শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী মেলা হল পৌষমেলা। এ বছরও শান্তিনিকেতনে আয়োজিত হচ্ছে না পৌষমেলা। তিন বছর পর মেলা হওয়ার আশঙ্কা জুগিয়েছিল, কিন্তু সেই আশাও ভেস্তে গেল। সোমবার, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট যৌথভাবে একটি বৈঠক করে আসন্ন পৌষ মেলা নিয়ে। আর সেই বৈঠকে সব পক্ষের উপস্থিতিতে আলোচনা হয়, এই বছর মেলা হবে না।
তবে আগের বৈঠকে জানানো হয়েছিল, তিনবছর পর এবার ছোট করে হলেও পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। এই খবর শুনে খুশি হয়েছিল হোটেল ব্যবসা থেকে শুরু করে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানা খবর শুনে হতাশ হয়ে পড়েছে তারা।
এ বছর কেন তাদের পক্ষে মেলা আয়োজন করা হবে না তার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা পাঁচটি কারণ তুলে ধরেছেন। সেই সকল কারণের মধ্যে রয়েছে হাতে অল্প সময় অর্থাৎ সময়ের অভাব। হাতে অল্প সময় থাকার কারণে স্টল বুকিং থেকে শুরু করে পুকুর ইত্যাদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কাজ করা সম্ভব নয়। এছাড়াও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অর্থনৈতিক ও অন্যান্য পরিকাঠামো সীমিত হওয়ার কারণে এই অল্প সময়ের মধ্যে তারা মেলার আয়োজন করতে পারবে না বলেই শেষমেষ জানিয়ে দিল।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে মুখোমুখি জেরা করতে সোমবার তাঁর বাংলোয় গেল শান্তিনিকেতন থানার ওসি সহ পুলিস কর্মীরা। উপাচার্য থাকাকালীন নানা ইস্যুতে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সম্প্রতি শান্তিনিকেতন থানায় তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ জমা পড়েছে। জানা গিয়েছে, গোটা জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের ভিডিও রেকর্ডিং হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নিল বীরভূম জেলা পুলিস।
উল্লেখ্য, সোমবার শান্তিনিকেতন থানার ওসি ও পুলিস আধিকারিকরা বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাংলো ‘পূর্বিতা’য় পৌঁছন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পাঁচটি মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আগামী ২২ তারিখ বাকি দুটি মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পাঁচটি মামলায় তদন্তের জন্য শান্তিনিকেতন থানার পুলিস নোটিস ধরিয়েছিল। কিন্তু প্রাক্তন উপাচার্য সেই হাজিরা এড়িয়ে যান। উপরন্তু এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে স্বস্তিও পান। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছিল, তাঁকে আপাতত গ্রেফতার করা যাবেনা। সেই নির্দেশের পর আজ ফের জেরার মুখে বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য।
উল্লেখ্য, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তিতে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথকে অবমাননা করে ফলক বসানো থেকে শুরু করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কটূক্তির জেরে অভিযোগ দায়ের হয়। বাঙালি কাঁকড়ার জাত-সহ দুর্গাপুজো প্রসঙ্গেও স্পর্শকাতর মন্তব্য করেছিলেন বিদ্যুৎ।
ফের হোস্টেলে পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু। ডাক্তারি পড়তে যাওয়া যে মৃত্যু ডেকে আনবে নার্সিং পড়ুয়ার তা আর কে জানতো? বোলপুরে মৃত্যু হয় হুগলি পুড়শুড়ার বাসিন্দা বছর ২০-র স্নেহা দত্তর। জানা গিয়েছে, ডাক্তারি পড়তে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন স্নেহা। রবিবার খাওয়া-দাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে প্রথমে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজে ও পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মেয়ের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পরিবার। এই রহস্য়মৃত্য়ু নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
হস্টেল কর্তৃপক্ষের দাবি, রবিবার রাতের খাওয়া-দাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তারপর মুখ থেকে ফেনা বেরোতে শুরু করে তাঁর। মৃতার বাবা জানান, প্রথমে মেয়েকে অসুস্থ অবস্থায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানায় কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। তারপর রবিবার মধ্য়রাতে মৃত্য়ু হয়েছে ওই ছাত্রীর।
