তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে কমিশনের দ্বারস্থ বঙ্গ বিজেপি। অভিযোগ, প্রচারে গিয়ে মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীকে আপত্তিকর ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে কমিশনে নালিশ বঙ্গ বিজেপির। অন্যদিকে এই অভিযোগে ইতিমধ্যে ডিজিকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন। চারদিনের মধ্যে এই বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে চাপের মধ্যে ডায়মণ্ডহারবারের বিদায়ী সাংসদ।
গত কয়েকদিন আগে প্রচারে গিয়ে মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে আক্রমণ শানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির পোস্ট করা ভিডিও অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারে অভিষেক বলেছিলেন, “আপনি নির্ভয়া নন, আপনি নির্মম, আপনি বেহায়া, আপনি নিরুদ্দেশ, আপনি ব্যর্থ।” এই ‘বেহায়া’ শব্দটি নিয়ে অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ ঠুকেছে গেরুয়া শিবির। মানুষকে বঞ্চিত-লাঞ্ছিত-অত্যাচারিত ও শোষিত করে রাখার দলের প্রতিনিধি বলেও তোপ দাগেন তৃণমূল নেতা। আর তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
এরপরেই এই বিষয়ে ডিজিকে চিঠি জাতীয় মহিলা কমিশনের। কমিশনের দাবি, বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর নামে যে মন্তব্য অভিষেক করেছেন তা সম্মানহানীকর। এর পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে ডিজিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফে। এমনকি এই বিষয়ে ডিজিকে রিপোর্ট জমা দিতেও বলা হয়েছে। আর তা আগামী চারদিনের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।
আর এর মধ্যেই এবার অভিষেকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। এবার কমিশন ভোটে মহিলাদের সম্মানের ক্ষেত্রে বিশেষ নজর রাখছে। কু-মন্তব্য যাতে কেউ না করে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে এহেন অভিযোগ। বিজেপির দাবি, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে যেভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেছেন তাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছ। এমনকি প্রচার থেকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানানো হয়েছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় সেদিকেই নজর সবার। তবে অভিষেকের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক।
সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের জমি দখলের তদন্তে সক্রিয় সিবিআই। বুধবার এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে নথি-সহ সিবিআই দফতরে আসেন ৩ ব্যক্তি। অভিযোগকারীদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফে খোলা হয়েছে ইমেল আইডি।
সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে এই বিষয়টির তদন্ত করছে সিবিআই। অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফে খোলা হয়েছে ইমেল আইডি। সন্দেশখালির বাসিন্দারা সেখানে নির্দ্বিধায় জানিয়েছিল, তাঁদের উপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ। এ নিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে নোটিস দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে।
গত মঙ্গলবারও অভিযোগকারী ১৬ জনকে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। এই অবস্থায় বুধবার সন্দেশখালির সুন্দরীখালি এলাকা থেকে নথি-সহ সিবিআই-এর সদর দফতর নিজাম প্যালেসে এলেন ৩ ব্যক্তি। অভিযোগ, তাঁদের জমি জোর করে দখল করেছিল শেখ শাহজাহান। বিষয়টি নিয়ে সিবিআই-এর কাছে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এই প্রেক্ষিতেই বুধবার নথি সমেত সিবিআই দফতরে হাজির হন ৩ ব্যক্তি।
