তীব্র দহনে পুড়ছে গোটা বাংলা। এই আবহে স্কুলের গরমের ছুটি এগিয়ে আনলো রাজ্য সরকার। ২২ এপ্রিল থেকে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করা হল রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে। সূত্র মারফৎ খবর, বেসরকারি স্কুলগুলিকেও গরমের ছুটি এগোনোর জন্য অনুরোধ করেছে রাজ্য।
লোকসভা ভোটের জন্য এবার গরমের ছুটি বাড়িয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রতি বছর সাধারণত ১০ দিন গরমের ছুটি পায় স্কুল পড়ুয়ারা। এবার যা বাড়িয়ে ২২ দিন করা হবে বলে জানিয়েছিল পর্ষদ। বলা বাহুল্য, ২২ এপ্রিল অর্থাৎ সোমবার থেকে ছুটি ঘোষণা হওয়ায় গরমের ছুটি মেয়াদ আরও বাড়ল।
চলতি বছরের এপ্রিলে পর্ষদের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৬ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। যা ২ জুন পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছিল বোর্ড। উল্লেখ্য, বছরের শুরুতে ২০ মে পর্যন্ত গরমের ছুটি দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা পড়ে জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। ওই দিন হবে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। ১৯ তারিখ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে চলবে নির্বাচন। এই কারণে সেখানকার স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করেছে পর্ষদ।
আর মাত্র কিছুদিন পর লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বোমা মেরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মেইল পাঠিয়ে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। যা নিয়ে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রী- অভিভাবকদের মধ্য়ে।
স্কুল কর্তৃপক্ষকে পাঠানো ইমেল-এ লেখা আছে, স্কুলের মধ্য়ে ক্লাসরুমেই রাখা আছে বোমা। আর সেই বোমা ফেটে বিস্ফোরণে উড়বে গোটা স্কুল। কলকাতার অভিনব ভারতী স্কুলের প্রিন্সিপাল শ্রাবণী সামন্ত হুমকি মেইল পাওয়ার বিষয়টি সিএন-এর প্রতিনিধির কাছে স্বীকার করেছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, বোমার মেইল জানাজানি হতেই নজরদারি শুরু করেছে পুলিস। ভোটের পরিস্থিতি নজর রাখার সঙ্গে এই মেইলগুলির সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে হ্যাপি হট ডগ ১০১ নামের একটি মেইল আইডি থেকে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলকে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ঠিক কতগুলো স্কুল এই হুমকি চিঠি পেয়েছে, সে বিষয়ে এখনও প্রশাসন স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এবার সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব। আর সেই ভোট পর্ব চলবে বেশিরভাগ স্কুলে। সেই উপলক্ষ্য়ে সংশ্লিষ্ট জেলার স্কুলগুলিতে ছুটির নির্দেশিকা জারি করল স্কুল শিক্ষা দফতর। ৬ই মে থেকে ২রা জুন পর্যন্ত ছুটির নোটিশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর।
সোমবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাশাপাশি প্রাইমারি পর্ষদেও ছুটির ঘোষণা করা হল। লোকসভা ভোটের দিনগুলিতে সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রাইমারি স্কুলগুলি ছুটি থাকবে। সেখানেও গরমের ছুটি বাড়িয়ে ৬ মে থেকে ২ জুন অবধি ছুটি ঘোষণা করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
চলতি মাসের ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে লোকসভা ভোটপর্ব। আর ভোট শেষ হবে আগামী ১ জুন। ৪ জুন হবে ভোটগণনা। সেক্ষেত্রে প্রথম দফার ইলেকশনের জন্য ১৬ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির জেলার স্কুল বন্ধ থাকবে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন পর্বের জন্য ২৪ এপ্রিল থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার স্কুলগুলি বন্ধ থাকবে।
স্কুলের রাস্তায় মদ্যপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে স্কুলের ক্লার্ক। আর সেই ক্লার্ককে স্কুলে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীরা। এমনই এক বিস্ময়কর ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এক নম্বর ব্লকের ধরমপুর এলাকায়। অভিযোগ, প্রায়শই ওই ক্লার্ক মদ্য়পান করে স্কুলে আসতেন। স্কুলের বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এক নম্বর ব্লকের ধরমপুর এলাকায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়-এর স্কুলের ক্লার্ক প্রায়ই মদ্য়প অবস্থায় স্কুলে আসতেন। মাঝেমধ্য়ে নেশায় আসক্ত হয়ে রাস্তাতেই পড়ে থাকতেন ওই ক্লার্ক। একবার নয় একাধিকবার ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে মদ্যপান করে স্কুলে আসার অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু তারপরও কি কোনও ব্যবস্থা নিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি বা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তা নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।
