সদ্য ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) বর্ষপূর্তি হয়েছে। গত সপ্তাহে কিভে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে করা বিশেষ পরমাণু চুক্তি খারিজ করেছেন পুতিন। এবার পরমাণু হামলার আশঙ্কা প্রকাশ আমেরিকার।
মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বললেন, ‘ভারত এবং চিন বাধা না দিলে এত দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন।’
মার্চেই জি-২০ এবং এসওসি বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি আসছেন ব্লিঙ্কেন। তার আগে এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া তার এই সাক্ষাৎকার। কূটনৈতিক মহলের একাংশের মত, মস্কোর উপর নয়াদিল্লি এবং বেজিংয়ের ‘প্রভাবের’ রয়েছে। পূর্ব ইউরোপে শান্তি ফেরাতে এই দুই দেশের উপর আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়ার নির্ভর করছে। ঘুরিয়ে সে কথা স্বীকার করে নিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব।
কোভিড পরবর্তী কঠিন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ১১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ। দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। আর এই যুদ্ধের এক বছরের মাথায় রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) সাধারণ সভায় একটি প্রস্তাব আনা হয়। প্রস্তাবের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine) থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। একাধিক দেশ রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। তবে এবারেও ভোটদানে বিরত থাকল ভারত এবং চিন। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ উল্লেখ করেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব বলে মনে করে ভারত।
রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে মোট ১৯৩টি সদস্য দেশ রয়েছে। যার মধ্যে ১৪১ টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে ভারত-চিন সহ ৩২ টি দেশ যদিও এই ভোটাভুটিতে অংশ নেয়নি। যদিও আগেও ভারত এই প্রস্তাবে ভোট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে ভারত সবসময়েই শান্তিপূর্ণভাবে কূটনৈতিক মাধ্যমে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে।
এদিন রুচিরা কাম্বোজ রাষ্ট্রপুঞ্জে বলেন, ভারত সবসময়ই কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পক্ষে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার বলে এসেছেন মানুষের প্রাণের বিনিময়ে কোনও সমাধানে পৌঁছনো সম্ভব নয়। এটা যুদ্ধের সময় নয়। হিংসার পথ থেকে সরে এসে অবিলম্বে কথোপকথন আর কূটনীতিতে সমাধানের পথ বেছে নেওয়া উচিত।
ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা স্পষ্ট করেন, ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের অবস্থান সবসময়েই মানুষের পক্ষে। ভারত ইউক্রেনকে সবরকমের সাহায্য করতেও রাজি।
শিয়রে রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukraine War) যুদ্ধের বর্ষপূর্তি। এই আবহে বন্ধুর পাশে থাকতে কিভ সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। ইউক্রেনে যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, তখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট (Vladimir Putin)। মঙ্গলবার পুতিন বলেন, 'আমি ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছি, কৌশলগত পরমাণু অস্ত্র সংক্রান্ত চুক্তি থেকে রাশিয়া সরে আসছে।'
কৌশলগত ভাবে পরমাণু অস্ত্র কমানোর ক্ষেত্রে এই চুক্তি। কিন্তু রাশিয়ার সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত পরমাণু যুদ্ধের সম্ভাবনা উস্কে দিল বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ২০১০-এ বারাক ওবামার আমলে, মস্কোর সঙ্গে ওই চুক্তি সই হয়েছিল চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই চুক্তির মেয়াদ ফুরোনোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগে বাইডেন সরকারের বিদেশসচিব টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়ে দেন, এই চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। এবার একতরফা ভাবে সেই চুক্তি ভাঙার কথা ঘোষণা করলেন পুতিন।
