মর্মান্তিক ঘটনা। বেহালার ১৭ পাঠকপাড়ার এই ঘটনা দেখে অনেকেই স্তম্ভিত। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, মা রুমা বারিকের বয়স ৭৯ এবং ছেলে রতন বারিকের বয়স ৫৫ বছর। একসাথে নিজেদের বাড়ির দুতলায় থাকতেন এঁরা। দুতলায় আরও একজন ভাড়াটিয়াও থাকতেন।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, মায়ের (Mother) দু'বছর আগে কোমর ভেঙে যায়। ফলে তিনি ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারতেন না। এরকম অবস্থায় ছেলে (Son) রতন বারিক মায়ের সেবা করতেন, দুজনে একসাথেই থাকতেন। গতকাল হঠাৎই পচা গন্ধ পান তাঁদের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এবং বেশ কয়েকদিন ধরে দরজা খুলছিল না। সন্দেহ হলে প্রতিবেশীদের ও পর্ণশ্রী থানায় খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে পুলিস এসে দরজা খুলে দেখে, মা অসহায় অবস্থায় ছেলের মৃতদেহর (Son DeadBody) পাশে পড়ে আছে। পর্ণশ্রী থানার পুলিস অসুস্থ মাকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হসপিটালে পাঠিয়েছে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বেসরকারি কুরিয়র সংস্থার প্রোফাইল হ্যাক করে ডেলিভারি বয়কে ডেকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই ডেলিভারি বয় (delivery boy)। ঘটনাটি শনিবার বিকেলে সোনারপুর (Sonarpur) থানা এলাকার লালগেটের কাছে ঘটে। এরপরই সোনারপুর থানায় (police station) অভিযোগ দায়ের আতঙ্কিত পরিবারের।
জানা যায়, জখম ওই ডেলিভারি বয় দীপঙ্কর নাইয়া নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার লস্করপুরের বাসিন্দা। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। অভিযুক্ত যুবকের নাম সৌরভ নস্কর। সৌরভও লস্করপুরের বাসিন্দা। সৌরভ একসময় একই বেসরকারি কুরিয়র সংস্থায় কাজ করত। যার জন্য চক্রান্তের বিষয়টি আরও স্পষ্ট বলেই মনে করছে পরিবার। ওইদিন দীপঙ্কর একটি পার্সেল দিতে বের হন। আর এরপরই তাঁকে একটি জায়গায় ডাকা হয়। পরিবার জানায়, সেদিন আগে থেকেই ওই জায়গায় একটি গাড়িতে করে সৌরভ ও তাঁর ৪ সঙ্গী দাঁড়িয়ে ছিল। দীপঙ্কর আসতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় ও অপহরণ করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় কোনওরকমে রক্ষা পায় দীপঙ্কর।
পরিবারের আরও অভিযোগ, কিছুদন আগে দীপঙ্করের ভাইকেও মারধর করে সৌরভ। সেইসময় সৌরভের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবাকে এই ঘটনার কথা জানান দীপঙ্কর। তারই বদলা নিতে এই হামলা বলে দীপঙ্কর ও তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে সোনারপুর থানার পুলিস (police)।
গুলাম নবি আজাদের (Gulam Nabi Azad) পথে হেঁটেই এবার কংগ্রেসের (Congress) গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়লেন আনন্দ শর্মা। সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) পর্যবেক্ষক কমিটির প্রধানের পদ ছাড়লেন প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। দিন কয়েক আগে একইভাবে পদত্যাগ করেছেন গুলাম নবি আজাদ। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রচার কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস সভানেত্রীকে চিঠিতে আনন্দ শর্মা লেখেন, তাঁকে না জানিয়েই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এতে আহত হয়েছে তাঁর আত্মসম্মান।
চলতি বছর অক্টোবরে হিমাচল প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ২৬ এপ্রিল হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক কমিটির প্রধান পদে বসানো হয় আনন্দ শর্মাকে। ওই রাজ্যে কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষ নেতা তিনি। ১৯৮২ সালে বিধানসভা ভোটে প্রথম বার জিতেছিলেন। ১৯৮৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভার প্রার্থী করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। সেই থেকেই রাজ্যসভার সাংসদ আনন্দ শর্মা।
