রেশন দুর্নীতিতে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর এবার পুর নিয়োগ মামলাতেও তৎপর কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি। ২২ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে, এখনও ইডি দফতরে রয়েছেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা। শুক্রবার সকাল ১১ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-দফতরে পৌঁছন গোপাল সাহা। তারপর থেকে দফায় দফায় তাঁর জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে সূত্রের খবর। শনিবার সকালে তাঁকে বেরতে দেখা যায়নি। এর আগেও গোপাল সাহাকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশিও চালিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। গোপাল সাহার কাছ থেকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য় পাওয়া যাবে বলেই অনুমান তদন্তকারী অফিসারদের।
এর আগে দুর্গা পুজোর ষষ্ঠীর দিনও তলব করা হয়েছিল গোপাল সাহাকে। সে দিন ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। গত ৫ অক্টোবর দক্ষিণ দমদম, বরাহনগরের পাশাপাশি কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার বাড়িতেও ইডি তল্লাশি চালায়। যদিও গোপাল সাহা বারবার দাবি করেছেন, পুর দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই।
উল্লেখ্য, অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর সামনে আসে পুর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। আদালত সেই মামলার দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তদন্তকারীদের অনুমান, উত্তর ২৪ পরগনারই ১২ থেকে ১৪টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে। অন্যদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্তসহায়ক অভিজিৎ দাস ও রয়েছেন ইডি দফতরে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাঁর। শুক্রবার বিকেল নাগাদ হাজিরা দেন অভিজিৎ। প্রায় ১২ ঘন্টার বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে।
পুরনিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে তেঁড়ে ফুঁড়ে ময়দানে নেমেছে সিবিআই। আদালতের নির্দেশের পরেই কোন কোন পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে তা জানতে একযোগে ১৪ টি পুরসভায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। কোন কোন পুরসভায় নিয়োগের জন্য বরাত পেয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোন, সেই ক্ষেত্রে কতটা দুর্নীতি হয়েছে সব খতিয়ে দেখতে ১৪ টি পুরসভা থেকে সংগ্রহ করেছিল নিয়োগ সংক্রান্ত বেশকিছু নথিপত্র। এবার সেই নথিপত্র খতিয়ে দেখেই তদন্তকারী সংস্থার হাতে উঠে আসলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুরনিয়োগেও যে দুর্নীতি হয়েছে তা জানা গিয়েছিল প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামালায় অন্যতম ধৃত অয়ন শীলের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে। জানা গিয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজেনকে বরাত দেওয়া হয়েছিল একাধিক পুরসভার নিয়োগের ক্ষেত্রে। সেখানেই হয়েছে দুর্নীতি। এর আগেই নাম উঠে এসেছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভার। এবার উঠে আসল বরাহনগর পুরসভার নাম।
সিবিআই সূত্রে খবর বরাহনগর পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে দু দফায়, ২০১৭ ও ২০১৯ সালে। এক্ষেত্রে নিয়োগের বরাত দেওয়া হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজনকে। সিবিআই এর হাতে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চ্যলকর তথ্য দু দফায় নিয়োগ করা হয়েছিল ২৮০ জনকে। এই ২৮০ জনের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল মালদা ও মুর্শিদাবাদ জেলার। শুধু তাই নয় এদের মধ্যে একজন অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেতার ছেলেও রয়েছে। এই সমস্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই বরাহনগর পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন কর্মীকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ। ২০-২৯ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ। এবিএস ইনফোজনের মাধ্যমে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে? কোন কোন পদে নিয়োগ করা হয়েছে ? টাকা নিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে কিনা? নিয়োগের ক্ষেত্রে অয়ন শীলের ভূমিকা কতটা, নাকি রয়েছে অন্য কোনও বড়ো মাথা, সব জানতেই এবার ময়দানে সিবিআই।
রাজ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সাঁড়াশি চাপে কামারহাটি পুরসভা। সূত্রের খবর, গতবার ১৮ কর্মীকে তলব করা হলেও এবার ওই পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের তলবের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখিও হয়েছিলেন পুরসভার কর্মীরা। আবার সেই পুরসভার কর্মীদের তলব করা হল।
