প্রসূন গুপ্ত: তিনটি স্থান আছে বাঙালিদের পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ। ৩৪ বছরের বাম শাসনে দেখেছি, নিয়মিত হারে ফলস ভোট ও বুথ দখলের ট্রেডিশন নানান ভোটে, ত্রিপুরাতেও একই ঘটনা। যদিও তৃণমূল জমানায় যত অভিযোগ সবই পঞ্চায়েত বা পুর ভোটে। সাধারণ নির্বাচন বা বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করেছে নির্বাচন কমিশনার। ত্রিপুরাতে তো বাম থেকে আজকের জমানাতে সমস্ত ভোটে বিরোধীদের অভিযোগ বুথ দখল বা জাল ভোট দেওয়ার। বাংলাদেশ কিন্তু ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনে এই বাতাবরণটি ধরে রাখলো। মূলত অভিযোগ শাসক আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেই।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টে অবধি ভোট হলো ৩০০ আসনে। বাংলাদেশে ৩৫০টি সংসদীয় আসন কিন্তু ভোট হয় ৩০০ আসনে, বাকি ৫০ আসন অনেকটা আমাদের দেশের মতো বিধান পরিষদীয় পদ্ধতিতে ভোট হয়।
ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি বা বিএনপি ভোট বয়কট করেছে। বয়কট করেছে প্রধান বাম দলগুলি যদিও বামপন্থী একটি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আছে। এ ছাড়া অনেকগুলি ইসলামিক দল ও নিরপেক্ষ দল ভোটে অংশ নিয়েছে। শোনা গিয়েছিলো যে জাল ভোট বা গাজোয়ারী করে ভোট করতে পারে হাসিনার দল। পারদপক্ষে সেটাই হয়েছে তবে বেশ বুদ্ধি খাটিয়ে! ওখানকার টিভি চ্যানেলগুলির বক্তব্য জাল ভোট ফেলা হয়েছে এবং বহু বুথে এজেন্ট বসতেই দেওয়া হয়নি। খালেদা জিয়া অবিশ্যি শনিবার এবং রবিবার প্রতিবাদ স্বরূপ হরতালের ডাক দিয়েছেন। কোথাও কোথাও সারা ফেলেছে কিন্তু ভোটটি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত খবর যা ৪০/৫০ শতাংশ ভোট বড়োজোর পড়তে পারে।
এই ভোটার আগে আমেরিকা সহ ন্যাটো গোষ্ঠী অবাধ নির্বাচন করার হুমকি দিয়েছিলো হাসিনা সরকারকে। বাস্তবে, প্রশাসন থেকে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় এখনও চলে কাজেই এমন দাবি হাস্যকর দাবি খালেদার। ভোট শেষ হতেই প্রতিটি বুথে গণনা শুরু হয়েছে। ওখানে ব্যালটে ভোট হয় সুতরাং সময় লাগবে। মঙ্গলবারের আগেই চিত্র পরিষ্কার হবে বলেই ধারণা।
প্রসূন গুপ্তঃ মাঝে আর একটি দিন, তারপরেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন। ৫ বছর আগে হলে নিশ্চিন্তে বলা যেত শেখ হাসিনা তাঁর সংগঠন দিয়ে ভোটে জিতে আসবে। আজ কিন্তু সেরকমটি বলা যাচ্ছে না। বাঙালি অধুষ্যিত তিন জায়গায় ভোট নিয়ে অশান্তির ঘটনা নতুন কিছু নয়। প্রশাসন যার জয় তার, এমন বাক্যটিই চলে আসছে। আমাদের এই বাংলায় ভোটে বুথ দখল থেকে ভোট কেন্দ্রের হুজ্জুতির শুরু কিন্তু ১৯৮২ তে বাম জমানা থেকেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েও রাখা যায়নি।
২০০৬ বাম ২৩৫ টি আসন পায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল কিন্তু তারই মধ্যে সিপিএমের ক্যাডার বাহিনী ভোট করেছিল নিজেদের প্রয়াসে। কেন্দ্রে তখন বাম সমর্থিত সরকার কাজেই দেখেও না দেখার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলো পুলিশ। পরবর্তীতে তৃণমূলের রেকর্ডও ওই প্রকার। যদিও লোকসভা বা বিধানসভা ভোটে গন্ডগোল হলেও বুথ দখল হয় নি। একই ফর্মুলা প্রয়োগ হয়েছে দিনের পর দিন ত্রিপুরাতে বাম নেতৃত্বে। বর্তমান সরকার বিজেপির। তারাও ওই একই খেলা শিখেছে প্রথম দিন থেকেই। বিগত পঞ্চায়েত ভোটে ৯৫ শতাংশ বুথ দখল করে রেকর্ড করেছিল তারা বলে দাবি বিরোধীদের। তৃতীয় বাংলা মানে বাংলাদেশ। গত দুটি সাধারণ নির্বাচনে কি ভাবে ভয় দেখিয়ে ভোটে জিততে হয় তা দেখিয়ে দিয়েছিলো আওয়ামী লীগ বা নৌকা বাহিনী। একই চিত্র তিন বাংলাতে।
