
নিম্নচাপ কেটে গিয়ে আকাশে রোদ উঠেছে, পেজা তুলোর মতো মেঘ। আগামী কয়েকদিন রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দুদিন আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। রবিবার বৃষ্টি না হলে পুজোর দু সপ্তাহ আগে এদিন পুজোর বাজার জমে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবিবার উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মূলত পরিষ্কারই থাকবে। এখনি পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছে না বর্ষা। তাই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস কিন্তু থাকছে। তবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিন্তু থাকবে। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে।
আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, পুজোর সময় বৃষ্টি হবে কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সামনের সপ্তাহে এই বিষয়ে পূর্বাভাস দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
রেললাইনের উপরে রাখা বড় পাথর। আর কয়েক মুহূর্ত দেরি হলেই ঘটে যেত বড়সড় দুর্ঘটনা। কিছুদিন আগেই এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল। শুক্রবারও এমনই এক ঘটনা প্রকাশ্যে এল। সূত্রের খবর, শুক্রবার মহারাষ্ট্রের পিম্পরি-চিনচওয়াদের রেললাইনের উপরেই পড়ে ছিল বড় বড় পাথর ও বোল্ডার। পরে রেল কর্মীর তৎপরতায় এড়ানো যায় দুর্ঘটনা।
সূত্রের খবর, শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে মহারাষ্ট্রের আকুরদি এবং চিঞ্চওয়াড় স্টেশনের মাঝে। পুণেগামী একটি ট্রেন আপ লাইনে আসছিল। সেই সময়ই হঠাৎ রেলের গার্ড দেখতে পান যে রেললাইনের উপরে বেশ কিছু বোল্ডার পড়ে রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চিনচওয়াদের স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন ও নাগেরকোলি-মুম্বই এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিনচওয়াদের কাছে থামিয়ে দেওয়া হয়। এর পর সেখানে রেলকর্মীরা পৌঁছে যান ও পাথরগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
যদি রেল গার্ড সঠিক সময়ে সতর্ক না করতেন, তাহলে লাইনচ্য়ুত হতে পারত ট্রেনটি। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন ট্রেনযাত্রীরা। রেলসূত্রে খবর, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এর পিছনে কোনও নাশকতার ছক ছিল কিনা সে নিয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই রাজস্থানে জয়পুরগামী বন্দে ভারতের যাওয়ার পথে রেললাইনের উপর পাথর, লোহার রড রেখে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি চালকের নজরে আসতেই আপৎকালীন ব্রেক কষে ট্রেন থামানো হয়।
বুধাবর সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে শহরজুড়ে। আজ সারাদিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের জেরে বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিন কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি থাকবে। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৬১.৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, নিম্নচাপের কারণে বাংলার উত্তর ও দক্ষিণ দুই বঙ্গেই রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মুর্শিদাবাদ, নদীয়া ও বীরভূমে। এছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বীরভূম, দুই মেদিনীপুরেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েকদিনের মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে জমা জলের ছবি। সেন্ট্রাল এভিনিউ সহ বিভিন্ন জায়গায় এখনও জমে রয়েছে জল।
পাশাপাশি এদিন উত্তরবঙ্গের মালদহ, দুই দিনাজপুর, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আগামীকাল আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবারের পর থেকে উত্তরবঙ্গে কমবে বৃষ্টিপাত।
একদিকে মুষলধারে বৃষ্টি, অন্যদিকে দেখা যাচ্ছিল না সামনের দিকে কী রয়েছে, এই পরিস্থিতিতে গুগল ম্যাপ-এ ভরসা করেই গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে চলেছিলেন দুই ব্যক্তি। কিন্তু এতেই হল মর্মান্তিক পরিণতি। বৃষ্টির ফলে সামনে কী রয়েছে দেখতে না পারায় নদীতে পড়ে যায় গাড়ি। ফলে জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয় দুই ব্যক্তির। সূত্রের খবর, দুই ব্যক্তি পেশায় চিকিৎসক। কোনও এক গুরুত্বপূর্ণ কাজেই বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু গুগল ম্যাপ অনুসরণ করে চলতে গিয়েই মৃত্যু হয় তাঁদের। এই ঘটনায় আহত হয় তিনজন। সূত্রের খবর, রবিবারের রাতের ঘটনাটি কেরলের (Kerala) কোচির (Kochi)।