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থাকার পরেও কেন সেখানে চিকিৎসা করা হলো না। কেনই বা তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল তা নিয়ে এমন অনেক প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্য়ে। তবে ঠিক কি কারণে এই মৃত্যু? তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। মৃত্য়ুর সঠিক জানতে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য় পাঠানো হয়েছে।
শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) মুকুটে জুড়েছে নয়া পালক। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের (World Heritage Site) তকমা পেয়েছে শান্তিনিকেতন। ইউনেসকোর (UNESCO)এই ঘোষণায় আনন্দে আত্মহারা আপামর বাঙালি। ফলে রবিবার রাত থেকে বয়ে চলেছে শুভেচ্ছার বন্যা। ইউনেসকোর এই ঘোষণায় বেজায় খুশি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। স্পেন সফরে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাংলার এই গর্বের কথা তাঁর কানে পৌঁছতেই তাঁর এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীও।
সারা বিশ্বজুড়ে অত্যন্ত গর্বিত বাঙালি এবং সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষরা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, 'গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকাভুক্ত হওয়ায় আনন্দিত ও গর্বিত। এটা বিশ্ববাংলার কাছে গর্বের। গুরুদেবের আদর্শে লালিত হয়েছে শান্তিনিকেতন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর পাশে থেকেছে। গত ১২ বছর ধরে শান্তিনিকেতনের পরিকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। অবশেষে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি পেল সেই ঐতিহ্যবাহী স্থান।'
অন্যদিকে নিজের জন্মদিনের দিন এই সুসংবাদ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে খুশির খবর প্রকাশ করেছেন। মোদী লিখেছেন, 'অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গির মূর্ত রূপ এবং ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শান্তিনিকেতন ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ-এর তালিকায় স্থান পেয়েছে। এটা সমস্ত ভারতবাসীর জন্য একটা গর্বের মুহূর্ত।'
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্নের শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) মুকুটে জুড়ল নয়া পালক। ইউনেসকোর (UNESCO) 'ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট'-এর (World Heritage Site) তকমা পেল শান্তিনিকেতন। আজ সরকারিভাবে ট্যুইট করে ঘোষণা করল ইউনেসকো। এই ঘোষণার পর থেকেই শুধুমাত্র বীরভূম বা বাংলার জন্য নয়, পুরো ভারতের জন্যই এটা একটা গর্বের মুহূর্ত।
🔴BREAKING!
— UNESCO 🏛️ #Education #Sciences #Culture 🇺🇳 (@UNESCO) September 17, 2023
New inscription on the @UNESCO #WorldHeritage List: Santiniketan, #India 🇮🇳. Congratulations! 👏👏
➡️ https://t.co/69Xvi4BtYv #45WHC pic.twitter.com/6RAVmNGXXq
শান্তিনিকেতনের নাম এখন সারা বিশ্বে আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়বে, এমনটা ভাবতেই আপামর বাঙালিরা আনন্দে আত্মহারা। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে প্রত্যেক বাঙালির আবেগ জড়িয়ে। কারণ শান্তিনিকেতন বলতেই বাঙালিদের চোখে ভেসে ওঠে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ছবি। ফলে শান্তিনিকেতন নিয়ে বাঙালির আবেগের শেষ নেই। এ এক গর্বেরও বিষয়। ফলে শান্তিনিকেতন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট-এর তকমা পেতেই উৎসবের আবহ শান্তিনিকেতনে। শুধুমাত্র ভারতবাসী নয়, এবার থেকে পুরো বিশ্ববাসী শান্তিনিকেতনকে চিনবে তাজমহল, অজন্তা, ইলোরা, খাজুরাহোর মতোই বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে।
সপ্তাহান্ত এলেই মন উড়ু উড়ু? মনে হয় পাড়ি জমাই শান্তিনিকেতনে (Santiniketan)? দেখে আসি সোনাঝুরির হাট (Sonajhuri Hat)? খানিকটা হেঁটে আসি খোয়াইয়ের পথ ধরে? বীরভূমের (Birbhum) গ্রামীণ শিল্পীদের অসামান্য সব সৃষ্টি নিয়ে এসে ইচ্ছে করে ঘর সাজাতে? কিন্তু সময় মেলে না? কলকাতা থেকে অতখানি দূরে পাড়ি দেওয়ার সাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না সব সময়?
