দ্বিতীয়ার্ধ শেষ হওয়ার দু মিনিট আগে গোল। ইতালিকে (Itally) ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে নেশনস লিগের ফাইনালে স্পেন (Spain)। প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। রবিবার রাতে মদ্রিচদের বিরুদ্ধে নামবে স্প্যানিশ আর্মাডা।
বৃহস্পতিবার রাতে খেলা শুরুর তিন মিনিটে গোল করেন স্পেনের ইরেমি পিরনো। কিন্তু ১১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সেই গোল শোধ করে দেন ইতালির সিরো ইমমোবিল। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়াবে ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা। খেলা শেষের ২ মিনিট আগে স্পেনের হয়ে গোল করেন জোসেলু।
ইতালির হয়ে খেলতে নেমেছিলেন রদ্রিও। তাঁর গোলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। রবিবার জাটকো দালিচের ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে হবে স্পেনকে।
ছোট বাচ্চাদের খেলার সাথী পুতুল (Dolls), আর এই পুতুলের থেকে কিউট খেলার জিনিস হয়তো না। কিন্তু এই পুতুলই যখন আতঙ্কের বিষয় হয়ে ওঠে, তখনই হয় মুশকিল। হলিউডের অনেক ভুতুড়ে ছবিতে পুতুলকে ভয়ের জিনিস হিসাবে দেখানো হয়েছে। অ্যানাবেল নামক হলিউড ছবিতে দেখা গিয়েছে, অ্যানাবেল নামক ভুতুড়ে পুতুলটিকে।সিনেমার পাশাপাশি পুতুল নিয়ে অনেক ভুুুতুড়ে গল্পও শোনা যায়। আর এবারেও এমনই কাণ্ড ঘটল বাস্তব জীবনেও। সম্প্রতি কয়েকটি ছবি ভাইরাল হচ্ছে সমাজমাধ্যমে, যেখানে দেখা গিয়েছে, এক পুরনো বাড়ি ভর্তি একগুচ্ছ পুতুল। দেখেই গা টা কেমন যেন শিউরে উঠছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে, এক পুরনো ভাঙা-চোরা বাড়িতে সারিতে সারিতে সাজানো পুতুল। কোনও ছবিতে দেখা গিয়েছ, দেওয়ালে টাঙানো ছবি, আবার কোথাও বিছানায় শুইয়ে রাখা কিছু পুতুল। এই বাড়ি যেন পুতুলেরই বাড়ি। তবে কোথায় থেকে এত পুতুল এলো, কারই বা বাড়ি সেটা কিছুই স্পষ্ট জানা যায়নি। বেন জেমস নামের এক ব্যক্তি একগুচ্ছ ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। তবে জানা গিয়েছে, এই 'ক্রিপি ডল হাউস'টি স্পেনের।
এই ছবিগুলো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কারণ এমনটা দেখা যায় না। তবে কেন ওই বাড়িতে এইভাবে এত পুতুল রাখা তা নিয়ে কৌতুহল বাড়ছে নেটিজেনদের মধ্যে।
স্পেনের বিরুদ্ধে ২-০ জয় দিয়ে বিশ্বকাপের অভিযান শুরু করল ভারতীয় হকি দল। কিন্তু বিশ্বকাপ হকি চলাকালীন বড় ধাক্কা খেল ভারত। চোটের জন্য ওয়েলসের বিরুদ্ধে পুলের শেষ ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন মিডফিল্ডার হার্দিক সিং। স্পেন ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গত দুটো ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। কিন্তু হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি হয়েছে তাঁর। যদি হার্দিক টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যান তবে অন্য অপশন ভেবে রেখেছে ভারত। রিজার্ভ থেকে দলে ঢুকবেন রাজকুমার পাল।
