অনেক পশুপ্রেমী রয়েছেন, যাঁরা পথকুকুরদের (stray dog) খাবার খাওয়ান। আবার অনেকে অসুস্থ পথকুকুরদের সেবা-শুশ্রুষা করেন। তেমনই এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেখাশোনার নামে কুকুরদের আটকে রেখে না খাইয়ে মারার (Murder) অভিযোগ উঠল। এক হাজার কুকুরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। ঘটনাটি দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea)।
কোরিয়ান-এর এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, পথকুকুরের দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। এর জন্য তাঁকে ন্যায্য মূল্যও দেওয়া হত। ২০২০ সালে থেকে এই দেখাশোনার কাজ করা শুরু করেন। কিন্তু অভিযোগ, কুকুরগুলিকে একটি ঘরে আটকে রেখে দিতেন, খাবার দিতেন না। ঠিক মতো চিকিৎসাও করানো হত না। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে এক ব্যক্তির মাধ্যমে। তাঁর কুকুর হারিয়ে যাওয়ায় তিনি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করতে শুরু করেন। এরপর তিনি ওই ‘ডগ শেল্টারে’ খোঁজ করতে যান। সেখানে গিয়ে আঁতকে ওঠেন ওই ব্যক্তি।
তিনি দেখেন, খাঁচার ভিতরে কুকুরের মৃতদেহগুলি পড়ে। কিছু কুকুরের দেহ ঘরের এক জায়গায় স্তূপ করে রাখা। এরপরই পুলিসে খবর দেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের ধারণা, কুকুরগুলিকে দীর্ঘ দিন না খাইয়ে রাখায় অনাহারে মৃত্যু হয়েছে। ৪টি কুকুরকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিস। সেগুলি চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ফের হাতির তাণ্ডব। এবার সটানে একটি চা বাগানে (tea garden) ঢুকে পড়ে হাতির (Elephant) দল। আতঙ্কে কাজ বন্ধ বাগানের একাংশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বনকর্মীরা। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) নাগরাকাটা ব্লকের গাঠিয়া চাবাগানের।
কর্মীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে বাগানের ডি সেকশনে ঢুকে পড়ে একপাল বুনো হাতি। প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি হাতি রয়েছে সেই দলে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাগানের ওই অংশে। কাজ বন্ধ করে পালিয়ে যান শ্রমিকেরা। অন্যদিকে, হাতির দল দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, এই বুনো হাতির দলটি ডায়নার জঙ্গল থেকে এই এলাকায় ঢুকে পড়েছে। খবর পেয়ে বনদফতরের খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা ভিড় সরিয়ে দিয়ে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বনদফতর সূত্রে খবর, হাতির দলটি কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি। বাগানের ছায়াগাছে নিচেই তারা আশ্রয় নিয়েছে। বনকর্মীদের অনুমান, সন্ধ্যা নামলেই হাতির দলটি নিজেরাই জঙ্গলে ফিরে যাবে। ততক্ষণ সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছেন তাঁরা।