পরিত্য়ক্ত বহুতলের নিচ থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের মৃতদেহ। শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন। বুধবার সকালে ঘটনায় চাঞ্চল্য় ছড়িয়েছে কলকাতার নিউটাউনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইকোপার্ক থানা এবং টেকনো সিটি থানার পুলিস। এছাড়াও ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর পুলিসের উচ্চ পদস্থ অফিসাররা। তবে এখনো পর্যন্ত মৃত যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে নিউটাউনের যাত্রাগাছি জৈব হাটের উল্টোদিকে একটি বহুতলের নিচে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর খবর দেওয়া হয় ইকোপার্ক থানার পুলিসকে। তারপর ঘটনাস্থলে ইকোপার্ক থানা এবং টেকনোসিটি থানার পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
মৃত যুবকের পরিচয় জানার পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ইকো পার্ক থানার পুলিসের পক্ষ থেকে। পরিত্যক্ত ওই বহুতলের চারপাশে কোনও পাঁচিল নেই। যার জন্য যে কেউ ওই বহুতলে ঢুকে পড়তে পারে বলে অভিযোগ। মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে প্রশ্ন উঠছে, বাইরে থেকে ওই যুবককে কেউ মেরে ফেলে দিয়ে গিয়েছে নাকি বহুতল আবাসনের উপর থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত করছে ইকো পার্ক থানার পুলিস।
দীর্ঘ দশ বছর ধরে তালা বদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন দুই ভাই। তাঁরা দুজনেই মানসিক ভারসাম্য়হীন। এমন ছবি ধরা পড়ল নিউটাউন শহরের গৌরাঙ্গ নগরের ক্ষুদিরাম পল্লীতে। জানা গিয়েছে, ক্ষুদিরাম পল্লীর বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি নির্মল মণ্ডল ও নমিতা মণ্ডল-এর দুই ছেলে শ্রীপদ মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডল। এই দুই ছেলে মানসিকভাবে অসুস্থতার কারণে টানা দশ বছর ধরে ঘরের মধ্যে তালাবন্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
পরিবারের দাবি, কুড়ি বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন দুই ভাই। তাঁদের বিয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে ঝামেলা-অশান্তি হওয়ায় তাঁদের বৌ ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকে তাঁরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি তাঁরা রাস্তায় বেরোলেই এলাকাবাসীদের মারধর পর্যন্ত করে। অবশেষে কিছু বুঝতে না পেরে তাঁদের ঘরের মধ্যে তালা বন্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিবার। এরমধ্য়ে তাঁদের চিকিৎসাও করতে থাকে।
কিন্তু বাবা-মা জানিয়েছেন, তাঁরা আর চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারছে না। মা লোকের বাড়ি কাজ করে কোনো রকমে খাওয়াটা চালিয়ে যাচ্ছে। দুই ছেলেকে গ্রিলের দরজার তলা থেকে খাবার দেওয়া হয়। ঘরের মধ্যে না আছে পাখা না আছে লাইট। সেগুলো লাগালে ভেঙে দেয় তাঁরা। ভয়ে কেউ দরজার তালা ও খুলতেও যায় না। সেই কারণে বৃদ্ধ দম্পতি এখন প্রশাসন ও সরকারি সাহায্যের আশায় রয়েছে।
নিউটাউনের কারিগরি ভবনের পিছনের খাল থেকে ট্রলিব্যাগ বন্দী বৃদ্ধ সুবোধ সরকারের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিসের জালে মূল অভিযুক্ত। যার নাম সৌম্য কান্তি জানা। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে অসীম হালদার এবং উত্তম দে নামে আরও দুই ব্যক্তিকে। রবিবার মূল অভিযুক্তকে বারাসত আদালতে তোলা হয়।
