Breaking News
Abhishek Banerjee: বিজেপি নেত্রীকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগ, প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জাতীয় মহিলা কমিশনের      Convocation: যাদবপুরের পর এবার রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সমাবর্তনে স্থগিতাদেশ রাজভবনের      Sandeshkhali: স্ত্রীকে কাঁদতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন 'সন্দেশখালির বাঘ'...      High Court: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল, সুদ সহ বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের      Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে জমি দখল তদন্তে সক্রিয় সিবিআই, বয়ান রেকর্ড অভিযোগকারীদের      CBI: শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ! তদন্তে সিবিআই      Vote: জীবিত অথচ ভোটার তালিকায় মৃত! ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির ১২ জন ভোটার      ED: মিলে গেল কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর, শ্রীঘই হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ ইডির      Ram Navami: রামনবমীর আনন্দে মেতেছে অযোধ্যা, রামলালার কপালে প্রথম সূর্যতিলক      Train: দমদমে ২১ দিনের ট্রাফিক ব্লক, বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, প্রভাবিত কোন কোন রুট?     

NASA

Nasa: 'সারে জাঁহা সে আচ্ছা...', নাসা প্রকাশিত ছবিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল হিন্দুস্থান

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মার সেই ঐতিহাসিক কথোপকথনের কথা মনে রয়েছে তো? মহাকাশ থেকে ভারতকে দেখতে কেমন লাগছে এই প্রশ্নের উত্তরে রাকেশ শর্মা বলেছিলেন, 'সারে জাঁহা সে আচ্ছা'। মহাকাশ থেকে আমাদের দেশকেই যে সবথেকে বেশি সুন্দর লাগে দেখতে, ফের একবার যেন তা প্রমাণিত। সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা মহাকাশ থেকে পৃথিবীর একটি ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছে, যা দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে আপনারও। এর আগেও এমন পৃথিবীর অনেক ছবি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে মহাকাশ সংস্থাগুলিতে। কিন্তু এবারের ছবিটির যেন এক আলাদাই আকর্ষণ রয়েছে। সমাজমাধ্যমে শেয়ার করার সঙ্গে সঙ্গেই এটি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল। তবে কী এমন আছে ছবিতে?

জানা গিয়েছে, এই ছবিটি ২০১৬ সালের। আর তাতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে পৃথিবীর উপর মানুষের বসবাস। রাতের অন্ধকারে তোলা ছবিতে এক নীল রং-এর আভাও সাফ দেখা যাচ্ছে। এর থেকেও আশ্চর্য বিষয়টি হল, এখানে আমাদের দেশ ভারতকেই রাতের অন্ধকারে বেশি উজ্জ্বল দেখাচ্ছে। আর ভারতের এমন দৃশ্য দেখে ভারতবাসীদের মন জুড়িয়ে গিয়েছে। ভারত ছাড়াও, ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকার আলো দেখা যাচ্ছে, তবে ভারতের মত অতটা উজ্জ্বল নয় এই আলো।

দু'দিন আগের শেয়ার করা এই ছবিতে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষের বেশি লাইক পড়েছে, কমেন্টও এসেছে হাজার হাজার। কেউ লিখেছেন, 'আমাদের অপূর্ব সুন্দর পৃথিবী'। তবে ভারতীয়দের মুখে একটিই কথা, 'ভারতবর্ষই সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল' ('India Shining too bright')।


one year ago
Nil-Trina: বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝে বসন্তে একসঙ্গে ধরা দিলেন নীল-তৃণা, খুশি অনুরাগীমহল

বেশ কয়েকদিন ধরে বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল টলিপাড়ায় (Tollywood)। টলিপাড়ার চর্চিত জুটি তৃণা সাহা (Trina Saha) এবং নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattacharya)। অনেক দিন ধরেই তাঁদের একসঙ্গে দেখেননি দর্শক। এমনকি কয়েক মাস আগে তাঁদের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছিল নানা রকমের গুঞ্জন। শোনা গিয়েছে, তাঁদের বহু বছরের সম্পর্কে নাকি চিড় ধরতে শুরু করেছে। এমনকি ৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতেও আলাদাই থেকেছেন নীল ও তৃণা। নীল বন্ধুদের সঙ্গে দুবাই ঘুরতে গিয়েছিলেন। এদিকে নতুন সিরিয়ালের শুটিংয়ে খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন তৃণা সাহা। তাঁদের এই আলাদা আলাদা বিবাহবার্ষিকী কাটানোর খবর দর্শক মনে ভীষণভাবে দাগ কাটে। এমনকি দর্শকের মনে জন্ম নেয় হাজারো প্রশ্ন। 