সূত্রের খবর, অদ্ভৈত ও অজমল নামের দুই চিকিৎসক এক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। রবিবার রাত সাড়ে ১২ টা নাগাদ তাঁদের কোনও এক কাজ থাকায় তাঁরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। গাড়িতে মোট পাঁচজন ছিলেন। সেসময় বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। ফলে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এই পরিস্থিতে তাঁরা গুগল ম্যাপস দেখে গাড়ি চালাতে থাকেন। কিন্তু চালক গুগল ম্যাপের দিক কোনও কারণে ভুল অনুসরণ করেন। আর এতেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। গাড়ি পড়ে যায় পেরিভার নদীতে। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করতে ছুটে আসলেও তিনজনকেই প্রাণে বাঁচাতে পারেন। চালক ও তাঁর পাশের সিটে বসে থাকা চিকিৎসকের জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁরা বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে খবর।
সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। গোটা শহরজুড়ে কখনও হালকা তো আবার কখনও ঝেপে নামছে বৃষ্টি। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার দিনভর আকাশ মেঘলা থাকবে। কলকাতা সহ সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বজ্রপাত সহ মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়াও মালদহ সহ দুই দিনাজপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়ায় এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বাতাসে সর্বাধিক আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দক্ষিণ পূর্ব ঝাড়খন্ড ও গাঙ্গেয় বঙ্গে প্রবেশ করেছে নিম্নচাপ। ধীরে ধীরে এটি উত্তরপ্রদেশের দিকে সরে যাবে। আর এই নিম্নচাপের জন্য় বুধবার পর্যন্ত চলবে বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে এই নিম্নচাপের প্রভাব রাজ্য়ের প্রায় সব জেলাতেই পড়বে। সেই কারণে রাজ্য়ের উত্তর ও দক্ষিণের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে রয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা।
দার্জিলিংয়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ল টয় ট্রেন। ঘুম স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যদিও হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। তবে এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রীদের মধ্যে। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে নির্দিষ্ট সময়েই যাত্রা শুরু করে টয় ট্রেনটি। ঘুম স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। তারপরেই বিকট শব্দে থেমে যায় ট্রেনটি।
এর জেরে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই রেলের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না রেল। এদিকে এই ঘটনার পর অনেক যাত্রীই আর টয় ট্রেনে চাপতে পারেননি।
পুরো ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়েছেন উত্তর পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক। তাঁর বক্তব্য, যাত্রীদের কাছে বিকল্প ট্রেনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেই আবেদনে সাড়া দেননি। যাঁরা ট্রেনে চড়তে পারেননি তাঁদের পুরো টিকিট ফেরত দেওয়া হবে বলে রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
জোড়া নিম্নচাপের কাঁটা। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার ব্যাপক রদবদল। আরব সাগর, বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ আছে। আগামী দুই দিনে এই জোড়া নিম্নচাপ শক্তি বাড়াবে। তার জেরেই শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায়। আগামী ৪-৫ দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে শনিবার ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ২ অক্টোবরের পর বৃষ্টি বাড়বে অন্য জেলাগুলিতেও। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়াতেও ভারী বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমেও নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে। উপকূল অঞ্চলে শনিবারের মধ্যে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শনি ও রবিবার নতুন করে সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
উত্তরবঙ্গেও বৃষ্টি বাড়বে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি হবে কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতেও। ভারী বৃষ্টির জেরে পার্বত্য অঞ্চলে ধস নামতে পারে।
আবারও নিম্নচাপ, আবারও বৃষ্টির ভ্রুকুটি। চলতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার ভেস্তে যেতে পারে পুজোর মার্কেটিং। সেরকমই পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । তবে, দুপুরের পর থেকে বদলে যেতে পারে আবহাওয়া। আর শনিবার থেকে আগামী চারদিন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলের জেলাগুলিতে অপেক্ষাকৃত ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে শনি-রবিবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। এছাড়া, বাকি জেলাগুলিও বৃষ্টিতে ভিজবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে। সেক্ষেত্রে, উইকেন্ডে পুজোর বাজার মাটি করে দিতে পারে বৃষ্টি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টির জেরে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।
