লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে বিজেপি, তৃণমূল। তৃতীয় দফায় সভা করতে বঙ্গে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, শনিবার বিকেলে শিলিগুড়িতে সভা করছেন তিনি। সেখানে উপস্থিত থাকছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা অধুনা বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ বাগডোগরায় নেমেছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যান। লোকসভা নির্বাচনের মুখে উত্তরবঙ্গের প্রথম সভাটি শিলিগুড়ি দিয়ে শুরু করেছেন তিনি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ সংলগ্ন কাওয়াখালি মাঠে বিকেল তিনটেয় ওই সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ন্ত্রিণ করা হচ্ছে যান চলাচল।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপরই ৭ই মার্চ সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দুর উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপিতে যাওয়ার পর এটাই প্রথম মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে চলেছে প্রাক্তন বিচারপতির।
রবিবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে চর্চার শেষ ছিল না। যে বিচারপতির কাছে, সঠিক বিচারের আশায় বুক বাঁধতেন সাধারণ, সেই বিচারপতিই এবার নিতে চলেছেন অবসর। সেদিনই বিচারপতি ঘোষণা করেন, আজ, মঙ্গলবারই বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন তিনি। ঘোষণামতোই কাজ। মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠান তিনি।
২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই অবসর গ্রহণের সময়সীমা ছিল বিচারপতির। কিন্তু অবসরের নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র কয়েক মাস আগেই কেন আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শুরু হয়েছিল রাজ্যে দুর্নীতির শিকড় খোঁড়ার অভিযান। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও সবার প্রথম দিয়েছিলেন এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। যে মামলা এখনও বিচারাধীন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বিচারপতি তাই আপামর চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভগবান, তা বারংবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা স্বীকার করেছেন নিজের মুখে। এমন একজন বিচক্ষণ বিচারপতির আচমকা অবসর গ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই ভাবাচ্ছে মানুষকে।
পাশাপাশি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে, তবে কি এবার আদালতের ময়দান ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন বিচারপতি? যদিও এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্তে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে একমাত্র সময়ই, তা বলাই যায়।
রবিবার বেলা গড়াতেই উঠে এল বড় খবর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে। যে বিচারপতির কাছে, সঠিক বিচারের আশায় বুক বাঁধতেন সাধারণ, সেই বিচারপতিই এবার নিতে চলেছেন অবসর। রবিবারই বিচারপতি ঘোষণা করেন, আগামী মঙ্গলবারই বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০২৪ সালের অগাস্ট মাসেই অবসর গ্রহণের সময়সীমা ছিল বিচারপতির। কিন্তু অবসরের নির্ধারিত সময়সীমার মাত্র কয়েক মাস আগেই কেন আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শুরু হয়েছিল রাজ্যে দুর্নীতির শিকড় খোঁড়ার অভিযান। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও সবার প্রথম দিয়েছিলেন এই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ই। যে মামলা এখনও বিচারাধীন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। সেই বিচারপতি তাই আপামর চাকরিপ্রার্থীদের কাছে ভগবান, তা বারংবার বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা স্বীকার করেছেন নিজের মুখে। এমন একজন বিচক্ষণ বিচারপতির আচমকা অবসর গ্রহণ স্বাভাবিকভাবেই ভাবাচ্ছে মানুষকে।
