চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্য়ুর অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে নার্সিংহোমের চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে মৃতের আত্মীয়স্বজন। বুধবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙ্গা থানার অন্তর্গত মছলন্দপুরে একটি নার্সিংহোমে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে ব্য়পক উত্তেজনা। জানা গিয়েছে, মৃত প্রসূতির নাম মোমিনা বিবি। বাড়ি স্বরূপনগর থানার উত্তর কাজদহ এলাকায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গোবরডাঙা থানার বিশাল পুলিস বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে আনুমানিক ৯:৩০ টা নাগাদ নার্সিংহোমে ভর্তি হন ওই গর্ভবতী মহিলা। এরপর বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ একটি শিশু কন্যার জন্ম দেন তিনি। তারপরে ওই মহিলার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁর বাড়ির লোকেরা নার্সিংহোমের কর্তৃপক্ষকে জানায়। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা এবং নার্সেরা কোনোভাবেই কথা শোনে না বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের তরফ থেকে। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ওই গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয় কিন্তু নার্সিংহোমের তরফ থেকে সেই মৃত্যুর খবর দেওয়া না বলে অভিযোগ পরিবারের।
ফের বোমা বিস্ফোরণ। দেগঙ্গার পর এবার কদম্বগাছিতে বোমা বিস্ফোরণে আহত এক যুবক। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম কারিবুল ইসলাম।
আহত যুবক জানিয়েছে, এদিন সকাল দশটা নাগাদ কারিবুল ইসলাম তাঁর শাশুড়ির সঙ্গে কাঠ কাটতে গিয়েছিলেন। সেই সময় হঠাৎ একটা বিকট শব্দতে কেঁপে ওঠেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে যায়। তারপরেই জানা যায় যে ওই কাঠের নিচে বোমা ছিল। আর সেই বোমা ফেটে জখম হয়েছেন কারিবুল ইসলাম। তাঁর হাতে আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। এরপর বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে স্থানীয়রা গিয়ে তড়িঘড়ি আহত ওই যুবককে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার দেগঙ্গায় বলকে বোমা ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে আহত হয় এক কিশোর। জানা গিয়েছে, তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে পড়ে ছিল একটি ব্যাগ। আর সেই ব্যাগ খুলতেই বের হয় বোমা। সেই বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে জখম হয় ওই কিশোর। রাজ্যে একাধিকবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে মানুষের মধ্য়ে।
সদ্যোজাতকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পাচারকারী। তারপর রূদ্ধশ্বাস তদন্ত। মায়ের কোলে শিশু ফেরাল বাদুড়িয়া থানার পুলিস। পাচার চক্রের পর্দাফাঁস, গ্রেফতারি। যেন এক থ্রিলার সিনেমার প্লট। ১৪ দিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার বেঁড়াচাপার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বসিরহাটের আগাপুর গ্রামের এক গৃহবধূ। ওই প্রসূতির একটু বেশিই যত্ন নিতেন নার্সিংহোমের আয়া পারভিনা ওরফে টুম্পা খাতুন। কথার মন্ত্রে মুগ্ধ হন প্রসূতি। তারপরই কোলের শিশু উধাও।
অভিযোগ, সদ্যোজাতকে চুরি করে নদীয়ার তেহট্টে চম্পট দেন অভিযুক্ত আয়া। শিশু-পরিবারের অভিযোগ পেয়েই বাদুড়িয়ার এসডিপিও অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্রের নির্দেশে ও বাদুড়িয়া থানার আধিকারিক সিদ্ধান্ত মণ্ডলের নেতৃত্বে একটি গঠিত হয় তদন্ত টিম। শেষে আয়ার ফোন নম্বর ট্র্যাক করে নদীয়ার তেহট্ট থেকে পাকড়াও করা হয় মূল পাণ্ডা ওই আয়া সহ আরও ২ সাগরেদ অরূপ সরকার ও মণিরুল মণ্ডলকে। জেরায় ফাঁস হয় মোটা টাকার বিনিময়ে শিশু বিক্রির চক্রান্ত।
চেনা হাতের স্পর্শ পেতেই কান্না থামিয়েছে একরত্তি, ঠোঁটের কোণায় বোধহয় ফুটে উঠল বাঁকা হাসি। আর কোনও শিশু যেন মায়ের কোলছাড়া না হয়। পাচার চক্রের মূল খুঁজতে উঠে পড়ে লেগেছে পুলিস।