এবারে সাধারণ নির্বাচন রবিবার অর্থাৎ আর দুটি দিন বাদেই। এবারেও একই ফর্মুলাতে হাসিনা বাহিনী কিন্তু সমস্যা বা চাপে রয়েছে তারা। ইতিমধ্যে আমেরিকা সহ ন্যাটো দেশগুলি হুমকি দিয়েছে আসন্ন নির্বাচন যদি অবাধ না হয় তবে গুরুতর ব্যবস্থা নেবে তারা। মিডিয়াও সুর পাল্টিয়েছে। তবে হাসিনা পাশে পাচ্ছে চীনকে কিন্তু ভারত এখনও চুপ ভোটার বিষয়ে। বাস্তব সত্যি হচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বা খালেদা জিয়ার দল সরাসরি ভোটে নেই কিন্তু তৃণমূল বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি নাম দিয়ে জামাতের সহযোগিতায় ভোটে দাঁড়াচ্ছে। ৩৫০ আসনের সংসদে ৩০০ আসনে ভোট তাতে আওয়ামী ৬টি দলের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে এসেছে। এছাড়াও গোড়া ইসলামিক দল রয়েছে প্রায় ৮/৯টি। সব মিলিয়ে ২৮টি দল ভোট লড়ছে। ওদের ওখানে সব দলেরই সমর্থক আছে তাই তুড়ি মেরে বলা যাবে না যে আওয়ামী লীগ ফের আসছে। ভারতীয়রা কিন্তু হাসিনার জয় চায়। তাই ভোটের অশান্তি নিয়ে ভারতের কোনও মন্তব্য নেই। যা শেষ খবর, হাসিনা কিন্তু এবারেও বেপরোয়া। ইসলামিক দেশ হলেও এই হাসিনার আমলে দুর্গাপূজো থেকে দোল উৎসব কিন্তু দারুন ভাবেই উৎযাপিত হয়। তাই সংখ্যালঘু (হিন্দু) স্বার্থে ভারত হাসিনার জয় চায়।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak) ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবার ভারত সফরে এসেছেন। জি-২০ সম্মেলনে (G20 Summit) অংশ দিতে তাঁর এই ভারত সফর। আর তিনি এ দেশে আসার পর থেকেই মন জিতে চলেছেন প্রত্যেকের। এর মধ্যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। আর এবারে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে কথোপকথনের এক মুহূর্ত। তাঁর ব্যবহারে মুগ্ধ নেটদুনিয়া।
p style="text-align: justify; ">রবিরাব ১ টা নাগাদ সমাপ্তি হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। তবে এর পরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে রাষ্ট্রনেতাদের একাধিক ছবি। সেসব ছবিগুলোর মধ্যে যেই ছবি সবার নজর কেড়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, হাসিনা ও সুনককে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে আর পাশে হাঁটু গেড়ে কথা বলতে দেখা গেল সুনককে। হাসিনাকে যাতে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দাঁড়াতে না হয়, তার জন্য হাঁটু গেড়েই বসতে দেখা গেল ঋষিকে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও বিন্দুমাত্র অহংকার নেই, এমনটাই মন্তব্য নেটিজেনদের। এছাড়াও তিনি যে তাঁর সংস্কৃতি ভোলেননি, সেটা নিয়েও সাধুবাদ জানিয়েছেন নেটাগরিকরা।What a lovely & an adorable picture of Our HPM Sheikh hasina & @RishiSunak.