শুক্রবার উত্তেরের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে বজ্রবিদ্যুৎসহ বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার থেকে উত্তরবঙ্গে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস।
এদিন সকাল থেকে কলকাতার আকাশ মেঘলা। গুমোটভাব। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি রয়েছে। এদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াল এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি।
মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মথুরা রেলওয়ে স্টেশনে (Mathura Rail Station) আচমকা ট্রেন প্ল্যাটফর্মের উপরে উঠে যায়। সেই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। এবারে সেই ঘটনার নেপথ্যে কারা ছিলেন ও কেন এমন ঘটল, তারই ভিডিও প্রকাশ্যে এল। ট্রেনে (Train) থাকা সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর ট্রেনের চালককে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ট্রেন চালকের আসনে বসে তাঁকে মোবাইল চালাতেও দেখা গিয়েছে। আর এর পরই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। যদিও এই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি সিএন ডিজিটাল।
Mathura Train accident caught on camera pic.twitter.com/gLyvZMlRyT
— Harsh Tyagii (@tyagiih5) September 28, 2023
ভাইরাল ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, মথুরার লোকাল ট্রেনটি থামিয়ে বেরিয়ে যান ট্রেন চালক। এর পরই অন্য এক ট্রেন চালক ইঞ্জিন-কেবিনে প্রবেশ করেন। জানা গিয়েছে, তাঁর নাম সচিন। তিনি ইঞ্জিন-কেবিনে ঢুকেই বেপরোয়াভাবে নিজের ব্যাগ ছুড়ে রাখেন। তারপর তিনি চালকের আসনে বসেন এবং মোবাইল ফোন দেখতে থাকেন। এর পর ট্রেনটি হঠাৎ এগোতে শুরু করে। কিন্তু তখনও ফোনে ব্যস্ত ছিলেন চালক। আর এর পরেই প্ল্যাটফর্মের উপর উঠে যায় ট্রেনটি।
রেলওয়ে সূত্রে খবর, লোকো পাইলট-সহ ৫ রেলকর্মী এবং চার টেকনিক্যাল কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মথুরা স্টেশনের ডিরেক্টর সঞ্জীব শ্রীবাস্তব বলেন, ৫ রেলকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং ডিউটির সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিলেন। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ডিভিশনাল রেল ম্যানেজার।
রাতের স্টেশন, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন অনেকে। ট্রেন আসছে, যাচ্ছে। হঠাৎ, দেখা গেল একটা ট্রেন স্টেশনে যাত্রীদের নামিয়ে লাইন ধরে চলতে চলতে সোজা উঠে গেল প্ল্যাটফর্মে। আচমকা এরকম ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। হুলস্থূল পড়ে যায় স্টেশনে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মথুরা রেল স্টেশনে।
জানা গিয়েছে, শকুরবস্তি রেল স্টেশন থেকে মথুরার দিকে আসছিল ট্রেনটি। রেল সূত্রে খবর, ট্রেন স্টেশনে পৌঁছয় ১০.৪৯ মিনিটে। ততক্ষণে ট্রেন থেকে নেমে গিয়েছেন সমস্ত যাত্রীরা। তারপরেই হঠাৎ করে ট্রেন প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ে। ট্রেন থেকে সব যাত্রী নেমে যাওয়ায়, হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় স্টেশনে।
মঙ্গলবার দুর্ঘটনার জেরে রেল চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। আপ লাইনের ট্রেন চলাচল ব্যহত হয় কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু, কীভাবে, লাইন থেকে ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে উঠে পড়ল, তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকশ। নেই বৃষ্টির দেখা। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির পরিমাণ আরও কম থাকবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। যদিও দক্ষিণবঙ্গে সেভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টির আপাতত কোনও পূর্বাভাস নেই। দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তনেরও কোনও সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। বৃহস্পতিবারঅ একই আবহাওয়া বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিস সূত্রে আরও খবর, কলকাতা ও আশপাশের এলাকার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৪ ও ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার যা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ।
