
৫০ তম বিবাহবার্ষিকী (Wedding Anniversary) উদযাপন করছেন বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan) ও জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan)। ১৯৭৩ সালের ৩ জুন অর্থাৎ আজকের দিনেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের এই বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা জানালেন তাঁদের কন্যা শ্বেতা বচ্চন (Shweta Bachchan)। সঙ্গে শেয়ার করলেন বাবা-মায়ের এক অদেখা ছবি। এর পাশাপাশি তাঁদের এই দীর্ঘ সম্পর্ক টিকে থাকার পিছনে কী রহস্য রয়েছে, তাও ফাঁস করলেন শ্বেতা।
শ্বেতার শেয়ার করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট ছবিতে জয়া ও অমিতাভ একের অপরের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন। একে অপরের চোখে তাকিয়ে তাঁরা কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছেন! বিগ বি-এর পরনে রয়েছে প্রিন্টেড শার্ট ও পুরনো স্টাইলের ঢিলেঢালা প্যান্ট। আবার জয়া বচ্চনের পরনে রয়েছে শাড়ি। শ্বেতা ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'হ্যাপি ৫০, বাবা-মা। তোমরা এখন থেকে গোল্ডেন হলে।' এই পোস্টের পাশাপাশি তিনি জানালেন তাঁর বাবা-মায়ের দীর্ঘ সম্পর্কের নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে। তিনি বলেন, 'আমি একবার মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এতদিন বিয়ে টিকিয়ে রাখার গোপন রহস্য কী? উত্তরে মা বলেছিলেন ভালোবাসা। আর বাবা? তাঁর উত্তর ছিল বউ যা বলে তাই ঠিক। এটাই বিয়ে টিকিয়ে রাখার মূল মন্ত্র।'
১৯৭৩ সালের ৩ জুন জয়া বচ্চনের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অমিতাভ বচ্চন। খুবই সাধারণ ছিল তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠান। অনস্ক্রিন ও অফস্ক্রিন, দু'জায়গাতেই তাঁদের জুটি মানুষের থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছে। একাধিক ওঠা-নামার মধ্যে অবশেষে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ৫০ বছর কাটিয়ে দিলেন। একাধিক তারকা শ্বেতার এই পোস্টে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বয়স যে কেবলামাত্র সংখ্যা, তা ফের প্রমাণিত করলেন টিভি অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি (Shweta Tiwari)। ৪০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে ২ বছর আগেই, বয়স এখন তাঁর ৪২। কিন্তু ভাঁটা পড়েনি তাঁর গ্ল্যামারে। টিভি পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারিকে অনেকেই 'কসৌটি জিন্দেগি কি'-এর প্রেরণা বলেই চেনেন। কারণ সেখান থেকেই তাঁর কেরিয়ারের পথ চলা শুরু হয়েছিল। তবে সেই শ্বেতা আর এখনকার শ্বেতার মধ্যে বয়সের অনেক তফাৎ কিন্তু গ্ল্যামার যেন ঠিক একই রয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি তাঁর কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে মুগ্ধ নেটাগরিকরা (Netizen)।
সম্প্রতি শ্বেতা তিওয়ারি তাঁর এক ফটোশ্যুট করেন। সেই ছবিতে তিনি নিজেকে যেন এক অন্য রূপেই ধরা দিয়েছেন। তাঁর পরনে রয়েছে সাদা ডিপ নেক টপ, কালো রংয়ের শর্ট স্কার্ট ও টপের উপর ছিল কালো রংয়ের জ্যাকেট। তাঁর এই ছবি তাক লাগিয়ে দিয়েছে নেটিজেনদের। তাঁর বয়স যে ৪২, তাঁকে দেখে কেউ বলতেই পারবে না। কারণ তাঁর এমনই গ্ল্যামারাস লুক। আর এই রূপ দেখেই মন্ত্রমুগ্ধ নেট দুনিয়া।
কিন্তু এখানেও রয়েছে সমালোচনা। অনেক নেটিজেনই তাঁর এই রূপ পছন্দ হয়নি। ফলে তাঁর এই বোল্ড লুকের জন্য ট্রোলের শিকারও হতে হয়েছে। তাঁকে এমনকি 'বেশরম' বলেও সম্বোধন করা হয়েছে। কেউ আবার বলেছেন, 'আপনাকে ভারতীয় পোশাকেই বেশি ভালো লাগে।' তবে তাঁর এই নতুন লুকের প্রশংসা করেছেন অনেক নেটিজেন।