এদিকে, বছরের শেষে জম্মু কাশ্মীরে ভোটের আগে বড়সড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে। নির্বাচন প্রচার কমিটির সভাপতি পদ ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ। মঙ্গলবার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী। এই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ইস্তফা দিলেন আজাদ। আর আজাদের এই পদক্ষেপের পরেই ইস্তফার হিড়িক জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে। আজাদ অনুগামী হিসেবে উপত্যকায় পরিচিত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গুলাম আহমেদ মীর, প্রাক্তন বিধায়ক হাজি আব্দুল রশিদ দারের মতো নেতারা বিভিন্ন কমিটি থেকে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন।
চলতি বছরের শেষে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে। এই সম্ভাবনা উসকে দিয়ে আসন পুনর্বিন্যাস চলছে উপত্যকায়। আর জম্মু-কাশ্মীরের একদা শাসক দল কংগ্রেস সেখানে নতুন করে সংগঠন সাজাতে চাইছে। সেই উদ্দেশে সাত বছর প্রদেশ সভাপতির পদে থাকা মীর জুলাইয়ে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সোমবার তাঁর জায়গার ভিকর রসুল ওয়ানিকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিয়োগ করেছেন সোনিয়া গান্ধী।
অপেক্ষার অবসান। শনিবার লন্ডনে পুত্র সন্তানেরর জন্ম দিলেন সোনম কাপুর (Sonam kapoor)। চলতি বছর মার্চেই নিজেদের সন্তান আগমনের কথা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে এনেছিলেন সোনম কাপুর এবং আনন্দ আহুজা (Sonam-Anand)। ফলে মম টু বি সোনমকে বেশ অন্তরালে থাকতে দেখা গিয়েছে। অবশেষে কাপুর (Anil kapoor) পরিবারে খুশির খবর। আর সেই খবর সোনমের মা নেটমাধ্যমে তাঁর নাতিকে স্বাগত জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। সেই পোস্ট দেখে অভিনন্দন জানান নীতু কাপুর। তিনিও আগামি কয়েক মাসের মধ্যে ঠাকুমা হবেন।
জুলাইয়ে আনন্দের জন্মদিন ধুমধামের বদলে পারিবারিক ভাবে পালন করেছেন এই তারকা দম্পতি। স্বামীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সোনম লেখেন, ‘আমি জীবনে নিশ্চয়ই কোনও পুণ্য করেছি, যার গুণেই তোমায় স্বামী হিসেবে পেয়েছি। তোমার সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। সেরা বাবা হবে তুমি। কারণ, তুমি চিরদিনই ভাল ছাত্র। অনেক অনেক অনেক ভালবাসা প্রিয়!’
এদিকে, সম্প্রতি কফি উইথ করণে দেখা গিয়েছে সোনম কাপুরকে। সেই শোয়ে সোনমের সঙ্গে ছিলেন তুতো দাদা অর্জুন কাপুর। তার দিন কয়েক বাদে কাপুর খানদানে এলো সুখবর।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেফতারির পরই একাধিক জায়গায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতারিতরা প্রতারকদের বাড়ি গিয়েও চড়াও হয়েছে, কিন্তু ফল কিছুই হয়নি। যে টাকা গিয়েছে তা আর ফেরত পাওয়া যায়নি। তবে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়েছেন বেশ কিছু জায়গায়, আবার অনেকেই পলাতক। সেই তালিকায় এবার নাম জুড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর (Sonarpur) থানা এলাকা। বুধবার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার (arrest) করা হয় একই সঙ্গে বাবা ও ছেলেকে।
পুলিস (police) সূত্রে খবর, সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ১৫৬ জনের কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার মতো এই দুই অভিযুক্ত নিয়েছিল, এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে পুলিস। এরপর মঙ্লবারই এই ঘটনায় আটক করা হয়েছিল পেশায় চিকিৎসক উত্তম মুখোপাধ্যায় ও তার ছেলে অর্ণব মুখোপাধ্যায়কে। সেদিন তাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ২২ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে পুলিস। পাশাপাশি অশোকস্তম্ভ দেওয়া প্রচুর সরকারি নথি উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে চাকরির নিয়োগপত্রও রয়েছে। যদিও সেগুলি নকল নাকি আসল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তবে ধৃতরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে।