এদিকে, বুধবার থেকেই শুরু হয়েছে অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ডের কাজ। এরপর এই বয়ানের কপি জমা করা হবে কলকাতা হাইকোর্টে বলে সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই সক্রিয়তায় সন্দেশখালির মানুষরা তাদের হারানো জমি ফিরে পান কিনা, সেটাই এখন দেখার।
'সন্দেশখালির বাঘ'-এর চোখে জল। একসময় যাঁর দাপটে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত, আজ সে নিজের অশ্রু আর ধরে রাখতে পারলেন না। মেয়ের 'আব্বা' ডাক আর স্ত্রীয়ের কান্না শুনে একেবারে মুষড়ে পড়লেন বেতাজ বাদশাহ শেখ শাহজাহান। মুখ ঘুরিয়ে চোখের জল মোছার আগে স্ত্রীকে 'আল্লাহর কাছে দোঁহা' করার কথা বলেন। সোমবার বসিরহাট মহকুমা আদালতের বাইরে এক অন্য রূপ দেখা গেল শাহজাহানের।
সোমবার শাহজাহান, আলমগীর, শিবু হাজরা, মাফুজার মোল্লা, জিয়াউদ্দিন, দিদার-সহ মোট ১২ জনকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ। সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতাকে যখন প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর স্ত্রী তসলিমা বিবি, মেয়ে ও পরিবারের কয়েকজন। তখনই ক্যামেরায় ধরা পড়ে এমন বিরল মুহূর্ত।
এবার শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের নামে লুকআউট সার্কুলার জারি করল ইডি। এর আগে তলব করা হলে, একাধিকবার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছেন শেখ সিরাজউদ্দিন। প্রায় সাড়ে তিন মাস অতিক্রান্ত, এখনও পর্যন্ত সিরাজউদ্দিনের খোঁজ মেলেনি ইডির। তাই এবার বিমানবন্দর থেকে শুরু করে পোর্ট প্রত্যেকটি জায়গায় লুকআউট সার্কুলার জারি করা হল।
সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানের দুই আত্মীয়ের সঙ্গে ব্যবসার অংশীদারি ছিলেন শেখ আলমগীর। শেখ আলমগীর এই দুই ব্যক্তির সঙ্গে ট্যাক্স কনসালটেন্টের অফিসে যেতেন এবং একই কম্পিউটার থেকে একসঙ্গে বসে সব টেন্ডারের জন্য আবেদন করতেন। প্রতিটি টেন্ডারের দরদাম এই তিন ব্যক্তি স্থির করতেন। এই টেন্ডারের কোটেশন এমনভাবে করা হত যাতে যে টেন্ডারটা প্রয়োজন সেটাই প্রত্যেকে পায়। তাঁরা টেন্ডারিং পদ্ধতিতে কারসাজি করে সরকারের কাছ থেকে কম টাকায় টেন্ডার পেতেন।
পাশাপাশি, শেখ আলমগীর তাঁর বয়ানে স্বীকার করেছেন, শিবপ্রসাদ হাজরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ টেন্ডার সংক্রান্ত কাজ তাঁর জন্য করেছিলেন। যা বরাদ্দ করা হয়েছিল M/S SKA Enterprise এর জন্য। এই ধরনের টেন্ডারের জন্য শেখ আলমগীর মোট অর্থের ২৫ শতাংশ নিতেন সরকারের থেকে এবং বাকি ৭৫% অর্থ ট্রান্সফার করতেন শিব প্রসাদ হাজরার (শিবু) নিজের ফার্ম M/S Hazra Enterprises-এ। এই টাকা দেওয়ার জন্য জাল বিল তৈরি করা হত। যেখানে দেখানো হত এই টাকা নির্মাণ সামগ্রী কেনার জন্য প্রয়োজন হয়েছে। অর্থাৎ M/S SKA Enterprise নির্মাণ সামগ্রী M/S Hazra Enterprise থেকে নিয়েছেন ওই অর্থের বিনিময়ে। সেই সঙ্গে শিবপ্রসাদ হাজরার বয়ান থেকে স্পষ্ট, তিনি এক কোটিরও বেশি অর্থ জাল বিলের পরিবর্তে M/S SKA Enterprise কে দিয়েছিলেন।
রামনবমীতে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর, বেলডাঙা এলাকায় বিঘ্নিত হয়েছিল শান্তি শৃঙ্খলা। মন্দির থেকে মসজিদ-হামলা চালানো হয়েছিল সর্বত্র। সোমবার মুর্শিদাবাদের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের আবেদনে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মামলায় রাজ্য পুলিসের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের।