বারাসতের আমডাঙার আড়খালিতে হাতেনাতে ধরা পড়ল চোর। বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকায় চুরি হচ্ছিল। এই চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেন এলকাবাসী। চুরি করার অভিযোগে ঘরে আটকে ওই যুবকের ওপর চলে গনধোলাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিস যাওয়ার পর পুলিসের সামনেই বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি, দিনদিন যেন এলাকায় বেড়েই চলেছে নেশাগ্রস্থদের সংখ্যা। সেই জন্য় নেশার টাকা যোগাড় করতে না পেরে এলাকায় প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে চুরি। এই চুরি যাওয়ার ঘটনায় প্রশাসনিক নজরদারির অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ স্থানীয়দের। এলাকায় পুলিসি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে চোর সন্দেহে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় আমডাঙ্গা থানার পুলিস।
গলার নলি কাটা। ঝলসে গিয়েছে মুখ। কাকরোল ক্ষেতের মাঝে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে বছর কুড়ির এক তরুণী। দেহের পাশে চাপ চাপ রক্ত। শুকিয়ে তা জমাট বেধেছে। সাতসকালে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (Indo-Bangladesh Border) গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গুনরাজপুর গ্রামে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই তরুণী বাংলাদেশি কিনা, তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে। চাষিরা তড়িঘড়ি খবর দেয় স্বরূপনগর থানা পুলিসকে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিস। যৌন নির্যাতন করা হয়েছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালবেলা স্থানীয় চাষিরা ক্ষেতে কাজ করতে এসেছিলেন। তখন ক্ষেতের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শী এক মহিলা জানিয়েছেন, যুবতীর গলার নলি কাটা ছিল। তাঁর মুখও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহের পাশ থেকে একটি ব্যাগ, একটি ফেশওয়াশের বোতল, পেস্ট, লিপস্টিক পাওয়া গিয়েছে।
ওই তরুণী বাংলাদেশের বাসিন্দাও হতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এখনও পর্যন্ত তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রমাণ লোপাট করতেই মুখ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে স্বরূপনগর থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালের পুলিস মর্গে পাঠিয়েছে।
লক্ষ্য কুটির শিল্প বৃদ্ধি। অভুক্ত, দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে একমুঠো অন্ন জোগানো। সেই কুটির শিল্প কি? 'বাজি হাব'। এর আগে এগরা, দত্তপুকুরের মতো বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের সাক্ষী থেকেছে বাংলা। তবে এটা বেআইনি নয়, উত্তর ২৪ পরগনার (North24Parganas) বনগাঁ মহকুমা চৌবেড়িয়া (Chowberia) এলাকায় একটি বাজি হাব তৈরির পরিকল্পনা করেছে খোদ প্রশাসন। চৌবেড়িয়া এলাকায় জেলা পরিষদের অধীনে থাকা ৮ একর জমিতে তৈরি হবে বাজি (Fire Crackers) হাব। সুরক্ষিতভাবে তৈরি হবে পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি। মানুষের আগ্রহের কথা মাথায় রেখেই নাকি এই সিদ্ধান্ত। তবে এলাকার মানুষ ঠিক কী বলছেন, কী চাইছেন.. ঘুরে দেখল সিএন।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাজি কারখানা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কোনও আলোচনাই হয়নি প্রশাসনের। পঞ্চায়েত অফিসে বসেই তৈরি হয়েছে বাজি হাব তৈরির ম্যাপ। এমনকি প্রশাসনিক কর্তারা এসেও জমি দেখে গিয়েছে। রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন চৌবেড়িয়া গ্রামের মানুষ। তাঁরা কোনওমতেই চাইছেন না আরেক দত্তপকুর, এগরাকাণ্ড ঘটুক চৌবেড়িয়ার মাটিতে।
