
যোদ্ধার থেকে কম কি! যে সে যুদ্ধ নয়, একেবারে জীবন যুদ্ধ জয় করে ঘরের ছেলে ফিরছে ঘরে। উত্তরকাশীর টানেলের বন্দিদশা ভেঙে অবশেষে মায়ের কোলে ফিরলেন আরামবাগের পুরশুড়ার ২ শ্রমিক সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব পরামানিক। ১৭ দিন সুড়ঙ্গে সূর্যের আলো পৌঁছত না ঠিকই, তবে আশার আলোটাকে এক মুহূর্তের জন্য নিভতে দেননি কেউ।
ভয়কে জয় করেছেন টানা সতেরো দিন ধরে। মুক্তির স্বাদ লড়াইয়ের জোর বাড়িয়েছে আরও। কাজ করতে চান, এগিয়ে যেতে চান সৌভিক, জয়দেব।
গোটা দেশ যখন দীপাবলির আলোয় উজ্জ্বল, ঠিক তখনই উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে নামে অন্ধকার। ছেলেদের এক ঝলক দেখার জন্য টিভির পর্দায় চোখ গেঁথে রেখেছিলেন ১৭টা দিন। ভাষা হারালেও প্রার্থনা থামেনি। অভাব, বেকারত্বের তাড়নায় শুধু রাজ্য নয় বোধহয় জীবন থেকেও দূরে চলে গিয়েছিল তরুণ তাজারা। একবার ফিরে পেতেই তাঁদের আর কাছছাড়া করতে চায় না কেউ।
আজ ওঁদের বাড়িতে অকাল উৎসব, যে দীপাবলিটা পালন করা হয়নি, আজ সব পুষিয়ে নেবে পাখিরা এবং পরামানিক পরিবার। স্নেহ চুম্বনে কপাল ভরিয়ে দিচ্ছে মা, ঠাকুমারা। মায়ার বাঁধন পড়ছে আরও শক্ত গিঁট। এই বাঁধনই বোধহয় মৃত্যু ছুঁয়েও ফিরে আসার সাহস জোগায়।
ভোপালের মসনদে কমল ফুটল। কমল নাথ কিছু করতে পারলেন না। মোদী ম্যাজিকে এবারও মধ্যপ্রদেশ কার্যত নিজেদের দখলে রাখল বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে অন্যতম বড় রাজ্য নিজেদের দখলে রেখে স্বস্তিতে দিল্লিতে গেরুয়া শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা।
প্রাথমিক গণনার পর কংগ্রেস নেতা কমল নাথ দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস আসছে। কিন্তু বেলা বাড়তে ফল পাল্টে গেল। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে কার্যত ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছে বিজেপি।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে ভোপালের গদিতে শিবরাজেই আস্থা ঢেলে দেবেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা। পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশের ফল সবচেয়ে বেশি স্বস্তি দিল বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও।
বেশ কয়েকদিন ধরেই নতুন করে চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি চোখে ইনফেকশন জনিত সমস্যার কারণে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সভায় অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আজ, শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ দমদম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন ডায়মন্ডর হারবারের তৃণমূল সাংসদ। তৃণমূল সূত্রে খবর, চোখের চিকিৎসা করতে হায়দরাবাদ উড়ে যাচ্ছেন অভিষেক।
উল্লেখ্য, এর আগেও হায়দরাবাদে চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া পুজোর আগেও প্রায় একমাস আমেরিকায় থেকে চোখের চিকিৎসা করিয়েছেন। শনিবার কলকাতা বিমানবন্দরে গাড়ি থেকে নেমে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের দিকে হাত নেড়ে বিমানবন্দরে ভিতর ঢুকে যান তৃণমূল নেতা। তাঁর চোখে এখন কেমন রয়েছে, সেই নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি অভিষেক। কেমন আছেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক জানান তিনি ভাল আছেন।
নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ধৃত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বর্তমানে রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। তবে ঠিক কী হয়েছে তাঁর, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এরই মধ্যে কালীঘাটের কাকুর ভয়েস স্যাম্পেল নেওয়ার জন্য তৎপর ইডি। এমনকি জোকা ইএসআই হাসপাতাল তৈরি রেখেছে মেডিক্যাল বোর্ড। ভয়েস স্যাম্পেল টেস্টের আগে, প্রস্তুত রয়েছে বেডও। কিন্তু সুজয়কৃষ্ণকে সেখানে কেনও এখনও পাঠানো হচ্ছে না, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্রে বারংবার জানানো হয়েছে অসুস্থ সুজয়কৃষ্ণ। সম্প্রতি চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রবল মানসিক চাপে রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতাও রয়েছে। এই অবস্থায় তার গলার স্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে গেলে সমস্যা বাড়বে। তবে ইডিও ছাড়ার পাত্র নয়। কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়ার জন্য তৎপর ইডি।
