পুজোর (Durga Puja) আর মাত্র ৭ দিন বাকি, ফলে হাতে মাত্র আর এক সপ্তাহ। আর এর মধ্যেই ফিরে পেতে চান হারিয়ে যাওয়া জেল্লা? কিন্তু কী করে সম্ভব, এই নিয়ে চিন্তায় তো! তবে এই নিয়ে আর ভেবে লাভ নেই। আজ থেকেই শুরু করুন ত্বকের যত্ন। ত্বকের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি মেনে চলতে হবে কিছু নিয়মও।
ত্বক পরিচর্যার প্রাথমিক তিনটে ধাপ হল ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং। আর এর কথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু প্রতিদিন মেনে চলে না কেউই। কিন্তু এবারে এই অভ্যাসই পরিবর্তন করতে হবে। এই সাতদিন নিয়মিত ত্বকের ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করা শুরু করুন। প্রথমে নিজের পছন্দ মতো ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এর পর গোলাপজল, গ্রিন টি, হোয়াইট ভিনিগারের মতো প্রাকৃতিক টোনার ব্যবহার করতে পারেন। তার পর ভালো কোনও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ত্বক পরিষ্কার করার পর একটা প্রাকৃতিক ফেস প্যাকও লাগাতে পারেন। তা করতে পারলে আরও ভালো হয় ত্বকের জন্য।
তবে শুধু বাইরে থেকে যত্ন নিলেই হবে না, এই কদিন শাক-সবজি, ফল পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত। পর্যাপ্ত জল পান করা উচিত, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য। আর পর্যাপ্ত ঘুমও দরকার। প্রথম দিন থেকে সপ্তম দিনের রুটিন এভাবেই নিয়মিত মেনে চলুন। আর সাত দিনের মাথায় দেখুন ম্যাজিক।
পুজোর আর এক মাসও নেই। ফলে ত্বকের প্রতি হতে হবে বিশেষ যত্নবান। পুজোতে গ্ল্যামারাস দেখতে দরকার উজ্জ্বল, কোমল ত্বকের। কিন্তু দামী দামী ক্রিম ব্যবহার করেও পাচ্ছেন না মন মতো ত্বক। তবে এবারে নজর দিন প্রাকৃতিক সাম্গ্রীতে। জানা গিয়েছে, এমন এক ফুল রয়েছে, যা ত্বকের বলিরেখা থেকে শুরু করে ব্রণ, শুষ্কতা, কালো ছোপ খুব সহজেই দূর করতে পারে। আর সেটি হল জবা ফুল। জবা ফুল যেমন চুলের জন্য উপকারী তেমনই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কার্যকরী।
জবা ফুলে থাকে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি। যার গুণে ত্বক হয় উজ্জ্বল। জবা ফুলের নির্যাসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা ত্বককে রক্ষা করে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও রক্ষা করে এই ফুল। জবা ফুলে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। যার ফলে ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে। এছাড়াও ত্বকের ক্ষত সাড়াতেও কার্যকরী জবা ফুল।
অনেকেই মনে করেন ত্বক (Skin) ভালো রাখতে পার্লারে যাওয়া জরুরি। কিন্তু পার্লারে গেলেই কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ হয়ে যায়। অনেকে খরচের কথা জেনেও পার্লারে যান। অনেকে আবার খরচের কথা ভেবে পিছিয়ে আসেন। কিন্তু জানেন কীসঠিক প্রোডাক্ট এবং সঠিক টেকনিক জানলেই বাড়িতেই পেতে পারেন সুন্দর ত্বক। তবে সময় আর সামান্য পরিশ্রম প্রয়োজন। সারা দিনে নিয়ম করে রুটিন মেনে চললেই সেই পরিশ্রম সফল হবে।
হাত দিয়ে শুরু করুন: অবাক হলেন তো? কেন ত্বকের প্রসঙ্গে হাত এলো! ত্বকের আগে হাত আসবে তাই-ই তো স্বাভাবিক। চেহারা পরিষ্কার আগে হাত ধোঁয়া জরুরি। এরপরেই শুরু করুন ডেইলি রুটিন।
ক্লিনজার: ত্বকের জন্য প্রথমে সঠিক ক্লিনজার খুঁজে যে বের করুন। তৈলাক্ত ত্বক হোক, কম্বিনেশন ত্বক কিংবা সেনসিটিভ স্কিন, মানানসই ক্লিনজার পাওয়া যায়। নোংরা, তেল, মেকআপ সহজে পরিষ্কার হয়ে যাবে এমন ক্লিনজার ব্যবহার করাই ভালো। সারা দিনের শেষে প্রথমে ক্লিনজার দিয়েই মুখ পরিষ্কার করুন।
ম্যাসাজ: ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রক্তসঞ্চালন প্রয়োজন। আর এই রক্তসঞ্চালনের চাবিকাঠি হল ম্যাসাজ। তাই মুখে ক্লিনজার বা স্ক্রাব দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করা জরুরি।
স্ক্রাবিং: ত্বকে ঔজ্জ্বল্য আনতে ত্বকের মৃত কোষগুলি পরিষ্কার করা জরুরি। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন স্ক্রাবিং করুন। তবে স্ক্রাবিং করেই সঙ্গে সঙ্গে মুখ ধুয়ে ফেলবেন না। চেহারায় স্ক্রাব লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন কর্মব্যস্ততার দিনে ছেলে-মেয়েদের সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক হল জিন্স ও শার্ট বা টি-শার্ট। আবার শীত থেকে গরম (Summer) প্রায় প্রত্যেকেই জিন্সেই ভরসা পায়। কারণ এটা পরতে তেমন কোনও ঝামেলা নেই। কিন্তু শীতকালে তো ঠিক আছে, তবে গরমে জিন্স (Jeans) পরলে ডেকে আনতে পারেন ত্বকের অনেক সমস্যা। ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জিন্স শীতকালের জন্য আদর্শ পোশাক। কিন্তু গরমে জিন্স এড়িয়ে চলাই ভালো। নতুন সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, গরমে জিন্স পরলে তা ত্বকের (Skin) অনেক ক্ষতি করতে পারে।
ত্বক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গরমে জিন্স পরলে তা শরীরে উত্তাপ ধরে রাখে, হাওয়া চলাচল করতে পারে না। ফলে ত্বকে অ্যালার্জি, জ্বালা, র্যাশ, ডার্মাটাইটিস ও ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও গরমে জিন্স পরলে ঘাম সহজে শুকোয় না, জিন্স ভিজে থাকে, ফলে ঘামের জন্য সর্দি-কাশি লেগে যেতে পারে। এছাড়াও জিন্সে ঘাম মানেই তা ব্যাকটেরিয়া, জীবাণুর জন্য ভালো। এমনকি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জিন্স একবার ধোঁয়ার পরও পরিস্কার হয় না, তাতে ব্যাকটেরিয়া থেকেই যায়। যার থেকে ত্বকের অনেক রোগ দেখা দিতে পারে।
অন্যদিকে গরমে সুতির কাপড় পরলে এমন কোনও সমস্যাই দেখা যায় না। ঘাম হলে তা সহজেই শুকিয়ে যায়। এছাড়াও পোশাকের মধ্যে দিয়ে হাওয়া চলাচল করতে পারে। আবার সুতির কাপড়ে কোনরকমের ব্যাকটেরিয়া,জীবাণু থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। তাই ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, গরমে জিন্সকে বাদ দিয়ে সুতির পোশাক পরতে শুরু করুন।