প্রসঙ্গত, সোমবার মামলার শুনানিতে আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রামনবমী উদ্দেশ্য করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বোমা ফাটানো হয়। অথচ এই মিছিলের অনুমতি আগে থেকেই পুলিসের কাছ থেকে নেওয়া ছিল। তবে বিশৃঙ্খলার ঘটনার সময়ে পুলিসের কোনও ভূমিকা ছিল না।
যদিও রাজ্যের আইনজীবী জানান, এটা সম্পূর্ণ দুই পক্ষের ঝামেলার ফল। দুই পক্ষ থেকেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা ধর্মীয় বিবাদ। এখানে পুলিসও আক্রান্ত হয়েছে। মোট ন'টা লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্তভার পেয়েছে সিআইডি। ঘটনার সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে উপস্থিত ছিল বলেও আদালতে জানান রাজ্যের আইনজীবী।
যদিও এএসজি অশোক চক্রবর্তী জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী ওখানে রুট মার্চ করছিল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের নির্দেশ, এনআইএ এবং সিআইডি যৌথ তদন্ত চালাবে কি না তা নির্ধারিত হবে মঙ্গলবার। যে সকল ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তা সংরক্ষণ করতে হবে। এরই সঙ্গে এসপি মুর্শিদাবাদ এবং সিআইডিকে মঙ্গলবার দুপুর ৩টের মধ্যে সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চের।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ছক জঙ্গিদের। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে কলকাতা পুলিসের অ্যাডিশনাল কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানান, অভিষেকের বাড়িতে হামলার ছক কষছে। এমনকি জঙ্গিরা নাকি এরই মাঝে অভিষেকের বাড়িতে রেইকি করেও গিয়েছে। অর্থাৎ বাড়ির চারপাশে নিঃশব্দে তারা ঘুরে বেড়িয়েছে। আর এই পরিকল্পনায় নাম উঠে আসছে রাজারাম রেগির। মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে একজন এই রাজারাম রেগি। সোমবার তাঁকে মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের আপ্তসহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রাজারাম রেগি। তারপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে থেকে ঘুরে যায় সে। ২৬/১১-র মুম্বই হামলার তদন্তে এই জঙ্গির নাম প্রকাশ্যে এসেছিল।
কলকাতা পুলিসের অতিরিক্ত সুপার মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন, আজ, সোমবার মুম্বইয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজারাম রেগি কেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ভিডিওগ্রাফি করেছিলেন, কেন অভিষেকের এবং তাঁর আপ্তসহায়কের ফোন নম্বর নিয়েছিলেন সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামক স্ট্রিটের অফিসেও তিনি গিয়েছিলেন। হঠাৎ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন টার্গেট করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কলকাতা পুলিসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনেও রাজারাম রেইকি করেছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে এই ঘটনার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।
শাহজাহানের সাম্রাজ্যের পরতে পরতে শুধুই দুর্নীতির অভিযোগ। শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে জমছে অভিযোগের পাহাড়। ইতিমধ্যেই BLRO মাঠ দখলের অভিযোগ উঠে এসেছে শাহজাহান ও তার সাগরেদদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ মূলত মাঠটি দখল করেছিল শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দার। তদন্তের গতি বাড়াতেই এবার ইডির হাতে এসেছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তথ্য। তদন্ত বলছে সন্দেশখালিতে সরকারি টাকায় তৈরি হয়েছিল বাজার। কিন্তু সেই বাজারের চুক্তিপত্রে মালিক শেখ শাহজাহান। ২০১৯ সালে এই বাজারের উপর নিজের মালিকানা চাপায় শাহজাহান। বাজারের সমস্ত মাছ ব্যবসায়ীদের উপরও জোরজুলুম চালাত শাহজাহান বাহিনী। শাহজাহানের নিজস্ব ফিসারি কোম্পানি সাবিনা ফিশারিতে ব্যবসায়ীদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মাছ বিক্রয়ের জন্য জোর করত শাহজাহান বাহিনী।
