ভয়াবহ বিস্ফোরণ নাগপুরের বিস্ফোরক তৈরির কারখানায়। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। আহত ৩ জন। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ হঠাৎই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বাজারগাঁওয়ের কারখানাটি। কেন বিস্ফোরণ হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে নাগপুরের পুলিস সুপারিটেন্ডেন্ট হর্ষ পোদ্দার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই সৌরশক্তি সংক্রান্ত বিস্ফোরক কারখানার কাস্ট বুস্টার প্ল্যান্টে প্যাকিং চলছিল। মোট ১২ জন কর্মী কাজ করছিলেন। বিস্ফোরণে তাঁদের মধ্যে ৯ জনেরই মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রের নাগপুর (Nagpur)। অনবরত ভারী বর্ষণের ফলে নাগপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। চারিদিকে জল থইথই, কোথাও হাঁটু সমান জল, আবার কোথাও কোমর সমান। এই পরিস্থিতিতে নাগপুরে মৃত্যু হয়েছে ৫৩ বছরের পঙ্গু মহিলা-সহ ৪ জনের। অন্তত ১০ হাজার বাড়ি জলমগ্ন। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে বানভাসি হয়ে পড়েছে নাগপুর। এই পরিস্থিতিতে রবিবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নাগপুরে এখনই বৃষ্টির আশঙ্কা কাটছে না। কমলা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আর তার জেরে আতঙ্ক বাড়ছে নাগপুরবাসীদের। জানা গিয়েছে, শনিবার তিন ঘণ্টায় ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর পর থেকেই বানভাসি বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে নাগপুরের এই পরিস্থিতিতে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পাশাপাশি সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে যথাযথ সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। রবিবারই মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশ বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এখনও অবধি ১৪০ জনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বন্য়া পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কারণে নাগপুরের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
দ্রুতগতিতে গাড়ি (Car) চালিয়ে ওভারব্রিজ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হলেন পাঁচ জন। ঘটনাটি নাগপুরের (Nagpur)। রবিবার সকাল সাড়ে ৭ টা নাগাদ বোরখেরি শিভর (Borkhedi Shivar) এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গিয়েই গাড়িটি ওভারব্রিজ থেকে নীচে রেললাইনের উপর পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় আহতদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি হয়।
সূত্রের খবর, আজ রবিবার সকালে একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে চলছিল, এরপরই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বোরখেরি ওভারব্রিজ থেকে রেললাইনের উপর পড়ে যায় গাড়িটি। নীচে পড়ে যেতেই চোখের নিমেষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় গাড়িটি। তবে কোনওমতে গাড়িতে উপস্থিত ব্যক্তিরা বেরিয়ে আসতে পারেন ও তাঁরা প্রাণে বেঁচে যান। দুঘর্টনাস্থলে পুলিস এসে পৌঁছয় ও আহতদের বুট্টিবোরির মায়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, তাঁরা গাড়ি নিয়ে নাগপুর থেকে হায়দরাবাদে যাচ্ছিলেন।
তবে এইভাবে গাড়ি উল্টে গিয়ে কীভাবে রেললাইনের উপর পড়ে গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
ফের ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা (Bus Accident)। মহারাষ্ট্রের সমৃদ্ধি মহামার্গ এক্সপ্রেসওয়েতে অর্থাৎ মুম্বই-নাগপুর এক্সপ্রেসওয়ে (Mumbai Nagpur Expressway) একটি বাসে ভয়াবহ আগুন লেগে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। শনিবার মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটে। জানা যাচ্ছে, ঘটনার সময় অভিশপ্ত বাসটিতে ৩৩ জন যাত্রী ছিলেন। বাসে সবাই ঘুমের মধ্যে ছিলেন। হঠাৎ করেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। ফলে কেউ বাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, শনিবার মধ্যরাত ২ টো নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে বুলধানা জেলায়। বাসটি মহারাষ্ট্রের যবৎমল থেকে পুণে যাচ্ছিল। আর সেসময়ই হঠাৎ বাসটিতে আগুন ধরে যায়। বুলধানা পুলিশের ডেপুটি এসপি বাবুরাও মহামুনি বলেছিলেন, 'বাস থেকে ২৫টি মৃতদেহ বের করা হয়েছে। বাসটিতে মোট ৩৩ জন যাত্রী ছিলেন। আহত হয়েছেন ৬-৮ জন। আহতদের বুলধানা সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।'
এছাড়াও বুলধানার এসপি সুনীল কাদাসানে জানিয়েছেন, মধ্যরাতে বাসটির একটি টায়ার ফেটে যায়। এরপরই বাসটি উল্টে যায় ও তাতে আগুন ধরে যায়। এরপর বাসের ভিতরে আটকা পড়ে যান যাত্রীরা। ফলে বাসের ভিতরেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁদের। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে খবর পুলিস সূত্রে। তবে বাসের চালক কোনওমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই দুর্ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শোকপ্রকাশ করেছেন। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নিহতদের পরিবারদের ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এদিন সকালেই উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের সঙ্গে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তিনি ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
#WATCH | Buldhana bus tragedy | Maharashtra CM Eknath Shinde and Deputy CM Devendra Fadnavis reach the accident site on the Samruddhi Mahamarg expressway.
