মালদহবাদীদের জন্য সুখবর। অবশেষে দাবি পূরণ করল নরেন্দ্র মোদী সরকার (Narendra Modi)। রাজধানী এক্সপ্রেস (Tejas Rajdhani Express) পেতে চলেছে মালদা টাউন (Malda Town)। মালদহ টাউন স্টেশনের উপর দিয়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করলেও এতদিন রাজধানী এক্সপ্রেস ছিল না। মালদহ জেলা, দুই দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার মানুষও উপকৃত হবেন।
রেলমন্ত্রক সূত্রে খবর, এবার থেকে নয়াদিল্লি-আগরতলা রুটের রাজধানী তেজস ট্রেনটি মালদা হয়ে যাতায়াত করবে। দিল্লি ও উত্তর ভারতের দিকে যাতায়াতের সুবিধে হবে বাংলার এই ৫ জেলার বাসিন্দাদের। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, রুট পরিবর্তন করা হয়েছে আগরতলা আনন্দবিহার রাজধানী এক্সপ্রেসের। নতুন রুটে এই ট্রেন পাটনা, জালালপুর, ভাগলপুর এবং মালদহ টাউন স্টেশনে দাঁড়াবে।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromondel Express) দুর্ঘটনার (Accident) আতঙ্ক এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে আরও একটি ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে চলেছিল। কিন্তু, বরাত জোরে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচল নিউ দিল্লি-ভুবনেশ্বর রাজধানী এক্সপ্রেস (Rajdhani Express)। জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার সাঁওতালডি এলাকায় দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের লেভেল ক্রসিংয়ে হঠাৎই বিকল হয়ে যায় একটি ট্রাক্টর। সেইসময় দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল রাজধানী। আরেকটু হলেই ঘটে যেতে পারত বড় দুর্ঘটনা। কিন্তু, যথাসময়ে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন চালক। আর তার ফলেই দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দূর থেকে চালক ট্রাক্টরটি দেখতে পেয়েই ট্রেনের গতি কমিয়ে দেন। তারপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। যদিও ট্রাক্টরটির ডালার অংশ ছুঁয়ে যায় ইঞ্জিনের পিছনে থাকা একটি বগির খানিক অংশ। কিন্তু, সেরকম কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে যায় রাজধানী।
প্রশ্ন উঠছে, ট্রেন আসছে দেখেও কেন পড়েনি রেল গেট? স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, গেটের একদিকের অংশ পড়লেও অন্যদিক পড়েনি। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে গেট ম্যানকে।
রেল লাইন পার করতে গিয়ে হাওড়া-রাজধানী-এক্সপ্রেসের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন তিন যুবক। বিহারের ধানবাদে শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটে, রেলসূত্রে এমনটাই খবর। জানা গিয়েছে, মৃতদের বয়স ১৯-২০ বছর। রেল সূ্ত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় আসানসোল-নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু গোমো প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে নেমে তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার জন্য লাইন পেরোচ্ছিলেন ওই তিন জন। ঠিক সেই সময় হাওড়া-রাজধানী এক্সপ্রেস, গোমো স্টেশনের কাছে আসলে ওই তিন যুবককে ধাক্কা মারে। যেহেতু গোমো স্টেশনে ওই ট্রেন দাঁড়ায় না, তাই সর্বাধিক স্পিডে ছিল রাজধানী।
রাজধানীর গতিবেগের ধাক্কায় ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে ছিটকে পড়েন তিন যুবক। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় দেহ তিনটি। এই দুর্ঘটনায় পুরো স্টেশনে হইচই পড়ে যায়।
এই দুর্ঘটনার কারণে আপ লাইনের ট্রেন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে হাওড়া - রাজধানী এক্সপ্রেস-সহ বেশ কয়েকটি ট্রেন ডাউন লাইন দিয়ে পাশ করানো হয়।
দুর্ঘটনায় মৃত তিন যুবকের দেহ পোশাক দেখে চিহ্নিত করে পরিবার।