বিমানবন্দরে যাত্রীর ব্যাগ থেকে গায়েব প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বই বিমানবন্দরে (Mumbai Airport)। এই বিষয়ে ওই যাত্রী সহর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ব্যাগ স্ক্যান করার সময়ই ব্যাগের ভিতরে টাকা দেখতে পান দায়িত্বে থাকা বিমানবন্দরের কর্মীরা। বিমান অবতরণের পর নেমে ব্যাগ (Bag) খুলতেই টাকা উধাও। জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ওরলির বাসিন্দা অমরদীপ কপূর সিং(৫৮)। ২১ মার্চ রাত ১১টা ৫ মিনিটে বিমানে উঠে ছেলেকে নিয়ে দুবাই (Dubai) যাচ্ছিলেন তিনি। লাগেজ হিসেবে ছিল একটি ব্যাগ, যাতে রাখা ছিল ৮ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। সেই টাকায় উধাও হয়ে যায়। দুবাই থেকে ফিরে বিমানবন্দর ও থানাতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তবে বিমানে যাত্রার সময় যাত্রীদের হাতে একটি ছোট ব্যাগ রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এমনকি অন্যান্য মালপত্রের স্ক্যান হওয়ার পর তা সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিমানের মালপত্র রাখার জায়গায়। এই পুরোটার দায়িত্ব থাকে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্মীদের হাতে। সেই সময় ব্যাগ খুলে নগদ বার করে নেওয়ার ঘটনা অবিশ্বাস্য।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই টাকা রাখা ব্যাগকে বিমানবন্দর কর্মীরাই বিমানে তোলেন। এই গোটা পথের মধ্যেই কোথাও ব্যাগ খুলে টাকা বার করে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের কর্মীদের একাংশই এতে যুক্ত বলে অনুমান পুলিসের। তবে বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
বিমানের শৌচাগারে গিয়ে সিগারেট ধরানোর (Smoking) অপরাধে গ্রেফতার করা হয় এক বিমান যাত্রীকে (Passenger)। অসম থেকে বেঙ্গালুরুগামী ইন্ডিগো বিমানের (Indigo Flight) এক ব্যক্তি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। যার ফলে বিমানের শৌচাগারে গিয়েই সিগারেট ধরিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত দেড়টা নাগাদ রানওয়ে ছেড়ে বিমান আকাশে উড়তেই ওই ব্যক্তি আসন ছেড়ে ধীরে ধীরে শৌচাগারের দিকে যেতে থাকে। ঠিক সেই সময় পাশের কেবিনের একজন সহযাত্রীর বিষয়টি নজরে পড়ে। ওই ব্যক্তিকে সিগারেট হাতে পাকড়াও করেন ওই সহযাত্রী। রবিবার একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, ইন্ডিগো সিক্স ই সেভেন ওয়ান সিক্স বিমানের যাত্রী ছিলেন ওই অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই একইরকম ঘটনা ঘটে লন্ডনে। তাঁর বিরুদ্ধে বিমানের শৌচাগারে সিগারেট খাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নামতেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে।
জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) ভয়াবহ দুর্ঘটনা (Bus Accident)। খাদে বাস পড়ে ৫ জন যাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যু (Death) হয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় একটি যাত্রীবাহী মিনি বাস খাদে উলটে পড়ে। ১৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বিল্লাওয়ারের ধানু পারোল গ্রামে। পুলিস জানিয়েছে, কৌগ থেকে ড্যানি প্যারোলে্র দিকে যাওয়ার সময় বাসটি গভীর খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। আর পঞ্চম জন চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায়। আহত ১৫ জনকে বিল্লাওয়ারের সাব জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস। ভারতীয় সেনারাও উপস্থিত হয়। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন জওয়ানরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বিল্লার থানার পুলিস।