তবে এ বিষয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে কোনওরকম কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পড়েছে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। এখন দেখার বিষয় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক ওই ক্লার্কের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে।
স্কুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনায় উত্তেজিত উলুবেড়িয়ার বাগনান খানপুরের স্কুল চত্বর। পলাতক মূল অভিযুক্। বুধবার শ্লীলতাহানির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করে বাগনান থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষককে উলুবেড়িয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে জামিন মঞ্জুর করেন মহামান্য বিচারক।
জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ বুধবার বাগনান খানপুরের স্কুলে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল স্কুল চত্বর। বিক্ষোভ চলাকালীন প্রধান শিক্ষকের ঘরে অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী উপস্থিত ছিলেন। যখন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অভিভাবকদের বচসা শুরু হয় তখন ওই চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী সেখান থেকে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যায়।
তারপরেই প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয় অভিভাবক এবং গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কোনওরকমভাবে ওই কর্মীকে আড়াল করছে প্রধান শিক্ষক। ঘটনাস্থলে বাগনান থানার পুলিস গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এরপর রাতে তাঁকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতাল চিকিৎসা করানোর পর গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষককে আদালতে তোলার পর জামিন মঞ্জুর করা হয়। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিস।
অর্থের বিনিময়ে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র ভাইরাল! এই চক্রের অন্যতম পাণ্ডাকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস। সূত্রের খবর, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতির অভিযোগের জেরে এই গ্রেফতারি।
১৮ ফেব্রুয়ারি, বিধাননগর সাইবার থানায় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী, একটি চক্র সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করছে। ওই চক্র পরীক্ষার্থীদের সামাজিক মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি দেয়, উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র তারা অর্থের বিনিময়ে হাতে তুলে দেবে। এই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করেই তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস। প্রাথমিকভাবে পুলিস দুটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করে। যার মধ্যে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট, গ্রাহক নদিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা।
এরপরই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস যোগাযোগ করে নদিয়ার ওই গ্রাহকের সঙ্গে। তিনি পুলিসকে জানান, এটিএম কার্ড এক বন্ধু রুপম সাধুখাঁ তাঁর থেকে জোর করে নিয়ে গিয়েছে। সেই মহিলা পুলিসকে আরও জানান, ব্যাঙ্কের থেকে পাঠানো এসএমএস মারফত তিনি জানতে পারেন, তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেশ কিছু আর্থিক লেনদেন হয়েছে। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে অজ্ঞাত। এরপরই বিধাননগর সাইবার থানার পুলিস নদিয়া থেকে গ্রেফতার করে রুপম সাধুখাঁকে। পুলিস সূত্রে খবর, আদালতে পেশ করা হয় ধৃত রূপমকে। পুলিস হেফাজতের পক্ষেই সওয়াল করেন তদন্তকারীরা। কারণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যদেরও খোঁজ পেতে চায় পুলিস।
প্রধান শিক্ষক ও পঞ্চয়েত সদস্য কেন এখনও গ্রেফতার হয়নি? তা রাজ্যের কাছে জানতে চায় আদালত। মাধ্যমিক শেষ হলে উপযুক্ত টিচার ইনচার্জ কে হবেন তা আদালতকে জানাতে নির্দেশ এসডিও তথা অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে। নরেন্দ্রপুর স্কুলকাণ্ডে সোমবার এমনই মন্তব্য হাইকোর্টের।
নরেন্দ্রপুর বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে দুষ্কৃতীরা ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মারধরের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় সোমবার আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। তবে আদালত জানতে চায় এতদিনে কেন মাত্র ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে?