আর চিন্তা নেই৷ সোনাঝুরির হাটে যেতে এখন আর বোলপুর, শান্তিনিকেতনে যেতে হবে না৷ সোনাঝুরির হাটই এখন উঠে এসেছে কলকাতায়। খোদ নিউটাউনে। লালমাটি নেই, তবে ইঁট, কাঠ, কংক্রিটের জঙ্গলে একটুকরো গ্রামবাংলা।
নিউটাউনের কমিউনিটি জোনেই এখন লালমাটির সোনাঝুরির হাট। উদ্যোক্তা হিডকো। একদম বোলপুর-শান্তিনিকেতনের মতোই। হরেক শিল্প সম্ভার, জিভে জল আনা বোলপুরের স্থানীয় খাবার, সঙ্গে আরও অনেক কিছু। অভিনব উদ্যোগ, সন্দেহ নেই৷ প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি এবং রবিবার। সবমিলিয়ে যাকে বলে উইকেন্ড জমজমাট। একবার সময় করে ঘুরেই আসুন না৷
সন্তানকে গলা টিপে খুন করার অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রূপপুর (Birbhum) গ্রাম পঞ্চায়েতের হেদেডাঙা গ্রামে। ইতিমধ্যেই ওই শিশুর বাব-মাকে আটক করেছে শান্তিনিকেতন থানার (Police) পুলিস। জানা গিয়েছে, বছর দেড়েকের মৃত (Death) ওই শিশুর নাম সুরজিত্ টুডু। এমনকি অভিযুক্ত বাবা মায়ের নাম সোনাই টুডু ও সুখদি টুডু। তাঁরা শান্তিনিকেতন থানার রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হেদেডাঙার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই পারিবারিক অশান্তি চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। সেই অশান্তির জেরেই নিজের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেন সুখদি টুডু৷ ছেলেকে হত্যা করে তারপরে নিজেও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
পরিবার সূত্রে খবর, হঠাত্ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় সুখদি। তাড়াতাড়ি করে বাড়ির সদস্যরা দরজা ভেঙে সুখদি ঝুলন্ত অবস্থায় ও বাচ্চাটিকে শুয়ে থাকতে দেখে তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে সুখদিকে বাঁচানো হয়। তারপরেই বাচ্চাটি নড়াচড়া করছে না দেখে তড়িঘড়ি ওই শিশুকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তখনই হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় অশান্তি লেগে থাকত, যার ফলেই এই ঘটনা। তবে এই ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না ওই শিশুটির বাবা সোনাই টুডু।
ইতিমধ্যেই পুলিস অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তবে ঘটনাটি ঠিক কি ঘটেছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী (Vice Chancellor Vidyut Chakraborty)। খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন ও বোলপুর থানার পুলিস (police) এসে তাঁকে উদ্ধার করে। উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গাঁইতি, শাবল, বাঁশ নিয়ে আসেন নিরাপত্তারক্ষীরা। গেট ভাঙতে শুরু করে৷ তখনই আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। ফের রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা দীর্ঘদিন ধরেই পড়ুয়া, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, কর্মীদের বড় অংশ করছে৷ সদ্য পূর্বের আন্দোলনকারীরা পড়ুয়াদের ভর্তি না নেওয়া, গবেষণারত পড়ুয়াদের পাঠে বাধা দেওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছেন। এমনকি, আদালতের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ তুলে বুধবার বিকেল ৪ টে থেকে ঘেরাও করা হয় উপাচার্যকে৷ বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিজ দফতরেই ঘেরাও করা হয় উপাচার্যকে৷ সেই সময় পড়ুয়াদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের। আহত হন দুই পড়ুয়া-সহ এক নিরাপত্তারক্ষী।
জানা গিয়েছে, "দীর্ঘক্ষণ দফতরে ঘেরাও থাকার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি, হেনস্থা করা হয়েছে," এই অভিযোগে বীরভূম পুলিস সুপারকে ইমেল করেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷ বৃহস্পতিবার রাত প্রায় ২ টো নাগাদ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে আসে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীরা৷ গাঁইতি, শাবল, বাঁশ দিয়ে গেট খোলার চেষ্টা করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে শুরু হয় জোর ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি উত্তাল হওয়ার খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন ও বোলপুর থানার পুলিস এসে পড়ুয়াদের বুঝিয়ে উপাচার্যকে উদ্ধার করে৷ প্রায় ১০ ঘণ্টা পর ঘেরাও মুক্ত হন উপাচার্য।