শিয়রে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) বর্ষপূর্তি, তার আগে কিভ সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Biden at Kyiv)। পূর্ব ইউরোপে মার্কিনীদের অন্যতম কূটনৈতিক শরিক ইউক্রেন। তাই রাশিয়ার আগ্রাসনের বর্ষপূর্তির আগে বন্ধুকে পাশে থাকার বার্তা দিতেই ইউএস প্রেসিডেন্টের এই ইউক্রেন সফর। এমনটাই দাবি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের। হোয়াইট হাউসের তরফে খবর, বাইডেনের এই সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Voladimir Zelenskye) সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি রুশ হামলা ঠেকাতে সামরিক সহায়তা নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে।
এযাবৎকাল ঘুরপথে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য দিয়ে এসেছে আমেরিকা এবং ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো। যদিও যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে বাখমুট-সহ ইউক্রেনের একাধিক শহর ঘিরে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে পুতিন বাহিনী। মূলত পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে নিরঙ্কুশ আধিপত্য কায়েম করতেই পুতিন সেনার এই সক্রিয়তা বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কির আবেদনের সাড়া দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য পশ্চিমী দেশগুলো নিজেদের জোট সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে। রুশ হামলা ব্যর্থ করার জন্য ইউক্রেনকে সম্ভাব্য সহায়তার বিষয়ে তাঁরা ঐকমত্য হয়েছেন।
সূত্রের খবর, ইউক্রেনের মাটি থেকে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারেন। বাইডেনের সফরকে স্বাগত জানিয়ে জ়েলেনস্কি জানান, রুশ হামলা থেকে ইউক্রেনকে রক্ষা করার বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
বছর ঘুরেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War)। একদিকে প্রবল পরাক্রমী রুশ সেনা, অন্যদিকে পশ্চিমী দুনিয়ার সমর্থনে চলা ইউক্রেনীয় সেনা। এই দুয়ের মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু আম ইউক্রেনীয়। কিন্তু কবে এই যুদ্ধের ইতি জানে না কেউ। এই আবহে এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) জীবিত থাকা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করলেন ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সুইৎজ়ারল্যান্ডের দাভোসে চলছে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম (Davos Conclave)। বার্ষিক এই সম্মেলনের প্রাতরাশ বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের পর বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য।
যদিও পড়শি দেশের রাষ্ট্রপতির এহেন জল্পনা উসকে দেওয়ার পাল্টা হিসেবে রাশিয়া কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, 'জ়েলেনস্কির কাছে যে রাশিয়া এবং পুতিন বড় সমস্যা তা আবার স্পষ্ট। উনি চান রাশিয়া এবং পুতিনের অস্তিত্ব মুছে যাক। যত তাড়াতাড়ি উনি বুঝতে পারবেন যে, রাশিয়ার অস্তিত্ব আছে এবং থাকবে, ইউক্রেনের পক্ষে ততই মঙ্গল।'
এদিকে দাভোসের সম্মেলনে যুদ্ধ থামানোর পক্ষেই সওয়াল করেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট। জ়েলেনস্কি বলেন, 'কার সঙ্গে আলোচনা হবে সেটাই আমার কাছে স্পষ্ট নয়। পুতিন আদৌ আর বেঁচে আছেন কিনা, তা নিয়ে আমার সংশয় রয়েছে।' প্রসঙ্গত গত মাসে মার্কিন একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল পুতিন গুরুতর অসুস্থ।
আপনি বিমানে করে দূরে কোথাও পাড়ি দিচ্ছেন। বিমান ধরুন মাঝ আকাশে, মাটি থেকে ১০ হাজার ফুট উঁচুতে। হঠাৎই দেখলেন বিমানের পিছনের দরজা খুলে গিয়েছে। আর হু হু প্রবেশ করছে হাওয়া। হাওয়ার জোর এতটাই বেশি মালপত্রগুলি উড়তে শুরু করল। এমন ঘটনা ঘটলে আপনি কী করবেন? সম্প্রতি এমনই ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকল রাশিয়ার (Russia) এনএন-২৬-১০০ বিমানযাত্রীরা। আর এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)।
