দেশবাসীর জন্য সুখবর! প্রায় তিন বছর করোনা (Corona Virus) মহামারীতে ভুগতে হয়েছে বিশ্ববাসীকে। করোনার দাপট কমে গেলেও মাঝে ফের কোভিড মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। জানা গিয়েছিল, কোভিডের ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ফলেই ফের করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে এবারে আর ভয় নেই। কারণ আজ থেকে দেশে চালু হল ওমিক্রনের (Omicron) বুস্টার ভ্যাকসিন 'জেমকোভ্যাক-ওম (GEMCOVAC-OM)। ২৪ জুন, শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং কোভিডের জন্য একটি ওমিক্রন-নির্দিষ্ট এমআরএনএ-ভিত্তিক বুস্টার ভ্যাকসিন চালু করলেন।
ড্রাগ কন্ট্রোলের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন এই ডোজটি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শনিবার একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, GEMCOVAC-OM হল ভারতের প্রথম mRNA ভ্যাকসিন যা Gennova দ্বারা দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি (DBT) এবং বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ অ্যাসিসট্যান্স কাউন্সিল (BIRAC)-এর অর্থের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া কয়েকদিন আগেই এই ভ্যাকসিনটির জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ড. জিতেন্দ্র সিং জানান, প্রথমবার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বুস্টার ভ্যাকসিন চালু করা হল। যাঁরা কো-ভ্যাকসিন বা কোভিশিল্ডের দু-টি ডোজ নিয়েছেন, তাঁরা এই বুস্টার ডোজটি নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এটি একটি থার্মোস্টেবল ভ্যাকসিন। অর্থাৎ এই ভ্যাকসিনের জন্য mRNA-ভিত্তিক ভ্যাকসিনগুলির মতো 'কোল্ড চেইন' পরিকাঠামোর প্রয়োজন হয় না। এর ফলে সহজেই দেশের যে কোনও প্রান্তে এই ভ্যাকসিন পাঠানো সম্ভব। এছাড়াও প্রথাগত সিরিঞ্জের পরিবর্তে একটি সুঁচ-মুক্ত ইনেজেকশন ডিভাইস সিস্টেম ব্যবহার করে বুস্টার ডোজটি নেওয়া যাবে।
করোনার (Covid19) গ্রাফ ফের ঊর্ধ্বমুখী। নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে করোনা ভাইরাস। শুক্রবারই রিপোর্টের ভিত্তিতে তথ্য এসেছিল যে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩হাজার ৯৫ জন। চলতি বছরে এটিই দৈনিক সংক্রমণের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ। আর পরের দিন শনিবার জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৯৪ জন। এর ফলে সক্রিয় আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩৫৪-এ। দৈনিক সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। তবে নতুন করে কোভিড আক্রান্ত বৃদ্ধির কী কারণ, এই নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারতে বর্তমান সংক্রমণ বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে ওমিক্রনের XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট। হু-র তরফে বলা হয়েছে, ২২টি দেশ থেকে ওমিক্রনের XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্টের প্রায় ৮০০ জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই ভারতের। সেখানে দেখা গিয়েছে, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্ট অন্যগুলির থেকে এগিয়ে রয়েছে। হু-র তরফে বলা হয়েছে, XBB.1.16 ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে XBB.1.5 ভ্যারিয়েন্ট-এর অনেকাংশে মিল রয়েছে। ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্ট আগেরটির থেকেও দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে হু।
তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়লেও তেমন ভয়ের কোনও কারণ নেই। ফের সতর্ক হলেই বা করোনার একাধিক নির্দেশিকা মেনে চললেই আক্রান্ত হওয়ার থেকে দূরে থাকতে পারবেন। ফের মাস্ক পরা, বারবার হাত ধোয়া, জনবহুল জায়গা এড়িয়ে চলা, এসব মেনে চললেই করোনার সংক্রমণ কমতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
নতুন বছরে বাংলায় করোনায় প্রথম মৃত্যু। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ৭ জানুয়ারি করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ট্যাংরার বাসিন্দা গিরিশ চন্দ্র দাসের। গিরিশবাবু দাস ট্যাংরা সেকেন্ড লেনের বাসিন্দা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। ৫ জানুয়ারি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত বছর ২০ ডিসেম্বর করোনায় এই রাজ্যে শেষ মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, ওমিক্রনের নতুন উপপ্রজাতি উদ্বেগের কারণ হতে চলেছে। এমনটাই আশঙ্কা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। চিনের করোনা পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। ইংরাজি নতুন বছরে সে দেশে সংক্রমণ বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল একটি মার্কিন সংস্থা। লন্ডনের এক গবেষণা সংস্থার দাবি, জানুয়ারির শেষ দিকে চিনে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছুঁতে পারে ২৫ হাজার। ২৩ জানুয়ারি করোনায় মৃত্যুর হার শিখর ছুঁতে পারে।