— Silvia Parveen Lenny (@ParveenLenny) September 10, 2023
❤️ pic.twitter.com/OS0Mwu6hN9
ঋষি সুনকের স্ত্রী অক্ষতার সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্ত বা ক্যান্ডিড ছবি ভাইরাল হওয়ার পরই তাঁর এমন ছবি এখন সমাজমাধ্যমে ট্রেন্ডিং। ফলে ঋষি সুনকের এমন ব্যবহারে দেখে মুগ্ধ ও তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটদুনিয়া।
রাত পোহালেই ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে (New Delhi) বসতে চলেছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit)। তার আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি-২০-এর সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও 'অতিথি দেশ' হিসাবে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মোদী শেখ হাসিনাকে নিজের বাসভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেই এদিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারলেন তিনি। আর এর পরই এক্স অ্যাকাউন্টে বাংলায় পোস্ট করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। pic.twitter.com/F4wYct4X8V
— Narendra Modi (@narendramodi) September 8, 2023
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে মোদী এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।' তবে এখানেই শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদী আর ১৪জন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার শুরু হবে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লি রওনা হবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ভবনে নৈশভোজের আসরে থাকবেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে শুক্রবারই দিল্লি রওনা হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি২০ এর শীর্ষ সম্মেলন। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাদা করে সাক্ষাৎ করতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সম্প্রতি দেশের নাম 'ভারত' হওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্র ও বিরোধীদের টানাপোড়েন চলছে। ইন্ডিয়া জোট নিয়েও কেন্দ্র কড়া বার্তা দিয়েছে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে নৈশভোজে থাকবেন। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার পরবর্তী বৈঠকও দিল্লিতে। বাংলার সাংসদরা ইতিমধ্যে দিল্লিতে ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা নিয়ে দিল্লিতে কর্মসূচির পরিকল্পনা করছেন। মনে করা হচ্ছে একদিন আগেই দিল্লি যেতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও নবান্নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রশাসনিক কাজেই একদিন আগে দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জি-২০-এর (G 20 Summit) সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও ভারতে আসতে চলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সূত্রের খবর, এ বছর জি-২০ সম্মেলনের সভাপতিত্ব পাওয়ার পরই বাংলাদেশকে 'অতিথি দেশ' হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ-কেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর পর জানা গিয়েছে যে, আমন্ত্রণের পর বাংলাদেশ থেকে আসতে চলেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূত্রের খবর, ৮ ডিসেম্বর ভারতের মাটিতে পা রাখবেন তিনি। আবার জি-২০ সম্মেলনের আগেই প্রধানমন্ত্রীর মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন তিনি। তবে এই বৈঠক হবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে।
সূত্রের খবর, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন। সেখানে বিশ্বের একাধিক রাষ্ট্রনেতারা যোগ দেবেন। কিন্তু জি-২০-এর সদস্য নয় বাংলাদেশ, ফলে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। তবে এবারে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মোদীর আমন্ত্রণেই ভারতে আসবেন শেখ হাসিনা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বসবেন তাঁরা। তবে সাউথ ব্লক বা হায়দরাবাদ নয়, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ৭, লোকল্যাণ মার্গেই এই বৈঠক হবে বলে সূত্রের খবর। তবে কখন এই বৈঠক হবে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও ৯টি দেশকে 'অতিথি দেশ' হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ভারতে। সে সব দেশের প্রতিনিধিরা খুব শীঘ্রই ভারতে আসতে চলেছেন। তবে মনে করা হচ্ছে, ভারত-বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে তুলে ধরতেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক মোদীর বাসভবনে করা হবে।