইন্দিরা গান্ধীর আমল থেকে। বাংলাদেশ যুদ্ধের পরে ইন্দিরা কিংবদন্তী হয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু জরুরি অবস্থার পরে তিনিই হয়ে গেলেন বিরোধীদের ঘৃণার পাত্রী। কারণও ছিল, ঐ সময় নতুন আইন চালু করে ইন্দিরা, বিরোধীদের জেলে পরেছিলেন। কাজেই বিষয়টি শত্রুতায় পরিনত হলো। ১৯৭৭ এর লোকসভা ভোট থেকে রাজনৈতিক দলগুলি ইন্দিরাকে প্রচারে ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে দলীয় আক্রমনে তুলোধনা করেছিল। ৭৭ এ হেরে ফের ক্ষমতায় ফের ইন্দিরা কংগ্রেস এবং ঐ সময় থেকে কংগ্রেসও বিরোধীদের ভয়ঙ্কর প্রচারে নাস্তানাবুদ করেছিল। এটা পরিবর্তিত হয় রাজীবের আমলে। পরে নরসিমা রাও, অটলবিহারী বা ড. মনমোহন সিং কিন্তু যথেষ্ট সৌজন্য দেখান বিরোধীদের।
কিন্তু এ বাংলায় বামেরা ৭৭এ ক্ষমতায় আসার পরে কেন্দ্র তথা রাজ্যের বিরোধীদের যে ভাষা ব্যবহার করতো তা বোধকরি বটতলা নিষিদ্ধ বইয়ের ভাষাকে লজ্জা দেবে। আজকে শূন্য হয়ে যাওয়ার পরেও তাদের ভাষা আক্রমন বিন্দুমাত্র কমে নি। সংস্কৃতি হাত বদল হয়। ২০১১ এ ক্ষমতায় এসে ভাষা আক্রমনে তৃণমূল যেন ৩৪ বছরের ক্রোধ উসুল করে নিয়েছে। বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী আসনে বিজেপি। মোদী জমানা থেকে কেন্দ্র বা রাজ্যে বিজেপি বিরোধীদের একপ্রকার পাত্তাই দেয় না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিভিন্ন ভোট প্রচারে ভয়ঙ্কর আক্রমণাত্মক। এদের স্ট্র্যাটেজিই তাই। এ রাজ্যে কুবচন যেন এক সংস্কৃতি। কিন্তু এবারের লোকসভা ভোট প্রচারে নরেন্দ্র মোদী কিন্তু যথেষ্ট সংযত। ব্যক্তি আক্রমণে যাচ্ছেন না মোটেই। বিশেষজ্ঞদের মতে তিনি ফের ক্ষমতায় ফিরছেন কাজেই হালকা ভাষনে ব্যস্ত থাকছেন।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের নানান কেন্দ্রে সৌজন্যের প্রচার দেখা যাচ্ছে। হুগলি কেন্দ্রে দুই বন্ধু লকেট ও রচনা কেউ কারও বিরুদ্ধে মুখ খোলেন নি। ব্যারাকপুর কেন্দ্রে পার্থ ভৌমিক বা অর্জুন সিং প্রচারে পরস্পরকে "বন্ধু" বলছন। যাদবপুর কেন্দ্রে অনির্বাণ বা সায়নী পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রাখছেন। কিন্তু ব্যাতিক্রমও আছে। তমলুক কেন্দ্রে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী ও তৃণমূলের দেবাংশু তীব্র আক্রমনেই রয়েছেন।সৌজন্যের রাজনীতি আজ আর কোথায়।
অসুস্থ বলিউড ‘শাহেনশাহ’ অমিতাভ বচ্চন। খবর অনুযায়ী, তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে বিগ বি-র। যদিও বচ্চন পরিবারের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি।
বলিউড সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালেই কোকিলাবেন হাসপাতালে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয় তাঁর। অস্ত্রোপচারের পর অমিতাভ নিজেই টুইট করেছেন। বিগ বি লিখেছেন, 'আমি চিরকৃতজ্ঞ'। অমিতাভের টুইট থেকেই বোঝা যাচ্ছে, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হওয়ার পর সুস্থই রয়েছেন তিনি।
প্রায় এক বছর সাত মাস ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেল হাজতে রয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। এমন দাবি ইডি ও সিবিআই করে এসেছে বরাবর৷ এবার ইডির বিশেষ অধিকর্তার রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মামলায় এই তলব বলে জানা গিয়েছে। কবে থেকে নিম্ন আদালতে বিচারপর্ব শুরু করা সম্ভব? সেই বিষয়ে রিপোর্টে আদালতকে জানাতে হবে। বুধবার এমনই গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
এদিনের আদালতের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে হেফাজতে রাখা যায় না। এক বছর সাত মাস জেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। সেই কথা ঠিক আছে। কিন্তু আর কতদিন? ইডির আইনজীবী ও আধিকারিকের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন বিচারপতির।
