Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Rishra

NIA: রামনবমীতে হওয়া অশান্তির ঘটনায় ৬টি মামলা রুজু করলো এনআইএ

রামনবমীতে (Ram Navami) গোটা রাজ্যজুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় অশান্তির ছবি ধরা পড়ে। রাজ্যের হাওড়া (Howrah) শিবপুর, হুগলির রিষড়া (Rishra) ও ডালখোলায় অশান্তির অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে পুলিস। বিক্ষিপ্ত ভাবে এ ঘটনা গুলিতে হাওড়ার শিবপুরে পুলিসও আক্রান্ত হয়, বহু সমস্যার সম্মুখীন হয় সাধারণ মানুষ।

এ ঘটনায় ইন্টারনেট বন্ধ করে, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করা হয়। ওই ঘটনায় পুলিস আলাদা মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু বিজেপি এ ঘটনা গুলিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়, এনআইএ তদন্ত চেয়ে।

বিজেপির আবেদনে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । কলকাতা আদালত আরও নির্দেশ দেয়, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিসের ডিজিকে সমস্ত তথ্য ও ফাইল এনাইএকে দিতে হবে। সেই মতো তদন্তে নেমে এনআইএ গোটা ঘটনাগুলিতে ৬ টি মামলা রুজু করে। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই মামলা গুলি আদালতে তোলা হয় বলে খবর।

12 months ago
Rishra: রিষড়ার পথে কেন্দ্রীয় দলকে আটকালো পুলিস, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে

কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত কিন্তু চরমেই, রিষড়ায় (Rishra Violence) হিংসার ঘটনায় একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং (Fact Finding) কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির একটি টিমকে বাংলায় পাঠানো হয়। রিষড়ার হিংসার কারণ এবং ওই হিংসার পিছনে লুকিয়ে থাকা সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে, তাদের পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু ওই টিমকে আটকে দিল রাজ্যের পুলিস। অভিযোগ শনিবার ওই দলটি রিষড়ার যাওয়ার পথে, কোন্নগরে তাদের আটকে দিল পুলিস। ওই দলের তরফে অভিযোগ, তাঁরা সমস্ত অনুমতি নিয়েই রিষড়ার ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন, কিন্তু পথে তাদের বাধা দেয় পুলিস।

শনিবার ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম, রিষড়ার ঘটনাস্থল ছাড়াও কথা বলবেন ওই ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, আহতরা এখনও এসএসকেএমে ভর্তি আসে, ফলে সেখানেও যাওয়ার কথা তাদের। কিন্তু পুলিসের বাধার মুখে পড়ে তারা রিষড়াতেই পৌঁছতে পারলো না শনিবার। এ ঘটনায় যদিও রাজ্য পুলিসের তরফে দাবি করা হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি আছে বলে ওখানে তাদের যেতে দেওয়া হয়নি। যদিও এ ঘটনায় রাজ্যের চাল দেখছে বিজেপির নেতৃত্বরা, তাদের দাবি, আসল দোষীদের আড়াল করার জন্যই এই সব বলছে পুলিস।

প্রসঙ্গত, শনিবার হাইকোর্টে রিষড়ার ঘটনায় প্রাথমিক রিপোর্ট দিল পুলিস, ওই রিপোর্টে বলা রয়েছে সেদিন রামনবমীর যে মিছিল বের হয়েছিল সেই মিছিলের যারা অংশগ্রহণকারী ছিলেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়েছিল পরিস্থিতি। পুলিসের রিপোর্টে দাবি, মিছিল থেকে গালিগালাজ করা হয় স্থানীয়দের দিকে। অস্ত্র দেখানো হয়, এমনকি ডিজে বাজিয়ে নাচ করা হয় মিছিল থেকে।

one year ago
Governor: সংবিধান মেনেই কাজ করবেন আনন্দ বোস, শাসক-বিরোধীকে স্পষ্ট বার্তা

প্রসূন গুপ্ত: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পেয়ে বঙ্গের মানুষ অখুশি এমন দাবি কেউই করবেন না। বরং যত দিন যাচ্ছে ততই দেখা যাচ্ছে, বোস যথেষ্ট নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলার মানুষ। এই রাজ্যপালের গুণ, তিনি সমস্ত দলের কথা শোনেন এবং সেই প্রেক্ষিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেন। সাধারণত পশ্চিমবঙ্গে বাম আমল থেকে যত রাজ্যপাল এসেছেন, বোস কিন্তু তাঁদের থেকে একটি বিষয়ে ব্যতিক্রম। সংবিধান মেনে প্রশাসনকে নিয়ে চলা। তিনি দীর্ঘদিন প্রশাসনে ছিলেন ফলে অভিজ্ঞতা তাঁর টাটকা। তাঁকে চাপ দিয়ে কাজ হাসিল করা কঠিন, তা তৃণমূল বাম কিংবা বিজেপি হোক না কেন।