তবে চোট ছাড়াও গ্রাহাম রিডের দল চিন্তায় পেনাল্টি কর্নার নিয়ে। ড্র্যাগ ফ্লিকার হরমনপ্রীত সিং বিশেষজ্ঞ। কিন্তু এবার গোল পাচ্ছেন না। আধুনিক হকিতে পেনাল্টি কর্নারে দুর্বল হলে ম্যাচ জেতা মুশকিল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রবিবার ড্র করেছে ভারত, গোল আসেনি। পেনাল্টি কর্নার নষ্ট হয়েছে যথারীতি। এমন কঠিন সময়ে ওয়েলেসকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে। না হলে গ্রুপ শীর্ষে থাকা অসম্ভব, হার্দিককে দরকার ছিল ভারতের। কিন্ত চোট সবা এলোমেলো করে দিলো। ঘরের মাঠে হকি বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া ভারত।
এর আগে একবারই হকি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। ১৯৭৫ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
এবারের বিশ্বকাপে (Qatar World Cup 2022) কোনও জ্যোতিষের ভবিষ্যৎবাণী মিলবে কিনা সন্দেহের। রবিবারটিও ছিল না ব্যতিক্রমী। সাধারণত জুন-জুলাইতে বিশ্বকাপ (FIFA World Cup) ফুটবল হয়ে থাকে কিন্তু ওই সময়ে কাতারে ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকে কাজেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টেডিয়াম (Football Stadium) যতই থাকুক দর্শকদের খেলা বাদে শহরে ঘুরে বেড়ানোটাই অসম্ভব। তাহলে খেলাটা দেখবে কে? ফলে এই সময়টাই বেছে নেওয়া হয়েছিল। অসময়ের বিশ্ব ফুটবল নিয়মের বাইরে ফলাফলে অর্থাৎ খেলার ফল একেবারেই ভিন্ন হচ্ছে, যেমনটি হলো রবিবার।
প্রথম খেলা ছিল জার্মানিকে হারিয়ে দেওয়া জাপান বনাম স্পেনের কাছে ৭ গোল খাওয়া কোস্টারিকা। সকলেই ভেবেছিল অনায়াসেই জাপান ফের তার ভেলকি দেখাবে। কিন্তু হল উল্টো, প্রথম থেকেই কোস্টারিকা তার ডিফেন্সকে শক্ত রেখে মিডফিল্ডারদের একটু নিচ থেকে অপারেট করছিল। পাস খেলছিল তারা গগনে গগনে কাজেই অনেকটাই খাটো চেহারার জাপানি খেলোয়াড়দের হেড নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। আক্রমণ কিন্তু জাপান করেছিল কিন্তু গোল পাওয়ার জায়গায় যেতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে কোনটার আক্রমণে ৮০ মিনিটে জয়ের গোল পেয়ে যায় কোস্টারিকা।
ওই এক গোলে জাপানের পরের রাউন্ডে ওঠা অনিশ্চিত হয়ে পড়লো। অন্যদিকে শেষ খেলায় এই মানের কোস্টারিকা রবিবারে খেলা জার্মানিকে হারাতে পারবে বলে মনে করা কঠিন। পরের খেলা আফ্রিকার মরক্কো বনাম কালো ঘোড়া বেলজিয়াম। সারা খেলায় বেলজিয়ামকে খুঁজে বেড়াতে হল তাদের পুরাতনী ছন্দকে। নিয়মিত জিম করা শক্তির প্রদর্শন করলো মরক্কো। দু-দুটি গোল করে জানিয়ে দিল আফ্রিকা নক আউট পর্যায়ে যেতে পারে। এই ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে গোল প্রথম দেখা গেল।