পুলিস সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে নাকা চেকিং চলাকালীন একটি অ্যাপ নির্ভর গাড়িতে রক্ত লাগা দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। পুলিসি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নেয় হত্যাকাণ্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড সৌম্য কান্তি জানা।খবর পেতেই,টেকনোসিটি থানার পুলিস আধিকারিকরা পটাশপুর থেকে মৃতদেহ লোপাটে ব্যবহৃত অ্যাপ নির্ভর গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেন। এছাড়াও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় টেকনোসিটি থানায়। জেরায় উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযুক্তের দাবি, সুবোধ সরকার কামারহাটি পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আগে উড়িষ্যায় থাকতেন তিনি।সুবোধ সরকারের কাছ থেকে নেওয়া ৭লক্ষ টাকা ফেরতের জন্য তাকে বাড়িতে ডাকেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের নিমতা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সৌম্য কান্তি জানা। এরপর দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়,সৌম্য জানা ধাক্কা মারেন সুবোধ সরকারকে। দেওয়ালে লেগে মাথার পিছনে আঘাত পান বৃদ্ধ।মৃত্যু নিশ্চিত করতে, গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর অ্যাপ ক্যাবে করে ট্রলিব্যাগ বন্দী করে বৃদ্ধের দেহ ফেলে আসেন সৌম্য জানা।
বেপোরোয়া গতির প্রতিবাদ করায় মারধর নিউটাউন থানার পুলিসকে। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার চার। পুলিস সূত্রে খবর, ধৃতরা হরিয়ানা ও দিল্লির বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ন'টা নাগাদ দুটি গাড়ি বেপোরোয়া ভাবে যাচ্ছিল। সেই সময় নিউটাউন ওয়াচ টাওয়ার ব্রিজের নিচে এক পথ চলতি ব্যক্তি প্রতিবাদ করেন। তারপরই গাড়ি থেকে নেমে সেই ব্যক্তিকে মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় নিউটাউন থানার পুলিস। পুলিসকে দেখেও শান্ত হয়নি অভিযুক্তরা। ব্যাট, উইকেট দিয়ে মারধর শুরু করে পুলিসকেও। এরপরে গাড়িতে থাকা সাত আট জনের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সাতসকালে নিউটাউনের পাচুরিয়ায় লাল ট্রলিব্যাগ ঘিরে রহস্য। ট্রলিব্যাগ থেকে রক্ত বেরোতে দেখে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। শনিবার টেকনোসিটি থানার পুলিস ওই ট্রলিব্যাগ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, অন্য কোথাও খুন করে দেহ ট্রলিব্যাগ বন্দি করে এই এলাকায় ফেলে রেখে গিয়েছে। তবে কে বা কারা এই কাজ করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সকালেও কারিগরি ভবনের পিছন দিকে পাচুরিয়ায় কাজ করছিলেন সাফাই কর্মীরা। নালার মধ্যে একটি লাল রংয়ের ট্রলি ব্যাগ দেখতে পান তাঁরা। সেটি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সাফাই কর্মীরা ট্রলি ব্যাগটি তুলে রাখতে গিয়ে আঁতকে ওঠেন। তাঁরা দেখেন ট্রলি ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে রক্ত পড়ছে। এরপর খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। খবর পেয়ে টেকনো সিটি থানার পুলিস তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ট্রলি ব্যাগের তালা ভেঙে দেখা যায় ভিতরে একটি দেহ রাখা রয়েছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫০-৫১ বছর। তাঁর পরনে টি-শার্ট ও পাজামা। সেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্য়ে মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানার পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টেকনো সিটি থানা বিধান নগর কমিশনারেটের ডিসি নিউ টাউন।
শহরের কর্মব্যস্ত সময়ে রাস্তার মাঝেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল যাত্রীবাহী বেসরকারি বাস। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের ডিজি ব্লকে অ্যাকশন এরিয়া ১ বিশ্ববাংলা মোড়ের কাছে। যদিও ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও আহত বা মৃতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের একটি ইঞ্জিন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, নিউটাউন থেকে আলিপুর রুটের ২৬০ নম্বর বাসে আগুন লাগে। যাত্রী নিয়ে আলিপুর থেকে নিউটাউনের দিকে আসছিল বাসটি। প্যাসেঞ্জার নামানোর পর হঠাৎ ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাসে থাকা বাকি যাত্রীরাও বাস থেকে নেমে যান। পুরো বাসটি আগুনের গ্রাসে চলে যায়। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়ায় পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে যাত্রীদের মধ্যে।
