মাঝ আকাশে চণ্ডীগড় থেকে কলকাতাগামী বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক যাত্রী। তড়িঘড়ি জরুরি অবতরণ করা হয় বিমানটি। শুরু হয় ডায়াবেটিসের চিকিৎসা। কিন্তু শারীরিরক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।
বিমানবন্দর সূত্র মারফত খবর, অসুস্থ ওই ব্য়ক্তির নাম বিশ্বনাথ দাম (৬০)। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড় থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর ৬০৪১ বিমানটি যখন কলকাতার আকাশে বিমানবন্দরে অবতরণের জন্য তৈরি হচ্ছিল, ঠিক সেই সময় যাত্রী বিশ্বনাথ দাম জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। যা মেডিক্যাল পরিভাষায় এলওসি নামে পরিচিত। তৎক্ষণাৎ বিমানের কেবিন ক্রু পাইলটকে জানান। পাইলট এয়ার কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিমান অবতরণের অনুমতি চান।
এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী বিমানটি অবতরণ করে। জরুরি ভিত্তিতে বিমানবন্দরের অ্যাম্বুলেন্স ছ'নম্বর পার্কিং জোনে গিয়ে পৌঁছয়। তারপর বিমানবন্দরে নামানো হয় অসুস্থ ওই ব্য়ক্তিকে। সেখানে নিযুক্ত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। তারপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার ইন্ডিয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে দুপুরে অপারেশন গেট ৫ নম্বর থেকে সহকারী যাত্রীদের দিয়ে ভিআইপি রোডে ধরে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ওই যাত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
চোখের ইঞ্জেকশন দিতে দেরি হওয়ায় মৃত্য়ু হল রোগীর। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে। রোগী মৃত্য়ুর অভিযোগ উঠেছে দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই দুই অভিযুক্ত চিকিৎসক হল অসিত কুমার চক্রবর্তী, অনির্বাণ দাস।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩রা মার্চ এই ঘটনাটি ঘটে। উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের রেহেনা বিবি। বারাসতের একটি বেসরকারি চক্ষু চিকিৎসার হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা করাতে আসেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় একটি ইনজেকশন দেওয়ার পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয় রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে। তারপর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত দুই চিকিৎসককে শোকজ করে একুশ দিনের মধ্যে জবাব তলব রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের। একুশ দিনের মধ্যে জবাব না দিলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ওই দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
ফের বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ। কাঠগড়ায় মুর্শিদাবাদ কান্দি মহকুমা হাসপাতাল। মৃতের নাম অলোক কুমার চন্দ্র। বাড়ি কান্দি পুরসভার ২নং ওয়ার্ডে।
জানা গিয়েছে, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে অলোক কুমার চন্দ্রকে ভর্তি করানো হয়েছিল বার্নিং বিভাগে। পরিবারের অভিযোগ, ভর্তি করা হলেও সেই রাত থেকে একেবারেই চিকিৎসা করা হয়নি তাঁর। অবশেষে, বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় প্রশাসন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।
কি কারণে রোগীর মৃত্যু হল, তা জানতে দেহ ময়না তদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিস। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুর করেছে পুলিস প্রশাসন। গাফিলতির অভিযোগ স্বীকার করল প্রশাসন। কান্দি হাসপাতালের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি সম্পাদিকা বিনিতা রায়।
'টাকা মাটি, মাটি টাকা'। মানুষের চরিত্র নির্মাণে মাইলফলক রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের এই বাণী। কিন্তু জীবনের ইঁদুর দৌড়ের কাঠিন্যতায় একটু একটু করে করে যেন মুছে যাচ্ছে সেই সব বাণী। সত্যিই কি টাকা ছাড়া জীবনযুদ্ধ জেতা সম্ভব? সেই প্রশ্নই ফের উস্কে দিল হাওড়ার এই ঘটনা। নগদ টাকা পায়নি হাসপাতাল। বকেয়া বিলের নগদ টাকা চেয়ে রোগীকেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ বেসরকারি এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে। উত্তর হাওড়ার গোলাবাড়ি এলাকার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর, ইউটিআই ইনফেকশন ও নিউরো সমস্যা নিয়ে হাওড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন হাওড়ার রামেশ্বর মালিয়ালিনের বাসিন্দা হিতাংশ আগরওয়াল। হিতাংশ আগরওয়ালের ১০ লক্ষ টাকার মেডিক্লেম থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা খরচ বাবদ ইন্সুরেন্স কোম্পানির তরফে অ্যাপ্রুভ্ড হয়েছিল শুধুমাত্র ১ লক্ষ টাকা। হাসপাতালের দাবি, মেডিক্লেমের টাকা বাদে বাকি টাকা ক্যাশে মিটিয়ে দিতে চাপ দেয় ওই নার্সিংহোম। অভিযোগ, এরপর গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে বকেয়া টাকা চেয়ে হিতাংশ আগরওয়ালকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় হাসপাতালের OPD IPD প্রধান এম কিউ রাজা নামের এক ব্যক্তি। শুধুমাত্র তাই নয়। জোর করে ডিসচার্জ শিটে সই করিয়ে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ খোদ রোগীর।
ওষুধের ভুল ডোজ দেওয়া, রোগীর পরিবারকে কেবিনেই আটকে রাখার অভিযোগও ওঠে হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এর আগেও অভিযোগ মিলেছিল ওই নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে, তদন্তের আশ্বাস প্রশাসনের।
কিছু দিন আগেই এ রাজ্যের চিকিৎসা ব্য়বস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসাতেও নাকি গড়বড়! সেখানে সাধারণের অবস্থা কতটা তলানিতে? টাকা ছাড়া তবে স্বাস্থ্যের চাকা এতটুকুও এগোয় না এ রাজ্যে?
