ফের খবরের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। এবার বিতর্কে রামনবমী উদযাপন করা নিয়ে। রামনবমীর অনুষ্ঠান প্রত্যাহার করতে বলা হল রেজিস্ট্রার-এর তরফে। এই মর্মে জারি করা হয়েছে নির্দেশিকা। প্রথমে অনুষ্ঠান পালনের জন্য় অনুমতি দেওয়া হলেও পরে অনুমতি প্রত্যাহার করে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রামনবমী উৎসব পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু নোটিশ দিয়ে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করল। তবে ঠিক কী কারণে নির্দিষ্ট করা অনুমতি বাতিল করা হল, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রারকে ফোন করলেও রেজিস্ট্রার ফোন ধরেনি বলে অভিযোগ।
যদিও রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বদের দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো থেকে ইফতার পার্টি সবকিছুই সুপরিকল্পিতভাবে অনুষ্ঠিত হলেও কেন রামনবমী পালন করার অনুমতি দিতে দ্বিচারিতা? প্রশ্ন তুলছেন রাষ্ট্রবাদী ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব। রাজ্য সরকারের তরফে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে রাম নবমীতে। তাহলে কেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রামনবমী পালন করা যাবেনা, যা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
বড় অবলীলায় ভরা সভা থেকে বক্তব্য রেখেছিলেন মাননীয়া। অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাজ করার জন্য যথেষ্ট ভাল পরিবেশ নাকি রয়েছে এই বাংলাতেই। ঠিক যেমন ডিগ্রিধারীদের জন্য চপশিল্পের অনুপ্রেরণা। আর বাস্তবের ছবিটা কী বলছে? বাস্তবে পেটের জ্বালা যে বড় জ্বালা। আর তাতেই পরিবার পরিজন ছেড়ে ভিনরাজ্য়ে বাসা বাঁধে ওঁরা। আর সেই আশাতেই কাজের খোঁজে দালাল ধরে অন্ধ্রপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছিল বাঁকুড়ার ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের দল। কিন্তু সেখানে গিয়েই ধাপ্পা। নাম কে ওয়াস্তে বেতনের বিনিময়ে প্রায় ক্রীতদাসের ভূমিকায় বঙ্গ সন্তানের দল। আধপেটা খাবার। সঙ্গে অমানসিক অত্যাচার। কেড়ে নেওয়া হয় যোগাযোগের একমাত্র সম্বল মোবাইলটাও।
ভিনরাজ্যে আটকে বাড়ির ছেলে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা থেকে প্রশাসন, সব দরজায় কড়া নেড়েও সুবিধে হয়নি কোনওটাতেই। অবশেষে ময়দানে নামে লাল ঝাণ্ডার দল। সিটুর বাঁকুড়া জেলা নেতৃত্বের কাছে খবর পৌঁছোতেই হুলুস্থুলু শুরু দুই রাজ্যে।
কখনও মৃত্যু। কখনও নিখোঁজ। কখনও প্রাণ টুকু নিয়ে বাড়ি ফেরা। কম পয়সায় পরিযায়ী শ্রম লুফে নিলেও সব রাজ্যেই ওঁরা অবাঞ্ছিত। ভিনরাজ্যে সামাজিক সুরক্ষার কথা না হয় তোলাই থাকল। সরকারই বা কী ভাবছে নিজের রাজ্যের শয়ে শয়ে বেকার যুবক যুবতীদের জন্য়। বছরে একবারের শ্রমিক মেলার চাকচিক্যে মুছবে কড়া বাস্তবটা। নিজের দায়িত্ব থেকে এইভাবেই মুখ ফিরিয়ে নেবে সরকার?
