কালী পুজোর রাত কাটতে না কাটতেই দুর্ঘটনা। ডাউন শালিমার-পুরি ধৌলি এক্সপ্রেসে আগুন আতঙ্ক। আন্দুল স্টেশন পার করার পর সরস্বতী নদীর উপর ১৭ নম্বর রেল ব্রিজের কাছে ধোঁয়া দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। ট্রেনের তৃতীয় বগির নীচ থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছিল।চাকার ব্রেকের ঘর্ষণের কারণেই এই বিপত্তি বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান রেল কর্তাদের। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ট্রেনের যাত্রীরা। আপাতত তা ঠিক করে সেখান থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে শালিমার-পুরি ধৌলি এক্সপ্রেস।
যে কোনও ধরনের পোশাক আর পরা যাবে না মন্দির চত্বরে, এমনটাই নির্দেশিকা জারি পুরীর জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) কর্তৃপক্ষের। মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, অনেককেই মন্দিরে টর্ন জিন্স, হাফ প্যান্ট, স্লিপলেস জামা পরে আসতে দেখা যায়। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, মন্দিরে 'সভ্য পোশাক' পরে আসতে হবে। কারণ মন্দির কোনও বিনোদনের জায়গা নয়। তাই এবারে ভক্তদের জন্য নতুন পোশাক বিধি এনেছে জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, সোমবার জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে পোশাক বিধির নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে এবছর থেকে নয়, ২০২৪-এর ১ জানুয়ারি থেকে ভক্তদের এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। জানা গিয়েছে, সোমবার পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের নীতি আয়োগ সাব-কমিটির বৈঠক হয়, সেখানেই অশালীন পোশাক নিয়ে আলোচনা করা হয়। ফলে ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা ভেবেই পোশাক বিধি জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে কেবল পোশাকবিধি চালু করা নয়, সেটি কার্যকর করার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নজরদারির জন্য জগন্নাথ মন্দিরের ‘সিংহদুয়ারে’ নিরাপত্তারক্ষী এবং অভ্যন্তরে ‘প্রতিহারী’-তে সেবায়েত থাকবে। নতুন বছর থেকে পোশাক বিধি কার্যকর করা হলেও আজ, মঙ্গলবার থেকেই এই বিষয়ে প্রচার শুরু হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
সঞ্চালিকা এবং অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (Sudipa Chatterjee) ভরা জীবন। স্বামী পুত্র নিয়ে সংসার যাপন ভালোই চলছে তাঁর। অন্যদিকে ব্যবসাতেও পসার করেছেন। একদিকে বুটিক খুলেছেন নিজের, অন্যদিকে দক্ষিণ কলকাতায় চলছে তাঁর রেস্তোরাঁ 'সুদীপার রান্নাঘর'। অনেক মানুষই বেশ কিছু বছর ধরে সেই রেস্তোরাঁয় খাচ্ছেন, তৃপ্ত হচ্ছেন। কিন্তু সেই রেস্তোরাঁর নাম ভাঙিয়েই অসাধু ব্যবসা করছেন কেউ বা কারা। সামাজিক মাধ্যমে এই নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন সুদীপা।
পুরীতে সুদীপার রেস্তোরাঁর নাম এবং লোগো হুবুহু ব্যবহার করে খুলেছে এক রেস্তোরাঁ। তাঁকে সবাই চেনেন, তাই পুরী গিয়ে অনেকেই সেখানে খাবার চেখে দেখেছেন। অনেক পরিচিত সুদীপাকে সেই কথাও জানিয়েছেন। প্রথমটাই তিনি ভেবেছিলেন, এই বিষয়ে চুপ থাকবেন। তবে সম্প্রতি তাঁর ভাবনা, রেস্তোরাঁয় খেয়ে যদি কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাহলে কী হবে। এসব কথা ভেবে সুদীপা সামাজিক মাধ্যমে বেশ কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিককে।
সুদীপা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, 'পুরীর এই রেস্তোরাঁটির সাথে আমার ও আমার পরিবারের কেউ যুক্ত নয়। এরা বেআইনিভাবে- আমার নাম, ও আমার পুরোনো রেস্তোরাঁর লোগোও ব্যাবহার করছে। দীর্ঘদিন ধরে করছে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম-কিছু বলবো না, কেউ যদি আমার নামকে সন্মান দিয়ে দু-পয়সা রোজগার করে-তা তো ঈশ্বর ওনার জন্য স্হির করে রেখেছেন। আমি আটকাবো কেন?'