বাড়ি থেকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউন হাতিয়ারায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তি, নাকি আর্থিক অনটনের জেরে এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার তদন্তে ইকোপার্ক থানার পুলিস।
পরিবারের দাবি, লেকটাউন ট্রাফিকে কর্মরত সিভিক ভলেন্টিয়ার কৌশিক দেবনাথ গত এক বছর আগে নিউটাউন হাতিয়ারা হেলাবটতলা এলাকায় বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের দাবি করতে থাকে তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ, কৌশিক দেবনাথকে দীর্ঘদিন ধরে চাপ দেওয়া হচ্ছিল, যাতে তাঁর বাবা-মাকে ছেড়ে স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কোথাও গিয়ে থাকেন। এই দাবি মানতে পারেননি কৌশিক। এরপরই কৌশিক-এর স্ত্রী নিজের বাবা-মায়ের বাড়িতে চলে যান। নিয়মিত ফোন করে কৌশিককে মানসিকভাবে চাপ সৃষ্টি করছিল। পাশাপাশি কৌশিকের মা-বাবাকেও ফোন করে অকথ্য ভাষায় কথা বলতেন বলে অভিযোগ। আর এই মানসিক অবসাদে বুধবার রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে হাতিয়ারায় নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। যদিও মৃত্যুর পিছনে কি কারণ রয়েছে তা জানতে তদন্তে নেমেছে ইকোপার্ক থানার পুলিস।
প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কলকাতার বুকে ঘটে গেল একটি চাঞ্চল্য়কর ঘটনা। নিউটাউনের ইকোস্পেসে একটি বিলাসবহুল আবাসন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্য়া গৃহবধূর। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আচমকা বহুতল আবাসনের ১০ তলা থেকে নিচে পড়ে যায় কবিতা কাউর (৩৫)। ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ওই গৃহবধূ বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এছাড়াও তদন্তে নেমে পুলিস আরও জানতে পারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ চলছিল প্রায় এক বছর ধরে। সেই কারণেই মানসিক বিবাদে ভুগছিলেন কবিতা কাউর। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাতের বেলা আচমকা ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত ঘটনার খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাবর্তার মাধ্য়মে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে টেকনো সিটি থানার পুলিস।
রবিবার ছুটির দিনেও তৎপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। এবারে ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি। নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাট এবং একটি অফিস, পাশাপাশি চিনারপার্কের একটি অফিসে এই মামলার তদন্তে তল্লাশি অভিযানে নামে ইডির আধিকারিকরা।
রবিবার সকাল সকাল ইডির হানা নিউটাউন এবং চিনারপার্কে। জানা যাচ্ছে, ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় তল্লাশি অভিযান শহরের এই দুই জায়গাতে। নিউটাউনের গ্রিনউড কমপ্লেক্সের একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছয় ইডি, সঙ্গে পাশে থাকা অফিসেও। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটটি ঋষি সিং নামে এক ব্যক্তির, যিনি ইমপোর্ট-এক্সপোর্টের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পাশাপাশি, এই একই মামলায় চিনার পার্ক সংলগ্ন একটি অফিসেও তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, চিনার পার্ক সংলগ্ন পিএস এভিয়েটর বিল্ডিংয়ের পাঁচতলার একটি অফিসে পৌঁছয় ইডির আধিকারিকরা। তবে অফিস বন্ধ থাকায় দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় ইডি আধিকারিকদের। ভিন রাজ্যের ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় নিউটাউন এবং চিনারপার্কের এই আবাসন ও অফিস থেকে কী উদ্ধার হয় এবং তদন্তের গতিবিধি কোন দিকে এগোয় এখন সেটাই দেখার।