তৃতীয় খেলায় নতুন দল কানাডা খেলার ৬৮ সেকেন্ডে প্রথম গোল করে চমক দিল। তারপর অন্তত ৩৫/৪০ মিনিট খেললো ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবল। পাসিং থেকে বল কেড়ে নেওয়া সমস্তটাই ছিল দেখার মতো। প্রথম অর্ধের শেষ দিকে খেলা ধরলো ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে ২০১৮-র রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়াকে ফিরে পাওয়া গেল। অজস্ৰ পাস খেলে বেদম করে দিল অনভিজ্ঞ কানাডাকে। চার চারটি গোল পেল তারা।
শেষ খেলাটি ছিল সবচাইতে আকর্ষণীয়। শিল্পের তিকি-তাকা বনাম ইউরোপের সেরা পাওয়ার পাসিং ফুটবল। প্রথমেই গোল পেয়ে যায় জার্মানি কিন্তু নতুন নিয়মের ফাঁদে পরে বাতিল হয়ে তা। দ্বিতীয়ার্ধের আগে অবধি স্পেন মুহুর্মুহু আক্রমণ সানায় জার্মানির দিকে। নয়্যার ছিলেন যেন চীনের প্রাচীর। এরপর খেলোয়াড় বদল করে মাঠে আসে স্পেনের আলভারো মোরাতো এবং এসেই গোল। খেলার বাকি তখন ৩৫ মিনিট।
এরপর খেলার রং বদলে যায়। জার্মানি বুঝিয়ে দেয় কেন তারা ৪ বারের চ্যাম্পিয়ন। রুডিগার, লিও গোরেৎসগ, লেরওয়ে সানে একের পর এক আক্রমণ বানাতে থাকে স্পেনের গোল লক্ষ্য করে। দুর্ভাগ্য তাদের ৩ গোল পাওয়া দল শেষ পর্যন্ত নিকোলাস ফুলকরুসের গোলে সমতা ফেরায়। এই দল অঘটন না হলে অনায়াসে হারাতে পারে কোস্টারিকাকে। নক আউটে ফের ইউরোপের দাপট থাকবে তা এখনিই বলে দেওয়া যায়।
সোমবার মধ্যরাতে মরণ বাঁচন ম্যাচে (QatarWorldCup2022) নামবে জার্মানি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী এগিয়ে থেকেই নামবে স্পেন (Germany versus Spain)। প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে ৭ গোলে জয় মানসিক ভাবে চাঙ্গা রেখেছে লুইস এনরিকের ছেলেদের। প্রথম ম্যাচেই (World Cup 2022) পাসিং ফুটবল ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করেছে। জার্মানির বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই অনুশীলনে মূলত ম্যান মার্কিংয়ের উপর বেশি জোর দিলেন আসেনসিও, তোরেসরা। যে কোনো প্রকারে জার্মানি বধ করেই শেষ ১৬ নিশ্চিত করতে চাইছে স্পেন। শেষ সাক্ষাতে স্পেন জার্মানির বিপক্ষে ৬-০ জয় পেয়েছে।
তার পুনরাবৃত্তিই কি হবে আল বায়েট স্টেডিয়ামে, সেটা সময় বলবে। তবে লড়াই যে একপেশে হবে না বোঝা গেলো জার্মানদের শরীরী ভাষায়। প্রথম ম্যাচে হয়ত জাপানের কাছে পরাজিত হতে হয়েছে কিন্তু স্পেনকে আটকাতে ঘুটি সাজিয়ে ফেলেছেন মুলারদের হেড স্যার। মাঝমাঠে শক্তি বাড়িয়ে আজ নামতে পারে বালাকের দেশ। পাওলো দিবালাদের অনুশীলনে আজ ওয়ান টাচ ফুটবলের উপর জোর দিয়েছিলেন ম্যানেজার ফ্লিক। তিন কাঠির নিচে সেই বিশ্বস্ত ম্যানুয়াল ন্যুয়ারের উপর আস্থা থাকছে আপামর জার্মানদের। ফলে এক হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ দেখতে পাবে ফুটবল বিশ্ব এমনটা হলফ করে বলছেন আন্তর্জাতিক ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