— ANI (@ANI) July 1, 2023
25 people have lost their lives in the accident. pic.twitter.com/hZoqYfzQXO
মনে ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকলে কী না করা যায়! অদম্য চেষ্টা থাকলে অসাধ্য সাধন করাও অসম্ভব কিছু নয়। এমনই এক ছবি ফুটে উঠল নাগপুরের রাস্তায়। দেখা গিয়েছে, এক বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি হুইল চেয়ারে বসেই বিক্রি করছেন সিঙ্গারা। তবে কেন জানেন? কারণ তিনি নিজের আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে চান। পড়াশোনার প্রতি তাঁর এত আগ্রহ ও তাঁর কঠোর পরিশ্রম দেখে তাঁকে সাহায্য করার জন্য ভিডিও বানিয়েছেন ফুড ভ্লগার গৌরব ওয়াসান। আর এই ভিডিও সমাজমাধ্যমে শেয়ার হতেই ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেট দুনিয়া।
জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তির নাম সুরজ, তিনি নাগপুরের বাসিন্দা। তিনি নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি করেছেন। তবে তিনি কোনও চাকরি খুঁজে পাননি। এরপরেই সুরজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর আইএএস হওয়ার স্বপ্নপূরণ করবেন তিনি। কিন্তু টাকা-পয়সার অভাবের জন্য তাঁকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে তাতেও থেমে থাকেননি সুরজ। ঠিক করেন, হুইল চেয়ারে করেই সিঙ্গারা বিক্রি করবেন তিনি। এভাবেই তাঁর যাত্রা শুরু। সিঙ্গারার প্রতি প্লেট ১৫ টাকা করে বিক্রি করেন তিনি। সুরজ জানিয়েছেন, প্রতিদিন দুপুর ৩টে থেকে বিকেল ৭টা পর্যন্ত এই কাজ করেন তিনি।
সুরজের আইএএস হওয়ার এই স্বপ্নপূরণের কাহিনী 'ইউটিউবস্বাদঅফিসিয়াল' নামক ইনস্টাগ্রামের চ্যানেল থেকে এই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তাঁর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। কমেন্টে তাঁর প্রশংসা করে বলছেন, 'তিনি তাঁদের এক অনুপ্রেরণা।'
ফের শিশুর উপর পথকুকুরদের (Dog Attack) আক্রমণ। তবে এই ঘটনার কোনও খারাপ পরিণতি হয়নি। শিশুটিকে কুকুরদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন তার মা। ঘটনাটি ঘটেছে নাগপুরে (Nagpur)। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে এলাকার সিসিটিভি (CCTV Camera) ক্যামেরায়। ফুটেজটি সমাজমাধ্যমেও ভাইরাল (Viral Video) হয়ে গিয়েছে।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৬ বছরের ওই শিশুকে দেখে পাঁচ থেকে ছ’টি কুকুর ছুটে আসে। ঘটনায় ভয় পেয়ে দৌড়াতে থাকে শিশুটিও। আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই শিশুটিকে ধরে ফেলে কুকুরগুলি। তারপর শিশুটিকে ঘিরে ধরে কামড়াতে শুরু করে তারা। তবে শিশুটির চিত্কার শুনে তার মা ঢিল দিয়ে কুকুরগুলিকে মারেন। এমনকি ওই মহিলাকে আসতে দেখে কুকুরগুলিও পালিয়ে যায়।
এর আগে ছত্তিশগড়েও একই ভাবে রাস্তার এক দল কুকুর আক্রমণ করেছিল এক শিশুকে। এমনকি পরে মৃত্যুও হয় শিশুটির। সম্প্রতি লখনউতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল।
