প্রসূন গুপ্তঃ স্বাধীনতা উত্তর যুগে যে কয়েকটি এলাকা লাল দুর্গ হিসাবে খ্যাত হয়েছিল তার অন্যতম যাদবপুর। এর কারণও ছিল। অঞ্চলের বিশাল স্থানে এসেছিলো উদ্বাস্তুরা এবং ইতিহাস বলে বাম বা সিপিএম বা নক্সালরা যেখানে সংগঠন পোক্ত করেছিল তার বেশির ভাগই উদ্বাস্তু এলাকা ছিল। কিন্তু এই মিথটি ভেঙে দিয়েছিলেন ১৯৮৪/৮৫ তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ফের এই লোকসভা সিপিএমের হাতে চলে যায় ১৯৮৯ তে। ফের তৃণমূল দল তৈরি হলে এই যাদবপুর থেকে জিতে আসেন কৃষ্ণা বসু। ফের ২০০৪-এ ফের সিপিএমের হাতে আসে এই লোকসভা। কিন্তু ২০০৯ থেকে এই লোকসভা ফের চলে আসে তৃণমূলের হাতে।
যাদবপুর লোকসভায় ৭টি বিধানসভা আছে। টালিগঞ্জ, যাদবপুর, সোনারপুর ১ ও ২, বারুইপুর ১ ও ২ এবং ভাঙ্গর। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে ৭টির মধ্যে ৬টি বিধানসভা যেতে তৃণমূল। একমাত্র ভাঙ্গরে আইএসএফ এর প্রার্থী নৌশাদ সিদ্দিকী জেতেন। গত ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের মিমি চক্রবর্তী বিজেপির অনুপম হাজরাকে প্রায় ৩ লক্ষ ভোটে পরাজিত করেন। এবারে কিন্তু মিমি আর লড়াইয়ে নেই, এসেছেন আর এক গ্ল্যামার দুনিয়ার অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। বিরুদ্ধে বিজেপির উচ্চ শিক্ষিত অনির্বান গাঙ্গুলি এবং সিপিএমের সৃজন ভট্টাচার্য।
লড়াইটা কেমন হবে উঠেছে প্রশ্ন? প্রথমত এবারে লড়াই তৃণমূল বনাম বিজেপি নাকি তৃণমূলের লড়াই সিপিএমের সঙ্গে? বাম প্রার্থী সৃজন নব্য যুবা। জনপ্রিয়তা আছে তাঁর। একই সাথে জানতে হবে যে গতবারে লড়াই কিন্তু ত্রিমুখী হয়েছিল এই যাদবপুরেই। একমাত্র সিপিএম প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য সারা বাংলায় নিজের জামানত রাখতে পেরেছিলেন। যদি সেই মোতাবেক ভোট হয় তবে সায়নীর বড়সড় ভোট জিতে আসাটা সমস্যার হবে না। কিন্তু যদি সৃজনকে খোদ সিপিএম ভোট না দিয়ে অনির্বাণকে দেয় তবে লড়াই জোরদার। আবার যদি সিপিএমের পুরাতন ভোট দলেই ফিরে আসে তবে লড়াই জোরদার তৃণমূলের সঙ্গে তাদের। সে যাই হোক না কেন কলকাতা, বিশেষ করে দক্ষিণ কলকাতা লাগোয়া যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র কিন্তু তৃণমূলের অন্যতম খাসতালুক ফলে অনেকটাই পা বাড়িয়ে খেলছেন সায়নী।
ভোটপ্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। রোড শো চলাকালীন উপস্থিত মহিলাদের থেকে কোথাও নিকাশি নিয়ে অভিযোগ শুনতে হল, কোথাও আবার রাস্তা কিংবা পানীয় জল নিয়ে ক্ষোভ।
রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে শুক্রবার রোড শো করছিলেন সায়নী। সঙ্গে ছিলেন সোনারপুর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম। তৃণমূল প্রার্থীকে সামনে পেয়ে অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা।
উল্লেখ্য, গত ১৫ বছর ধরে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে। বিধায়ক শাসকদলের, পুরসভাও। তারপরেও কেন কাজ হয়নি? কেন ইচ্ছে করে গড়িমসি করা হয়েছে? ২০০৯ থেকেই যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কোনও তারকাকে প্রার্থী করেছে। কবীর সুমন, সুগত বসু এবং মিমি চক্রবর্তী এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। তারকারা জয়ী হওয়ায় কি মাটির সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। সেই জন্যই কি ন্যূনতম কাজও হয়নি? এমন ঘটনায় তৃণমূলকে পাল্টা জমিদার কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি।
বস্তুত, ভোটের আগে বিক্ষোভে রীতিমতো অস্বস্তিতে শাসকদল। বিরোধীরা ক্ষোভের ফায়দা তুলতে পারে কি না সেটাই এখন দেখার।
সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) 'স্বামী বিবেকানন্দ'কে নিয়ে মন্তব্যের কারণে বিতর্ক তুঙ্গে। ফলে এদিন তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে রাজ্যের শাসকদল। অমিত শাহ-সুকান্ত মজুমদারের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন করে শাসকদলের নেতারা। এদিন মিছিল করে, ফুটবল খেলে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের।
রবিবার ব্রিগেডে অনুষ্ঠিত হয় লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ। এই অনুষ্ঠান শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য ঘিরে সরব তৃণমূল। শাসকদলের অভিযোগ, সুকান্ত স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। পবিত্র গীতাপাঠের আসরে দাঁড়িয়ে কুৎসিত রাজনৈতিক কথাবার্তা বলেছেন এবং সেটা করতে গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দকে অত্যন্ত কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেছেন। আর এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতার পথে প্রতিবাদে নামে যুব তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'বাংলা বহু যুগ ধরে সনাতন সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক। পশ্চিমবঙ্গ একটা সময় ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান ছিল।' এরপরেই তিনি জুড়েছিলেন, 'গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভালো, যাঁরা বলছেন তারা বামপন্থী প্রোডাক্ট।'
শাসকের প্রতিবাদ, সুকান্ত মজুমদার এভাবে ভারতবর্ষে যুবশক্তির ধারককে অপমান করতে পারেন না। মঙ্গলবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় থেকে পদযাত্রা হাতিবাগান এবং হেদুয়া হয়ে শেষ হয় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির সামনে। মিছিলে উপস্থিত যুব তৃণমূলের অনেক সদস্য। ছিলেন সৌম্য বক্সী, প্রিয়দর্শিনী ঘোষ-সহ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর একটি মিছিল হয় ভবানীপুরে। এদিকে যখন তৃণমূল বিজেপিকে ধিক্কার জানাতে পথে নেমেছে তখনই এই দিনই বঙ্গ সফরে জেপি নাড্ডা ও অমিত শাহ। বিবেকানন্দকে নিয়ে কটুক্তি করায় ক্ষমা চাইতে হবে সুকান্ত মজুমদারকে এই দাবি তুলে ধিক্কার দেন শাসকদলের নেতৃত্বরা।
এদিন পথে নেমে ধিক্কার জানানোর পাশাপাশি সায়নী ঘোষের নেতৃত্বে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদার যে মন্তব্য করেছেন তার জন্য তার লজ্জা পাওয়া উচিত। বাংলার মনীষীদের সম্পর্কে এই ধরণের কটুক্তি করে নিজেদের জায়গাটাই বাংলার মাটিতে নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে বলে বিজেপিকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী।
এদিকে সুকান্তর বিরুদ্ধে যখন সুর চড়িয়েছে শাসকদল, তখন সুকান্ত মজুমদারও টুইটে সাফ জানান, স্বামীজি রাজনীতির ঊর্দ্ধে। তিনি তৃণমূলের উদ্দেশ্যে টুইটে উল্লেখ করেন, স্বামীজির মূর্তির হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা ধরানোর প্রয়োজন নেই। বিজেপির মৃল আদর্শের মধ্যেই রয়েছেন স্বামীজি। সুতরাং চোরেদের জ্ঞান বাণী নিষ্প্রোয়োজন।
ইডির (ED) ডাকে হাজিরা দিলেন না সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। পৌঁছলেন নির্বাচনী প্রচারে। বুধবার ইডি অফিসে কি হাজিরা দেবেন সায়নী ঘোষ? এই নিয়ে গোটা বাংলায় প্রশ্ন উঠছিল। এ বিষয়ে কুণাল ঘোষ দাবি করছেন, এদিন সায়নী সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন না। ভোটের প্রচারে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর সেই বিষয়ে জানিয়ে ইতিমধ্যেই ইডি আধিকারিককে চিঠিও দিয়েছেন।
