Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

Nitish

Amit: ক্ষমতায় এলে উল্টো করে ঝোলানো হবে দাঙ্গাবাজদের, হুঙ্কার অমিত শাহের

বিহারে (Bihar) দলীয় সভা থেকে দাঙ্গাবাজদের (Rioter) উল্টো করে ঝোলানোর হুঙ্কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah)। বিহারে রামনবমী ঘিরে অশান্তির ঘটনায় নীতিশ কুমারের সরকারের দিকে একের পর এক আক্রমণ শাহের। রবিবার বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। রবিবার নওয়াদায় সভা থেকে নীতিশকে টার্গেট করে দাঙ্গাবাজদের নিয়ে হুঙ্কার করেন তিনি। সেখানে তাঁর দাবি, ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।

বিহারের সভা থেকে দুই নেতাকেই আক্রমণ করেন তিনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নীতিশ এবং লালু, দু’জনের দিকেই আঙুল তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শাহ বলেন, ‘ভেবেছিলাম সাসারামে যাব। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ওখানকার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় এবার যাচ্ছি না। ওখানে মানুষ মরছে। এক দিকে চলছে গোলাগুলি। অন্য দিকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটছে। তবে পরের বার বিহার এলে ওখানে অবশ্যই যাব।’ একই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, ‘ক্ষমতায় এলে উল্টো করে ঝোলানো হবে দাঙ্গাবাজদের।’ অমিত জানান, বিহারের রাজ্যপালকে ফোন করে তিনি পরিস্থিতির খোঁজখবর নিচ্ছেন।

রামনবমী ঘিরে দেশের ছ’টি রাজ্যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটক বিজেপি বা বিজেপি জোট শাসিত। অ-বিজেপি রাজ্যগুলি হল বিহার এবং বাংলা। এ রাজ্যের হাওড়া জেলার কিছু জায়গায় অশান্তি হয়েছে। বাংলার পরিস্থিতি নিয়েও গত শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন শাহ।

one year ago
IPL: সমুখ সমরে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংস, কাউন্টডাউন শুরু

আর ঘন্টাখানেকের অপেক্ষা, আইপিএল ময়দানে মুখোমুখি হতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও পাঞ্জাব কিং। শনিবারে প্রথমবার খাতা খুলতে তৈরী দুই দলই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়কত্ব করবেন নীতিশ রানা, বিপক্ষে শিখর ধাওয়ান পাঞ্জাব কিং-এর নেতৃত্ব দেবেন। তবে দুই দলের খেলোয়াড়দের চোট কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। বছরের পর বছর ধরে এই দুই দলের সদস্য নির্বাচন শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিতে পারেনি। ২০২২ সালে আইপিএলে ১০টি দলের লড়াইতে পাঞ্জাব কিংস থেকেছে ষষ্ঠ স্থানে ও কলকাতা নাইট রাইডার্স থেকেছে সপ্তম স্থানে।

আপাতপক্ষে কলকাতা নাইট রাইডার্সের থেকে পাঞ্জাব কিংসকে শক্তিশালী মনে হলেও জনি বেয়ারস্টোরের অনুপস্থিতি পাঞ্জাব দলে শূন্যতা তৈরি করবে। আইপিএল-র সিজনে মোটামুটি নেতৃত্ব দেওয়া ইংলিশম্যান জনি গত সেপ্টেম্বরে গল্ফ খেলতে গিয়ে চোট পেয়েছে, এখনও সেই আঘাত থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠেননি। তাঁর জায়গায় পাঞ্জাব কিংস আশা দেখছে ম্যাথিউ শর্টকে নিয়ে। শিখর ধাওয়ানের বিরুদ্ধে ম্যাথিউকে নামাতে পারে দল।

