যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ঘরের সামনে বিতর্কিত পোস্টার। পোস্টারে লেখা ভিসিকেই কটাক্ষ করে নানারকম কৌতুকমূলক লাইন। লেখা রয়েছে, 'তোরা যে যা বলিস ভাই, আমার চেয়ার খানি চাই।' এমনকি তাতেই কার্টুনের মাধ্যমে এক ব্যক্তির চেয়ার আটকানোর ছবি ছাপিয়ে লেখা, 'আমায় ছেড়ে যাস না প্লিজ, আমায় ছেড়ে যাস না।' পাঁচিলে, দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গায় এই ছবি ছাপিয়েছে কেউ বা কারা। আর তা নিয়েই ফের তৈরি হল বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের ভিসি কে? তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রীতিমত অচলাবস্থা চলছেই। গত বছর ডিসেম্বরের ২৮ তারিখেই জুটার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি মারফত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! এই চিঠির উত্তরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছিলেন, দুটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। একটি রাজ্যপালের ও একটি বিকাশ ভবনের। এরপর এখন কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। সুতরাং এখান থেকেই স্পষ্ট হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর রেজিস্ট্রারের কাছেও নেই। ঘটনাকে 'অভূতপূর্ব' বলেই মন্তব্য করেছিলেন জুটার সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায়। এবার ভিসির ঘরের সামনে পোস্টার বিতর্কে সেই অচলাবস্থাকেই টেনে আনলেন তিনি।
এদিকে যাকে নিয়ে গত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যখন রাজ্যপাল তাঁকে অপসারণ করেন যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের পদ থেকে। সেই বুদ্ধদেব সাউ এবার পোস্টার বিতর্কে সুর চড়ালেন। তিনি বললেন, যাঁরা এই কাজ করেছেন, এতে তাঁদের মনুষ্যত্ব, তাঁদের চরিত্র কেমন তা বোঝা যাচ্ছে।
তবে এর জেরে একমাত্র সমস্যার মুখে পড়তে হবে পড়ুয়াদেরই। উপাচার্য কে তা না জানা গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু কাজও যেতে পারে আটকে। আর এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই এবার এই সব পোস্টার রহস্য। কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
মণি ভট্টাচার্যঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে! জানেই না কর্তৃপক্ষ। ফলত, সমাবর্তনের পর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার জুটার তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি মারফত জানতে চাওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে? এই চিঠির উত্তরে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু জানিয়েছেন দুটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। একটি রাজ্যপালের ও একটি বিকাশ ভবনের, এরপর এখন কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার জন্য আইনি পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। ফলে এটা স্পষ্ট যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কে সে বিষয়ে কিন্তু কোনও স্পষ্ট উত্তর রেজিস্ট্রারের কাছে নেই। এছাড়া সিএনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে রেজিস্ট্রারও একই উত্তর দেন।
এই রকম পরিস্থিতি এর আগে কখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়নি। তাই এই ঘটনাকে অভূতপূর্ব বলেই মনে করছেন জুটার সেক্রেটারি পার্থপ্রতিম রায়। উপাচার্য কে তা জানতে না পারলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কাজ আটকে যাবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পার্থপ্রতিম রায়ের সাফ কথা, ভিসি যেই থাকুন না কেন সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বা বুদ্ধদেব সাউকে পরিষ্কার করে জানাতে হবে।
রাজ্যের নাম করা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের অচলাবস্থায় সমস্যার মুখে পড়তে পারেন এই বিশ্ববিদ্যালেয়ের পড়ুয়ারা। এমনকি সমাবর্তনের সার্টিফিকেট নিয়েও বাড়তে পারে অনিশ্চয়তা।