এইখানেই না থেমে সুদীপা আরও লিখেছেন, 'বেশ কিছুদিন ধরে- অনেকের অনেক অভিযোগ আসতে থাকার পর,এই সিদ্ধান্ত নিলাম যে,এটা আর চলতে দেওয়া যায় না। কারণ, আগামীদিনে কেউ ওঁদের খাবার খেয়ে অসুস্হ হলে- সে দায় তো আমার ওপরও,খানিকটা বর্তায়?'
তবে সুদীপা সেই পোস্টে স্পষ্ট লিখেছেন, রেস্তোরাঁর মালিক যদি এই রেস্তোরাঁর নাম পরিবর্তন না করেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন। তবে সুদীপা একেবারে চান না তাঁদের ব্যবসায়িক ক্ষতি হোক। সঞ্চালিকা পুরীতে থাকা বন্ধুদের আবেদন করেছেন, তাঁরা যেন রেস্তোরাঁর মালিকের কাছে এই খবর পৌঁছে দেন।
সারা দেশে বহু জায়গায় রথযাত্রায় (Rath Yatra) জগতের নাথের আরাধনা করা হয়। কথিত আছে এই দিনটিতে জগন্নাথ তাঁর ভাই বলরাম ও বোন সুভদ্রাকে নিয়ে মাসির বাড়ি যান। ফিরে আসেন উল্টোরথের দিন। সব রীতির যেমন ইতিহাস থাকে এই বিশেষ দিনেরও রহস্যময় ইতিহাস রয়েছে। তবে সেই কাহিনী লোকমুখে অনেকটা বদলে গিয়েছে। তবে জনপ্রিয় কাহিনীকে সত্যি বলে ধরে নেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথের পূজা ও প্রার্থনা পর্যায়ের গানে একটি লাইন রয়েছে, 'তুমি আপনি না এলে কে পারে হৃদয়ে রাখিতে!' পুরীতে হঠাৎ জগন্নাথের আগমন নাকি তেমনই এক গিয়ে কাঁটা দেওয়া অধ্যায়।
দেশের অন্যান্য অনেক জায়গায় জগন্নাথ -বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহে হাত পা দেখা যায়। তবে পুরীর মন্দিরের বিগ্রহে হাত পা নেই। যদিও সেই মূর্তির অনুসরণেই এই রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় তিন দেবতার বিগ্রহের আকার প্রচলিত রয়েছে। তবে শোনা যায়, এই অসম্পূর্ন বিগ্রহ তৈরির পিছনে বিশেষ কারণ রয়েছে। এই রথযাত্রা নাকি শুরু হয়েছিল সত্যযুগ থেকে। তখন অবশ্য ওড়িশা ছিল মালব দেশ। সেই সময় মালব দেশের রাজা ছিলেন ইন্দ্রদ্যুম্ন। তিনিই এই জগন্নাথের পূজা শুরু করেছিলেন পুরীতে।
মহারাজকে নাকি জগন্নাথ স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন তাঁর পুজো করার এবং কথা দিয়েছিলেন তিনি নিজেই আসবেন সেখানে। এই শুনে মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন জগন্নাথদেবের জন্য মন্দির তৈরী করেন। প্রভু কবে আসবেন, তার জন্য কাতর প্রার্থনা করতে শুরু করেন মহারাজ। আবারও তাঁর স্বপ্নে আসেন জগন্নাথ। তিনি বলেন, দ্বারকা নাগরী থেকে একটি নিমকাঠের গুঁড়ি ভেসে আসবে পুরীর সমুদ্রতটে। সেই দিয়েই তৈরী করতে হবে তিন দেবতার মূর্তি। যথা সময়ে পুরীতে ভেসে আসে সেই নিমকাঠ। কিন্তু রাজার কর্মচারীরা কিছুতেই সেই কাঠ কাঁধে তুলতে পারেন না। অবশেষে রাজার অনুরোধে সবর জাতির দলপতি পুরোহিত বিশ্ব বসু একাই কাঁধে সেই কাঠের গুঁড়ি ডাঙায় তুলে আনেন।
এরপর মহারাজ নিজের রাজ্যে ওই মূর্তি তৈরীর কারিগরের খোঁজ করতে থাকেন। এমন সময় সেখানে বৃদ্ধ কারিগরের রূপে উপস্থিত হন বিশ্বকর্মা। তবে তিনি তিনটি শর্ত দেন। এক, কারও সাহায্য ছাড়া তিনি একই মূর্তি তৈরী করবেন। দুই, এই মূর্তি তৈরী হবে বন্ধ দুয়ারের পিছনে, সকলের অলক্ষ্যে। তিন, মূর্তি তৈরী করতে ২১ দিন সময় লাগবে। আর এই ২১ দিনের মধ্যে কেউ সেই মূর্তি চোখে দেখতে পারবেন না।
মূর্তি তৈরি শুরু হতেই মহারাজের স্ত্রী রানী গুন্ডিচা দেবীর আগ্রহ বাড়তে থাকে। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর মন্দিরের ভিতর থেকে কোনও আওয়াজ শোনা না গেলে সকলে মনে করেন বৃদ্ধ কারিগর বোধহয় ক্ষুধায়-তৃষ্ণায় মারা গিয়েছেন। রাজার আদেশে মন্দিরের দরজা খোলা হলে সেখান থেকে গায়েব হয়ে যান বিশ্বকর্মা। মূর্তি তৈরী হয়ে গেলেও, শুধুমাত্র হাত অসম্পূর্ন রয়ে যায়। এই ঘটনাকে জগন্নাথ দেবের ইঙ্গিত ভেবেই শুরু হয় রথযাত্রা।