এ বিষয়ে পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘সিবিআইয়ের নির্দেশ মতো পুরসভার কর্মীরা সিবিআই দফতরে হাজিরা দিচ্ছেন। পাশাপাশি, সিবিআই যে সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে, সেই সব নথিও পাঠানো হয়েছে। এর পরেও যা যা নির্দেশ আসবে, আমরা মেনে চলব।’ প্রসঙ্গত, কামারহাটি তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের বিধানসভা কেন্দ্র। এর আগে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযানের অভিযোগ তুলে পুরসভায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি।
নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির মামলায় ধৃত অয়ন শীলের একটি সংস্থার মাধ্যমে ওই ১৪টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ। তাদের দাবি, টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, রাজ্যের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালানোর সময়েই নথি সংগ্রহ এবং আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মূলত ২০১৪ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পুরসভাগুলিতে নিয়োগের পদ্ধতি এবং নির্দেশিকার নথি যাচাই করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, ২০১৭-এ অয়নের সংস্থা বরাহনগর পুরসভায় প্রথম নিয়োগের বরাত পায়। ২০১৮-২০১৯ নাগাদ নিয়োগের পরীক্ষা হয়। অভিযোগ, তাতে পুরসভার কাউন্সিলরদের একাংশের নিকটাত্মীয়দের চাকরি হয়েছে বিভিন্ন পদে। মজদুর পদে কাজে যোগ দিয়ে কেউ কেউ পুর-প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনাচক্রে, ধৃত অয়নের সূত্রেই তাঁর পরিচিত শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম উঠে এসেছিল। সেই শ্বেতা কামারহাটি পুরসভাতেই চাকরি করেন। অয়নের সূত্রে শ্বেতার নাম উঠে আসার পর পুরসভায় গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন মদন।
পুরনিয়োগ দুর্নীতির জট খুলতে ফের তৎপর সিবিআই। বরাহনগর পুরসভার বিভিন্ন বিভাগের কর্মী ও আধিকারিকদের তলব করল সিবিআই। গত ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবার থেকে ডেকে পাঠানো কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই পুরসভার ৩২ কর্মীকে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওদিকে সিবিআই সূত্রের খবর, পুর-নিয়োগ দুর্নীনিতে বরাহনগর-সহ কামারহাটি, পানিহাটি এই পুরসভাগুলিও রয়েছে সিবিআই স্ক্যানারে।
উল্লেখ্য শহর থেকে জেলা, রাজ্যজুড়ে ১৪টি পুরসভাতে একযোগে চিরুনি তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। সল্টলেকের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে শুরু করে, দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, চুঁচুড়া, হালিশহর, বরাহনগর-সহ একাধিক পুরসভায় দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতেই একযোগে হানা দেয় সিবিআই। পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখতেই মূলত এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল।
প্রসঙ্গত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরেই সামনে এসেছে পুরনিয়োগ দুর্নীতির প্রমাণ। আর এরপরই কোমর বেঁধে নামে সিবিআই। কীভাবে হয়েছে পুুর নিয়োগে দুর্নীতি? অয়ন শীল ছাড়া আর কে কে যুক্ত আছে এই দুর্নীতিতে ? কোন কোন পুরসভাতে কবে থেকে এই নিয়োগ দুর্নীতি শুরু হয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে আবারও ম্যারাথন গতিতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই।
ঝালদা বিতর্কের ঝাঁঝ কমছে না কিছুতেই, বরং বাড়ছে উত্তরোত্তর। বিস্তর স্ট্র্যাটেজির পর ঝালদার কুর্সিতে এখন তৃণমূল। আর তৃণমূলের ছোঁয়া লাগতেই ঝালদা পুরসভায় গেল ইডির নোটিস! এবার নিয়োগ দুর্নীতির গ্যাঁড়াকলে ঝালদা পুরসভা? ২০১৪ থেকে এখনও পর্যন্ত স্থায়ী, অস্থায়ী যাবতীয় নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
একটি মৃত্যু থেকে ঝালদার অস্থিরতার শুরুয়াত। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুন ঘুরিয়ে দেয় ঝালদার রাজনীতি। কখনও কংগ্রেসের পাল্লা ভারী, কখনও তৃণমূলের। এরপর হাইকোর্টের অর্ডারে ঝালদার কুর্সি পেয়েও ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। তৃণমূলে যোগদানকারী দলবদলু ৪ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং পুর প্রধানের দৌলতে ঝালদা পুরসভা এখন ঘাসফুল শিবিরের। কিন্তু সেই জয়ের সপ্তাহ খানেকের মাথাতেই ঝালদার শিয়রে ইডির শমন। আগেও একবার ইডির নোটিস পেয়েছে ঝালদা পুরসভা। কিন্তু এবারের নোটিসের ১ সপ্তাহের মধ্যে ২০১৪ থেকে দায়িত্বে থাকা পুরপ্রধান, নির্বাহী আধিকারিক সহ পুরকর্মীদের নাম, ফোন নম্বর, নিয়োগকারীদের বায়োডেটা সহ সমস্ত নথি ইডির কাছে পাঠানোর নির্দেশ।
নিয়োগে গ্যাঁড়াকল হলে তৃণমূলের আমলেই হয়েছে, অভিযোগ জেলা কংগ্রেস সভাপতির। পাশাপাশি প্রত্যেকটি সরকারি ক্ষেত্র যেন দুর্নীতির আখড়া! ঝালদা পুরসভাই বা বাদ যাবে কেন? এখানেও কেন্দ্রের প্রকল্পগুলিতে দুর্নীতির অভিযোগ আনছে বিজেপি। নিয়োগকাণ্ডের ডেভেলপার অয়ন শীলের হাত ধরে পুর দুর্নীতির নতুন চ্যাপ্টার দেখেছে বাংলা। হিমশৈলের বাকি অংশের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। তবে যে ঝালদা নিয়ে এত লড়াই, এত দরাদরি, সেই পুরসভাও এবার তদন্তের স্ক্যানারে! এখনও কি ঝালদা নিয়ে রাজনীতির টানাপোড়েন চলবে? নাকি এবার দায় ঝাড়ার পালা?