জানা গিয়েছে, ইরএয়ারো সংস্থার ওই বিমানে ২৫ জন যাত্রী ছিলেন। সাইবেরিয়ার শহর মাগান থেকে মাদাগান যাওয়ার পথে এমন ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন বিমানেরই এক যাত্রী। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
✈️ Nothing unusual: in Russia, the door of the plane opened right during the flight at an altitude of several kilometers
— Oriannalyla ?? (@Lyla_lilas) January 9, 2023
An-26, flying from Magan to Magadan, suddenly depressurized - judging by the video, which was filmed by one of the passengers, the back door was half opened. pic.twitter.com/GdBFdHdRML
আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনা নজরে পড়তেই পাইলট বিমানটিকে মাগান শহরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। দ্রুত বিমানটিকে ওই অবস্থাতেই মাগান শহরে নিরাপদে নামান পাইলট। এই ঘটনায় কোনও যাত্রী আহত হননি বলে বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে।
তবে মাঝ আকাশে বিমানের দরজা খুলে যাওয়ার ঘটনায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিমান সংস্থা ইরএয়ারো জানিয়েছে, কীভাবে বিমানের দরজা খুলে গেল, তা নিয়ে তদন্ত করা হবে।
নতুন বছরের শুরুতে ৮৯ জন রুশ সেনাকে হত্যা করার 'প্রতিশোধ' নিল রাশিয়া। রবিবার রাশিয়ার (Russia) প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে যে, এক সপ্তাহ আগে রকেট হামলায় (missile strikes) ডজন ডজন রুশ সৈন্যের মৃত্যু হয়েছিল। আর তার প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনীয় (Ukraine) সেনাদের ব্যারাকে ভয়াবহ রকেট হামলা চালিয়েছে। এরফলে দেশটির ৬০০-র বেশি সেনা হত্যা হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন যে, ক্রামাতোরস্ক শহরের যে দু’টি হোস্টেলে অস্থায়ী ঘাঁটি গেড়েছিলেন ইউক্রেনের সেনারা, সেখানে রকেট হামলা চালানো হয়েছে। সেখানকার দু’টি হোস্টেলের একটিতে ৭০০ এবং অন্যটিতে ৬০০-র বেশি ইউক্রেনীয় সেনা ছিলেন। যাঁরা রকেট হানায় নিহত হয়েছেন।
তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা হতাহতের ঘটনা অস্বীকার করেছেন। পূর্ব ইউক্রেন বাহিনীর মুখপাত্র সের্হি চেরেভাতি বলেছেন যে, ক্রামাতোরস্কে রাশিয়ার হামলায় শুধুমাত্র বেসামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ইউক্রেনের সেনারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
দোনেৎস্কের আঞ্চলিক প্রশাসন বলেছে, সাতটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র ক্রামাতোরস্কে হামলা চালিয়েছে। আরও দুটি আঘাত করেছে কোস্ত্যন্তিনিভকা, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বলা হয়েছে, ক্রামাতোরস্কে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, একটি শিল্প স্থাপনা এবং গ্যারেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কোস্ত্যন্তিনিভকায় একটি শিল্পাঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাশিয়ায় (Russia) একটি বৃদ্ধাশ্রমে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। আগুনে পুড়ে মৃত্যু (Death) হয়েছে ২০ জনের। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার মধ্যরাতে সাইবেরিয়ার (Siberian) কেমেরোভো শহরে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলকর্মীরা দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, আগুন এতটাই ভয়ঙ্করভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়। আবাসনের দ্বিতীয় তলা একেবারেই পুড়ে গিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রাশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০ জন মারা গিয়েছেন। আহত একাধিক। সকলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কীভাবে ওই আবাসনে আগুন লাগল, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। দমকল সূত্রের খবর, রাশিয়ায় বয়স্কদের জন্য এমন বহু আবাসন খুলে রাখা রয়েছে, যার কোনও উপযুক্ত নথিপত্র নেই। কাগজে-কলমে ওই আবাসনগুলি ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসাবে দেখানো হয়। এর ফলে সেগুলি বাস করার পক্ষে কতটা সুরক্ষিত, তা খতিয়ে দেখাও হয় না।