এদিকে, ইডির দাবি তাঁরা কোনও চিঠি পাননি। আবার শুক্রবার সায়নীর সঙ্গে যিনি সিজিও কমপ্লেক্সে এসেছিলেন, তিনি জানিয়েছেন, সায়নী হাজিরা দেবেন। সব মিলিয়ে সায়নীর হাজিরা দেওয়া নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এরই মাঝে বুধবার বেলার দিকে, সমস্ত নথিপত্র নিয়ে সিজিও-তে ঢুকতে দেখা গেল সায়নীর আইনজীবীকে। সেক্ষেত্রে, স্পষ্ট হয়ে গেল যে এদিন আর ইডি দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন না সায়নী।
কুণালের দাবি, তিনি যেটুকু জানেন, আজ সায়নী পূর্ব বর্ধমানের গলসির দিকে প্রচারে যাচ্ছেন। তদন্তকারী সংস্থাকে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, ভোটের পর যে দিন ইডি ডাকবে, সেদিনই তিনি হাজিরা দেবেন। সূত্রের খবর, বুধবার সকালেই গল্ফগ্রিনের ফ্ল্যাট থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। প্রায় ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, বেশ কিছু নথি দেখতে চেয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বুধবার ওই নথি নিয়েই ইডির দফতরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। এদিকে দীর্ঘদিন পর মঙ্গলবার তৃণমূলের প্রচার তালিকায় নাম ছিল সায়নী ঘোষের। যদিও মায়ের অসুস্থতার জন্য প্রচারে যেতে দেখা যায়নি তাঁকে।
মায়ের অসুস্থতার কারণ দর্শিয়ে নির্বাচনী (Election) প্রচার এড়ালেন সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। ইডির (ED) জিজ্ঞাসাবাদের প্রায় ৬ দিন পর ফের নির্বাচনী প্রচারে নামার কথা ছিল যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষের। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের করাজগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সিংহী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রচারে থাকার কথা ছিল তাঁর। এদিকে বুধবার তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।
শুক্রবার ইডির জেরার পর সায়নীকে কোনও জেলার প্রচারকারীদের তালিকায় রাখা হয়নি। জানা গিয়েছে, দলের তরফে ফের তাঁকে নির্বাচনী প্রচারে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মায়ের অসুস্থতার কারণে তিনি প্রচারে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, গত শুক্রবার ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী জানিয়েছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করেবেন তিনি।
শুক্রবার প্রায় ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে সায়নী ঘোষকে (Sayani Ghosh)। বুধবার ফের তলব করা হয়েছে তৃণমূলের (Tmc) যুবনেত্রীকে। দলের পক্ষ থেকে শনিবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) প্রচারকারীদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। দলের অন্য প্রথম সারির নেতানেত্রীদের নাম আছ। নাম নেই যুব সংগঠনের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের।
গত বুধবার পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের যে তালিকা ছিল, তাতে নাম ছিল অভিনেত্রী-রাজনীতিকের। বৃহস্পতিবার ইদের জন্য প্রচার বন্ধ রাখে তৃণমূল। শুক্রবার ইডির তলব করে সায়নী ঘোষকে। তলব করার পর থেকেই সায়নী ঘোষকে প্রচারে দেখা যায়নি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তৃণমূলের নেতাদেরও একাংশ। শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের আগেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান সায়নী। ১১ ঘণ্টা পরে ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে জানান, তিনি ১০০ শতাংশ সাহায্য করেছেন তদন্তকারী সংস্থাকে।
ঘটনাচক্রে শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে সায়নী ঘোষ অভিনীত রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ওয়েব সিরিজ 'আবার প্রলয়'-এর টিজার। ওই সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন সায়নী