মানবিকতা বলে আছে কিছু? অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের জন্য হাসপাতালে স্ট্রেচার না পেয়ে এমনই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন ছেলে। অনুপায় হয়ে ৭৫ বছরের লিভারে ক্যানসার আক্রান্ত মাকে গায়ে দেওয়ার চাদরে শুইয়ে চার কোণা দু’জনে ধরে হাসপাতালের ওয়ার্ডে নিয়ে যান ছেলে ও রোগীর পরিজনেরা। এই অমানবিকতার ছবি বৃহস্পতিবার সকালে ধরা পড়েছে রাজ্যের প্রথম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম-এ।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রিষড়া থেকে লিভার ক্যানসারে আক্রান্ত বৃদ্ধা রোগীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর পরিবার। কিন্তু অরিজিনাল আধার কার্ড না থাকায় ওই রোগীকে ট্রলি দিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনকি জেরক্স কপি দেখিয়েও কাজ হয়নি। এসএসকেএমের তরফে জানানো হয় আধার কার্ডের জেরক্স কপির কোনও ভ্যালু নেই। এরপরেই অত্যন্ত নিরুপায় এবং অসহায় অবস্থায় রোগীর বাড়ির পরিজনেরা রোগীকে চাদরে পেঁচিয়ে হাসপাতালে জরুরি বিভাগ থেকে নিয়ে যান জেনারেল সার্জারি বিভাগে।
শুধু তাই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে এসে নিরাপত্তারক্ষীদের ব্যবহার নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য এসএসকেএমে সাধারণ মানুষের জন্য পরিষেবা নেই। সেখানে চিকিৎসা করাতে গেলেই বারংবার হয়রানির শিকার হতে হয় তাঁদের।
রাজ্যের প্রথম সারির হাসপাতালগুলোর মধ্যে অন্যতম এই এসএসকেএম। কিন্তু চিকিৎসা করাতে এসে কেন বারবার রাজ্যের সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হবে সেখানে? যেখানে নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কালীঘাটের কাকু মাসের পর মাস ধরে এসএসকেএম হাসপাতালের কেবিন দখল করে থাকতে পারেন, রেশন দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের মন্ত্রীর জন্য যেখানে বেড সংরক্ষিত থাকে, সেখানে সাধারণ মানুষ আধার কার্ড আনতে ভুলে যাওয়ার কারণে কেন এভাবে হয়রানি স্বীকার হতে হচ্ছে এসএসকেএম হাসপাতালে? তাহলে কি এসএসকেএম শুধুই প্রভাবশালীদের? সাধারণ মানুষের প্রাণের দাম কি এতই কম? কেন এতটা অমানবিক এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? প্রশ্নগুলো কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।
ডাক্তার দেখাতে এসে রোগী নিখোঁজ এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM)। জানা গিয়েছে, ইসিজি রুম থেকেই নিখোঁজ সত্তরোর্ধ্ব ওই রোগী। রোগীর পরিবারের তরফে ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে এসে নিখোঁজ বৃদ্ধ রোগী। হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন মুর্শিদাবাদের ৭০ বছর বয়সী কুদ্দুস শেখ। তিনি মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ, নওদাপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। বুধবার, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ থেকে তিনি আসেন এসএসকেএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে ১১ টার মধ্যে নাগাদ কার্ডিওলজি বিভাগে ডাক্তার দেখান কুদ্দুস শেখ। এরপরই দুপুর ১টা নাগাদ তাঁকে ওই হাসপাতালের ইসিজি রুমে নিয়ে যাওয়া হলে, সেখান থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। রোগীর পরিবারের তরফে ভবানীপুর থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হাসপাতালে রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির গৌরহাটি ইএসআই হাসপাতালে। হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষোভ দেখান মৃতের আত্মীয়স্বজন। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভদ্রেশ্বর চন্দননগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করা হবে বলে পুলিস সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রবীন সিং (১৯)। বাড়ি ভদ্রেশ্বর বাবুবাজার এলাকায়। পেটে সংক্রমন হওয়ায় গত ১২ নভেম্বর ভর্তি হয় গৌরহাটি ই এস আই হাসপাতালে। এরপর গৌরহাটি থেকে বজবজ জগন্নাথ মেমোরিয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। তারপর ১৯ তারিখ সেখানেই অস্ত্রোপচার হয়। অবজারভেশনের জন্য আবার গতকাল অর্থাৎ সোমবার রাত আটটা নাগাদ গৌরহাটিতে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এরপর রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই যুবকের পরিবারকে ফোন করে জানানো হয় তাঁর অবস্থা খারাপ। হাসপাতালে এলে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছে রবীন।
হাসপাতালের এইচ ডি ইউ-২ বেডে ভর্তি ছিলেন ওই যুবক। সেই বেডের পর্দা টাঙানোর অ্যালুমিয়ান বারে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেন বলে দাবি কর্তব্যরত নার্স ও হাসপাতাল কর্মীদের। পরিবারের অভিযোগ, রোগীর জন্য আয়া রাখা ছিল, তা সত্ত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল..? এমনকি এইচ ডি ইউ এর ভিতর যেখানে স্পেশাল কেয়ার থাকে সেখানে একজন রোগী কি করে আত্মহত্যা করল তা নিয়ে হাসপাতালের নজরদারির উপর উঠছে নানা প্রশ্ন।হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি মৃতের পরিবারের।
পায়ের দগদগে ঘায়ে এক ফোঁটা ওষুধও পড়েনি। ক্ষতয় মলম বলতে কলের ঠাণ্ডা জল। কাতরাতে কাতরাতে হাসপাতালের (Hospital) বাইরেই প্রায় অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। তবু হুঁশ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। ফিরেও তাকাচ্ছেন না কোনও ডাক্তার বা নার্স। কেউ এগিয়েও এল না শুশ্রুষার জন্য? চরম অমানবিকতার ছবি নদিয়ার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। অভিযোগ, ৪ দিন আগে নদিয়ার (Nadia) নাজিরপুর হাসপাতাল থেকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। তবু হাসপাতালের ভিতরে একটু ঠাঁই মিলল না। গত ৩দিন ধরে হাসপাতালের বাইরেই ঠাঁই হয়েছে তাঁর।
বিভিন্ন সভা, মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর গর্বের বিষয় তাঁর সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির চিকিৎসা পরিষেবা। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে কি তা হচ্ছে? মাত্র এক মাস আগেই হুগলির চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালও সাক্ষী ছিল এই নির্মমতার। মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা ঘা নিয়ে রাস্তায় পরে থাকলেও এগিয়ে যায়নি হাসপাতালের কেউ। কোন অন্ধকার গ্রাস করছে রাজ্যকে? মানুষ হয়ে মানবিক হওয়া যাচ্ছে না? হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না?