সম্প্রতি হাওড়া এবং রিষড়াতে রামনবমী মিছিলকে কেন্দ্র করে যে যে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে তা নিজে উপস্থিত থেকে সরেজমিন তদন্ত করছেন আনন্দ বোস। যদিও বাম দলগুলি এই কাণ্ডকে ধর্মীয় মেরুকরণের বলে দাগিয়েছে। কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তৃণমূল-বিজেপিকে। তারা বলেছে যে, ধমীয় মেরুকরণ করে আসন্ন ভোটগুলিতে ফায়দা তুলতে চাইছে এই দুই দল। সে যাই হোক না কেন সম্পূর্ণ বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে গিয়েছে এবং তারপর বিষয়টি দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল নিজেই।

এটি নিয়ে কোনও রকম রাজনীতি হোক সে বিষয়ে রাজ্যপাল সজাগ ছিলেন। খবর, তিনি বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে রিষড়া না যেতে অনুরোধ করেন। সুকান্তবাবু রাজ্যপালকে সম্মান জানিয়ে অকুস্থলে যাননি। কিন্তু গিয়েছেন রাজ্যপাল এবং দেখে এসেছেন সবই। তিনি পরিবেশ শান্ত রাখতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপালের অনুরোধ রাখলেও, কিছুটা আক্রমণাত্মক রাজ্যের বিরোধী নেতা। যদিও তাঁর এই সমালোচনা শুনে রাজ্যপাল মিষ্টি হেসে জানান, 'কেউ সমালোচনা করতে পারেন, অতি সমালোচনা করতে পারেন কিন্তু দ্বিচারিতা করবেন না।' তাঁর এই প্রতিক্রিয়ার ওপারে কে? কিছুটা আন্দাজ করতে পারছে রাজনৈতিক মহল। রাজ্যপাল আরও বলেন, 'তাঁর কাজ বন্ধু ও পথপ্রদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করা। একইসাথে রাজ্য প্রশাসক যেন সংবিধান মেনে কাজ করেন সেটাই দেখা।'

one year ago


Court: হনুমান জয়ন্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে রাজ্য: হাইকোর্ট

ধাপে ধাপে অশান্তির পর এখনও থমথমে হুগলির রিষড়া (Rishra), ছন্দে ফিরছে হাওড়ার (Howrah) শিবপুর এলাকা। রামনবমীর (Ram Navami) মিছিলে অশান্তি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতিকে বিশেষ নজর দিতে আবেদন জানায় বিজেপি। ২ দিনের মধ্যে অশান্তির রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। সেই মতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এলাকাগুলি যেমন শিবপুর, রিষড়া, উত্তর দিনাজপুরের অশান্তি নিয়ে বুধবার রিপোর্ট জমা করল রাজ্য। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে বিচারপতি, বুধবার রাজ্যের এডভোকেট জেনারেলকে বলেন, 'পুলিস পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে, অন্য বাহিনী ব্যবহার করা যেতে পারে। মানুষের সুরক্ষা আগে জরুরি।' পাশাপাশি হনুমান জয়ন্তী নিয়ে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে পুলিস-রাজ্য প্রশাসন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, 'হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে অনলাইনে অনুমতি নিতে হবে, সেই আবেদন পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।' 

হনুমান জয়ন্তী নিয়ে আগাম সতর্কতা হাইকোর্টের। রামনবমীর থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকেও।  এ বিষয়ে বুধবারের শুনানির পর আদালত নির্দেশ দেয়, হনুমান জয়ন্তীতে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করতে পারবে রাজ্য। এছাড়া হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুরের ঘটনাগুলিতেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে রাজ্য। বিচারপতি আরও পরামর্শ দেন, রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে।

রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে হাওড়ার শিবপুর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হুগলির রিষড়া। পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, দোকানপাটে ভাঙচুর চলে। বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর চালানো হয় রিষড়া ৪ নম্বর রেল গেট ও স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। একই মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরও। সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করতে, নেট সংযোগ বন্ধ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিস। যদিও প্রত্যেক জায়গা থেকেই বিজেপির অভিযোগ পুলিস নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। পাল্টা মমতা বন্দোপাধ্যায় বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন। প্রসঙ্গত রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, শিবপুরের ঘটনায়, যাকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দেখা গিয়েছিল তাঁকে, বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রিষড়ার ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে কলকাতায় ফিরে আসেন রাজ্যপাল।  এয়ারপোর্ট থেকে আসেন রিষড়ায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। এবং কড়া বার্তা দেন, 'হিংসা বরদাস্ত করা হবে না।' ঘটনার দুদিন কেটে গেলেও এখনও রিষড়ায় কিছু দোকান খোলেনি এবং রেল পুলিস সূত্রে খবর, রেল লাইনের পাথর ছোড়া নিয়ে এবার আরও কঠোর হবে রেল। রিষড়ায় ৪ নম্বর গেটে দুদিকেই আরপিএফ পিকেট বসানো হয়েছে বলে খবর।

one year ago
Letter: 'নাগরিক হিসেবে শঙ্কিত...', বিবৃতিতে গর্জে উঠলেন অপর্ণা-কৌশিক সেনরা

শিবপুর এবং রিষড়া-কাণ্ডে প্রশাসনিক দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরা। রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে তাঁরা রাজ্যের সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্যদের সই করা বিবৃতিতে সাম্প্রতিক ঘটনায় নাগরিক হিসেবে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তীব্রভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি, 'রাম নবমীর উদযাপনকে কেন্দ্র করে গত ছয় দিন ধরে পশ্চিমবঙ্গে যে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড সক্রিয় হয়ে উঠেছে, নাগরিক হিসেবে আমরা শঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন বোধ করছি।'


তাঁরা লেখেন, 'তীব্র ভাবে এই ঘটনাবলির প্রতিবাদ জানাই। সেইসঙ্গে প্রশাসনিক দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। সাধারণ মানুষের প্রাণ এবং সম্পত্তিরক্ষার দায়িত্ব পুলিস-প্রশাসনের। সেই দায়িত্ব পালনে পুলিসের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার তীব্র নিন্দা করছি। অবিলম্বে এই মেরুকরণের হিংস্র রাজনীতি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।'

এই বিবৃতিতে অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, ঋদ্ধি সেন, অনির্বাণ ভট্টাচার্য ছাড়াও সই রয়েছে সুজন মুখোপাধ্যায়, সুমন মুখোপাধ্যায়, শ্রীকান্ত আচার্য-সহ প্রমুখদের।

one year ago


Bengal: রিষড়া-কাণ্ডে যুযুধান! 'দাঙ্গাবাজদের রেয়াত নয়', সরব মমতা, সুকান্তর তিরে পুলিস

রবিবার এবং সোমবারের পর মঙ্গলবারেও রিষড়া-কাণ্ডে (Rishra Violence) তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এদিন বেলার দিকে রিষড়ার উপদ্রুত স্থান ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor Bose)। পাশাপাশি ডানকুনিতে আটকানো হয় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) কনভয়। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পুলিস প্রশাসনকে তির্যক ভাষায় সমালোচনা করেন। যদিও রাম নবমীর মিছিল ঘিরে হওয়া অশান্তি প্রসঙ্গে মঙ্গলবার দিঘায় মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata)। এই উত্তেজনা তৈরির পিছনে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলেন মমতা।

মঙ্গলবার ডানকুনিতে তাঁর কনভয় আটকানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'পুলিস তৃণমূলের উপরতলার নির্দেশে কাজ করছে। যেখানে রাজ্যপাল ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমকে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছে না। পুলিস কী লুকনোর চেষ্টা করছে। কী এমন ঘটেছে? পুলিস তৃণমূলের পার্টি ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে।' পুলিস প্রশাসনের ভূমিকাকে তোপ দেগে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ডানকুনিতে জানান, 'রেলগেটে বোমাবাজি হয়েছে, আগুন জ্বালানো হয়েছে ১৪৪ ধারা থাকা স্বত্বেও। পুলিস কী করছিল, এখানেই বোঝা গিয়েছে। আমাদের আটকাতে পুলিস এখানে চলে এসেছে। ওদের কাজ রিষড়ায় গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। আমাদের ইচ্ছা করে আটকে একটা অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে।' 