আবার যেন ফিরে এসেছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। সোমবার বৃষ্টির দেখা মেলেনি শহর কলকাতায়। মঙ্গলবারও সকাল থেকে রোদের দাপট। আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপের সম্ভাবনায় শনিবার থেকে আবহাওয়ায় ফের পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বুধবারের আট জেলায় কোথাও না কোথাও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। বুধবার সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ও ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি ওপরে। সোমবার যা ছিল ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৭৩ শতাংশ।
কখনও সবজি মান্ডিতে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, কখনও মোটর মেকানিকের দোকানে গিয়ে যন্ত্রপাতি নিয়ে গাড়ি সারাতে বসেছেন, আবার কখনও বাইক নিয়ে লাদাখে গিয়ে সেখানকার জনগণের সঙ্গে মিশে গিয়েছেন। হ্যাঁ, কথা বলা হচ্ছে, কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নিয়ে। 'ভারত জোড়ো যাত্রা' দিয়ে শুরু, এর পর থেকে তাঁকে একাধিক জায়গায় গিয়ে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা গিয়েছে। আর এবারে সরাসরি উঠে পড়লেন ট্রেনের (Train) জেনারেল কামরায়। শুধু ট্রেনে চাপেননি, ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে পাশাপাশি বসে কথাও বলেছেন রাহুল। তাঁর ছবি কংগ্রেসের তরফে শেয়ার করতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
সূত্রের খবর,দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাহুল গান্ধী বর্তমানে ছত্তিশগড়ে। কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ে 'আওয়াস ন্যায় সম্মেলন' উদ্বোধনের পর সোমবার ছত্তিশগড়ের বিলাসপুর থেকেই বিলাসপুর-ইটওয়ারি ইন্টারসিটি ট্রেনে সওয়ার হয়ে রাজধানী রায়পুর যান রাহুল গান্ধী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল-সহ রাজ্য কংগ্রেসের ইন-চার্জ কুমারী সেলজা ও রাজ্য ইউনিট চিফ দীপক বৈজ।
কংগ্রেসের তরফে যে ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে, ভিড়ে ঠাসা ট্রেনের জেনারেল কামরায় উঠে পড়েছেন রাহুল। এর পর তাঁকে যাত্রীদের সঙ্গে একই আসনে বসে যেতে দেখা যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে, এমনকি তাঁদের অটোগ্রাফ দিতেও দেখা যায়। আবার ট্রেনের যে কামরায় রাহুল ছিলেন, সেখানে রাজনন্দগাঁওয়ের কয়েকজন মহিলা হকি খেলোয়াড়ও ছিলেন। ফলে তাঁরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কংগ্রেস সাংসদের সঙ্গে কথা বলেন। এককথায় রাহুল গান্ধীকে ফের জনগণের সঙ্গে সাধারণ মানুষের মতো মিশে যেতে দেখা যায়।
সকাল থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ। সোমবারও কলকাতা (Kolkata) সহ আশেপাশের এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির (Rain) সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার বেলার দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা। মঙ্গলবার থেকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আপাতত নেই। এছাড়া উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদহতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার সবকটি জেলাতেই হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত দিনের তাপমাত্রার বড় কোনও পরিবর্তনের পূর্বাভাস নেই আবহাওয়া দফতরের তরফে। দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, সোমবার কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি নিচে। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৮৩ শতাংশ।
রবিবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। সারা দিনে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে সাগরে ঘূর্ণাবর্ত থেকে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ভারী বৃষ্টি হলেও, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তার কোনও সম্ভাবনা আপাতত নেই।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, রবিবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সোমবার সবকটি জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত দিনের তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে। রবিবার সকালে দেওয়া দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিনের পাশাপাশি সোমবারেও জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। আপাতত ভারী বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও আপাতত তাপমাত্রার পরিবর্তনের কোনও পূর্বাভাস নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় আকাশ সাধারণভাবে মেঘলা থাকবে। দু-এক পশলা বৃষ্টি কিংবা বজ্রবিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। শনিবার যা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ, সর্বনিম্ন ৮৪ শতাংশ।