প্রেসিডেন্সি জেলের পহেলা বাইশ বিশেষ সেলে আছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বান্ধবী অর্পিতাও জেল হেফাজতে। একের পর এক তথ্য সামনে এসেছে তদন্ত মাধ্যমে। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছিল। একের পর এক সম্পত্তির হদিশ মিলেছিল। তৃণমূলের সেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা, দলের মহাসচিবের জায়গা হয়েছিল গারদের ওপাড়ে। দল তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার মতোই। মন্ত্রিসভা থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেভাবে এত দিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে কথা খরচ করেনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেশ কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে জামিনের আবেদন করে এসেছেন। নিজে জামিনের সওয়াল করেছেন। তিনি কোথাও যাবেন না। বাড়িতেই থাকবেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ। এভাবে আর জেলবন্দি থাকতে পারছেন না। আদালতে বহু বার এমন কথা বলে কাতর আবেদন করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কোনওবারই জামিন মেলেনি৷ ইডি ও সিবিআই বরাবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রভাবশালী বলে আখ্যা দিয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অন্যতম মুখ। এই দাবিও করা হয়েছে। জামিন বরাবর না মঞ্জুর হয়েছে আদালতে।
এবার আদালত এই বিষয়ে নিজেই প্রশ্ন করেছে৷ আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি। ওই দিন ইডিকে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে হবে। তাহলে কি এবার শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া?
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তলব করা হল কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডি দফতরে দফতরে আসেন বাপ্পাদিত্য। ইডি সূত্রে খবর, এই তৃণমূল কাউন্সিলরকে তাঁর ব্যাংকের পাসবুক, সমস্ত লেনদেন এবং আয়কর রিটার্নের সমস্ত কাগজপত্র সহ বেশ কয়েকটি নথি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যা বৃহস্পতিবারই ইডি দফতরে জমা দেন বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। টানা ৬ ঘণ্টা ধরে চলছে জিজ্ঞাসাবাস।
প্রসঙ্গত, একসময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-এর সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা ছিল বাপ্পাদিত্যের। সেই কারণে প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় পার্থের ভূমিকা সম্পর্কে বাপ্পাদিত্য অনেকটাই জানেন বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তবে পার্থর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণেই তাঁকে তলব, এমনটাই দাবি এদিন ইডির দফতরে হাজিরা দিতে আসা বাপ্পাদিত্যের। পাশাপাশি তাঁর সাফ দাবি প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
তবে গত বছর প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতে উদ্ধার হয় প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত এবং এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি। প্রায় ১০০ পাতার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছিল বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এরপর বৃহস্পতিবার বাপ্পাদিত্যকে আবার তলব ইডির। এই বিষয়ে জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।
পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। এই মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। পাশাপাশি, অয়ন শীলের সংস্থার একাধিক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বিভিন্ন পুরসভার কর্মীদের-ও। জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভার ক্লার্ক, পিয়ন সহ একাধিক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ২০টি সেন্টারে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিল মূলত ভুয়ো পরীক্ষার্থীরাই। এমনকি প্রার্থী সংখ্যাতেও কারচুপি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই সেই সময় কারা পরিদর্শক ছিলেন, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো বরানগর পুরসভার কর্মীদের ডেকে পাঠানো হয়। বুধবার এই মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন বরানগর পুরসভার ২ কর্মী।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে, এক প্রাক্তনসরকারি কর্মী জানান, তিনি তিনবছর আগে একটি স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। তবে বাকি কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি তিনি।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি কি আদৌ সম্ভব? সিবিআইয়ের তদন্তে কি সামনে আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম?