যমুনা-পার্বতী নদীর সংযোগস্থল এলাকাতেই বাজি হাব হওয়ার কথা। এলাকার মানুষদের প্রশ্ন, তাহলে বর্জ্য পদার্থ যাবে কোথায়? মৎস্যজীবীদের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। একইসঙ্গে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, প্রয়োজনে জনমত তৈরি করে রোখা হবে বাজি হাব নির্মাণ। যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে গ্রামে সচেতনামূলক অভিযান প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন তৃণমূল পরিচালিত বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
প্রায় কয়েক মাসের ব্যবধানে রাজ্যের একাধিক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। রক্তাক্ত হয়েছে দত্তপুকুর, এগরা, চম্পাহাটি। এই অবস্থায় চৌবেড়িয়ায় সরকারি উদ্যোগে বাজি হাব করা কতটা যথাযথ, প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরাও।
রাজ্য জুড়ে দুষ্কৃতীরাজ! ফের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) টিটাগড়ে (Titagarh) খুন। মঙ্গলবার রাতে দুধ ব্যবসায়ী বিনোদ সাউ নামের বছর ৩০-এর এক যুবককে বাড়ির সামনে থেকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গলায় ফাঁস দিয়ে খুন (Death) করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করেছে পুলিস। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব প্রতিবেশীরা। তাঁদের কথায়, এলাকাবাসীর গর্ব ছিল বিনোদ। তাঁর উপস্থিতিতে মেয়েরা ছিল সুরক্ষিত। বিনোদের মৃত্যুতে বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
পুলিস সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন আগে মহ. মুরতাজা নামের এলাকার এক যুবকের সঙ্গে মারামারি হয় বিনোদ সাউয়ের। তারই বদলা নিতে খুন করা হয় বিনোদকে? তবে কী পুরনো শত্রুতার জের? ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহ.মুরতাজা সহ ৩জনকে গ্রেফতার করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর সুরাজ প্রসাদ। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। কটাক্ষ বিজেপি নেতা কুন্দন সিং-এর।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে বাড়ি ফেরার পথে মোটরবাইকে এসে আনোয়ার আলি নামের এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে চম্পট দেয় কয়েকজন দুষ্কৃতী। তার কয়েকমাসের মধ্যেই এই ঘটনা। প্রশ্ন ওঠে, যেখানে ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের আওতায় টিটাগড় থানা, সেখানে একের পর এক খুন হয় কীভাব? আর কত প্রাণ গেলে হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের?
অমানবিক, মর্মান্তিক বললেও কম বলা হবে। বৃহস্পতিবার সাতসকালে এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল বাগুইহাটি। বাড়ির নর্দমা থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত শিশুর পচাগলা মৃতদেহ। স্বাভাবিকভাবেই যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। বিধাননগর পুরনিগমের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড উদয়ন পল্লী এলাকার দুটি বাড়ির মধ্যেকার নালা থেকে উদ্ধার হয় ওই সদ্যোজাতের দেহ।
স্থানীয় বাসিন্দা রেনুকা বিশ্বাস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির নালা থেকে দুর্গন্ধ বেরোলে তিনি নর্দমা পরিষ্কার করতে যান। তখনই একটা ছোট লাঠি দিয়ে নর্দমার মধ্যে কী রয়েছে তা দেখতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন। ভেসে ওঠে শিশুর পা।। দ্রুত তিনি খবর দেন প্রতিবেশীদের, খবর দেওয়া হয় ক্লাবেও। খবর যায় বাগুইআটি থানায়। পুলিস এসে সদ্যোজাতের দেহ উদ্ধার করে।
শিশুর দেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে। তবে কোথা থেকে কীভাবে ওই নর্দমার মধ্যে সদ্যোজাতের দেহ এলো? কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও জানতে পারা যায়নি। গোটা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বাগুইহাটি থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাত শিশুটি কন্যাসন্তান। আর সেখানেই উঠছে প্রশ্ন, ঘন জনবসতি এলাকায় কে বা কারা এই শিশুকে ফেলে দিল নর্দমায়। কন্যাসন্তান বলেই পৃথিবীর আলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে, তার এই পরিণতি? সবার মুখে শোনা যায় অনেক উন্নত আমরা, এটাই কি উন্নতির পরিণতি?
