
অবশেষে অন্তর্বর্তী জামিন (Interim Bail) পেলেন দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও কারামন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)। শুক্রবার সুুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির জন্য ৬ সপ্তাহের জন্য তাঁর এই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। বৃহস্পতিবার তিহাড় জেলের শৌচালয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন গ্রেফতার হওয়া দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। এরপর আজ, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট তাঁর অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। উল্লেখ্য, গত বছর মে মাস থেকে তিহাড় জেলে বন্দি দিল্লির এই প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ।
শীর্ষ আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দিল্লি ছেড়ে বাইরে কোথাও যাওয়া যাবে না ও সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলা যাবে না। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর শারীরিক পরিস্থির কথা ভেবে নির্দেশ দিয়েছে, তিনি তাঁর চিকিৎসার জন্য যে কোনও হাসপাতালে যেতে পারেন। ১১ জুলাই পর্যন্ত এই জামিন থাকবে। ১০ জুলাই এই মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে বলে জানানো হয়েছে। তখন তাঁর সমস্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে বলা হয়েছে। এরপর তা দেখেই তা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে তিহাড় জেলের শৌচালয়ে মাথা ঘুড়ে পড়ে যান তিনি। এরপরই তাঁকে দিল্লির দীন দয়াল উপাধ্যায় হসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাঁকে লোক নারায়ণ জয় প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতির ফলে তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। সেই হাসপাতালেই বর্তমানে চিকিৎসাধীন তিনি।
কিছুদিন আগেই দিল্লির প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের (Satyendar Jain) ভগ্ন চেহারা প্রকাশ্যে এসেছিল। আর বৃহস্পতিবার খবরে উঠে এসেছে, তাঁকে দিল্লির (Delhi) দীন দয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে (Deen Dayal Upadhyay Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, তিহাড় জেলের ওয়াশরুমে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁকে। তাঁর ভগ্ন চেহারার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনা করে বলা হচ্ছিল, 'জেলের খাবার কি পছন্দ হচ্ছে না? ওজন কমে এ কী হাল তাঁর। তিনিই যে সেই আপ নেতা চেনাই যাচ্ছে না।'
বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেন করার ফলে আপ নেতা সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তারপর থেকে তিনি তিহাড় জেলেই বন্দি। তিহাড় জেলের ডিজি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টা নাগাদ তিহাড় জেলের সেল নম্বর ৭ -এর ওয়াশরুম থেকে তাঁকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কিছুদিন আগেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে দু'বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। বর্তমানে সেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।