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে 'গানওয়ালা' কবীর সুমন। তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁকে ভর্তি করা হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। শিল্পীর চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।
কবীর সুমন সজাগ রয়েছেন। আপাতত অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন। ৪ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তার মধ্যে একজন জেনারেল মেডিসিন, ক্রিটিকাল কেয়ার স্পেশালিস্ট, পালমনোলজিস্ট বা চেস্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এবং একজন কার্ডিওলজিস্ট বা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।
এর আগে, ২০২১ সালের জুন মাসেও একবার শ্বাসকষ্ট নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই বিশিষ্ট গায়ক-সঙ্গীতকার। সেবার ভোর রাতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেবার অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয় তাঁকে। জানা গিয়েছে, ৭২ বছরের এই প্রবীণ সংগীত শিল্পীর গলায় প্রবল ব্যাথা ছিল, কথা বলতেও কষ্ট ছিল তাঁর। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়েছিল কবীর সুমনের। সেই টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁর আরটি পিসিআর টেস্ট করা হয়।স দিন বিকেলেই অসুস্থ সঙ্গীতশিল্পীকে দেখতে এসএসকেএমে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতির চারটি মামলার তদন্ত শেষে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সোমবার নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি'র মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ করা হয়েছে আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে। আর এই চারটি মামলাতেই নাম জড়াল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তবে চার্জশিট জমা পড়লেও এখনও সেই চার্জশিট নিয়ে শুনানি বা কোনও নির্দেশ হয়নি আদালতে। ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিপোর্ট দেওয়ার আগে এই চারটি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, জানুয়ারির নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করে সোমবার চার্জশিট জমা করেছে সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতিতে এক সঙ্গে চারটি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট পেশ হতে পারে বলেই খবর। সোমবার নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডিতে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে চার্জশিট পেশ করছে সিবিআই। নবম-দশম মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৭ জনের নাম রয়েছে বলে খবর। গ্রুপ-সি মামলার চার্জশিটে রয়েছে শিক্ষাদফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের নাম। এছাড়াও চার্জশিটে রয়েছে একাধিক এজেন্টের নাম। রয়েছে একাধিক ব্যক্তির বয়ানও।
স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে এক লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। প্রতারণার শিকার খোদ তৃণমূলের যুব নেতা। অভিযোগ, ভুয়ো তৃণমূল কর্মীর পরিচয়ে প্রতারণা করা হয়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত ওই ভুয়ো তৃণমূল কর্মী। অভিযুক্তের সঙ্গে বিধায়ক এবং মন্ত্রীর ছবি ঘিরে শুরু বিতর্ক। প্রতারিত যুব নেতা প্রতারক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার পাকুড়তলার বাসিন্দা পৃথ্বীরাজ তাঁতি প্রতারণার শিকার হন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন তিনি। বর্তমানে কৌতলা অঞ্চল যুব তৃণমূলের সভাপতি। গত সেপ্টেম্বর মাসে দলের কর্মসূচিতে গিয়ে আলাপ হয় পাথরপ্রতিমা বিধানসভার লক্ষ্মীজনার্দনপুর পঞ্চায়েতের মহেশপুরের বাসিন্দা প্রীতম কলার সঙ্গে।
অভিযোগকারী যুব তৃণমূল নেতার দাবি, প্রীতম তৃণমূলের অঞ্চল সম্পাদকের পদে ছিলেন। এরপর তাঁকে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির টোপ দেন প্রীতম। এমনকি চার লক্ষ টাকায় গ্রুপ-ডি পদে চাকরি দেওয়ার জন্য স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি হয়। অগ্রিম ১ লক্ষ টাকা নেয় প্রীতম। এরপর কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির একটি নিয়োগপত্র হাতে পান পৃথ্বীরাজ। সেই নিয়োগপত্র নিয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে কাজে যোগ দিতে গেলে সুপার জানিয়ে দেন এটি ভুয়ো নিয়োগপত্র। তারপরেই ফাঁস হয়ে যায় প্রতারণার জাল।