এখানেই শেষ নয় শাহজাহানের দুর্নীতি। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে হুমকি দিয়ে আদায় করা হত তাদের রোজের ব্যবসার একাংশ। ব্যবসায়ীদের বলা হত এই টাকা সরকারকে দিতে হবে। কিন্তু টাকা কোনওদিনই জমা পড়ত না পঞ্চায়েতে। গরীব ব্যবসায়ীদের সেই টাকা সোজা পৌঁছে যেত শাহজাহান অনুগামীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
লোকসভা ভোটের আবহে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দের হাতে এবার কোন তথ্য এসে পৌঁছয় সেটাই দেখার।
সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সেখানে অভিযোগকারীদের বয়ান রেকর্ড করেন তদন্তকারীরা। উত্তর ২৪ পরগণার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চিঠি সিবিআইয়ের।
সন্দেশখালিতে সাধারণ মানুষের জমি দখলের ভুরিভুরি অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানানোর জন্য আদালতের নির্দেশে সিবিআই-এর তরফে খোলা হয়েছে ইমেল আইডি। সন্দেশখালির বাসিন্দারা সেখানে নির্দ্বিধায় জানিয়েছিল, তাঁদের উপর শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের অভিযোগ। তথ্যপ্রমাণ-সহ সেই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সেখানে জমি দখলের অভিযোগ খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর, তাঁদের বয়ানও নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এই প্রেক্ষিতে একাধিক বিষয় জানতে চেয়ে উত্তর ২৪ পরগনার ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে চিঠি দেওয়া হয় সিবিআই-এর তরফে। সূত্রের খবর, চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে, এই জমিগুলির আসল চরিত্র কী ছিল? কবে চরিত্র বদলানো হয়েছিল? জমির প্রকৃত মালিক কে? এমনকি বিডিও দফতর থেকেও তথ্য চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি, রেজিস্ট্রি অফিস থেকেও জানতে চাওয়া হয়েছে যে, জমি রেজিস্ট্রি হয়ে থাকলে, সেই সময় জমির মালিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন কিনা? সিবিআই-এর এই সক্রিয়তায় জমি দখল সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্য উঠে আগামী দিনে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।
প্রসূন গুপ্ত: হিন্দিতে প্রবাদ আছে পাহাড় খুদা নিকলে চুঁহা। বাংলা করার দরকার নেই। এই মূহুর্তে সবকটি বিরোধী দলের কাছে সবথেকে সমালোচিত তৃণমূল নেতার নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত দুবছর ধরে এমন একটি দিন যায়নি যেদিন বিরোধীরা অভিষেককে গালি না দিয়ে এক ঢোকে জল খেয়েছে। কি না বলা হয়েছে। অথচ এবারে লোকসভা নির্বাচনে সবার নজর ছিল অভিষেকের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে। ভাবা হচ্ছিল তাঁকে জব্দ করার জন্য জবরদস্ত প্রার্থী নিশ্চয়ই দেওয়া। কসরৎ কম হয় নি। জল্পনায় উঠে এসেছে বহু নাম কিন্তু শেষে অভিজিৎ দাস নামক এক অখ্যাত?
আসলে সাগরদিঘি ব্র্যান্ড করতে গিয়েই গুবলেট হয়েছে সব। শোনা যাচ্ছিল যে, আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি প্রার্থী হচ্ছেন। তেমন দাবি করেছিলেন নওশাদ। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিজিৎ গাঙ্গুলীও বলেছিলেন তিনি দাঁড়িয়ে লক্ষ লক্ষ ভোটে জিতবেন। কিন্তু দুজনেই সময় মত সরে গেলেন। নওশাদের যুক্তি অবশ্যই মানার মত। তিনি বুঝতে পারেন যে, সিএএ ইত্যাদি চক্কর তাঁর জমানত যেতে পারে। সিপিএম বা কংগ্রেস তা ঠেকাতে পারবে না। অন্যদিকে বিজেপির ধারনা ছিল যে যদি নওশাদ সংখ্যালঘু ভোটে থাবা দিতে পারে তবে বেশ হেভিওয়েট কাউকে দাঁড় করিয়ে জিতার লড়াই দেওয়া যাবে। কিন্তু নওশাদ রাজি না হওয়ায় সবকটি দলই বিপাকে পড়ল।