চোট রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সেও। পিঠের চোটে কাবু শ্রেয়স আইয়ার। জাতীয় দলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া রয়েছে তাই ওপেনে নামতে পারবেন না বাংলাদেশী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও লিটন দাশ। তবে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন, ডেভিড উইসে ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের মতো অল রাউন্ডার নাইটসদের শক্তি। কেকেআরের টপ অর্ডার উদ্বেগের কারণ। তবে উইসে, রিঙ্কু সিং, রহমানুল্লাহ গুরবাজের মতো খেলোয়াড় রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ঝুলিতে। বোলিংয়ে সাউদি, উমেশ যাদব এবং শার্দুল ঠাকুরই ভরসা।

one year ago
Bihar: 'মদ খেলে মরতে হবে', ছাপড়া বিষমদ-কাণ্ডে মুখ খুলে সতর্কবার্তা নীতীশের

গত কয়েকমাসে বিহারে (Bihar) বিষমদ (Hooch Tragedy) খেয়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটেছে। চলতি সপ্তাহেই ছাপড়া জেলায় বিষমদের বলি অন্তত ২১ জন, এখনও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন একাধিক ব্যক্তি। এই ঘটনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (CM Nitish Kumar) সরকারের সমালোচনায় সরব বিরোধীরা। মদ নিষিদ্ধ হওয়া স্বত্বেও কীভাবে এভাবে বিষমদে মৃত্যুর ঘটনা? এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধী বিজেপি। এবার এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের মুখ খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। খানিক হতাশার সুরেই রাজ্যবাসীকে সাবধান করে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'মদ খেলে মরতে তো হবেই। বিহারের মতো ড্রাই স্টেটে (মদ নিষিদ্ধ করা রাজ্য) মদ কিনবেন না। কারণ অবৈধ উপায়ে আমদানি করা ভেজাল এবং বিষাক্ত মদ বিক্রির চেষ্টা হতে পারে।'

একই সঙ্গে তিনি জানান, মদ কিনতে গিয়ে ধরা পড়া কোনও গরিব মানুষকে গ্রেফতার করা হবে না। গ্রেফতার করা হবে মদ প্রস্তুতকারক এবং অবৈধ ভাবে মদ আমদানির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। এই মর্মে তিনি পুলিশ আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। ২০১৬ থেকে বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ। এই সিদ্ধান্তের জেরে পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দলের মহিলা ভোটার বেড়েছে। বেআইনি মদ বিক্রি রোধে ব্যর্থ নীতিশ কুমারের প্রশাসন।

one year ago


Bihar: 'ড্রাই স্টেট' বিহারে ফের বিষমদের বলি ৬! কাঠগড়ায় নীতিশ প্রশাসনের উদাসীনতা

২০১৬ থেকে বিহারে মদ (Bihar Liquor Policy) বিক্রি নিষিদ্ধ। এই সিদ্ধান্তের জেরে পড়শি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের (CM Nitish Kumar)  দলের মহিলা ভোটার বেড়েছে। বেআইনি মদ (Hooch Tragedy) বিক্রি রোধে ব্যর্থ নীতিশ কুমারের প্রশাসাশন। ফের বিষমদ পান করে বিহারে মৃত্যু ৬ জনের। আশঙ্কাজনক কয়েক জন, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, বিহারের ছাপরা জেলার এক গ্রামে বিষমদ খেয়ে বাড়িতেই মারা যান ৪ জন। এক জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁরও মৃত্যু হয়। বিষমদে অসুস্থের সংখ্যা সঠিক জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, বেশ কয়েক জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছে ছাপরা জেলা পুলিস। তবে প্রাথমিক তদন্তে বিষমদকেই মৃত্যুর কারণ বলে মনে করছে। এমনটা অভিযোগ মৃতদের পরিবারেরও।

ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিহারের রাজনৈতিক মহলে তোলপাড়। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার বিষমদ-কাণ্ডে মৃত্যুর জেরে খবরের শিরোনামে এসেছে বিহার। প্রতিবার বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে নীতিশ কুমার সরকার। 

one year ago
Bihar: বিহারে 'ব্ল্যাকে' মদ বিক্রি বন্ধ করলেই আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা নীতীশ কুমারের, জানুন কত