পাশাপাশি বঙ্গের ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে, তবে কি এবার আদালতের ময়দান ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন বিচারপতি? যদিও এই বিষয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। কিন্তু বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আচমকা অবসরের সিদ্ধান্তে গজিয়ে ওঠা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে একমাত্র সময়ই, তা বলাই যায়।
অশান্ত সন্দেশাখালি, উত্তপ্তের আঁচ খুজতে উঠে এসেছে মহিলাদের বিরুদ্ধে অকথ্য অত্যাচার, সম্ভ্রমহানির হাজারো অভিযোগ। শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের নামে কান পাতা দায় সন্দেশখালিতে। এমন পরিস্থিতিতে অশান্তির প্রায় ৭ দিনের মাথায় সোমবার সকালে সন্দেশখালিতে গেলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।
১৪৪ ধারার মধ্যেও প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় পৌঁছন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন, অভিযোগ শোনেন।
মহিলাদের অভিযোগ, রাত ১২ টায় তুলে নিয়ে যাওয়া হতো পার্টি অফিসে। কখনও ছাড়া হতো রাত পেরলো, কখনও ছাড়া হতো ৩-৪ দিন পর। সুন্দরী মেয়ে হোক বা বউ, টার্গেট হতো শাহজাহান ঘনিষ্ঠদের। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন,'মহিলাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ ওঠায় কথা বলার জন্য আসা'। এদিন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললেন স্থানীয় মহিলারা।
রাস্তার বেহাল দশা। অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে না গ্রামের রাস্তায়। ফলে অসুস্থ রোগীকে খাঁটিয়া করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি মালদার (Malda) বামনগোলা (Bamongola) ব্লকের মালডাঙ্গা গ্রামের। অভিযোগ, রাস্তা খারাপ থাকার ফলে অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রামে ঢুকতে মানা করে দেন। এর পরই রোগীকে খাটিয়ায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই গা শিউরে ওঠার মত দৃশ্যই ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার মালদা নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। পরে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরোধ চলার পর ব্লক প্রশাসনের প্রতিশ্রুতিতে উঠল অবরোধ।
অ্যাম্বুলেন্স না আসায় খাটিয়ায় রোগীকে শুঁইয়ে হাসপাতালের পথে রওনা দিয়েছিলেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু চেষ্টা করেও শেষরক্ষা করা গেল না। জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মামনি রায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা খারাপ। বর্ষার সময় ভয়াবহ পরিস্থিতি হয়। এর আগে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন মহলে গ্রামবাসীরা রাস্তার জন্য দাবি জানিয়েছেন, পথ অবরোধ করেছেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই কিছু হয়নি। এর পর আজ এমন মর্মান্তিক ঘটনার ঘটার পরই প্রতিবাদে মালদার নালাগোলা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।
এদিকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বামনগোলা ব্লকের জয়েন্ট বিডিও উত্তম বিশ্বাস। রাস্তা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানিয়েছেন। আবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বামনগোলা ব্লকের বিডিও। আর সেখানেই অবরোধকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। গ্রামবাসীরা জানিয়ে দেন, যতক্ষণ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস না আসবে ততক্ষণ তারা অবরোধ তুলবেন না। পরে ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাস্তা তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানোর পর তাঁরা অবরোধ তুলে নেন।
পুজো প্রায় এসেই গেল। টলিউড অভিনয় জগতের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। পুজোর চারটে দিন দর্শকদের মনোরঞ্জন করতে তৈরি বাংলা সিনেমাগুলিও। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। সৃজিত মুখার্জি পরিচালিত 'দশম অবতার'এর ট্রেলার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন দর্শক। এবার মুক্তি পেল 'জঙ্গলে মিতিন মাসি'র (Jongole Mitin Mashi) ট্রেলার।