এরপর ওই প্রতারিত নেতা কলকাতা পুলিস ও সুন্দরবন পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত প্রীতমের পরিবার তৃণমূল সমর্থক বলে জানান তাঁর মা রীণা কলা। তবে প্রতারণার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডির তলব ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ সরকার ওরফে ভজাকে। তিনি শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অতি ঘনিষ্ঠ। এর আগে তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালালেও সম্ভব হয়নি যোগাযোগ। এবার সিজিও কমপ্লেক্সে পার্থ সরকারকে তলব ইডির। আজ, বুধবারই বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শরীরিক অসুস্থতার দোহাই দিয়ে হাজিরা এড়ালেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর পার্থ সরকার।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলা শেষ করার সময় যতই এগিয়ে আসছে তদন্তে খুঁটিনাটি জানতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তৎপরতা বাড়ছে। বেরিয়ে আসছে নতুন মুখ। এর আগেও ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের পাটুলির বাড়িতে পৌঁছেছিল সিবিআই। এবার যাঁর ডাক পড়েছে তাঁর বাড়িতেও এর আগে এসেছিল সিবিআই। তবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ সরকারের সঙ্গে। যদিও তল্লাশি চালিয়ে তাঁর বাড়ি থেকে সিবিআই উদ্ধার করেছিল কিছু নথি।
সূত্রের খবর, এবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির তরফে ডেকে পাঠানো হল পার্থ সরকারকে। নিয়ে আসতে বলা হয়েছে বেশ কিছু তথ্য, নথিও। প্রথমে বাড়ি তল্লাশি, তার বেশ কিছু সময় পর খোদ কাউন্সিলরকে তলব ইডির। সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র সহ বেশ কিছু ধাপ পেরিয়ে পৌঁছতে হত তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তাঁর গ্রেফতারির পরে অঘোষিত বিধায়ক হিসেবে বেহালা পশ্চিম চত্বরে দেখা গিয়েছে এই পার্থ সরকারকেই। কিন্তু এদিন তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও এড়িয়ে যান। তাঁর তরফ থেকে ৫দিনের সময় চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু নথি তিনি ইডি দফতরে পাঠিয়েছে ও বেশ কিছু নথি জোগাড় করতে সময় লাগবে বলে ইডির আধিকারিকদের জানিয়েছেন পার্থ সরকার। এখন দেখার, সেসব নথি থেকে কী কী তথ্য খুঁজে পায় ইডি।
জ্ঞানবাপী মামলায় (Gyanvapi Case) ফের বড়সড় ধাক্কা খেল মুসলিম পক্ষ। তাঁদের দায়ের করা সমস্ত আবেদন খারিজ করে দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad Court)। মসজিদ প্রাঙ্গনে হিন্দু মন্দির রয়েছে বলে দাবি করে হিন্দু পক্ষ যে আবেদন করেছিল, তা খারিজ করার জন্য আবেদন জনিয়েছিল মুসলিম পক্ষ। এবারে সেই সমস্ত আবেদনই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে। এছাড়াও এই মামলার শুনানি ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বারাণসীর আদালতকে।
সোমবারই জ্ঞানবাপীর বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা নিয়ে বারাণসী জেলা আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। তার পরের দিনই দ্রুত শুনানির নির্দেশ দিল উচ্চতর আদালত। এর পর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে, মসজিদ চত্বরটি হয় হিন্দু নয় মুসলিম- কোনও এক পক্ষের বৈশিষ্ট্যই বহন করবে। এভাবে মামলা চলতে থাকলে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন মামলা চলার ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ভারতের বৃহত্তম দুই সম্প্রদায়ের উপর। তাই মসজিদ চত্বরে মন্দিরের পুনর্নির্মাণ চেয়ে যে আবেদনগুলো জমা হয়ে রয়েছে, আগামী ৬ মাসের মধ্যে তার শুনানি শেষ করতে হবে বলে বারাণসীর আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেজাজই যেন আসল রাজা। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির তৈরি করা রিপোর্ট শুক্রবারই পেশ হতে চলেছে সংসদে। এদিনই বাতিল হয়ে যেতে তাঁর সাংসদ পদ। কিন্তু লোকসভায় ঢোকার আগে একেবারে ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেল তাঁকে। একগাল হাসি, কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও রীতিমতো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার শোনা গেল তাঁর মহুয়া মৈত্রের কণ্ঠে।
লোকসভায় ঢোকার মুখে কাজী নজরুল ইসলামকে উদ্ধৃত করে মহুয়া বলেন, “অসত্যের কাছে কভু নত নাহি কর শির/ ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ, লড়ে যায় বীর।’’ তৃণমূল সাংসদের হুঙ্কার, “মা দুর্গা এসে গেছে, এবার দেখা যাক কী হয়!” এরপর বলেন,‘‘এঁরা বস্ত্রহরণ শুরু করেছে। এ বার আপনারা মহাভারতের যুদ্ধ দেখতে পাবেন।’’
লোকসভার এথিক্স কমিটি যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাতে দাবি করা হয়েছে, মহুয়া মৈত্র যা করেছেন, তা কঠোর শাস্তিযোগ্য়। টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে। ৫০০ পাতার রিপোর্টে তাঁর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে এথিক্স কমিটি। লোকসভার পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি রিপোর্টে উল্লেখ, 'সেই লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগইন করা হয়'। কমিটির মতে, 'স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা'। তাই কমিটির সুপারিশ, সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সতেরো-তম লোকসভার সদস্য়পদ বাতিল করা হোক।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি আধ ঘণ্টার মধ্যে মহুয়ার বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হোক। তবে তৃণমূলের দাবি, ওই প্রস্তাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে হবে।