বলিউড জগতে ধীরে ধীরে নিজের স্থান তৈরী করছেন অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি শর্মা (Shweta Tripathi Sharma)। ২০১৫ সালে 'মাসান' ছবিতে ভিকি কৌশলের বিপরীতে অভিনয় করে প্রশংসা পেয়েছিলেন। কিন্তু জনপ্রিয়তা আসে ওয়েব সিরিজ 'মির্জাপুর'-এর হাত ধরে। সেই সিরিজে গজগমিনি গুপ্তা ওরফে গোলু গুপ্তার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শ্বেতা। মির্জাপুর থ্রি'তেও দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। তবে বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর অনেক ভক্ত। সম্প্রতি শ্বেতার আপলোড করা ছবি দেখে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন তাঁর ভক্তরা।
নিজের সামাজিক মাধ্যমে তিনটি ছবি আপলোড করেছেন শ্বেতা। সেখানে দেখা গিয়েছে, লাল বেনারসী শাড়ি দিয়ে তৈরী একটি ওয়েস্টার্ন পোশাক পরেছেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছে একেবারে ৭০-এর দশকের নায়িকা। হালকা লিপস্টিক, চোখে উইং এই লাইনার। কানে দুল। নানা পোজে ছবি দিয়েছেন শ্বেতা। চোখ ফেরানো দায় হয়ে পড়েছে দর্শকদের। কমেন্ট বক্স ভেসেছে শুভেচ্ছা।
নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে (Scam) প্রথমবার জেরার মুখে অয়ন ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তী (Shweta Chakraborty)। বৃহস্পতিবার তিনি ইডির (ED) কলকাতার অফিসে পৌঁছেছেন বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রের খবর, অয়নশীল তাঁকে গাড়ি উপহার করেছিলেন এবং অয়নশীলের প্রযোজনা সংস্থায় তিনি অভিনয় করেছেন। এসব কিছুর টাকা কোথা থেকে আসতো এবং চুরির টাকাতেই গাড়ি উপহার কিনা! এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হতে পারে তাঁর থেকে বলেই খবর।
ইডি সূত্রে আরও খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার অয়নের বিষয়ে চার্জশিট পেশ করে ইডি। সেখানে অয়নের সম্বন্ধে ইডি দাবি করেছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে ৩৫০ কোটি টাকার উপরে তুলেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে গতকাল, বুধবার অয়ন শীলের বাবা-মা এবং স্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
গতকাল অর্থাৎ বুধবার অয়নের মা-বাবার পরে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার অয়ন শীলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অর্থাৎ শ্বেতা চক্রবর্তীকে তলব করে ইডি। প্রসঙ্গত, অয়নশীল বর্তমানে ইডির হেফাজতেই রয়েছেন।
ওটিটি'তে বহু আগেই মুক্তি পেয়েছে ওয়েব সিরিজ মির্জাপুরের (Mirzapur) দুটি পার্ট। দর্শক যে শুধু ওই দুটি সিজেন পছন্দ করেছে তাই-ই নয়, গোগ্রাসে গিলেছে। তাবড় অভিনেতারা অভিনয় করেছেন সিরিজে। ক্ষমতার লড়াই, রাজনীতি, বিশ্বাসঘাতকতা, পেরিয়ে মির্জাপুরের মুকুট কার মাথায় বসবে, তা দেখা যেতে পারে সিজেন-থ্রি তে। প্রথম দুটি সিরিজে দর্শকেরা টানটান ড্রামা দেখতে পেয়েছিলেন। এবারের সিজেনও কি সেই গতিধারা অব্যাহত থাকবে? তা বোঝা যাবে সিরিজ মুক্তি পেলেই। যদিও মির্জাপুর সিজেন-থ্রি (Mirzapur Season 3) মুক্তি পাওয়ার আগেই এই বিষয়ে কথা বললেন সিজের অভিনেত্রী শ্বেতা ত্রিপাঠি (Shweta Tripathi)।