কিন্তু এই প্রসঙ্গে তেমন ভাবে মুখ খোলেননি তাঁরা। তবে তৃণা জানিয়েছিলেন, সব ঠিকঠাকই আছে। অবশেষে চারিদিকে আলোর রোশনাই দেখা দিল। বহু দিন পর প্রকাশ্যে এলেন নীল ও তৃণা। নীলের পরনে শেরওয়ানি। আর অন্য দিকে তৃণা পরেছেন নীল লেহেঙ্গা। একসঙ্গে হিন্দি গানের তালে নাচছেন তাঁরা। বহু দিন পরে আবার তাঁদের রিল দেখে খুশি তাঁদের অনুরাগীরাও।

জানা গিয়েছে, নীল-তৃণার বন্ধুর বিয়ে। আর সেই উপলক্ষেই সবার সঙ্গেই তৃনীল দম্পতি। আর নীল-তৃণাকে একসঙ্গে দেখে এক ব্যক্তি লিখেছেন, “উফ কত দিন পর নীল-তৃণার রিল দেখছি। তৃনীলের রিলসের জন্য সব সময় অপেক্ষা করে থাকি। ভীষণ মিষ্টি লাগছে দু’জনকে।” কেউ আবার জানতে চায়, "দু’জনের একসঙ্গে সিরিয়াল কবে দেখতে পাব?”


one year ago
Neel-Trina: সম্পর্কের ভাঙন গুঞ্জনকে রহস্যেই রাখতে চান তৃণা সাহা

টলিপাড়ার (Tollywood) জুটিরা চিরকালই নেটিজেনদের চর্চিত বিষয়। সেই জুটিদের (Couple) মধ্যে একটি হল নীল-তৃণার জুটি। গত বছর যাদের বিয়ে নিয়ে মেতেছিল নেটপাড়া। তবে কিছুদিন যাবৎ টলিপাড়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে সম্পর্কে ভাঙন ধরেছে তাঁদের। উপরন্তু জুড়ে বসল বিবাহবার্ষিকীতেও নাকি একসঙ্গে থাকছেন না তৃণা-নীল।  

গুঞ্জনটা অনেকদিন ধরেই ঘোরাফেরা করছে টলিদুনিয়া থেকে নেট দুনিয়ায়। যদিও এর পিছনে বহু কারণও উঠে এসেছে। ২১ জানুয়ারি তৃণা সাহার জন্মদিন ছিল। অভিনেত্রীর নতুন ধারাবাহিক ‘বালিঝড়’-এর সেটে উদযাপিত হয়েছিল জন্মদিন। সেই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি নীল ভট্টাচার্যকে। এদিন আবার শাহরুখ অনুরাগী স্ত্রীকে ছাড়াই পাঠান ছবি দেখতে চলে যান নীল। অভিনেতাকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান তৃণা অসুস্থ। এরপর বিবাহবার্ষিকীর প্রসঙ্গে তৃণা সাহাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন বিবাহবার্ষিকীতেও আলাদা থাকছেন তাঁরা।

গত বছর তৃণা-নীল জুটি তাঁদের বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছিলেন কলকাতা থেকে কিছুটা দূরে। সেখানে এবছর একসঙ্গেই থাকছেন না তাঁরা। পরপর এই ঘটনাগুলির বিষয়ে তৃণাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন,‘আমার দু’জনেই কাজের বিষয়ে কোনও ঢিলেমি পছন্দ করি না। তাই এবার বিবাহবার্ষিকী আলাদা আলাদাই কাটবে, কিন্তু ভিডিও কলে আছে।’ 