মাদুরাই থেকে দিল্লির (Madurai-Delhi) দিকে রওনা হওয়া ইন্ডিগোর বিমানে (IndiGo flight) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক যাত্রী (Passenger)। বিমানটি তখন মাঝ আকাশে। যাত্রীর অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছিল, তাঁর মুখ থেকে রক্ত বেরোতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি অবতরণ (Emergency Landing) করা হয়। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Death) ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, ওই যাত্রীর নাম অতুল গুপ্ত (৬০)।
সূত্রের খবর, দিল্লি পৌঁছনোর আগেই বিমানটিকে ইন্দোরে দেবী অহল্যাবাই হোলকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়। তারপর সঙ্গে সঙ্গে ওই প্রৌঢ় যাত্রীটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।
বিমানবন্দরের ডিরেক্টর ইনচার্জ প্রবোধ চন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, “প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অতুল গুপ্ত ইন্ডিগোর বিমান ৬ই-২০৮৮-এর যাত্রী ছিলেন। তাঁর মুখ থেকে রক্তপাত হচ্ছিল এবং মাঝ আকাশেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ বিমানটি জরুরি অবতরণ করে।”
এয়ারপোর্ট থেকে ওই ব্যক্তিকে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানকার ডাক্তাররা জানান, তিনি হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। বিমান অবতরণের পরেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
মাদুরাই থেকে দিল্লিগামী বিমানটি শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছয়। পুলিস জানিয়েছে, মৃত যাত্রী নয়ডার বাসিন্দা। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তার পর তা তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।
ফের খবরের শিরোনামে বিহার (Bihar)। কখনও ট্রেনের কামরা চুরি তো আবার কখনও ট্রেন থেকে তেল চুরি। এবার ট্রেনের একটি বগিকে (Train Compartment) লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর (Stone Pelting)। আর তাতে ৬ সাধারণ যাত্রী সহ আহত হয়েছেন মোট ১১ জন। টিকিট পরীক্ষক সহ রেলের পাঁচ কর্মী আহত। ঘটনাটি শুক্রবার রাতে বিহারের মাধেপুর জেলার সমস্তিপুর ডিভিশনের। রেল সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ট্রেনের একটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্রের খবর, ০৫২৯৯ নং প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি সহর্ষ থেকে বিহারিগঞ্জে যাচ্ছিল। বুধমা স্টেশনে থামতেই ঘটে বিপত্তি। ইঞ্জিন লাগোয়া বগিকে লক্ষ্য করে একদল উত্তেজিত জনতা পাথর ছুড়তে শুরু করেন। তখন ওই বগিতে চলছিল টিকিট চেকিং। ঘটনায় টিকিট চেকার-সহ সাধারণ যাত্রীরা আহত হন। কারও মাথায়, কারও হাতে বা পায়ে পাথর লাগে।
রেলের এক কর্মী জানান, কেন এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝতেই পারছেন না। সেসময় তাঁরাও ট্রেনের মধ্যে ছিলেন। সকলে নিজেকে বাঁচাতে ট্রেনের আসনের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁর অনুমান, টিকিট পরীক্ষা করা হচ্ছিল বলেই ওই বগিকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে এই হামলা।
রেল পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের খুঁজে বের করা হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
'ট্রেন লেট্' (Late Train) শব্দটা সকলেরই কম-বেশি জানা। বিশেষ করে ডেইলি প্যাসেঞ্জারদের কাছে এটি খুব সাধারণ বিষয়। তবে দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে দেরির সময়সীমা লোকাল ট্রেনের থেকে অনেকটাই বেশি। এমনও হয়েছে কখনও কখনও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা দেরি। আবার কখনও তা বেড়ে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টাও হয়েছে। ফলে ট্রেন দেরি করছে ভারতীয় রেলের কাছে খুবই স্বাভাবিক বিষয়।