এর আগের দুটি সিজনে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পেয়েছিলেন শ্বেতা ত্রিপাঠি। 'মাসান'র মতো সিনেমা ও একাধিক সিরিজ করেছেন, তবে মির্জাপুর তাঁর কেরিয়ার জীবনের মাইলফলক হয়ে গিয়েছে। পরের সিজনেও রয়েছেন অভিনেত্রী, 'গোলু' অর্থাৎ গজগমিনী গুপ্ত চরিত্রে। তাঁকে এইবার দেখা যাবে রণরঙ্গিনী রূপে। কাছের মানুষকে হারিয়ে কতটা বদলেছে গোলুর জীবন? মির্জাপুরের মসনদের তাজ কি তাঁর মাথাতেও উঠবে? বিগত সিজনের চরিত্রওগুলির সঙ্গে তাঁর চরিত্রের রসায়ন কতটা বদলাবে? জানা যাবে পরের সিজনে।
যদিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্বেতা সিজন-থ্রি এর খানিকটা আভাস দিয়েছেন। অভিনেত্রী বলেছেন, মির্জাপুরের তৃতীয় সিজন চারদিকে শোরগোল ফেলে দেবে। বাস্তবে মির্জাপুরের সহ-অভিনেতাদের কেমন সম্পর্ক? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, সিজনের প্রত্যেক সহকর্মীর সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই শ্বেতার জীবনে মণিমাণিক্য হয়ে উঠেছে। তাবড় অভিনেতারা রয়েছেন সিজনে, গল্পও জমাটি, তাই মির্জাপুর সিজন-থ্রি নিয়ে আশাবাদী শ্বেতা।
জেল খাটতে হলে চেয়ারম্যান (Chairman) খাটবে, কাউন্সিলর খাটবে, বিধায়ক খাটবে, এমপি খাটবে, কিন্তু কর্মচারীরা যেখানে ছিল সেখানেই থাকবে। মন্তব্য কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহার। কিন্তু কেন এমন বললেন তিনি? কারণ, অয়ন শীল (Ayan Shil) গ্রেফতার হয়েছে। রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় করে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম উঠেছে ৭০টি পুরসভার। অয়নকে গ্রেফতারির পর মধ্যখানে কেটে গিয়েছে ৩-৪টে দিন। বিতর্কের মাঝেই কামারহাটি পুরসভায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্বেতা চক্রবর্তী। আগেই জানিয়েছিলাম, শ্বেতা কামারহাটি পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। সেই পদেই নিজের কাজে যোগ দেন তিনি। শুক্রবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন খোদ কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র।
শুক্রবার মদন মিত্র শ্বেতার সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার পর, শ্বেতাকে জিজ্ঞেস করা হলে শ্বেতা জানান, 'উনি আমাদের বিধায়ক, উনি আসতেই পারেন।' পাশাপাশি শুক্রবার নিয়োগ বিতর্কে শ্বেতার নাম জড়ানোয়, ওই পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, 'যদি জেল খাটতে হয়, চেয়ারম্যান খাটবেন, কাউন্সিলর খাটবেন, বিধায়ক খাটবেন, এমপি খাটবেন। কিন্তু কর্মচারীরা যেখানে ছিল সেখানেই থাকবেন। এর কোনও ব্যতিক্রম হবে না। যদি অন্যায় আমরা করে থাকি তাহলে শাস্তি আমাদেরই হবে। প্রত্যেকেই সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছে।' কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা আরও বলেন, 'হাসিমুখে কাজ করুন। সাধারণ মানুষকে তাঁদের পরিষেবাটা দিন।'
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) তদন্ত এগিয়েছে। জলও গড়িয়েছে অনেক দূর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। গ্রেফতার হয়েছেন তৎকালীন বেশ কিছু সচিবও। সেই সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু, দালাল কুন্তল, অয়ন শীল সহ প্রমুখ ব্যক্তিগণ। অপরাধের তল পেতে ইডি এবার গ্রেফতার করেছে অয়ন শীল নামক এক প্রোমোটার ও সরকারি পঞ্চায়েত সচিবকে। যার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে বহু নথি, সম্পত্তির কাগজ, ওএমআর শিট সহ বিভিন্ন নথি। যা ঘেটে ইডির কাছে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, শুধু শিক্ষা দুর্নীতি নয়, দুর্নীতি হয়েছে রাজ্যের বহু দফতরে। নিয়োগ হয়েছে দেদারে, সেসঙ্গেই বেমালুম টাকা তুলেছেন এই অভিযুক্তরা। এখন তবে বিতর্কের কেন্দ্র কী শুধুই নিয়োগ?