আগামী বুধবার সম্পত্তি সংক্রান্ত কাগজ সহ যুব তৃণমূল (TMC) নেত্রী সায়নী ঘোষকে (Sayani Ghosh) তলব করল ইডি (ED)। সূত্রের খবর, শুক্রবার টানা ১১ ঘন্টা জেরার পর সায়নীকে ফের ডাকা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আজ অর্থাৎ শনিবার ফের ইডি সায়নীকে বিভিন্ন নথি সহ তলব করেছে বলে সূত্রের খবর। সূত্রের আরও খবর, সায়নীর ফ্ল্যাট সংক্রান্ত নথি দেখতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে তলব করেছেন।
ইডি সূত্রে খবর, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবারের জেরায় সায়নীদের মোট দু’টি ফ্ল্যাট রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। একটি তাঁর নিজের নামে এবং একটি তাঁর মায়ের নামে। গল্ফগ্রিনে একই জায়গায় এই দু’টি ফ্ল্যাট তাঁদের। ফ্ল্যাটগুলির মধ্যে একটির দাম ৮০ লক্ষ টাকা। ওই ফ্ল্যাটটি কেনার সময় সায়নী ২০ লক্ষ টাকা নগদে দিয়েছিলেন। বাকি ৬০ লক্ষ টাকার জন্য ঋণ নিয়েছিলেন। বেসরকারি ব্যাঙ্ক থেকে ওই ঋণ নেওয়া হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে ইডি। ঋণের কাগজপত্র তাঁর কাছে দেখতে চাওয়া হয়েছে। ইডি সূত্রে দাবি, সায়নী দু’টি ফ্ল্যাটই কিনেছিলেন ২০২০-২১ সাল নাগাদ। ঘটনাচক্রে, তিনি ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন।
ফ্ল্যাট ছাড়াও সায়নী একটি গাড়ি ব্যবহার করেন। যদিও যুবনেত্রী দাবি করেছেন, গাড়িটি তাঁর নিজের। তবে তার দিকেও নজর রেখেছে ইডি। সায়নী আর কোনও গাড়ি ব্যবহার করতেন কি না, নিয়োগ মামলায় ধৃত তৃণমূলের অপর বহিষ্কৃত যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর কোনও অর্থনৈতিক লেনদেন হয়েছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুন্তলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সায়নী গাড়ি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য খরচ করেছেন কি না, তদন্ত করে দেখছেন গোয়েন্দারা।
'আজ ১১ ঘন্টা ছিলাম, তদন্তের স্বার্থে ২৪ ঘন্টা থাকবো' ইডির (ED) জেরা শেষে বেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। শুক্রবার সকাল ১১টা ২১ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) পৌঁছন সায়নী। রাত প্রায় পৌনে ১১টা নাগাদ ইডি দফতর থেকে বেরোন তিনি। প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে সায়নী বললেন, বেশ কিছু নথি নিয়ে তাঁকে এদিন ডাকা হয়েছিল। ১০০ শতাংশ সাহায্য করেছেন তদন্তে। আগামী দিনেও তিনি সাহায্য করবেন বলে জানিয়েছেন। সায়নী আরও জানান, তাঁকে আবারও একদিন ডাকা হবে। উল্লেখ্য, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এদিন তলব করা হয় তাঁকে। কুন্তল ঘোষের বয়ান-সহ একাধিক মামলায় সায়নী ঘোষের নাম উঠে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার সেই বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এদিন, সায়নী ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে বলেন, 'আজ কিছু বেসিক ডকুমেন্ট নিয়ে ডেকেছিলেন। এর মধ্যে আবার তলব করবেন। কিছু ডকুমেন্টের ডিটেইল আনতে হবে। আমি ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করেছি। আমি আশা করছি তাঁরা সন্তুষ্ট। আজ আমি এখানে ১১ ঘণ্টা ছিলাম, তদন্তের স্বার্থে যদি আমাকে ২৪ ঘণ্টা থাকতে হয়, আমি তাও থাকব।'