ঝালদা পুরসভা ফের তৃণমূলের দখলে। বুধবার রাতে কংগ্রেস থেকে পাঁচজন তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর মধ্যে রয়েছেন নিহত প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপোও। উল্লেখ্য, পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে তৃণমূল মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস । এবার সেটাই সত্যি হল। কংগ্রেসের থেকে ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে নিল তৃণমূল।
বুধবার রাতে তৃণমূলে যোগ দেন ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু, পিন্টু চন্দ্র এবং সোমনাথ কর্মকার। মিঠুন হলেন তপন কান্দুর ভাইপো। এদিন, তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো।
কংগ্রেস থেকে কেন আবার তৃণমূলে ? শীলা চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু জানাচ্ছেন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়নি। পরিবার থেকে যা অভিযোগ জানানোর, তা জানানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে। তদন্ত তদন্তের মতো চলুক। যারা দোষী, তারা সাজা পাবে।
রাজ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। এর মধ্যেই কড়া পদক্ষেপ হাওড়া পুরসভা গুলি। ইতিমদ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে পড়েন গিয়েছে প্রায় ৮ জনের, পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে পুর এলাকা গুলি ও শহরতলি এলাকাগুলিতে বহু মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত। এবার তা রুখতে কড়া পদক্ষেপ হাওড়া পুরসভার। জল জমিয়ে রাখার জন্যে দেড় হাজার বাড়িতে নোটিশ পাঠাল হাওড়া পুরসভা। ইতিমধ্যে নোটিশের সদুত্তর না দেওয়ায় ৫০টি পরিবারের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করেছে পুরসভা।
বুধবার ডেঙ্গি মোকাবিলায় পুরসভার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন পুর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে হাওড়া পুরসভা। একইসঙ্গে তিনি জানান, গত জানুয়ারি মাস থেকে ৭০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। তবে, কেউ মারা যায়নি। তবে পুর কমিশনারের দাবি, গত বছর এই সময় ১২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও এই বছর সংখ্যাটা অনেকটাই কম।
পাশাপাশি রাজ্যে অন্যান্য পুরসভা গুলিও ডেঙ্গি রুখতে যথেষ্ট সচেতন। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর পুর এলাকা গুলিতে নিয়মিত মশা মারার তেল, স্প্রে করে পরিস্থিতির মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডেঙ্গি সচেতনতায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও কোমর বেঁধে পথে নেমেছে।
পুরসভা (Municiplity) দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের (High Court) ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench)। বহাল থাকল সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
রাজ্যের পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই মামলার রায়ে ২১ শে এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম করে মামলা দায়ের করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যের এই ভূমিকায় হাইকোর্ট অসন্তুষ্ট হয়। সেকারণে শীর্ষ আদালত থেকে স্পেশাল লিভ পিটিশন প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য। যদিও হাইকোর্টে এই মামলার রায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দিলেও পরে মামলাটি সরে আসে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে।
রাজ্যের পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার আরও তৎপর হল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED)। মঙ্গলবার জানা গিয়েছে, কোন পুরসভায় (Municiplity) কত নিয়োগ হয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে রাজ্যের পুর ও নগরোয়ন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) দফতরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মূলত, সল্টলেক থেকে গ্রেফতার প্রমোটার অয়ন শীলকে জেরা করে এই ব্যাপারে অনেক তথ্য তাদের হাতে এসেছে বলেই দাবি ইডির। এই মামলায় ইতিমধ্যে আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে সিবিআই।
সম্প্রতি স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রমোটার অয়ন শীলকে। তাঁকে জেরা করেই মূলত উঠে এসেছিল পুরসভায় নিয়োগে গড়মিলের তথ্য। কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরাহনগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে ইডির তরফে।
নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
পুকুর ভরাটের অভিযোগ খোদ ভাইস চেয়ারম্যানের (Vice Chairman) ওয়ার্ডে। ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুর (Bolpur) পৌরসভা (Municiplity) এলাকায়। কিছুদিন আগে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষের ওয়ার্ডে একটি পুকুর বুজিয়ে ফেলার ঘটনা দেখা গিয়েছিল। ঠিক একইভাবেই বোলপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ওমর শেখের ছয় নম্বর ওয়ার্ডেও পুকুর বুজিয়ে ফেলার ঘটনাটি সামনে আসে। যদিও এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ।
