মৃত্যুমিছিল মায়ানমারে (Myanmar)। মায়ানমারের পাজিয়াগি গ্রামে বিমান হামলায় প্রাণ হারালেন প্রায় শতাধিক মানুষ। মৃতের মধ্যে রয়েছে স্ত্রী ও শিশু। জানা গিয়েছে, সেদেশের জুন্টা সরকারের সামরিক বাহিনী নিরীহ মানুষদের উপরে এই হামলা চালিয়েছে।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল ৮ টা নাগাদ একটি যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে সেই জায়গায় বোমা ফেলা হয়। সাগাইং এলাকার কানবালু টাউনশিপের পাজিয়াগি গ্রামে মায়ানমার সরকারের বিরোধী পার্টির একটি স্থানীয় অফিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ফলে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৫০ জন। এরপরেই শুরু হয় বোমা বর্ষণ। এই বোমা বিস্ফোরণের ফলেই প্রাণ হারিয়েছেন ১০০ জন। মৃতের মধ্যে ২০-৩০ জন মহিলা ও শিশু ছিলেন। আবার এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে বিরোধী দলের স্থানীয় নেতার।
এক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে খবর, এই জমায়েতের আধ ঘণ্টা পর একটি হেলিকপ্টার এসে সেই এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটায়। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের জুন্টা সরকার স্বীকার করেছে যে, তারাই সেই জায়গায় হামলা চালিয়েছে। এই হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্র সংঘের তরফে নিন্দা করা হয়েছে ও আমেরিকাও এই ঘটনাকে 'নারকীয়' ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে।
ফের মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হয়ে মৃত্যু (Death) এক যাত্রীর। জানা গিয়েছে, বিমানের মধ্যেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই প্রৌঢ় যাত্রী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিমানটিকে মায়ানমারে জরুরি অবতরণ করানো হয়। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার ব্যাঙ্কক থেকে মুম্বইগামী ইন্ডিগোর (Indigo Flight) একটি বিমানে।
সূত্রের খবর, ৬ই-৫৭ বিমানটি বিকেল ৪টে নাগাদ ব্যাঙ্কক থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বিমান তখন মাঝ আকাশে, ৫৭ বছর বয়সী ওই যাত্রী আচমকা অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন। বিমানটি ছাড়ার ১ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন প্রৌঢ়। এরপর বিমানটি মায়ানমারে নামানো হয়। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর মায়ানমারের ইয়াঙ্গন বিমানবন্দর থেকে ইন্ডিগোর বিমান আবার মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
উল্লেখ্য, দু'দিন আগেই রাঁচি থেকে পুনেগামী ইন্ডিগোর একটি বিমানেই ঘটে একই ঘটনা। বিমানের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক যাত্রীর। তড়িঘড়ি মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে বিমানটিকে অবতরণও করানো হয়। জরুরি অবতরণের পরই দ্রুত ওই ব্যক্তিকে ইন্দিরা গান্ধী মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসকরা ওই যাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।