ড্রাই স্টেট বিহার (Bihar) অর্থাৎ নিষিদ্ধ মদ বিক্রি। সরকারি এই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেই রাজ্যে চলে ব্ল্যাকে মদ বিক্রি। পুলিসি (Police) ভাষায় যাকে বলে মদের কালোবাজারি, আর এই কাজে যুক্তদের জন্য বিশেষ বার্তা পাঠালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) প্রস্তাব, মদের চোরাকারবারা ছেড়ে দিলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। শনিবার নেশামুক্তি দিবসে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Nitish Kumar)।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য নীতীশ কুমারের আমলেই ২০১৬ সালে বিহারে মদ নিষিদ্ধ হয়েছে। আর তাঁর এই সিদ্ধান্তকে দু হাতে স্বাগত জানিয়েছিলেন রাজ্যের মহিলারা। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ দাবি করেছিলেন, রাজ্যের মানুষকে সুস্থ ভবিষ্যৎ উপহার দিতে চান তিনি। তারপর কেটেছে ছ'বছর। বাংলার পড়শি এই রাজ্য  কি আদৌ মদমুক্ত হয়েছে? বিরোধীদের অভিযোগ, 'রমরমিয়ে চলছে মদের কালোবাজারি।' একেই চলতি ভাষায় ‘ব্ল্যাকে’ মদ বিক্রি বলে। এবার বিরোধীদের কথাই কি তাহলে মেনে নিলেন নীতীশ কুমার? 

one year ago


Bihar: বিধানসভায় নীতীশের আস্থাভোট আজ, তার আগেই আরজেডি নেতাদের বাড়িতে সিবিআই

মহাজোট সরকারের গঠনের পর বুধবার বিহার বিধানসভায় (Bihar Assembly) আস্থা ভোট মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের (Nitish Kumar)। আর সেদিনেই সে রাজ্যের একাধিক জায়গায় সিবিআই তল্লাশি। জমির বিনিময়ে চাকরি দুর্নীতি মামলায় মূলত আরজেডি নেতাদের বাড়িতে এই সিবিআই অভিযান (CBI Raid)। শুধু বাড়ি নয় একাধিক আরজেডি (RJD) নেতার অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

সিবিআই সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদের দলের রাজ্যসভা সাংসদ আশফাক করিম, বিধান পরিষদের সদস্য সুনীল সিং এবং বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য সুবোধ রাইয়ের বাসভবনে বুধবার তল্লাশি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দুর্নীতি মামলায় জুলাই মাসে লালু-ঘনিষ্ঠ ভোলা যাদবকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।

তবে নীতীশ কুমারের আস্থা ভোটের দিন সিবিআইয়ের এই তল্লাশি অভিযানকে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' বলছে বিজেপি বিরোধী শিবির। লালুপ্রসাদ যাদব যখন প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী, তখন নাকি বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের 'গ্রুপ-ডি' পদে নিয়োগ করেছিলেন বলে অভিয়োগ ওঠে। এই ইস্যুতে কাঠগড়ায় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী-সহ তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত ২০ মে সিবিআই পাটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল।

এই সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে লালু-পত্নী রাবড়ি দেবী জানান, গোটা বিশ্ব দেখেছে, সারা দেশ দেখছে, আমরা এসবে ভয় পাই না, কেনই বা পাব।

2 years ago
Bihar: পাটনায় মুখ্যমন্ত্রী নীতীশের কনভয়ে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

সম্প্রতি বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে বিহারে মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন নীতীশ কুমার। বিজেপি বিরোধী ৭ দলের এই জোট সরকারের অন্যতম বড় শরিক আরজেডি এবং কংগ্রেস। বিহারের আম আদমি যখন এই রূপান্তরে গা ভাসাচ্ছেন, তখনই মুখ্যমন্ত্রী কনভয়ে হামলা। পাটনায় পাথর ছুড়ে হামলা নীতীশ কুমারের কনভয়ের গাড়িতে। যদিও ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না মুখ্যমন্ত্রী।

ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই টুইটারে ছড়িয়ে পড়েছে।

তেমনই এক ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, জনবহুল রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় যাওয়ার সময় স্থানীয় কিছু লোক লাঠি, পাথর দিয়ে হামলা চালায়। দাঁড়িয়ে পড়ে কনভয়। এরপর আশপাশ থেকে দলে দলে আরও লোক ছুটে এসে কনভয়ের গাড়িতে পাথর ছুড়তে থাকেন। রাস্তায় নেমে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছে মহিলাদের।

কেন এই হামলা, নির্দিষ্ট কোনও কারণ অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সূত্রের দাবি, যে এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে, কিছু দিন আগে সেই এলাকারই এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। সেই ক্ষোভ থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালানো হতে পারে।

2 years ago
Bihar: দল এবং সরকার স্বচ্ছ রাখতে উদ্যোগী তেজস্বী, একাধিক পরামর্শ বিধায়ক-মন্ত্রীদের

প্রসূন গুপ্ত: সদ্য মহাজোটের সরকার গঠন হয়েছে বিহারে। আরজেডির নেতৃত্বে নীতিশ কুমারের মুখ্যমন্ত্রিত্বে সরকার গঠন বাংলার পড়শি রাজ্যে। নীতিশ এবার তাঁর সরকারকে সমর্থন করছে, এমন সব দলের বিধায়কদের মন্ত্রিসভায় রাখতে চেয়েছিলেন। বামেদের ১৬ বিধায়ক অবশ্য বাইরে থেকে মহাজোটের সরকারকে সমর্থন করছে।

তবে বামেরা চাইছে শাসক জোটের সব দলের বিধায়করা সতর্ক হোক। সে প্রসঙ্গে লালুর দল অর্থাৎ আরজেডিকে সতর্ক করেছে তারা। বামেরা বলেছে, যে ভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি বিরোধী সরকারের উপর কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে চাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে বিহারের উপরেও চাপ আসবে। বামেদের এই পরামর্শে সহমত হয়েছেন তেজস্বী যাদব। কারণ নীতীশের বর্তমান মন্ত্রিসভায় অন্তত দু'জন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই দু'জন আবার আরজেডি বিধায়ক। বর্তমান বিহার মন্ত্রিসভায় আরজেডি ছাড়াও রয়েছে নীতীশের জনতা দল (ইউনাইটেড), নির্দল এবং জিতনরাম মাঝির হাম দল। এর মধ্যে জিতনরামের দলের সঙ্গে সারা ভারতে বিজেপির সম্পর্ক খুবই খারাপ। ফলে এদেরও সতর্ক করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। 

তেজস্বী কড়া বার্তা দিয়েছে দলের বিধায়কদের এবং দলের কর্মী নেতাদেরও। মূলত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রাখার জন্য। তেজস্বী বুদ্ধিমান ছেলে, তিনি জানেন দুর্নীতিতে জড়িয়ে তাঁর বাবা লালুর দুর্দশার কথা। বর্তমানে দিল্লির এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তেজস্বীর আশংকা ফের নতুন করে তাঁর দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে, চব্বিশের ভোটের আগে বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে বিজেপির ব্যাডবুকে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। ফলে সতর্ক থাকতে হচ্ছে তাঁর দলকেও। তেজস্বী তাঁর দলের বিধায়কদের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, রাজ্যের কোনও নাগরিকের প্রণাম নেওয়া চলবে না। হাত জোর করে বা সেলাম করে প্রণাম বা আদাব জানাতে হবে।

কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না মন্ত্রীদের। সর্বোপরি এই মুহূর্তে ফাইল থেকে অন্য কাগজ দেখেশুনে সই করতে হবে। অর্থাৎ বার্তা অনেকটাই পশ্চিমবঙ্গের মতো। সতর্কবার্তার মধ্যে সবথেকে তাৎপর্য ভাবে তেজস্বী জানিয়েছেন, কেউ নতুন গাড়ি কিনতে পারবেন না বা নিতে পারবেন না উপঢৌকন নিতে পারবেন না।