গত নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ (Russia-Ukraine War)। রাশিয়ার আক্রমণে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেন (Ukraine)। যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। উল্টে শীতে (winter) ইউক্রেনের পারদ হু-হু করে নামছে। রাশিয়া ইউক্রেনের শক্তিকেন্দ্রগুলিতে লাগাতার হামলা চালানোর পরে ইউক্রেনে বিদ্যুতের সরবরাহ ও জল সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত। শীতে বিদ্যুতের অভাবে ও ঘরে ঘরে জলাভাবের কারণে সাধারণ নাগরিকরা পড়েছেন বেজায় বিপদে। এবার ইউক্রেনের অভিযোগ, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একটি প্রসূতি হাসপাতালে (maternity hospital) রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র (Russian missile) আঘাত হানে। এতে একটি শিশুর মৃত্যুও হয়। যদিও রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
একটি টেলিগ্রাম পোস্টে, জাপোরিঝিয়া ওব্লাস্টের গভর্নর অলেক্সান্ডার স্টারুখ লিখেছেন, মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জাপোরিঝজিয়ার কাছে ভিলনিয়ানস্কা হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে আঘাত হানে। এই হামলায় এক নবজাতক শিশু নিহত হয়েছে বলে স্টারুক বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন,'স্থানীয় হাসপাতালের ভূখণ্ডে রকেট হামলার ফলে, প্রসূতি ওয়ার্ডের দ্বিতল ভবনটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।'
নিরলস রুশ হামলার কারণে ইউক্রেনের শক্তি কাঠামো ভেঙে পড়েছে। সরকার বিদ্যুৎ, তাপ, জল, ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন সংযোগ এবং একটি ফার্মেসি, বিনামূল্যে এবং চব্বিশ ঘণ্টা পরিষেবা প্রদানের জন্য বিশেষ 'অজেয়তা কেন্দ্র' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ভিডিও বার্তায় একথা বলেছেন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। মার্চের শেষ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। রাশিয়ার নয় মাসের আক্রমণের সর্বশেষ প্রভাব যা ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন, তা সত্যি মর্মান্তিক।
রাশিয়ার (Russia) সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বন্দুকধারীর হামলা (Gunmen attacked)। নিহত (Death) হয়েছেন ১১ জন এবং আহতের সংখ্যা ১৫। জানা গিয়েছে, শনিবার বেলগোরোড (Belgorod) অঞ্চলে লাইভ-ফায়ার প্রশিক্ষণ অনুশীলনের সময় হামলার ঘটনাটি ঘটে।
রাশিয়ার প্রচিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে বলে," দুই বন্দুকধারী সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের নাগরিক। তারা স্বেচ্ছায় বিশেষ সামরিক অভিযানে (ইউক্রেনের বিরুদ্ধে) অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। ওই দুই সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ চলাকালীন সেনাদের উপর গুলি চালায়। হামলার পর তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।"
এটি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য আরেকটি ধাক্কা বলেই মনে করছেন অনেকে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, দুই হামলাকারী ইউক্রেনের কাছে একটি সামরিক ফায়ারিং রেঞ্জে গুলি চালায়। এর জেরে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জন জখম হয়েছেন। জখম সেনাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার (Russia) স্কুলে বন্দুকবাজের (Gunman Attack) হামলা। নাশকতার এই ঘটনায় কমপক্ষে ন’জনের মৃত্যু। গুলিবিদ্ধ অন্তত ২০ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে পাঁচ শিশুও (Child Death)। সোমবার মধ্য রাশিয়ার এক শহরের স্কুলে গুলি চালায় এক বন্দুকবাজ। আন্তর্জাতিক এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার পরেই আত্মঘাতী ওই বন্দুকবাজ। স্থানীয়রা জানান, বন্দুক নিয়ে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি আচমকা স্কুলে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করেন। নিহতদের মধ্যে স্কুলের এক রক্ষীও রয়েছেন।