ফের বিমানেই (Airplan) মৃত্যু হল এক যাত্রীর (dead)। বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই যাত্রী। বিমানটিকে তড়িঘড়ি নাগপুরে (Nagpur) বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করেও শেষরক্ষা হল না। রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর (Indigo) একটি বিমানেই ঘটে এই ঘটনা। জরুরি অবতরণের পরই দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জানা গিয়েছে, রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানেই উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। বিমান যখন আকাশে উড়ছে ঠিক সেই সময়ই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। এই পরিস্থিতির কথা জানাতেই তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণ করার অনুমতি দেওয়া হয়। অবতরণও করা হয় বিমানটিকে। বিমানের মধ্যে এক ব্যক্তি অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে আগে থেকেই তৈরি ছিল অ্যাম্বুল্যান্স। কোনও প্রয়োজনের কথা ভেবে বিমানবন্দরেই অ্যাম্বুল্যান্স রেখে দেওয়া হয়। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করেই ওই ব্যক্তিকে নিকটবর্তী ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই অ্যাম্বুল্যান্সের রক্ষণাবেক্ষণকারী আয়াজ শামি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিমানের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন। সেই অবস্থাতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ইন্ডিগোর দিল্লি-দোহাগামী বিমানেও এক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁরও মৃত্যু হয়।
জেঠালাল চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন দিলীপ জোশী (Actor Dilip Joshi)। এবার তাঁর বাড়িতে দুষ্কৃতী হানার 'অভিযোগ'। এমনকি অভিনেতার কাছে হুমকি ফোন (Threat Call) এসেছে বলেও খবর। তাতে বলা, 'একেবারে ২৫ জন দুষ্কৃতী মিলে নাকি ঘিরে ফেলেছে অভিনেতার বাড়ি।' সেই দুষ্কৃতী (Miscreants Attack) হানার খবর পৌঁছয় নাগপুর পুলিসের (Nagpur Police) কন্ট্রোল রুমেও। কিছুদিন আগেই বোমাতঙ্কের খবর পৌঁছয় অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে। এবার সেই তালিকায় নতুন নাম অভিনেতা দিলীপ জোশী ওরফে জ্যাঠালালের।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নাগপুর কন্ট্রোল রুমে এক ব্যক্তির ফোন আসে। পুলিসের অনুমান, অভিনেতা দিলীপ যোশীর কাছে যে ব্যক্তি ফোন করেছিলেন, সেই একই ব্যক্তি অমিতাভ বচ্চন ও ধর্মেন্দ্রর বাড়ির বোমাতঙ্কের খবর দেন। শুধুমাত্র বোমাতঙ্কের খবর দিয়েই ক্ষান্ত হননি সেই ব্যক্তি। ফোনে তিনি জানান, ২৫ জন আগ্নেয়াস্ত্রধারী মুম্বইয়ের দাদরে এক সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে চলেছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে জুহু, ভিলে-পার্লে এলাকাতেও সতর্ক পুলিস। দিলীপ জোশীর বাড়িতে এই দুষ্কৃতী হামলা নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিস।
স্ট্রিট ফুড বললেই প্রথমেই সকলের মাথায় একটাই নাম আসে, ফুচকা। আর ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ হয়তো খুবই কম আছে। কিন্তু ফুচকা (Fuchka) খেতে গিয়ে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটবে, তা কি কখনও কেউ কল্পনা করতে পেরেছে? ফুচকা খেতে আসা এক যুবকের কাছে বকেয়া টাকা ফেরত চাইতেই ছুরিকাহত (Stabbing) হলেন ফুচকাওয়ালা। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নাগপুরে (Nagpur)।
২০ টাকা বকেয়া নিয়ে শুরু ঘটনার সূত্রপাত। জানা গিয়েছে, যে ফুচকাওয়ালার উপর হামলা চালায়, তাঁর নাম জয়রাম গুপ্ত। তিনি ঘুরে ঘুরে ফুচকা বিক্রি করতেন। ওই যুবক প্রায়শই তাঁর থেকে ফুচকা খেতেন। কখনও টাকা দিয়ে খেতেন। আবার কখনও টাকা ধার রাখতেন। ফুচকাওয়ালা ধারে ফুচকা দিতে না চাইলেও, কার্যত জোর করে ফুচকা খেতেন ওই ব্যক্তি। রবিবার বিকেলেও ওই ব্যক্তি ফুচকা খেতে আসেন। সেই সময় ফুচকাওয়ালা তাঁকে তিন দিন আগের বাকি থাকা ২০ টাকা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