আরামবাগের পর কৃষ্ণনগরে প্রধাুনমন্ত্রী। শনিবার সকাল ১০ টা নাগাদ নদিয়ার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ ময়দানে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সিসিটিভি ক্য়ামেরায় মোড়া রয়েছে গোটা সভা। এদিন সভার পাশাপাশি পাশের মাঠে একটি প্রশাসনিক সভার আয়োজন রয়েছে সেখান থেকে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর সভা ঘিরে উদ্দীপনা তুঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের। সভাস্থল ঘিরে কড়া নিরাপত্তা।
গত ৭ দিন ধরে জ্বলছে সন্দেশখালি। ক্ষোভের আগুনে পুড়ে ছাড়খার গোটা এলাকা।দীর্ঘদিনের অরাজকতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন গ্রামের ক্ষুব্ধ অত্যাচারিত মহিলারা। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান, শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে, তাঁদের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। অভিযোগ জানাতে রাস্তায় নেমেছে তাঁরা। কার্যত দফায় দফায় গর্জে উঠছে গোটা গ্রাম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান থেকে শুরু করে একাধিক রাজ্য নেতৃত্ব। এবার ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করলেন ডিআইজি সিআইডি সোমা দাস মিত্র। কথা বলেন নির্যাতিত সেই সব মহিলাদের সঙ্গেও।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনী দিনের পর দিন ধরে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার চালালেও ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে থেকেছে প্রশাসন। বিরোধী দলের তরফে অত্যাচারিতদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু হতেই, তাতে বাধা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্য প্রশাসন। বলা ভালো প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে শাসকের প্রশাসনিক দক্ষতা। কিন্তু আর কত দিন? কবে ফিরবে শান্তি? কবে প্রাণ খুলে হাসবে সন্দেশখালি? প্রশ্ন থাকল, জবাব দেবে সময়।
সম্প্রতি রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতি অন্যতম। মূলত, অয়ন শীলের সূত্র ধরে এই দুর্নীতির খবর সামনে আসে। অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন-এ তল্লাশি চালিয়ে এই দুর্নীতির হদিশ পান তদন্তকারীরা। আর এবার সিবিআই-এর স্ক্যানারে বরানগর পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষার কারচুপি।
জানা গিয়েছে, বরানগর পুরসভায় নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালের অগাস্ট মাসে ২০টি সেন্টারে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেই পরীক্ষা কেন্দ্রে যারা পরিদর্শক ছিলেন এবার তাদেরকেই তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী বুধবার ওই পরিদর্শকদের নিজাম প্যালেসে আসতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বরানগর পুরসভার ক্লার্ক, পিয়ন, অ্যাম্বুল্যান্স অপারেটর সহ একাধিক পদে নিয়োগ হয়েছিল। এই নিয়োগের জন্য ২০১৮ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, এই নিয়োগের পরীক্ষা দিয়েছিল মূলত ভুয়ো পরীক্ষার্থীরাই। এমনকি প্রার্থী সংখ্যাতেও কারচুপি করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেশিরভাগ পরীক্ষার্থীই সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিদর্শকদের তলব করা হল সিবিআইয়ের তরফে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে যে, রাজ্যের শাসকদলের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি কি আদৌ সম্ভব? তদন্তে কি সামনে আসবে এই দুর্নীতির মাথাদের নাম?
বৃহস্পতিবার সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশের সময় সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে টিকাকরণের ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। অল্প বয়সি মেয়েদের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে সার্ভাইক্যাল ক্যানসার। আর সেই কারণেই ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করা হবে। সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে সার্বিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই এই সিদ্ধান্ত।
নির্মলা বলেন, "সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সি মেয়েদের টিকা গ্রহণে উৎসাহিত করবে আমাদের সরকার।" তবে কোন পদ্ধতিতে হবে টিকাকরণ, কোথায় গিয়ে টিকা নিতে হবে, এখনও পর্যন্ত বিশদ তথ্য খোলসা করা হয়নি কেন্দ্রের তরফে।
এদিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় উন্নয়নের জন্যও বিশেষ উদ্যোগের কথা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই চিকিৎসক হিসেবে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে চান। সেই লক্ষ্যপূরণ করতেই বিভিন্ন হাসপাতালের পরিকাঠামোকে কাজে লাগিয়ে আরও মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।” শিশুদের স্বাস্থ্য খাতেও বিশেষ প্রকল্পের ভাবনা রয়েছে।
