মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে তুঙ্গে ছিল রাজনৈতিক তরজা। বুধবার অন্য সৌজন্যে নজির দেখল বঙ্গ রাজনীতি। অনেকে বলছেন, এটাই হওয়া উচিৎ। কী সেই সৌজন্য? বুধবার বিশুদ্ধানন্দ হাসপাতালে গিয়ে আহত বিজেপি কাউন্সিলর (BJP Councillor) মীনাদেবী পুরোহিতের খোঁজ নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ ববি হাকিম (Firhad Hakim)। পাশাপাশি এসএসকেএম চিকিৎসাধীন কলকাতা পুলিসের এসিপি-র খোঁজ ফোনে নিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যেখানে দুই ঘটনায় একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল এবং বিজেপি।
যদিও মীনাদেবীকে দেখে বেড়িয়ে ববি হাকিম জানান, কলকাতা পুরসভার দীর্ঘদিনের সহকর্মী হিসেবে উনাকে দেখতে এসেছি। পুরসভা মীনাদেবীর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করবে। মুখ্যমন্ত্রীও সুস্থ কামনা করে অভিনন্দন পাঠান। একজন মানুষ, অপর মানুষের সুস্থতা কামনা করবে। উনি একসময় ডেপুটি মেয়রও ছিলেন।
এদিকে, কলকাতা পুলিসের অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, পুলিসও আমাদের মতো মানুষ। এসিপির সঙ্গে কথা হয়েছে। কথা বলতে পারছেন। তবে কষ্ট আছে, খুব ভালো নেই বললেন। আশা করি সুস্থ হয়ে যাবেন দ্রুত।
তিন জায়গা থেকে বিজেপির (BJP) নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) পদযাত্রা এগোবে রাজ্য সচিবালয়ের দিকে। একটি পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন দিলীপ ঘোষ, বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে সেই মিছিল এগোবে নবান্নের দিকে। সাঁতরাগাছি থেকে একটি মিছিল এগোবে নবান্নমুখী, এই মিছিলের নেতৃত্বে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর হাওড়া ময়দানের মিছিলকে নেতৃত্ব দেবেন সুকান্ত মজুমদার। সোমবার এই রুটম্যাপ জানান বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।
তিনি জানান, শান্তিপূর্ণভাবে মানুষের প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাখতে এই নবান্ন অভিযান। তবে বিজেপির এই কর্মসূচি আটকাতে পুলিস-প্রশাসন সক্রিয় হয়েছে। রাজ্যের একাধিক স্টেশনে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ট্রেনে উঠতে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফালাকাটা, আলিপুরদুয়ার স্টেশনে বিজেপি কর্মীদের আটকাতে ঢুকে গিয়েছে রাজ্য পুলিস। এই অভিযোগ এদিন তোলেন সুকান্ত মজুমদার।
পাশাপাশি তাঁর হুমকি, 'পুলিসের এই অতিসক্রিয়তার জেরে কোনওভাবে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হলে তার দায় প্রশাসনের। আশা করব পুলিস-সহ অন্য সরকারি কর্মী যারা আছেন, তাঁরা আমাদের সাহায্য করবেন। কারণ মহার্ঘ ভাতা তাঁদেরও বাকি। তাঁদেরও একটা সংসার, সন্তান-সন্ততি আছে।' ১৪৪ ধারা ভেঙেই আমরা নবান্নের দিকে যাব। এদিন হুঁশিয়ারি সুকান্ত মজুমদারের। এদিকে, মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং যান চলাচল সচল রাখতে তৎপর কলকাতা পুলিস। জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচির নাকি অনুমতি নেই।