তখনই বচসা শুরু হয়। তর্কাতর্কির জেরে হঠাৎ ওই ব্যক্তিকে ছুরি দিয়ে হামলা চালায় যুবক। ফুচকাওয়ালার পেটে এলোপাথাড়ি কোপ মারেন অভিযুক্ত। ওই ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই অভিযুক্ত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। আহত ওই ফুচকাওয়ালা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিস সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বর্তমানে পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পথকুকরদের (stray dog) আক্রমণে (Attacked) আতঙ্কিত নাগপুরবাসী। ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছে যে, "কোনও নাগরিকের প্রকাশ্য স্থানে অথবা বাগান ইত্যাদি জায়গায় পথ কুকুরদের খাওয়ানো বা খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।"
বিচারপতি এস বি শুক্রে এবং এএল পানসারের বেঞ্চ নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (এনএমসি) মিউনিসিপ্যাল কমিশনারকে আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, এই ধরনের পথকুকুরদের নিজের বাড়ি ছাড়া অন্য কোনও জায়গায় খাবার দেওয়া যাবে না।
২০ অক্টোবর বেঞ্চ আরও বলেছে, যদি কোনও ব্যক্তি পথকুকুরদের খাওয়াতে আগ্রহী হন, সেক্ষেত্রে ওই পথকুকুরদের দত্তক নিতে হবে। তার আগে পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইনি পথে কাগজপত্র সই করতে হবে। এরপর নিজের বাড়ি নিয়ে গিয়ে হোক বা কোনও কুকুরের আশ্রয়কেন্দ্রে তাকে রেখে যত্ন নিতে পারেন বা খাওয়াতে পারেন।
আদালত নাগপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কমিশনারকেও নির্দেশ দিয়েছে যে, কুকুর খাওয়ানোর নিজস্ব জায়গা বা কুকুরের আশ্রয়কেন্দ্র বা অন্য কোনও অনুমোদিত জায়গা ছাড়া কোনও জায়গায় রাস্তার কুকুরদের খাওয়ানো যাবে না। সে বিষয়ে যেন নজর রাখে কর্পোরেশন। এমনকি কমিশনার এই নির্দেশাবলী লঙ্ঘনের জন্য উপযুক্ত জরিমানাও ধার্য করা হবে। আর সেই জরিমানা ২০০টাকারও বেশি হতে পারে।
বেঞ্চ আরও বলেছে যে, "এখন ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে।" যদিও, আদালত বলেছে যে, এই পদক্ষেপ একেবারে কুকুরের আক্রমণ থেকে বাঁচানো যাবে তা নয়, তবে বিপদ থেকে কিছুটা রেহাই মিলতে পারে। আক্রমণকারী কুকুরকে নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসারে ট্রেনিং দিতে হবে। তাদের একটি মনিটরিং কমিটির কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এভাবে, পুলিস কমিশনার এবং পুলিস সুপার, নাগপুর (গ্রামীণ) কেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, "বিপথগামী কুকুর থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাদের নিজ নিজ এলাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে।"
পথ কুকুরের জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ১৭ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। আদালত বরাদ্দ মঞ্জুর করে অবিলম্বে এ অর্থ ছাড়ের নির্দেশ দিয়েছে। জন্মনিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে কুকুরদের অন্ডকোষ বা ডিম্বাশয় অপসারণের কথা বলেছে। ও বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর ওই কুকুরদের যাবতীয় যত্ন নিতে হবে।