এফআইআর-এ নাম থাকা বাকি ব্যক্তিরা এখনও কেন গ্রেফতার নয়? রাজ্যের কাছে প্রশ্ন আদালতের। পাশাপাশি ওই স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার অবস্থান সম্পর্কে উদ্বিগ্ন বিচারপতি।মাধ্যমিকের পর স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে? বোর্ডের কাছে জানতে চায় আদালত।
এদিন আদালতে নরেন্দ্রপুর থানার আইসি অনির্বাণ বিশ্বাস রিপোর্ট জমা দিয়ে আদালতে জানান, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার মোট ৮ জন। মনসুর রহমান, আলোক রফিউর নতুন করে গ্রেফতার হয়েছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আগাম জামিনের আবেদন করলেও তিনি এখনও পলাতক। তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
আকবর আলি কোথায়? ১৫ জনের নাম আছে এফআইআর-এ। তার মধ্যে আর কতজন গ্রেফতার? মাধ্যমিক পরীক্ষা কেমন চলছে ওই স্কুলে? SDO কি স্কুলের দায়িত্বে কাউকে রেখেছেন? পঞ্চায়েত এর সদস্যদের কি খবর? তাদের কি গ্রেফতার করা গেল? প্রধান শিক্ষক কি সাসপেন্ড? মাধ্যমিক পরীক্ষার পর স্কুল পরিচালনার দায়িত্ব কি হবে?
বোর্ডের আইনজীবী কুহেলী ভট্টাচার্য জানান, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে।তাঁকে বহিষ্কার করা হয়নি। স্কুলের দায়িত্ব বোর্ডের। রাজ্যের আইনজীবী সুমন চট্টোপাধ্যায় জানান, প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ডেড করা হয়েছে। আমরা আলোচনা করে বলতে পারব কার হাতে স্কুলের দায়িত্ব দেওয়া যায়।
কিন্তু এখনও কেন প্রধান শিক্ষক অধরা, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি রাজ্য বা পুলিস। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৩ ফেব্রুয়ারি।
শুক্রবার থেকে শুরু হল ২০২৪ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার পরীক্ষা শেষ হবে। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন প্রায় ১০ লক্ষ পরীক্ষার্থী। চলতি বছরে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে সকাল ১০ থেকে। ৯ টা ৪৫ মিনিটের মধ্য়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায়। আর পরীক্ষা শেষ হবে বেলা ১ টায়।
এর আগেই পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে, এই মাধ্য়মিক পরীক্ষার সময় অনুযায়ী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সকাল ৮ টার মধ্যে স্কুলে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া প্রশ্নপত্রের উপরে লেখা সিরিয়াল কোড অনুযায়ী পরীক্ষার্থীকে অ্যাটেনডেন্স সই করার সময় নির্দিষ্ট জায়গায় লিখতে হবে এবং উত্তরপত্রের উপরেও লিখতে হবে।
মাধ্য়মিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে পর্ষদের তরফ থেকে এবার আরও কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের প্রশ্নপত্রে থাকবে বিশেষ কোড প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে পরীক্ষা শেষের আগেই তা ফাঁস করলে সেই কোড নম্বর দেখে বোঝা যাবে কোন পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছে। এছাড়াও সিসিটিভির উপর থাকছে কড়া নজরদারি।
পরীক্ষার জন্য় দুটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। পর্ষদের কন্ট্রোল রুমের নম্বর: ০৩৩-২৩৫৯-২২৭৭, ২৩২১-৩৮৪৪ দু'ঘণ্টা এগিয়ে আনা হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর সময়। ১৮ই জানুয়ারি হটাৎ মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর সময় ২ ঘন্টা এগিয়ে আনার নোটিফিকেশন জারি করা হয় তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছিলো।
স্কুল চলাকালীন আচমকাই দুষ্কৃতী হামলা। সোনারপুরের বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে বেশ কয়েকজন বহিরাগত ঢুকে পড়ে শুরু করে দৌরাত্ম্য। বেধড়ক মারধর করেছিল স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও। শিক্ষাঙ্গনে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ মদত ছিল বলেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন আক্রন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গোটা ঘটনায় উঠে এসেছিল পুলিসের উদাসীনতার ছবিও। স্কুলের অন্দরে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের পর অতিক্রান্ত ৪ দিন। এখনও পর্যন্ত এফআইআর-এ নাম থাকা অভিযুক্তদের কোনও খোঁজ নেই। কিন্তু যে স্কুলকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত, সেই স্কুলের কী পরিস্থিতি? অভিভাবকরাই বা কি বলছেন এই ঘটনার পর? খোঁজ নিল সিএন। স্কুলে থমথমে পরিবেশ। বেলা ১১ টা থেকে স্কুল শুরু হলেও দেখা নেই পড়ুয়াদের। হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়াকে চোখে পড়ল এদিন। যত্রতত্র পড়ে রয়েছে ভাঙা চেয়ার, বেঞ্চ। স্পষ্ট দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ছবি স্কুল চত্বরে।