অক্সিজেনের অভাবে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর (Patient) মৃত্যু (Death), গুরুতর অভিযোগ উঠল হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ক্ষোভে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন রোগীর পরিজনরা। মঙ্গলবার, রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, মৃত ওই রোগীর নাম, অঞ্জলী চৌধুরী (৭২)। বাঁকুড়ার কোতুলপুর ব্লকের সাঁইতাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এই মৃত্য়ুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন মৃত ওই রোগী অঞ্জলী চৌধুরী। মঙ্গলবার, রাত ২ টো নাগাদ শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে। রোগীর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বুঝতে পেরে অক্সিজেন দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীরা। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, একের পর এক অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে চালানো হলেও সিলিন্ডার গুলিতে কোনও অক্সিজেন ছিল না। রোগীর পরিজনদের দাবি, শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে অক্সিজেনের অভাবেই মারা যান ওই রোগী।
এরপর বুধবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলাতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কোতুলপুর থানার পুলিস। হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আর্থিক অভাবের জেরে বিনা চিকিৎসায় মানসিক ভারসাম্যহীন (Mental Patient ব্যক্তিকে পায়ে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই চিত্র দেখা গিয়েছে হুগলীর (Hooghly) ব্যান্ডেল চুঁচুড়া মগরা ব্লকের দেবান্দনপুর অঞ্চলের কাজি ডাঙ্গা হলুদ ফুল এলাকায়। সূত্রের খবর, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তির নাম কাজল পাল (৫০)। আর্থিক অভাবে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে তাঁকে। যদিও ওই ব্যক্তির আরও দুই ভাই আছে। কিন্তু তাঁরা নিজেরাই সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ফলে বাড়িতেই পড়ে রয়েছেন ওই অসুস্থ ব্যক্তি।
এই ঘটনায় ওই ব্যক্তির মা জানান, তিন ছেলের মধ্যে কাজল তাঁর বড় ছেলে। কুড়ি বছর আগে কাজলের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের তিন বছর পর তাঁদের একটি ছেলেও হয়। তবে ছেলের যখন তিন বছর বয়স, তখন কাজলের স্ত্রী বাচ্চা নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এরপর থেকেই একটু একটু করে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে কাজল, এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরও জানান, গত পনেরো বছর ধরেই এই অবস্থা ছেলের। বেশ কয়েক বছর আগে কাজল অন্যত্র চলে গিয়েছিল। তবে পাঁচ বছর আগে নিজে থেকেই বাড়িতে ফিরে আসে সে। এরপর থেকেই তাঁর মা ছেলের পায়ে লোহার চেন দিয়ে বেঁধে রাখেন। যাতে আর কোথাও যেতে না পারে।
চিকিৎসার গাফিলতিতে হাসপাতালেই এক প্রসূতি মহিলার মৃত্যু (Patient Death)। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) ফালকাটা থানার অন্তর্গত ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেছে মৃতার পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে ফালাকাটা থানার পুলিস (Police)। পুলিস ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, ওই মহিলাকে গত ১৪ তারিখ ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ডেলিভারির জন্য। এরপর ১৫ তারিখ অর্থাৎ শনিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ হাসপাতালের সি সেকশন হলে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা। সেই সময় মা ও সন্তান দু'জনেই সুস্থ ছিল। তারপর থেকেই অবস্থার অবনতি হয় ওই মহিলার। এরপরেই ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের থেকে কোচবিহার মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরিবারের দাবি, কোচবিহার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর রবিবার রাতেই ময়না তদন্তের জন্য দেহটি নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগ, ময়না তদন্তের রির্পোটে ধরা পড়েছে, ওই মহিলার পেটের ভিতরে ডাক্তারের সার্জিকাল গ্লাভস রয়ে গিয়েছিলে।
ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ডাক্তারকে ইতিমধ্যেই সাসপেণ্ড করা হয়েছে হাসপাতালের তরফ থেকে।
সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের রোগী অসহায়তার (Patient Harass) অভিযোগ উঠছে কালিয়াগঞ্জে (Kaliyaganj)। বেশ কয়েকদিন আগেই দেখা গিয়েছিল টাকার অভাবে শববাহী গাড়ি না পেয়ে, হাসপাতালের সহায়তা না পেয়ে নিজের ৫ মাসের মৃত বাচ্চাকে ব্যাগে নিয়ে বাড়ি ফেরে এক অসহায় বাবা। এই অমানবিক চিত্র আগেই দেখেছে গোটা রাজ্য। যা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই নিন্দার ঝড় উঠেছিল রাজ্য-রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু তারপরেও খুম ভাঙেনি প্রশাসনের। তাই ফের রোগীর পরিবারকে অসহায়তা করার অভিযোগ উঠছে কালিয়াগঞ্জে। তবে এবার অভিযোগ উঠছে খোদ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই রোগীর পরিবার। পুলিস সূত্রে খবর, এই বিষয় নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ওই চিকিৎসা কেন্দ্রে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিস (police)। পরে পুলিসের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