ওড়িশার বাহানাগা বাজারের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromondel Express) দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও স্পষ্ট। সেই প্রভাব এবার পড়তে চলেছে রথযাত্রায় (Rath Yatra)। প্রত্যেক বছর বহু যাত্রী এই রাজ্য থেকে পুরী যান রথের দড়ি টানতে, একবার জগন্নাথদেবকে দর্শন করতে। এই বছর সেই রীতিতে বাধ সাধতে চলেছে করমণ্ডল দুর্ঘটনা। বাহানাগা বাজারের রেল লাইনে এখনও মেরামতির কাজ চলছে। তাই এই রাজ্য থেকে পুরীগামী বহু ট্রেন বাতিল হয়েছে। কোন কোন ট্রেন বাতিল (Trains cancelled), জানুন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানিয়েছেন, ২০ জুন ২০টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবারে বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে, বালাসোর-ভদ্রক মেমো স্পেশাল, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভদ্রক এক্সপ্রেস, শালিমার-বিশাখাপত্তনম এক্সপ্রেস, ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস, পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস, সাঁতরাগাছি-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস,সম্বলপুর-শালিমার এক্সপ্রেস, সেকেন্দ্রাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস। এছাড়াও ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, পুরী আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেস ১৯ জুন ১০টা ১০-এর বদলে ২০ জুন সকাল ৮টায় হাওড়া থেকে ছাড়বে।
২০ জুন কয়েকটি ট্রেনের রুটের বদল করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৮৪৭৮ যোগ নাগরী ঋষিকেশ-পুরী এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটি ঝারসুগুদা রোড-সম্বলপুর সিটি কটক হয়ে যাবে। অন্যদিকে ১৮৪৭৭ পুরী-যোগ নাগরী ঋষিকেশ-পুরী এক্সপ্রেস কটক-সম্বলপুর-ঝারসুগুদা হয়ে চলবে।
তবে চিন্তার বিশেষ কারণ নেই। জগন্নাথ ভক্তদের জন্য দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের তরফে দুটি বিশেষ ট্রেন ছাড়া হবে। এরমধ্যে রয়েছে ০৮০৩৭ এবং ০৮০৩৮ পুরী-বালাসোর রথ যাত্রা স্পেশাল ট্রেন।
আর ৪৮ ঘণ্টাও বাকি নেই মহাযজ্ঞের। ২০ তারিখ পুরীর (Puri) জগন্নাথ ধামে প্রতিবারের মতো এবারেও পালিত হতে চলেছে রথযাত্রা (Ratha Yatra)। জোর কদমে চলছে রথ সাজানোর কাজ। ইতিমধ্যেই পুরীর ধামে শুরু হয়েছে ভক্ত সমাগম। সর্বত্রই থিক থিক করছে ভিড়। জগন্নাথ দেবের স্নান যাত্রার পর, পুরীর মন্দির বন্ধ থাকে ১৫ দিন। এরপর রথের দিন খোলে মন্দির।
বিশেষ কারিগরের হাতে তৈরী হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার রথ। জগন্নাথের রথের নাম ‘নন্দীঘোষ’, ভগবান বলরামের রথের নাম 'তালধ্বজ' এবং দেবী সুভদ্রার রথের নাম হল 'দর্পদলন'। এই রথে চড়েই মন্দির ভ্রমণ করেন তিন দেবতা। রথের চাকা তৈরিতেও রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। এই মহাযজ্ঞ দেখতে প্রতিবছরই লাখো লাখো ভক্ত সমাগম হয় জগন্নাথ ধামে। হোটেলগুলিও আগাম বুক হয়ে থাকে। এই সময় নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয় মন্দির চত্বর।
জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার পুণ্য তিথিতে পুরীর ধামে তিল ধারণের জায়গা নেই। লাখো লাখো ভক্তের সমাগম হয়েছে এই মহা পুণ্য স্নান দর্শনে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্তরা আসেন এই স্নানযাত্রা দর্শনে। এদিকে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। পুরীর মহোৎসবে হিট স্ট্রোকে এদিন মৃত্যু হয় এক ভক্তের। তাঁর বাড়ি রাজস্থান। ৪৭ বছরের আম্বালাল লাইনে দাঁড়িয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর স্বেচ্ছাসেবকরা তড়িঘড়ি তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর রথের আগে জ্যৈষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীজগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা পালিত হয়। গানে প্রার্থনায় ১০৮টি সোনার কলসের জলে স্নান করানো হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিগ্রহ। শাস্ত্র মতে, এই দিনেই আবির্ভূত হয়েছিলেন জগন্নাথ দেব। কথিত আছে, যদি কেউ ভক্তিসহকারে একবার স্নানযাত্রা মহোৎসব দর্শন করেন তাঁর পাপ ধুয়ে যায়। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী মনে করা হয়, এরপর জ্বর আসে তিন ভাইবোনের। এরপর দিন ১৫ বন্ধ থাকে মন্দির।
বিনোদন জগতে ফের শোকের ছায়া। একের পর এক মৃত্যু হয়েই চলেছে বিনোদন জগতে। আদিত্য সিং রাজপুত, বৈভবী উপাধ্য়ায়, নীতেশ পাণ্ডের পর এই ভোজপুরী (Bhojpuri) পরিচালক সুভাষচন্দ্র তিওয়ারি (Subhash Chandra Tiwari)। ভোজপুরী ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক হোটেলের রুম থেকে। তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, পরিচালক সুভাষচন্দ্র এক ছবির শ্যুটিং-এর জন্য উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রায় তিরুপতি হোটেলে তাঁর টিমের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন। পুলিস সুপারইনটেন্ডড যশবীর সিং বলেছেন, 'হোটেলের কর্মীরা তাঁর ঘরের দরজা ভাঙতেই তাঁর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর দরজায় অনেকক্ষণ ধাক্কা দেওয়ার পর তিনি উত্তর না দেওয়ায় তাঁর ঘরের দরজা ভাঙা হয়। এরপরই তাঁকে মৃত অবস্থা দেখা যায়। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানার জন্য মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পরবর্তী তদন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর করা হবে।'
চলতি মাসের শুরুতেই চালু হতে চলেছে বাংলার দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। হাওড়া থেকে পুরী এবার মাত্র সাড়ে ৬ ঘণ্টায় পৌঁছবে বঙ্গবাসী। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ মে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন (Inauguration) হবে হাওড়া-পুরী (Howrah-puri) বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। বুধবার থেকেই বুকিং শুরু হচ্ছে বাংলার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিনই চলবে এই ট্রেন। ২০ মে শনিবার থেকেই নিয়মিত চলু হবে ট্রেনটি।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি উদ্বোধন করবেন। এটি ওড়িশা রাজ্য়ের প্রথম বন্দে ভারত হতে চলেছে। ওড়িশার পাশাপাশি কলকাতার ভ্রমণপ্রেমীদের কাছেও এটি যে অন্য়তম সেরা আকর্ষণ হতে চলেছে তা বলাবাহুল্য়। ১৬ কামরার বন্দে ভারতে দু’টি শ্রেণি থাকবে। হাওড়া থেকে পুরী যেতে মোট খরচ পড়বে ১ হাজার ২৬৫ টাকা। রেলের তরফে জানিয়েছে, হাওড়া থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়বে ২২৮৯৫ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। পুরী পৌঁছবে দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে। পুরী থেকে ওই দিনই দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ছাড়বে বন্দে ভারত। হাওড়া পৌছবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।