স্থানীয়দের সূত্রে খবর, পুকুর বুজিয়ে আবাসন তৈরি করা হবে। অন্যদিকে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর এর আধিকারিকরা জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে যদি এরকম কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তারা যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা আশ্বস্ত করে এরকম ধরণের ঘটনা পরবর্তী কালে যাতে না ঘটে সেইদিকে নজর রাখবে তাঁরা।
পুরসভায় (Municiplity) নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) নির্দেশ বহাল রাখল বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Amrita Sinha)। পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর ওই মামলার পুনর্বিবেচনা দাবি করে অমৃতা সিনহার এজলাসে আবেদন করে রাজ্য। শুক্রবার রাজ্যের ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ওই মামলায় সিবিআইয়ের সঙ্গে ইডিও তদন্ত করবে
শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা অয়ন শীলের গ্রেফতারির পর, অয়নের বাড়ি ও অফিসের নথি ঘেঁটে সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল এই পুর নিয়োগ দুর্নীতির কথা। অয়নের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি অনুযায়ী পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ১১৮ টি পৌরসভার, কমপক্ষে ৭০ টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে, এবং কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে এখনও অবধি আদালতকে জানিয়েছে।
এরপর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। এরপর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি হিসেবে বদল হবার পর, এই মামলায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে অমৃতা সেনের এজলাসে আবেদন জানায় রাজ্য। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি
এখনই সিবিআই তদন্ত থেকে রেহাই পাচ্ছে না পুর নিয়োগ দুর্নীতি। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মূল মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বদল করা হয়। যার পরেই পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অমৃতা সিনহার এজলাসে একটি আবেদন করে রাজ্য। ওই আবেদনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পুনর্বিবেচনা ও স্থগিতাদেশ দাবি করে রাজ্য। সোমবার সেই মামলার শুনানিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ে স্থগিতাদেশ দিলো না হাইকোর্ট।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্যতম পান্ডা অয়নশীলকে। তাঁর সল্টলেকের বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অফিস ঘেঁটে বিভিন্ন নথি উদ্ধার করেন ইডির আধিকারিকরা। ওই নথি ঘেঁটে ইডি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির আভাস পায়।
এরপরই ইডির তরফে হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নজরে আনেন। যার পরে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার গিয়ে পড়ে সিবিআইয়ের হাতে। প্রথমদিকেই সিবিআই জানিয়ে দিয়েছিল পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য ও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এ রাজ্যের ১১৮ টি পুরসভার মধ্যে ৬৫ থেকে ৭০ টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।
শিক্ষা নিয়োগে দুর্নীতির (Scam) পর এবার পুরসভায় (Municiplity) নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করবে সিবিআই (CBI)। শুক্রবার বিকেলে এমনই নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, অয়ন শীলের থেকে পাওয়া নথি যাচাই করে, সেসব বিচারপতির নজরে আনেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তারই ভিত্তিতে শুক্রবার এমন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা নতুন এফআইআর করে তদন্ত শুরু করতে পারবে। পাশাপাশি সূত্রের খবর, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, এ সংক্রান্ত মামলায় তাদেরকে সাহায্য করার। বিচারপতি নির্দেশ দেন ২৮শে এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে।
প্রসঙ্গত, বলে রাখা ভালো সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে অয়ন শীল। যার বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ইডি বহু তথ্য উদ্ধার করেছে। যেখানে শুধু নিয়োগ দুর্নীতি নয়, এ রাজ্যের প্রায় ৭০ টি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল গোয়েন্দারা। নথি ঘেঁটে প্রায় ৫০০০ চাকরিতে দুর্নীতি যোগ পাওয়া গেছে বলে আদালতকে জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপরেই শুক্রবার পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
হালিশহর (Halisahar) পুরসভার (Municiplity) পুরপ্রধান (Chairman) পদ থেকে পদত্যাগ করলেন রাজু সাহানি। তার জায়গায় বর্তমান পুর প্রধান হলেন শুভঙ্কর ঘোষ। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা হালিশহরের পুর প্রধান রাজু সাহানি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে ইস্তফা দেন। সূত্রের খবর, হালিশহর পুরসভার ২০ ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রাজু। সম্প্রতি চিটফান্ড মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান তিনি। সূত্রের খবর, বুধবার হালিশহর পুরসভায় একটি বৈঠক ডাকা হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে পুরসভার প্রধান হবেন শুভঙ্কর ঘোষ। সূত্রের খবর, শুভঙ্কর হালিশহর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। আজ অর্থাৎ বুধবার পদত্যাগের পর রাজু সাহানি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, দলের নির্দেশেই পদত্যাগ করেছেন তিনি।