মুখ রক্ষায় সিপিএম একজন প্রার্থী দিল এবং দুদিন আগে বিজেপি প্রার্থী করল অনামী অভিজিৎ দাসকে। এই অভিজিৎবাবু আরএসএস করা নেতা। ২০০৯ এবং ২০১৪র লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন। ফের তাঁকেই প্রার্থী করা হল মূলত সঙ্ঘ পরিবারের নির্দেশেই বলে খবর। নাম এসেছিল অনেক। যথা কৌস্তভ বাগচী, রূদ্রনীল ঘোষ, শঙ্কুদেব পান্ডা ইত্যাদি কিন্তু সঙ্ঘ মন করেছে এদের বিজেপিতে মোটেই বিশ্বাস যোগ্যতা নেই। হারজিত পরের বিষয় কিন্তু লড়াইয়ে থাকুক আদি বিজেপি। ১ জুন ভোট। ফল ৪ জুন । অভিষেক নিশ্চিন্তে সারা বাংলায় প্রচারই করতে পারবে।
জমি লুঠের পর এবার ইট ভাটাও গিলে খাওয়ার অভিযোগ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার ইটভাটা এসএনএফবি। বসিরহাটের ভবতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় লিজ নিয়ে চালাচ্ছিলেন ভাটাটি। অভিযোগ, ভাটায় শ্রমিক সরবরাহ করতেন সরবেরিয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য মীজানুর রহমান মোল্লা। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর সন্দেশখালিতে প্রভাব বাড়তে শুরু করে শাহজাহানের। সেই থেকেই ইটভাটায় নজর পড়ে মীজানুরের। তারপর শুরু হয় ইটভাটা হাতানোর ফন্দি।
ইটাভাটার লিজ নেওয়া ভবতোষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ভাটা হাতিয়ে নিতে তাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন মীজানুর। প্রাণভয়ে বসিরহাটের বাড়িতে ফিরে যান তিনি। এর মধ্যে দখল হয় ইটভাটা। ভাটা হারিয়ে দেনার দায় জর্জরিত হয়ে পড়েন ভবতোষ। মীজানুরের অত্যাচারে সর্বস্বান্ত হয়ে এখন প্রৌঢ়ের ঠাঁই বোনের বাড়িতে।
এখানেই শেষ নয়, ভবতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় এক ব্যবসায়িক অংশীদার জানালেন, জ্বালানির কয়লা নিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা এখনও দেয়নি মীজানুর। গিয়েছিল শাহজাহানের কাছে বিচার চাইতেও। কিন্তু মেলেনি সুরাহা। তবে সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা মীজানুর রহমান মোল্লা।
ভয়,সন্ত্রাসে একদিন চাপা পড়ে ছিল সমস্ত অভিযোগ। শাহজাহানের গ্রেফতারির পর বেরিয়ে আসছে ক্ষোভ। জমি লুঠের পর এবার শাসকের থাবায় ইটভাটা? সন্দেশখালিকে কি ব্যক্তিগত সম্পত্তি বেছে নিয়েছিল শাহজাহান অ্যান্ড কোম্পানি?
সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহান ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের জমি দখলের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে এই বিষয়টির তদন্ত করছে সিবিআই। শনিবার বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় যান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। শনিবার তাঁরা মাঝের সরবেড়িয়া এলাকার শ্যামল ঘোষের বাড়িতে গিয়ে পৌঁছন। সেখানে তাঁরা শ্যামল ঘোষের জমি সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি, দখল হয়ে যাওয়া জমিটিও তাঁরা ঘুরে দেখেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
অন্যদিকে, শনিবারই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে সন্দেশখালির খুলনার ১০ নং পাড়ার সমীর মণ্ডলের বাড়িতে যান সিবিআই-এর ছয় সদস্যের একটি টিম। অভিযোগ, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালিয়েছিল শাহজাহান বাহিনী। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই শনিবার তাঁর বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে তাঁরা সমীর মণ্ডলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর পাশাপাশি, মহন্ত সর্দারের বাড়িতেও যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। মহন্ত সর্দারের অভিযোগ ছিল, মূলত শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরের বিরুদ্ধে। মহন্ত সর্দারের জমি আলমগীর দখল করেছিল বলে অভিযোগ। এ নিয়ে সিবিআই-এর কাছে অভিযোগ করেছিলেন মহন্ত সর্দার। সেই অভিযোগের তদন্ত করতেই শনিবার মহন্ত সর্দারের বাড়িতে যান সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সিবিআই-এর এই তৎপরতায় জমি দখল সংক্রান্ত আর কোন কোন তথ্য আগামী দিনে উঠে আসে, সেটাই এখন দেখার।
