এতদিন রোগীর পরিবারের সদস্যদের হাসপাতাল (hospital) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে। তবে এবার রোগীর (patient) পরিবারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল বজবজের (Budge Budge) একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের (nursing home) রোগীর পরিবারের।
মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা নেহা পারভিন। পেটের যন্ত্রণার সমস্যা নিয়ে বজবজের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হয় রবিবার। পরিবারের লোকজন যেমনটা জানান, রাত দেড়টা নাগাদ পরিবারের লোকজনদের বলা হয় রোগীর সঙ্গে দেখা করার জন্য। এর মধ্যেই ভোরবেলা পরিবারের লোকজনের কাছে খবর আসে নেহা পারভিন মারা গিয়েছে। পরিবারের লোকজনদের রোগীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে সিকিউরিটি বাধা দেয়। রোগীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, হাসপাতালের এমার্জেন্সি গেট বন্ধ করে দেয় সিকিউরিটি। এবং হাসপাতালের অন্য একটি গেট দিয়ে বেশ কয়েকজন হাতে লাঠি, বাঁশ এবং রড নিয়ে এসে পরিবারের লোকজনের উপর চড়াও হয়। রোগীর পরিবারের লোকজনের মধ্যে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
পাশাপাশি হাসপাতালে বিল নিয়ে বচসা শুরু হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বজবজ থানার পুলিস। কিছুক্ষণ পরই হাসপাতালে পৌঁছয় বজবজ থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সহ বিশাল পুলিসবাহিনী। পুলিস পৌঁছে আহতদের খড়িবেরিয়া হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসার জন্য।
ভুল চিকিৎসার (Wrong Treatment) বলি ১৪ বছরের এক নাবালিকা (Minor)। নিউটাউন থানার অন্তর্গত প্রমোদগড় এলাকার ঘটনা। ভুল চিকিত্সার অভিযোগ তুলে উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করল ডাক্তারের চেম্বার (Doctors Chamber)। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী।
স্বর্ণালী মণ্ডল নামে বছর ১৪র এক নাবালিকাকে জ্বর এবং পেট ব্যথার চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেই ডাক্তার ভুল চিকিৎসা করে বলে অভিযোগ। যে কারণে মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে, এমনটাই অভিযোগ করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরবর্তীকালে ওই মেয়েটিকে নিয়ে যখন আরজিকর হাসপাতালে যাওয়া হয়, তখন চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন এবং সেই খবরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ক্ষিপ্ত জনতা ওই অভিযুক্ত ডাক্তারকে মারধর করে এবং তার চেম্বারটি ভাঙচুর করে। নিউটাউন থানার পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে এবং ওই চিকিৎসককে আটক করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা রয়েছে নিউটাউন প্রমোদগড় এলাকায়।
ঠিক কী ঘটেছিল, আসুন শুনে নিই মৃতের এক নিকটাত্মীয়ের কাছ থেকে।
এই ঘটনায় বাড়িতে শোকের ছায়া। মৃতের দিদির অভিযোগ, কী চিকিত্সা করা হচ্ছে, তা তাদের একবারের জন্যও বলা হয়নি। তাঁদের কাছে এটা পরিষ্কার, ডাক্তারের ভুল চিকিত্সাতেই এই মৃত্যু। তাই তাঁরা দোষীর উপযুক্ত শাস্তি চান।