শহরের ১১ জায়গায় থাকা বোমা বেলা দেড়টা নাগাদ ফাটবে! মঙ্গলবারে এহেন হুমকি ই-মেল ঘিরে হুলূস্থূল-কাণ্ড মুম্বই পুলিসে। হুমকি ই-মেলে উল্লিখিত জায়গাগুলোর মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক-সহ দুটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের শাখাও রয়েছে। যদিও তড়িঘড়ি ১১ জায়গায় পৌঁছে যায় মুম্বই পুলিস।
বোমা বিস্ফোরণের একটি হুমকি ই-মেল আর তা ঘিরেই হূলুস্থূল মুম্বইজুড়ে। মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ-সহ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে ই-মেলে। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের হাতে থাকা সেই ই-মেলে লেখা, 'আমরা মুম্বইয়ের ১১টি ভিন্ন জায়গায় বোমা পেতে রেখেছি। আরবিআই-সহ একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্ক বড়সড় দুর্নীতিতে মদত দিয়েছে। এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে রয়েছেন আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন-সহ একাধিক ব্যাঙ্ক কর্তা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।' হুমকি মেলে আরও লেখা, 'আমরা দাবি করছি, আরবিআই গর্ভনর এবং অর্থমন্ত্রী অবিলম্বে পদত্যাগ করুক আর প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুর্নীতির খতিয়ান সামনে আনুক। এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক সরকার', এমন দাবিও করা সেই হুমকি মেলে।
মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর, হুমকি মেলে লেখা ১১টি বোমা শহরের একাধিক জায়গায় রাখা। RBI, নিউ সেন্ট্রাল বিল্ডিং ফোর্ট মুম্বই, HDFC হাউস, চার্চগেট, মুম্বই আর ICICI ব্যাঙ্ক টাওয়ার, বিকেসিতে রাখা বোম। এই বোমাগুলি দুপুর দেড়টা নাগাদ ফাটবে, এমন হুমকির উল্লেখ ই-মেলে। এই ই-মেলের গুরুত্ব বিচার করে মুম্বই পুলিস উল্লিখিত জায়গাগুলোতে পৌঁছলেও কোনও বিস্ফোরক উদ্ধার হয়নি, তদন্তের স্বার্থে মামলা রুজুও হয়েছে, এমনটাই মুম্বই পুলিস সূত্রে খবর।
মণি ভট্টাচার্যঃ যাদবপুরের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল কর্তৃক অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে অপসারণের ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়ে আছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। ঘটনাক্রমে রবিবার সমাবর্তনের আগেই শনিবার রাজ্যপাল কর্তৃক অপসারণ করা হয় যাদবপুরের অন্তর্বর্তী ভিসি বুদ্ধদেব সাউকে। এরপর পাল্টা শনিবার মধ্যরাতে বিকাশ ভবনের তরফে যাদবপুরকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয় রাজ্যপালের ওই নির্দেশ বেআইনি। চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের মামলার রায়ের কথা উল্লেখ করে সুপারিশ করা হয় যে বুদ্ধদেব সাউই থাকবে যাদবপুরের উপাচার্য। এরপর অবশ্য রবিবার রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য ও যাদবপুর ACT অমান্য করার জন্যই বুদ্ধদেব সাউকে সরানো হয়েছে। এছাড়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্য শিক্ষা দফতর বিশ্ববিদ্যালয় গুলির সায়ত্ব শাসনে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। এখন প্রশ্ন, গোটা ঘটনায় আইন অনুযায়ী সঠিক কে? কী বলছে যাদবপুর ১৯৮১ ACT? তারই খোঁজ নিল সিএন।
১৯৮১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক কার্য পরিচালনার জন্য একটি ACT গঠন করা হয়। যা ১৯৮৩ সালে পাশ হয় বিধানসভায়। তারপর থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত অনুষ্ঠান, পরীক্ষা, সমাবর্তন, সহ সমস্ত প্রক্রিয়া সংঘটিত হয় এই ACT অনুযায়ী।জানা গেল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৮১ ACT এর ৮ নম্বর রুলের ২,৩ ও ৯ নম্বর রুলের ১ নম্বর ধারা অনুযায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ করবেন কেবল আচার্য। যদিও ১৯৮১ এর সেই ACT খানিক পরিবর্তন করা হয় ২০১১ সালে। সেখানে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বা রাজ্যপালকে। যেখানে উল্লেখ রয়েছে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ যদি শূন্য থাকে সেক্ষেত্রে আচার্য ওই পদে অন্তর্বর্তী ভিসি বা ভারপ্রাপ্ত ভিসিকে নিয়োগ করতে পারেন এবং তিনিই ওই নিয়োগ প্রত্যাহার করতে পারেন।