রাজ্য়জুড়ে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। তারমধ্য়ে ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। বিষ্ফোরণের জেরে উড়ে গেল একটি দোকান ঘর। ঘটনায় আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত দোকান মালিক। ক্ষতিগ্রস্ত আশেপাশের আরও বেশ কয়েকটি দোকান বাড়ি। শনিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কালীগঞ্জ থানার দেবগ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দেবগ্রাম ফাঁড়ির পুলিস গিয়ে দোকানের মালিককে উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠান।
জানা গিয়েছে, দেবগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে দোকান সহিদুল শেখের। তিনি দোকানে গয়না পালিশের কাজ করতেন, রাতে দোকানেই থাকতেন। এদিন ভোরে হঠাৎই বিষ্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন দোকানের শাটার উড়ে গিয়ে পড়েছে বেশ খানিকটা দূরে, ধ্বংস স্তুপের চেহারা নিয়েছে দোকান ঘর। ঝলসে গিয়েছে দোকানের মালিক। এরপর খবর দেওয়া হয় দেবগ্রাম ফাঁড়ির পুলিসকে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে কীভাবে এই বিষ্ফোরণ হল তা এখনও পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি। ইতিমধ্য়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ভোটের আগে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেকার যুবক যুবতীদের ট্রেনিং সন্দেশখালি থানায়। জুনিয়ার কনস্টেবল, হোমগার্ড বা সিভিক ভলেন্টিয়ার পোস্টে হবে চাকরি, তাই তার আগে নিতে হবে প্রশিক্ষণ। সন্দেশখালি থানার পক্ষ থেকে এমনই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে।
সেই বার্তা পাওয়ার পরই সন্দেশখালির বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কয়েকশো বেকার যুবক-যুবতী যোগ দেন এই প্রশিক্ষণ শিবিরে। সন্দেশখালি থানার পাশে মিশন মাঠে বিগত ১০ দিন ধরে চলছিল বেকার যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ। বসিরহাট জেলা পুলিস থেকে দুজন প্রশিক্ষক এসে এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন। ভোটের আগে আশায় বুক বেঁধেছিলেন সন্দেশখালির বেকার যুবক-যুবতীরা। প্রশিক্ষণ নিলেও সন্দেহ তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালির তরুণ-তরুণীদের মধ্যে। তার কারণ কোথাও কোনও ফর্ম ফিলাপ করা হয়নি। থানা থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও, তাদের কাছ থেকে কোনও নথি সংগ্রহ করা হয়নি। শুধুমাত্র নাম এন্ট্রি করেই চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েই চলছিল এই প্রশিক্ষণ।
অভিযোগ, সিএন-এর ক্যামেরা দেখার পরই মুহূর্তের মধ্যেই উধাও প্রশিক্ষক। বাইকে চেপে মাঠ থেকে পালিয়ে গেলেন তিনি। কেন সিএন-এর ক্যামেরা দেখার পরেই পালিয়ে গেলেন ওই প্রশিক্ষক? প্রশ্ন তুললেন প্রশিক্ষণ নিতে আশা যুবক-যুবতীরা। তাদের কথায়, এভাবে উনাকে কোনওদিন পালিয়ে যেতে দেখিনি। এখন আপনাদের দেখে পালিয়ে যাচ্ছে মানেই, আমাদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাহলে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েই কি আমাদেরকে এভাবে মাঠে ডেকে নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল?