কারা যেন দল বেঁধে ঢুকে পড়ে স্যার-ম্যাডামদের ফোনগুলো আছাড় মেরে ভেঙে দিল। তার সঙ্গে চলতে লাগল মারধর। হামলার কথা মনে পড়তে এখনও শিউরে উঠছে পড়ুয়ারা। হাতে গোনা কয়েকজন পড়ুয়া এলেও, কাটছে না আতঙ্কের রেশ। দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরাও।
তবে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের আবহে শিক্ষাঙ্গনে এই বহিরাগতের তাণ্ডব কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না শিক্ষক শিক্ষিকারাও। প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মতবিরোধের খেসারত দিতে হবে এভাবে তা মেনে নিতে পারছেন না তাঁরা। আপাতত আক্রান্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিরপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিসের তরফে।
মণি ভট্টাচার্যঃ বঙ্গে ধুঁকছে শিক্ষাব্যবস্থা। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নেই। কোথাও ৪ জন কিংবা কোথাও ৬ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পঠনপাঠন। মূলত স্কুলে শিক্ষকের অভাব পূরণ করেতে পার্ট টাইম শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়েই কাজ চালানোর চেষ্টা করলেও তাদের বেতন দিতে অপারগ সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল গুলি। চক-ডাস্টার কেনার সামর্থ্যটুকুও নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের। দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত বেতনও মিলছে না স্কুলের অস্থায়ী কর্মীদের। স্কুলের ফান্ডের এই ভাঁড়ে মা ভবানী দশা রাজ্যের সর্বত্র। কিন্তু নিরুত্তাপ রাজ্য সরকার।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারকে একাধিকবার সমস্যার কথা জানিয়েও মিলছে না সুরাহা। কিন্তু এভাবে আর কত দিন? উত্তর অধরা। কিন্তু আগামীদিনে সরকার দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে স্কুল চালানো অসম্ভব দাবি প্রধান শিক্ষক সংগঠনের। খোদ শহর কলকাতার বুকেও একাধিক সরকারি স্কুলের এমন দৈন্যদশায় হতবাক সারা বাংলা। তবে রাজ্যের স্কুলগুলির এই করুণ পরিণতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দোষারোপ শিক্ষাবিদমহলের।
উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া সফিক আহমেদ গালর্স হাইস্কুলের অব্যবস্থার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। স্কুলে নেই চক-ডাস্টার কেনার পয়সা। এমনকি কোনও নেই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়ার পয়সাও নেই। কার্যত অসহায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সামান্য গাড়ি ভাড়া করে টেস্ট পেপার আনার টাকাটুকুও নেই স্কুলের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নারায়ণতলা রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরেও নিয়োগের আবেদন জানিয়েও মেলেনি পর্যাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা। নিত্যদিন তাই ৮০ থেকে ১০০ টি ক্লাস অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিতে হয় বাধ্য হয়ে। তাদের দাবি একটাই, দ্রুত নিয়োগ চাই। অন্যথায় স্কুল চালানো অসম্ভব।
উল্লেখ্য, সর্বশিক্ষা মিশনের তরফে একটা অনুদান প্রত্যেক বছর দিলেও সেখানে ওই টাকা কোন খাতে ব্যাবহার হবে সেটা বলা থাকে। কিন্তু সেখানে স্কুলের পার্ট টাইম শিক্ষক বা ক্লার্কদের মাইনে সংক্রান্ত উল্লেখ থাকে না। এই অবস্থায় স্কুল চালানো সম্ভব না। বলে দাবি প্রধান শিক্ষকদের একাংশের।