সুতরাং গোটা ঘটনায় যা স্পষ্ট হল, অন্তবর্তী ভিসি নিয়োগের অ্যাপয়েন্টমেন্ট অথরিটি কেবলমাত্র আচার্য বা রাজ্যপালের। সেখানে রাজ্যশিক্ষা দপ্তর, বিকাশ ভবন বা শিক্ষামন্ত্রী কেউই কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। তাহলে রাজ্যপাল কর্তৃক অপসারণ হতেই পারে, মত বিশেষজ্ঞদের। শুধু তাই না, রাজভবন সূত্রে জানা যায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছেন বুদ্ধদেব সাউ। সুপ্রিম নির্দেশে তিনি অন্তর্বর্তী ভিসি হিসেবে থাকলেও, বুদ্ধদেব সাউ নিজেকে ভিসি বলেই দাবি করতেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি আইন অমান্য করেছেন বুদ্ধদেব সাউ। ফলে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপাল কর্তৃক যাদবপুরের অন্তর্বর্তী ভিসি অপসারণে যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা।
রাজ্যপালের অপসারণ নির্দেশ অগ্রাহ্য করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে হাজির বুদ্ধদেব সাউ। আচার্যের অনুমতি ছাড়াই হচ্ছিল যাদবপুরে সমাবর্তন। তাই কি সরতে হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে! এই নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অপসারণ করেন বুদ্ধদেব সাউকে। ফলে সমাবর্ত নিয়ে জটের মধ্যেই অপসারিত হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য। তবে রাজ্যপালের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা জানিয়ে মধ্যরাতে নির্দেশিকা দিল রাজ্য শিক্ষা দফতর। এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়ার কথা সমাবর্তন। তার আগের সন্ধ্যায় এই কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন রাজ্যপাল।
রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, এই অপসারণ রাজ্যপাল করতে পারেন না। যেহেতু মামলা সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। এছাড়া যাদবপুরকে একটি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে এই অপসারণ অবৈধ। এছাড়া ওই চিঠিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক রায়ও উল্লেখ করা হয়েছে।
রাজভবন থেকে শনিবার উপাচার্যকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁকে তাঁর কর্তব্য থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। এর পরেই প্রশ্ন উঠছে, রবিবার কি আদৌ যাদবপুরে হবে সমাবর্তন? সে প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই পেয়ে গেছেন সকলে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, অপসারণের খবর পেয়েই সমাবর্তন অনুষ্ঠান নিয়ে রাতেই বৈঠকে বসেছেন ইসির সদস্যরা। রাজ্যপালকে আম্রন্ত্রণ জানানো নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে।
অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে অপসারনের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইট করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালের সিদ্ধান্তকে স্বেচ্ছাচারিতা বলেও মনে করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।
সিবিআই নয়, সিট-এই ভরসা কলকাতা হাইকোর্টের। আনিস খান মৃত্যু মামলায় নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল না কলকাতা হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলবে। এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্ত নয়। সিট তদন্তের কাজ চালিয়ে যাবে। ৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
মঙ্গলবার সিটের আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্য আদালতে জানান, সুমন বালা সাউ, সিটের প্রধান (আইপিএস) সম্প্রতি অবসর গ্রহণ করবেন। তাঁর জায়গায় নতুন সিটের প্রধান নিয়োগ করুক আদালত। এর পরই প্রধান বিচারপতি জানান, এই নির্দেশ জারি করেছিল ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ। এই বিষয়ে ওই বৃহত্তর বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে বা বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখ্যপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। তাই প্রধান বিচারপতির পরামর্শ, 'সিটের পক্ষ থেকে অবসরের বিষয়টা জানিয়ে আপনারা রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানান যে সিটের ওই প্রধানের জায়গায় অন্য কোনও আইপিএসকে নিযুক্ত করা হোক।'