রিষড়ার উপদ্রুত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি সভাপতি বলেন, '১৪৪ ধারার নিয়ম ৫ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। আমরা এখানে দু'জন সাংসদ যেতে চাইছি। ওদের যদি মনে হয় আমরা কিছু নিয়ে ঢুকছি আমাদের তল্লাশি করুক। পুলিস আইন ভেঙে নিজেই আইন তৈরি করছে। আইন তৈরি করার কাজ সাংসদ-বিধায়কের, সেই কাজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুলিস করছে।'

এদিকে মঙ্গলবার বেলার দিকে সুকান্ত যখন ডানকুনিতে দাঁড়িয়ে পুলিস প্রশাসনকে তোপ দাগছেন, তখন দিঘায় অন্য মুডে মুখ্যমন্ত্রী। এদিন হাত জোর করে মমতা আবেদন করেন, 'গোষ্ঠী সংঘর্ষে পা দেবেন না, উসকানি দেবেন না। শান্তি বজায় রাখুন। বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে, তাই হিংসায় এঁরা জ্বলে যাচ্ছে। জ্বলবি আর ফুলবি কিন্তু বাংলায় কিছু করতে পারবি না।' সুর চড়িয়ে তাঁর মন্তব্য, 'কখন বিজেপি গিয়ে কোথায় দাঙ্গা করবে, দেখতে আমাকে পড়ে থাকতে হয়। এঁরা বোঝে না বাংলার মানুষ দাঙ্গা পছন্দ করে না। বিজেপির লোকেরা পারে না, তাই বাইরের গুণ্ডা এনে দাঙ্গা করায়। এটা দুষ্কৃতী তাণ্ডব।' তাঁর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, 'বাংলায় যারা দাঙ্গায় প্ররোচনা দিচ্ছে, দাঙ্গার মাথাদের আমি রেয়াত করবো না। আমাকে সিবিআই-ইডি দেখাবেন না, আমাদের পুলিস তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। যারা দাঙ্গাবাজ, গাড়ি, সরকারি সম্পত্তি পোড়াবে, তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার নিলামে তুলে সেই ক্ষতি পূরণ করবে। আমি নজর রাখছি, কারা বাইরে থেকে আসছেন, দাঙ্গায় ইন্ধন যোগাচ্ছে, এসব আমরা মেনে নেবো না।'

one year ago
Governer: 'দুষ্কৃতী দমন করতে হবে, হিংসা বরদাস্ত নয়', রিষড়া-কাণ্ডে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

রিষড়ার (Rishra) এই তাণ্ডব কাহিনী মাথায় রেখে, দার্জিলিং অর্থাৎ উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরের মাঝপথেই, সফরের গতিমুখ পরিবর্তন করেন রাজ্যপাল (Governer) সিভি আন্দন্দ বোস। রিষড়াকাণ্ডের জেরে মঙ্গলবার সকালেই উত্তরবঙ্গ সফর মাঝপথে ছেড়েই কলকাতায় ফিরে এলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, বুধবার উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। মঙ্গলবার সকালে বাগডোগরা থেকে বিমানে কলকাতায় ফিরলেন তিনি। এছাড়া মঙ্গলবার তিনি রিষড়াতে পৌঁছে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাঁদেরকে কড়া বার্তা দেন, যে কোনওরকম উপায়ে হিংসা ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। দুষ্কৃতীদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

বুধবার উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দিয়ে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছাড়াও উত্তরবঙ্গে জি-২০ সামিট উপলক্ষে যে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তাতেও যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রিষড়াকাণ্ডের জেরে সেই সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরলেন আনন্দ বোস। রামনবমীর দিন শিবপুরের ঘটনার পর কড়া বিবৃতি জারি করেছিলেন রাজ্যপাল। সূত্রের খবর, রিষড়া নিয়ে নিয়মিত খবর নিচ্ছেন তিনি। যদিও সোমবার রাতে রিষড়ার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সূত্রের খবর, সেই খবর পেয়েই তড়িঘড়ি রাজ্যপাল তাঁর সফরসূচি বদল করেন। কলকাতায় ফিরে তিনি বলেন, 'আমাদেরকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে, হিংসাকে কখনও বরদাস্ত করা হবে না।'

one year ago
Rishra: রিষড়ায় দুষ্কৃতী তান্ডবে রাতভর ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন, সকাল থেকে পরিস্থিতি থমথমে