লোকসভার আগে এটাই দ্বিতীয় মোদী সরকারের শেষ বাজেট। কিন্তু এই বাজেটে হতাশ মধ্যবিত্তরা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাজেটে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্রে বড় কোনও ছাড় দিলেন না করদাতাদের। অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, আপাতত করকাঠামো অপরিবর্তিত থাকছে। তবে প্রত্যক্ষ কর ব্যবস্থায় সংস্কারে জোর দিয়ে একাধিক ঘোষণা করেন তিনি।
কেন আয়করে ছাড় দেওয়া হল না? নির্মলার ব্যাখ্যা, ‘‘ভোটের বছর বলেই এ বিষয়ে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলাম না।’’ তবে কর আদায়ের পদ্ধতিতে বেশ কিছু সংস্কার ঘোষণা করেছেন নির্মলা। তিনি জানিয়েছেন, করদাতাদের পরিষেবা সহজ করতে ডিসপিউটেড ট্যাক্স বা ট্যাক্স বিবাদের ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১০ পর্যন্ত যাঁদের এই ডিসপিউটেড ট্যাক্সের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করে ছাড় দেওয়া হবে। ২০১০ সালের পরে ট্যাক্স বিবাদ থাকলে সেক্ষেত্রেও ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে। যা ১ কোটি করদাতাকে উপকৃত করবে।
প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থার কথা তুলে ধরতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বলেছেন যে, ‘আমরা এমন প্রশাসন চাই যার উপরে মানুষের বিশ্বাস থাকবে। মানুষ আগের তুলনায় বেশি রোজগার করছেন। প্রকৃত আয় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। মানুষ আগের তুলনায় ভাল রয়েছেন। গত ১০ বছরে মানুষ নিজেদের আশা আকাঙ্খা বেশি করে মেটাতে পারছেন।’'
যোগাযোগের উন্নতিতে সীতারমণ বাজেটে ঘোষণা করেছেন- তিনটি রেলওয়ে করিডর তৈরি হবে। শক্তি, খনিজ এবং সিমেন্ট করিডর হবে। এছাড়া বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগের করিডর এবং ট্রাফিক ডেনসিটি করিডরও তৈরি হবে। এখন আমাদের ১৪৯টি বিমানবন্দর রয়েছে। ভারতীয় সংস্থারা এক হাজারেরও বেশি বিমানের অর্ডার দিয়েছে। আগামী দিনে আরও সস্তা হবে বিমান সফর। রেলের ৪০ হাজার সাধারণ বগি বন্দেভারত এক্সপ্রেসের মতো হবে। ট্রেনের গতি বাড়বে। মেট্রো রেলকে সব রকম সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশের মেট্রো রেলের উন্নয়ন হবে।
দেশের ১ কোটি পরিবার প্রতি মাসে ৩০০ ইউনিট করে সৌর বিদ্যুৎ বিনামূল্যে পাবে বলেও বাজেটে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশের সময় বড়সড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের। এবার আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন অঙ্গনওয়াড়ি এবং আশাকর্মীরা। তার ফলে বিপুল সংখ্যক মানুষ উপকৃত হবেন বলেই আশা করা হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ এদিন ঘোষণা করলেন, মধ্যবিত্তদের জন্য এবার নতুন আবাস যোজনা চালু করা হবে। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ প্রকল্পের সাফল্যও তুলে ধরেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, "করোনাকালে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হলেও পিএম আবাস যোজনার কাজ চলেছে। আমরা প্রায় ৩ কোটি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছি। আগামী পাঁচ বছরে ওই প্রকল্পে আরও ২ কোটি বাড়ি বানানোর টার্গেট নিয়েছি আমরা। একই সঙ্গে নির্মলার ঘোষণা, দেশের এক কোটি বাড়ির ছাদে সৌরশক্তি প্রকল্প বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যার রামমন্দির উদ্বোধনের পবিত্র দিনে এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনকী ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে।"
গরীব, মহিলা, যুব সমাজ ও অন্নদাতা (কৃষক), সমাজের এই চার স্তরের মানুষের উন্নতিতে বদ্ধপরিকর সরকার। কারণ, এদের উন্নতি না হলে কোনও সরকার এগোতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। নির্মলার দাবি, গত ১০ বছরে সাধারণ নাগরিকদের আয় বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে না কোনও কর। গত ১০ বছরে প্রত্যক্ষ কর আদায়ের পরিমাণ বেড়েছে। বাজেট ভাষণে বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ কর কাঠামো অপরিবর্তিত রেখেছেন তিনি।
আজ প্রথমবার নতুন সংসদ ভবনে বাজেট পেশ করছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট। সূত্রের খবর, এবারের বাজেট তৈরি হয়েছে মূলত দেশের গরীব ও প্রান্তিক মানুষের কথা ভেবে। বাজেটে মহিলাদের এবং কৃষক সমাজের উন্নয়নের জন্য রয়েছে একাধিক পরিকল্পনা।
বিগত ১০ বছরে প্রায় ২৫ কোটি দেশবাসীকে বিভিন্ন রকম সুবিধা প্রদান করেছে মোদী সরকার। প্রায় চার কোটি কৃষককে কৃষাণ বীমা যোজনা আওতায় সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এদিন বাজেট পেশের সময় সীতারমণ বলেন, ১১.৮ কোটি কৃষককে প্রধানমন্ত্রী কৃষক যোজনার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ৩০ কোটি মুদ্রা লোন মহিলা স্বনির্ভরতার জন্য দেওয়া হয়েছে। মহিলাদের অভূতপূর্ব উত্থান ঘটেছে। সংসদ থেকে বিধানসভায় মহিলাদের উপস্থিতি বেড়েছে। ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার উপরে উঠে এসেছে। ৩৯০টি বিশ্ববিধ্যালয় তৈরি হয়েছে। মোদী সরকারের মূল মন্ত্র, 'রিফর্ম,পারফর্ম এবং ট্রান্সফর্ম।' একাধিক শহরে মেট্রোরেল সম্প্রসারণ। ৫ বছরে আরও ২ কোটি বাড়ির ভাবনা। ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন প্রদান করা হয়েছে।
ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার মৃত্যুতে শুরু বিতর্ক। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও এক গবেষকের মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের ফলেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয় জলপাইগুড়ির মালবাজারে। ওই ছাত্রীর এক আত্মীয়ের বাড়িতে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
অভিযোগ, ওই ছাত্রীর বাবা গত ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ওই অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্র এবং বাংলা বিভাগের এক গবেষক মিলে তাঁর মেয়েকে শারীরিক, মানসিক অত্যাচার করত। যে কথা মৃত্যুর আগে পরিবারকে ওই ছাত্রী জানিয়েছিলেন বলেও দাবি। এমনকী জোর করে ওই ছাত্রীকে নেশা করানোর অভিযোগও উঠেছে।
এবার সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই জরুরি বৈঠকের ডাক দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ওই বৈঠকে থাকবেন রেজিস্ট্রার, ডিন অফ স্টুডেন্টস-সহ একাধিক আধিকারিকরা। ওই বৈঠকেই মৃত ছাত্রীর বাবার করা অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনা হওয়ার কথা।
যদিও এই ঘটনার পর সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র সংগঠন। মৃত ছাত্রীর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দাবি, এই ঘটনায় উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে কর্তৃপক্ষকেও। ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। ছাত্র সংগঠন এফএসডি-র তরফেও দৃষ্টিহীন ছাত্রীর মৃ্ত্যুতে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে চরম ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পড়লেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে দেওয়া হল 'গো ব্যাক' স্লোগান। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ সহ একাধিক দাবিতে সরব হন TMCP ও AIDSO-এর কর্মী সমর্থকেরা।
বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন। স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বহুদিন ধরে আটকে রয়েছে। দ্রুত যাতে এই সমস্যার সমাধান হয় তার দাবি জানান তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের পরিস্থিতি যাতে খারাপ না হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিস। একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির পর বিক্ষোভকারীদের আটকে দেন তাঁরা। যদিও সেই জায়গা থেকেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন তাঁরা। বুধবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে আসেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর কনভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করার সময় কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েন TMCP ও AIDSO-র পড়ুয়ারা। তৃণমূল ছাত্রনেতা অভিরূপ চক্রবর্তী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড রাজ্যপাল ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন।
পড়ুয়ারা বিক্ষোভ করলেও পুলিসি হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন রাজ্যপাল। পরে শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান।
ফের সংবাদ শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুরে বাম বাধায় আটকে গেল রাম কর্মসূচি। অশান্তির গুঞ্জন ছিলই। সে কথা মাথায় রেখে রবিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল। কিন্তু রামমন্দির উদ্বোধনের দিন অশান্তি আটকানো গেল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন শুরুর খানিকটা আগেই তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর ক্যাম্পাস।
রামমন্দির উদ্বোধনের লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য প্রোজেক্টর-সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছিল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকেরা। অভিযোগ, সেই সময় অতিবাম সংগঠনের ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাধা দেয়। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'পক্ষের সমর্থকেরা। চলে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও। ABVP শিবিরের দাবি, বামেরা তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে।
যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য অমিতাভ দত্ত। সূত্রের খবর, মারমুখী ছাত্রদের মধ্যে পড়ে আহত হন তিনি। এছাড়াও ABVP সূত্রে খবর, তাঁদের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছেন। অন্যদিকে DSF, SFI সহ অন্যান্য বাম সংগঠনের ৪ জন সদস্য আহত। খবর পেয়ে অধ্যাপকদের অনেকে পৌঁছে যান ৩ নম্বর গেটের সামনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গেট বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার পরেও চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে।