প্রসঙ্গত, আনিস খানের পরিবার প্রথম থেকেই ঘটনাটিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার। কিন্তু বিচারপতি মান্থা সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। আদালত জানিয়েছিল, এখনই এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন নেই। তদন্ত করবে রাজ্যের সংস্থাই। এর পর আজ কলকাতা হাইকোর্টও সিবিআই নয় সিট তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এবার সেলফি পয়েন্ট তৈরি করার নির্দেশ দিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। ইউজিসির নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রের থ্রিডি নকশা মেনে তৈরি করতে হবে সেলফি পয়েন্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপালদের এই নির্দেশিকা দিয়েছেন ইউজিসি সচিব মণীশ জোশী। শুক্রবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে। এর পিছনে ইউজিসির যুক্তি, সেলফি পয়েন্ট ক্যাম্পাসে ভেদাভেদ বন্ধ করতে সাহায্য় করবে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির মাহাত্ম্য তুলে ধরতে সাহায্য় করবে।
কিন্তু প্রশ্ন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের কোথায় হবে সেলফি পয়েন্ট? যদিও নির্দেশিকায় থ্রিডি নকশার মাধ্যমে তা বলে দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই সেলফি পয়েন্ট তৈরি করতে হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কোনও কোনও সূত্র মারফত খবর, সেলফি জোনের পটভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি রাখতে বলা হয়েছে। তবে তার উল্লেখ নির্দেশিকায় কোথাও নেই।
আর ইউজিসির এই নির্দেশ সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের। এমনকি মোদীর প্রচারের ক্ষেত্রে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে ইউজিসির মতো সংস্থাকে ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির।
শুধু তাই নয়, দেশের তরুণ সমাজকে নিশানা করতেও এহেন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রাজনৈতিকমহলের একাংশ। যদিও এই বিষয়ে ইউনির্ভাসিটি গ্রান্ট কমিশন অর্থাৎ ইউজিসির তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে যেভাবে বিতর্ক যেভাবে মাথা চাড়া দিচ্ছে তাতে এহেন নির্দেশ নিয়ে কি সিদ্ধান্ত সরকার নেয় সেদিকেই নজর সবার।
ফের র্যাগিং-এর অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University)। কয়েকমাস আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং-এর শিকার হয়ে মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। আর এই নিয়েই তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। কিন্তু সেই ঘটনার পর ফের র্যাগিং-এর অভিযোগ উঠল, যার ফলে পড়ুয়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
র্যাগিং-এর শিকার হয়ে পড়ুয়ার মৃত্যুর পর ফের একই অভিযোগ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই মেইন হোস্টেলেই র্যাগিং-এর শিকার হয়েছে এক পড়ুয়া। স্নাতকোত্তরের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া নিজের পরিচয় গোপন রেখে ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, 'হোস্টেলে থাকতে নিজেকে নিরাপদ মনে করছি না। এই হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।' এমনই কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই পড়ুয়া।
ফের রাজ্যে যুবতীর রহস্যমৃত্যু। কিছুদিন আগেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ডে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। এবারে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় (Burdwan University) থেকে উদ্ধার করা হল এক যুবতীর পচাগলা দেহ। যুবতীর মৃত্যুর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে যুবতীর মৃত্যু ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। মৃত যুবতীর পরিচয় জানা যায়নি। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসের এক জলাশয় থেকে এক যুবতীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকালে জলাশয়ে যুবতীর পচাগলা দেহ ভাসতে দেখেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা। এর পরই বর্ধমান থানার পুলিসকে খবর দেওয়া হয়।ঘটনাস্থলে পুলিস পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যালে। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যালে।