বাইকের রেষারেষি। বেপরোয়া গতিতে নিউটাউনের ইকো পার্কের কাছে বন্দের মোড় এলাকায় একটি বাইক ধাক্কা মারে অপরটিকে। ঘটনায় আহত এক পথচারী। বাইক আরোহীদের হাতে আক্রান্ত হন এক পুলিস আধিকারিকও। পুলিস নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে মদ্যপ তরুণ-তরুণী বাইক আরোহীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকাল সোয়া ৭ টা নাগাদ। অভিযুক্ত এক বাইক আরোহী পালিয়ে যায়। কিন্তু স্থানীয়রা পাকড়াও করেন অপর বাইক আরোহীকে। পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয় অভিযুক্তকে।পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কদম পুকুর থেকে মেইন রোড পেরিয়ে যাত্রাগাছি অটো স্ট্যান্ড-এর দিকে যাচ্ছিলেন পেশায় মিষ্টির দোকানের কর্মচারী গৌতম কর্মকার (৫০)। তিনি ঝালিগাছির বাসিন্দা। পরপর দুটি সিগন্যাল লাল ছিল। কিন্তু প্রায় মাঝ রাস্তায় চলে যাওয়ার পর তীব্র গতির বাইকের ধাক্কায় তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন।দুটি বাইক সিগন্যাল ভেঙে ঘণ্টায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার গতিতে পরস্পরের সঙ্গে জয় রাইড করছিল। বাইকের ধাক্কায় গৌতম বাবু ছিটকে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর ট্রাফিক সিগন্যাল অপারেট করার দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল পলাশ বৈদ্য একটি বাইক ধরার চেষ্টা করেন। তখন পাশের বাইকের যুবক নেমে তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। পলাশ বাবুর পায়ে, হাতে এবং চোখের নিচে আঘাত লাগে।
ঘটনার জেরে ক্ষিপ্ত জনতা রাস্তায় নামে। তবে কাছেই ইকোপার্ক থানা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আসে পুলিস ফোর্স।পলাশ বৈদ্যকে যে যুবক নিগ্রহ করেছে, তাকে জনতা ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেন। দীর্ঘক্ষণ পুলিসের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি চলে। বারেবারে সে পুলিসের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়।পুরোটাই ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। পরে তাকে আটক করে পুলিসের জিপে তোলা হয়।
গণধর্ষণের পর এবার যৌন নির্যাতনের অভিযোগ টেকনো সিটি থানায়। ১৪ বছরের নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে অভিযুক্ত সোহেল রানাকে গ্রেফতার করে টেকনো সিটি থানার পুলিস। ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউন (New Town) বালিগড়ি এলাকায়। মঙ্গলবার ধৃতকে বারাসাত আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, গত দু'মাস ধরে নিউ টাউন বালিগুড়ি এলাকায় ভাড়া থাকছিল বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা নামে এক যুবক। বিশেষ কাজে বাংলাদেশ থেকে কলকাতা আসে ওই যুবক। অভিযোগ, নিউটাউন বালিগুড়ি এলাকার যে বাড়িতে সোহেল রানা ভাড়া থাকছিল সেই বাড়ির মালিকের ১৪ বছরের নাবালিকা মেয়েকে বেশ কয়েকদিন ধরে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করে বলে অভিযোগ পরিবারের। নির্যাতনের পর অভিযুক্ত সোহেল রানা ব্ল্যাকমেল করছিল ও ভয় দেখাচ্ছিল ওই নাবালিকাকে বলেও অভিযোগ। ভয়ে পরিবারের কাউকে কিছু বলতে পারিনি নাবালিকা।
অবশেষে নাবালিকা রবিবার অসুস্থ হয়ে পড়লে গোটা ঘটনা জানাজানি হয়। এরপরই পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার সকালে টেকনো সিটি থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নিউটাউন এলাকা থেকে অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক সোহেল রানাকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে টেকনো সিটি থানার পুলিস।
নিউটাউনে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। জানা গিয়েছে, শাপুরজির একটি আবাসনে উইকেন্ড পার্টি চলছিল। নির্যাতিতা তরুণী ও তাঁর একাধিক বন্ধুবান্ধব উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