সন্দেশখালি ঘটনায় তদন্ত করবে সিট। নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। বুধবার সকাল থেকেই সারা বাংলার নজর ছিল বিচারপতির রায়ের দিকেই। অবশেষে দেখা গেল, সন্দেশখালি ঘটনায় তদন্তভার দেওয়া হল সিটের হাতেই। এখনই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিয়ে রাজ্য পুুলিসের সঙ্গে সিবিআই নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
সন্দেশখালিকাণ্ডের ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। এরপরই এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। বুধবার বিকেল ৪ টায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর নির্দেশ, 'সন্দেশখালি ঘটনায় সিট গঠন করা হবে। এখনই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ নয়। তবে সিবিআই এবং রাজ্য যৌথ ভাবে তদন্ত করবে। কিন্তু আদালত নজরদারিতে তদন্ত হবে। ন্যাজাট পুলিস স্টেশন-এর কোনও অফিসার থাকতে পারবে না।'
বুধবার সন্দেশখালির ঘটনার তদন্তে সিবিআই ও রাজ্য পুলিসকে দিয়ে বিশেষ তদন্তকারি দল গঠন করল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, তদন্তকারি দলের মাথায় থাকবেন সিবিআই-এর এসপি পদমর্যাদার অধিকারিক। দলে থাকবেন ইসলামপুর পুলিস ডিস্ট্রিক্ট-এর এসপি জাসপ্রিত সিং। বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআইকে ওই বিশেষ দলে নিযুক্তির জন্য তাঁদের সদস্যদের নাম জানাতে হবে। এই বিশেষ তদন্তকারী দল রাজ্য বা কেন্দ্র কোথাও রিপোর্ট জমা দিতে পারবে না। সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া যাবে না। হাইকোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চলবে। সব রিপোর্ট রাজ্যকে সিট-এর কাছে জমা দিতে হবে। সিসিটিভি সহ সব নির্দেশ বজায় থাকবে। পরবর্তী শুনানি ১২ ফেব্রুয়ারি।
হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য। সাসপেন্ড হতে হল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্রকে। সোমবার সন্ধেবেলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে এমনই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশের অবমাননা করেছেন রেজিস্ট্রার সুবীর কুমার মৈত্র। সে কারণেই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁর জায়গায় আপাতত বিশ্ববিদ্যালয় ডিন অফ স্টুডেন্টসকে রেজিস্ট্রারের কাজ পরিচালনার কথা বলা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
এ প্রসঙ্গে সুবীর কুমার মৈত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় জানান, তিনি নিরুপায়। হাইকোর্টের নির্দেশেই তিনি সাসপেন্ড করেছেন।
প্রসঙ্গত, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক বিষয় নিয়ে সম্প্রতি টানাপড়েন চলছিল। গত বছরের মাঝামাঝি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় বিটি রোড ক্যাম্পাস থেকে কাজ করার পরিবেশ নেই বলে খোদ আচার্যকে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করছেন।
মণি ভট্টাচার্যঃ ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠেছে মাটি। নতুন বছরের প্রথমদিনেই ভয়ঙ্কর শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ জাপান। তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। হাহাকার আর আতঙ্ক যেন গ্রাস করেছে গোটা জাপানে। তার মধ্যেই আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউও। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি ও হড়পা বানেরও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় জাপানে স্বপরিবারে আটকে পড়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিস বিভাগের অধ্যাপক। সিএন-এর প্রতিনিধির কাছে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি।
অধ্যাপক সুদীপ্ত দাস বললেন, বছরের প্রথম দিনে স্ত্রী ও চার মাসের সদ্যোজাত কন্যাকে নিজে জাপানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র টোকিও স্কাইটিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎই ভূমিকম্পের সতর্কতা ঘোষণা হয়। আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেরাও অনুভব করেন জোরালো কম্পন। আটকে পড়েন স্কাইটিতে। লিফট বন্ধ করে দেওয়া হয়। নতুন বছরের সূচনা উপলক্ষে এদিন বহু মানুষের সমাগম হয়। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে।
সুদীপ্ত দাস আরও জানান, তিনি স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে গবেষণার জন্য রয়েছেন জাপানে। তিনি বোলপুরের নতুন পুকুর এলাকার বাসিন্দা। এখনও ক্রমাগত আফটারশক হচ্ছে বলে জানান তিনি। আবহাওয়াও খারাপ হচ্ছে। জাপানের প্রশাসন ও ভারতীয় দূতাবাস এই পরিস্থিতিতে অনেকটাই সহায়তা করেছে। তবুও ভয়েই দিন কাটাচ্ছেন অধ্যাপক।
প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পে এখনও অবধি ৫০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে জাপান প্রশাসনের তরফে। গুরুতর জখম বহু। এখনও অবধি ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানের বিভিন্ন জায়গায়। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নোটো উপকূল। শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে সেখানে।