তবে এটি খুন নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, দেহ কোথা থেকে বা কীভাবেই বা জলাশয়ের মধ্যে এল, তা এখনও জানা যায়নি। এছাড়াও যুবতীর পরিচয় কী, এ সমস্ত কিছু জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিস।
বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র’ স্বীকৃতি অর্জন করেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপরেই বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ, ছাতিমতলা এবং রবীন্দ্রভবনের উত্তরায়ণের সামনে বসানো হয়েছে শ্বেতপাথরের ফলক। এই ফলককে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ফলকে লেখা ‘ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’। তার নিচে খোদাই করা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। অভিযোগ, এর জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে। এবার এই নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট।
এই ফলক বিতর্কে রবিঠাকুরের ছবি বুকে ধরে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস-ও এই বিষয়ে জবাব চেয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখন মুখ খুলতে নারাজ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
এবার একপ্রকার তৃণমূলের সুরেই ইডি-কে কটাক্ষ করলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। পাশাপাশি, দলের বর্ধিত অধিবেশনের উদ্বোধনে গিয়ে
'ইন্ডিয়া' জোট নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন তিনি।
রাজ্যের দুর্নীতি প্রসঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে ইয়েচুরি বলেন, যারা দোষ করেছেন তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিরোধীদের হেনস্থা করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। একই সঙ্গে ইন্ডিয়া জোট সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, তৃণমূল কখনই বিজেপির বিকল্প হতে পারে না। কিন্তু ভারতবাসীকে বাঁচানোর জন্য বিজেপিকে আগে সরকার থেকে সরাতে হবে।
ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের দুর্নীতি নিয়ে যেমন তৃণমূলকে কাটগড়ায় তুলেছেন ইয়েচুরি তেমনই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বিজেপিকে সরানোর জন্য তৃণমূলের সমর্থন প্রয়োজন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে এবার জমা পড়ল চার্জশিট। বুধবার আদালতে এই চার্জশিট জমা দেয় কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, চার্জশিটে কলেজের ৬ জন বর্তমান পড়ুয়া এবং ৬ জন প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব়্যাগিং এবং পকসো ধারাতেও অভিযোগ এনেছে পুলিস।
উল্লেখ্য, অগাস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় নদিয়ার বগুলার প্রথম বর্ষের ছাত্রের। ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদ, মিছিল, এককথায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল ক্যাম্পাস। র্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই পড়ুয়ার তা কার্যত স্বীকার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে একাধিক পড়ুয়াকে আটক করে পুলিস। তাদের বিরুদ্ধেই এদিন কলকাতা পুলিসের তরফে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur Universitry) এবারে একবারে উল্টো দৃশ্য। সাধারণত যাদবপুরে ধরনা বলতেই পড়ুয়াদের কথাই মাথায় আসে। কিন্তু এবারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরনায় বসলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা। পড়ুয়া মৃত্যু ঘটনার জেরেই শিরোনামে উঠে এসেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিয়ে বারাবর পড়ুয়ারা কাঠগড়ায় তুলেছিল কর্তৃপক্ষদের। তবে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে 'উলট পুরাণ'। বিক্ষোভে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ আধিকারিকরা। পড়ুয়াদের হাতে লাগাতার হেনস্থা ও অপমানের অভিযোগ তুলে এই ধরনা বলে দাবি শীর্ষ আধিকারিকদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের বাইরে বুধবার রাত থেকে অবস্থানে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ, সহ উপাচার্য অমিতাভ ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সকালেও চলছে ধরনা অবস্থান।
