Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

RoadProblem

Durgapur: রাস্তা সংস্কারের দাবি, কোকওভেনে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিসের মারের অভিযোগ

রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের কপালে জুটলো পুলিসের মার। এমনই নির্মম ঘটনার সাক্ষী দুর্গাপুরের (Durgapur) বনফুল সরণী। পুলিসের (police) বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ এনে সরব স্থানীয়রা। আসানসোল (Asansol) দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের কর্মীদের একাংশের কাটমানির জ্বালাতে ঠিকাদাররা কাজ করতে ভয় পান, বিরোধীরাও পুলিসি অত্যাচারের প্রতিবাদে সামিল হয়।

বেহাল হয়ে পড়েছে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত জোনাল সেন্টারের বনফুল সরণী। এই রাস্তার উপর রয়েছে দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রয়েছে নগর নিগমের চার নম্বর বোরো অফিস। বেশ কয়েকটি বেসরকারি কারখানাও রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিনিয়ত পণ্যবাহী গাড়িগুলি কারখানায় যাওয়া আসা করে এই রাস্তা দিয়ে।

স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার হোক। কারণ দুর্ঘটনার সংখ্যা যেমন বাড়ছে ঠিক তেমনি রাতের বেলায় বেহাল এই রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলের সময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বোল্ডার ছিটকে গিয়ে গৃহস্থের ঘরের কাঁচ ভাঙছে। আবার আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মজার কথা দুর্গাপুর নগর নিগম বেসরকারি এজেন্সি দিয়ে টোল আদায় করে এই রাস্তার উপর, অথচ দেখভাল হয় না রাস্তার। রাস্তা সংস্কারের দায় কার? আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ না দুর্গাপুর নগর নিগমের?

এই প্রশ্নে দড়ি টানাটানি শুরু হয় সরকারি দুই স্বশাসিত সংস্থার। পড়ে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব নেয়, টাকাও বরাদ্দ হয়। ঠিক হয় পুজোর পর কাজ শুরু হবে। কিন্তু বিতর্ক শুরু রবিবার বিকেলে। এদিন একটি বেসরকারি কারখানা কর্তৃপক্ষ রাস্তায় ছাই ফেলতে গেলে বাঁধা দেয় স্থানীয়রা। তাদের বক্তব্য, রাস্তা সংস্কারের দরকার নেই। কিন্তু এভাবে জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ করা যাবে না। কিন্তু কাজ বন্ধ না হওয়াতে স্থানীয়রা রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কোকওভেন থানার পুলিস।

অভিযোগ, থানার পুলিস আধিকারিকের নেতৃত্বে পুলিসের একাংশ আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও হয়। বাদ যায়নি মহিলা ও শিশুরা। তখনকার মতো রাস্তা অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও সোমবার সকাল থেকে ফের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় উত্তেজনা। চড়তে থাকে পারদ। সব মিলিয়ে রাস্তা তুমি কার এই প্রশ্নে এখন আটকে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অন্তর্গত বনফুল সরণীর রাস্তা।

2 years ago
Durgapur: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা উধাও, হয়নি রাস্তা, ক্ষুব্ধ কাঁকসাবাসী

আস্ত একটা রাস্তা (road) গায়েব? রাস্তা তৈরির উন্নয়নের ফলক লুটোপুটি খাচ্ছে নালার ওপর। রাস্তা তো হয়নি, তাহলে বছর চারেক আগে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের (Central Project) টাকায় যে রাস্তা তৈরি হওয়ার কথা ছিল কোথায় গেল সেই রাস্তা, সেই টাকারই বা হিসাব কোথায়? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের একাংশের। এমন ঘটনা দুর্গাপুরের (Durgapur) কাঁকসার বিষ্ণুপুর গ্রামের। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের খোঁজ খবর নিয়ে দেখার আশ্বাস তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের। তবে সমালোচনার ঝড় বিরোধীদের গলাতে।

এই এলাকার ছবিটা আজকের নয়। ২০১৮ সাল থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় কাঁকসার বিষ্ণুপুর গ্রামের ঘোষ পাড়া থেকে রায় পাড়া পর্যন্ত একটি রাস্তা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ সবটাই মিথ্যে প্রতিশ্রুতির খেলায় পরিণত। প্রায় হাজার দুয়েক মানুষের সুবিধে হতো এই রাস্তা তৈরি হলে। কিন্তু আজ সবটাই ইতিহাসের পাতায় বন্দী। তাহলে কি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকাও গায়েব? প্রশ্ন স্থানীয় গ্রামবাসীদের। না পাকা রাস্তা, না ড্রেন, কোনও উন্নয়নই হয়নি এই এলাকায়। ফলে আজও বৃষ্টি হলে মানুষকে অন্য রাস্তা দিয়ে মূল রাস্তায় উঠতে হয়। এই অবস্থায় এখন এখানকার স্থানীয়দের হুশিয়ারী আর ভোট দেবো না তাঁরা।