স্কুলে রয়েছে কম্পিউটার। কিন্তু তা নিষ্ক্রিয়, হয় না ব্যবহার। আবার কোথাও কোথাও খোলা আকাশের নীচেই চলছে মিড-ডে মিলের রান্না। স্বাস্থ্যবিধি কার্যত শিকেয় উঠেছে। খালি পায়ে স্কুলে যাচ্ছে শিশুরা। রাজ্যের শিক্ষা পরিকাঠামোর এমনই উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে পাঠানো রিপোর্টে। সূত্রের খবর, চলতি মাসে ৮ ও ৯ই জানুয়ারি কেন্দ্রীয় শিক্ষমন্ত্রকের একটি প্রতিনিধি দল দক্ষিবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বাঁকুড়া, পুরুলিয়া জেলার সরকারি প্রাইমারি ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ গুলি ঘুরে রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়ে রিপোর্ট দিল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রককে। যেখানে এরকম চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকি তা জানিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক।
এ প্রসঙ্গে স্কুলগুলির নাম উল্লেখ করে চূড়ান্ত বেহাল দশার অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের।
এই রিপোর্টের বিষয়ে সুভাষ সরকার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, কম্পিউটার সেট থাকলেও অনেক স্কুলে তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। কম্পিউটার প্রশিক্ষণে ঢিলেমির বিষয়টিও উঠে এসেছে রিপোর্টে। স্মার্ট ক্লাসরুম না বানানোর বিষয়ও রিপোর্টে রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
যদিও এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে এক্স হ্যান্ডেলে পাল্টা জবাব দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ব্রাত্য বসুর দাবি, এই রিপোর্টে গেরুয়া প্রভাব রয়েছে। পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় দলের পর্যবেক্ষণের উপর একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। আমাদের মনে হয়েছে, সেই পর্যবেক্ষণের অধিকাংশই গেরুয়া প্রভাবিত। তাঁরা খালিয়ে পায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বলেছে। কিন্তু জানে না পশ্চিমবঙ্গ সরকার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জামা ও জুতো দেয়। খোলা আকাশের নীচে মিড ডে মিল রান্নার কথা বলেছে। কিন্তু মিড ডে মিলের শেড তৈরির জন্য ফান্ড আটকে রেখেছে। কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সীমিত ক্ষমতা দিয়েই স্কুলে রান্নার জন্য শেড তৈরি করবে।”
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর অবশ্য বক্তব্য, 'যিনি বলেছেন, তিনি না জেনে বলেছেন। কারণ শিক্ষা হচ্ছে, রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ বিষয়। সেখানে রাজ্য আগে মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ সই করবে, করে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির নাম রেকমেন্ড করবে, কী প্রয়োজন সেটা বলবে, তখন পাবে। কাজে এটা কোনও প্রশ্নই আসছে না। এটা একটা ভুল ব্যাখ্যা।'
কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের দাবি, রাজ্য সরকারের জন্যই আটকে রয়েছে পিএম ঊষা প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা।
স্কুল পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল কার্তুজ সহ আগ্নেয়াস্ত্র। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পাথরঘাটা এলাকায়৷ জানা গিয়েছে, স্থানীয় সুদর্শন নগর হাই স্কুলের নবম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি দেশি পিস্তল ও কার্তুজ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বংশীহারী থানার পুলিস। বুধবার ওই পড়ুয়াকে জুভেনাইল কোর্টে পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে, ওই স্কুল পড়ুয়া নবম শ্রেণির ছাত্র। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার স্কুলের তরফ থেকে বই বিতরণ করা হয়েছিল। সেই সময় আগ্নেয়াস্ত্র তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়। তবে কী কারণে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে স্কুলে এসেছিল ওই পড়ুয়া তা নিয়ে দ্বন্ধে সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
যদিও এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বংশীহারী থানার পুলিস। কোথা থেকে ওই স্কুল পড়ুয়া আগ্নেয়াস্ত্র পেল, তা নিয়ে খতিয়ে দেখছে পুলিস। পাশাপাশি এর পিছনে কোনো চক্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