কোয়েল মল্লিককে (Koel Mallick) দেখা গিয়েছে তার চেনা মেজাজে। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'মিতিন মাসি'। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কোয়েল মল্লিক। 'জঙ্গলে মিতিন মাসি' সেই সিনেমার সিক্যুয়েল। চরিত্রের জন্য ইদানিং নিজেকে ভেঙে গড়ে নিচ্ছেন কোয়েল মল্লিক। এই সিনেমাতেও সেই জের জারি রয়েছে। অভিনেত্রী সুলভ আচরণ ছেড়ে কোয়েল হয়ে উঠেছিলেন দুঁদে গোয়েন্দা। শুধুমাত্র তাই নয়, একা হতে ধরাশায়ী করেছিলেন শত্রুদের। আবারও একই ভূমিকায় দেখা গেল মিতিন মাসিকে।
তবে এবার ইট পাথরের শহরে নয়, মিতিন মাসিকে দেখা যাবে গহীন জঙ্গলে। ঘন জঙ্গলে দুটি হাতের মৃত্যু হওয়ার পর, চোরা শিকারীদের নিজ হাতে দমন করবেন তিনি। সেই ট্রেলারই মুক্তি পেয়েছে মঙ্গলবার।
২০১৯ সালে বাংলার সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছিল অরিন্দম শীল পরিচালিত সিনেমা, 'মিতিন মাসি'। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick)। গুমনামী, পাসওয়ার্ড-এর মতো হেভিওয়েট সিনেমার মধ্যে থেকেও দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছিলেন 'মিতিন মাসি' (Mitin Mashi)। সেই জের জারি রাখতে চলতি বছর দুর্গাপুজোয় আবারও ফিরতে চলেছেন 'মিতিন মাসি'। তবে এবারে আর শহরে নয়, মিতিন মাসিকে দেখা যাবে জঙ্গলে।
চোরা শিকারির রক্তচক্ষুতে যখন একের পর এক পশুর জীবন বিপন্ন, তখন তাঁদের ত্রাতা হয়ে উঠবেন মিতিন মাসি। এবারেও মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে কোয়েলকে। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের এই উপন্যাসকে সিনেমার পর্দায় জীবন্ত করে তুলতে বেশ কিছু পশুকে শ্যুটিংয়ে দেখানো হয়েছে, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়া জরুরি ছিল। তাই জন্য কোয়েলকে কী করতে হয়েছে জানেন! সামাজিক মাধ্যমের পর্দায় দেখা গিয়েছে সেই ঝলক।
অভিনেত্রী সিনেমার সবচেয়ে বড় সহ-অভিনেতার সঙ্গে একটি ভিডিও আপলোড করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। তিনি আর কেউ নয়, হাতি। সিনেমার শ্যুটিংয়ে বহু দৃশ্যে দেখা যাবে তাকে। তবে কোয়েল কিন্তু সহজে বন্ধুত্ব করতে পারেননি। হাতিটিকে নিয়মিত আদর করতে হয়েছে কোয়েলকে। খাওয়াতে হয়েছে তার প্রিয় সবজি। এই সহ-অভিনেতার সঙ্গে কাজ করে বেজায় খুশি অভিনেত্রী। হাতিটিকে আদুরে ও বন্ধুত্বপূর্ণ লেগেছে অভিনেত্রীর।
গঙ্গোপাধ্যায় পরিবারে খুশির খবর। অর্থনীতিতে স্নাতক হলেন সৌরভ কন্যা সানা। ইউসিএল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে লন্ডনেই থাকতেন। কনভোকেশনে যোগ দিতে লন্ডন পাড়ি দেন সৌরভ। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মেয়ের সাফল্যের কথা শেয়ার করলেন মহারাজ।
গত বুধবার সকালে ইংল্যান্ড যান সৌরভ। সানার বিশ্ববিদ্যালয়ে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়া মেয়ে ও তাঁর পরিবারের ছবি শেয়ার করেন সৌরভ। লেখেন, "অভিনন্দন সানা, আরও অনেক দূর যাওয়া বাকি।"
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্পেন সফরে আমন্ত্রণ পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ইংল্যান্ড থেকেই সরাসরি যোগ দিতে পারেন সেই সফরে।
বাংলা সিনেমা জগতে ব্যোমকেশের বাড়বাড়ন্ত। পাল্লা দিয়েছে ফেলুদা, হালফিলের শবর ও সোনাদা। গোয়েন্দাদের এই দলে একমাত্র মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বী 'মিতিন মাসি' (Mitin Mashi)। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের লেখা উপন্যাস থেকে এই চরিত্রটিকে প্রথম সিনেমার পর্দায় তুলে আনেন পরিচালক অরিন্দম শীল। ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick) অভিনীত 'মিতিন মাসি'। ওই একই বছরে মুক্তি পেয়েছিল, সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'গুমনামী' ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের 'পাসওয়ার্ড'। এই দুই সিনেমার মাঝেও দর্শকদের মন জিতেছিল সিনেমাটি।
স্বাভাবিকভাবে মিতিন মাসি নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশা বেড়ে গিয়েছে। চলতি বছর দুর্গাপুজোয় আসতে চলেছে 'জঙ্গলে মিতিন মাসি'। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে সিনেমার টিজার। কয়েকটি ঝলকেই কোয়েলের আগাম প্রশংসা করা যায়। ২০২০ সালে সন্তানের মা হয়েছেন অভিনেত্রী। তবে নিজেকে আবারও আগের ঝরঝরে চেহারায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। জঙ্গলে মিতিন মাসির অ্যাকশন দৃশ্যের ঝলক দেখে মনে হয়েছে, বয়স যেন কমে গিয়েছে কোয়েলের।