2 years ago


Bihar: স্বাধীনতা দিবসে ২০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি

স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উদযাপনে ভাষণ দিতে গিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে কমপক্ষে ২০ লক্ষ চাকরির (Job) আশ্বাস দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তিনি জানিয়ে দেন, রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) এর সংযুক্ত সরকারের পরিকল্পনা হল, সরকারি ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ লক্ষ এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে আরও ১০ লক্ষ চাকরির ব্যবস্থা করা। এর আগে বিরোধী শিবিরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান। পাটনার গান্ধি ময়দানে ভাষণ দিতে গিয়ে নীতীশ কুমার তা কার্যত দ্বিগুণ করে দিলেন। তিনি একথাও বলেন, রাজ্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাবে এই লক্ষ্যণাত্রা পূরণ করার জন্য। দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে নতুন নতুন চাকরি নিয়ে আসাটাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, বর্তমান উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব ২০২০ বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে থাকার সময় ১০ লক্ষ চাকরির কথা ঘোষণা করেছিলেন। বলা বাহুল্য, ক্ষমতায় আসার পর এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুই শরিকই সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করল, তারা মিলেজুলেই কাজ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

আর সেকথাই এদিন স্মরণ করিয়ে দেন তেজস্বী যাদব। তিনি বলেন, বিজেপি কখনই তার প্রতিশ্রুতি পূরণ করে না। আপনারা বারবার বলে এসেছেন, ১০ লাখ চাকরির প্রতিশ্রুতির কী হল? আজ মুখ্যমন্ত্রী নিজে আপনাদের সামনে সেই প্রতিশ্রুতিই দিলেন। তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দু কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার কী হল? এমনকী বিজেপি যে ১৯ লক্ষ চাকরির কথা বলেছিল, তার মধ্যে ১৯ জনেরও কি চাকরি হয়েছে?

2 years ago
Bihar: তেজস্বী ডেপুটি, অষ্টমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

পদত্যাগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী (Bihar CM) হিসেবে শপথ নিলেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। আর তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নিলেন তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav)। বুধবার দুপুরে রাজ ভবনে আধ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে এই দু'জনকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ফাগু চৌহান। মঙ্গলবারই আরজেডি, কংগ্রেস (RJD-Congress)-সহ অন্য দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানাতে রাজ ভবনে গিয়েছিলেন নীতীশ-তেজস্বী।

সেই সাক্ষাৎ শেষে বেড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে নীতীশ কুমার দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে ১৬৪ বিধায়কের সমর্থন আছে। বুধবারই শপথ নেবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। সেই ঘোষণা মোতাবেক এদিন দুপুর দুটো নাগাদ রাজ ভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী এদিন শপথ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, প্রথমবার ২০০০ সালে এনডিএ শরিক হিসেবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। লালুপ্রসাদ যাদবের দাপট কমিয়ে সেবার প্রথম যাদব পরিবারের বাইরে থেকে মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছিল বিহার। তারপর ২০১৫ অবধি পরপর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিহারের এই কুর্মি নেতা।

যদিও ২০১৫-তে আরজেডি কংগ্রেসের সঙ্গে গড়া জোট সরকার মাত্র দুই বছর স্থায়ী হয়েছিল। সেই মহাজোট ভেঙে বেড়িয়ে ফের বিজেপির হাত ধরে নীতীশ। ২০১৭ সালে ফের একবার এনডিএ শরিক হিসেবে মাজপথেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। ২০২০-র বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই লড়েন নীতীশ। যদিও রাজ্যের তৃতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জেডিইউ।

তাও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারকেও সমর্থন করে বিজেপি। কিন্তু দুই বছর বাদে ফের ডিগবাজি নীতীশের। এবার আবার মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অষ্টমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন তিনি।

2 years ago


Bihar: ৭ দলের সমর্থন নিয়ে বুধবার ফের নীতীশের মুখ্যমন্ত্রিত্বের শপথ, বিহারে একা বিরোধী বিজেপি

বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ আর সন্ধ্যাতে মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়ে রাজ ভবনে দরবার নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar)। মঙ্গলবার এভাবেই ঘটনাবহুল হয়ে থাকল বিহারের রাজনীতি (Bihar Politics)। এদিন এনডিএ-র সঙ্গ ছাড়তে বিকেলে রাজ ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগপত্র দেন নীতীশ কুমার। এনডিএ (NDA) ছাড়ার কারণও তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান। এরপরেই সটান চলে যান লালুপ্রসাদের বাড়ি। লালু-পত্নী রাবড়ি দেবীর সঙ্গে কথা বলেন সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে নীতীশ প্রস্তাব দেন, 'আসুন নতুন করে শুরু করি।'

এরপরেই লালু-রাবড়ি দেবীর দুই পুত্র তেজস্বী এবং তেজপ্রতাপ যাদবকে নিয়ে ফের রাজ ভবনে যান নীতীশ কুমার। এবার দাবি করেন মহা জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চান তিনি। সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের পর সেই দাবি মেনে নিয়েছেন বিহারের রাজ্যপাল। বুধবারই মহাজোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নীতীশ কুমার। আর তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নেবেন তেজস্বী যাদব। এখনও পর্যন্ত এই সূচি ঠিক রয়েছে। যা ট্যুইট করে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল বা আরজেডি। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বুধবার শপথ নিলে মোটা ৬ বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিহারের মসনদে বসবেন নীতীশ কুমার।

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারে আস্থা রেখেছে বিহারের বিজেপি-বিরোধী সব দল। তাঁকে আরজেডি, কংগ্রেস ছাড়াও সমর্থন করছে জিতেনরাম মাঝির হাম পার্টি। বাইরে থেকে সমর্থন জানাবে বামেরাও। এমনটাই সূত্রের খবর।  

এদিন সন্ধ্যায় রাজ ভবন থেকে বেড়িয়ে নীতীশ বলেন, '১৬৪ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে আমাদের। প্রত্যেক বিধায়ক সমর্থন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। ৭ দলের সমর্থন রয়েছে আমাদের সঙ্গে। প্রত্যেকে মিলে বিহারের সেবা এবং মানুষের উন্নয়নে কাজ করব। আমি বিভেদের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। সাম্প্রতিক যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দেশব্যাপী, তার প্রেক্ষিতে জেডিইউয়ের লোকসভা, রাজ্যসভার সাংসদ এবং বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসি। তাঁরাই এনডিএ ছাড়ার কথা বলেছেন।'

মঙ্গলবার বিজেপিকে তোপ দেগে লালু পুত্র তেজস্বী বলেন, 'বিজেপি বিভেদের রাজনীতি বিহারে চলবে না। এই রাজ্যে বিজেপি এখন একা। সব রাজনৈতিক দল আমাদের পিছনে। বিজেপি যেখানেই শরিক হিসেবে শাসক জোটে আছে, সেখানেই বড় শরিককে ভাঙার চেষ্টা করেছে। মহারাষ্ট্র, পঞ্জাবে একই চিত্র। আমরা এখানে সবাই নীতীশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করেছি।'

এদিকে, নীতীশ কুমারকে বিশ্বাসঘাতক খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। বিহার বিজেপির প্রধান সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, 'আমরা দু’দল ২০২০-এর নির্বাচনে এনডিএর অংশ হিসেবে একসঙ্গে ভোটে লড়েছিলাম। মানুষ এই জোটে ভরসা রেখে ভোট দিয়েছিলেন। জেডিইউ আমাদের চেয়ে কম আসন পাওয়া সত্ত্বেও নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলাম। তারপর আজ যা হল, তাকে বিহারের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কী বলা যায়!'