অভিযোগ, তরুণীকে মদ খাওয়ানো হয়। আর তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়লেই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়। ইতিমধ্যেই তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটার পর শনিবার সকালে টেকনোসিটি থানায় গিয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিতা তরুণী। অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে নিউটাউন এবং একজনকে এন্টালি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত তিনজনেই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকুরিরত। সকলের বয়ান রেকর্ড করছে পুলিশ।
নিউটাউনে (Newtown) চিকিৎসক পড়ুয়া খুনের (Death)অভিযোগ। নিউটাউন সেকেন্ড লেনের তারুলিয়াতে গৌতম নামের এক যুবকের ভাড়া বাড়ির খাটের নীচে থাকা সুটকেসের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মৃতদেহ। পুলিস সূত্রে খবর, সাজিদ হোসেন নামের ওই পড়ুয়ার হাত-পা বাধা, মুখে সেলোটেপ দেওয়া অবস্থায় ছিল। ঘটনায় গৌতম সিং ও পাপ্পু ঘোষ নামে দু'জনকে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে প্রথমে খুন করা হয় পড়ুয়াকে। তারপরে মুখে সেলোটেপ জড়িয়ে দেয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে। মুক্তিপণ দাবি করার আগেই ছাত্রকে খুন করা হয়েছিল। পুলিসি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে ধৃত গৌতম সিং। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত গৌতম তিনটি ঘর ভাড়া নিয়ে রেখেছিল। যখন যেখানে পারতো বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করতো। তার একটি রেস্টুরেন্ট ছিল।
সূত্রের খবর, গত চার তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল সাজিদ হোসেন। এই পড়ুয়া মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা। ডাক্তারির নিট-এর প্রস্তুতির পড়াশুনা করছিল সাজেদ। নিউটাউন মহিষ বাথান বক্স ব্রিজের কাছে ভাড়া থাকতেন। পাঁচ তারিখ নিউটাউন থানায় মিসিং অভিযোগ করেন পরিবার। এরপর বিকেলে তাঁর বাবার মোবাইলে একটি ছবি পাঠায় মুখে সেলোটেপ লাগানো অবস্থায়। সেই সময় মুক্তিপণের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে। সেই ছবি কিছুক্ষণ পর ডিলিট করে দেয়। এরপর আজ, শুক্রবার ভোর রাতে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
পুলিসের অনুমান, পড়তে এসে বেশ কিছু বন্ধু হয় সাজিদের। বন্ধুরা দেখতে পায়, সাজিদের কাছে বাড়ি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা প্রত্যেক মাসে আসছে। সেই দেখে অভিযুক্তরা বুঝতে পারে প্রচুর টাকা রয়েছে। এরপরেই তারা অপহরণের ছক কষে।
সপ্তাহান্ত এলেই মন উড়ু উড়ু? মনে হয় পাড়ি জমাই শান্তিনিকেতনে (Santiniketan)? দেখে আসি সোনাঝুরির হাট (Sonajhuri Hat)? খানিকটা হেঁটে আসি খোয়াইয়ের পথ ধরে? বীরভূমের (Birbhum) গ্রামীণ শিল্পীদের অসামান্য সব সৃষ্টি নিয়ে এসে ইচ্ছে করে ঘর সাজাতে? কিন্তু সময় মেলে না? কলকাতা থেকে অতখানি দূরে পাড়ি দেওয়ার সাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না সব সময়?
আর চিন্তা নেই৷ সোনাঝুরির হাটে যেতে এখন আর বোলপুর, শান্তিনিকেতনে যেতে হবে না৷ সোনাঝুরির হাটই এখন উঠে এসেছে কলকাতায়। খোদ নিউটাউনে। লালমাটি নেই, তবে ইঁট, কাঠ, কংক্রিটের জঙ্গলে একটুকরো গ্রামবাংলা।
নিউটাউনের কমিউনিটি জোনেই এখন লালমাটির সোনাঝুরির হাট। উদ্যোক্তা হিডকো। একদম বোলপুর-শান্তিনিকেতনের মতোই। হরেক শিল্প সম্ভার, জিভে জল আনা বোলপুরের স্থানীয় খাবার, সঙ্গে আরও অনেক কিছু। অভিনব উদ্যোগ, সন্দেহ নেই৷ প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি এবং রবিবার। সবমিলিয়ে যাকে বলে উইকেন্ড জমজমাট। একবার সময় করে ঘুরেই আসুন না৷
কলকাতার কাছেই সপ্তাহান্তে নতুন ঠিকানা, মিনি চিড়িয়াখানা। বাঘ ভাল্লুক নেই, ঠিকই। কিন্তু আছে জেবরা-জিরাফ, প্রচুর হরিণ, হিপ্পো, বাঁদর, কুমির, হরেক রকম পাখি, আরও কত কী!
কচিকাঁচাদের সময় কাটানোর জন্য একেবারে পারফেক্ট ডেস্টিনেশন। নিউটাউনে ইকোপার্ক লাগোয়ে এই মিনি জু খুলেছে মাস কয়েক আগেই। রক্ষণাবেক্ষনে হিডকো। সাড়ে ১২ একর জায়গাজুড়ে ছড়ানো সবুজ গালিচা।
ইট কাঠে ভরা শহর কলকাতার কাছে এ যেন এক সাময়িক পালিয়ে যাওয়ার ঠিকানা। সপ্তাহান্তে তো বটেই, কাজের দিনেও বিকেলে বেশ ভিড় হচ্ছে মিনি জু-তে।