বুধবার ইসি মিটিং চলাকালীন অবস্থান বিক্ষোভে বসার সিদ্ধান্ত নেন আধিকারিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের দাবি, যতবারই ইসি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ততবারই তা বানচাল করার চেষ্টা করেছেন ছাত্ররা। বুধবার ইসি মিটিং চলাকালীন ভিতরে এসে স্লোগান দেন পড়ুয়ারা। তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চান, কেন তাঁদের এতক্ষণ ডাকা হয়নি? এও দাবি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা বোর্ডে রাখতে হবে স্টুডেন্ট রিপ্রেজেন্টিভ। ফলে পড়ুয়াদের এরূপ বিক্ষোভের জেরেই তাঁরা ধরনায় বসেন বলে সূত্রের খবর।
এর আগে উপাচার্যের মুখে শোনা গিয়েছিল র্যাগিং-এর শিকার তিনি। এবার সহ উপাচার্যের মুখেও শোনা গেল একই কথা। তিনি বলেন দিনের পর অধ্যাপকদের সমস্ত কাজে বাধা দিয়ে তাঁদের র্যাগিং করা হচ্ছে। পড়ুয়া মৃত্যুর বিচার করতে দেওয়া হচ্ছে না, তাঁদের দাবি। সকলে বার্তা দিতে চাইছেন যে তাঁরা অসহায়। কাজ করতে পারছেন না তাঁরা। এদিন কার্যত মেজাজ হারিয়ে ফেলেন উপাচার্য। এত পড়ুয়ার উপস্থিতিতে পড়ুয়া মৃত্যুর মত ঘটনা ঘটল। যেসব পড়ুয়ারা হস্টেলের দায়িত্বে ছিল তাঁরা কী করছিল। 'যাদের জন্য এত বড় ঘটনা ঘটল তারাই আজ তৈরি করবে নিয়ম?' প্রশ্ন উপাচার্যের। তিনি আরও বলেন কিছু পড়ুয়াদের জন্য কালিমালিপ্ত হচ্ছে বিশ্ববিদ্য়ালয়। ফলে সবকিছু ঘিরে ফের তপ্ত ক্যাম্পাস।
এক সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ভিত্তিতে সিপিএম-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছল দিল্লি পুলিস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মঙ্গলবার দিল্লির বহু জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে দিল্লি পুলিসের তরফে। সেই সূত্রেই, এদিন ইয়েচুরির বাড়িতে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিসের একটি টিম। সিপিএম নেতা জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে থাকেন এমন এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর ল্যাপটপ ও মোবাইল। এই ঘটনার প্রতিবাদ করে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ করে দিতেই এই ধরনের তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কী কারণে এই তল্লাশি, তা স্পষ্টভাবে জানানোর দাবি জানিয়েছেন সিপিএম নেতা।
হাসপাতালের পর এবার কলেজে ভর্তির জন্যও দালালরাজ। কলেজে ভর্তির জন্য টাকা চাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। পূর্বে কলেজে ভর্তির জন্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় হাসপাতালগুলিতে দালালরাজের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি রোগী ভর্তিতে টাকা চাওয়ায় সম্প্রতি কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। এই আবহেই রাজ্য তথা দেশের অন্যতম নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়েই এবার ভর্তি হওয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ টিএমসিপি-র দুই নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস-এর ওডিশি নৃত্য বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। অভিযোগ অনন্যা সরকার নামে এক ছাত্রীর। অভিযোগের আঙুল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই নেতা ইন্দ্রজিৎ দোলই ও অভিজিৎ দাসের দিকে। অভিযোগ, সমস্ত মন্ত্রী-বিধায়ক, এমনকি পুলিসও তাদের হাতে আছে বলেও নাকি রীতিমতো শাসানো হয় ওই ছাত্রীকে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ওই দুই তৃণমূল নেতাকে ফোন করা হলে তাঁদের ফোন পাওয়া যায়নি।