জানা গিয়েছে, জোকা ইএসআই হাসপাতালে করা হবে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা সুজয়কৃষ্ণর গলার স্বরের নমুনা নিতে প্রস্তুত, কিন্তু তাঁকে পাঠাতে এত কেন ঢিলেমি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কালীঘাটের কাকুকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভয়েজ স্যাম্পেল টেস্টের জন্য পাঠানো কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার থেকে ডিরেক্টর। ফলে এবারে এসএসকেএম হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে ভূমিকম্প। শনিবার সকাল ৯ টা ৫ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশের একাধিক এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুর জেলা। ভূমিকম্পের উৎসের গভীরতা মাটি থেকে ৫৫ কিমি নীচে। সাতসকালে এমন ভূমিকম্পন অনুভূত হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে পড়েছে মানুষের মধ্য়ে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতে খবর পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সহ কলকাতাতেও অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। এছাড়াও রাজ্য়ে একাধিক জায়গায় অনুভূত হয়েছে মৃদু কম্পন। অন্য়দিকে মৃদু কাঁপুনি উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলিতেও।
নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। চান সরকার একটু পাশে এসে দাঁড়াক। তবে অনুদান নয়। কর্মসংস্থান দিক সরকার।
২ সন্তান। স্বামী ট্রেনে হকারি করেন। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা পরিবারে। দুঃখ দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে ভারী হয়ে আসে চোখ। তবুও স্বপ্ন টলাতে পারেনি আর্থিক প্রতিবন্ধকতা। সম্প্রতি তামিলনাড়ুতে জতীয় স্তরে একাধিক মেডেল প্রাপ্তি। নজির বিহিন কৃতিত্বে আজ সোনার মেয়ে হুগলি তারকেশ্বরের বুলটি রায়। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগাদানের স্বপ্ন থাকলেও খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার।
দু'বেলা দু মুঠো অন্ন জোগাড়ও অনিশ্চিত। তবুও ঘর ভরেছে সোনা, রূপোর পদকে। সংসারে আয় বাড়াতে, ছোটো দুই ছেলে মেয়ের পড়ার খরচ টানতে কাজে যোগ দিয়েছেন বুলটি নিজে। তবুও সময় বের করে চলছে অনুশীলন। মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাই এখন স্বপ্ন। তার জন্য খরচ প্রায় ২ লাখ টাকা। আক্ষেপ একটাই, অন্য জায়গায় জাতীয় স্তরের খেলোয়াড়দের সবাই চেনে, সাহায্যও পান তাঁরা।
বুলটি স্বর্ণপদক জয় করলেও তাঁর কাছে নেই উপযুক্ত জুতো। অনুশীলনের জন্য নেই ভাল পোশাক। কিন্তু অভাব বুলটির ইচ্ছেশক্তির কাছে পরাজিত। কান্না ভেজা গলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি একটা চাকরি দেন, তাহলে তাঁর পরিবার খেয়ে পরে থাকতে পারবে। এর সঙ্গে নিজের স্বপ্নের পিছনে আরও দৌড়তে পারবেন বছর তিরিশের ‘সোনার মেয়ে’।
এবারে শাসক দলের নেতা ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল বেশ কিছু ভুয়ো ওএমআর শিট, একটি মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজ্যুজুড়ে তৃণমূল একাধিক বিধায়ক-কাউন্সিলরদের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে শুধুমাত্র শাসক দলের নেতারা নন, নেতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ঝান্টু শেখের বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। এর পর তাঁর ছেলে সুজল আনসারির কলেজেও তল্লাশি চালায় সিবিআই। আর সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় ভুয়ো ওএমআর শিট।