যদিও চাকরি দেওয়ার নাম করে এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার বক্তব্যকে খন্ডন করলেন বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার মেহেদী হোসেন রহমান। তিনি বলেন, এরা চাকরির কোন প্রশিক্ষণ নয়। বসিরহাট পুলিস জেলা থেকে কোনও রিকুরমেন্টও হচ্ছে না। ভোটের আগে সন্দেশখালি থানার সিভিক ও কনস্টেবলদের ফিটনেস ঠিক করার জন্য এই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে কিছু গ্রামের মানুষ যোগ দিয়েছেন। এটা একটা ভুল প্রচার হচ্ছে।
কিন্তু আজকে যখন, সিএন-এর প্রতিনিধি মিশন মাঠে পৌঁছয়, তখন কোনও থানার সিভিক বা কনস্টেবলকে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়নি। প্রশিক্ষণ নিতে আসা যুবক-যুবতীরা কেউ সন্দেশখালি থানার সিভিক বা কনস্টেবল পদে চাকরিও করেন না। বিগত দশদিন তাদের কি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে? তাহলে পুলিস সুপারের কাছেও কি তথ্য সঠিক নেই? ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে বলেই বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু। সকাল থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের একাধিক এলাকা। ফের উত্তপ্ত সেই শীতলখুচি। শীতলখুচির ছোট শালবাড়ি এলাকায় সংঘর্ষে জড়াল তৃণমূল-বিজেপি। ওই এলাকার ২৮৬ নম্বর বুথের বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। দু’পক্ষের বেশ কয়েক জন ঘটনায় জখম হয়েছেন বলে খবর।
পাশাপাশি, শীতলকুচি ব্লকের গোসাইরহাট অঞ্চলের অন্তর্গত বড় ধাপের চাত্রার ২০১ নম্বর বুথে এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিস বাহিনী এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একই ছবি ধরা পড়েছে ১৩৯ নম্বর বুথেও।
প্রত্যেকবারই নির্বাচনের সময় খবরের শিরোনামে থাকে কোচবিহার। বিজেপি এবং শাসক শিবিরের মধ্যে চলছে অভিযোগ ও পালটা অভিযোগের পালা। তুফানগঞ্জ দুই নম্বর ব্লকের বারকোদালি দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯/২২৬ ও ৯/২২৭ নম্বর বুথে তৃণমূলের বুথ এজেন্টকে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের ভোটারদের ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকি। এমনকি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য কেও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি, অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায়।
হোয়াটসঅ্য়াপ কল এবং মেসেজের ভয়েস রেকর্ডের সঙ্গে মিলে গেল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বর। কাকুর সেই ভয়েজ স্য়াম্পল রিপোর্ট এখন ইডির হাতে। সূত্রের খবর, ২২ তারিখ অর্থাৎ সোমবার হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দিতে পারে ইডি। সাড়ে তিন মাস পর কালীঘাটের কাকুর ভয়েজ স্য়াম্পল টেস্টের রিপোর্ট এখন ইডির হাতে। যা নিয়ে ইতিমধ্য়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনা। লোকসভা নির্বাচনের আবহে এই রিপোর্ট খানিকটা অস্বস্তিতে ফেলতে পারে শাসকদলকে, এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যবাসীর সকলেরই জানা, কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে কম বেগ পেতে হয়নি তদন্তকারী আধিকারিকদের। নমুনা সংগ্রহ আটকাতে অতীতে একাধিকবার কাকু দেখিয়েছেন তাঁর শারীরিক অসুস্থতার দোহাই। কাঠগড়ায় উঠেছিল এসএসকেএম-এর ভূমিকাও। কখনও আবার সেই দোহাই নিশ্চিত করতে একেবারে শিশুদের জন্য সংরক্ষিত বেড দখল করে ভর্তি হয়ে দিনের পর দিন কাটিয়েছেন তিনি। তারপর অবশেষে গত জানুয়ারি মাসের ৩ তারিখ মধ্যরাতে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে করানো হয়েছিল কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা। খানিক আশ্বস্ত হয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
কেন, কারণ, তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, এই কণ্ঠস্বরের নমুনার ওপর নির্ভর করেছে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির গোপন রহস্যভেদ। ২ বছর হয়ে গেল এই দুর্নীতিতে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর গ্রেফতারি। একে একে জট খুলতে খুলতে গ্রেফতার হয়েছেন কালীঘাটের কাকুও। যে চ্যাট এবং কলের হদিশ চাইছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা, সেই কণ্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণেরই, এমনটাই সূত্রের খবর। এখন আদালতে রিপোর্ট পেশ করা হলেই বোঝা যাবে, কার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কথোপকথন হয়েছিল কাকুর? তিনি কোন মধ্যস্থতাকারী প্রভাবশালী, যিনি ২ বছরেও তদন্ত ধরা পড়লেন না একবারের জন্যেও? ঠিক কত গুলো বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল? গোটা প্রক্রিয়া কার নির্দেশে চলত?