সৌমেন সুর: কবির মনে ইচ্ছা জাগে প্রাচীন ভারতের তপোবনের আদলে শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করার। এই ইচ্ছা প্রকাশ করেন জগদীশ চন্দ্র বসুকে চিঠি লিখে। তিনি লেখেন, 'শান্তিনিকেতনে আমি একটি বিদ্যালয় খুলিবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিতেছি। সেখানে ঠিক প্রাচীনকালে গুরুগৃহ বাসের মতো থাকবে নিয়ম। বিলাসিতার নাম গন্ধ থাকিবে না। ধনী-দরিদ্র সকলকেই কঠিন ব্রহ্মচর্যে দীক্ষিত হইতে হইবে। উপযুক্ত শিক্ষক কিছুতেই খুঁজিয়া পাইতেছি না। এতদিনকার ইংরেজি বিদ্যায় আমাদের কাহাকেও তেমন কর্মযোগী করিতে পারিল না কেন? আমাদের এখানে সেরকম ত্যাগী অথচ কর্মী নেই কেন? ছেলেবেলা হইতে ব্রহ্মচর্য না শিখিলে আমরা প্রকৃত হিন্দু হইতে পারিবো না। অসংযত প্রবৃত্তি ও বিলাসিতায় আমাদিগকে ভ্রষ্ট করিতেছে। দারিদ্রকে সহজে গ্রহণ করিতে পারিতেছি না বলিয়াই সকল প্রকার দৈন্যে আমাদিগকে পরাভূত করিতেছে।'
১৯০১ সালের ২২ ডিসেম্বর স্থাপিত হয় শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মাচর্যাশ্রম বিদ্যালয়। শিলাইদহের পাট চুকিয়ে রবীন্দ্রনাথ পরিবার নিয়ে চলে আসেন শান্তিনিকেতনে। রবীন্দ্র-জায়া মৃণালিনী দেবী হলেন শান্তিনিকেতনের আশ্রম জননী। স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে নিঃস্বার্থভাবে সাহায্য করেন তিনি। শান্তিনিকেতনে বিদ্যালয় চালাতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ হয়ে গেলেন ঋণগ্রস্ত। পৈতৃক ব্যবসার অংশীদার হয়ে সেই ব্যবসার ক্ষতির পুরো দায়ভার তাঁর উপর বর্তায়। স্ত্রী মৃণালিনী দেবী স্বামীকে ঋণমুক্ত করার জন্য তাঁর সমস্ত গয়না কবির হাতে তুলে দেন। এদিকে রবীন্দ্রনাথের অর্থ নেই। ঋণ থেকে বাঁচার জন্য পুরীর বাড়ি বিক্রি করে দিয়েও রেহাই পেলেন না।
একে একে তিনি সব বিক্রি করতে লাগলেন। তবু ব্রহ্মচর্যাশ্রম বিদ্যালয়কে যেমন করে হোক বাঁচাতেই হবে। কবি নিজের লাইব্রেরি সব বই বিক্রি করে দিলেন। এমনকি, বিয়েতে যৌতুক পাওয়া সোনার ঘড়িটা পর্যন্ত বিক্রি করে দিলেন শরৎকুমারী চৌধুরানীকে ওরফে লাহোরীনিকে। বন্ধুপত্নীকে লাহোরীনি নামটা রবীন্দ্রনাথই দিয়েছিলেন। এভাবে কবি অনেক কিছুই বিক্রি করে দিলেন বটে। কিন্তু স্বপ্নের বিদ্যালয় অবশেষে বহু কষ্ট ও পরিশ্রমের মূল্য দিয়ে তৈরি হয়েছিল। বিদ্যালয়ে প্রথমে ৫ জন ছাত্র, তারপর তো ইতিহাস।
শেষ পৌষ মেলা (poush mela) হয়েছিল তখন সালটা ২০১৯। এরপর থেকেই পৌষ মেলা নিয়ে শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) টালবাহানা দেখাতে শুরু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ (Visva Bharati Authority)। প্রথমে করোনা (covid—19) মহামারির জন্য এবং পরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের গা ছাড়া ভাব। এই দুয়ের ফাঁসে আর দেখা যায়নি শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। তবে এবার পৌষ মেলা বাঁচানোর জন্য বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতি, হস্তশিল্প সমিতি এবং বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটি।
করোনাকালের পর এবছর যখন সমস্ত কিছু স্বাভাবিক, সে সময়ও পৌষ মেলা নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এর জেরে শান্তিনিকেতন পৌষ মেলা বাঁচাও কমিটির তরফ থেকে বুধবার বিশ্বভারতীর বলাকা গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কমিটির সদস্যদের দাবি, উপাচার্য এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তিনিকেতন থেকে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা তুলে দিতে চাইছে। কিন্তু তাঁরা তা হতে দেবেন না। পৌষ মেলা বাঁচানোর দাবিতে যেমন এদিন বিক্ষোভ সামিল হন এই মঞ্চের সদস্যরা, ঠিক সেইরকমই তাঁরা ২০১৯ সালে যে ডিপোজিট মানি দিয়েছিলেন ব্যবসা করার জন্য সেই টাকা ফেরতের দাবিও তোলেন। কারণ, সেই টাকার বিপুল অংশ এখনও পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। যদিও সেই টাকা পৌষ মেলার পরেই ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। অন্যদিকে, তাঁদের তরফ থেকে জানানো হয় পৌষ মেলা করার জন্য যারাই এগিয়ে আসবেন তাঁদেরই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন তাঁরা।