মঙ্গলবার ইডির নোটিস পাওয়ার পর থেকেই কার্যত 'বেপাত্তা' ছিলেন সায়নী। দক্ষিণ কলকাতার বিক্রমগড়ের বাড়িতেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। দলের অনেকেই নাকি তাঁর সঙ্গে যোগযোগ করতে পারছিলেন না। এদিকে, কুণাল ঘোষ দাবি করেন, উল্টোরথে উপোস করে দুর্বল হয়ে পড়েছে সায়নী। সেক্ষেত্রে তিনি ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন কি না, সেই বিষয়ে জোর চর্চা চলছিল । যদিও এদিন তলবে সাড়া দিয়ে সকাল ১১টা ২১ মিনিটে কলকাতায় ইডির সদর দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সায়নী বলেন, 'আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।'
দুদিন ধরে নিখোঁজ থাকলেও ইডির (ED) তলবে হাজির তৃণমূল (TMC) যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh)। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয় তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে। সেই মোতাবেক আজ অর্থাৎ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় সিজিও কমপ্লেক্সে এসে পৌঁছলেন তিনি। সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'ইডিকে ১০০ শতাংশ সহায়তা করব।'
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতেই সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য চার পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করেছিল ইডি। সেই মোতাবেক সায়নীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আইটি রিটার্ন কপি সহ সায়নীকে হাজির হতে বলা হয়েছিল বলে খবর, সূত্রের আরও খবর, সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই জন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পদমর্যাদার ইডি কর্তা সহ আরও অনেকে থাকতে পারেন।
ওদিকে বেলা সাড়ে ১১ টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দিকে আঙ্গুল তোলেন সায়নী।ঘোষ। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'আমি প্রচারে ছিলাম, ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে ডাকা হয়েছে আমাকে, আমি সশরীরে হাজির হয়েছি। এবং আমি তদন্তে ইডিকে একশো শতাংশ সহযোগিতা করব।'
ইডির (ED) ডাকে তৃণমূল (TMC) যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ (Sayani Ghosh) কি হাজিরা দেবেন! এই প্রশ্নই এখন বাংলার অধিকাংশ রাজনৈতিকদের মনে। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তৃণমূল নেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে তলব করে ইডি। সায়নী ঘোষকে আজ অর্থাৎ শুক্রবার ইডির কলকাতার অফিস নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়। যদিও এরপর থেকেই স্রেফ উধাও সায়নী। বারবার সায়নীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সিএন-ডিজিটাল। যদিও তাঁর কোনও সাড়া পাওয়া যায় নি।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নোটিশের পর থেকে সায়নী ঘোষ তার ফ্ল্যাটে আসেননি, সে ক্ষেত্রে সায়নী আজ শুক্রবার বেলা ১১ টার সময় সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন কিনা! তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি সায়নী ঘনিষ্ঠ কুন্তল ঘোষকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে ইডি। এছাড়া সূত্রের খবর, গতকাল রাতেই সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ পাতার প্রশ্নমালা তৈরী করে ইডি। সূত্রের খবর, কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সায়নীর নাম বারবার উঠে আসছিল বলে খবর। ইডি সূত্রের আরও খবর, কুন্তলের বিভিন্ন ফ্লাট কেনা বেচা ও বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনে সায়নীর জড়িত থাকার তথ্য মিলেছে। এরপরই বিভিন্ন সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও কুন্তলের বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনে সায়নীর যোগ থাকার খবর পাওয়া যায়। এরপরেই সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে ইডি।