মিতিন মাসিকে এবার দেখা যাবে ঘন জঙ্গলের মাঝে রহস্য উন্মোচন করতে। শুধুমাত্র যে মানুষের জীবনে বিপর্যয় নামে তা তো নয়, বন্যা প্রাণীদের জীবনেও বিপর্যয় নামে। এবার 'মিতিন মাসি' তাঁর অদৃশ্য দশ হাতে চোরা শিকারীর নিধন করবে। দুর্গাপুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে সিনেমাটি।
শতাব্দী প্রাচীন একটি দলের দায়িত্ব জন্মসূত্রে কাঁধে নিয়েও, 'গান্ধী' পরিবারের আর সকলের থেকে একটু ছক ভাঙা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কিন্তু ৫২ বছরের এই রাজনীতিকের বয়স যেন কেবলমাত্র একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিচ্ছুটি নয়। কেবল রাজনীতি নয় নিজের রকমারি 'মুডের' কারণে, লুকের কারণেও খবরের শিরোনামে থাকেন তিনি। তবে এবারে এক অন্য রূপেই দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। এই যেমন এবার তিনি তাঁর বাইক নিয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন লাদাখের (Ladakh) উদ্দেশে। আর সেখানে যেতেই একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করলেন তিনি। ক্যাপশেন লিখেছেন, 'বাবা বলতেন, এই জায়গা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সুন্দর জায়গা।'
সৌন্দর্যে মোড়া লাদাখের পাহাড়ি রাস্তায় খোশমেজাজে বাইক চালাচ্ছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। মাথায় হেলমেট, পরনে বাইকারের পোশাক, চোখে আঁটা রোদ চশমা, পিঠে ব্যাগ নিয়ে খোশমেজাজে চালাচ্ছেন বাইক। লেহ-লাদাখে গিয়ে এক অন্য মুডেই ধরা দিলেন তিনি। তিন দিনের জন্য লেহ-লাদাখ সফরে গিয়েছেন ও সেখানে গিয়েই প্যাংগং লেকে যেতে তিনি তাঁর স্পোর্টস বাইককেই সঙ্গী করে নিয়েছেন। আর বেরিয়ে পড়েছেন লাদাখের অতুলনীয় সৌন্দর্য দেখতে।
তবে হেলমেট পরা অবস্থায় রাহুল গান্ধীকে চেনা বড় দায় ছিল। দেখে মনে হচ্ছে, ঠিক যেন সিনেমার দৃশ্যের শ্যুটিং চলছে। একেবারে হলিডউ মুডে রয়েছেন রাহুল। কিন্তু হেলমেট খুলতেই স্পষ্ট হল তাঁর মুখ। উল্লেখ্য, ব্যাচেলর রাহুল গান্ধীর গ্যারেজে রয়েছে একটি কেটিএম ৩৯০ সি মডেলের বাইক। আর এটাতেই চেপে লাদাখের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন তিনি। এই বাইকটির বাজারদর ২ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা।
মণি ভট্টাচার্য: নারায়ণই বটে, সত্তরোর্ধ অসহায় এক মায়ের কাছে বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী এখন সাক্ষাৎ নারায়ণ। খবর পেয়ে স্টেশনে ফেলে যাওয়া এক মা কে কেবল আশ্রয়ই দিলেন না, নিলেন অসুস্থ ওই মহিলার সমস্ত দায়িত্ব। শুক্রবার সকালে নিজের সোশ্যাল মাধ্যমে তিনি খবর পান, ধোপদুরস্ত দেখতে এক মহিলা, পরনে পরিষ্কার সাদা কাপড়, সঙ্গে ব্যাগে কিছু শাড়ি। শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার অশোকনগর রেল স্টেশনে বসে কাঁদছেন আর লোককে ডেকে সাহায্যের কথা বলছেন। এ ঘটনা নজরে আসতেই ওই মহিলাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন এবং অশোকনগরে নিজের তৈরী ভবঘুরে আবাসন অর্থাৎ রবীন্দ্রনিকেতনে আশ্রয় দেন ওই মহিলাকে।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ওই মহিলাকে অশোকনগরে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই মহিলাকে তাঁর ছেলে এখানে ফেলে রেখে চলে গেছে। এরপর স্থানীয়দের মারফত খবর পেয়ে 'আস্থা' নামক একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এবং ওই মহিলার কাগজ ঘেটে তাঁর পরিচয় জানতে পারে। এরপর এ সমস্ত ঘটনা সোশ্যাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এ ঘটনা নজরে আসতেই অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের নব নির্বাচিত সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী ওই মহিলাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন। শুক্রবার নারায়ণ গোস্বামী সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'কোনও মা এভাবে রাস্তায় দিন কাটাক এটা কাম্য নয়, ওই মহিলার কিছুটা শারীরিক ব্যাধি আছে। আপাতত রবীন্দ্রনিকেতনেই থাকবেন তিনি, স্থানীয় মাতৃসদন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