তবে ধৃত অভিযুক্তদের সঙ্গে আর কারও যোগাযোগ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
নৃশংস ঘটনা। মায়ের এহেন রূপ কল্পনাতীত। স্বামীর সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকে। পারিবারিকে কলহের জেরে তিন সন্তানকে বিষ খাইয়ে (poisoned) মারলেন (Murder) মা। দুই ছেলেকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে পুলিস। আর রাতে হাসপাতালেই মারা যায় মেয়ে। সোমবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গাজিপুরের (Ghazipur) এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য।
গাজিপুরের এসপি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত সুনিতা যাদব নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, বিবাদের জেরে স্বামীর উপর ক্রোধে ওই মহিলা তাঁর তিন সন্তানকে অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড খাইয়েছিলেন। দুই ছেলের বয়স ১০ বছর এবং ৮ বছর। মেয়ের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল এবং বারাণসী বিএইচইউতে রেফার করা হয়েছিল। তবে ওই রাতেই মেয়ের মৃত্যু হয়।
সোমবার বিকেল ৩ টের দিকে গাজিপুর থানার পুলিস এই খবর পায়। ওই অভিযুক্ত মহিলার নামে মামলাও দায়ের করেছে পুলিস।
রাতের শহরে মায়ের (Mother) সামনে ছেলেকে (Son) খুন (Murder), এবার ঘটনাস্থল খাস কলকাতার একবালপুর (Ekbalpur)। সোমবার রাতে একবালপুরে সন্দীপ পুন নামে ২২ বছর বয়সের এক যুবককে মায়ের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল সন্ধ্যা থেকেই এই সন্দীপের সঙ্গে পাড়ারই সাত থেকে আটজন যুবকের টাকা লেনদেন সংক্রান্ত কারণে গণ্ডগোল শুরু হয়। সন্দীপের মা বিনা পুনের বক্তব্য, তাঁর ছেলেকে ৭ থেকে ৮ জন এসে প্রথমে পিঠে ব্লেড মারে। তখন তিনি ছেলেকে কোনওভাবে বাঁচাতে সক্ষম হন। তারপর সন্দীপকে নিয়ে বাড়িতে ঢুকে যান।
তারপরেও ওই যুবকরা সন্দীপের বাড়ির সামনে একটি আবাসনে লুকিয়ে ছিল। সন্ধ্যাবেলা যখন আবার সন্দীপ আর তাঁর মা বেরোয়, তখন সন্দীপের ওপর চড়াও হয় ওই যুবকরা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মায়ের সামনেই তাকে খুন করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে তাকে জলে ফেলে দেয়। মা অসহায় অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে যান এবং তারপর এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। অভিযুক্তরা ঘটনা ঘটিয়েই পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে বর্নফিল্ড রো-এর পাঁচিলের পশ্চিমদিকের ভিতরে।
ইতিমধ্যে একবালপুর থানার পুলিস একজনকে গ্রেফতার করেছে এবং বাকিদের খোঁজ চালাচ্ছে। খুনে ব্যবহৃত ছুরিটিও উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিস জানার চেষ্টা করছে, এই খুনের আসল কারণ কী। প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ঘাতক এবং নিহত, দুজনেই মাদকাসক্ত ছিল।
একটি পছন্দের গান (Song) বাজানোর জন্য ডিজেকে অনুরোধ করায় একজন সেনাকর্মীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে চার বাউন্সারের (bouncer) বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে একজনকে গুরগাঁও পুলিস (Gurgaon Police) গ্রেফতার (arrested) করেছে। পলাতক বাকি ৩ জন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাতে সেক্টর ২৯-এর একটি ক্লাবের বাইরে।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার বাউন্সারদের বিরুদ্ধে পুলিস মামলা করেছে। ১৪ অগাস্ট রবিবার তাঁরা এক সেনা সদস্য ও তাঁর দুই ভাইকে মারধর করে। স্থানীয় কোনও ব্যক্তি ঘটনাটি দেখে ১১২ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে পুলিসকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, পুলিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরেও বাউন্সাররা তিন ভাইকে মারধর করা বন্ধ করেনি।
অভিযোগ দায়ের করেছেন রোহতকের বাসিন্দা নায়েক সুনীল কুমার। তিনি, তাঁর দুই ভাই খাজান সিং এবং অনিল কুমারের সঙ্গে রবিবার গভীর রাতে একটি পার্টি করতে ফ্রিকশন ক্লাবে গিয়েছিলেন।