ইতিমধ্য়ে রেলের তরফে হাওড়া-পুরী রুটে বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে। হাওড়া থেকে পুরী পৌঁছনোর আগে ট্রেনটি সাতটি স্টেশনে থামবে। ট্রেনটি খড়গপুর, বালাসোর, ভদ্রক, কেওনঝার রোড, কটক, ভুবনেশ্বর এবং খুরদা রোডে থামবে বলে জানা গিয়েছে।
দুয়ারে পুরী! নেপথ্যে দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। রাজ্য পেতে চলেছে দ্বিতীয় বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেস। বাংলায় এবার শীঘ্রই হাওড়া-পুরী (Howrah-Puri) রুটে এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত। বাঙালির প্রিয় ডেস্টিনেশন 'দীপুদা'-র দা অর্থাৎ দার্জিলিংকে ইতিমধ্যে জুড়েছে হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত। এবার পু অর্থাৎ জগন্নাথ ধাম পুরীকেও জুড়তে চলেছে বন্দে ভারত। এই রুটে বন্দে ভারত চালু হলে মাত্র সাড়ে ছয় ঘন্টায় পৌঁছানো যাবে পুণ্যধাম পুরীতে।
শুক্রবার, প্রথম পর্বে হাওড়া এবং পুরীর মধ্য়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ফুল ফেইজ ট্রায়াল রান চলে। সকাল ৬:১০-এ হাওড়া থেকে পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং দুপুর ১২:৩৫-এ পুরী পৌঁছয় বন্দে ভারত। এ রাজ্যে একমাত্র খড়গপুর স্টেশনে দাঁড়াবে অত্যন্ত দ্রুতগতির এই ট্রেন।
সূত্রের খবর, ফুল ফেজ অপারেশনের আগে আরও দুই দফায় ট্রায়াল রান হওয়ার কথা। দ্বিতীয় ট্রায়াল ৩০ এপ্রিল হাওড়া থেকে ভদ্রক এবং এরপর ভদ্রক থেকে হাওড়া পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মে মাস থেকেই হাওড়া পুরী রুটে যাত্রা শুরু করতে পারে বন্দে ভারত।
ভোজপুরী অভিনেত্রী আকাঙ্খা দুবের মৃত্যুর কিনারা এখনও হয়নি। চলতি বছরে ২৬ মার্চ আত্মহত্যা করেন তিনি। পেশায় ভোজপুরী সিনেমার নায়িকা ছিলেন তিনি। একইসঙ্গে টিকটক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে একইরকম জনপ্রিয়তা ছিল আকাঙ্খার। তাঁর মৃত্যুতে এক লহমায় শোকস্তব্ধ হয়ে যায় সিনেমা জগৎ। আগের দিন রাতেও পার্টি করেছিলেন অভিনেত্রী। এমনকি মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেও ইনস্টাগ্রামে নাচের ভিডিও দিয়েছিলেন। কিন্তু কী কারণে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি, সেই রহস্য অজানা থেকে গিয়েছে।
এরই মাঝে তাঁর পুরোনো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। সেই ভিডিওতে কাঁদতে কাঁদতে বেশ কিছু কথা বলেছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী। তিনি বলেছিলেন, 'আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী থাকবে কেবল সমর সিং।' প্রসঙ্গত আকাঙ্খার মৃত্যুর পর তাঁর মা এই সমর সিংকেই তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছিলেন। তাঁকেও নাকি আকাঙ্খা একই কথা বলেছিল। এই সমর সিংয়ের সঙ্গেই আকাঙ্খা সম্পর্কে থাকার কথা বলেছিলেন সামাজিক মাধ্যমে। অভিনেত্রীর মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পরে সমর সিংকে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিস।
আকাঙ্ক্ষার এই ভাইরাল হওয়া ভিডিও বেশ কিছু প্রশ্ন তুলছে। নেটিজেনরা জানতে চাইছেন, 'তাহলে কী আকাঙ্খা তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা করেছিলেন?' আরও এক নেটিজেন প্রশ্ন তুলছেনা , 'আকাঙ্খার মৃত্যু কি সত্যিই আত্মহত্যা? নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে?'