চিনে সংক্রমণ (Covid19) ছড়ানো করোনার নতুন উপপ্রজাতি যাতে ভারতে সংক্রামক না হয়, সেই লক্ষে কোভিড ঠেকাতে আরও কড়া পদক্ষেপ মোদী সরকারের (Modi Government)। অন্য দেশ থেকে যারা ভারতে নামছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও সাবধান হওয়ার নীতি গ্রহণ করছে কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অবিলম্বে বিশ্বের ছয় দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের উপর জারি হবে নতুন বিধি (Strict Restriction)। ওই দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক করছে মোদী সরকার। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ রিপোর্টে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, গত ২ দিনে বিদেশ থেকে ভারতে আসা ৩৯ পর্যটকের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। ভারত মহাসাগর সংলগ্ন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পিটিআই জানিয়েছে, এই ৬টি দেশ থেকে আসা পর্যটক অথবা এই দেশ ঘুরে দেশে ফেরা যাত্রীরা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই ভারতে ঢুকবে আগামী সপ্তাহ থেকেই চালু হতে পারে এই নতুন নিয়ম।
চিনে সংক্রমণ (Covid19) ছড়ানো করোনার নতুন উপপ্রজাতি যাতে ভারতে সংক্রামক না হয়, সেই লক্ষে কোভিড ঠেকাতে আরও কড়া পদক্ষেপ মোদী সরকারের (Modi Government)। অন্য দেশ থেকে যারা ভারতে নামছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আরও সাবধান হওয়ার নীতি গ্রহণ করছে কেন্দ্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, অবিলম্বে বিশ্বের ছয় দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের উপর জারি হবে নতুন বিধি (Strict Restriction)। ওই দেশগুলি থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক করছে মোদী সরকার।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশেষ রিপোর্টে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, গত ২ দিনে বিদেশ থেকে ভারতে আসা ৩৯ পর্যটকের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। ভারত মহাসাগর সংলগ্ন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, তাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। পিটিআই জানিয়েছে, এই ৬টি দেশ থেকে আসা পর্যটক অথবা এই দেশ ঘুরে দেশে ফেরা যাত্রীরা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই ভারতে ঢুকবে আগামী সপ্তাহ থেকেই চালু হতে পারে এই নতুন নিয়ম।
সামনে উৎসবের মরশুম, নতুন ইংরেজি বছর। ইংরেজি নববর্ষে (New Year) নতুন শুরু করতে কোমর বাঁধছে বিশ্ব। পিছিয়ে নেই ভারতও। বড়দিন (XMas Day) এবং বছরের শেষদিনকে উপভোগ করতে সব প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। কিন্তু চিনে করোনা সংক্রমণের (Corona Infection) বিস্ফোরণ নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অন্দরে। যদিও তারা ধীরে সুস্থে পা ফেলতে নজরদারি চালাচ্ছে। কিন্তু সূত্রের খবর, করোনা ভাইরাসের যে নতুন উপরূপ চিনে মাথাচাড়া দিয়েছে, তার খোঁজ মিলেছে ভারতেও।
ইতিমধ্যে ৪ জনের দেহে করোনার ওই নতুন উপরূপের খোঁজ মিলেছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন বিএফ.৭। জানা গিয়েছে, আক্রান্তরা গুজরাত এবং ওড়িশার বাসিন্দা। চিনে নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্তে কড়া কোভিড বিধি জিংপিংয়ের দেশে। কড়াকড়ি এতটাই যে সরকার- বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে চিনে।
এদিকে জানা গিয়েছে, ভারতে Omicron BF-.7-র প্রথম আক্রান্তের খোঁজ মেলে অক্টোবরে। গুজরাতের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে ধরা পড়ে ওই উপরূপ। এর পরে গুজরাতেই আরও এক আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়। এ ছাড়া, ওড়িশায় দু’জনের দেহে মেলে করোনার নতুন উপরূপের হদিস। এই অবস্থায় এখনই যাতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী না হয়, এমনটাই পরামর্শ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে এসেছে।
রোগ প্রকোপের ভয়াবহতা কাটিয়ে সবে যখন দেশ ধাতস্থ হচ্ছিল, তখন করোনার (Coronavirus) সংক্রমণ হঠাৎ করে গতি পাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। তার মধ্যে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে এসেছে করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন (omicron)। তবে দেশবাসীর জন্য সুখবর। ওমিক্রনের নয়া রূপ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নজরে রেখে একটি প্রতিষেধক তৈরি করে নজির গড়ল মডার্না (Moderna)। আর এই সংস্থার ওমিক্রন ভ্যাকসিনটির (Vaccine) ব্যবহারে প্রথম স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন।
সোমবার ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘মডার্নার তৈরি প্রতিষেধককে নতুন রূপ (আপডেটেড ভার্সান) দেওয়া হয়েছে। করোনার দুই প্রজাতির সংক্রমণ রুখতে পারবে এই টিকা।’’
উল্লেখ্য, বেশ কয়েক বার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর এই টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মডার্নার বুস্টার টিকা ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ রুখতে সক্ষম। শুধু তাই নয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে এই প্রতিষেধক। ওই প্রতিষেধক শুধু ওমিক্রনকে আটকাবে না, করোনাভাইরাসের আগের রূপগুলিকেও রুখে দিতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে মডার্নার তরফে।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রন XE প্রজাতি যা ব্রিটেনে পাওয়া গিয়েছিল ২০২২ এ বর্তমানে মুম্বই ও গুজরাতে সনাক্ত করা গিয়েছে। ওমিক্রনের চেয়েও ১০ শতাংশ দ্রুত ছড়ায় এই প্রজাতির করোনা। ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি জানায়, XE ভাইরাসের উপসর্গ করোনার অন্যান্য প্রজাতির উপসর্গের মতোই। হাঁচি এবং গলা ব্যথার মতো উপসর্গ থাকছে। এছাড়াও জ্বর, কাশি এবং স্বাদ বা গন্ধ হারানোর মতো লক্ষণও রয়েছে। শ্বাসকষ্ট, ক্লান্ত বোধ, শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, নাক বন্ধ বা সর্দি, খাওয়ার ইচ্ছে কমে যাওয়া, ডায়রিয়ার মতো উপসর্গও থাকছে।