পাশাপাশি, মেলার আয়োজনকে ঘিরে বোলপুর পুরসভার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু হয়েছে। বোলপুর পুরসভার তরফ থেকে তাদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তারা মেলার আয়োজন করতে আগ্রহী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যাতে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ পূর্বপল্লীর মাঠে মেলার আয়োজন করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তার জন্য পুরসভার তরফ থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। এখন সেই চিঠির উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছে বোলপুর পুরসভা।
সুজিত সাহা : মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বীরভূম ভ্রমণকালে বোলপুরে একটা শান্ত স্নিগ্ধ সবুজে ঘেরা অঞ্চল (বর্তমানে শান্তিনিকেতন) তাঁর খুব মনে ধরে। ১৮৬৩ সালে এই জায়গাটা কেনবার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি, রায়পুরের জমিদার ভূবন মোহন সিনহার কাছে। বিশ বিঘা জমি ষোলো আনার বিনিময়ে পাট্টা নেন তিনি। মহর্ষির মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্জনে ঈশ্বর চিন্তা ও ধর্মালোচনার বিকাশ। ঠিক তার পঁচিশ বছর পর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শান্তিনিকেতন ট্রাষ্টের। তার মাধ্যমেই একটি অতিথি ভবন, প্রার্থনা কক্ষ, এবং ধর্মীয় সাহিত্যের জন্য একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ থেকে ফিরে আসেন শান্তিনিকেতনে। সময়টা ছিল ১৯০১ সাল। পাঁচজন খুদে ছাত্রকে নিয়ে শুরু করেন ব্রক্ষ্ম বিদ্যালয়।
বাঁধাধরা গণ্ডির মাঝে আবদ্ধ থেকে পড়াশোনার ঘোর বিরোধী ছিলেন তিনি। প্রকৃতির মাঝে উন্মুক্ত শিক্ষাচিন্তা, শিশু মনকে সকল দিকে সমৃদ্ধ করার কথা ভেবেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর চিন্তা চেতনায় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথই বিশ্বভারতীর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ১৯১৮ সালে। এর তিনবছর পর অর্থাৎ ১৯২১ সালে ২৩ শে ডিসেম্বর আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল রবীন্দ্রনাথের উপস্থিতিতে বিশ্বভারতীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পরবর্তীকালে শিক্ষা ও শিল্পকলা ক্ষেত্রে দেশের মূল পীঠস্থান হয়ে ওঠে এই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। উদ্বোধনের ত্রিশ বছর পড়ে ১৯৫১ সালে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা লাভ করে।
নানা চড়াই উৎরাই ও প্রতিকূলতার মাঝেও নিজের গরিমায় আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। কত স্বনামধন্য ব্যক্তিদের পাদস্পর্শে ধন্য হয়েছে এই পবিত্রভূমি।
বিশ্বের শিল্পী ও শিল্পানুরাগীদের কাছে মহা তীর্থক্ষেত্র হিসাবে স্থান পেয়েছে এই শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।
শান্তিনিকেতন শিশু অপহরণ এবং খুন-কাণ্ডে (Santiniketan Child Murder) চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি মূল অভিযুক্ত রুবি বিবির। পুলিসের (Birbhum Police) কাছে স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান, নিজের হাতে শিবম ঠাকুরকে খুন করেছেন। তবে সঞ্জীব নামে একজন খুদেকে নিয়ে এসেছিল। এই স্বীকারোক্তির পরেই এই ঘটনার তদন্তে আরও একধাপ এগিয়ে গেল বীরভূম পুলিস। এদিকে, বৃহস্পতিবার মোলডাঙা গ্রামে গিয়ে শোকাহত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের (State Child Rights Protection) চেয়ারম্যান সুদেষ্ণা রায়। তাঁর কাছে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি করে শিবমের মা-বাবা।
এমনকি, অভিযুক্ত পরিবারের কেউ যাতে আর এই গ্রামে ঢুকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করে বলা হয়েছে প্রশাসনকে। এদিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পুলিস এবং জেলা শিশু সুরক্ষা কমিশন থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তের গতিপ্রকৃতি এবং ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, শিশু অপহরণ এবং খুনে কোনও রাজনৈতিক যোগ চায় না পরিবার। কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বর সঙ্গে দেখা করতে চান না নিহত শিশুর পরিবার। এমনটাই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তারা।