ফের অশান্ত রিষড়ায় (Rishra)। সোমবার রাতভর আতঙ্ক (Panic) কাটিয়ে এখনও থমথমে হুগলির (Hoogly) রিষড়া। জারি ১৪৪ ধারা। পুলিসের তরফে বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। সোমবার রাতে হুগলির রিষড়াতে ক্ষোভ আছড়ে পড়ল রেল লাইনে। অভিযোগ, সোমবার রাতে আচমকাই একদল দুস্কৃতী রিষড়া স্টেশনে ভাঙচুর চালায়। স্টেশনে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি রিষড়ার ৪ নম্বর রেল গেটে অশান্তি হয় বলে খবর। যার জেরে হাওড়া-বর্ধমান শাখায় প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। যার ফলে ওই লাইনে হাজার হাজার যাত্রী অসুবিধায় পড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল।

সোমবার রাত ১০টা থেকে রিষড়া স্টেশনে অশান্তির কারণে, যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে রিষড়া স্টেশন দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় একটি আপ ব্যান্ডেল লোকালকে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর রাত ১টার পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিষেবা। রাত ১০টা নাগাদ হাওড়ায় ঘোষণা করা হয় বর্ধমান শাখায় আপাতত ট্রেন চলবে না। বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলও করে দেওয়া হয়। ট্রেন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় এবং রেলের তরফ থেকেও কোনও স্পষ্ট উত্তর না পেয়ে হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন যাত্রীদের একাংশ।

সম্প্রতি রাম নবমীর মিছিলকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার শিবপুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে দুষ্কৃতীদের। তাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী। হাওড়ার পর এবার হুগলি। হুগলির রিষড়াতে দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। বিশাল পুলিস বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।

এ ঘটনায় বারবার প্রশ্ন উঠছে পুলিসের ভূমিকায়। প্রশ্ন উঠছে ১৪৪ থাকা সত্ত্বেও এমন ঘটনা বারবার কি করে ঘটছে? বিজেপির তরফে পুলিসি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে বরাবর। প্রসঙ্গত, হাওড়ার পর হুগলির ঘটনায় বিজেপির তরফে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন জমা করা হয়েছে। এছাড়া আরও খবর, পুলিসের বিরুদ্ধে একতরফা আচরনের অভিযোগে, মঙ্গলবার থেকে হুগলির রিষড়ায় ধরণায় বসার কথা ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। অভিযোগ মঙ্গলবার সকালে ধরনার আগেই সেই মঞ্চ খুলে দেয় পুলিস।

one year ago


Mamata: 'রাম নবমীর মিছিল ৫ দিন কেন?' শিবপুর-রিষড়া কাণ্ডে সরব মমতা

রাম নবমীর মিছিল (Ram Navami Rally) ঘিরে উত্তপ্ত হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়া। ক্রমেই ছন্দে ফিরছে শিবপুর (Shibpur-Rishra), কিন্তু ১৪৪ ধারা রিষড়ায়। এই আবহে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata)। সোমবার তাঁর প্রশ্ন, 'রাম নবমীর মিছিল ৫ দিন ধরে হবে কেন? রাম নবমী যেদিন হয়, সেদিন তোমরা মিছিল করো আমাদের আপত্তি নেই।' হুঙ্কারের সুরে তাঁর মন্তব্য, 'কিন্তু বন্দুক-বোমা নিয়ে মিছিল করবেন না। অনুমতি না পেয়েও মিছিল করছে। এত রাস্তা থাকতেও সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ঢুকে পড়ছে। ফলের গাড়িতে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বন্দুক নিয়ে ডান্স করছে।'

তিনি পুলিস প্রশাসনকে সতর্ক করে বলেন, '৬ তারিখ দাঙ্গার নামে কোনও পরিকল্পনা করতে না পারে সতর্ক থাকবেন। আমরা বজরঙবলিকে সবাই সম্মান করি। বুলডোজার নিয়ে কে মিছিল করতে যায়? বুলডোজার তো রাস্তা তৈরির কাজে লাগে। বাড়ি ভাঙার কাজে লাগে। মিছিলে বুলডোজার নিয়ে যাচ্ছে আর বন্দুক নিয়ে নাচ করছে।' 