নতুন সিরিয়াল ও কাজের কারণে বাইরে ব্যস্ত দুজনেই। নেটপাড়ায় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে এই জল্পনা নিয়ে তৃণার আরও সংযোগ, ‘না থাক না, লোকের যা বলছে বলুক। একটু রহস্য থাকা ভাল।’


one year ago


Devi: বর্ধমান নারকেলডাঙায় দেবী জগৎগৌরী (১ম পর্ব)

সৌমেন সুরঃ অনেক নদীপথ পার হয়ে অবশেষে বেলায় ভাসতে ভাসতে লখিন্দরকে নিয়ে বেহুলা পৌছলেন বর্ধমানের নারকেলডাঙায়। এখানে তাঁর চোখে পড়ে একটা মন্দির। মন্দিরটি মা মনসার। মায়ের কাছে স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন। মন্দিরের মা হলেন দেবী জগৎগৌরী। পুরানে আছে জগৎগৌরীই মা মনসা। দেবী জগৎগৌরি কিভাবে এখানে আবির্ভূত হলেন, সে ব্যাপারে একটা গল্প আছে।

নারকেলডাঙায় বর্ধিষ্ণু জমিদার নন্দী পরিবার। এই পরিবারের একজন ভক্তিময়ী মহিলা স্বপ্নে দেখলেন মা জগৎগৌরীকে। তিনি বলছেন, পুকুরে আমার মূর্তি পড়ে আছে। ওটা তুলে এনে আমাকে প্রতিষ্ঠা কর। নন্দী পরিবারের মেজকর্তা পুকুরে সারাদিন জাল ফেলেন, অবশেষে উদ্ধার করেন মাকে। তারপর ধুমধাম করে পুজো করে নিজের বাড়িতে জগৎগৌরীকে প্রতিষ্ঠা করেন। মা ফের স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলেন, 'তোদের পাশেই এক ব্রাহ্মণ পরিবার আছে- সেখানে আমাকে প্রতিষ্ঠা কর।'

দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক সৎ ব্রাহ্মণের বাড়িতে মা চলে আসেন। এরপর মা জগৎগৌরীর মাহাত্ম্য দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে। দেবী নারকেলডাঙায় শুধু থাকেন না। আশেপাশের গ্রামে তাঁর অবাধ বিচরণ। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাসে আশেপাশে গ্রাম দেখতে মা বেরিয়ে পড়েন। মাকে চতুর্দোলায় চাপিয়ে ঘোরানো হয় বেশ কয়েকটি গ্রাম। (চলবে)

one year ago
Salil: বাংলা গানের রেনেসাঁ সলিল চৌধুরীর হাতে, 'কয়ার' সঙ্গীতের প্রবর্তকও এই বাঙালি

সৌমেন সুর: সলিল চৌধুরী বাংলা গানের নবরূপকার ও অন্তরের আকাশপ্রদীপ। প্রথম জীবনে তিনি ভারতীয় গণনাট্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বহু সার্থক গণসঙ্গীতের স্রষ্টা তিনি। তাঁর গানে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্যের প্রভাব আমরা দেখতে পাই। ১৯৪৯ সালে 'পরিবর্তন' ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে প্রথম আত্মপ্রকাশ তাঁর। ১৯৫৩ সালে 'দো বিঘা জমিন' ছবির সূত্রে হিন্দি ছায়াছবিতে প্রথম পা রাখেন। জীবনে সুদীর্ঘ সঙ্গীত নির্দেশনায় তিনি ৭৫টি হিন্দি ছবিতে, ৪০টি বাংলা ছবিতে এবং ২৬টি মালায়লম ছবিতে সুর দেন।

এছাড়াও মারাঠি, তামিল, কন্নড়, তেলেগু, গুজরাতি, ওড়িয়া ছবিতেও সঙ্গীত পরিচালনা করেন তিনি। তবে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে বাঁশের কেল্লা, হারানের নাতজামাই, বাড়ি থেকে পালিয়ে, কিনু গোয়ালার গলি, লাল পাথর ইত্যাদি ছবিতে তাঁর সুর উল্লেখযোগ্য। পাশ্চাত্য সঙ্গীতের ব্যবহারে উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখান সলিল চৌধুরী।