৫২ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর পড়শির বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার শিশুর (Child Body) নলিকাটা দেহ। আর এই ঘটনা ঘিরে শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) মোলডাঙা গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা। অভিযুক্তর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন (Arson) ধরিয়ে দেওয়া হয়। উত্তেজনা এতটাই যে সংবাদ মাধ্যমকে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, পুরনো বিবাদ থেকেই প্রথমে এই অপহরণ এবং পরে নৃশংস খুন। তাঁরা পুলিসি (Birbhum police) নিষ্ক্রিয়তার দিকেও আঙুল তুলেছে। ৫২ ঘণ্টা শিশু নিখোঁজ থাকলেও কেন উদ্ধার করতে পারেনি? এই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা।
অভিযুক্তর বাড়ি থেকে এক মহিলা সদস্যকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পাশাপাশি পড়শির বাড়ির ছাদ থেকে শিশুর দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। দমকলের একটি ইঞ্জিনের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রোধে গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস। রীতিমতো ঢাল, লাঠি এবং কাঁদানে গ্যাস নিয়ে এলাকায় চলছে টহলদারি।
ঘটনাস্থল থেকে বীরভূমের পুলিস সুপার জানান, ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। আমরা শিশুকে জীবন্ত উদ্ধার করতে পারিনি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা। মূল অভিযুক্ত যে মহিলা, তাঁকে জেরা করে সত্যি জানান চেষ্টা করব। সোমবার গোটা দিন দফায় দফায় আমরা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু সে সময় ছাদে দেহ উদ্ধার পাওয়া যায়নি। কোনওভাবে বাইরে খুন করে পরে ছাদে দেহ রাখা হয়েছে কিনা জানার চেষ্টা করছি।' তিনি জানান, নিখোঁজ অভিযোগ পাওয়ার পরেই শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। ওরা কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা কিংবা কেউ সন্দেহভাজন রয়েছে কিনা। সঠিক বলতে পারেনি।
স্থানীয়দের দাবি, 'শিশুর বাবার যে ব্যবসা, সেই ব্যবসায় একজন হেল্পারের সঙ্গে অভিযুক্ত পরিবারের একজনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই বিবাদ থেকেই এই নৃশংস ঘটনা।' সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয়দের শান্ত করতে প্রতিশ্রুতি জেলা পুলিসের।
গরু পাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling) যুক্ত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার বীরভূমের দাপুটে নেতা তথা তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) সিবিআই হেফাজতে যান। তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। এই ঘটনার পর বিরোধী শিবিরের নেতা-কর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়লেও এর প্রতিবাদে পরবর্তীতে আবার তৃণমূলের তরফ থেকে পাল্টা মিছিল বের করা হয়। অন্যদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার খোয়াইয়ের সোনাঝুরি হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল সোনাঝুরি হাট কমিটি।
শনিবার সোনাঝুরি হাটে (Sonajhuri Hat) বাইরে থেকে প্রচুর পর্যটকদের (Tourist) আগমন হয়। সেই মতো পর্যটকরা এদিন এখানে বেড়াতে এসে অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে পড়েন। তাঁরা হঠাৎ এদিন এসে দেখতে পান, হাট বন্ধ রয়েছে।
তবে পর্যটকদের অসুবিধা হলেও হাট কমিটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের একদিন অসুবিধা হচ্ছে সেটা মানছি। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল এখানকার অভিভাবকের মতো। যে কারণেই সবাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আজ হাট বন্ধ রাখা হবে এবং দুপুরবেলায় এই এলাকার হস্তশিল্পীদের তরফ থেকে একটি মিছিল করা হবে। সেই মিছিল যাবে রেল ময়দান পর্যন্ত।