জানা গিয়েছে, আজ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট অবধি সুজল আনসারির বাড়ি ও কলেজে তল্লাশি চালানো হয়। এর পর বেশ কিছু ভুয়ো ওএমআর শিট, একটি মোবাইল ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য নিয়ে সুজল আনসারির কলেজ থেকে বেরিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, বড়ঞা থানার কুলি মোড়ের বাসিন্দা ঝান্টু শেখ পেশায় ব্যবসায়ী। ঝান্টু শেখের ভালো নাম মোহাম্মদ আনারুল হক আনসারি। তাঁর বাড়িতে বৃহস্পতিবার সকাল কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানদের নিয়ে তদন্তকারী সংস্থা হানা দেয়। জানা গেছে, এই ঝান্টু শেখ ছাড়াও তাঁর ছেলে সুজল আনসারির নামেও রয়েছে একাধিক বাড়ি, সম্পত্তি ও বেসরকারি কলেজ। দুপুর ১টা থেকে বড়ঞার এক কলেজে শুরু হয়েছিল তদন্ত। তারপর সুজল আনসারির ভাই চঞ্চল আনসারিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। কলেজে বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর কোন কোন অ্যাকাউন্টে কত কত টাকা গিয়েছে, সেই সংক্রান্ত একটি ডাইরির পাশাপাশি চঞ্চল আনসারির মোবাইল ফোন ও বেশ কিছু ওএমআর শিট উদ্ধার করে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।
আরও জানা গিয়েছে, সুজল আনসারি বর্তমানে কোথায় আছে তা কেও জানে না। সূত্রের খবর, বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি এই সুজল আনসারির। এছাড়াও আজ ঝান্টু শেখকে তাঁর ছেলের বিষয়ে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, 'আমার ছেলে চোর। তবে শুধু তাই নয়, তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গেও চরম দুর্ব্যবহার করেন।'
টলিপাড়ায় ফের খুশির খবর। দ্বিতীয়বার মা হলেন অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়। দ্বিতীয়বার বাবা হয়ে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই খবর ভাগ করে নিলেন রাজ চক্রবর্তী (Raj chakraborty)। লক্ষ্মীবারে শুভশ্রী-রাজের পরিবারে মা লক্ষ্মী আসায় আনন্দে আত্মহারা চক্রবর্তী পরিবার।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছিলেন শুভশ্রী। শুভশ্রীর পরনে ছিল শর্ট প্রিন্টেড ড্রেস। চুলে বিনুনি করা। পাশে দাঁড়িয়ে রাজ। রাজের পরনে সাদা টি-শার্ট আর জিন্স। চোখে কালো চশমা। এই ছবি পোস্ট করতেই ভাইরাল। তাঁদের এমন সাজে দেখতে পেয়েই অনুমান করা হয়েছিল যে, আজই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন শুভশ্রী। আর সেই অনুমানই হল সত্যি। বেলা গড়াতেই সুখবর। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে শুভশ্রী কন্যাসন্তানের জন্ম দিতেই রাজ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়ে দেন যে, তাঁদের জীবনে ছোট্ট 'প্রিন্সেস' এসেছে। এবার থেকে বড় দাদা ছোট্ট ইউভান। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মা ও সন্তান দুই'ই সুস্থ রয়েছেন।
লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনে ফৌজদারি বিল নিয়ে অযথা যাতে তাড়াহুড়ো না করা হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপাতার ওই চিঠিতে জানিয়েছেন, ওই বিলের তীব্র প্রতিবাদ করছেন তিনি।
৪ ডিসেম্বর থেকে শীলকালীন অধিবেশন শুরু হবে। চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেসময় ফৌজদারি বিল এবং মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি বিল পেশ হতে পারে। মূলত ফৌজদারি বিলের ক্ষেত্রে অযথা তাড়াহুড়ো না করার আর্জি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
বর্তমান ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধন করে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা বাস্তবায়িত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। এর বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী আগেও সরব হয়েছেন। ওই প্রস্তাবিত আইনের ধারা নিয়ে চরম আপত্তি তুলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাতসকালে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা। গাড়ির ধাক্কায় মৃত্য়ু হল এক স্কুটি চালকের। ঘটনার পর থেকে পলাতক ঘাতক গাড়ি সহ গাড়ি চালক। বৃহস্পতিবার সকালে এই মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মহেশতলা সম্প্রীতি উড়ালপুলে। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত মৃত ব্য়ক্তির পরিচয় জানা যায়নি। তবে ইতিমধ্য়ে ঘাতক গাড়ি ও গাড়ি চালকের খোঁজ তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