তাও দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে একটা মিছিল কলেজ স্কোয়ার থেকে এমজি রোড হয়ে হাওড়া ব্রিজ যাবে। সেই মিছিল আটকাতে কলেজ স্কোয়ারে জারি ১৪৪ ধারা। সারা কলকাতাজুড়ে ২০০০ পুলিস মোতায়েন থাকবে। বিশেষ নজরদারির দায়িত্বে স্পেশাল সিপি দময়ন্তী সেন। অ্যাডিশনাল সিপি ২ জন, ডিসি পদমর্যাদার আইপিএস ১৮ জন। অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার ৩২ জন। এছাড়াও ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার ৬২ জন এবং সার্জেন্ট থাকছেন ১২৪ জন। শহরের বিভিন্ন মোড়ে রাখা থাকবে ৫টি জল কামান। দুটি কলকাতা পুলিসের বজ্র যান। কাল সকাল থেকেই ড্রোনের মাধ্যমে আকাশপথে চলবে নজরদারি। সম্ভবত মঙ্গলবার দিনের বিশেষ সময়ে বন্ধ থাকবে হাওড়া এবং হুগলী ব্রিজ।
লাল বাজার সূত্রে খবর, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে পর্যাপ্ত পুলিসি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। হাওড়া ব্রিজে ওঠার মুখে পুলিসি বাধার মুখে পড়বে বিজেপির পদযাত্রা। এমনটাই লালবাজার সূত্রে খবর। অর্থাৎ মঙ্গলবার কাজের দ্বিতীয় দিনে শহর সচল রাখতে সব ব্যবস্থা সেরে রেখেছে কলকাতা পুলিস।
কয়লা-কাণ্ডে ইডি জিজ্ঞসাবাদের মুখোমুখি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রায় ৫ ঘন্টা পার, সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এ অবস্থায় বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ বড় কিছু ঘটতে পারে, আপনারা দেখতে থাকুন। এই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এদিন বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি (Sukanta Majumder) বলেন, 'দিদি ঘুরে আসার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে গিয়েছেন। দিদির প্রিয় কেষ্ট জেলে আছেন। যদি বোঝাপড়া থাকতো এঁরা জেলে যেতেন না। আগামি দিনে কেউ কেউ যেতে পারেন। আজকেও বড় কিছু ঘটতে পারে। আপনারা লক্ষ্য রাখুন।'
সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্যের পরেই তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানান, 'সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যে দুটো কথা স্পষ্ট হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটিং করেন না। কারও সঙ্গে আপস করে না। আর দ্বিতীয় ইডি, সিবিআই এখন আর নিরপেক্ষ নয়। বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে চলে। সেটাই আজ উনি ভুল করে হলেও ঠিক বলে ফেলেছেন।' কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর আবার খোঁচা, 'দিদি-মোদীর সেটিং আছে, ভাইপোর ভয়ের কোনও কারণ নেই।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মন্তব্য, 'বড় কিছু হওয়ার গল্প কোথায়? মুখ্যমন্ত্রী সব জানেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যখন চিটফান্ড-কাণ্ডের তদন্ত করছে, তখন কুণাল ঘোষ বলেছিলেন চিটফান্ডে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যিনি সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ছিলেন, তিনি এখনও জেলের বাইরে। তাই বড় কিছু ঘটেনি। কিন্তু ঘটতে পারতো।'
সুকান্ত মজুমদার বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের দলীয় সভা থেকে 'হাকিম সাহেব' প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বিজেপির গৃহীত 'চোর ধরো, জেল ভরো' কর্মসূচিতে তিনি বলেন, 'তৃণমূলের একজন হাকিম সাহেব আছেন, তাঁরও সময় এসেছে ভিতরে (পড়ুন জেলে) ঢোকার।' বঙ্গ বিজেপির সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে তুঙ্গে শাসক-বিরোধী তরজা। শুক্রবার সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম।
ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার?
এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের এই মন্ত্রী বলেন, 'আমি সুকান্ত মজুমদারদের উদ্দেশ্য বলি, কোন মামলায় আমাকে ফাঁসানো হবে বলে দিন। মনে হচ্ছে লিস্ট আপনি করে দিচ্ছেন৷ কোন মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হব বলে দিন। কোনও দিন যে কাজ অন্যায়, মানুষের চোখে অন্যায়, এমন কাজ করিনি। এত কুৎসা, অভিসন্ধি, আমার ওপরে এত রাগ কেন? এর কারণ বুঝতে পারছি না।'
অভিমানের সুরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'অনেক সাংবাদিক বন্ধু লিখে দিচ্ছেন আমার কাছে নোটিশ গিয়েছে। রেইড হচ্ছে কেন এত আনন্দ? মিডিয়া ট্রায়াল চলছে। কী এমন অন্যায় করলাম, যে সব সময় আমাকে হেনস্থা৷ ববি হাকিম তৃণমূল কংগ্রেস করে মানেই অসাধু। আর সুকান্তবাবুর দলে গেলেই সাধু।'
তিনি প্রশ্ন করেন,'ভারতে আইন-সংবিধান-বিচার ব্যবস্থা আছে। সবার মানসম্মান আছে। এই কাজে আমার সম্মান নষ্ট হচ্ছে। সব অসাধু আমরা, আর আপনার দলে গেলে সাধু এটা হতে পারে না৷ সবাই ভয় পেয়ে গেছেন নাকি? তরোয়ালের কাছে পেন কি ভয় পেয়েছে? আমার জেলে যেতে ভয় লাগে না। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি, সম্মানহানি ভয় লাগে৷ আমাকে ঢুকিয়ে দিন। আসুন আপনি নিজে। আমাকে ঢুকিয়ে দিন। আপনিও কারও স্বামী, কারও বাবা। আমিও তাই। কেসের আগে কেন মিডিয়া ট্রায়াল, সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়াল হচ্ছে?'
ফিরহাদ হাকিম দাবি করেন, 'আমার একটা কেস হয়েছিল। আমি জেলে ছিলাম। আমি হাসপাতালে ছিলাম না। বিরোধী দলনেতা বলে দিয়েছেন সেই ব্যাপারে। আমি অসম্মানিত হতে চাই না।'
শুনুন কী জবাব দিলেন ববি হাকিম?
নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) দিন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডা বহনের আবেদন করেছেন দলের সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। যদিও তাঁর এই আবেদন ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির (BJP) সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের যুক্তি, 'নবান্ন অভিযানের দিন পুলিস জল কামান ছুঁড়বে সেই কামানের মাঝে আমাদের পতাকা সোজা করে ধরে রাখতে ডাণ্ডা দরকার।'
বারাসাতের এক রক্তদান শিবিরে থেকে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'তৃণমূল নেতারা আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ চুরি করছে। তার বিরুদ্ধে নবান্ন অভিযান হবে। সেখানে ঝাণ্ডা নেবেন, ঝাণ্ডার সাথে ডাণ্ডাও নেবেন।' এরই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সুকান্ত জানান, নবান্ন অভিযানে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়বে, জলকামান চালাবে। সেখানে আমাদের আমাদের পতাকা শক্ত করে ধরে থাকতে হবে এবং তার জন্য ডাণ্ডাই লাগবে।' হিংসার বদলে হিংসার রাজনীতি ভারতীয় জনতা পার্টি সমর্থন করে না। আমরা সংবিধানে বিশ্বাসী।
পাশাপাশি তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, 'আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত দিয়ে যদি ভাবেন বেঁচে যাবেন তবে ভুল। আজ না হয় কাল আপনাদের কীভাবে ট্রিটমেন্ট করতে হয় তার ব্যবস্থা করব।' এদিন বাইক র্যালির মাধ্যমে মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসাত ডাকবাংলো মোড় হয়ে সেই রক্তদান শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি।
এদিকে, সুকান্ত মজুমদারের এই হুঁশিয়ারিকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'গণআন্দোলন কাকে বলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাম জমানায় শান্তিপূর্ণ ভাবে করে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর এই যে ঝাণ্ডার সঙ্গে ডাণ্ডার তুলনা টেনে হিংসা, সন্ত্রাসে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। এই মন্তব্য প্ররোচনামূলক।'
মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে খেলা দিবস (Khela Hobe Diwas)। রবিবার বেহালার সভামঞ্চ থেকে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। এবার এই 'খেলা হবে' দিবসে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি (BJP)। ফের রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার মতো পরিবেশ তৈরি হতে পারে। এদিন রাজ ভবনের (Raj Bhawan) সামনে দাঁড়িয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, 'বিজেপিও ভালো খেলতে পারে। কিন্তু আমাদের খেলার মতো মাঠ তৈরি করে দিন, আমরা ভালোই ব্যাটিং করব। শুধু মাঠ থেকে পুলিসকে সরিয়ে দিন। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর মিথ্যা মামলা চাপানো বন্ধ করুন।'
পাশাপাশি তাঁর আশঙ্কা, 'সাম্প্রতিককালে শাসক দলের একের পর এক নেতামন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তাতে সামগ্রিকভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলায় প্রভাব পড়তে পারে। ১৬ অগাস্ট ১৯৪৬ সালে কুখ্যাত গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং সংগঠিত হয়েছিল। আর ১৬ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রী খেলা হবে দিবসের ডাক দিয়েছেন। অর্থাৎ বিরোধীদের উপর হামলায় ইন্ধন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, আমরা সেটাও রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।'
বিজেপির এই রাজ ভবন সফরকে পাল্টা কটাক্ষের সুরে বিঁধেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'যারা উন্নয়নের পরিবেশে বেড়ে ওঠে না, যাদের কোনও জনভিত্তি নেই, যারা মানুষের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত, তাঁরাই অন্য কোনওভাবে না পেরে শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ তৈরি চেষ্টা করছে। তারা জেনে রাখুক বাংলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আছে। তাই শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা করলে প্রশাসন তাদের মতো করেই ব্যবস্থা নেবে।'
পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, 'সন্ত্রাসের রাজনীতিকে হাতিয়ার করে বাংলা দখলের চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু মানুষ প্রত্যাখ্যাত করেছে। তাই আগামি দিনে ওরা হিংসার আশ্রয় নিলে বাংলার মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।'
পূর্ব ঘোষণা মতো সেপ্টেম্বরে নবান্ন অভিযানের ডাক বিজেপির। ৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গ বিজেপির তরফে এই কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। এই কর্মসূচি সফল করতে সমাজের সবস্তরকে যোগ দিতে আহ্বান জানান বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর আবেদন, 'মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে এই লড়াই। তাই সাধারণ নাগরিক কোনও দল করে না কিন্তু প্রসাশনিক বঞ্চনার স্বীকার, চাকরিপ্রার্থী যারা দীর্ঘদিন অবস্থান করছেন, প্রকৃত বুদ্ধিজীবী, যাদের মেধা পয়সার কাছে বিক্রি হয় না। এঁরা সবাই এই কর্মসূচিতে যোগ দিন'।
এদিন সুকান্ত মজুমদার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন। অনুব্রতর গ্রেফতারি থেকে রাজ্যের তিন মন্ত্রীর হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়া। এই জাতীয় নানা ইস্যুতে সরব ছিলেন তিনি। এদিন রাজ্যের তিন মন্ত্রী হাইকোর্টে আবেদন করেছে, সম্পত্তিবৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামালায় যাতে ইডিকে যুক্ত না করা হয়।
এই পদক্ষেপকে খোঁচা দিয়ে বিজেপি সাংসদ বলেন, 'এটা খানিকটা ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি মতো। এতদিন আমরা টাকার পাহাড় দেখেছি। এবার টাকার এভারেস্ট দেখবো। তাই যেসব মন্ত্রীদের সম্পত্তিবৃদ্ধি পেয়েছে তাঁরাই আদালতে গিয়েছিলেন।'