সূত্রের খবর, সোশ্যাল মাধ্যমে বিষয়টা নজরে আসতেই তড়িঘড়ি খোঁজ খবর শুরু করে হাবড়া রেল পুলিস কতৃপক্ষ। শুক্রবার হাবড়া জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুশীল সিং জানান, বিষয়টা আমাদেরও নজরে আসে। কিন্তু ততক্ষনে মাননীয় বিধায়ক ওনাকে উদ্ধার করে ফেলেন। অশোকনগর থানার পুলিস সূত্রের খবর, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। বিধায়কের এমন কাণ্ডে মুগ্ধ হয়েছেন পুলিস সহ অশোকনগরের সাধারণ মানুষও।
সুস্থ হয়ে উঠছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এখনও চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণেই রয়েছেন তিনি। রাইলস টিউবের মাধ্যমে খাদ্য প্রবেশ করানো হচ্ছে তাঁর শরীরে। এর মধ্যেই আম খাওয়ার আবদার করলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা এক চিকিৎসক জানালেন এই কথা।
উল্লেখ্য, শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলেও বুদ্ধদেববাবুর শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা রয়েছে স্বাভাবিকের থেকে কম। সেই কারণে রক্ত (Blood) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে।
সূত্রের খবর, বুদ্ধদেববাবুর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১০ এর থেকে কম রয়েছে। সেই কারণেই রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা থাকায় হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা জরুরি বলে মত চিকিৎসকদের। তবে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা বর্তমানে স্থিতিশীল। এখনও কড়া ডোজের অ্য়ান্টিবায়োটিক দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
শ্বাসকষ্টের প্রবল সমস্যা নিয়ে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তারপর তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হলেও সোমবার ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। মঙ্গলবার সন্ধের বুলেটিনে জানানো হয়েছে শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে।
মালদহের ঘটনার ৯দিন পর সক্রিয় প্রশাসন। বামনগোলা থানার পুলিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল মালদা জেলা পুলিশ সুপার। ১৮ই জুলাই ওই দুই নির্যাতিতা মহিলাকে মারধর করা হয় বামন গোলা পাকুয়াহাট বাজার এলাকায় ওই ঘটনায় বামনগোলা থানার আইসি জয়দেব চক্রবর্তী সহ দুইজন সাব ইন্সপেক্টর পদাধিকারী অফিসার এবং একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পদাধিকারী অফিসার কে ক্লোজ করা হল। সূত্রের খবর, মালদহের ওই ঘটনায় পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে সাধারণ মানুষ সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
সূত্রের খবর চলতি মাসে ১৮ই জুলাই মালদহে পাকুয়াহাট বাজার এলাকায়, লেবু বিক্রি করতে আসা দুই মহিলাকে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় এরপরে পুলিস ওই দুই নির্যাতিতাকেই গ্রেফতার করে বলে অভিযোগ। এ ঘটনা সামনে আসতেই পুলিস মারধরে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। এরপরেই উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য রাজনীতি। যদিও ঘটনার সাত দিন পর জামিনে মুক্তি পায় ওই দুই নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পাশাপাশি এ ঘটনায় গাফিলতির অভিযোগে চার পুলিস আধিকারিককে ক্লোজ করল মালদহ জেলা প্রশাসন।
অভিনেতা আফরান নিশো (Afran Nisho) বড় পর্দায় ডেবিউ করেছেন, পরিচালক রায়হান রফির 'সুড়ঙ্গ' (Surongo) সিনেমা দিয়ে। বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েই ছবিটি বক্স অফিসে ভালোই ব্যবসা করেছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এপার বাংলা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গবাসীও নিশোর ভক্ত। ফলে তাঁর প্রথম সিনেমা দেখার জন্য আগ্রহী ছিলেন সকলে। অবশেষে ভারতেও মুক্তি পেয়েছিল 'সুড়ঙ্গ'। তবে কয়েকদিন চলতে না চলতে সামাজিক মাধ্যমে ফাঁস হল পুরো সিনেমাটি।