নায়েক তার অভিযোগে বলেছেন, ১১.২০ মিনিট নাগাদ ক্লাবে প্রবেশ করেন। হঠাৎ ক্লাবে গান বন্ধ হয়ে যায়। তখন তাঁর ভাই অনিল একটি গান বাজানোর অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু দুজন বাউন্সার এসে তাঁদের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। এবং ক্লাবের বাইরে নিয়ে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এমনকি ওই ক্লাবে আর গেলে তাঁদের মেরে ফেলার হুমকিও দেন।
এক সপ্তাহের মধ্যে গুরুগ্রামের সাইবার সিটি এলাকায় এটি দ্বিতীয় ঘটনা। যেখানে ক্লাবের বাউন্সাররা মারধর করেছে।
বাবা (Father) এবং বড় দাদার (Elder Brother) ষড়যন্ত্রে খুন (Murder) হলেন মেজ ভাই। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভক্তিয়াডাঙ্গি এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৫-২০ দিন আগে সমীর বালা নামে এক যুবক নিখোঁজ (Missing) হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু পাঁচদিন আগে ওই এলাকায় ওই পরিবারেরই বাড়ির পাশ থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকে। জানানো হয় চোপড়া থানার পুলিসকে। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায়, পোলট্রির প্রচুর মুরগি সেই স্থানে পোঁতা হয়েছিল। পরিবার সূত্রে জানানো হয়, কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবারের পোলট্রি ফার্মের ৬০০-৭০০ মুরগি মারা যায়। তাই তাঁরা সেখানে মুরগিগুলিকে মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। এরপরেও চলে পুলিসের তদন্ত।
প্রতিবেশীদের সূত্রে খবর সংগ্রহ করে পুলিস বাবা হরষিত বালা এবং বড় ছেলে খোকন বালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চোপড়া থানায় নিয়ে আসে। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁরা পুলিসের কাছে স্বীকার করেন, পরিবারের মেজ ছেলে সমীর বালা মদ্যপান করে প্রায়শই জমিজমার জন্য বাবাকে বিরক্ত করতেন। আর এই বিরক্তি থেকে মুক্তি পেতে বাবা এবং তাঁর বড় ছেলে ষড়যন্ত্র করে মেজ ছেলেকে হত্যা করে বাড়ির কিছুটা দূরে মাটিতে পুঁতে দেন। সোমবার দুপুরে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের মৃতদেহ মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক এবং প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, ওই যুবক অববিবাহিত ছিলেন এবং তাঁকে তাঁর পরিবারের লোকজন না বিয়ে দিচ্ছিলেন, না তাঁকে সম্পত্তির কোনও অংশ দিয়েছিলেন। তাই মাঝে মধ্যেই মদ্যপান করে বাড়িতে তাঁর সম্পত্তির হিসাব দাবি করতেন ওই যুবক। আর এর জেরেই বিরক্ত হয়ে বাবা এবং তাঁর বড় ছেলে এই ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হন বলে স্বীকার করেছেন পুলিসের কাছে।
পুলিস মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আর এমন ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার কথা জানামাত্রই ওই গ্রামের পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামের মানুষজন ভিড় জমাতে শুরু করেন ঘটনাস্থলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিস।
ভয়ানক কাণ্ড! স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) দিনই স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে মরণঝাঁপ। সোমবার সাত সকালেই রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন মা। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই ছেলেও। ঘটনার পরই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে দুর্গাপুরে (Durgapur)। পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত মায়ের নাম সীমা পণ্ডিত, বয়স ২৬ বছর। মৃত দুই ছেলের নাম প্রেম পণ্ডিত, বয়স ৮ বছর। অন্যজন বছর ৬ এর প্রাণিত পণ্ডিত। পানাগড়ের (Panagarh) অনুরাগপুরে থাকতেন তাঁরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সীমাদেবীর স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত অত্যাচার করতেন স্ত্রী এবং তাঁর দুই ছেলের উপর। রবিবার সেই অত্যাচার চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। আর সেই অত্যাচারের শিকার হয়ে সোমবার সাত সকালেই পানাগর রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন মা এবং দুই ছেলে।