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানান, 'মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী চালাকি করছেন। ৬ তারিখ বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস, আমরা ওদিন রাস্তায় থাকবো। তাই উনি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষদের এবং দলীয় কর্মীদের উস্কাচ্ছেন বিজেপির উপর হামলা করতে। আপনারা নির্ভয়ে পার্টির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করবেন। এতদিন আমরা আইন মেনে চলেছি। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করতে না দিলে আমরা আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবো। ওরা লাঠি নিয়ে আসলে লাঠির উত্তর কীভাবে দিতে হয় আমরা জানি।'

one year ago
Sukanta: ১৪৪ ধারা, ব্যারিকেড গড়ে এবার রিষড়ায় ঢুকতে সুকান্তকে পুলিসের বাধা

পরপর দু'দিন, শিবপুরের পর এবার রিষড়ায় (Rishra Violence) ঢুকতে বাধা বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder)। কোন্নগরে পুলিসি ব্যারিকেড গড়ে ঢুকতে বাধা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদকে। ১৪৪ ধারা জারির কারণ দর্শিয়ে কোন্নগরেই সুকান্ত-সহ বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিস (Hooghly Police)। তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। ব্যারিকেড ভাঙতে পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জানা গিয়েছে, তিনি সোমবার উত্তরপাড়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষকে দেখতে যান।

সেখান থেকে রিষড়ায় ঢোকার মুখে ব্যারিকেড গড়ে পুলিস বাধা দেয় সুকান্ত মজুমদারকে। এই প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি বলেন, 'মানুষদের উপর হামলা হয়েছে। আমাদের সাংসদরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাবে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও টিএমসি সাংসদ ঘুরছেন। কিন্তু আমাদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কর্মী, যারা আক্রান্ত, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ১৪৪ যেখানে নেই সেখানেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গ কাশ্মীর হয়ে গিয়েছে। বোমাবাজি চলছে। আইনশৃঙ্খলা কোথায়?' পুলিস কথা না শুনলে ধর্নায় বসবো বলেও হুঙ্কার ছাড়েন তিনি। তিনি ফিরে গিয়েই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাবেন। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কথা হয়েছে বলে সোমবার জানান সুকান্ত মজুমদার।


এদিন পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়ান সুকান্ত মজুমদার। পুলিসি বাধার মুখে পড়ে বিজেপি সভাপতির আবেদন, 'আপনারা কিছু করুন। মার খেলে, বোমাবাজি হলেও কিছু করবেন না? ১৪৪-র বাইরে আপনারা কীভাবে আটকাচ্ছেন?' কোন কোন জায়গায় ১৪৪ ধারা, সেই অর্ডার পুলিসকর্তাকে দেখাতে বলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি। যদিও পুলিসের আবেদন, '১৪৪ জারি রয়েছে আপনারা সহযোগিতা করুন। আপনারা পরে অনুমতি নিয়ে নিশ্চয় যাবেন। ওই এলাকাতেই যাওয়া যাবে না।' যদিও রিষড়ায় যেতে অনড় সুকান্ত মজুমদার।

 

one year ago


Dilip: হাওড়ার পর অগ্নিগর্ভ রিষড়া, দিলীপ ঘোষের রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ

রিষড়ায় (Rishra) দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) রাম নবমীর মিছিলে দুষ্কৃতী হামলার (Attack) অভিযোগ। হাওড়ার পর এবার রিষড়ায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাম নবমীর মিছিলে। সূত্রের খবর, রবিবার রাম নবমীর মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। অভিযোগ, আচমকাই একদল দুষ্কৃতী হামলা করে ওই মিছিলে। ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, কোনরকমে কেন্দ্রের সশস্ত্র জওয়ান ও তাঁর দেহরক্ষী তাঁকে ওই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায়, গুরুতর আহত হন বিজেপি বিধায়ক বিমান বোস। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এ ঘটনায় রিষড়ায় বিশাল পুলিস  বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

দু'দিন, ঘোর কাটেনি হাওড়ার শিবপুরের। শিবপুরে রামনবমীর মিছিলে হামলার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাওড়া, শিবপুরের কাজীপাড়া। নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মমতা বন্দোপাধ্যায় পুলিসের নিষ্ক্রিয়তা মেনে নিয়ে তদন্ত করা হবে জানান। রাজনৈতিক মহলে জোর কটাক্ষ শুরু হয়। রাজ্যপাল আশ্বাস দেন কমিটি ঘটনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তভার সিআইডি গ্রহণ করে। হাওড়ার শিবপুরের ঘটনার তিনদিনের মাথায় এমন ঘটনা  কি করে ঘটল? এ নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, কেন রাম নবমীর মিছিলে অতিরিক্ত পুলিসি নিরাপত্তা দেওয়া হলো না? ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিসবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে।

one year ago