তবে এতদিন দেখ যেত ট্রেন লেট করার জন্য যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাত। কখনও স্টেশন চত্বরে ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছে। এছাড়া যাত্রীদের মধ্যে বিরক্তি দেখা যায়। ক্ষেপে গিয়ে নানা কথাও বলে থাকেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা গোটা ধ্যানধারণাকেই পাল্টে দিয়েছে। ট্রেন লেট করার কারণে অসুবিধে হলেও ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গে হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন একদল যাত্রী।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়। দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষারত তা বোঝা যাচ্ছে। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে উঁকিঝুঁকি মারছেন অনেকে। আবার কেউ পায়চারি করছেন। কিছুক্ষণ পরেই দূরে একটা আলোর বিন্দু দেখতে পাওয়া গেল। যাত্রীদের ধরে যেন প্রাণ এল অবশেষে। সেই আলো ধীরে ধীরে আরও কাছে এগিয়ে এল। এবার স্পষ্ট হল ট্রেনের ইঞ্জিন। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে ঢুকতেই এক দল যাত্রী আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়লেন। হাততালি দিয়ে, নেচে ট্রেনটিকে স্বাগত জানালেন। আবার মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণামও সেরে নিলেন একজন। ৯ ঘন্টা দেরিতে ট্রেন শেষমেশ স্টেশনে ঢুকেছে। আর তাই দুঃখের মাধ্যমে উদযাপন না করে আনন্দের মধ্যে দিয়ে পালন করলেন। যদিও ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সিএন পোর্টাল।
Our train got late by 9 hours. This is how people reacted when it arrived. pic.twitter.com/8jteVaA3iX
— Hardik Bonthu (@bonthu_hardik) November 27, 2022
রবিবার হার্দিক বোন্টু নামে এক টুইটার গ্রাহক ভিডিওটি শেয়ার করেন। ক্যাপশনে লেখেন, “আমাদের ট্রেন ৯ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছল। দেখুন কী ভাবে যাত্রীরা উল্লাসে মেতেছেন।”
লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে মালগাড়ি (Rail Accident)। ঘটনায় এক শিশু-সহ একাধিক ব্যক্তির মৃত্যু (Death), আহতও একাধিক। দুর্ঘটনা ঘটেছে ওড়িশার (Odisha) জাজপুর জেলার কোড়াই স্টেশনে। সোমবার সকালে স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। ভদ্রক থেকে কটকের দিকে যাওয়া মালগাড়িটি হঠাৎ লাইনচ্যুত হয়ে প্ল্যাটফর্মের উপর উঠে যায়। আর তাতে ঘটে বিপত্তি। এতে হাওড়া থেকে ভুবনেশ্বরগামী একাধিক ট্রেন বাতিল।
পূর্ব উপকূল রেলওয়ে জানিয়েছে, ঘটনাটি সকাল ৬.৪৫-র। সে সময় কিছু লোক যাত্রীবাহী ট্রেনের জন্য প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করছিলেন। ডোঙ্গোয়াপোসি থেকে ছত্রপুর যাওয়ার পণ্যবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং আটটি ওয়াগন প্ল্যাটফর্ম এবং ওয়েটিং হলের উপর ধাক্কা দেয়, এতেই প্রাণহানি।
এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। লাইনচ্যুত হওয়ার কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার কারণে বাতিল করা হয়েছে কয়েকটি দুরপাল্লার ট্রেন। ব্যাহত হয়েছে ভুবনেশ্বর-হাওড়াগামী আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল।
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক শোকসন্তপ্ত পরিবারগুলির প্রতি তাঁর সমবেদনা জানিয়েছেন এবং ঘটনায় নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান ঘোষণা করেছেন। তিনি প্রশাসনকে উদ্ধার অভিযান দ্রুত করতে এবং আহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর পাশাপাশি যাত্রীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি নিহতদের প্রত্যেকের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষণা করেছেন। গুরুতর আহতদের জন্য ২ লক্ষ টাকা এবং সামান্য আহতদের জন্য ২৫,০০০টাকা অনুদান ঘোষণা করেছেন।
