সন্দীপ্তা সেনকে (Sandipta Sen) টলিউডের (Tollywood) দর্শকেরা অভিনেত্রী হিসেবেই চেনেন। ছোট পর্দায় 'দূর্গা' ধারাবাহিকে অভিনয় করেই অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন। এরপর যত সময় পেরিয়েছে, একাধারে সিনেমায়-ধারাবাহিকে-ওয়েব সিরিজে অভিনেত্রী হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে তাঁকে যারা সামাজিক মাধ্যমে অনুসরণ করেন, তাঁরা জানেন সন্দীপ্তার অন্য একটি ভালোবাসার বিষয় নাচ। সন্দীপ্তা নাচতে খুব ভালোবাসেন। মাঝেমধ্যেই সমাজ মাধ্যমের পাতায় নাচের নানা ভিডিও আপলোড করে থাকেন।
সোমবার গুরুপূর্ণিমার পুণ্যতিথিতে নিজের নৃত্যগুরুকে প্রণাম জানাতে ভুললেন না সন্দীপ্তা। জনপ্রিয় 'দিম তা না না না' গানে নাচ করে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন সন্দীপ্তা। সঙ্গে স্মৃতিচারণ করেছেন নৃত্য জীবনের। সন্দীপ্তা ক্যাপশনে লিখেছেন, 'নাচে আমার প্রথম হাতেখড়ি আড়াই বছর বয়সে। আমার জেঠিমার কাছে। তখন মনে হয় ক্লাস সেভেনে পড়ি, আমার জেঠিমা এই নাচটা শিখিয়েছিলেন। এত বছর পর আবার চেষ্টা করলাম। আমি আমার সমস্ত গুরুর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান জানাই।'
কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ্তা অভিনীত ওয়েব সিরিজ 'নষ্টনীড়'। এই সিরিজটিতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন অভিনেত্রী। দর্শকদের প্ৰশ্ন, অভিনেত্রীকে কবে আবার ধারাবাহিকের পর্দায় দেখা যাবে? তবে সন্দীপ্তা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি তিনি আর ধারাবাহিকে ফিরতে চান না। বরং সিরিজ-সিনেমাতেই চুটিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
আগামী শুক্রবার বুদ্ধপূর্নিমা (Buddha Purnima) হওয়ায় আপ এবং ডাউন লাইনে কম মেট্রো (Metro) চালানো হবে। সরকারি কর্মচারীদের ছুটি থাকায় মেট্রোয় ওই দিন সরকারি কর্মচারীদের ভিড় থাকবে না। তবে কাজের দিনে মেট্রোর পরিষেবার এই ঘাটতি, সমস্যায় ফেলতে পারে নিত্যযাত্রীদের সহ বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের।
বুধবার কলকাতা মেট্রোর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন ‘ব্লু লাইন’ অর্থাৎ দক্ষিণেশ্বর এবং কবি সুভাষের লাইনে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫৪ টি মেট্রো কম চলবে। সাধারণত, কাজের দিনে আপ এবং ডাউন মিলিয়ে মোট ২৮৮ টি মেট্রো চলে এই লাইনে। শুক্রবার তার পরিবর্তে চলবে ২৩৪ টি মেট্রো। ওইদিন কম মেট্রো চললেও দু’দিক থেকে প্রথম এবং শেষ মেট্রোর সময় অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। প্রতি দিনের মতোই শুক্রবারও সকালে দমদম থেকে কবি সুভাষ এবং কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৭টায়। দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার প্রথম মেট্রো ছাড়বে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে।
একই ভাবে, রাতে দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষের শেষ মেট্রো ছাড়বে ৯টা ২৮ মিনিটে। কবি সুভাষ থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত সাড়ে ৯টায়। এ ছাড়া, দমদম থেকে কবি সুভাষ এবং কবি সুভাষ থেকে দমদমের শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।
সৌমেন সুর: কোজাগরী পূর্ণিমার সন্ধ্যায় পরাশক্তি ধনদায়িনি মহালক্ষ্মীর পদ সঞ্চার প্রতি গৃহস্থের আঙিনায়। কার্তিক মাসের অমাবস্যায় সেই একই মায়ের অর্চনা করবো অন্য নামে, ভিন্নরূপে, ধ্যানান্তরে। আজ যে জগৎ মাতার শুভ আগমন, তিনি মহাশক্তির এক বরণীয় রূপ, মহাকালের শক্তিমূর্তি আদ্যাশক্তি, চতুর্ভুজা, দিগবসনা, সুখপ্রদায়িনী ও বরাভয়দায়িনী। সৌন্দর্য, মাধুর্য এবং গাম্ভীর্যের এক অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে দেবী কালিকার বর্ণিত ধ্যানমন্ত্রে।
'কালিকা বঙ্গদেশে চ' এই শাস্ত্রবাক্য শত শত বৎসর ধরে। পরম শ্রদ্ধায়, বড় আন্তরিকতায় ও গভীর ভক্তিতে এই বঙ্গভূমিতে এই পরম জননী কালিকারূপিণী মহাদেবী নিত্য সেবিতা ও পূজিতা। প্রচলিত কথা আছে 'যেখানে বাঙালি বাড়ি, সেখানে আছে কালীবাড়ি।' সৃষ্টিস্থিতিকারিনী কালরূপা মুক্তিদাত্রী দেবী কালিকার উপাসনাই হল কালের হাত থেকে নিষ্কৃতির একমাত্র উপায়।
শ্যামা মায়ের মূর্তিতে সারল্য ও কাঠিন্যের এক অপূর্ব সমাবেশ। তাই মহাকালী নৃমুণ্ডমালিনী ও করালবদনা ভয়ঙ্করা, আবার সেইসঙ্গে তিনি বরাভয় করা। একদিকে সৃজন, অপরদিকে নিধন। দুষ্টের দমন আর সৃষ্টের পালন। ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ বলেছেন, 'কালী কি কালো?' দূর থেকে কালো, জানতে পারলে কালো নয়। সমুদ্রের জল দূর থেকে নীল, কাছে গিয়ে দেখো আর হাতে তুলে দ্যাখো-- রঙ নেই। ব্রহ্মশক্তি এই বিশ্বমাতা বিবসনা। দেশকালে ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যে আদৌ আবদ্ধ নয় তিনি বলেই দিগম্বরী। এই অভয়া মা ত্রিনয়ণ দিয়ে তাঁর করুণা ধারা বর্ষণ করেন তাঁর সন্তানকে সত্য, শিব ও সুন্দরকে প্রত্যক্ষ করান।
আমাদের আর্যঋষিরা বলেন, সৃষ্টির মধ্যেই সৃজন, পালন, সংহার বিদ্যমান। সেই করুণাময়ী পরমেশ্বরী মা কালী সৃষ্টি, স্থিতি, লয় করছেন। একদিকে সংহার, অন্যদিকে তিনি অভয় বরদা। একহাতে ভীতি প্রদর্শন অপর হাতে সন্তানকে কোলে ধারণ। এই নিয়েই মা। মা আমাদের করুণাময়ী, মঙ্গলময়ী, জয় মা ওঁ তৎসাৎ।