প্রত্য়ক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে উড়ালপুলের উপরে বাটা মোড়ের দিক থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে পুরোনো ডাকঘরের কাছে ওই ব্য়ক্তির স্কুটির টায়ার ফেটে যায়। এরপর ওই স্কুটি চালক তাঁর স্কুটি টিকে নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বলতে থাকে। ঠিক সেই সময় কলকাতার দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি গাড়ি ধাক্কা মারে ওই স্কুটি চালককে। গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থাতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে ওই স্কুটি চালক।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহেশতলা থানা ও ট্রাফিক গার্ডের পুলিস যায়। তারপর ওই স্কুটি চালকের মৃতদেহটি উদ্ধার করে বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
টলিউড থেকে বলিউড চারিদিকে বিয়ের মরশুম। এবারে আজ অর্থাৎ ২৯ নভেম্বর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন বলি অভিনেতা রণদীপ হুডা ও মডেল লিন লাইশরাম। মণিপুরের ইম্ফলে মণিপুরী রীতি মেনেই বিবাহ সম্পন্ন হল তাঁদের। সেই বিয়ের ছবিই এখন প্রকাশ্যে। এদিন রণদীপ এবং লিন দুজনকেই মণিপুরী পোশাকে দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি তাঁদের বিয়ের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
কিছুদিন আগেই সমাজমাধ্যমে ছবি পোস্ট করে রণদীপ হুডা জানিয়েছিলেন যে, তিনি ২৯ নভেম্বর দীর্ঘদিনের বান্ধবী লিন লাইশরামের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন। সেই মতই আজ তাঁদের মণিপুরী বিয়ে সম্পন্ন হল। জানা গিয়েছে, মেইতেই রীতি মেনে এই বিয়ে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাকি সব বলি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের থেকে বিয়ের পোশাক একেবারেই আলাদা। কারণ মণিপুরী রীতি মেনে বিয়ে করায় তাঁদের পরনে দেখা গিয়েছে মণিপুরী ঐতিহ্যবাহী পোশাক। মণিপুরের সাবেকি সাদা পোশাক পরেই বিয়ে করতে বসেন অভিনেতা। কপালে ছিল তিলক, সঙ্গে মাথায় ছিল পাগড়ি। অন্যদিকে লিন লাইশরাম সাবেকি মণিপুরী সাজেই সেজে ছিলেন। গা ভর্তি সোনার গয়না।
সমাজমাধ্য়মে যে ভিডিওগুলো প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, মণিপুরী রীতি মেনে বিয়ে সারছেন তাঁরা। আবার এদিন বিয়ের আগে আশীর্বাদ নিতে ইপুধৌ মার্জিং খুবামলেন এবং ইম্ফলের শ্রী শ্রী গোবিন্দজী মন্দিরে পৌঁছে গিয়েছিলেন তারকা জুটি।
আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন (LokSabha Election 2023)। তার আগেই লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে ধর্মতলায় হল বিজেপির মহাসমাবেশ। বুধবার বিজেপির এই সভায় যোগ দেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ। আর এদিন এই সভায় যোগ দিতেই বাংলা থেকে তৃণমূল সরকারকে উপরে ফেলে দেওয়ার আহ্বান জানালেন তিনি। রাজ্যের একের পর এক দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তৃণমূলকে। ধর্মতলার মঞ্চ থেকে সরাসরি মমতাকে একগুচ্ছ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের দল থেকে সাসপেন্ড করে দেখান।' শুধু তাই নয়, সিএএ দেশে লাগু হবেই, এ নিয়েও দাবি করেন তিনি। এককথায় দিদিকে কান খুলে কিছু কথা শুনে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন অমিত শাহ।