শিক্ষক নিয়োগে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতায় গ্রেফতার হয়েছেন এ রাজ্যের শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রী সহ তৃণমূল নেতারা। কমবেশি তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে যোগ রয়েছে এক রহস্যময়ীর নারীর। প্রত্যেকের বাড়ি, অফিস ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় নথি। তা খতিয়ে দেখে ইডির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকের সঙ্গেই রহস্যময়ীদের গভীর যোগযোগ আছে। লেনদেন হতো মোটা অঙ্কের টাকা। কেউ পেতেন বিলাসবহুল গাড়ি, আবার কেউ পেতেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবুর বান্ধবীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫০ কোটি নগদ টাকা সহ মোটা অঙ্কের গহনা, সম্পত্তি ও জমিজমার নথি। যার কিছুটা পার্থ, কিছুটা পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে।
ঠিক একইভাবে গ্রেফতারির পর অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথিতে নাম পাওয়া গিয়েছে শ্বেতা চক্রবর্তী নামের এক নারীর। কে এই নারী? কী পরিচয় তাঁর? কেন তাঁর নাম উঠছে? কী করে তাঁর সঙ্গে অয়নের যোগাযোগ? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সংবাদমাধ্যম। শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। শিরোনামে ওঠার পর অবশ্য ফাঁস হয় আরও তথ্য।
জানা গিয়েছে, কামারহাটি পুরসভার সামনে একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকেন অয়ন এবং শ্বেতা। একজন বন্ধু-বান্ধবী এক ফ্ল্যাটে থাকলে সমস্যা কোথায়? খোঁজ করে ওই আবাসনের এক কর্তার মারফত জানা গিয়েছে, ওই আবাসনে মামা-ভাগ্নি পরিচয়ে থাকতেন শ্বেতা ও অয়ন। যার পরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তোলে সংবাদমাধ্যম। সে সঙ্গে ইডি জানিয়েছে অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে শ্বেতার ব্যাঙ্কে লেনদেনের কথা, সব মিলিয়ে জটিল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যদিও এ সমস্ত ঘটনার পরিপেক্ষিতে বুধবার শ্বেতার স্পষ্ট জবাব, 'আমি মহিলা, আমাকে নিয়ে রঙ চড়িয়ে কথা বললে মানুষ গিলবে, টিআরপি বাড়বে, সে জন্যই মিডিয়া এমন প্রচার করছে।'
অয়নের গ্রেফতারির পর কার্যত নিখোঁজ ছিল শ্বেতা। তাঁর বাড়ি গিয়েও মেলেনি দেখা। শ্বেতার পরিবারের কেউ কথা বলতে চাননি। বুধবার সিএনকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি অনেক কিছুই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। শ্বেতা চক্রবর্তী নৈহাটী পাল পাড়ার বাসিন্দা। ২০১৫ সালে পরীক্ষা দিয়ে হুগলি জেলার একটি পঞ্চায়েতে সহকারীর চাকরি পান। সেখান থেকে ২০১৬ সালে হগুলির ডুমুরদহ ১ নং পঞ্চায়েতে পোস্টিং হন। সেখানেই অয়ন শীলের সঙ্গে আলাপ বলে জানান তিনি। আমাদের প্রতিনিধি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ২০১৮ সালে সোমরা ১ নং পঞ্চায়েতে পোস্টিং হলেও সেখানে যোগ দেননি শ্বেতা। বুধবার আমাদের সাংবাদিককে শ্বেতা জানান, '২০১৯ সালে পুরসভায় চাকরিতে যোগ দেন।'
অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে লেনদেনের প্রসঙ্গে শ্বেতাকে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, 'অয়ন শীল প্রোমোটার ছিল। অয়নের থেকে ফ্ল্যাট কিনি। পরে সেই ফ্ল্যাট নেব না বলে ঠিক করি। সেই টাকাই অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে আমার ব্যাঙ্কে পাঠিয়েছিলেন অয়ন।' তিনি জানান, 'আমাদের সঙ্গে যা লেনদেন ও চুক্তি ছিল সবই আইনি পদ্ধতি মেনে। অয়নের ব্যাঙ্ক থেকে আরও ব্যাঙ্কে লেনদেন হয়েছিল, তাঁদেরকে কেন ধরছেন না।'
বুধবার সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমি মহিলা, আমাকে নিয়ে রঙ চড়িয়ে কথা বললে মানুষ গিলবে, টিআরপি বাড়বে। সে জন্যই মিডিয়া এমন প্রচার করছে। আমার মান-সন্মান, ব্যক্তিগত জীবন সবই নষ্ট করছে।' এছাড়া তিনি বলেন, 'কাজের বাইরে অয়নের সঙ্গে আমার কোনও যোগাযোগ ছিল না। ইডি যদি ডাকে যাবেন? ওই প্রশ্নের উত্তরে শ্বেতা বলেন, 'অবশ্যই যাবো, এখনও ডাকে নি, ডাকলে অবশ্যই যাবো। মামা - ভাগ্নি পরিচয়ে থাকা নিয়ে উনি বুধবার কিছু বলেননি।'