সকাল থেকে রোদের তেজে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। লু বইছে শহর কলকাতায় (Kolkata)। গত কয়েকবছরের মধ্যে উষ্ণতম (Weather) এপ্রিল মাস বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাপমাত্রা (Temperature) চড়বে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়ায়ে। দীর্ঘ মেয়াদি এই গরম বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ৫ দিন ধাপে ধাপে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। কলকাতাতেই তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস চড়তে পারে বলে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। চৈত্রের শেষে বৈশাখের শুরুতে এই পরিমাণ তাপমাত্রা বৃদ্ধি আগেও ঘটেছে। তবে সেটা এতদিন ধরে কখনও থাকেনি। আগামী ১৫-১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই শুষ্কবাতাসের প্রভাব রাজ্যের উপরে থাকবে। সেকারণে কলকাতা সহ রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই তাপপ্রবাহের একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। গরমের এই দাবদাহ বজায় থাকবে রাজ্যে। পাশপাশি উত্তরবঙ্গেও সেভাবে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
চলতি মাসের শুরুতে টানা বৃষ্টির কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। এই জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়াতে আবহাওয়া অনেক শুষ্ক রয়েছে এবং তাপমাত্রা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।
আবহাওয়া সূত্রে খবর, শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। ফলে গরমের তীব্র দাবদহের পূর্বাভাস তা কিন্তু ইতিমধ্যে আসতে চলেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় রাতের দিকে অল্প পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও রাতের দিকে বৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকবে। তবে দক্ষিণবঙ্গে তীব্র দাবদহ ইতিমধ্য়ে শুরু হয়েছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিকে এগোচ্ছে। শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রির বেশি থাকবে এমনটাই আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
বৃষ্টির পর এবার তীব্র গরমে হাঁসফাঁস। কয়েকদিন মাঝারি বৃষ্টিপাত হলেও চলতি মাসের শুরুতেই কিন্তু একটা অস্বস্তিকর গরম দেখা গিয়েছে। বুধবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া (Weather) সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই তাপমাত্রা বাড়বে। যার কারণে, সারাদিন ধরে প্রবল তাপে দগ্ধ হবে বাংলা। এই সপ্তাহের তাপমাত্রা ৩৪, ৩৫, এবং ৩৬ ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে। ফলে সন্ধ্যার পর থেকে কিছুটা তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস থাকলেও দিনের তাপমাত্রা কিন্তু যথেষ্ট বেশি থাকবে।
অর্থাত্ অস্বস্তিকর একটা পরিবেশ থাকবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই তেমনটা নয়। তার কারণ এবছর বৈশাখ মাসের আগে থেকেই কিন্তু বেশ কিছু জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে আপাতত ভাবে আজ এবং কাল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। গরমের অনুকূল পরিবেশ এই মুহূর্তে বিরাজ করছে দক্ষিণবঙ্গজুড়ে। আবার কালবৈশাখীর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই আর্দ্রতাজনিত আবহাওয়ার কারণে।
পূর্বাভাস থাকলেও শুক্রবার রাতে কালবৈশাখীর দেখা পায়নি মহানগরবাসী। শনিবার সকালেও মেঘলা আকাশ রয়েছে। তবে ন্যূনতম তাপমাত্রা শুক্রবারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে এবার তাপমাত্রা (Temperature) বৃদ্ধি পেতে চলেছে। কোনও কোনও জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি (Rain) আপাতত চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া (Weather) দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ২০ তারিখ পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ২১ তারিখ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে চলেছে। সোমবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। তবে তারপর তিনদিনে হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গে দিন ও রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে এই আবহাওয়া চলতে পারে ২১ মার্চ বুধবার পর্যন্ত। পাশাপাশি, শনিবার কলকাতা ও আশেপাশে এলাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ও ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। শুক্রবার এই তাপমাত্রা ছিল ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাস ছিল কালবৈশাখীর জেরে কিছুটা স্বস্তি পাবে দক্ষিণবঙ্গবাসী (South Bengal)। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস সত্যি করে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকে একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টি (Rain) শুরু হয়। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। শুক্রবারও কলকাতা (Kolkata)-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। বজ্রপাতের সতর্কতাও জারি করেছে। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ শহরের। তাপমাত্রা আগের থেকে কমলেও ভ্যাপসা গরম (Weather) রয়েই গিয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবার কলকাতা ও আশেপাশে এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু'দিন আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকবে বলে খবর। তবুও বলা যায়, রাজ্যজুড়ে ঝড়বৃষ্টির কারণে কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমেছে কলকাতা সহ জেলাগুলিতে।
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। কালবৈশাখীর পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় কালবৈশাখী এবং শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দর্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। গত কয়েকদিন ধরেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে।
দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) একেবারে পরিষ্কার আকাশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে গরম। যদিও উত্তরবঙ্গে (North Bengal) থাকছে দিনভর বৃষ্টির (Rain) পূর্বাভাস। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রাতের দিকে কিছুটা তাপমাত্রার (Weather) পতন হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শনিবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এর কোনও কোনও জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। বাকি সব জেলার আবহাওয়া শুকনো থাকবে। অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও, দিন ও রাতের তাপমাত্রার কোনও পরিবর্তন নেই বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার কলকাতা ও আশপাশে এলাকার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। বুধবার এই তাপমাত্রা ছিল ২২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শেষ ল্যাপে বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2022)। মনে মনে একটাই প্রার্থনা নবমীনিশি যেও না চলে। কিন্তু পাঁজি মেনে আসছে বছর আবার হবে বলতেই হয়। তাই মা-কে শেষবার সন্তান-সন্তন্তি-সহ দেখতে নবমীর (Maha Nabami) সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়। চলছে আরতি এবং কুমারী পুজা। রীতি মেনে একাধিক বনেদি এবং রাজ বাড়ির পুজোয় হয়েছে কুমড়ো বলি এবং কামান দাগা।
অষ্টমীর রাতের বৃষ্টির ভ্রূকুটি সরে এখন ঝকঝকে শরতের আকাশ। তাই এই আবহাওয়াকে অনুকূল বানিয়েই সকাল থেকে ঠাকুর দেখা আট-আশির। কারণ হাতে সময় বড় কম। বনেদি বাড়ি থেকে সর্বজনীন; ঘরের মেয়ে উমাকে শেষবার চোখে দেখা। তাই সূর্যকে মাথায় রেখেই চলছে প্যান্ডেল হপিং। দক্ষিণ-উত্তর শহরের সেরার সেরা পুজোকে চর্মচোখে দেখতে মানুষ নেমেছে পথে। এদিকে, বেলুড় মঠ, মুদিয়ালি ক্লাবের মতো পুজোয় নিষ্ঠাভরে হয়েছে কুমারী পুজো। নবমীর অঞ্জলি কিংবা আরতি, সব রীতিই প্যান্ডেলে উপস্থিত থেকে চাক্ষুষ করেন দর্শনার্থীরা।
বাগবাজারের পুজো দেখতে আসা এক দর্শনার্থীরা বলেছেন, 'প্রতিবছর এই পুজোয় তাঁরা আসবেন এমনটাই প্রথা। এমনকি দশমীর সিঁদুর খেলায় তাঁরা অংশ নিয়ে থাকেন।'