ঘটনার পরই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী উমাশঙ্কর পণ্ডিত। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিস। পুলিস পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত চালাচ্ছে। পাশাপাশি স্বামীর খোঁজে পুলিস।
পোলবার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের দোগাছিয়া গ্রামের হেমন্ত পাত্র গ্রামেই ফুচকা বিক্রি করেন গত ৯ আগস্ট। সেদিন তাঁর কাছে ফুচকা খেয়েছিল দোগাছিয়া, বাহির রানাগাছা, মাকালতলার প্রায় শ দেড়েক লোক। কিন্তু কমবেশি সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে। চুঁচুড়া, চন্দননগর ও পোলবা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় এদের। গ্রামে যায় পোলবা হাসপাতালের মেডিক্যাল টিম। অভিযুক্ত ফুচকা বিক্রেতার বিরুদ্ধে কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, এই অভিযোগ তুলে আজ হেমন্তর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘরের জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলা হয়। সিভিক ভলান্টিয়াররা আটকাতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ফুচকা বিক্রেতাও পোলবা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর দাবি, ফুচকার জলটা কেমন লাগছে একজন বলেছিল। তাই তিনিও দুটি ফুচকা খেয়েছিলেন। তাতে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও বিজেপি এই ঘটনার মধ্যে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে। হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ অভিযোগ করেন, ফুচকা বিক্রেতা তৃণমূল সমর্থক হওয়ায় তাকে বাঁচাতে আসরে নেমেছে দল। উল্টে তাকেই হাসপাতালে ভর্তি করে দেওয়া হয়েছে। আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়, একথা বলার পরেও ভাঙচুর প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এটা পুরোপুরি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
বিক্ষোভকারীরাও তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। তাঁদেরও বক্তব্য, ফুচকা বিক্রেতাকে বাঁচাতেই হাসপাতালের বেডে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তাঁদের আরও অভিযোগ, ফুচকায় কেমিক্যাল মেশানো হয়েছিল। তার জেরেই এই মর্মান্তিক পরিণতি।
গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling) যুক্ত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার বীরভূমের দাপুটে নেতা তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) সিবিআই হেফাজতে যান। তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। এই ঘটনার পর বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়লেও এর প্রতিবাদে পরবর্তীতে আবার তৃণমূলের তরফ থেকে পাল্টা মিছিল বের করা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার খোয়াইয়ের সোনাঝুরি হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল সোনাঝুরি হাট কমিটি।
শনিবার সোনাঝুরি হাটে (Sonajhuri Hat) বাইরে থেকে প্রচুর পর্যটকদের (Tourist) আগমন হয়। সেই মতো পর্যটকরা এদিন এখানে বেড়াতে এসে অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে পড়েন। তাঁরা হঠাৎ এদিন এসে দেখতে পান, হাট বন্ধ রয়েছে।
তবে পর্যটকদের অসুবিধা হলেও হাট কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের একদিন অসুবিধা হচ্ছে সেটা মানছি। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল এখানকার অভিভাবকের মতো। যে কারণেই সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ হাট বন্ধ রাখা হবে এবং দুপুরবেলায় এই এলাকার হস্তশিল্পীদের তরফ থেকে একটি মিছিল করা হবে। সেই মিছিল যাবে রেল ময়দান পর্যন্ত।