তিনি প্রথম 'কয়ার' সঙ্গীতের প্রবর্তক। ৫০ দশকের মাঝামাঝি তিনি বম্বে ইউথ কয়ার প্রতিষ্ঠা করেন এবং পলিফনিক কয়ার চালু করেছিলেন। যাই হোক গণসঙ্গীতের ক্ষেত্রে তিনি কোরাস গায়ন পদ্ধতি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বেশকিছু নজিরবিহীন গান সৃষ্টি করেছেন। যেমন-- 'হেই সামালো, ও আলোর পথযাত্রী, আমার প্রতিবাদের ভাষা' প্রভৃতি কালজয়ী গান। সলিল চৌধুরী শুধু সুরকার ছিলেন না, ছিলেন গীতিকারও। তাঁর লেখা বিখ্যাত গানের মধ্যে 'ভারতবর্ষ সূর্যের এক নাম, অ-এ অজগর আসছে তেড়ে, মায়াবতী মেঘে এলো তন্দ্রা'র মতো গানগুলো চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।

জগৎখ্যাত 'We Shall Overcome' গানের বাংলা অনুবাদ তাঁর হাত ধরেই। প্রায় দুশোর বেশি হিন্দি ও বাংলা ছায়াছবি এবং বিভিন্ন অর্কেস্ট্রার সূত্রে গত যুগের এবং অধুনা প্রায় সব প্রধানসারির শিল্পীর সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন। বিশ্বভারতী সলিল চৌধুরীকে সাম্মানিক ডি লিট দিয়ে সম্মানিত করেছে। ১৯৭৪ সালে কোপেনহেগেন বিশ্ব যুব উৎসবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ক্যালকাটা ইউথ কয়ার। ভারতের স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন, নেলসন মেন্ডেলার ভারত সফর, অমর্ত্য সেনের নোবেল জয়ের অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে ক্যালকাটা ইউথ কয়ার সঙ্গীত পরিবেশন করেছে। কবিতাকে সুর দিয়ে সঙ্গীতের রূপ দেওয়া বাংলায় সলিল চৌধুরীর হাতেই সৃষ্টি। পরবর্তী প্রজন্মকে আধুনিক সঙ্গীতমুখী করে তোলার প্রধান কাণ্ডারি ছিলেন তিনি।

2 years ago


NASA: প্রথম চেষ্টাতেই সফল নাসার 'ডার্ট মিশন', রক্ষা করা সম্ভব হবে মানবসভ্যতাকে

মহাজাগতিক বস্তুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্যই নাসার এই ডার্ট মিশন। জানা গিয়েছে, প্রথম চেষ্টাতেই সফল হয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (NASA) এই বিশেষ প্রজেক্ট। নাসার ডবল অ্যাস্টেরয়েড রিডায়রেকশন টেস্ট (DART Mission) মহাকাশযানকে সুপরিকল্পিতভাবে আছড়ে ফেলা হল পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা একটি গ্রহাণুর উপর। ১০ মাস আগে ক্যালিফোর্নিয়া (California) থেকে এই বিশেষ আত্মঘাতী অভিযানের জন্য ডার্ট স্পেশক্রাফ্টকে মহাকাশে পাঠানো হয়। এদিন সেই অভিযান সফলের কথা একটি অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে জানায় নাসা। বলা হয়, "মহাকাশ বিজ্ঞানে নতুন যুগের সূচনা হল। পৃথিবীর কক্ষপথে গ্রহাণু আছড়ে পড়ার বিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করার যোগ্যতা অর্জন করলাম আমরা"



বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছিল একটি গ্রহাণু। ডাইমরফাস নামের ওই গ্রহাণুটি আয়তনে প্রায় ৫৩০ ফুট। মিশরের বৃহদাকার পিরামিডের সঙ্গে তার তুলনা করা হয়েছিল। ডিডিমস নামের আধ মাইল বিস্তৃত একটি অভিভাবক গ্রহাণুকে ঘিরে পাক খাচ্ছিল সেটি। ডাইমরফাস এবং ডিডিমস, দু’টি গ্রহাণুই প্রতি চার বছর অন্তর সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। কোনও ক্রমে পৃথিবীতে তা আছড়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। ডায়নোসরের অবলুপ্তির জন্যও এমনই গ্রহাণু আছড়ে পড়েছিল বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানী ড. দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলেন, "১০ মাস আগে নাসা একটি রকেট (Rocket) উৎক্ষেপণ করেছিল। তার সঙ্গে ছিল একটি উপগ্রহ। এই পুরোটিকে বলা হয়েছিল ডার্ট মিশন। এর উদ্দেশ্য ছিল, পৃথিবী থেকে ১ কোটি ১০ লাখ কিলোমিটার দূরে দু'টি যুগ্ম গ্রহাণুকে আছড়ে পড়া থেকে আটকানো। ডাইমরফাস আকারে ২৩০ ফিট হলেও ডিডিমস ২৫০০ ফিট। এই দু'টি গ্রহাণু পৃথবীর দিকে ধেয়ে আসছিল। এই রকম গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথে আঘাত এনে মানবসভ্যতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই গ্রহাণুদের আটকানোর জন্য নাসা এই পরীক্ষামূলক অভিযান চালায়।

মঙ্গলবার ভোর ৪টে ৪৪ মিনিট নাগাদ ইচ্ছাকৃত এবং সুপরিকল্পিতভাবে মহাকাশযানটিকে ডাইমরফাসের উপর আছড়ে ফেলেছে। নাসা। ২২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার আছড়ে ফেলা হয় ডার্ট মিশন। ডাইমরফাসের সময়কাল ১০ মিনিট কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কক্ষপথ থেকে তাকে ১ শতাংশ বিচ্যুত করা হয়েছে। এই ১ শতাংশই পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুকে কক্ষপথ থেকে অনেকটা বিচ্যুত করেছে। এই পরীক্ষার্থী আগামী শতকে বিজ্ঞানীদের আরও অনেকটা প্রস্তুত করে ফেলল।

উল্লেখ্য, আগামীদিনে যদি এমনই কোনও গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসলে তার থেকে মানবসভ্যতাকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। এই সফল প্রচেষ্টাকে বলা যেতে পারে বিজ্ঞানের একটা "যুগান্তকারী অভিযান।" নাসার এই ডার্ট মিশন আগামী ১০০ বছরে যে কোনওরকম অঘটন থেকে রক্ষা করবে পৃথিবীকে, এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

2 years ago
Nasal: করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার ভারতে ন্যাজাল ভ্যাকসিন, ভারত বায়োটেককে ছাড়পত্র

দেশে করোনার সংক্রমণ (Coronavirus) নিয়ন্ত্রিত থাকলেও ঝুঁকি নিতে নারাজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশে যখন বুস্টার ডোজ কর্মসূচি চলছে, তখন করোনা রুখতে ফের দাওয়াই মোদী সরকারের (Modi Government)।  ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল ভ্যাকসিনকে (Nasal Vaccine) অনুমোদন দিল ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা DCGI। কোভিড রুখতে ন্যাসাল ভ্যাকসিন বাজারে আনছে ভারত বায়োটেক। প্রাপ্তবয়স্কদের জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার টুইটে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। জানা গিয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জরুরি ভিত্তিতে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ট্যুইট, এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করবে। এভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করব।

এদিকে, তবে কি বিদায় নিতে চলেছে করোনা মহামারী? বিশেষজ্ঞরা এখনই সেই সুখবর শোনাতে পারছেন না। এর থেকেই স্পষ্ট, এখনই বিদায় নয় করোনা ভাইরাস (Covid-19) নামক মহামারীর। তবে মঙ্গলবারও সংক্রমণ কিছুটা কম থাকায় স্বস্তি। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ফের সংক্রমণ ৭ হাজারের ঘরে পৌঁছয়। তবে এদিন মৃত্যুসংখ্যাও অনেকটা বেড়েছে। স্বস্তি অ্যাকটিভ কেস ও পজিটিভিটি রেটের (Positivity Rate) ক্ষেত্রে।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ৪১৭ জন। যা সোমবার ছিল ৫ হাজার ৯১০ জন। গতকালের তুলনায় কম। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। সোমবার যেখানে মৃত্যুসংখ্যা ছিল ১৬ । ফলে মৃত্যুসংখ্যা যে নিম্নমুখী, তা পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ০৩০ জন। বর্তমানে দেশের দৈনিক পজিটিভিটি রেট ১.২০ শতাংশ।

2 years ago