ধর্মতলার সভায় যোগ দিয়ে প্রায় ২৩ মিনিট ধরে মঞ্চ থেকে হুঙ্কার দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'দিদি কান খুলে শুনে নাও, শুভেন্দুকে বিধানসভা থেকে বাইরে বার করে দিতে পারেন, কিন্তু বাংলার মানুষকে চুপ করিয়ে দিতে পারবে না। যে বাংলায় রবি ঠাকুরের গান দিয়ে সকাল শুরু হয়, সেখানে এখন বোমা, গুলিতে সকাল শুরু হয়।' পাশাপাশি বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, 'আমি গুজরাটের থেকে আসছি ,কিন্তু বাংলা ছাড়া কোথাও কোনও নেতার ঘরে এত নোট পাওয়া যায় নি। যে বাংলা সব দিক থেকে গোটা দেশের নেতৃত্ব করত, সেই বাংলা সব থেকে পিছিয়ে।' বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের বাধা দিতে পারছে না বলেও কটাক্ষ করেছেন মমতা সরকারকে। সিএএ আইন লাগু হবেই, কেউ রুখতে পারবে না, এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন শাহ।
বাংলার উন্নয়ন হচ্ছে না মমতা সরকারের জন্যই, তিনিই মূল বাধা রাজ্যের উন্নয়নের পথে। ফলে মমতা দিকে তুলে ফেলে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন অমিত শাহ। তাই বাংলার বিকাশ করতে গেলে মোদীকে ক্ষমতায় আনতে হবে। দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে বিজেপি ও তৃণমূলকে উপরে ফেলে দেওয়া হবে এমনটাই হুঙ্কার অমিত শাহের।
মঙ্গলবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অসম্মানজনক আচরণ করার অভিযোগ শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। চলতি অধিবেশনের মেয়াদকালীন সাসপেন্ড থাকবেন বিরোধী দলনেতা, জানিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার পক্ষের উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়ের আনা এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেন। যা নিয়ে তরজায় জড়ায় শাসক-বিরোধী শিবির। বহিস্কার ইস্যুতে এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার পাশে দাঁড়ালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার দুর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মতলার সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, আমাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দিদি ফের বহিষ্কার করেছে। এর পরেই কার্যত হুঙ্কার ছোঁড়েন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দিদি কান খুলে শুনে নিন, শুভেন্দুকে বিধানসভা থেকে বার করতে পারেন। কিন্তু বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার সংবিধান নিয়ে প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সময় ঘটনার সূত্রপাত। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বক্তব্য রাখার সময় বিধায়কদের দল বদল প্রসঙ্গে সরকার পক্ষকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বিরোধী পক্ষ থেকে দল বদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর ওই সব বিধায়করা বাইরে নিজেদের তৃণমূল বলে পরিচয় দিচ্ছেন। অথচ বিধানসভার অভ্যন্তরে তাঁরা এখনও বিরোধী বিধায়ক বলেই পরিচিত হচ্ছেন। এই সময় অধ্যক্ষ তাঁকে থামিয়ে বলেন, বিধানসভার অভ্যন্তরের নথিতে যা আছে সেই অনুযায়ি বিধায়কদের পরিচয় দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ শঙ্কর ঘোষকে এই সংক্রান্ত বক্তব্য বিধানসভার কার্য বিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেই বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিজেপি সদস্যরা সভায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী দলনেতা। কিছুক্ষণ পরে বিজেপি সদস্যরা দল বেঁধে বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন। এর পরেই সরকার পক্ষের অন্যান্য সদস্যরা বিরোধী দলনেতার আচরণের নিন্দা করে তাঁর সাসপেনশনের দাবি করেন।
তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বিরোধী দলনেতার এই আচরণকে নজীরবিহীন বলে বিরোধী দলনেতার এক মাসের সাসপেনশনের স্বপক্ষে একটি প্রস্তাব পেশ করেন। বিরোধী শূন্য বিধানসভায় ধ্বনি ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। তবে সাসপেন্ড হওয়ার পর নিজের অবস্থানে অনড় বিরোধী দলনেতা। তিনি জানান ধমক চমক দিয়ে তার কন্ঠরোধ করা যাবে না। এবার শুভেন্দুর পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত সুর বাঁধলেন শাহ তা বলাই বাহুল্য।