নতুন পুরী (Puri) এলাকায় বিশ্ববাংলা ভবন তৈরির জন্য বিনামূল্যে জমি দিচ্ছে ওড়িশা (Odisha) সরকার (Goverment)। সূত্রের খবর, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক বাংলাকে দু'একর জমি দেবেন। জানা গিয়েছে, দু'একর জমির জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে একটি পয়সাও নেবেন না ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। ওই দু'একর জমির দাম প্রায় দু'কোটি টাকা। কয়েকদিন আগে ওড়িশা সফরে গিয়ে জমি পছন্দ করে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, পুরীতে বাঙালি ভ্রমণার্থীদের জন্য বিশ্ববাংলা ভবন বানাতে চায় মমতা বন্দোপাধ্যায়। সে জন্যই মার্চ মাসে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। ভুবনেশ্বরে গিয়ে তিনি পুরীর মন্দিরে পুজো দেন। সেসময় ওই জমিও দেখে আসেন। তারপরে এই জমি বিনামূল্যে বাংলাকে উপহার দেবেন বলে ঘোষণা করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী।
বিনামূল্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জমি দিয়ে সম্মান দেওয়ায় নবীন পট্টনায়কের প্রতি খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ঘটনায় দু'রাজ্যের মধ্যে অন্যতম বন্ধুত্বের ভীত গড়ে উঠল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। নবীন পট্টনায়কই বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভোজপুরি অভিনেত্রী আকাঙ্খা দুবে (Akanksha Dubey) প্রয়াত। রবিবার বারাণসীর হোটেল রুমে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিসের অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন তিনি। আকাঙ্খার মা মধু দুবের অভিযোগ, তাঁর মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী সঞ্জয় সিং ও সমর সিং। ২৫ মার্চ প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী। শনিবার রাতে ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে ভিডিও পোস্ট করেছিলেন আকাঙ্খা। সেখানে তাঁকে দেখে হাসিখুশি মনে হলেও রাতে তিনি আবারও একটি লাইভ করেন। সেই ভিডিওটি বিষণ্ণ ছিলেন অভিনেত্রী সেই স্ক্রিনশটও ছড়িয়ে পড়ে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর হেয়ার স্টাইলিস্ট।
অভিনেত্রীর হেয়ারস্টাইলিস্ট রাহুল এবং রেখা মোরে বলেন, ২৫ মার্চ একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন আকাঙ্খা। সেখানে তিনি বেশ হাসিখুশি ছিলেন। হেয়ার স্টাইলিস্ট আরও জানান, 'লায়েক হু মে নালায়ক নেহি' সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য রবিবার সকাল ৭টায় তৈরী হওয়ার কথা ছিল আকাঙ্খার। কিন্তু তিনি মেকআপ রুমে না পৌঁছালে প্রোডাকশনের এক ব্যক্তি তাঁকে ডাকতে যান। ডাকাডাকিতে সাড়া না মিললে মাস্টার কি দিয়ে দরজা খুলে দেখা যায়, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। হেয়ার স্টাইলিস্ট বলেন, 'আকাঙ্খা তাঁর সহকর্মীদের যত্ন নিতেন। অভিনেত্রীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁরাও।' ঘটনার তদন্তে নেমেছেন পুলিস।