স্থানীয়রা জানান, নেতাদেরকে অনেকবার বলা হয়েছিল। জানানো হয়েছিল পঞ্চায়েতকেও। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই এই রাস্তা নিয়ে সমস্যায় দিন কাটছে তাঁদের। সুরাহা নেই, মিলছে শুধুই এক গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি।

তবে এই বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত মলানদীঘি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পীযুষ মুখোপাধ্যায়ের সাফাই, খোঁজ খবর করে দেখা হচ্ছে। দাবি করলেন, রাস্তা হয়নি এমনটা নয়, তবে কেন জটিলতা তৈরি হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

যদিও কাঁকসা অঞ্চল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভগীরথ ঘোষের অভিযোগ, এই লজ্জা তৃণমূলের। দুর্নীতির চরম শিখাতে পৌঁছেছে গোটা দল। আর যার কুফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

গোটা ঘটনায় কাঁকসার মলানদীঘির বিষ্ণুপুর গ্রামের একাংশ এখন ক্ষোভে ফুঁসছে। অবিলম্বে রাস্তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

2 years ago
Durgapur: বছর দেড়েক ধরে রাস্তাতেই পড়ে চিপস-বালি, বেহাল রাস্তা আর জলযন্ত্রণা নিত্যদিনের সঙ্গী

কথা ছিল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পাকা রাস্তা (road) তৈরি হবে, সেই মোতাবেক প্রকল্পের খতিয়ানের বাবদ খরচার হিসেবও দেওয়া হয়েছিল। প্রকল্পের শর্ত মানতে চিপস বালিও পড়েছিল। কিন্তু আজ সবটাই স্রেফ কথার কথাতে পরিণত হয়েছে। এমন ঘটনার সাক্ষী রইলেন শহর দূর্গাপুরবাসী (Durgapur)।

দুর্গাপুরের বুদবুদে (Budbud) রয়েছে দেবশালা গ্রাম পঞ্চায়েত, সেই পঞ্চায়েতের অধীন কাঁকোরা গ্রামের দক্ষিণ পাড়া। নয় নয় হাজার তিনেক মানুষ এখানে বসবাস করছেন। মানুষের চলাফেরার জন্য পাকা রাস্তা হওয়ার কথা ছিল এখানে। কিন্তু বছর দেড়েক ধরে উন্নয়নের ফলক পড়লেও আজও পাকা রাস্তা জোটেনি এখানকার মানুষজনদের কপালে। মজার কথা হল এখানে বছর দেড়েক ধরে চিপস বালি পড়ে রয়েছে রাস্তা তৈরির জন্য, কিন্তু দেবশালা সহ আশপাশ গ্রামের রাস্তাঘাট পাকা হয়ে গেলেও এই দক্ষিণ পাড়ার মানুষের জন্য আজও পাকা রাস্তা হয়নি। ফলে মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রায় ৪১ লক্ষ টাকার কিছু বেশী টাকা এসে পৌঁছে ছিল তৃণমূল পরিচালিত দেবশালা পঞ্চায়েতে। রাজ্য সরকারের লাগানো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকার ছিটে ফোঁটাও এই দক্ষিণ পাড়াতে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের। আর এতে করে এক যন্ত্রণাময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এখানকার হাজার তিনেক মানুষের কাছে। উন্নয়নের ফলক আজ আগাছাতে মুখ ঢেকেছে। শুধু কাঁকোরা গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকা নয়, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে যে পাকা রাস্তা দেবশালা অঞ্চলে তৈরি হয়েছে, বছর দুয়েক কাটতে কাটতে না কাটতে সেই রাস্তাও বেহাল হয়ে পড়েছে। পাকা রাস্তার ওপর দিয়ে বেড়িয়ে আসছে মাটি।

অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে। আর যার জেরে বছর ঘুরতে না ঘুরতে পাকা রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা বেড়িয়ে পড়ছে। এ তো গেলো রাস্তার কথা। আর্থ সামাজিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া বুদবুদের কাঁকোড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়াতে কল বসানো হয়েছিল সরকারি উদ্যোগে। কিন্তু ঢাক ঢোল পিটিয়ে সেই সরকারি কর্মযোগ্য আজ বিষ বাও জলে। কল আছে ঠিকই, কিন্তু জল পড়ে না। যে জলকষ্ট এখানকার মানুষের নিত্যসঙ্গী হয়ে বসে রয়েছে।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের সময় তৃণমূল নেতারা আসে, আর ভোট ভিক্ষে চায় মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। আর ভোট মিটলেই দেখা যায় নেতাদের ঘরবাড়ি, সরকারি সুযোগ সুবিধে সব পূরণ হয়েছে। কিন্তু তাঁদের আর কোনও পরিবর্তন হয়না। গ্রামবাসীদের হুশিয়ারী, আর নয়, এবার তাঁদের ইচ্ছে পূরণ না হলে সামনের পঞ্চায়েত ভোট বয়কট করবেন তাঁরা। কারণ এইভাবে আর চলতে পারে না। একযোগে ভোট বয়কটের গ্রামবাসীদের এই সিদ্ধান্তে এখন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। 

2 years ago