প্রসূন গুপ্ত: আজ থেকে ৯ বছর আগে এই ধর্মতলাতে ৩০ নভেম্বর জনসভা করেছিল তৎকালীন রাজ্য বিজেপির পরিচালন মন্ডলী। সেদিনও প্রধান বক্তা ছিলেন অমিত শাহ , যদিও তখন তিনি সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন বিজেপির। বেশ ভিড় হয়েছিল রাহুল সিনহার নেতৃত্বে। এটা বাস্তব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২১ জুলাইয়ের বিষয় একেবারেই ভিন্ন সুতরাং ওই দিনের সঙ্গে তুলনা করা ছেলেমানুষি হবে। সেবারে উদ্দেশ্য একটি ছিল নিশ্চই যে সদ্য ক্ষমতায় এসেছিলো বিজেপি কেন্দ্রে এবং নতুন সভাপতিকে বরণের বিষয় ছিল কিন্তু বুধবার রাজ্য বিজেপির কোনও এজেন্ডাই ছিল না। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সামনে লোকসভা নির্বাচন কাজেই ধর্মতলায় ভিড় জমিয়ে তাঁর কোনও সুবিধা নেই কিন্তু ভোট প্রচারের টেম্পোটি তুলে দিলে মন্দ কি। অন্যদিকে বিধানসভার বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বছর দুয়েক আগেও তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা ও মন্ত্রী ছিলেন কাজেই তিনি জানেন ধর্মতলার মহিমা কিন্তু যে কোনও এই ধরণের হাই প্রোফাইলের নেতাকে নিয়ে জনসভার নিশ্চই কোনও উদ্দেশ্য থাকবে যা কিনা অনুপস্থিত ছিল আজ।
সভা শুরু হয়ে যায় দুপুরের আগেই। তখন কোনও কোনও নেতারা ভাষণ দিতে থাকেন। কিছু গান বাজনা ইত্যাদি ছিল। এরপরেই মূল সভা শুরু হয়ে যায় মধ্য দুপুরে। মঞ্চে দিলীপ ঘোষ , সুকান্ত মজুমদার বা শুভেন্দুকে অন্যান্য নেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ভিড়ে বাড়তে শুরু হয় তখনই যদিও রাহুল সিনহার ২০১৪ র জনসভাকে টেক্কা দিতে পারলো না আজকের জনসভা।
যতটা ঝাঁজ ছিল শুভেন্দু বা অন্যান্য নেতাদের বক্তব্যে ততটাই মামুলি ছিল প্রধান বক্তা অমিত শাহের ভাষণ। ধুরন্ধর এই রাজনৌতিক নেতা যেন কিছুটা বাংলার নেতাদের আবদার রাখতেই মঞ্চে উঠেছিলেন। অমিত ভাষণে বারবার নরেন্দ্র মোদির কৃতিত্ব তুলে ধারা হয়। অমিত একেবারে কাগজ তুলে জানান যে ইউপিএর আমলে বাংলা যতটা বঞ্চিত হয়েছে ততটাই সুবিধা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আসন্ন লোকসভাতে রেকর্ড ভোট যাতে বাংলার মানুষ দেয় তার আবেদনও ছিল ভাষণে। তিনি বার দুয়েক জানালেন যে আসন্ন ২০২৬ এর নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্য থেকে দুই তৃতীয়াংশ আসন পাবে। কিন্তু বুদ্ধিমান অমিত জানেন এতো দ্রুত বিধানসভার প্রচার করে লাভ নেই। একবার জেলে বন্দি তৃণমূল নেতাদের নাম করলেন, একবার 'ভাতিজা' কথাটি উঠে এলেও বেশি আক্রমণে গেলেন না তিনি। দ্রুত শেষ করলেন তাঁর বক্তব্য। শেষ পর্যন্ত বোঝা গেলো না বুধবারের ধর্মতলার জনসভার উদ্দেশ্যটি কি ছিল ?
হাতে আর এক মাস। এই বছর পেরোতেই লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election 2024)। আর তার আগেই আজ অর্থাৎ বুধবার কলকাতায় হাজির হলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপির ধর্মতলার সভাতে যোগ দিয়ে সেখান থেকেই ফের সিএএ ইস্যু উসকে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিএএ-এর বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে। ফলে তাঁকে উদ্দেশ্য করে চ্যালেঞ্জ, 'সিএএ আইন হয়ে গেছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।'
বুধবার অমিত শাহের উপস্থিতিতে লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে ধর্মতলায় হল বিজেপির সমাবেশ। একের পর এক ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দুর্নীতির প্রসঙ্গ এনে এদিন তৃণমূলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করলেন তিনি। আবার ২৪-এ মোদীকে ফিরিয়ে আনার ডাকও দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এর পরই তিনি সাফ জানিয়েছে দিয়েছেন, দেশে সিএএ লাগু হবেই। বাংলার সরকার এই আইন রুখতে পারবে না। তিনি বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের জন্য সিএএ-র বিরোধিতা করছেন। আমি বলছি, সিএএ আইন হয়ে গেছে, প্রণয়নও হয়ে যাবে।'