মঙ্গলবার থেকে একগুচ্ছ কড়া নিয়ম চালু হল শিক্ষাক্ষেত্রে। সপ্তাহে অন্তত ৩২ ঘণ্টা ক্লাস নিতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সকাল ১১:১৫-র পর কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্কুলে এলে তাঁকে অনুপস্থিত মার্ক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। এছাড়াও মঙ্গলবার থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সকাল ১০:৩৫-র মধ্যেই পৌঁছতে হবে স্কুলে। আগে অবশ্য ১০:৪৫-এ স্কুল ক্যাম্পাসে পৌঁছলেও হত। যা চলতি শিক্ষাবর্ষে ১০ মিনিট এগিয়ে এনেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুধু তাই নয়, বিকেল ৪টে ৩০ মিনিটের আগে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শিক্ষাকর্মীকে স্কুল ক্যাম্পাস ছাড়তে নির্দেশ জারি পর্ষদের তরফে।
তবে শিক্ষাক্ষেত্রে পর্ষদের নির্দেশিকা প্রসঙ্গে গাফিলতির অভিযোগ আনছে অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স ও হেড মিস্ট্রেস সংগঠনের সদস্যরা। এদিন পর্ষদের নয়া নির্দেশিকা সম্পর্কে সংগঠনের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির বক্তব্য-শিক্ষকই নেই, অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার কাকে দেখাবেন। বহু স্কুল আছে যেখানে শিক্ষক মাত্র ৪-৫ জন। এভাবে কোনও স্কুল চলে।
টেস্টে পাশ করতে না পারায় আত্মঘাতী উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। কিন্তু মাকে জানিয়েছে পাশ করার কথা। এমনকি মায়ের কাছ থেকে ফর্ম ফিলাপের টাকাও নিয়েছিল সে। জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম স্নেহা মুন্ডা। বাড়ি গড়িয়ায়। গড়িয়ায় যাদবপুর বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। বাবা আগেই মারা গিয়েছেন। মা ও দুই বোন থাকত।
বৃহস্পতিবার স্কুলে টেস্টের রেজাল্ট বের হয়। বাড়িতে স্নেহা জানায় সে পাশ করেছে। তার মা রেজাল্টের ছবি তুলে আনতে বলে। এরপর শুক্রবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের জন্য মায়ের কাছ থেকে টাকাও নেয়। সেই টাকায় ফর্ম ফিলাপ না করে বিরিয়ানি কিনে আনে স্নেহা। বিরিয়ানিও খেয়েছে সে। স্নেহা বিরিয়ানি খেতে ভীষণ ভালোবাসত বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্নেহার মা সকালে কাজে চলে যাওয়ার পর বাড়ি ফাঁকাই ছিল। সেই সুযোগে ফ্ল্যাটেই ওড়না দিয়ে আত্মঘাতী হয় স্নেহা। এরপর সন্ধ্যায় কাজ সেরে স্নেহার মা বাড়িতে ঢোকার সময় দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। ঘরের ভিতরে ঢুকেই মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তিনি চিৎকার করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসে। এরপর স্থানীয়রা খবর দেয় পুলিসকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস এসে মৃত দেহটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
স্কুল যাওয়ার পথে ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা স্কুল বাসের। ঘটনায় আহত তিনজন পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের চন্ডীতলা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিভাবকেরা এসে তাঁদের ছেলেমেয়েদের উদ্ধার করে নিরাপদে স্কুলের উদ্দেশ্যে পাঠায়। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি বেসরকারি স্কুল বাস ৩৫ জন ছাত্র নিয়ে যাওয়ার সময় চন্ডীতলা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ডাম্পার এর পিছনে ধাক্কা মারে। বাসে থাকা সকল পড়ুয়ায় ভয়ে আঁতকে ওঠে। তাদের মধ্যে তিনজন ছাত্র আহত হয় বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মতো এদিন সকালেও তাদের ছেলেমেয়েদের সময় মতো বাসে করে স্কুলে পাঠিয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ খবর আসে চন্ডীতলা এলাকায় দুর্ঘটনার। খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন তাঁরা। এই স্কুল সময়ে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও অনেকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। আর যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেইজন্য অবিলম্বে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত বলে জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।