ইউটিউব, ফেসবুক এবং জাল সিনেমার একাধিক সাইটে এই ছবি ঘুরেছে অনেকটা সময়। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন সিনেমার প্রযোজকেরা। সিনেমার এডিটর, সীমিত রায় অন্তরের দাবি, সিনেমার পাইরেটেড কপি দেখে মনে হয়েছে সিনেমাটি রেকর্ড করার সময় হলে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। আবহে হাসি, কিংবা কোলাহলের আওয়াজ শোনা যায়নি। তাঁর ধারণা, ট্রাইপডের ব্যবহার করে সিনেমাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে জড়িত থাকতে পারে কোনও থিয়েটার সংস্থা।
এর প্রতিক্রিয়ায় পরিচালক সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রত্যেকটি ভিডিওতে রিপোর্ট মেরে যথাসম্ভব সেই ভিডিও নামিয়ে ফেলেছেন। তা সত্বেও কিছু ভিডিও এখনও দেখা যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। এই পাইরেসির ঘটনা ছাড়া সার্বিকভাবে ভারত এবং বাংলাদেশে ভালোই ফল করছে 'সুড়ঙ্গ'। যদিও এই ছবি নিয়ে সিনেমা বিশেষজ্ঞরা সমালোচনাও অনেক করেছেন।
মণি ভট্টাচার্য: ভোটের কাজ শেষ হওয়া সত্ত্বেও ১৬ ঘন্টা ধরে নিখোঁজ ভাঙড়ের পোলিং অফিসার। সূত্রের খবর, ভাঙড়ের দ্বিতীয় পোলিং অফিসার সঞ্জয় সর্দার শনিবার গভীর রাতে ভোটের সামগ্রী সমস্ত কিছু ও ডিসিআরসি জমা দিয়ে এখনও অবধি বাড়ি ফেরেননি। তাঁর হঠাৎ এই নিখোঁজ হওয়াতে স্বাভবিকভাবেই চিন্তিত তাঁর পরিবার। পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার সঞ্জয়ের পরিবারের তরফে জীবনতলা থানায় সঞ্জয়ের নিখোঁজ সমন্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পুলিস জানিয়েছে, সঞ্জয়ের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
সূত্রের খবর, প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক সঞ্জয় সর্দার, ভাঙড়ের ১০৭ বনম্বর বুথ দক্ষিণ গাজীপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে ভোটের কাজে যান। এরপর ভোট শেষে ভাঙড়ের কাঠালিয়া হাইস্কুলে ডিসিআরসিতে ভোট সামগ্রী জমা দিয়ে শনিবার রাত ২ টো ১৫এর সময় সেখান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এরপর ১৮ ঘন্টা হয়ে গেলেও সঞ্জয় নামের ওই দ্বিতীয় পোলিং অফিসার বাড়ি ফেরেননি বলে দাবি তাঁর পরিবারের।
সঞ্জয় সর্দারের স্ত্রী টুম্পা সর্দার সিএন-ডিজিটালকে জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের সঙ্গে শেষবার ফোন যোগাযোগ করা হয়েছিল তখন সে সবে ভোট শেষ করেছেন। এরপর থেকে তাঁকে আর ফোনে পাওয়া যায় নি। তিনি জানিয়েছেন তারপর থেকে ফোন বন্ধই ছিল। এ ঘটনায় রীতিমত ভেঙে পড়েছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'আমরা আজ সকাল থেকে বিভিন্ন হাসপাতাল গুলিতে ঘুরেছি। কিন্তু কোনও খোঁজ পাই নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভোটকেন্দ্র থেকে খুব দেরি হলেও সঞ্জয়ের বাড়ি অর্থাৎ ক্যানিংয়ে পৌঁছাতে দেড় থেকে ২ ঘন্টার বেশি লাগার কথা নয়। আমরা পুলিসকে জানিয়েছি।
এ বিষয়ে ওই বুথের প্রিসাইডিং অফিসার টিপুসুলতান হালদার সিএন-ডিজিটালকে বলেন, 'আমাদের ভোট কেন্দ্রে তেমন কিছু হয় নি। যখন আমরা ভোট সামগ্রী জমা দিয়ে ফিরছি তখন দেখেছিলাম ওনার ফোন বন্ধ। এরপর থেকে ১৭ -১৮ ঘন্টা কেটে গেলেও তার খোঁজ মেলেনি।'
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ইটাহার ব্লকের একটি স্কুলে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করছিলেন করণদিঘির রহতপুর হাইস্কুলের শিক্ষক রাজকুমার রায়। ভোট চলাকালীনই তিনি বুথ থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরদিন সকালে রায়গঞ্জ থানার বামুনগাঁ এলাকায় রেললাইনের ধারে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্কুল শিক্ষক প্রিসাইডিং অফিসারের ভোট চলাকালীন এই রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়ে ওঠে রাজ্যের কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার। এবার ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে কিছু জায়গায় প্রিসাইডিং অফিসারদের মারধর করা হলেও কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটে নি। কিন্তু ভাঙড়ের এই পোলিং অফিসার নিখোঁজের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।