নারদা মামলায় (Narada Case) আদালতে হাজিরা দিলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee), কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। নারদা মামলায় আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করল ব্যাঙ্কশাল কোর্ট।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, বৃহস্পতিবার নারদা মামলায় হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল। সেই মতো এদিন সকালেই আদালতে পৌঁছে যান রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এদিন কলকাতার নগর দায়রা আদালতে হাজিরা দিতে এসেই তিনজনকেই একই কথা বলতে দেখা যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে সিবিআই অভিযান নিয়েও তিন জনই মন্তব্য করেন ও জানান যে, সবের পিছনেই রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
অন্যদিকে অভিযুক্তদের আইনজীবী অনিন্দ্য কিশোর রাউত দাবি করেন, 'নারদা মামলায় ববি হাকিমের কোনও যোগ নেই। মুকুল রায় মির্জা কে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এত বছর ধরে মামলা চলছে কোনও সঠিক রিপোর্ট নেই। সরকারি আইনজীবীরা লিখিতভাবে জমা দিন, আমরা রিপোর্ট জানাব।' ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ফৌজদারি বিল নিয়ে অযথা যাতে তাড়াহুড়ো না করা হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপাতার ওই চিঠিতে জানিয়েছেন, ওই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করছেন তিনি।
৪ ডিসেম্বর থেকে শীলকালীন অধিবেশন শুরু হবে। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেসময় ফৌজদারি বিল এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিল পেশ হতে পারে। মূলত ফৌজদারি বিলের ক্ষেত্রে অযথা তাড়াহুড়ো না করার আর্জি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমান ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়িত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এর বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী আগেও সরব হয়েছেন। ওই প্রস্তাবিত আইনের ধারা নিয়ে চরম আপত্তি তুলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিয়ের পরদিনই হাসপাতালে ভর্তি করা হল পরম পত্নী পিয়াকে। কী এমন হল? এই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন অনুরাগীদের। গতকাল অর্থাৎ সোমবার চারহাত এক হয়েছে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তীর (Piya Chakraborty)। পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়েই আইনি বিয়ে সম্পন্ন করেছেন তাঁরা। কিন্তু রাত পেরোতে না পেরোতেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন পিয়া চক্রবর্তী।
জানা গিয়েছে, পিয়া চক্রবর্তীর বহুদিন ধরেই কিডনি স্টোনের সমস্যা আছে। এ নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে তাঁকে। একাধিকবার চিকিৎসকের কাছেও যেতে হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতোই মঙ্গলবার শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন পিয়া। সেখানেই তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা। শোনা গিয়েছে, মাইনর একটি সার্জারি হবে পিয়ার। বিয়ের দিনও তাঁকে ব্যথা সহ্য করতে হয়েছে, এমনটা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন পিয়া। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার শরীর বেশি খারাপ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়।
অবশেষে জল্পনার অবসান। টলি পাড়ার ‘মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলর’ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় সোমবারই গাঁটছড়া বাঁধলেন পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। গুঞ্জনই অবশেষে হল সত্যি। সমস্ত জল্পনায় এত দিনে সিলমোহর পড়ল। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিয়ের ছবি শেয়ার করলেন পরমব্রত। ক্যাপশনে ভালোবাসার বার্তা স্পষ্ট। অভিনেতা লেখেন, “তাহলে চলো শুরু হোক, তুমি আর আমি… সন্ধ্যা যখন আকাশে ছড়িয়ে পড়েছে।”
২০২১ সালে সংগীতশিল্পী অনুপম রায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে পিয়া চক্রবর্তীর। ফলে বিচ্ছেদের দু'বছরের মধ্যেই ফের গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকালে ঘরোয়া আয়োজনেই বিয়ের পর্ব সারলেন পরমব্রত-পিয়া।মূলত দুই পরিবার এবং একান্ত ঘনিষ্ঠ কিছু বন্ধুর উপস্থিতিতেই সই-সাবুদের মাধ্যমে বিয়ে হয় তাঁদের।
পিয়া-পরমব্রতের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই গুঞ্জন রটেছিল। এমনকি অনুপমের সঙ্গে পিয়ার বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে পরমব্রতকেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু সে বিষয়ে পরমব্রত বিরক্তি প্রকাশও করেছিলেন। আবার এইসব গুঞ্জনকে নিছক গুজব বলেও উড়িয়ে দিতেন তিনি। কিন্তু যা রটে, তার কিছুটা তো বটেই। পরম-পিয়ার প্রেম নিয়ে টলিপাড়ায় যে কানাঘুষো চলছিল তা অবশেষে সত্যিই হল। পিয়ার সঙ্গে দু'বছরের বন্ধুত্বকে বিয়ের স্বীকৃতিই দিলেন অভিনেতা।