ঠিক কী কারণে এই হামলা স্পষ্ট হয়নি। ঘটনার পরেই সুরক্ষার স্বার্থে স্কুলটি খালি করে দেওয়া হয়। বন্দুকবাজের পরিচয় এখনও জানা যায়নি, তদন্তে পুলিস।
এদিকে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের মাটিতে রুশ আগ্রাসন অব্যাহত। তবে এই আগ্রাসন থেকে খুব একটা লাভের গুড় ঘরে তোলেনি মস্কো। উলটে একসময় রুশ সেনার দখলে থাকা এমন অনেক শহর ক্রমেই দখলমুক্ত করছে ইউক্রেনীয় সেনা।
তারপরেও ইউক্রেনে নতুন করে সেনা পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার পর থেকেই রাশিয়ার সাধারণ মানুষের মনে অসন্তোষ তুঙ্গে। রাশিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। যুদ্ধে যেতে অনিচ্ছুকদের জন্য কঠোর পদক্ষেপের হুমকিও দিয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার স্কুলে বন্দুকবাজের হামলায় নতুন করে চাঞ্চল্য।
এখন যুদ্ধের সময় নয়। উজবেকিস্তানের এসসিও (SCO) বৈঠকের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Russia President) ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) পেয়ে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi)। এসসিও বা সাংহাই কো অপারেশন সম্মেলন এ বছর আয়োজিত হচ্ছে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে। রাশিয়া, ভারত ছাড়া এই সম্মেলনের অন্যতম অংশগ্রহণকারী দেশ চিন। কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ায় রাশিয়ার প্রকৃত মিত্র ভারত কিংবা চিন কেউই ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে পুতিনের পাশে দাঁড়ায়নি। বরং দুই পড়শি দেশ আকার-ইঙ্গিতে রাশিয়াকে বুঝিয়ে দিয়েছে এখন যুদ্ধ বন্ধের সময়।
সমরখণ্ডে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার মধ্যে হওয়া পার্শ্ববৈঠকে মোদী জানান, এখন যুদ্ধের সময় নয়। এই আপৎকালীন সময়ে খাদ্য ও শক্তির নিরাপত্তা অগ্রাধিকার। এদিকে, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার পর তেমন বড় কোনও সাফল্য গত ৭ মাসে পায়নি পুতিন বাহিনী। উলটে একসময় রাশিয়ার হাতে থাকা একের পর এক প্রদেশ হাতছাড়া হচ্ছে মস্কোর। তাও চলতি সপ্তাহের গোড়াতে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা খারিজ করেছিলেন পুতিন। বরং আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানোর ‘বার্তা’ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।
এই পরিস্থিতিতে মোদীর মন্তব্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়াকে আরও নিঃসঙ্গ করে দিল। এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, শুধু নরেন্দ্র মোদী নয়, পুতিন বৈঠক করেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গেও।
সেই বৈঠকে বেজিংয়ের তরফে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়নি মস্কো। ইতিমধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতে পুতিনের সঙ্গে চার বার ফোনে কথা বলেন মোদী। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতে সফরে এসেছিলেন রুশ বিদেশমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ। শুক্রবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলে পুতিনকে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, গণতন্ত্র, কূটনীতি এবং আলোচনাই বর্তমান বিশ্বে সমস্যা সমাধানের পথ হওয়া উচিত। মোদীকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেন সঙ্ঘাতে ইতি টানার কথা বলেছেন পুতিন।
ভয়াবহ গাড়ি বোমা (Car Bomb) বিস্ফোরণে নিহত পুতিন (Vladimir Putin) ঘনিষ্ঠ এক গোয়েন্দা কর্তার মেয়ে। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম দারিয়া দুগিন। ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine War) মাস্টারমাইন্ড আলেকজেন্ডার দুগিনের মেয়ে দারিয়া। স্পষ্টতই এই নাশকতার পিছনে ইউক্রেনীয় জঙ্গিদের হাত দেখছে মস্কো। প্রাথমিক তদন্তে রুশ পুলিস জানতে পেরেছে, মস্কোর অদূরে জাতীয় সড়কের এক ধারে পার্ক ছিল দারিয়ার গাড়ি। রাতের দিকে এক অনুষ্ঠানবাড়ি থেকে ফিরে সেই গাড়িতে উঠতেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্রতায় সেই গাড়ি-সহ পাশের একটা ট্রাকেও আগুন ধরে যায়।