আজকাল কোথাও যেতে গেলে অনেকেই ক্যাব (Cab) বুক করে থাকেন। তবে অনেকসময় দেখা যায়, ক্যাব ড্রাইভাররা নির্ধারিত সময়ে আসছেন না। অনেকে আবার খারাপ ব্যবহারও করেন যাত্রীদের সঙ্গে। সম্প্রতি উবের (Uber) নামক অনলাইন (Online) ক্যাব সংস্থাকে দেরি করে আসার কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হল। যাত্রী পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। সেকারণে ২০ হাজার টাকা জরিমানা (Fine) করল মুম্বইয়ের (Mumbai) এক আদালত। এক মহিলা যাত্রী অভিযোগ করেছিলেন, উবের গাড়ি দেরি করার কারণে তিনি বিমানে উঠতে পারেননি।
ঘটনাটি ২০১৮-র। এরপর থেকে আদালতে মামলা চলছিল। অভিযোগকারী কবিতা শর্মার মুম্বইয়ের ডোম্বিভলির বাসিন্দা, পেশায় আইনজীবী। তিনি জানান, তাঁর বাড়ি থেকে ছত্রপতি শিবাজি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দূরত্ব প্রায় ৩৬ কিলোমিটার। আর ফ্লাইট ছিল সন্ধ্যা ৫টা ৫০ মিনিটে। সে কারণে তিনি সাড়ে ৩টে নাগাদ বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য উবের ক্যাব বুক করেছিলেন।
কবিতার অভিযোগ, প্রথমত, ওই ক্যাবচালক আসতে ১৪ মিনিট দেরি করেন। তারপর তাঁকে সোজা পথ দিয়ে নিয়ে না গিয়ে ঘুরপথ দিয়ে নিয়ে যান। এমনকি গাড়ির জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি (সিএনজি) কিনতেও থেমেছিলেন। যার ফলে কবিতা ফ্লাইট ধরতে পারেননি। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, বুক করার সময় ক্যাব ভাড়া দেখাচ্ছিল ৫৬৩ টাকা। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে ৭০৫ টাকা নেওয়া হয়েছিল।
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারক তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ হিসাবে কবিতাকে ২০ হাজার টাকা দেবে উবের। এর মধ্যে ১০ হাজার টাকা মামলার খরচ আর বাকি ১০ হাজার কবিতার মানসিক চাপ বাড়ানোর কারণে।
ঠিক মতো দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলেন না। সমানে টলছিলেন দুই যাত্রী (passenger)। নিজেদের সামাল দিতে না পেরে সিকিউরিটি পোর্টালের (Security portal) সামনে হুড়মুড়িয়ে মেঝেতে পড়ে যান। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা কোনওভাবে টেনে তোলেন তাঁদের। এবং বিমানবন্দরের টার্মিনাল (airport terminal) থেকে বাইরে বার করে দেন ওই দুই মদ্যপ অবস্থায় থাকা যাত্রীকে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের (Kolkata Airport) অন্তর্দেশীয় টার্মিনালের ই-পোর্টালের কাছে।
বিমানবন্দর সূত্রে খবর, পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, কোনওভাবেই দুই যাত্রী নিজেদের সামাল দিতে পারছিলেন না। মদ্যপ অবস্থায় বিমানে উঠতে দেওয়া নিয়মের বাইরে। তাই তাঁদের আটকানো হয়েছিল বলে জানায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে দুই ভারতীয় ইন্ডিগোর বিমানে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আসেন চেন্নাই যাওয়ার জন্য। কলকাতা থেকে তাঁদের কানেক্টিং ফ্লাইট ছিল। অভিযোগ, দুই যাত্রী সিকিউরিটি পোর্টালের কাছে অচেতন হয়ে পড়েছিলেন দীর্ঘক্ষণ। বিমান সংস্থার কর্মীরা চিকিৎসক নিয়ে এসে তাঁদের পরীক্ষা করালে জানা যায় দুজনেই অতিরিক্ত মাত্রায় মদ্যপান করেছেন। এরপর তাঁদেরকে বিমানে তুলতে অস্বীকার করে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার কর্মীরা। পরে নিরাপত্তা রক্ষীরা দুজনকেই টার্মিনালের বাইরে বার করে দেন।