নির্যাতিত ওই রোগীর পরিবারের অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জের শিমূলতলা এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ পাল। তার গর্ভবতী স্ত্রীর চিকিৎসা চলছিল এক চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসকের কথা মতই তাঁর স্ত্রীর বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। তবে চিকিৎসকের কথা মতো রায়গঞ্জের পরীক্ষা সেন্টার থেকে এই পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলি না করে কালিয়াগঞ্জের একটি পরীক্ষা সেন্টার থেকে করানো হয়। শনিবার স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসা করতে গেলে ওই চিকিৎসক সেই রিপোর্ট না দেখেই ছুড়ে ফেলে দেন বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের তরফে। রোগীর পরিবারের দাবি, চিকিৎসকের পরামর্শ দেওয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়নি বলেই রোগীকে দেখননি চিকিৎসকের। উপরন্তু রোগী ও রোগীর স্বামী গোবিন্দ পালকে ব্যাপক হয়রানি করা হয়।
তবে এই ঘটনায় ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক। ওই চিকিৎসকের দাবি, রোগী কোথা থেকে পরীক্ষা করবে সেটি তার নিজেস্ব ব্যাপার। রোগী নাম লেখানোর পরেও নাম কেটে দেন। কিন্তু পরে তিনি নিজের স্ত্রীকে নিয়ে চেম্বারে আসেন। তাই আগামী সপ্তাহে নাম লিখিয়ে তাঁদের চিকিৎসকের চেম্বারে আসতে বলেন চিকিৎসকের। এ ছাড়া আর কোনও ঘটনা ঘটেনি চেম্বারের ভিতরে, এমনটাই দাবি করছেন চিকিৎসক।
এক রোগীর (Patient) মৃত্যুকে (Death) কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিং (Canning) মহকুমা হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে ঘটে এই ঘটনাটি। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ (Demonstration) দেখান রোগীর পরিজনরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে। ভাঙচুরের চেষ্টাও চলে হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ক্যানিং থানার পুলিস (Police) ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানিং থানার দুমকি এলাকার বাসিন্দা অনিমা বিশ্বাস বৃহস্পতিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এদিন দুপুরে সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্মও দেন তিনি। অপারেশানের পর তিনি সুস্থই ছিলেন বলে পরিবারের দাবি। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ অনিমার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় পরিবারকে।
এরপরেই মৃতার পরিবার পরিজনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সুস্থ রোগী কীভাবে মারা গেল সেই প্রশ্ন তুলে তাঁরা হাসপাতাল চত্বরেই বিক্ষোভ দেখান। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা। উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীদেরকে মারধর করে হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার চেষ্টাও করেন। এমনকি সামান্য ভাঙচুরও হয় হাসপাতালে।
পরে ঘটনাস্থলে ক্যানিং থানার পুলিস এসে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতির সামাল দেয়। মৃতদেহ রাতেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে সদ্যজাত শিশুটির চিকিৎসা চলছে মাতৃমায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিস।
চিকিৎসার গাফিলতিতে (Medicalnegligence) মৃত্যু (Death) রোগীর (Patient)। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুর লক ফ্যাকটারি রোডে অবস্থিত একটি নার্সিংহোমে। গত রবিবার, মিনতি পাঁজা নামে বছর ৪৫-এর এক রোগীকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় টিউমার অপারেশনের জন্য। অভিযোগ, ওই নার্সিংহোমে অপারেশনের পর রোগীর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) রেফার করে। এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তির পরই রাতে মারা যান ওই রোগী। মৃত্যুর খবর চাউর হতেই রোগীর আত্মীয়রা এবং গ্রামবাসীরা ওই নার্সিংহোমে চড়াও হয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
মৃতের পরিবারের লোকের অভিযোগ, চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যু হয়েছে মিনতির। বুধবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় গ্রামে। এরপর গ্রামবাসীরা মৃতদেহ নার্সিংহোমের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। কম্পিউটার, টেবিল, চেয়ার, চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং বাইক ভাঙচুর চালায়।
রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা হাওড়া আমতা রোড অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিস। মৃতের পরিবার এবং গ্রামবাসীদের একটাই দাবি, অবিলম্বে এই নার্সিংহোমকে বন্ধ করে দিতে হবে। নয়তো বহু মানুষকে এভাবে চিকিৎসার গাফিলতির কারণে প্রাণ হারাতে হবে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার গাফিলতির কথা অস্বীকার করেছে।
চিকিত্সকের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর (atient Death) অভিযোগ (Allegations)। অভিযোগ উঠেছে বাগদা (Baghdad) গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিত্সকের বিরুদ্ধে। অভিযোকারী পরিবারের পক্ষ থেকে বিএমওএইস এর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত রোগীর নাম স্মৃতি বিশ্বাস। তিনি হরিহরপুরের বাসিন্দা। শনিবার সকালে অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে আসে তাঁর প্রতিবেশীরা। অভিযোগ, অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে জরুরী বিভাগে ছিল না ডাক্তার। দীর্ঘ কুড়ি পঁচিশ মিনিট হলেও কোনও ডাক্তারের দেখা পাওয়া যায়নি। নার্স এসে রোগীকে দেখলেও ডাক্তার অনেক দেরিতে আসার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে রোগীর, দাবি পরিবারের।
মৃত স্মৃতি বিশ্বাসের ভাই শ্রীবাস বিশ্বাসের দাবি, প্রশাসনের কাছে আবেদন জানায় সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যদিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।