দুই ভাইয়ের গল্প। তবে গল্প হলেও সত্যি। দুই ভাই-ই ফুটবলার। খেলার পজিশনও এক, দু'জনেই খেলেন স্ট্রাইকারে। শুধু কী তাই, ক্লাব ফুটবলেও দুই ভাই খেলেন একই ক্লাবে। কিন্তু ওরা দুজন ভিন দেশের প্রতিনিধি। একজনের গায়ে স্পেনের জার্সি। অন্যজন ঘানার জার্সি পরে মাঠে নামেন। ভাবছেন এমনটা আদৌ হয় নাকি? বিশ্বকাপ বলছে এমনটাই হয়।
ঘানা দম্পতির সন্তান দুজনেই। একটা সময় লাইবেরিয়াতে ছিল তাঁদের শান্তির জীবন। কিন্তু গৃহযুদ্ধে সব ভেস্তে গেল। বড়ো ভাই ইনাকির জন্মের আট বছর পর জন্মান নিকো। দাদা ফুটবল খেলে। ভাইও একই পথের পথিক। জীবনের স্রোতে স্পেনের বিলবাওতে চলে আসেন উইলিয়ামস পরিবার। বিলবাও অ্যাকাডেমি থেকেই বেড়ে ওঠেন তাঁরা। লা লিগের ক্লাব বিলবাওতে খেলেন দু'জন। দেখতে দেখতে স্পেনের জাতীয় দলে কড়া নাড়া শুরু হয়ে যায়। লা রোখা (মানে স্পেনের জাতীয় দলকে ওই নামেই ভালোবেসে ডাকেন সমর্থকরা) আপন করে নিয়েছে নিকোকে।
কিন্তু ইনাকি পাড়ি দিয়েছেন ঘানায়। তাঁর মনে হয়েছে ওখানে সুযোগ বেশি। যদি কোনওদিন মুখোমুখি হয় দুই দল? একজন নামবেন লাল টুকটুকে স্পেনের জার্সি পরে। অন্যজন ঘানার সাদা জার্সিতে কলার তুলে। ফুটবল মাঠে জন্ম নেবে অনবদ্য ফুটবল সাহিত্য।
গোল,গোল,গোল বুধবারের ম্যাচে এই একটাই শব্দ বারবার মাথায় এসেছে ফুটবল প্রেমীদের। জাভি, ইনিয়েস্তা, জেরার্ড পিকে, রাউলরা হয়তো বুধবার রাতে একটু নিশ্চিন্ত হলেন। তাদের উত্তরসূরিরা একেবারে তৈরি। অন্তত বুধবার রাতে দোহার (Qatar) আল থুমামা স্টেডিয়ামে একঝাঁক নতুন মুখ যেভাবে স্বপ্ন দেখালো তাতে চলতি বিশ্বকাপে (World Cup 2022) স্পেন যে যে কোনো দেশকে বেগ দেবে স্পষ্ট। সবুজ গালিচায় লাল বিদ্রোহ (Spain) দেখল গোটা বিশ্ব।
চলতি বিশ্বকাপে সব থেকে বেশি গোল এলো ২০১০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের ম্যাচে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে ৭-০ গেলে জয় পেলো স্প্যানিশ আর্মাডা। রেকর্ড বলছে বিশ্বকাপে আজকের জয় সবথেকে বেশি গোলে জয়। এতদিন ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গেলে জয়ের রেকর্ড ছিল স্পেনের। ইতিহাস আজ সেটা ভেঙ্গে গেলো। লুইস এনরিকের ছেলেরা বুঝিয়ে গেলো তিকিতাকার দিন ফুড়িয়ে যায়নি।
পাসিং ফুটবলের উপর ভর করেই কার্যত দুরমুশ কোস্টারিকা। প্রথমার্ধেই ১১ মিনিটে দলের প্রথম গোলটি করেন দানি ওলমো। ২১ মিনিটে দ্বিতীয় গোল আসে আসেন্সিওর পাস থেকে। ৩১ মিনিটে তোরেস পেনাল্টি থেকে গোল করে দলের পক্ষে স্কোরলাইন ৩-০ করেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৫৪ মিনিটে ফের গোল করে ব্যবধান বাড়ায় তোরেস। ৭৪ মিনিটে ফের ইতিহাস,বিশ্বকাপের তরুণ ফুটবলার হিসেবে গোল স্কোরারের তালিকায় নাম তুলে ফেললেন স্পেনের গাভিরা। একদম শেষ মুহূর্তে সোলার দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন। অতিরিক্ত সময়ে কেকের উপরে চেরির মত সপ্তম গোলটি করে যান মোরাতা। চিরাচরিত ৪-৩-৩ ফর্মেশানে বাজিমাৎ মেসির প্রাক্তন কোচ লুইস এনরিকের।