ডেঙ্গির (Dengue) গতবছরের ভয়াবহতা ফিরছে এবছরেও। বর্ষার শুরু থেকেই রাজ্যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গির সংক্রমণ। রাজ্যে এ পর্যন্ত ডেঙ্গির বলি (Dengue Death) হয়েছে ২৩ জন। সদ্য প্রকাশিত স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুসারে, ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবের নিরিখে ১০ জেলার মধ্যে প্রথম স্থানেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas)। দ্বিতীয় স্থানে নদিয়া আর পঞ্চমে কলকাতা (Kolkata)। ক্রমশ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে দক্ষিণ দমদম (South DumDum) পুরসভার একাধিক জায়গার ডেঙ্গির প্রকোপ। এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। সংক্রমণের সংখ্য বেশি দক্ষিণ কলকাতাতেও। পুরসভা সূত্রে খবর, ৯, ১০, ১১, ১২,১৩ ও ১৪ ছয়টি বরোতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪০০ ছাড়িয়েছে।
তবে তাতেও কী সর্তক প্রশাসন? শহরে বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে প্রশাসনের গাফিলতির ছবি। গত বছর দক্ষিণ কলকাতার আনন্দপুরের ১০৮ নং ওয়ার্ডে দেখা মিলেছিল ডেঙ্গির প্রার্দুভাব। তবে তাতেও পাল্টায়নি এলাকার ছবি। এবছরও এলাকার বিভিন্ন জায়গা ডেঙ্গির মশার প্রজননের মোক্ষম স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোথাও জমে রয়েছে ময়লার স্তুপ, আবার কোথাও রাস্তার ওপর জমা জলে বাসা বেঁধেছে মশার লার্ভা। ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা হওয়ায় এই ছবি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় নেই পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণ। যত্রতত্র জমে রয়েছে আবর্জনা, জল। বেহাল এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা। সামন্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন এলাকা। পুরসভার তরফ থেকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গৃহীত না হওয়ায় চরম দুর্ভোগ স্থানীয়দের।
তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি (Shootout) চালানোর অভিযোগ উঠছে তৃণমূলেরই অঞ্চল যুব সভাপতির (TMC Worker) বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত কদম্বগাছি এলাকায়। এই ঘটনায় দত্তপুকুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অঞ্চল যুব সভাপতিকে গ্রেফতার (Arrest) করে পুলিস। অভিযুক্তকে রবিবার আদালতেও তোলা হয়। যদিও এই ঘটনায় ধৃত তৃণমূল যুব সভাপতি দাবি করে, তাকে চক্রান্ত করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে শনিবার উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শনিবার রাতেই তৃণমূল নেতা শওকত আলি সরদারের ছেলে জাহাঙ্গির আলি সর্দার কদম্বগাছি এলাকায় একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ই তৃণমূল নেতা সরদার মেহেবুব হাসান তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় গুলিতে আঘাতপ্রাপ্ত হননি তিনি। অভিযোগকারীর দাবি, এই ঘটনার পরেই সমস্ত বিষয়টি নিয়ে দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত সরদার মেহেবুব হাসান ওরফে নয়নকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
অভিযুক্তর দাবি, আইএসএফ ও তৃণমূলের একটি অংশ চক্রান্ত করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। অভিযুক্তর দিদি বলেন, 'আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করে। আইএসএফের সঙ্গে দলের একটি বড় অংশের জোট মেনে নিতে পারেনি ভাই। সেই কারণেই ভাইকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবো।'
অভিযুক্তের আইনজীবি অলোক সমাজপতি বলেন, 'আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও অস্ত্র আইন দেওয়া হয়েছে। এর কোনও ভিত্তি নেই। কারণ পুলিস অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি।'
বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে মারধর (Beaten) এবং তার মা-বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর (TMC) বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) পাতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত ১৫২ নম্বর বুথে। সূত্রের খবর, ওই বিজেপি প্রার্থীর নাম মহসলাল প্রজাপতি। বেশ কিছুদিন আগেই তিনি ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে রহড়া থানার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
ওই বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, রবিবার সকাল বেলা আত্মীয়র বাড়ির থেকে ফেরার সময় তাঁকে শম্ভু সাউ নামে এক তৃণমূল কর্মী ঘেরাও করে। তারপরেই ওই বিজেপি প্রার্থীর মা বাবার নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তাঁকে মারধর করে। ওই বিজেপি প্রার্থীর দাবি, বেশ কিছুদিন আগেই তিনি রহড়া থানায় গিয়ে ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে নালিশ করায় রবিবার তাঁকে মারধর করে শাসক দলের কর্মী, এমনটাই দাবি ওই বিজেপি প্রার্থীর। যদিও এ ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