রবিবার দুপুরে শোকের ছায়া নামল অভিনয় জগতে। প্রয়াত (Death) ভোজপুরি অভিনেত্রী আকাঙ্খা দুবে (Akanksha Dubey)। বারাণসীর একটি হোটেলে তাঁর মৃতদেহ (DeadBody) উদ্ধার হয়েছে। ২৫ বছর বয়সেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম, টিকটকেও জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। ১৮ ঘন্টা আগে অর্থাৎ শনিবার রাতে তিনি শেষ ভিডিও পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামে। ভিডিওতে চোখে-মুখে অবসাদের ছায়া নেই। তিনি যে আর কিছুক্ষণ পরেই থাকবেন না তাও বোঝার উপায় নেই। সেই ভিডিওতে তাঁকে বেলি ডান্স করতেও দেখা যায়। ভক্তরা বিশ্বাস করতে পারছেন না আকাঙ্খা আর নেই।
এক মাস আগেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে'তে সামাজিক মাধ্যমে সহ অভিনেতা সমর সিং'এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে শিলমোহর দেন। 'মেরি জং মেরা ফ্যায়সলা' ছবি দিয়ে সিনেমার জগতে হাতেখড়ি করেন। খ্যাতি অর্জন করেন, 'মুঝসে শাদি করোগি', 'সাজন' সিনেমার হাত ধরে। রবিবারেই থেমে গেল তাঁর জীবনযাত্রা। প্রাথমিকভাবে পুলিস অভিনেত্রীর মৃত্যুকে 'আত্মহত্যা' বলেছেন।আকাঙ্খার মৃত্যুর পিছনে কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
মঙ্গলবার বিজেডি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী নবীন (Nabin Pattanayak) পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করতে ওড়িশায় উড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata banerjee) বন্দোপাধ্যায়। বুধবার তিনি পুরীর মন্দিরে পুজোও দেন। এদিন পুরীতে(Puri) বাঙালি আবাসনের জন্য জমি দেখতে যান তিনি। বৃহস্পতিবার নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে বৈঠকের সূচি রয়েছে তাঁর। ওড়িশা সরকার নিউ পুরী এলাকায় বিভিন্ন রাজ্যের নিবাস বানানোর জন্য জমি লিজে দিচ্ছে। তার মধ্যে বাংলার জন্যও জমি রয়েছে। বুধবার সেই জমিই দেখতে যান মমতা। সেখানে গিয়ে ওড়িশা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯৯ বছরের লিজে জমি দেবে ওড়িশা সরকার। তবে কতটা জমি তা, এখনও চুড়ান্ত হয়নি। মমতা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে সবিস্তার কথা হবে।
তিনি বলেন, 'ওড়িয়াতে কহন্তি লেকিন হামারা ভুলভাল হো জায়েগা। আমি খুশি আছন্তি। জমি দেখন্তি, পছন্দ হন্তি, কাল হাম নবীনজিকে সাথ মিলান্তি, হাম উসকে সাথ বাত কার লেঙে। জায়গা আমার পছন্দ হয়েছে। এখানে একটা নতুন বিমানবন্দর হচ্ছে। অন্যতম ভালো জায়গা।' কাল (বৃহস্পতিবার) সৌজন্য বৈঠক। উন্নয়ন বৈঠক। বাংলা নিবাস নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
বিজেপি কিংবা কংগ্রেস-বিরোধী জোট নিয়ে নবীনের সঙ্গে কোনও কথা হবে কি না সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মমতা। এদিন তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের উত্তরে কখনও বাংলায়, কখনও হিন্দিতে, কখনও ওড়িয়া ভাষায় জবাব দেন। পুরী বাঙালির অন্যতম প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। সারা বছর পুরী ছাড়াও ওড়িশার বিভিন্ন জায়গায় বাংলার পর্যটকেরা যান। এ নিয়ে মমতা বলেন, 'বাংলার মানুষ ওড়িশাকে ফার্স্ট হোম, সুইট হোম মনে করে। বছরে পাঁচ বার আসেন অনেকে। রথ, উল্টোরথ, স্নানযাত্রা ছাড়াও ছুটিতে আসেন। অনেকেই হোটেল পান না। সেই কারণেই এখানে রাজ্যের নিবাস হওয়া জরুরি।’ নবীনকে পট্টনায়ককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি ধন্যবাদ জানাব যে উনি ভেবেছেন। কাল উনি সিদ্ধান্ত নেবেন কত একর জমি বাংলা পাবে।'