পুলিসের সন্দেহ, দারিয়া নয় বরং তাঁর বাবা আলেকজেন্ডার ছিলেন এই নাশকতার লক্ষ্য। কিছু সময়ের গরমিলে প্রাণ হারান দারিয়া দুগিন।
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দাদের কাছে অ্যালেকজান্ডার পুতিনের মাথা হিসেবে পরিচিত। ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ রাশিয়ার পড়শি দেশগুলোকে ধমকে চমকে রাখা। প্রতি ক্ষেত্রেই রুশ সেনাকে পরিকল্পনা ছকে দেন আলেকজেন্ডার। পুতিন-ঘনিষ্ঠদের দাবি, আলেকজান্ডারকে খুনের এই হামলা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। পাল্টা জবাব দেবে রাশিয়া। অধুনা রুশ নিয়ন্ত্রিত ডনেৎস্কের গণপ্রজাতন্ত্রের প্রধান তথা পুতিন-ঘনিষ্ঠ ডেনিস পুশিলিনের দাবি, ইউক্রেনীয় জঙ্গিরাই আলেকজান্ডারের মেয়েকে খুন করেছে।
বিশ্বের সবচেয়ে কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন ফিনল্যান্ডের (Finland) প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন (Sanna Marin)। কিন্তু তিনি প্রয়শই বিতর্কের মুখে পড়েন। কখনও ফটোশ্যুট নিয়ে, আবার কখনও তাঁর পোশাকের কারণে। সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের একটি ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Viral Video)। প্রধানমন্ত্রীর এমন অবিবেচকের মতো কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন নেটাগরিকরা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কয়েকজনের সঙ্গে উদ্দাম পার্টি করতে ব্যস্ত। কালো রঙের স্লিভলেস ড্রেস পরে কখনও তিনি নাচ করছেন, আবার কখনও তিনি গান করছেন। এর মধ্যে তাঁকে আবার ড্রিঙ্ক করতেও দেখা যায়। সানা মারিনকে পা উঠিয়ে নাচ করতেও দেখা যায় ভিডিওতে।
একদিকে, পার্টি করা নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ফিনল্যান্ডের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল রুশ যুদ্ধবিমানের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে ফিনল্যান্ডের প্রতিরক্ষা দফতরের তরফে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে নেটো জোটে শামিল হওয়ার জন্য ফিনল্যান্ডের উপর আক্রমণ করতে চায় রাশিয়া বলেই মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
উল্লেখ্য, গত শতাব্দীর চল্লিশের দশক পর্যন্ত একাধিক বার দু’দেশের যুদ্ধও হয়েছে। এদিন ফিনল্যান্ড উপসাগরের উপকূলবর্তী শহর পোরভোর আকাশসীমায় রুশ মিগ-৩১ যুদ্ধবিমানের ‘অনুপ্রবেশ’ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
একদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণের (Covid 19) জেরে জনসংখ্যার (Population) ঘনত্ব কমে যাওয়া। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিনব দাওয়াই। দশ সন্তানের (10 Child) জননী হলেই হাতে কড়কড়ে টাকা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin) রীতিমতো সরকারি নির্দেশনামা বের করে দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, এমন বেপরোয়া পদক্ষেপ আগে দেখা যায়নি। তাছাড়া এই ধরনের পরিকল্পনা আদৌ কি সফল হবে? কারণ, রাশিয়ায় এমনতেই সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকট তুঙ্গে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ওই অর্থ হাতে পাওয়ার জন্য দশটি সন্তানের জন্ম তো আগে দিতে হবে। কিন্তু তাদের খাওয়ার খরচ কীভাবে জুটবে? সরকারের এই নয়া ঘোষণা ঘিরে এখন জোর জল্পনা রাশিয়া জুড়ে।
কিন্তু কত টাকা মিলবে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, মাদার হিরোইন নামের ওই প্রকল্পে এক লপ্তে মিলবে সাড়ে ১৩ হাজার পাউন্ড। রাশিয়ান কারেন্সিতে দশ লক্ষ রুবেল।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে রাশিয়ায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে সর্বোচ্চ সংখ্যায়। অন্যদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫০ হাজার সেনার।
বোঝাই যাচ্ছে, জনসংখ্যার দ্রুত পতনে উদ্বিগ্ন সরকার। তারা চাইছে, সেখানকার মহিলারা আরও বেশি করে সন্তানের জন্ম দিন। দেশে এক একটি পরিবার আরও বড় আকারের হোক। তবে এক্ষেত্রে শর্ত রাখা হয়েছে একটিই। তা হল, দশম সন্তান জন্মের পর তার প্রথম জন্মদিনেই মিলবে ওই অর্থ এবং সেই সময় আগের নয় সন্তান জীবিত থাকতে হবে।