খেলতে গিয়ে পুকুরে (Drowing) পড়ে মৃত্যু (Death) হল আড়াই বছরের শিশুর। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) গাইঘাটা (Gaighata) থানার অন্তর্গত বিষ্ণপুর সরদার পাড়ায়। সূত্রের খবর, জল থেকে দেহ উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ওই শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরিবারের একমাত্র ছেলে ছোট্টো তনয়ের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেবনাথ পরিবার তথা বিষ্ণপুর এলাকায়। সূত্রের খবর, মৃত ওই শিশুর নাম তনয় দেবনাথ। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঘোজা হাসপুর এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে মা রেবা দেবনাথের সঙ্গে গাইঘাটা থানার বিষ্ণপুর সরদার পাড়ায় মামা বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল ছোট্ট তনয়। পরিবারের সদস্যরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে বাড়িতে একাই খেলছিল সে। খেলতে খেলতে কখন তনয় বাড়ির পাশের পুকুরের পাড়ে চলে যায় জানতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা, এমনটাই দাবি।
মৃত শিশুর পরিবারের দাবি, শিশুটিকে অনেকক্ষণ খুঁজে না পেয়ে পুকুরের জলে খোঁজাখুঁজি করেন তার মা ও এলাকার কয়েকজন। হঠাত্ জলের নিচে থেকেই তনয়কে খুঁজে পান তাঁরা। তারপরেই শিশুটিকে তড়িঘড়িত তাকে উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিস ও বিএসএফের (BSF) যৌথ টহলদারিতে দুই পৃথক সীমান্ত থেকে ৫ বাংলাদেশীকে গ্রেফতার (Arrest) করল। বসিরহাটের (Basirhat) স্বরূপনগর থানার পুলিস (Police) আধিকারিক প্রতাপ মোদকের নেতৃত্বে সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিল পুলিস কর্মী ও আধিকারিকরা। তখনই এমন ঘটনা ঘটে। ধৃত এই ৫ বাংলাদেশীকে মঙ্গলবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, বিথারী সীমান্ত এলাকায় টহল দেওয়ার সময় সন্দেহজনক চারজনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিস। তাদের চলাফেরা দেখেও সন্দেহ হয় পুলিসের। পরে তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই জানা যায় তারা বাংলাদেশের নাগরিক। অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে তারা এদেশে প্রবেশ করেছে। তখনই সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় ওই চারজন বাংলাদেশীকে। তাদের মধ্যে দু'জন পুরুষ ও দু'জন মহিলা। তারা বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দিল্লি ও মুম্বইতে কাজের লোভেই তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে।
অন্যদিকে স্বরূপনগরেরই হাকিমপুর সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশী মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ১১২ নম্বর ব্যাটালিয়নের সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
শ্যামনগর (North 24 Parganas) মিলনগড়ে মর্মান্তিক ঘটনা। পুকুরে স্নান করতে নেমে ডুবে (Drowing) মৃত্যু (Death) হলো ২ কিশোরের। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দল থানার অন্তর্গত ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিলনগড় এলাকায়। এই নিয়ে শোরগোল হতেই স্থানীয় এক যুবক পুকুর থেকে ওই দুই কিশোরকে উদ্ধার করেন। পরে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই দুই কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন জগদ্দল থানার পুলিস (Police)। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, মৃত ওই দুই কিশোরের নাম পিয়ুষ কুণ্ডু (৬), বিনায়ক সিং (৭)।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতোই সোমবারও মিলনগড়ের ওই পুকুরে স্নান করতে যায় পার্শ্ববর্তী পাড়া থেকে বেশ কয়েকজন যুবক। মাঝে মাঝে তাঁদের সঙ্গে কিছু কিশোরকেও স্নান করতে দেখা যেত ওই পুকুরে। আর এই দেখে স্থানীয়রাও একাধিকবার পুকুরে স্নান করতে আসা যুবক, কিশোরদের ধমকও দিত। তবে সোমবার সকালে আচমকাই পুকুরে স্নান করতে নেমে ঢুবে যায় ওই দুই কিশোর।
৭টি বাড়ির পর ফের একই কায়দায় তিনটি বাড়িতে চুরি (Theft) করল দুষ্কৃতীরা। গোপালনগর (Gopalnagar) থানার অন্তর্গত মহৎপুর গ্রামের ঘটনা। পাশাপাশি পাশের গ্রামেরও একটি বাড়িতে চুরি হয়েছে সোনা ও টাকা-পয়সা বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, দরজার তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে চোরেরা।
তবে বারবার একই ঘটনার জেরে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ তবে এই বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ, গোটা গ্রামে পুলিসি টহলের পরেও এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে৷ এমনকি পুলিসকে চুরির ঘটনার বিষয়ে জানাতে গেলে, পুলিস সাধারণ মানুষদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করছে, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
চুরি হওয়া ৩টি বাড়ির সদস্যদের দাবি, নগদ টাকা সহ সোনা ও প্রায় তিন লক্ষ টাকার জিনিস, জামা কাপড়ও চুরি করছে দুষ্কৃতীরা। রাতে যখন সকলে ঘুমিয়ে পড়ে, তখন একপ্রকার গ্যাস প্রয়োগ করে চোরেরা। যারফলে বাড়ির সদস্যরা ঘুম থেকে উঠতে পারেননি, এমনটাই দাবি স্থানীয়দের।