2 years ago
Nitish: বিহারে ফের নীতীশের ডিগবাজি, এনডিএ ছাড়তে মুখ্যমন্ত্রী পদে দিলেন ইস্তফা

প্রসূন গুপ্ত: শেষ পর্যন্ত বিজেপি-জেডিইউ জোট ভেঙেই গেলো। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী গত ২৪ ঘণ্টায় হাবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন পদ্ম সঙ্গ ছাড়ছেন তিনি। গত সপ্তাহে হওয়া নীতি আয়োগের বৈঠকে নীতীশ কুমার ছিলেন অনুপস্থিত। গুঞ্জন সম্প্রতি নাকি কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ফোন করেছেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। এমনকি, গত কয়েক দিন ধরে কেন্দ্রীয় বিজেপি আশংকা করেছে হঠাৎই বিদ্রোহী হয়েছেন নীতীশ কুমার। যে কোনও মুহূর্তে ছাড়তে পারেন জোট। সেই আশঙ্কা সত্যি করেই বুধবার বিকেলে রাজ ভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি। যেমনটা তিনি ২০১৭ সালে করেছিলেন আরজেডি কংগ্রেসের সঙ্গে। সেবার হঠাৎই বিহারের তৎকালীন শাসক বিজেপি বিরোধী জোট ছেড়ে নীতীশ ধরেছিলেন পদ্মের হাত। এবারও সেই মাঝপথে ডিগবাজি দেশের একদা রেলমন্ত্রীর।

মঙ্গলবার বিকেলে একাই রাজ ভবনে যান নীতীশ কুমার। সেখান থেকে যান লালু প্রসাদ যাদবের বাড়িতে। সেখানেই আরজেডি, কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ার মহাবৈঠক। এদিন মুখ্যমন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা প্রসঙ্গে নীতীশ কুমার জানান, দলের সাংসদ-বিধায়কদের সম্মতি নিয়েই এই ইস্তফা এবং এনডিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত। বিজেপির সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছিল।

যদিও বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, 'বিজেপির মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন নীতীশ কুমার। সূত্রের খবর, বিহারে ২০২০-তে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিজেপির সমর্থনে নীতীশ নেতৃত্বধীন জোটে নাকি মস্ত চাপে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নাকি নামেই মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আসলে প্রশাসন-সহ মন্ত্রিসভার চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছিল বড় শরিক বিজেপি। ইদানিং কেন্দ্রের কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছিলেন না নীতীশ। যাননি রাষ্ট্রপতির শপথ অনুষ্ঠানে। তিনি যেমন মোদির থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন তেমনই সখ্যতা বাড়ছিল লালু প্রসাদের আরজেডির সঙ্গে। তলে তলে নাকি যোগাযোগ চলেছে কংগ্রেসের সঙ্গেও। শোনা গিয়েছে, বিহারের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী সোনিয়া এবং  লালুপুত্র তেজস্বীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেন এবং নতুন জোটের বার্তা দেন। অন্যদিকে লালুপ্রসাদ যাদব এই মুহূর্তে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি। তিনি সেখান থেকেই পুত্র তেজস্বীকে নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। সম্প্রতি ঈদের এক অনুষ্ঠানে তেজস্বীর নিমন্ত্রনে নীতীশ উপস্থিত হয়েছিলেন। উলট পুরাণের শুরু সম্ভবত সেখান থেকেই, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

শোনা গিয়েছে, নীতীশ এই জোটে বিরক্ত তো ছিলেনই পাশাপাশি সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে উদ্ধবের মন্ত্রিসভার পতন ও শিবসেনার ভাঙনে নাকি অসন্তুষ্ট ছিলেন তিনি। তখনই নাকি তিনি চূড়ান্ত ভাবে স্থির করেন যে বিজেপির হাত ছাড়বেন। কিন্তু বিজেপি বিরোধীদের নিয়ে যদি নীতীশের নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় গঠিত হয়, সেখানে কারা থাকবেন? শোনা গিয়েছে আরজেডির ৭৯, জেডিইউএর ৪৫ এবং কংগ্রেসের ১৯ জনকে নিয়েই মন্ত্রিসভা হবে। এখানে সমর্থন করবে বামেরা তাদের ১৬টি আসন নিয়ে। তাহলে একদিকে বিজেপি ৭৭, অন্যদিকে ১৬০-এর বেশি বিধায়ক সুতরাং রামধনু মন্ত্রিসভা এবারে ফের বিহারে হয়তো হতে চলেছে।

2 years ago